নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা চলছে দফায় দফায়। সংস্কারের অন্যতম বড় জায়গা সংবিধান। এই জায়গাতে অনেক বিষয়ে আপত্তি আছে দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপির। সংবিধান সংশোধনে গণভোট, ৭০ অনুচ্ছেদ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলসহ আপত্তির জায়গাগুলো গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে জানিয়েছে বিএনপি।
জাতীয় সংসদের এলডি হলে গতকাল বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ হয়। সূচনা বক্তব্য দেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পর উভয় পক্ষ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে। জানানো হয়, আগামী রোববার আবার আলোচনায় বসবে দুই পক্ষ।
সংবিধান নিয়ে আপত্তির বিভিন্ন বিষয় থাকলেও বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আলোচনা চলমান রাখতে চাই, আজকে শেষ না হলে পরেও আলোচনা হবে। আমরা বোঝাতে চাই বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে কতটা সিরিয়াস।’
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংলাপ শুরু হয়। সূচনা বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এরপর বেলা ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়ে চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ১৫ মিনিটের বিরতির পরে আবার বৈঠক শুরু হয়ে চলে বেলা ২টা পর্যন্ত। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি শেষে আড়াইটার পরে শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় বিকেল পৌনে ৫টার দিকে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গতকালের সংলাপে সংবিধান সংস্কার ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়। সংবিধানের অধিকাংশ বিষয়ের আলোচনা এখনো বাকি রয়েছে। আগামী রোববার বেলা ১১টা থেকে বিএনপির সঙ্গে আবার সংলাপে বসবে কমিশন। রোববারের পরে আরও এক দিন সংলাপে হতে পারে বলে মনে করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে সংলাপে দলটির ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আবু মো. মনিরুজ্জামান খান।
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিষয়ে বিএনপি পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় ফিরে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমদ। গতকালের সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওইখানে ধর্মনিরপেক্ষতা নেই। আল্লাহর ওপর আস্থা এবং বিশ্বাস আছে। ওইখানে গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদসহ সবকিছু আছে রাষ্ট্র এবং সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে। দুইটা দুই জিনিস। আমরা বহুত্ববাদের পক্ষে নই, ধর্মনিরপেক্ষতা নীতির পক্ষেও নই।’
এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা বহুত্ববাদের বিরোধিতা করেছি। তবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার—যে কথাগুলো স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা আছে, সেসব বিষয়ে প্রস্তাবনায় এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, তা প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা বলেছি, এ বিষয়ে আমরা নীতিগতভাবে একমত; তবে আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা আপনাদের পরে জানাব।’
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল ছাড়া সব বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে সংসদ সদস্যদের ভোটের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। বিষয়টিতে দ্বিমত জানিয়েছে বিএনপি।
এ বিষয়ে দলটির যুক্তির বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কৃতি এবং চর্চা যদি আমরা ৭০ অনুচ্ছেদ অর্থবিল ছাড়া বাকি সর্বক্ষেত্রে ওপেন করি, তাহলে সরকারের স্থায়িত্ব থাকবে না। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাপক বাধা আসতে পারে। এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের অতীতের রাজনীতিতে এবং এর পূর্ব ইতিহাসেও আমরা পাই।’
তবে অর্থবিল, সংবিধান সংশোধন বিল, আস্থা ভোট এবং জাতীয় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাদে সংসদ সদস্যরা যেকোনো বিষয়ে আলাপ-আলোচনা এবং সংসদে ভোট দিতে পারবে বলে মনে করে বিএনপি। আর ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক শাসনের ধারাবাহিকতা থাকলে তখন ৭০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আরও কিছু করা যাবে বলে তাদের মত।
সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সংসদের উভয় কক্ষে পাসের পরে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এ বিষয়েও দ্বিমত আছে দেশের বড় দলটির।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বলেছি যে সংবিধানের সব সংশোধনীর জন্য গণভোটের প্রয়োজন নেই। শুধু সংবিধানের মূলনীতি, ৪৮, ৫৬ এবং ১৪২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হলে গণভোটে যেতে হবে। ঢালাওভাবে যদি আমরা সব সংশোধনী গণভোটের জন্য বিধান রাখি, তাহলে সেটা অনুচিত হবে।’
জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের সুপারিশ আছে সংস্কার কমিশনের। এ বিষয়ে গতকাল আলোচনা হয়নি। তবে এ বিষয়েও বিএনপি একমত নয়।
এ বিষয়ে দলের যুক্তি তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নতুন চর্চা। হঠাৎ করে একটা অধ্যায় এখানে আনার ব্যবস্থা হলে সেটা অন্যান্য ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগকে এবং আইনসভাকে দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে কি না, দেখতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে, আমরা যে সময় সংসদে থাকব না অথবা সংসদ ভেঙে যায়, সেই সময়কার ক্ষেত্রে দেখা যাবে সেই কমিশন খুব বেশি ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে অন্য কিছু করতে পারে। এগুলো আমরা চিন্তাভাবনা করেছি। তবে এই বিষয়টা পরবর্তী নির্বাচিত সংসদে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।’
সংবিধান সংস্কার কমিশনের যেসব বিষয়ে একমত হয়েছেন, তা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে—জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজ হচ্ছে সবার সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো একত্র করে প্রতিবেদন তৈরি করে পক্ষগুলোকে স্বাক্ষর করতে বলবে। সেটা তারাই বুঝবে, এটাকে তারা জুলাই সনদ বলবে, না কী বলবে, তা ঠিক করবে।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা; যাতে করে বাংলাদেশে একটি স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
দেশে বারবার গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে জানিয়ে আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘বারবার আমরা দেখছি এ দেশে গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে, তা নয়, ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এ দেশে। আমরা চাই সেগুলো যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে। সেই জায়গাগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য এ প্রচেষ্টা।’
নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা চলছে দফায় দফায়। সংস্কারের অন্যতম বড় জায়গা সংবিধান। এই জায়গাতে অনেক বিষয়ে আপত্তি আছে দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপির। সংবিধান সংশোধনে গণভোট, ৭০ অনুচ্ছেদ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলসহ আপত্তির জায়গাগুলো গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে জানিয়েছে বিএনপি।
জাতীয় সংসদের এলডি হলে গতকাল বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ হয়। সূচনা বক্তব্য দেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পর উভয় পক্ষ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে। জানানো হয়, আগামী রোববার আবার আলোচনায় বসবে দুই পক্ষ।
সংবিধান নিয়ে আপত্তির বিভিন্ন বিষয় থাকলেও বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আলোচনা চলমান রাখতে চাই, আজকে শেষ না হলে পরেও আলোচনা হবে। আমরা বোঝাতে চাই বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে কতটা সিরিয়াস।’
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংলাপ শুরু হয়। সূচনা বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এরপর বেলা ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়ে চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ১৫ মিনিটের বিরতির পরে আবার বৈঠক শুরু হয়ে চলে বেলা ২টা পর্যন্ত। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি শেষে আড়াইটার পরে শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় বিকেল পৌনে ৫টার দিকে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গতকালের সংলাপে সংবিধান সংস্কার ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়। সংবিধানের অধিকাংশ বিষয়ের আলোচনা এখনো বাকি রয়েছে। আগামী রোববার বেলা ১১টা থেকে বিএনপির সঙ্গে আবার সংলাপে বসবে কমিশন। রোববারের পরে আরও এক দিন সংলাপে হতে পারে বলে মনে করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে সংলাপে দলটির ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আবু মো. মনিরুজ্জামান খান।
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিষয়ে বিএনপি পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় ফিরে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমদ। গতকালের সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওইখানে ধর্মনিরপেক্ষতা নেই। আল্লাহর ওপর আস্থা এবং বিশ্বাস আছে। ওইখানে গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদসহ সবকিছু আছে রাষ্ট্র এবং সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে। দুইটা দুই জিনিস। আমরা বহুত্ববাদের পক্ষে নই, ধর্মনিরপেক্ষতা নীতির পক্ষেও নই।’
এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা বহুত্ববাদের বিরোধিতা করেছি। তবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার—যে কথাগুলো স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা আছে, সেসব বিষয়ে প্রস্তাবনায় এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, তা প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা বলেছি, এ বিষয়ে আমরা নীতিগতভাবে একমত; তবে আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা আপনাদের পরে জানাব।’
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল ছাড়া সব বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে সংসদ সদস্যদের ভোটের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। বিষয়টিতে দ্বিমত জানিয়েছে বিএনপি।
এ বিষয়ে দলটির যুক্তির বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কৃতি এবং চর্চা যদি আমরা ৭০ অনুচ্ছেদ অর্থবিল ছাড়া বাকি সর্বক্ষেত্রে ওপেন করি, তাহলে সরকারের স্থায়িত্ব থাকবে না। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাপক বাধা আসতে পারে। এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের অতীতের রাজনীতিতে এবং এর পূর্ব ইতিহাসেও আমরা পাই।’
তবে অর্থবিল, সংবিধান সংশোধন বিল, আস্থা ভোট এবং জাতীয় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাদে সংসদ সদস্যরা যেকোনো বিষয়ে আলাপ-আলোচনা এবং সংসদে ভোট দিতে পারবে বলে মনে করে বিএনপি। আর ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক শাসনের ধারাবাহিকতা থাকলে তখন ৭০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে আরও কিছু করা যাবে বলে তাদের মত।
সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সংসদের উভয় কক্ষে পাসের পরে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এ বিষয়েও দ্বিমত আছে দেশের বড় দলটির।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বলেছি যে সংবিধানের সব সংশোধনীর জন্য গণভোটের প্রয়োজন নেই। শুধু সংবিধানের মূলনীতি, ৪৮, ৫৬ এবং ১৪২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হলে গণভোটে যেতে হবে। ঢালাওভাবে যদি আমরা সব সংশোধনী গণভোটের জন্য বিধান রাখি, তাহলে সেটা অনুচিত হবে।’
জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের সুপারিশ আছে সংস্কার কমিশনের। এ বিষয়ে গতকাল আলোচনা হয়নি। তবে এ বিষয়েও বিএনপি একমত নয়।
এ বিষয়ে দলের যুক্তি তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নতুন চর্চা। হঠাৎ করে একটা অধ্যায় এখানে আনার ব্যবস্থা হলে সেটা অন্যান্য ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগকে এবং আইনসভাকে দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে কি না, দেখতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে, আমরা যে সময় সংসদে থাকব না অথবা সংসদ ভেঙে যায়, সেই সময়কার ক্ষেত্রে দেখা যাবে সেই কমিশন খুব বেশি ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে অন্য কিছু করতে পারে। এগুলো আমরা চিন্তাভাবনা করেছি। তবে এই বিষয়টা পরবর্তী নির্বাচিত সংসদে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।’
সংবিধান সংস্কার কমিশনের যেসব বিষয়ে একমত হয়েছেন, তা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে—জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজ হচ্ছে সবার সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো একত্র করে প্রতিবেদন তৈরি করে পক্ষগুলোকে স্বাক্ষর করতে বলবে। সেটা তারাই বুঝবে, এটাকে তারা জুলাই সনদ বলবে, না কী বলবে, তা ঠিক করবে।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা; যাতে করে বাংলাদেশে একটি স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
দেশে বারবার গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে জানিয়ে আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘বারবার আমরা দেখছি এ দেশে গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে, তা নয়, ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এ দেশে। আমরা চাই সেগুলো যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে। সেই জায়গাগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য এ প্রচেষ্টা।’
সংস্কার কমবেশির শর্ত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে ঘুরেফিরে বারবার বলা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু জুন পর্যন্ত সময় দিতে নারাজ বিএনপি। দলটির দাবি, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে তারা নির্বাচন চায়...
১১ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলছেন, ‘দেশে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার কিন্তু ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ তৈরি করবে। একটা ভয়ংকর ফ্যাসিবাদ তৈরি করতে চাইবে। এ সুযোগ দেশের মানুষ আর কখনো দেবে না, দিতে চায় না। সে জন্য এই সরকারকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে।’ আজ শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর
১৫ ঘণ্টা আগেবিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা এনফ্রেলের প্রতিনিধিদল। আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করে তারা।
১৬ ঘণ্টা আগেসমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা ও গার্মেন্টসশ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদসহ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রবিনটেক্স গার্মেন্টসের গ্রেপ্তার শ্রমিকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি
২০ ঘণ্টা আগে