আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের মতো জাতীয় নেতাদের রেখে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বিদেশের নেতাদের অনুসরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
আজ শনিবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক জাগ্রত বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ‘দেশের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণদের কাছে বিদেশি নেতারা ‘এত জনপ্রিয় কেন’ সেই প্রশ্ন তুলেছেন এই বিএনপি নেতা।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ জিয়ার মতো নেতারা আছেন। তাদের আদর্শ থাকার পরও তরুণরা কেন বাইরের নেতাদের অনুসরণ করছে? এই বিষয়টি জাতির সামনে পরিষ্কার করা প্রয়োজন, নাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিভ্রান্তিতে থাকবে।’
৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের আন্দোলনের সামনে থাকা তরুণ ছাত্র নেতৃত্ব ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে। দলটির গঠনের সঙ্গে যুক্ত জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বরাতে বিবিসি বাংলা বলছে, তাঁরা জাতীয়তাবাদ, সেক্যুলার বা ধর্মভিত্তিক— কোনো আদর্শকেই সামনে রাখতে চান না।
এই নেতারা একটি মধ্যমপন্থী দলগঠনের কথা বলছেন বেশ কিছুদিন ধরে। প্রতিবেদনে বিবিসি বাংলা বলেছে, সফলতার মন্ত্র খুঁজতে তাঁরা তুরস্কের রিচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের একে পার্টি, পাকিস্তানের ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং ভারতের অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির কর্মসূচি ও সাংগঠনিক কাঠামো যাচাই-বাছাই করে দেখছেন।
বিএনপি নেতা আলাল বলেন, ‘তুরস্কের এরদোয়ানের একে পার্টি, পাকিস্তানের ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং ভারতের কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি— এগুলোর কোনোটাই বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিসীমার মধ্যে নয়। অথচ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা এই তিনটি দলের আদলে তাদের দল ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নির্ধারণ করছে।’
‘আমার কাছে অবাক লাগে, আমাদের দেশের তরুণরা, যারা এই মাটিতে বেড়ে উঠেছে, যাদের শরীরে দেশের মাটির ঘ্রাণ লেগে আছে, তারা কেন বিদেশি নেতাদের মতবাদকে এত জনপ্রিয় মনে করছে? এই প্রবণতা দেখে আমার মনে প্রশ্ন জাগে, এর মূল কারণ আসলে কী?’
আলাল বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতন জনগণের সম্মিলিত আন্দোলনেরই ফল। বিএনপি এই আন্দোলন দেড় যুগ ধরে চালিয়ে আসছে। এখন সেই আন্দোলনের সফল পরিণতির পর ঠেলাঠেলি বা পরস্পরের প্রতি দোষারোপ করার কোনো মানে হয় না।’
৫ আগস্ট ঘিরে ক্যান্টনমেন্টে ৬২৬ জন আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের অবস্থান জানতে চান আলাল। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে অনেক গুঞ্জন আছে, সেনাবাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তাদের কিছু অংশ তাঁদের নিরাপদে বের করে দিয়েছেন। না হলে পরবর্তীতে এই আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের অবস্থান সম্পর্কে জাতিকে কিছু জানানো হলো না কেন?’
আলোচনা সভায় উপস্থিত অন্য বক্তার মতো মোয়াজ্জেম হোসেন আলালও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এই লড়াইয়ে বিভ্রান্তি বা বিভাজন সৃষ্টি না করে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম কলিম। সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ ও শাহজাহান মিয়া সম্রাটসহ অন্যান্য নেতা।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের মতো জাতীয় নেতাদের রেখে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বিদেশের নেতাদের অনুসরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
আজ শনিবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক জাগ্রত বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ‘দেশের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণদের কাছে বিদেশি নেতারা ‘এত জনপ্রিয় কেন’ সেই প্রশ্ন তুলেছেন এই বিএনপি নেতা।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ জিয়ার মতো নেতারা আছেন। তাদের আদর্শ থাকার পরও তরুণরা কেন বাইরের নেতাদের অনুসরণ করছে? এই বিষয়টি জাতির সামনে পরিষ্কার করা প্রয়োজন, নাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিভ্রান্তিতে থাকবে।’
৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের আন্দোলনের সামনে থাকা তরুণ ছাত্র নেতৃত্ব ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে। দলটির গঠনের সঙ্গে যুক্ত জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বরাতে বিবিসি বাংলা বলছে, তাঁরা জাতীয়তাবাদ, সেক্যুলার বা ধর্মভিত্তিক— কোনো আদর্শকেই সামনে রাখতে চান না।
এই নেতারা একটি মধ্যমপন্থী দলগঠনের কথা বলছেন বেশ কিছুদিন ধরে। প্রতিবেদনে বিবিসি বাংলা বলেছে, সফলতার মন্ত্র খুঁজতে তাঁরা তুরস্কের রিচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের একে পার্টি, পাকিস্তানের ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং ভারতের অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির কর্মসূচি ও সাংগঠনিক কাঠামো যাচাই-বাছাই করে দেখছেন।
বিএনপি নেতা আলাল বলেন, ‘তুরস্কের এরদোয়ানের একে পার্টি, পাকিস্তানের ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং ভারতের কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি— এগুলোর কোনোটাই বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিসীমার মধ্যে নয়। অথচ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা এই তিনটি দলের আদলে তাদের দল ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নির্ধারণ করছে।’
‘আমার কাছে অবাক লাগে, আমাদের দেশের তরুণরা, যারা এই মাটিতে বেড়ে উঠেছে, যাদের শরীরে দেশের মাটির ঘ্রাণ লেগে আছে, তারা কেন বিদেশি নেতাদের মতবাদকে এত জনপ্রিয় মনে করছে? এই প্রবণতা দেখে আমার মনে প্রশ্ন জাগে, এর মূল কারণ আসলে কী?’
আলাল বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতন জনগণের সম্মিলিত আন্দোলনেরই ফল। বিএনপি এই আন্দোলন দেড় যুগ ধরে চালিয়ে আসছে। এখন সেই আন্দোলনের সফল পরিণতির পর ঠেলাঠেলি বা পরস্পরের প্রতি দোষারোপ করার কোনো মানে হয় না।’
৫ আগস্ট ঘিরে ক্যান্টনমেন্টে ৬২৬ জন আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের অবস্থান জানতে চান আলাল। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে অনেক গুঞ্জন আছে, সেনাবাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তাদের কিছু অংশ তাঁদের নিরাপদে বের করে দিয়েছেন। না হলে পরবর্তীতে এই আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের অবস্থান সম্পর্কে জাতিকে কিছু জানানো হলো না কেন?’
আলোচনা সভায় উপস্থিত অন্য বক্তার মতো মোয়াজ্জেম হোসেন আলালও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এই লড়াইয়ে বিভ্রান্তি বা বিভাজন সৃষ্টি না করে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম কলিম। সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ ও শাহজাহান মিয়া সম্রাটসহ অন্যান্য নেতা।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তালিকায় ‘আমজনতার দল’ না থাকায় নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছে দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান।
২৩ মিনিট আগে
এককভাবেই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের লক্ষ্য ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়া।
২৬ মিনিট আগে
পদ ছেড়ে দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে প্রার্থী হবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
৪৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নাম নেই দলটির অনেক বড় নেতার। মনোনয়নবঞ্চিত এসব নেতা এ নিয়ে মুখ খুলছেন না। তবে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তালিকায় ‘আমজনতার দল’ না থাকায় নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছে দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান।
আজ বুধবার তারেকের অনশনের প্রতি সংহতি জানাতে আসেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। এ সময় তিনি বলেন, “তারেক রহমান ভাই যে আন্দোলন করছেন এই আন্দোলন যৌক্তিক এবং তাঁর দল আমজনতার দলকে অবশ্যই নিবন্ধন দিতে হবে। ”
রাশেদ খাঁন বলেন, “রাজপথের লড়াকু সৈনিক ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে যিনি সব সময় রাজপথে লড়াই করেছেন আপনাদের পরিচিত মুখ আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান ভাই। তিনি প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে নির্বাচন কমিশনের মূল ফটকের সামনে তাঁর দলের নিবন্ধনের দাবিতে অনশন করছেন। আমরা রাজপথে তাঁর বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রাম দেখেছি। ”
তিনি বলেন, “গতকাল আমরা দেখেছি তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এনসিপি নিবন্ধন পেয়েছে, আমরা তাদের শুভকামনা জানাই। কিন্তু বাকি দু’টি দল কীভাবে নিবন্ধন পেয়েছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমরা মনে করি নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে এক নম্বর শর্ত হতে হবে রাজপথের সক্রিয়তা। কিন্তু এই সক্রিয়তা বিবেচনা না করে শুধুমাত্র কমিটি দিয়েছে, বাসা-বাড়িকে অফিস হিসেবে দেখিয়ে; তারা এই ছলে বলে কৌশলে নিবন্ধন পাবে—সেটি আমরা কোনোভাবেই মানতে পারি না। ”
রাশেদ খাঁন বলেন, “আমরা দেখেছি ২৪-এর ডামি নির্বাচনের আগে কীভাবে বিএনএম, সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা অনুরোধ জানিয়েছিলাম এই সকল ভুঁইফোড় দলকে যারা আগে ডিজিএফআই’র মাধ্যমে নিবন্ধন পেয়েছে এদের অবশই নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। তাদেরকে বাতিল করা হয়নি। উল্টো আমরা দেখলাম গণ-অভ্যুত্থানের পরে রাজপথের সক্রিয় দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ”
আলোচিত ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের গড়া বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, ডেসটিনি প্রায় ৪২ লাখ গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করেছিল। সেই দলও দেখলাম নিবন্ধন পেল। আমার প্রশ্ন হলো—এই দল কীভাবে নিবন্ধন পেল? ২৪-এর গণ–অভ্যুত্থানের আগে আমরা এই দলকে কখনোই রাজপথে দেখি নাই। হঠাৎ করে জেল থেকে বের হলো। দল গঠন করল। কমিটি দিল। বাসাবাড়িকে অফিস হিসেবে দেখিয়ে দিল। তারা নিবন্ধন পেল। কিন্তু তারেক রহমান যাকে আপনারা সকলে চিনেন, রাজপথের জ্বালাময়ী বক্তব্য সকলে শুনেছেন, সব সময় সংগ্রাম করেছেন। তাঁর দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ”
রাশেদ খাঁন বলেন, “আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে সংহতি জানানোর জন্য আমি এখানে এসেছি। এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলব। তিনি (তারেক রহমান) অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রায় ২০ ঘণ্টার অধিক সময় তিনি পাড়ি দিয়েছেন। এখানে সারা রাত তিনি শুয়েছিলেন। মশার কামড় খেয়েছেন। এইভাবে একজন রাজপথের সংগ্রামী নেতা তিনি রাস্তায় শুয়ে থাকবেন। আর নির্বাচন কমিশনার তাঁরা কোনো মন্তব্য করবেন না—সেটি হতে পারে না। তাঁদের মন্তব্য জানার জন্য, তাঁরা কী ভাবছেন, কী করবেন—সেটি জানার জন্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলার জন্য এই মুহূর্তে আমি যাব। ”
এ সময় তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান ভাইয়ের যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনের প্রতি আমার সংহতি রয়েছে। আমি মনে করি, তারেক রহমান ভাই যে আন্দোলন করছেন, এই আন্দোলন যৌক্তিক এবং তাঁর দল আমজনতার দলকে অবশ্যই নিবন্ধন দিতে হবে। ”
উল্লেখ্য, গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দাবি-আপত্তি আসলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়া হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তালিকায় ‘আমজনতার দল’ না থাকায় নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছে দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান।
আজ বুধবার তারেকের অনশনের প্রতি সংহতি জানাতে আসেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। এ সময় তিনি বলেন, “তারেক রহমান ভাই যে আন্দোলন করছেন এই আন্দোলন যৌক্তিক এবং তাঁর দল আমজনতার দলকে অবশ্যই নিবন্ধন দিতে হবে। ”
রাশেদ খাঁন বলেন, “রাজপথের লড়াকু সৈনিক ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে যিনি সব সময় রাজপথে লড়াই করেছেন আপনাদের পরিচিত মুখ আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান ভাই। তিনি প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে নির্বাচন কমিশনের মূল ফটকের সামনে তাঁর দলের নিবন্ধনের দাবিতে অনশন করছেন। আমরা রাজপথে তাঁর বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রাম দেখেছি। ”
তিনি বলেন, “গতকাল আমরা দেখেছি তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এনসিপি নিবন্ধন পেয়েছে, আমরা তাদের শুভকামনা জানাই। কিন্তু বাকি দু’টি দল কীভাবে নিবন্ধন পেয়েছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমরা মনে করি নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে এক নম্বর শর্ত হতে হবে রাজপথের সক্রিয়তা। কিন্তু এই সক্রিয়তা বিবেচনা না করে শুধুমাত্র কমিটি দিয়েছে, বাসা-বাড়িকে অফিস হিসেবে দেখিয়ে; তারা এই ছলে বলে কৌশলে নিবন্ধন পাবে—সেটি আমরা কোনোভাবেই মানতে পারি না। ”
রাশেদ খাঁন বলেন, “আমরা দেখেছি ২৪-এর ডামি নির্বাচনের আগে কীভাবে বিএনএম, সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা অনুরোধ জানিয়েছিলাম এই সকল ভুঁইফোড় দলকে যারা আগে ডিজিএফআই’র মাধ্যমে নিবন্ধন পেয়েছে এদের অবশই নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। তাদেরকে বাতিল করা হয়নি। উল্টো আমরা দেখলাম গণ-অভ্যুত্থানের পরে রাজপথের সক্রিয় দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ”
আলোচিত ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের গড়া বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, ডেসটিনি প্রায় ৪২ লাখ গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করেছিল। সেই দলও দেখলাম নিবন্ধন পেল। আমার প্রশ্ন হলো—এই দল কীভাবে নিবন্ধন পেল? ২৪-এর গণ–অভ্যুত্থানের আগে আমরা এই দলকে কখনোই রাজপথে দেখি নাই। হঠাৎ করে জেল থেকে বের হলো। দল গঠন করল। কমিটি দিল। বাসাবাড়িকে অফিস হিসেবে দেখিয়ে দিল। তারা নিবন্ধন পেল। কিন্তু তারেক রহমান যাকে আপনারা সকলে চিনেন, রাজপথের জ্বালাময়ী বক্তব্য সকলে শুনেছেন, সব সময় সংগ্রাম করেছেন। তাঁর দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ”
রাশেদ খাঁন বলেন, “আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে সংহতি জানানোর জন্য আমি এখানে এসেছি। এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলব। তিনি (তারেক রহমান) অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রায় ২০ ঘণ্টার অধিক সময় তিনি পাড়ি দিয়েছেন। এখানে সারা রাত তিনি শুয়েছিলেন। মশার কামড় খেয়েছেন। এইভাবে একজন রাজপথের সংগ্রামী নেতা তিনি রাস্তায় শুয়ে থাকবেন। আর নির্বাচন কমিশনার তাঁরা কোনো মন্তব্য করবেন না—সেটি হতে পারে না। তাঁদের মন্তব্য জানার জন্য, তাঁরা কী ভাবছেন, কী করবেন—সেটি জানার জন্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলার জন্য এই মুহূর্তে আমি যাব। ”
এ সময় তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান ভাইয়ের যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনের প্রতি আমার সংহতি রয়েছে। আমি মনে করি, তারেক রহমান ভাই যে আন্দোলন করছেন, এই আন্দোলন যৌক্তিক এবং তাঁর দল আমজনতার দলকে অবশ্যই নিবন্ধন দিতে হবে। ”
উল্লেখ্য, গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দাবি-আপত্তি আসলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ জিয়ার মতো নেতারা আছেন। তাদের আদর্শ থাকার পরও তরুণরা কেন বাইরের নেতাদের অনুসরণ করছে? এই বিষয়টি জাতির সামনে পরিষ্কার করা প্রয়োজন, নাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিভ্রান্তিতে থাকবে।’
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
এককভাবেই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের লক্ষ্য ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়া।
২৬ মিনিট আগে
পদ ছেড়ে দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে প্রার্থী হবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
৪৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নাম নেই দলটির অনেক বড় নেতার। মনোনয়নবঞ্চিত এসব নেতা এ নিয়ে মুখ খুলছেন না। তবে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেসিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

এককভাবেই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের লক্ষ্য ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়া।
আজ বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার জুলাই শহীদ সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আমাদের ৩০০ আসনেই লক্ষ্য। তবে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় খালেদা জিয়ার সম্মানে আমরা ওই সব আসনে প্রার্থী দেব না। এ ছাড়া আমরা সব আসনেই শাপলা কলি মার্কার প্রার্থী দেব।’
ভোটারদের উদ্দেশে নাহিদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান করেছি যে যারা গডফাদারগিরি করে, তারাই নির্বাচনে দাঁড়ায়—এই সংস্কৃতিকে আমরা চ্যালেঞ্জ করতে চাই। একজন এলাকার সাধারণ মানুষ, গ্রহণযোগ্য মানুষ, যাকে মানুষ কাছে পাবে এবং শিক্ষকদের আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দেখতে চাই।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘এখন যেহেতু নির্বাচনী ঢাকঢোল বাজছে, এতে যেন আমরা আমাদের আহত এবং শহীদ ভাইদের ভুলে না যাই। তাহলে সালাউদ্দিন ভাইয়ের মতো আরও অনেকে মৃত্যুবরণ করবে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের যে স্বাস্থ্য সুবিধার কথা বলা হয়েছে, সেটাতেও অনেক অভিযোগ আছে।’
বক্তব্য শেষে নাহিদ ইসলাম গাজী সালাউদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল-আমীন, কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি তুহিন খান প্রমুখ।

এককভাবেই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের লক্ষ্য ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়া।
আজ বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার জুলাই শহীদ সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আমাদের ৩০০ আসনেই লক্ষ্য। তবে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় খালেদা জিয়ার সম্মানে আমরা ওই সব আসনে প্রার্থী দেব না। এ ছাড়া আমরা সব আসনেই শাপলা কলি মার্কার প্রার্থী দেব।’
ভোটারদের উদ্দেশে নাহিদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান করেছি যে যারা গডফাদারগিরি করে, তারাই নির্বাচনে দাঁড়ায়—এই সংস্কৃতিকে আমরা চ্যালেঞ্জ করতে চাই। একজন এলাকার সাধারণ মানুষ, গ্রহণযোগ্য মানুষ, যাকে মানুষ কাছে পাবে এবং শিক্ষকদের আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দেখতে চাই।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘এখন যেহেতু নির্বাচনী ঢাকঢোল বাজছে, এতে যেন আমরা আমাদের আহত এবং শহীদ ভাইদের ভুলে না যাই। তাহলে সালাউদ্দিন ভাইয়ের মতো আরও অনেকে মৃত্যুবরণ করবে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের যে স্বাস্থ্য সুবিধার কথা বলা হয়েছে, সেটাতেও অনেক অভিযোগ আছে।’
বক্তব্য শেষে নাহিদ ইসলাম গাজী সালাউদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল-আমীন, কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি তুহিন খান প্রমুখ।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ জিয়ার মতো নেতারা আছেন। তাদের আদর্শ থাকার পরও তরুণরা কেন বাইরের নেতাদের অনুসরণ করছে? এই বিষয়টি জাতির সামনে পরিষ্কার করা প্রয়োজন, নাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিভ্রান্তিতে থাকবে।’
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তালিকায় ‘আমজনতার দল’ না থাকায় নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছে দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান।
২৩ মিনিট আগে
পদ ছেড়ে দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে প্রার্থী হবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
৪৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নাম নেই দলটির অনেক বড় নেতার। মনোনয়নবঞ্চিত এসব নেতা এ নিয়ে মুখ খুলছেন না। তবে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পদ ছেড়ে দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে প্রার্থী হবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
আজ বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি ভোট করব, আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে যেয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে তখন করব।'
এরপর তাহলে কে এই দায়িত্বে আসবেন এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বাংলাদেশ যাকে মনে করে।’
বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমি আশাবাদী।’
গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

পদ ছেড়ে দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে প্রার্থী হবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
আজ বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি ভোট করব, আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে যেয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে তখন করব।'
এরপর তাহলে কে এই দায়িত্বে আসবেন এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বাংলাদেশ যাকে মনে করে।’
বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমি আশাবাদী।’
গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ জিয়ার মতো নেতারা আছেন। তাদের আদর্শ থাকার পরও তরুণরা কেন বাইরের নেতাদের অনুসরণ করছে? এই বিষয়টি জাতির সামনে পরিষ্কার করা প্রয়োজন, নাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিভ্রান্তিতে থাকবে।’
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তালিকায় ‘আমজনতার দল’ না থাকায় নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছে দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান।
২৩ মিনিট আগে
এককভাবেই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের লক্ষ্য ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়া।
২৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নাম নেই দলটির অনেক বড় নেতার। মনোনয়নবঞ্চিত এসব নেতা এ নিয়ে মুখ খুলছেন না। তবে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নাম নেই দলটির অনেক বড় নেতার। মনোনয়নবঞ্চিত এসব নেতা এ নিয়ে মুখ খুলছেন না। তবে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
দলীয় সূত্র বলেছে, মনোনয়নবঞ্চিতদের কর্মী-সমর্থকদের এই ক্ষোভ-বিক্ষোভে বিএনপি কিছুটা চাপে পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম স্থগিত করা হয়েছে। দলটির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক নেতা বলছেন, মনোনয়নবঞ্চিতদের নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে, পর্যালোচনা হচ্ছে। এটি সম্ভাব্য তালিকা। প্রয়োজনে প্রার্থী বদল হতে পারে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের মধ্যে প্রবীণ-নবীনের সমন্বয়ে ২৩৭ আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন।
সম্ভাব্য এই প্রার্থী তালিকায় হেভিওয়েটদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, আসলাম চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জয়নুল আবেদীন, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, হুমায়ুন কবির, সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল হাইসহ আরও অনেকের নাম নেই।
দলীয় প্রার্থী তালিকায় বাদ পড়া এসব নেতা দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা সমালোচনা করছেন। সোমবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নবঞ্চিতদের কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও পছন্দের নেতা মনোনীত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বঞ্চিত নেতারা এ বিষয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুলছেন না। তবে মনঃক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়টি ঘনিষ্ঠজনদের জানিয়েছেন। কারও কারও কথায় হতাশাও প্রকাশ পেয়েছে।
বঞ্চিত নেতারা বলছেন, প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকার কারণ তাঁরা জানেন না। বুঝতেও পারছেন না। এক নেতা অভিমানের সুরে বলেন, ‘কিছু জানি না। এসব নিয়ে কথা বলতেও ইচ্ছা করছে না।’
বিগত একাদশ সংসদে বিএনপি থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ছিলেন রুমিন ফারহানা। সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, প্রকাশিত তালিকাটি প্রাথমিক পর্যায়ের। সময়ের সঙ্গে তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে। কেউ বাদ পড়তে পারেন, আবার নতুন কেউ যুক্তও হতে পারেন। তাই এই তালিকাকে চূড়ান্ত হিসেবে দেখা উচিত নয়।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখা একাধিক নেতা বলছেন, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হেভিওয়েট নেতা মনোনয়নের প্রাথমিক তালিকায় জায়গা পাননি। এসব নেতার বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। কেউ কেউ নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরেও সব জায়গায় সমান জনপ্রিয় ও সুপরিচিত মুখ। তাঁদের নাম না থাকায় তীব্র সমালোচনা শুরু হওয়ায় দল চাপ অনুভব করছে। এ অবস্থায় তাঁদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে, পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
বাদ পড়া হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে কারও এখনো মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ আছে কি না, জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সে জন্যই তো সম্ভাব্য (ঘোষিত তালিকা) বলা হয়েছে। যদি প্রয়োজন মনে করে, স্থায়ী কমিটি আবার অদল-বদল করতে পারে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে চূড়ান্ত করা হবে।
এদিকে ২৩৭ আসনের ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম গতকাল স্থগিত করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর ফলে সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ৬৪টিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা বাকি রইল। দলীয় সূত্র বলছে, ৬৪ আসনের মধ্যে ৪০টি দেওয়া হতে পারে শরিকদের। বাকি আসনগুলো রাখা হয়েছে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের জন্য। এখনো দলের অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে যোগ্যদের এসব আসনে মনোনয়ন দেওয়া হবে। পাশাপাশি বাদ পড়া হেভিওয়েট নেতাদেরও কেউ কেউ মনোনয়ন পেতে পারেন।
বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক নেতা বলেন, সম্ভাব্য তালিকায় নাম ওঠা প্রার্থীদেরও চূড়ান্ত মনোনয়নের আগপর্যন্ত স্থান ধরে রাখতে চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে মনোনীতদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীদের কারও আচরণে দলীয় নির্দেশের প্রতিফলন না ঘটলে তাঁর বিষয়ে দল নতুন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অন্যদিকে তাঁর বিকল্প হিসেবে যাঁকে দল ভেবে রেখেছে অথবা প্রাথমিকে বঞ্চিত হয়েছেন, এমন কারও ভাগ্য খুলে যেতে পারে।
দ্বিতীয় প্রজন্মের যাঁরা আছেন তালিকায়
বিএনপির মনোনীতদের এই প্রাথমিক তালিকায় দলের প্রয়াত ও প্রবীণ বেশ কয়েকজন নেতার সন্তানদেরও নাম রয়েছে। দ্বিতীয় প্রজন্মের এই প্রার্থীদের বেশির ভাগই অবশ্য রাজনীতিতে সক্রিয়। অনেকের আগেও নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কেউ কেউ সংসদেও গেছেন।
দ্বিতীয় প্রজন্মের এই তরুণ নেতারা হলেন—সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে মোহাম্মদ নওশাদ জমির (পঞ্চগড়-১), সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে ফারজানা শারমিন পুতুল (নাটোর-১), সাবেক এমপি আব্দুর রউফ চৌধুরীর ছেলে রাগীব রউফ চৌধুরী (কুষ্টিয়া-২), সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত (যশোর-৩), সাবেক এমপি সালাউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানভীর আহমেদ রবিন (ঢাকা-৪), অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন (ঢাকা-৬), বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে শ্যামা ওবায়েদ (ফরিদপুর-২), সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ (ফরিদপুর-৩), সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমান (মৌলভীবাজার-৩), বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন (চট্টগ্রাম-৫), বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৭), সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৪), বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আ স ম হান্নান শাহর ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান (গাজীপুর-৪), সাবেক শিল্পমন্ত্রী শামসুল ইসলাম খানের ছেলে মঈনুল ইসলাম খাঁন (মানিকগঞ্জ-২), ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরীর ছেলে ইয়াসের খান চৌধুরী (ময়মনসিংহ-৯), সাবেক এমপি সিরাজুল হকের ছেলে মাহমুদুল হক রুবেল (শেরপুর-৩), সাবেক হুইপ প্রয়াত জাহেদ আলী চৌধুরীর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম চৌধুরী (শেরপুর-২), শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর মেয়ে সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা (শেরপুর-১), সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান (ঝিনাইদহ-৩), গাজীপুরের সাবেক মেয়র আব্দুল মান্নানের ছেলে এম মঞ্জুরুল করিম রনি (গাজীপুর-২), সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মঞ্জুরের ছেলে আহমেদ সোহেল মঞ্জু সুমন (পিরোজপুর-২)।
নাসের রহমান মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি। তিনি ২০০১ সালের উপনির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে উপনির্বাচনে এমপি হয়েছিলেন মঈনুল ইসলাম খাঁন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। শেরপুর ১, ২ ও ৩ আসনে মনোনীত প্রার্থীরাও ওই নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে অংশ নিয়েছিলেন।
ফাঁকা রয়েছে যে আসনগুলো
বিএনপি যেসব আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেনি, সেগুলো হলো—ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, নীলফামারী-১ ও ৩, লালমনিরহাট-২, বগুড়া-২, নওগাঁ-৫, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-১, ঝিনাইদহ-১, ২ ও ৪, যশোর-৫, নড়াইল-২, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩, খুলনা-১, পটুয়াখালী-২ ও ৩, বরিশাল-৩, ঝালকাঠি-১, পিরোজপুর-১, টাঙ্গাইল-৫, ময়মনসিংহ-৪ ও ১০, কিশোরগঞ্জ-১ ও ৫, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সিগঞ্জ-৩, ঢাকা-৭, ৯, ১০, ১৩, ১৭, ১৮ ও ২০, গাজীপুর-১ ও ৬, নরসিংদী-৩, নারায়ণগঞ্জ-৪, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-১, মাদারীপুর-১ ও ২, সুনামগঞ্জ-২ ও ৪, সিলেট-৪ ও ৫, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৬, কুমিল্লা-২ ও ৭, লক্ষ্মীপুর-১ ও ৪, চট্টগ্রাম-৩, ৬, ৯, ১১, ১৪ ও ১৫ এবং কক্সবাজার-২।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নাম নেই দলটির অনেক বড় নেতার। মনোনয়নবঞ্চিত এসব নেতা এ নিয়ে মুখ খুলছেন না। তবে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
দলীয় সূত্র বলেছে, মনোনয়নবঞ্চিতদের কর্মী-সমর্থকদের এই ক্ষোভ-বিক্ষোভে বিএনপি কিছুটা চাপে পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম স্থগিত করা হয়েছে। দলটির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক নেতা বলছেন, মনোনয়নবঞ্চিতদের নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে, পর্যালোচনা হচ্ছে। এটি সম্ভাব্য তালিকা। প্রয়োজনে প্রার্থী বদল হতে পারে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের মধ্যে প্রবীণ-নবীনের সমন্বয়ে ২৩৭ আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন।
সম্ভাব্য এই প্রার্থী তালিকায় হেভিওয়েটদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, আসলাম চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জয়নুল আবেদীন, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, হুমায়ুন কবির, সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল হাইসহ আরও অনেকের নাম নেই।
দলীয় প্রার্থী তালিকায় বাদ পড়া এসব নেতা দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা সমালোচনা করছেন। সোমবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নবঞ্চিতদের কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও পছন্দের নেতা মনোনীত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বঞ্চিত নেতারা এ বিষয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুলছেন না। তবে মনঃক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়টি ঘনিষ্ঠজনদের জানিয়েছেন। কারও কারও কথায় হতাশাও প্রকাশ পেয়েছে।
বঞ্চিত নেতারা বলছেন, প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকার কারণ তাঁরা জানেন না। বুঝতেও পারছেন না। এক নেতা অভিমানের সুরে বলেন, ‘কিছু জানি না। এসব নিয়ে কথা বলতেও ইচ্ছা করছে না।’
বিগত একাদশ সংসদে বিএনপি থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ছিলেন রুমিন ফারহানা। সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, প্রকাশিত তালিকাটি প্রাথমিক পর্যায়ের। সময়ের সঙ্গে তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে। কেউ বাদ পড়তে পারেন, আবার নতুন কেউ যুক্তও হতে পারেন। তাই এই তালিকাকে চূড়ান্ত হিসেবে দেখা উচিত নয়।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখা একাধিক নেতা বলছেন, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হেভিওয়েট নেতা মনোনয়নের প্রাথমিক তালিকায় জায়গা পাননি। এসব নেতার বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। কেউ কেউ নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরেও সব জায়গায় সমান জনপ্রিয় ও সুপরিচিত মুখ। তাঁদের নাম না থাকায় তীব্র সমালোচনা শুরু হওয়ায় দল চাপ অনুভব করছে। এ অবস্থায় তাঁদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে, পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
বাদ পড়া হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে কারও এখনো মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ আছে কি না, জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সে জন্যই তো সম্ভাব্য (ঘোষিত তালিকা) বলা হয়েছে। যদি প্রয়োজন মনে করে, স্থায়ী কমিটি আবার অদল-বদল করতে পারে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে চূড়ান্ত করা হবে।
এদিকে ২৩৭ আসনের ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম গতকাল স্থগিত করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর ফলে সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ৬৪টিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা বাকি রইল। দলীয় সূত্র বলছে, ৬৪ আসনের মধ্যে ৪০টি দেওয়া হতে পারে শরিকদের। বাকি আসনগুলো রাখা হয়েছে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের জন্য। এখনো দলের অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে যোগ্যদের এসব আসনে মনোনয়ন দেওয়া হবে। পাশাপাশি বাদ পড়া হেভিওয়েট নেতাদেরও কেউ কেউ মনোনয়ন পেতে পারেন।
বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক নেতা বলেন, সম্ভাব্য তালিকায় নাম ওঠা প্রার্থীদেরও চূড়ান্ত মনোনয়নের আগপর্যন্ত স্থান ধরে রাখতে চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে মনোনীতদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীদের কারও আচরণে দলীয় নির্দেশের প্রতিফলন না ঘটলে তাঁর বিষয়ে দল নতুন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অন্যদিকে তাঁর বিকল্প হিসেবে যাঁকে দল ভেবে রেখেছে অথবা প্রাথমিকে বঞ্চিত হয়েছেন, এমন কারও ভাগ্য খুলে যেতে পারে।
দ্বিতীয় প্রজন্মের যাঁরা আছেন তালিকায়
বিএনপির মনোনীতদের এই প্রাথমিক তালিকায় দলের প্রয়াত ও প্রবীণ বেশ কয়েকজন নেতার সন্তানদেরও নাম রয়েছে। দ্বিতীয় প্রজন্মের এই প্রার্থীদের বেশির ভাগই অবশ্য রাজনীতিতে সক্রিয়। অনেকের আগেও নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কেউ কেউ সংসদেও গেছেন।
দ্বিতীয় প্রজন্মের এই তরুণ নেতারা হলেন—সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে মোহাম্মদ নওশাদ জমির (পঞ্চগড়-১), সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে ফারজানা শারমিন পুতুল (নাটোর-১), সাবেক এমপি আব্দুর রউফ চৌধুরীর ছেলে রাগীব রউফ চৌধুরী (কুষ্টিয়া-২), সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত (যশোর-৩), সাবেক এমপি সালাউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানভীর আহমেদ রবিন (ঢাকা-৪), অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন (ঢাকা-৬), বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে শ্যামা ওবায়েদ (ফরিদপুর-২), সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ (ফরিদপুর-৩), সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমান (মৌলভীবাজার-৩), বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন (চট্টগ্রাম-৫), বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৭), সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৪), বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আ স ম হান্নান শাহর ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান (গাজীপুর-৪), সাবেক শিল্পমন্ত্রী শামসুল ইসলাম খানের ছেলে মঈনুল ইসলাম খাঁন (মানিকগঞ্জ-২), ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরীর ছেলে ইয়াসের খান চৌধুরী (ময়মনসিংহ-৯), সাবেক এমপি সিরাজুল হকের ছেলে মাহমুদুল হক রুবেল (শেরপুর-৩), সাবেক হুইপ প্রয়াত জাহেদ আলী চৌধুরীর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম চৌধুরী (শেরপুর-২), শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর মেয়ে সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা (শেরপুর-১), সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান (ঝিনাইদহ-৩), গাজীপুরের সাবেক মেয়র আব্দুল মান্নানের ছেলে এম মঞ্জুরুল করিম রনি (গাজীপুর-২), সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মঞ্জুরের ছেলে আহমেদ সোহেল মঞ্জু সুমন (পিরোজপুর-২)।
নাসের রহমান মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি। তিনি ২০০১ সালের উপনির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে উপনির্বাচনে এমপি হয়েছিলেন মঈনুল ইসলাম খাঁন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। শেরপুর ১, ২ ও ৩ আসনে মনোনীত প্রার্থীরাও ওই নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে অংশ নিয়েছিলেন।
ফাঁকা রয়েছে যে আসনগুলো
বিএনপি যেসব আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেনি, সেগুলো হলো—ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, নীলফামারী-১ ও ৩, লালমনিরহাট-২, বগুড়া-২, নওগাঁ-৫, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-১, ঝিনাইদহ-১, ২ ও ৪, যশোর-৫, নড়াইল-২, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩, খুলনা-১, পটুয়াখালী-২ ও ৩, বরিশাল-৩, ঝালকাঠি-১, পিরোজপুর-১, টাঙ্গাইল-৫, ময়মনসিংহ-৪ ও ১০, কিশোরগঞ্জ-১ ও ৫, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সিগঞ্জ-৩, ঢাকা-৭, ৯, ১০, ১৩, ১৭, ১৮ ও ২০, গাজীপুর-১ ও ৬, নরসিংদী-৩, নারায়ণগঞ্জ-৪, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-১, মাদারীপুর-১ ও ২, সুনামগঞ্জ-২ ও ৪, সিলেট-৪ ও ৫, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৬, কুমিল্লা-২ ও ৭, লক্ষ্মীপুর-১ ও ৪, চট্টগ্রাম-৩, ৬, ৯, ১১, ১৪ ও ১৫ এবং কক্সবাজার-২।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ জিয়ার মতো নেতারা আছেন। তাদের আদর্শ থাকার পরও তরুণরা কেন বাইরের নেতাদের অনুসরণ করছে? এই বিষয়টি জাতির সামনে পরিষ্কার করা প্রয়োজন, নাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিভ্রান্তিতে থাকবে।’
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তালিকায় ‘আমজনতার দল’ না থাকায় নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছে দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান।
২৩ মিনিট আগে
এককভাবেই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের লক্ষ্য ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়া।
২৬ মিনিট আগে
পদ ছেড়ে দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে প্রার্থী হবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
৪৪ মিনিট আগে