উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে বলতে চাই, আপনি একবার বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন, আবার বলেন, জুনে নির্বাচন। কয়েক দিন আগেও বলেছেন। আপনার কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকতে হবে। আপনি নির্বাচনের যে কথা ডিসেম্বরে বলেছেন, সেটা একবার মার্চে বলেন, একবার জুনে বলেন, মানুষ এটা ভালোভাবে দেখছে না। মানুষের কাছে স্পষ্ট ও সত্য অঙ্গীকার করে নির্বাচন দেবেন; সেটা জনগণের কাছে বলবেন, তারপর রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরখানের হেলাল মার্কেট এলাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আপনাকে দেশের মানুষ সম্মান করে। আপনি একজন গুণী মানুষ। এ কথা শেখ হাসিনার মুখে সাজত। কিন্তু আপনার মতো একজন গুণী মানুষ, যিনি দেশের প্রধান উপদেষ্টা, অনেক কার্যক্রম আপনি সিনসিয়ারলি করছেন, এটা সত্য কথা। আজকে মার্কেট সিন্ডিকেটগুলো অনেকাংশে ভাঙার চেষ্টা করছেন, জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কমে এসেছে। এটাও ঠিক। কিন্তু চালের দাম, ডিমের ও মুরগির দাম কমেনি। এই জিনিসগুলোর জন্যও আপনাকে শক্ত হাতে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘একটি দেশ সুষ্ঠুভাবে চলতে গেলে জনগণের সরকার দরকার। জনগণ তো মালিক। শেখ হাসিনা জনগণের এই মালিকানা কেড়ে নিয়েছে। তিনি মালিক সেজেছেন। তিনি রাজা, তিনি রানি, তিনি জমিদার। তাঁর কথায়, তাঁর আঙুলে দেশ উঠবে, বসবে। এটা তিনি ভাবতেন। কিন্তু জনগণ যে বহুগুণে শক্তিশালী, সেটা তিনি টের পাননি। যখন ছাত্র-জনতা জেগে উঠেছে, তাঁকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। যাদের দিয়ে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছেন, যাদের হাতে তিনি অস্ত্র তুলে দিয়েছেন, তাদের ফেলে দিয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন।’
রিজভী বলেন, ‘মানুষ না খেয়ে রাস্তার ধারে পড়ে আছে, লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। আর প্রধানমন্ত্রীর ছেলের বিয়ে হচ্ছে মাথায় সোনার মুকুট পরে। এটার জন্য তো মানুষ জীবন দেয় নাই। এই দেশ তো মানুষ চায়নি। আবার তারা মানুষকে ১০ টাকা কেজি চাল, ঘরে ঘরে চাকরি ও বিনা মূল্যে সার বিতরণ করার কথা বলে ক্ষমতায় আসে। আবার দেখি, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেকার বেশি বাংলাদেশে। ঘরে ঘরে চাকরি হলো কই?’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘তারা সব সময় মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে, মিথ্যা কথা বলেছে, জনগণের রক্ত চুষেছে। ওরা ওদের পরিবার ছাড়া কাউকে চিনত না। রাজউকের আইন অনুযায়ী, ঢাকা শহরে যদি কারও একটি জায়গা থাকে, তাহলে সে আর জায়গা পাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতার দম্ভে, তাঁর মেয়ে, ভাগনে, ছেলে ও বোনের জন্য প্রায় ৬০ কাঠা জমি পূর্বাচলে নিয়েছে। অথচ প্রত্যেকের ঢাকা শহরে ঘর আছে। শেখ রেহেনাকে তো সরকার থেকে বিশাল বাড়ি দেওয়া হয়েছে। সুতরাং লুটপাটের আদর্শ ধারণ করে আওয়ামী লীগ।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আপনারা রাজনীতি করতে চান কোন মুখ নিয়ে? আপনাদের মাঝে তো বাকশালের বিষ, সাপ, সেই সাপ তো আপনাদের হৃদয়ের মধ্যে আছে। সেই সাপ তো আপনারা ছাড়াতে পারেন নাই, সেই বিষ তো আপনারা ছাড়াতে পারেন নাই। মানুষের সঙ্গে মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতায় এসে আবার জনগণকে বিষাক্ত ছোবল দেন। যার প্রমাণ বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে। প্রত্যেকটা ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। এই লুটের টাকার ভাগ শেখ পরিবার পেয়েছে, নয়তো শেখ পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজনেরা পেয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘জনগণ কিছুই পায়নি। জনগণ যখন ক্ষুধার্ত পেটে মেট্রোরেল দেখে, তখন তারা বিস্মিত হয়। আমার পেটের ক্ষুধা তো যায়নি। এই মেট্রোরেল, এই ফ্লাইওভার ও পদ্মা সেতু, এগুলো কিসের জন্য। কারণ, এগুলো দেখিয়ে টাকা পাচার করার সুবিধা রয়েছে। এই টাকা সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে, কানাডার ব্যাংকে, পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যাংকে পাবেন। তার তো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে এখন।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনার ছেলে কী কাজ করে, কোন কোম্পানিতে জব করে? সে নাকি আমেরিকা, দুবাই, বিভিন্ন জায়গাতে নাকি থাকে, কীভাবে থাকে? তার পরিবারেরা বিদেশে থাকে। তাদের উপার্জন কী, তাদের কাজ কী?’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সাবধানে থাকবেন। শেখ হাসিনার লোকেরা যে অনাচার করেছে, অবিচার করেছে, মাস্তানি করেছে, সন্ত্রাসী করেছে, জায়গা–জমি দখল করেছে, আমাদের নামে যেন কেউ অভিযোগ না দেয়। এ ব্যাপারে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একেবারে জিরো টলারেন্স দেখিয়েছেন, কোনো ছাড় দিচ্ছেন না। কারও নামে কোনো অনাচার, অবিচার প্রশ্রয় দিচ্ছেন না। সে যত বড়ই নেতা হোক না কেন।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার যে ভয়, যে আতঙ্ক, আমরা ছায়া দেখলে ভয় পেতাম, কখন কার সন্তানকে উঠিয়ে নিয়ে যায়, গায়েব করে দেয়, কার লাশ আমরা তুরাগ নদীর ধারে পাব, শীতলক্ষ্যা নদীর ধারে পাব—এই ধরনের আশঙ্কায় আমাদের জীবন যাপন করতে হয়েছে। এখন তো সেই আশঙ্কা নেই।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে রিজভী বলেন, ‘যারা সমাজের মধ্যে সন্ত্রাস করবে, চুরি–ডাকাতি করবে, যারা অপকর্মে লিপ্ত আছে, তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া যাবে না। তাদের জন্য দলের নামে কিছু বললে, তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘খুনি হাসিনা, ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমাদের ওপর হামলা করেছে, জেল জুলুম–নির্যাতন করেছে, শান্তিতে ঘুমাতে দেয় নাই। উত্তরখান থানার সাতটি মামলায় সাজা হয়েছে। যা রাজধানীর কোথাও হয়নি।’
অনুষ্ঠানে উত্তরখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুকুল সরকারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য মোতালেব হোসেন রতন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, উত্তরখানের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে বলতে চাই, আপনি একবার বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন, আবার বলেন, জুনে নির্বাচন। কয়েক দিন আগেও বলেছেন। আপনার কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকতে হবে। আপনি নির্বাচনের যে কথা ডিসেম্বরে বলেছেন, সেটা একবার মার্চে বলেন, একবার জুনে বলেন, মানুষ এটা ভালোভাবে দেখছে না। মানুষের কাছে স্পষ্ট ও সত্য অঙ্গীকার করে নির্বাচন দেবেন; সেটা জনগণের কাছে বলবেন, তারপর রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরখানের হেলাল মার্কেট এলাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আপনাকে দেশের মানুষ সম্মান করে। আপনি একজন গুণী মানুষ। এ কথা শেখ হাসিনার মুখে সাজত। কিন্তু আপনার মতো একজন গুণী মানুষ, যিনি দেশের প্রধান উপদেষ্টা, অনেক কার্যক্রম আপনি সিনসিয়ারলি করছেন, এটা সত্য কথা। আজকে মার্কেট সিন্ডিকেটগুলো অনেকাংশে ভাঙার চেষ্টা করছেন, জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কমে এসেছে। এটাও ঠিক। কিন্তু চালের দাম, ডিমের ও মুরগির দাম কমেনি। এই জিনিসগুলোর জন্যও আপনাকে শক্ত হাতে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘একটি দেশ সুষ্ঠুভাবে চলতে গেলে জনগণের সরকার দরকার। জনগণ তো মালিক। শেখ হাসিনা জনগণের এই মালিকানা কেড়ে নিয়েছে। তিনি মালিক সেজেছেন। তিনি রাজা, তিনি রানি, তিনি জমিদার। তাঁর কথায়, তাঁর আঙুলে দেশ উঠবে, বসবে। এটা তিনি ভাবতেন। কিন্তু জনগণ যে বহুগুণে শক্তিশালী, সেটা তিনি টের পাননি। যখন ছাত্র-জনতা জেগে উঠেছে, তাঁকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। যাদের দিয়ে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছেন, যাদের হাতে তিনি অস্ত্র তুলে দিয়েছেন, তাদের ফেলে দিয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন।’
রিজভী বলেন, ‘মানুষ না খেয়ে রাস্তার ধারে পড়ে আছে, লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। আর প্রধানমন্ত্রীর ছেলের বিয়ে হচ্ছে মাথায় সোনার মুকুট পরে। এটার জন্য তো মানুষ জীবন দেয় নাই। এই দেশ তো মানুষ চায়নি। আবার তারা মানুষকে ১০ টাকা কেজি চাল, ঘরে ঘরে চাকরি ও বিনা মূল্যে সার বিতরণ করার কথা বলে ক্ষমতায় আসে। আবার দেখি, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেকার বেশি বাংলাদেশে। ঘরে ঘরে চাকরি হলো কই?’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘তারা সব সময় মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে, মিথ্যা কথা বলেছে, জনগণের রক্ত চুষেছে। ওরা ওদের পরিবার ছাড়া কাউকে চিনত না। রাজউকের আইন অনুযায়ী, ঢাকা শহরে যদি কারও একটি জায়গা থাকে, তাহলে সে আর জায়গা পাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতার দম্ভে, তাঁর মেয়ে, ভাগনে, ছেলে ও বোনের জন্য প্রায় ৬০ কাঠা জমি পূর্বাচলে নিয়েছে। অথচ প্রত্যেকের ঢাকা শহরে ঘর আছে। শেখ রেহেনাকে তো সরকার থেকে বিশাল বাড়ি দেওয়া হয়েছে। সুতরাং লুটপাটের আদর্শ ধারণ করে আওয়ামী লীগ।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আপনারা রাজনীতি করতে চান কোন মুখ নিয়ে? আপনাদের মাঝে তো বাকশালের বিষ, সাপ, সেই সাপ তো আপনাদের হৃদয়ের মধ্যে আছে। সেই সাপ তো আপনারা ছাড়াতে পারেন নাই, সেই বিষ তো আপনারা ছাড়াতে পারেন নাই। মানুষের সঙ্গে মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতায় এসে আবার জনগণকে বিষাক্ত ছোবল দেন। যার প্রমাণ বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে। প্রত্যেকটা ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। এই লুটের টাকার ভাগ শেখ পরিবার পেয়েছে, নয়তো শেখ পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজনেরা পেয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘জনগণ কিছুই পায়নি। জনগণ যখন ক্ষুধার্ত পেটে মেট্রোরেল দেখে, তখন তারা বিস্মিত হয়। আমার পেটের ক্ষুধা তো যায়নি। এই মেট্রোরেল, এই ফ্লাইওভার ও পদ্মা সেতু, এগুলো কিসের জন্য। কারণ, এগুলো দেখিয়ে টাকা পাচার করার সুবিধা রয়েছে। এই টাকা সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে, কানাডার ব্যাংকে, পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যাংকে পাবেন। তার তো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে এখন।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনার ছেলে কী কাজ করে, কোন কোম্পানিতে জব করে? সে নাকি আমেরিকা, দুবাই, বিভিন্ন জায়গাতে নাকি থাকে, কীভাবে থাকে? তার পরিবারেরা বিদেশে থাকে। তাদের উপার্জন কী, তাদের কাজ কী?’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সাবধানে থাকবেন। শেখ হাসিনার লোকেরা যে অনাচার করেছে, অবিচার করেছে, মাস্তানি করেছে, সন্ত্রাসী করেছে, জায়গা–জমি দখল করেছে, আমাদের নামে যেন কেউ অভিযোগ না দেয়। এ ব্যাপারে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একেবারে জিরো টলারেন্স দেখিয়েছেন, কোনো ছাড় দিচ্ছেন না। কারও নামে কোনো অনাচার, অবিচার প্রশ্রয় দিচ্ছেন না। সে যত বড়ই নেতা হোক না কেন।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার যে ভয়, যে আতঙ্ক, আমরা ছায়া দেখলে ভয় পেতাম, কখন কার সন্তানকে উঠিয়ে নিয়ে যায়, গায়েব করে দেয়, কার লাশ আমরা তুরাগ নদীর ধারে পাব, শীতলক্ষ্যা নদীর ধারে পাব—এই ধরনের আশঙ্কায় আমাদের জীবন যাপন করতে হয়েছে। এখন তো সেই আশঙ্কা নেই।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে রিজভী বলেন, ‘যারা সমাজের মধ্যে সন্ত্রাস করবে, চুরি–ডাকাতি করবে, যারা অপকর্মে লিপ্ত আছে, তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া যাবে না। তাদের জন্য দলের নামে কিছু বললে, তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘খুনি হাসিনা, ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমাদের ওপর হামলা করেছে, জেল জুলুম–নির্যাতন করেছে, শান্তিতে ঘুমাতে দেয় নাই। উত্তরখান থানার সাতটি মামলায় সাজা হয়েছে। যা রাজধানীর কোথাও হয়নি।’
অনুষ্ঠানে উত্তরখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুকুল সরকারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য মোতালেব হোসেন রতন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, উত্তরখানের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।
উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে বলতে চাই, আপনি একবার বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন, আবার বলেন, জুনে নির্বাচন। কয়েক দিন আগেও বলেছেন। আপনার কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকতে হবে। আপনি নির্বাচনের যে কথা ডিসেম্বরে বলেছেন, সেটা একবার মার্চে বলেন, একবার জুনে বলেন, মানুষ এটা ভালোভাবে দেখছে না। মানুষের কাছে স্পষ্ট ও সত্য অঙ্গীকার করে নির্বাচন দেবেন; সেটা জনগণের কাছে বলবেন, তারপর রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরখানের হেলাল মার্কেট এলাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আপনাকে দেশের মানুষ সম্মান করে। আপনি একজন গুণী মানুষ। এ কথা শেখ হাসিনার মুখে সাজত। কিন্তু আপনার মতো একজন গুণী মানুষ, যিনি দেশের প্রধান উপদেষ্টা, অনেক কার্যক্রম আপনি সিনসিয়ারলি করছেন, এটা সত্য কথা। আজকে মার্কেট সিন্ডিকেটগুলো অনেকাংশে ভাঙার চেষ্টা করছেন, জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কমে এসেছে। এটাও ঠিক। কিন্তু চালের দাম, ডিমের ও মুরগির দাম কমেনি। এই জিনিসগুলোর জন্যও আপনাকে শক্ত হাতে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘একটি দেশ সুষ্ঠুভাবে চলতে গেলে জনগণের সরকার দরকার। জনগণ তো মালিক। শেখ হাসিনা জনগণের এই মালিকানা কেড়ে নিয়েছে। তিনি মালিক সেজেছেন। তিনি রাজা, তিনি রানি, তিনি জমিদার। তাঁর কথায়, তাঁর আঙুলে দেশ উঠবে, বসবে। এটা তিনি ভাবতেন। কিন্তু জনগণ যে বহুগুণে শক্তিশালী, সেটা তিনি টের পাননি। যখন ছাত্র-জনতা জেগে উঠেছে, তাঁকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। যাদের দিয়ে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছেন, যাদের হাতে তিনি অস্ত্র তুলে দিয়েছেন, তাদের ফেলে দিয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন।’
রিজভী বলেন, ‘মানুষ না খেয়ে রাস্তার ধারে পড়ে আছে, লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। আর প্রধানমন্ত্রীর ছেলের বিয়ে হচ্ছে মাথায় সোনার মুকুট পরে। এটার জন্য তো মানুষ জীবন দেয় নাই। এই দেশ তো মানুষ চায়নি। আবার তারা মানুষকে ১০ টাকা কেজি চাল, ঘরে ঘরে চাকরি ও বিনা মূল্যে সার বিতরণ করার কথা বলে ক্ষমতায় আসে। আবার দেখি, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেকার বেশি বাংলাদেশে। ঘরে ঘরে চাকরি হলো কই?’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘তারা সব সময় মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে, মিথ্যা কথা বলেছে, জনগণের রক্ত চুষেছে। ওরা ওদের পরিবার ছাড়া কাউকে চিনত না। রাজউকের আইন অনুযায়ী, ঢাকা শহরে যদি কারও একটি জায়গা থাকে, তাহলে সে আর জায়গা পাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতার দম্ভে, তাঁর মেয়ে, ভাগনে, ছেলে ও বোনের জন্য প্রায় ৬০ কাঠা জমি পূর্বাচলে নিয়েছে। অথচ প্রত্যেকের ঢাকা শহরে ঘর আছে। শেখ রেহেনাকে তো সরকার থেকে বিশাল বাড়ি দেওয়া হয়েছে। সুতরাং লুটপাটের আদর্শ ধারণ করে আওয়ামী লীগ।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আপনারা রাজনীতি করতে চান কোন মুখ নিয়ে? আপনাদের মাঝে তো বাকশালের বিষ, সাপ, সেই সাপ তো আপনাদের হৃদয়ের মধ্যে আছে। সেই সাপ তো আপনারা ছাড়াতে পারেন নাই, সেই বিষ তো আপনারা ছাড়াতে পারেন নাই। মানুষের সঙ্গে মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতায় এসে আবার জনগণকে বিষাক্ত ছোবল দেন। যার প্রমাণ বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে। প্রত্যেকটা ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। এই লুটের টাকার ভাগ শেখ পরিবার পেয়েছে, নয়তো শেখ পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজনেরা পেয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘জনগণ কিছুই পায়নি। জনগণ যখন ক্ষুধার্ত পেটে মেট্রোরেল দেখে, তখন তারা বিস্মিত হয়। আমার পেটের ক্ষুধা তো যায়নি। এই মেট্রোরেল, এই ফ্লাইওভার ও পদ্মা সেতু, এগুলো কিসের জন্য। কারণ, এগুলো দেখিয়ে টাকা পাচার করার সুবিধা রয়েছে। এই টাকা সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে, কানাডার ব্যাংকে, পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যাংকে পাবেন। তার তো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে এখন।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনার ছেলে কী কাজ করে, কোন কোম্পানিতে জব করে? সে নাকি আমেরিকা, দুবাই, বিভিন্ন জায়গাতে নাকি থাকে, কীভাবে থাকে? তার পরিবারেরা বিদেশে থাকে। তাদের উপার্জন কী, তাদের কাজ কী?’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সাবধানে থাকবেন। শেখ হাসিনার লোকেরা যে অনাচার করেছে, অবিচার করেছে, মাস্তানি করেছে, সন্ত্রাসী করেছে, জায়গা–জমি দখল করেছে, আমাদের নামে যেন কেউ অভিযোগ না দেয়। এ ব্যাপারে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একেবারে জিরো টলারেন্স দেখিয়েছেন, কোনো ছাড় দিচ্ছেন না। কারও নামে কোনো অনাচার, অবিচার প্রশ্রয় দিচ্ছেন না। সে যত বড়ই নেতা হোক না কেন।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার যে ভয়, যে আতঙ্ক, আমরা ছায়া দেখলে ভয় পেতাম, কখন কার সন্তানকে উঠিয়ে নিয়ে যায়, গায়েব করে দেয়, কার লাশ আমরা তুরাগ নদীর ধারে পাব, শীতলক্ষ্যা নদীর ধারে পাব—এই ধরনের আশঙ্কায় আমাদের জীবন যাপন করতে হয়েছে। এখন তো সেই আশঙ্কা নেই।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে রিজভী বলেন, ‘যারা সমাজের মধ্যে সন্ত্রাস করবে, চুরি–ডাকাতি করবে, যারা অপকর্মে লিপ্ত আছে, তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া যাবে না। তাদের জন্য দলের নামে কিছু বললে, তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘খুনি হাসিনা, ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমাদের ওপর হামলা করেছে, জেল জুলুম–নির্যাতন করেছে, শান্তিতে ঘুমাতে দেয় নাই। উত্তরখান থানার সাতটি মামলায় সাজা হয়েছে। যা রাজধানীর কোথাও হয়নি।’
অনুষ্ঠানে উত্তরখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুকুল সরকারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য মোতালেব হোসেন রতন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, উত্তরখানের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে বলতে চাই, আপনি একবার বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন, আবার বলেন, জুনে নির্বাচন। কয়েক দিন আগেও বলেছেন। আপনার কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকতে হবে। আপনি নির্বাচনের যে কথা ডিসেম্বরে বলেছেন, সেটা একবার মার্চে বলেন, একবার জুনে বলেন, মানুষ এটা ভালোভাবে দেখছে না। মানুষের কাছে স্পষ্ট ও সত্য অঙ্গীকার করে নির্বাচন দেবেন; সেটা জনগণের কাছে বলবেন, তারপর রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরখানের হেলাল মার্কেট এলাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আপনাকে দেশের মানুষ সম্মান করে। আপনি একজন গুণী মানুষ। এ কথা শেখ হাসিনার মুখে সাজত। কিন্তু আপনার মতো একজন গুণী মানুষ, যিনি দেশের প্রধান উপদেষ্টা, অনেক কার্যক্রম আপনি সিনসিয়ারলি করছেন, এটা সত্য কথা। আজকে মার্কেট সিন্ডিকেটগুলো অনেকাংশে ভাঙার চেষ্টা করছেন, জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কমে এসেছে। এটাও ঠিক। কিন্তু চালের দাম, ডিমের ও মুরগির দাম কমেনি। এই জিনিসগুলোর জন্যও আপনাকে শক্ত হাতে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘একটি দেশ সুষ্ঠুভাবে চলতে গেলে জনগণের সরকার দরকার। জনগণ তো মালিক। শেখ হাসিনা জনগণের এই মালিকানা কেড়ে নিয়েছে। তিনি মালিক সেজেছেন। তিনি রাজা, তিনি রানি, তিনি জমিদার। তাঁর কথায়, তাঁর আঙুলে দেশ উঠবে, বসবে। এটা তিনি ভাবতেন। কিন্তু জনগণ যে বহুগুণে শক্তিশালী, সেটা তিনি টের পাননি। যখন ছাত্র-জনতা জেগে উঠেছে, তাঁকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। যাদের দিয়ে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছেন, যাদের হাতে তিনি অস্ত্র তুলে দিয়েছেন, তাদের ফেলে দিয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন।’
রিজভী বলেন, ‘মানুষ না খেয়ে রাস্তার ধারে পড়ে আছে, লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। আর প্রধানমন্ত্রীর ছেলের বিয়ে হচ্ছে মাথায় সোনার মুকুট পরে। এটার জন্য তো মানুষ জীবন দেয় নাই। এই দেশ তো মানুষ চায়নি। আবার তারা মানুষকে ১০ টাকা কেজি চাল, ঘরে ঘরে চাকরি ও বিনা মূল্যে সার বিতরণ করার কথা বলে ক্ষমতায় আসে। আবার দেখি, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেকার বেশি বাংলাদেশে। ঘরে ঘরে চাকরি হলো কই?’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘তারা সব সময় মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে, মিথ্যা কথা বলেছে, জনগণের রক্ত চুষেছে। ওরা ওদের পরিবার ছাড়া কাউকে চিনত না। রাজউকের আইন অনুযায়ী, ঢাকা শহরে যদি কারও একটি জায়গা থাকে, তাহলে সে আর জায়গা পাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতার দম্ভে, তাঁর মেয়ে, ভাগনে, ছেলে ও বোনের জন্য প্রায় ৬০ কাঠা জমি পূর্বাচলে নিয়েছে। অথচ প্রত্যেকের ঢাকা শহরে ঘর আছে। শেখ রেহেনাকে তো সরকার থেকে বিশাল বাড়ি দেওয়া হয়েছে। সুতরাং লুটপাটের আদর্শ ধারণ করে আওয়ামী লীগ।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আপনারা রাজনীতি করতে চান কোন মুখ নিয়ে? আপনাদের মাঝে তো বাকশালের বিষ, সাপ, সেই সাপ তো আপনাদের হৃদয়ের মধ্যে আছে। সেই সাপ তো আপনারা ছাড়াতে পারেন নাই, সেই বিষ তো আপনারা ছাড়াতে পারেন নাই। মানুষের সঙ্গে মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতায় এসে আবার জনগণকে বিষাক্ত ছোবল দেন। যার প্রমাণ বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে। প্রত্যেকটা ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। এই লুটের টাকার ভাগ শেখ পরিবার পেয়েছে, নয়তো শেখ পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজনেরা পেয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘জনগণ কিছুই পায়নি। জনগণ যখন ক্ষুধার্ত পেটে মেট্রোরেল দেখে, তখন তারা বিস্মিত হয়। আমার পেটের ক্ষুধা তো যায়নি। এই মেট্রোরেল, এই ফ্লাইওভার ও পদ্মা সেতু, এগুলো কিসের জন্য। কারণ, এগুলো দেখিয়ে টাকা পাচার করার সুবিধা রয়েছে। এই টাকা সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে, কানাডার ব্যাংকে, পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যাংকে পাবেন। তার তো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে এখন।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনার ছেলে কী কাজ করে, কোন কোম্পানিতে জব করে? সে নাকি আমেরিকা, দুবাই, বিভিন্ন জায়গাতে নাকি থাকে, কীভাবে থাকে? তার পরিবারেরা বিদেশে থাকে। তাদের উপার্জন কী, তাদের কাজ কী?’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সাবধানে থাকবেন। শেখ হাসিনার লোকেরা যে অনাচার করেছে, অবিচার করেছে, মাস্তানি করেছে, সন্ত্রাসী করেছে, জায়গা–জমি দখল করেছে, আমাদের নামে যেন কেউ অভিযোগ না দেয়। এ ব্যাপারে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একেবারে জিরো টলারেন্স দেখিয়েছেন, কোনো ছাড় দিচ্ছেন না। কারও নামে কোনো অনাচার, অবিচার প্রশ্রয় দিচ্ছেন না। সে যত বড়ই নেতা হোক না কেন।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার যে ভয়, যে আতঙ্ক, আমরা ছায়া দেখলে ভয় পেতাম, কখন কার সন্তানকে উঠিয়ে নিয়ে যায়, গায়েব করে দেয়, কার লাশ আমরা তুরাগ নদীর ধারে পাব, শীতলক্ষ্যা নদীর ধারে পাব—এই ধরনের আশঙ্কায় আমাদের জীবন যাপন করতে হয়েছে। এখন তো সেই আশঙ্কা নেই।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে রিজভী বলেন, ‘যারা সমাজের মধ্যে সন্ত্রাস করবে, চুরি–ডাকাতি করবে, যারা অপকর্মে লিপ্ত আছে, তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া যাবে না। তাদের জন্য দলের নামে কিছু বললে, তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘খুনি হাসিনা, ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমাদের ওপর হামলা করেছে, জেল জুলুম–নির্যাতন করেছে, শান্তিতে ঘুমাতে দেয় নাই। উত্তরখান থানার সাতটি মামলায় সাজা হয়েছে। যা রাজধানীর কোথাও হয়নি।’
অনুষ্ঠানে উত্তরখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুকুল সরকারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য মোতালেব হোসেন রতন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, উত্তরখানের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।

আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএনপির ৩৬ দফার পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ১৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মি
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
১৭ ঘণ্টা আগে
সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
বৈঠক বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল অংশ নেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
বৈঠক বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল অংশ নেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে বলতে চাই, আপনি একবার বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন, আবার বলেন, জুনে নির্বাচন। কয়েক দিন আগেও বলেছেন। আপনার কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকতে হবে।
২৭ মার্চ ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএনপির ৩৬ দফার পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ১৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মি
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
১৭ ঘণ্টা আগে
সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএনপির ৩৬ দফার পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ১৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট চাইলেও জামায়াত নভেম্বরে গণভোটের প্রস্তাব জানিয়েছে চিঠিতে।
এদিকে জোটের ভোটে প্রতীক ব্যবহারের ক্ষেত্রে দলগুলোর স্বাধীনতা চেয়েছিল বিএনপি। জামায়াত তার বিরোধিতা করে জোটের ক্ষেত্রে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার পক্ষে মত দিয়েছে এবং ইসির কাছে এই বিধান বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
ইসিতে জমা দেওয়া জামায়াতের ১৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. আইনি ভিত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পরই আগামী নভেম্বরে গণভোটের আয়োজন করা;
২. উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সর্বশেষ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না। এ বিধান বহাল রাখতে হবে; নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার বিধান অন্তর্ভুক্তির জন্য নির্বাচনব্যবস্থা সংক্রান্ত সংস্কার কমিশনই সুপারিশ করেছে। ফলে এই বিধান কোনো ক্রমেই পরিবর্তন করা যাবে না। সংশোধিত বিধানই বহাল রাখতে হবে।
৩. ইসি ও প্রশাসনের প্রত্যেক স্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা;
৪. নির্বাচনী কাজের জন্য নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যথা প্রিসাইডিং, পোলিং, আনসার, আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনীকে নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা;
৫. সকল ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা;
৬. সকল ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনী বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার দাবি জানিয়েছে দলটি।
৭. দলটির পক্ষ থেকে বিগত অবৈধ নির্বাচনগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল এমন সব প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের আগামী নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়া। শতভাগ লটারির ভিত্তিতে মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ডিসি, এসপি, ইউএনও এবং ওসি) নিয়োগ দেওয়া;
৮. রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনের অফিসারের সাথে সাথে সাধ্যমতো ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকেও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা;
৯. সব ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ পূর্বে সামরিক বাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করা;
১০. নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে নির্বাচনী মাঠ সমতল করা।
১১. সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এ ছাড়াও বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে দলীয় লোকদের রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে তা সরকারের কাছে জমা দিতে হবে;
১২. নির্বাচনী এলাকাগুলোতে যারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে থাকে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে;
১৩. ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে ভোটকেন্দ্রের নির্ধারিত এলাকার মধ্যেই শুধু নয় বরং এর বাইরেও নির্বাচনী এলাকার যেকোনো স্থানে সন্ত্রাসী তৎপরতার খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক তা দমন করা;
১৪. ছবিসহ ভোটার তালিকায় ভোটারদের ছবি পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে না। তাই স্পষ্ট ছবিসহ ভোটার তালিকা পোলিং এজেন্টগণকে যথাসময়ে সরবরাহ করা;
১৫. নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত পোলিং, প্রিসাইডিং অফিসার, আনসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া;
১৬. প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করার জন্য ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট যেকোনো একটির মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। রেজিস্টার্ড প্রবাসী ভোটারদের তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোকে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা;
১৭. নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও নিরপেক্ষতা যাচাই করা;
১৮. ফ্যাসিস্ট আমলে নিজেদের সুবিধা মতো ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে সেগুলো এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছে জামায়াত।
বৈঠক শেষে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই আগামী নভেম্বরের মধ্যে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে জামায়াত। জুলাই মাসে তৈরি জাতীয় সনদে বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোকে পরিবর্তন করে যে সংস্কারগুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে, সে সম্পর্কে জাতিকে জানতে হবে। এ ছাড়া একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে নির্বাচন কেন্দ্রে সহিংসতা সৃষ্টি হতে পারে, দু-চারটা কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হলে গণভোটের দশা কী হবে—এমন টেকনিক্যাল সমস্যা আলোচনা করা হয়।
তিনি বলেন, ইসিকে অবশ্যই ‘জুলাই সনদ’ ও সংস্কারের বিষয়গুলো পাবলিক করতে হবে যাতে ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। গণভোট আয়োজনে ইসির পক্ষ থেকে কোনো চ্যালেঞ্জ বা অক্ষমতার কথা জানানো হয়নি।
বিএনপির পক্ষ থেকে ইসলামী ব্যাংকসহ কিছু প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাদের নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি প্রসঙ্গে জামায়াত নেতা বলেন, তারা যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বলেছে তার কোনো একটার মালিকানার সাথে জামায়াতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নাই। তারা এটিকে ব্যাড ট্রেডিশন আখ্যা দিয়ে বলেছে, পাল্টাবিবৃতি বা তালিকা দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচার নয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএনপির ৩৬ দফার পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ১৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট চাইলেও জামায়াত নভেম্বরে গণভোটের প্রস্তাব জানিয়েছে চিঠিতে।
এদিকে জোটের ভোটে প্রতীক ব্যবহারের ক্ষেত্রে দলগুলোর স্বাধীনতা চেয়েছিল বিএনপি। জামায়াত তার বিরোধিতা করে জোটের ক্ষেত্রে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার পক্ষে মত দিয়েছে এবং ইসির কাছে এই বিধান বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
ইসিতে জমা দেওয়া জামায়াতের ১৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. আইনি ভিত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পরই আগামী নভেম্বরে গণভোটের আয়োজন করা;
২. উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সর্বশেষ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না। এ বিধান বহাল রাখতে হবে; নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার বিধান অন্তর্ভুক্তির জন্য নির্বাচনব্যবস্থা সংক্রান্ত সংস্কার কমিশনই সুপারিশ করেছে। ফলে এই বিধান কোনো ক্রমেই পরিবর্তন করা যাবে না। সংশোধিত বিধানই বহাল রাখতে হবে।
৩. ইসি ও প্রশাসনের প্রত্যেক স্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা;
৪. নির্বাচনী কাজের জন্য নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যথা প্রিসাইডিং, পোলিং, আনসার, আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনীকে নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা;
৫. সকল ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা;
৬. সকল ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনী বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার দাবি জানিয়েছে দলটি।
৭. দলটির পক্ষ থেকে বিগত অবৈধ নির্বাচনগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল এমন সব প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের আগামী নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়া। শতভাগ লটারির ভিত্তিতে মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ডিসি, এসপি, ইউএনও এবং ওসি) নিয়োগ দেওয়া;
৮. রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনের অফিসারের সাথে সাথে সাধ্যমতো ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকেও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা;
৯. সব ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ পূর্বে সামরিক বাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করা;
১০. নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে নির্বাচনী মাঠ সমতল করা।
১১. সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এ ছাড়াও বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে দলীয় লোকদের রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে তা সরকারের কাছে জমা দিতে হবে;
১২. নির্বাচনী এলাকাগুলোতে যারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে থাকে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে;
১৩. ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে ভোটকেন্দ্রের নির্ধারিত এলাকার মধ্যেই শুধু নয় বরং এর বাইরেও নির্বাচনী এলাকার যেকোনো স্থানে সন্ত্রাসী তৎপরতার খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক তা দমন করা;
১৪. ছবিসহ ভোটার তালিকায় ভোটারদের ছবি পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে না। তাই স্পষ্ট ছবিসহ ভোটার তালিকা পোলিং এজেন্টগণকে যথাসময়ে সরবরাহ করা;
১৫. নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত পোলিং, প্রিসাইডিং অফিসার, আনসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া;
১৬. প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করার জন্য ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট যেকোনো একটির মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। রেজিস্টার্ড প্রবাসী ভোটারদের তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোকে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা;
১৭. নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও নিরপেক্ষতা যাচাই করা;
১৮. ফ্যাসিস্ট আমলে নিজেদের সুবিধা মতো ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে সেগুলো এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছে জামায়াত।
বৈঠক শেষে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই আগামী নভেম্বরের মধ্যে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে জামায়াত। জুলাই মাসে তৈরি জাতীয় সনদে বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোকে পরিবর্তন করে যে সংস্কারগুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে, সে সম্পর্কে জাতিকে জানতে হবে। এ ছাড়া একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে নির্বাচন কেন্দ্রে সহিংসতা সৃষ্টি হতে পারে, দু-চারটা কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হলে গণভোটের দশা কী হবে—এমন টেকনিক্যাল সমস্যা আলোচনা করা হয়।
তিনি বলেন, ইসিকে অবশ্যই ‘জুলাই সনদ’ ও সংস্কারের বিষয়গুলো পাবলিক করতে হবে যাতে ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। গণভোট আয়োজনে ইসির পক্ষ থেকে কোনো চ্যালেঞ্জ বা অক্ষমতার কথা জানানো হয়নি।
বিএনপির পক্ষ থেকে ইসলামী ব্যাংকসহ কিছু প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাদের নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি প্রসঙ্গে জামায়াত নেতা বলেন, তারা যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বলেছে তার কোনো একটার মালিকানার সাথে জামায়াতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নাই। তারা এটিকে ব্যাড ট্রেডিশন আখ্যা দিয়ে বলেছে, পাল্টাবিবৃতি বা তালিকা দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচার নয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে বলতে চাই, আপনি একবার বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন, আবার বলেন, জুনে নির্বাচন। কয়েক দিন আগেও বলেছেন। আপনার কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকতে হবে।
২৭ মার্চ ২০২৫
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
১৭ ঘণ্টা আগে
সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগেবরগুনা প্রতিনিধি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
আজ সোমবার বিকেলে বরগুনার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা সমবায় বহুমুখী বিদ্যালয় মাঠে দলের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফয়জুল করীম বলেন, ‘ভেবেছিলাম, বৈষম্য দূর হবে, মানুষ শান্তি পাবে। কিন্তু ১৯৪৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে, কেউই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারেনি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকেও যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাও বৈষম্য দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু দল বা নেতার পরিবর্তনে নয়, আদর্শের পরিবর্তনেই দেশে শান্তি আসতে পারে।’
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘চোর যদি এমপি হয়, সে কী করবে? আওয়ামী লীগকে যে চাঁদাবাজি ও জুলুমের জন্য তাড়িয়েছে মানুষ, সেই চাঁদাবাজি কি এখন বন্ধ হয়েছে? যে ধর্ষণের কারণে মানুষ আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, সেই ধর্ষণ কি এখন হচ্ছে না? যে দখলদারির কারণে আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, এখন কি সেই দখলদারি বন্ধ হয়েছে?’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বামনা উপজেলা সভাপতি আলহাজ আব্দুস সোবহান খান। সঞ্চালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন জিহাদী।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
আজ সোমবার বিকেলে বরগুনার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা সমবায় বহুমুখী বিদ্যালয় মাঠে দলের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফয়জুল করীম বলেন, ‘ভেবেছিলাম, বৈষম্য দূর হবে, মানুষ শান্তি পাবে। কিন্তু ১৯৪৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে, কেউই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারেনি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকেও যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাও বৈষম্য দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু দল বা নেতার পরিবর্তনে নয়, আদর্শের পরিবর্তনেই দেশে শান্তি আসতে পারে।’
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘চোর যদি এমপি হয়, সে কী করবে? আওয়ামী লীগকে যে চাঁদাবাজি ও জুলুমের জন্য তাড়িয়েছে মানুষ, সেই চাঁদাবাজি কি এখন বন্ধ হয়েছে? যে ধর্ষণের কারণে মানুষ আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, সেই ধর্ষণ কি এখন হচ্ছে না? যে দখলদারির কারণে আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, এখন কি সেই দখলদারি বন্ধ হয়েছে?’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বামনা উপজেলা সভাপতি আলহাজ আব্দুস সোবহান খান। সঞ্চালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন জিহাদী।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে বলতে চাই, আপনি একবার বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন, আবার বলেন, জুনে নির্বাচন। কয়েক দিন আগেও বলেছেন। আপনার কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকতে হবে।
২৭ মার্চ ২০২৫
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএনপির ৩৬ দফার পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ১৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মি
১ ঘণ্টা আগে
সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য জিয়াউদ্দিন হায়দার, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা ও ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’-এর প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু ও বিস্তারিত নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি বা কমনওয়েলথের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনকালীন পরিবেশ, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় হয়েছে।

সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য জিয়াউদ্দিন হায়দার, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা ও ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’-এর প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু ও বিস্তারিত নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি বা কমনওয়েলথের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনকালীন পরিবেশ, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে বলতে চাই, আপনি একবার বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন, আবার বলেন, জুনে নির্বাচন। কয়েক দিন আগেও বলেছেন। আপনার কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকতে হবে।
২৭ মার্চ ২০২৫
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সম্প্রতি বিএনপির ৩৬ দফার পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ১৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মি
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
১৭ ঘণ্টা আগে