রেজা করিম, ঢাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না দলটি। তার আগেই তারা সরকারকে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে চায়। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির নেতারা।
বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, এখন চাওয়া একটাই—স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এই সরকারকে হটিয়ে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। ‘মধ্যবর্তী’ বা ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তেমন একটি নির্বাচনের পরিস্থিতি সৃষ্টিরই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে আন্দোলন পুনর্গঠনের কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যেই নতুন কর্মসূচি নিয়ে পূর্ণোদ্যমে মাঠে নামা হবে। সেভাবেই দলকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব থেকে সম্প্রতি দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হয়েছেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে চাই। জনগণ এই সরকারের ওপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান অবশ্য এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি। তবে আকারে-ইঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের চিন্তাভাবনা যা-ই থাকুক না কেন, এই সরকার যা করেছে, তাদের নিজেদেরই তো পদত্যাগ করা উচিত। সময় কখন কোন গতিতে যাবে, সেটা তো বলতে পারছি না। সরকার পতনের আন্দোলন চলমান আছে। এর মাঝে কখন কী হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সংসদ নির্বাচনের পরই দল গোছানোর কাজে হাত দিয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এরই মধ্যে দলের ঢাকাসহ চার মহানগর কমিটি এবং যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ব্যাপক রদবদল আনা হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। সহযোগী সংগঠনগুলোর দিকেও মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর তাঁতী দল, মহিলা দল, শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্ত করে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলমান। যুগপৎ আন্দোলনে গতি আনতে শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের তেজ বাড়াতে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া কূটনৈতিক পরিমণ্ডলেও তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোনো কারণে স্বল্পতম সময়ে এই মিশন বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে আরও গোছানোভাবে ‘প্ল্যান বি’ নিয়ে এগোনোর চিন্তাও আছে বিএনপিসহ মিত্রদের।
যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই বড় চাপ সৃষ্টি করে সরকারকে বিদায় করতে চাই, যাতে দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। নির্বাচনের নামটা “মধ্যবর্তী” হবে কি না, বলতে পারছি না।’
গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ ঘিরে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর বিপর্যয়ে পড়ে বিএনপি। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও দলটি এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। নির্বাচনের পর এখনো মাঠে গড়ায়নি যুগপৎ আন্দোলন। এই অবস্থায় দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে নেতা-কর্মীরা হতাশ। স্বস্তিতে নেই নীতিনির্ধারকেরাও। এমন বিপর্যস্ত দশা কাটিয়ে নতুন মিশন সফল করা কতটা সম্ভব, সে নিয়ে সংশয় আছে বিএনপির ভেতরেই।
তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন কেউ। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের কথায় এর কিছুটা আভাস মেলে। তিনি বলেন, বিক্ষুব্ধ জনগণকে অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সম্পৃক্ত করাটাই এখানে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কাজটা কতটা দক্ষতার সঙ্গে করা যায়, সেটাই বিষয়।
বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নেতার অভিযোগ, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর বলয়ই সুষ্ঠুভাবে দল পরিচালনার পথে বড় প্রতিবন্ধক। তারেক রহমানের বলয় ঘিরে দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যেও অস্বস্তি ও অসন্তোষ অনেকটাই খোলামেলা বিষয়। তারেকের অনিচ্ছায়ই জাতীয় কাউন্সিল হচ্ছে না। কাউন্সিল না করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটিতে পছন্দসই লোক ঢোকানো হচ্ছে।
দলের অপর অংশের নেতাদের দাবি, তারুণ্যনির্ভর নেতৃত্ব তৈরি করতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে অপেক্ষাকৃত তরুণ যোগ্য নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করছেন তারেক রহমান। আর কাউন্সিল অনুষ্ঠানের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় বাধ্য হয়েই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভরসা করতে হচ্ছে।
এদিকে তারেক রহমানের সঙ্গে দলের জ্যেষ্ঠ অনেক নেতার দ্বন্দ্বের বিষয়টিও বেশ পুরোনো। একটি পক্ষ একে সরাসরি ‘দ্বন্দ্ব’ বললেও আরেক পক্ষ ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি’ বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় রদবদলের পর সেই ‘দ্বন্দ্ব’ বা ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি’ আরও বেড়েছে।
এভাবে কোন্দল, সমন্বয়হীনতা, নেতৃত্বের সংকটসহ নানা সমস্যা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে বিএনপি। সে কারণে নতুন মিশনেও আশার আলো দেখছেন না দলের অনেক নেতা-কর্মী। তাঁদের মতে, দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। অনেক নেতা-কর্মী রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ারও চিন্তা করছেন, কেউ পাড়ি দিচ্ছেন বিদেশে। বিএনপির জেলা পর্যায়ের এক দায়িত্বশীল নেতা হতাশার সুরে বলেন, ‘আমি কোনো আশার আলো দেখছি না।’
রাজধানীতে সমাবেশ আজ
দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি আজ শনিবার রাজধানীতে সমাবেশ করবে। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা আড়াইটায় এই সমাবেশ হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না দলটি। তার আগেই তারা সরকারকে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে চায়। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির নেতারা।
বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, এখন চাওয়া একটাই—স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এই সরকারকে হটিয়ে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। ‘মধ্যবর্তী’ বা ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তেমন একটি নির্বাচনের পরিস্থিতি সৃষ্টিরই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে আন্দোলন পুনর্গঠনের কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যেই নতুন কর্মসূচি নিয়ে পূর্ণোদ্যমে মাঠে নামা হবে। সেভাবেই দলকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব থেকে সম্প্রতি দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হয়েছেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে চাই। জনগণ এই সরকারের ওপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান অবশ্য এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি। তবে আকারে-ইঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের চিন্তাভাবনা যা-ই থাকুক না কেন, এই সরকার যা করেছে, তাদের নিজেদেরই তো পদত্যাগ করা উচিত। সময় কখন কোন গতিতে যাবে, সেটা তো বলতে পারছি না। সরকার পতনের আন্দোলন চলমান আছে। এর মাঝে কখন কী হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সংসদ নির্বাচনের পরই দল গোছানোর কাজে হাত দিয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এরই মধ্যে দলের ঢাকাসহ চার মহানগর কমিটি এবং যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ব্যাপক রদবদল আনা হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। সহযোগী সংগঠনগুলোর দিকেও মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর তাঁতী দল, মহিলা দল, শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্ত করে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলমান। যুগপৎ আন্দোলনে গতি আনতে শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের তেজ বাড়াতে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া কূটনৈতিক পরিমণ্ডলেও তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোনো কারণে স্বল্পতম সময়ে এই মিশন বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে আরও গোছানোভাবে ‘প্ল্যান বি’ নিয়ে এগোনোর চিন্তাও আছে বিএনপিসহ মিত্রদের।
যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই বড় চাপ সৃষ্টি করে সরকারকে বিদায় করতে চাই, যাতে দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। নির্বাচনের নামটা “মধ্যবর্তী” হবে কি না, বলতে পারছি না।’
গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ ঘিরে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর বিপর্যয়ে পড়ে বিএনপি। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও দলটি এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। নির্বাচনের পর এখনো মাঠে গড়ায়নি যুগপৎ আন্দোলন। এই অবস্থায় দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে নেতা-কর্মীরা হতাশ। স্বস্তিতে নেই নীতিনির্ধারকেরাও। এমন বিপর্যস্ত দশা কাটিয়ে নতুন মিশন সফল করা কতটা সম্ভব, সে নিয়ে সংশয় আছে বিএনপির ভেতরেই।
তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন কেউ। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের কথায় এর কিছুটা আভাস মেলে। তিনি বলেন, বিক্ষুব্ধ জনগণকে অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সম্পৃক্ত করাটাই এখানে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কাজটা কতটা দক্ষতার সঙ্গে করা যায়, সেটাই বিষয়।
বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নেতার অভিযোগ, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর বলয়ই সুষ্ঠুভাবে দল পরিচালনার পথে বড় প্রতিবন্ধক। তারেক রহমানের বলয় ঘিরে দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যেও অস্বস্তি ও অসন্তোষ অনেকটাই খোলামেলা বিষয়। তারেকের অনিচ্ছায়ই জাতীয় কাউন্সিল হচ্ছে না। কাউন্সিল না করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটিতে পছন্দসই লোক ঢোকানো হচ্ছে।
দলের অপর অংশের নেতাদের দাবি, তারুণ্যনির্ভর নেতৃত্ব তৈরি করতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে অপেক্ষাকৃত তরুণ যোগ্য নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করছেন তারেক রহমান। আর কাউন্সিল অনুষ্ঠানের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় বাধ্য হয়েই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভরসা করতে হচ্ছে।
এদিকে তারেক রহমানের সঙ্গে দলের জ্যেষ্ঠ অনেক নেতার দ্বন্দ্বের বিষয়টিও বেশ পুরোনো। একটি পক্ষ একে সরাসরি ‘দ্বন্দ্ব’ বললেও আরেক পক্ষ ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি’ বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় রদবদলের পর সেই ‘দ্বন্দ্ব’ বা ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি’ আরও বেড়েছে।
এভাবে কোন্দল, সমন্বয়হীনতা, নেতৃত্বের সংকটসহ নানা সমস্যা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে বিএনপি। সে কারণে নতুন মিশনেও আশার আলো দেখছেন না দলের অনেক নেতা-কর্মী। তাঁদের মতে, দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। অনেক নেতা-কর্মী রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ারও চিন্তা করছেন, কেউ পাড়ি দিচ্ছেন বিদেশে। বিএনপির জেলা পর্যায়ের এক দায়িত্বশীল নেতা হতাশার সুরে বলেন, ‘আমি কোনো আশার আলো দেখছি না।’
রাজধানীতে সমাবেশ আজ
দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি আজ শনিবার রাজধানীতে সমাবেশ করবে। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা আড়াইটায় এই সমাবেশ হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এ পর্যায়ে ১২৫টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৪ জন।
১২ মিনিট আগে
আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো একান্ত গুরুত্বের দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় দিবসের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধা রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ১২৫টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচনকে কেবল আসন জেতার লড়াই হিসেবে নয়, বরং এটিকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ওপর একটি ‘গণভোট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে, আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এ পর্যায়ে ১২৫টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৪ জন।
যেসব আসনে নারীরা প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন—
১. মনিরা শারমিন (নওগাঁ-৫, সিরিয়াল: ২৫)
২. দিলশানা পারুল (সিরাজগঞ্জ-৩, সিরিয়াল: ২৮)
৩. দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী (প্রীতি) (সিরাজগঞ্জ-৪, সিরিয়াল: ২৯)
৪. ডা. মাহমুদা আলম মিতু (ঝালকাঠি-১, সিরিয়াল: ৪৭)
৫. তানহা শান্তা (ময়মনসিংহ-১১, সিরিয়াল: ৬২)
৬. ডা. তাসনিম জারা (ঢাকা-৯, সিরিয়াল: ৭৩)
৭. নাহিদা সারওয়ার নিভা (ঢাকা-১২, সিরিয়াল: ৭৫)
৮. ডা. তাজনূভা জাবীন (ঢাকা-১৭, সিরিয়াল: ৭৯)
৯. ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ (ঢাকা-২০, সিরিয়াল: ৮২)
১০. সৈয়দা নীলিমা দোলা (ফরিদপুর-৩, সিরিয়াল: ৯১)
১১. ইসরাত জাহান বিন্দু (চাঁদপুর-২, সিরিয়াল: ১০৫)
১২. অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর (নোয়াখালী-৫, সিরিয়াল: ১০৯)
১৩. সাগুফতা বুশরা মিশমা (চট্টগ্রাম-১০, সিরিয়াল: ১১৪)
১৪. অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা (খাগড়াছড়ি, সিরিয়াল: ১২৩)
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করে জানান, এটি প্রথম ধাপ। পরে আরও আসনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নাম ঘোষণার পর নারী প্রার্থী এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীন ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমি জানি, আমি শুধুমাত্র নিজের জন্য এই কঠিন পথ বেছে নেই নাই। আমার উপর যারা বিশ্বাস রাখেন, যারা আমাকে ভালোবাসেন, আমাকে সাহস দেন, অনুপ্রেরণা দেন তাদেরকে আমিও হারতে দিতে চাই না। আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের প্রতি।’
তাজনূভা জাবীন আরও বলেন, ‘আমি মনে প্রাণে চাই, এনসিপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে শক্তিশালী একটা দল হোক, ভবিষ্যত হোক। এনসিপিই বিকল্প হোক। আমিসহ ১৪ জন নারীকে এনসিপি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় মনোনয়ন দিয়েছে। সবাইকে অভিনন্দন। আমাদের সবার জন্য দোয়া করবেন। আশা করি, শীঘ্রই আরো অনেকে যুক্ত হবেন। আমরা অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে যাচ্ছি।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এ পর্যায়ে ১২৫টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৪ জন।
যেসব আসনে নারীরা প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন—
১. মনিরা শারমিন (নওগাঁ-৫, সিরিয়াল: ২৫)
২. দিলশানা পারুল (সিরাজগঞ্জ-৩, সিরিয়াল: ২৮)
৩. দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী (প্রীতি) (সিরাজগঞ্জ-৪, সিরিয়াল: ২৯)
৪. ডা. মাহমুদা আলম মিতু (ঝালকাঠি-১, সিরিয়াল: ৪৭)
৫. তানহা শান্তা (ময়মনসিংহ-১১, সিরিয়াল: ৬২)
৬. ডা. তাসনিম জারা (ঢাকা-৯, সিরিয়াল: ৭৩)
৭. নাহিদা সারওয়ার নিভা (ঢাকা-১২, সিরিয়াল: ৭৫)
৮. ডা. তাজনূভা জাবীন (ঢাকা-১৭, সিরিয়াল: ৭৯)
৯. ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ (ঢাকা-২০, সিরিয়াল: ৮২)
১০. সৈয়দা নীলিমা দোলা (ফরিদপুর-৩, সিরিয়াল: ৯১)
১১. ইসরাত জাহান বিন্দু (চাঁদপুর-২, সিরিয়াল: ১০৫)
১২. অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর (নোয়াখালী-৫, সিরিয়াল: ১০৯)
১৩. সাগুফতা বুশরা মিশমা (চট্টগ্রাম-১০, সিরিয়াল: ১১৪)
১৪. অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা (খাগড়াছড়ি, সিরিয়াল: ১২৩)
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করে জানান, এটি প্রথম ধাপ। পরে আরও আসনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নাম ঘোষণার পর নারী প্রার্থী এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীন ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমি জানি, আমি শুধুমাত্র নিজের জন্য এই কঠিন পথ বেছে নেই নাই। আমার উপর যারা বিশ্বাস রাখেন, যারা আমাকে ভালোবাসেন, আমাকে সাহস দেন, অনুপ্রেরণা দেন তাদেরকে আমিও হারতে দিতে চাই না। আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের প্রতি।’
তাজনূভা জাবীন আরও বলেন, ‘আমি মনে প্রাণে চাই, এনসিপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে শক্তিশালী একটা দল হোক, ভবিষ্যত হোক। এনসিপিই বিকল্প হোক। আমিসহ ১৪ জন নারীকে এনসিপি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় মনোনয়ন দিয়েছে। সবাইকে অভিনন্দন। আমাদের সবার জন্য দোয়া করবেন। আশা করি, শীঘ্রই আরো অনেকে যুক্ত হবেন। আমরা অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে যাচ্ছি।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না দলটি। তার আগেই তারা সরকারকে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে চায়। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়
২৯ জুন ২০২৪
আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো একান্ত গুরুত্বের দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় দিবসের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধা রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ১২৫টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচনকে কেবল আসন জেতার লড়াই হিসেবে নয়, বরং এটিকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ওপর একটি ‘গণভোট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে, আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো একান্ত গুরুত্বের দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় দিবসের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধা রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। জন্মভূমিকে নিয়ে প্রত্যেক নাগরিকই গর্ববোধ করে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সর্বজন স্বীকৃতি পেয়ে থাকে। আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো এমনই একান্ত গুরুত্বের দাবিদার। সকলের উচিত এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। এর ব্যতিক্রম কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
ফেসবুকে জামায়াতের আমির নারীদের সম্মানহানি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্নমতের প্রতি আক্রমণ, নারীদের সম্মানহানি এবং প্রযুক্তি বা এআই-এর অপব্যবহার করে মানুষকে হেনস্তা করার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিশেষ করে কেউ যখন ধর্মীয় পরিচয় বহন করে এমন অশালীনতায় লিপ্ত হন, তা আমাদের মূল্যবোধের ওপর বড় আঘাত।
রাজনৈতিক মতপার্থক্য মানেই শত্রুতা নয় উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে—“মুমিন কখনো কটূক্তিকারী বা অভিশাপকারী হতে পারে না” (তিরমিজি)। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের সঙ্গে উত্তম ভাষায় কথা বলতে এবং একে অপরকে উপহাস না করতে। ভিন্নমতকে যুক্তি ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করাই প্রকৃত মুসলিমের বৈশিষ্ট্য। গালিগালাজ বা চরিত্রহনন কোনো মুসলমানের—বা কোনো সভ্য নাগরিকের—হাতিয়ার হতে পারে না।’
তিনি আহ্বান করে বলেন, ‘আসুন, অনলাইনেও আমরা আমাদের ঈমান ও মর্যাদা বজায় রাখি। কারণ প্রতিটি শব্দই মহান আল্লাহর কাছে সংরক্ষিত হচ্ছে।
ঘৃণা নয়—যুক্তি ও শালীনতা দিয়ে সমাজ গড়ি।’

আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো একান্ত গুরুত্বের দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় দিবসের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধা রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। জন্মভূমিকে নিয়ে প্রত্যেক নাগরিকই গর্ববোধ করে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সর্বজন স্বীকৃতি পেয়ে থাকে। আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো এমনই একান্ত গুরুত্বের দাবিদার। সকলের উচিত এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। এর ব্যতিক্রম কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
ফেসবুকে জামায়াতের আমির নারীদের সম্মানহানি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্নমতের প্রতি আক্রমণ, নারীদের সম্মানহানি এবং প্রযুক্তি বা এআই-এর অপব্যবহার করে মানুষকে হেনস্তা করার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিশেষ করে কেউ যখন ধর্মীয় পরিচয় বহন করে এমন অশালীনতায় লিপ্ত হন, তা আমাদের মূল্যবোধের ওপর বড় আঘাত।
রাজনৈতিক মতপার্থক্য মানেই শত্রুতা নয় উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে—“মুমিন কখনো কটূক্তিকারী বা অভিশাপকারী হতে পারে না” (তিরমিজি)। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের সঙ্গে উত্তম ভাষায় কথা বলতে এবং একে অপরকে উপহাস না করতে। ভিন্নমতকে যুক্তি ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করাই প্রকৃত মুসলিমের বৈশিষ্ট্য। গালিগালাজ বা চরিত্রহনন কোনো মুসলমানের—বা কোনো সভ্য নাগরিকের—হাতিয়ার হতে পারে না।’
তিনি আহ্বান করে বলেন, ‘আসুন, অনলাইনেও আমরা আমাদের ঈমান ও মর্যাদা বজায় রাখি। কারণ প্রতিটি শব্দই মহান আল্লাহর কাছে সংরক্ষিত হচ্ছে।
ঘৃণা নয়—যুক্তি ও শালীনতা দিয়ে সমাজ গড়ি।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না দলটি। তার আগেই তারা সরকারকে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে চায়। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়
২৯ জুন ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এ পর্যায়ে ১২৫টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৪ জন।
১২ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ১২৫টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচনকে কেবল আসন জেতার লড়াই হিসেবে নয়, বরং এটিকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ওপর একটি ‘গণভোট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে, আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ১২৫টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচনকে কেবল আসন জেতার লড়াই হিসেবে নয়, বরং এটিকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ওপর একটি ‘গণভোট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বে আসা তরুণেরা শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। নাহিদ ইসলাম ঢাকা–১১ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন।
এনসিপির নির্বাচনকালীন কৌশল ব্যাখ্যা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচনে আসন জেতাই যদি তাঁদের মূল লক্ষ্য থাকত, তাহলে তাঁরা অবশ্যই কোনো না কোনো জোটে ভিড়তেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি না, এটা খুবই পরিষ্কার। সিট কয়টা পাব কি পাব না, সেটা বিবেচনায় রেখেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি না।’
তাঁর মতে, এবারের নির্বাচন হলো ‘গণভোট’, যেখানে ভোটের প্রধান প্রশ্ন হলো ‘হ্যাঁ অথবা না’ (সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে)। এই বার্তাটি জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্যই এনসিপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
গণ-অভ্যুত্থানের এই ছাত্রনেতা এনসিপি গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর যদি ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের ও তরুণ প্রজন্মের সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নিজেদের রাজনীতি পুনর্গঠন করত এবং দলের অভ্যন্তরে সংস্কার আনত, তাহলে এনসিপির জন্মের প্রয়োজন হতো না।’
তিনি অভিযোগ করেন, এনসিপি সাত মাস অপেক্ষা করার পরও বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি। তারা নিজেদের দলাদলি–অন্তর্দ্বন্দ্বে ব্যস্ত ছিল, নিজেদের দলীয় এজেন্ডাকে প্রধান করে তুলেছে। এই ব্যর্থতার কারণেই এনসিপির জন্ম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান এজেন্ডা ছিল সংস্কার ও বিচার। অথচ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো গণভোট ও সংস্কারপ্রক্রিয়া বাস্তবায়নের আলোচনা না করে কেবল নিজেদের দলীয় এজেন্ডা নিয়েই প্রচার চালাচ্ছে।’
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন জায়গায় এনসিপির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। একই সঙ্গে, নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে পোস্টারিং ও টাকা খরচের মতো অনিয়ম হচ্ছে।
অন্য দলগুলোর মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনা করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় মাফিয়াদের নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। ঋণখেলাপিকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে।’ তিনি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) এসব ঋণখেলাপি ও মাফিয়াদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া, তিনি বিএনপি–জামায়াত উভয় দলেই ‘অস্ত্রের মহড়া’র মতো সংস্কৃতির অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, নিজেদের প্রার্থী তালিকা নিয়ে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে আমাদের এই যে মনোনয়ন তালিকাটা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক...সেখানে নারী-পুরুষ, সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সবকিছুর সমন্বয় আমরা করব।’ তিনি বলেন, মনোনীত কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ১২৫টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচনকে কেবল আসন জেতার লড়াই হিসেবে নয়, বরং এটিকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ওপর একটি ‘গণভোট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বে আসা তরুণেরা শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। নাহিদ ইসলাম ঢাকা–১১ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন।
এনসিপির নির্বাচনকালীন কৌশল ব্যাখ্যা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচনে আসন জেতাই যদি তাঁদের মূল লক্ষ্য থাকত, তাহলে তাঁরা অবশ্যই কোনো না কোনো জোটে ভিড়তেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি না, এটা খুবই পরিষ্কার। সিট কয়টা পাব কি পাব না, সেটা বিবেচনায় রেখেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি না।’
তাঁর মতে, এবারের নির্বাচন হলো ‘গণভোট’, যেখানে ভোটের প্রধান প্রশ্ন হলো ‘হ্যাঁ অথবা না’ (সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে)। এই বার্তাটি জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্যই এনসিপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
গণ-অভ্যুত্থানের এই ছাত্রনেতা এনসিপি গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর যদি ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের ও তরুণ প্রজন্মের সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নিজেদের রাজনীতি পুনর্গঠন করত এবং দলের অভ্যন্তরে সংস্কার আনত, তাহলে এনসিপির জন্মের প্রয়োজন হতো না।’
তিনি অভিযোগ করেন, এনসিপি সাত মাস অপেক্ষা করার পরও বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি। তারা নিজেদের দলাদলি–অন্তর্দ্বন্দ্বে ব্যস্ত ছিল, নিজেদের দলীয় এজেন্ডাকে প্রধান করে তুলেছে। এই ব্যর্থতার কারণেই এনসিপির জন্ম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান এজেন্ডা ছিল সংস্কার ও বিচার। অথচ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো গণভোট ও সংস্কারপ্রক্রিয়া বাস্তবায়নের আলোচনা না করে কেবল নিজেদের দলীয় এজেন্ডা নিয়েই প্রচার চালাচ্ছে।’
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন জায়গায় এনসিপির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। একই সঙ্গে, নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে পোস্টারিং ও টাকা খরচের মতো অনিয়ম হচ্ছে।
অন্য দলগুলোর মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনা করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় মাফিয়াদের নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। ঋণখেলাপিকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে।’ তিনি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) এসব ঋণখেলাপি ও মাফিয়াদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া, তিনি বিএনপি–জামায়াত উভয় দলেই ‘অস্ত্রের মহড়া’র মতো সংস্কৃতির অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, নিজেদের প্রার্থী তালিকা নিয়ে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে আমাদের এই যে মনোনয়ন তালিকাটা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক...সেখানে নারী-পুরুষ, সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সবকিছুর সমন্বয় আমরা করব।’ তিনি বলেন, মনোনীত কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না দলটি। তার আগেই তারা সরকারকে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে চায়। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়
২৯ জুন ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এ পর্যায়ে ১২৫টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৪ জন।
১২ মিনিট আগে
আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো একান্ত গুরুত্বের দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় দিবসের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধা রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে, আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ বাংলাদেশের প্রয়োজন একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ, যেখানে সবার জন্য মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব কথা লিখেছেন তিনি।
পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, আজ বাংলাদেশের প্রয়োজন রাজনীতির চেয়েও বড় কিছু—একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ, যেখানে সবার জন্য মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে, যেখানে কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে, বিরোধী মত যেখানে হুমকি না হয়ে বরং গণতন্ত্রের অংশ হবে। যেখানে ভিন্ন মতের কারণে কাউকে নিপীড়িত হতে হবে না বা গুম হয়ে যেতে হবে না।
বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে, আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।
১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়— মানবাধিকারই মানুষের দৈনন্দিন বেঁচে থাকার মৌলিক শর্ত মন্তব্য করে তারেক রহমান পোস্টে লেখেন, আমরা আবরার ফাহাদ, মুশতাক আহমেদ, ইলিয়াস আলী, সাজেদুল ইসলাম সুমন, সাগর-রুনি— আর অসংখ্য শহীদের গল্প মনে রাখি, যেন ভবিষ্যতে এমন নিপীড়ন আর দায়মুক্তি আর কখনো ফিরে না আসে।
১৬টা বছর ধরে বাংলাদেশ যেন একটা কালো মেঘের নিচে চাপা পড়ে ছিল বলে পোস্টে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি লেখেন, কেউ সেই অন্ধকারকে খুব তীব্রভাবে টের পেয়েছে, কেউ চুপচাপ বয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু যাদের রাজনৈতিক অবস্থান তখনকার পতিত সরকারের বিপরীতে ছিল, তাদের জন্য এই অন্ধকার ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। রাতের বেলা দরজায় কড়া নাড়া, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, ভয়কে সংস্কৃতি বানিয়ে ফেলা, আর অসংখ্য পরিবার অপেক্ষা করেছে সেই প্রিয়জনদের জন্য, যারা আর কোনো দিন ঘরে ফিরে আসেনি। এই বোঝা বিএনপির চেয়ে বেশি আর কেউ বহন করেনি।
২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানেও সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে বিএনপির ঘরেই জানিয়ে তিনি লেখেন, ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, হেফাজতে মৃত্যু, মিথ্যা মামলা— সব জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু অত্যাচারের শিকার শুধু বিএনপি ছিল না; ছাত্র, সাংবাদিক, লেখক, পথচারী, সাধারণ মানুষ— সবাই সেই ভয়ংকর পরিবেশের ক্ষত বয়ে বেড়িয়েছে, ন্যূনতম মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত মর্যাদা, নিরাপত্তা, মত প্রকাশের অধিকারের মতো মৌলিক সব বিষয়গুলো ছিল হুমকির মুখে।
পোস্টে তারেক রহমান তাঁকে ও তাঁর মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৌলিক অধিকার বঞ্চিত করার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, এই বছরগুলোতে আমাকেও কথা বলার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। ২০১৫ সাল থেকে আমার কথা বলার অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেওয়া হয়। দেশের কোনো পত্রিকা, টিভি বা সোশ্যাল মিডিয়া যেন আমার কোনো বক্তব্য প্রকাশ না করা হয়, এমন নির্দেশনা জারি ছিল। তবুও এই চাপিয়ে দেয়া নীরবতার মধ্যেও আমি অধিকার, গণতন্ত্র আর মানুষের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই চালিয়ে গেছি, কারণ সত্যের স্পিরিটকে আদেশ দিয়ে থামানো যায় না। এই পুরো অন্ধকার সময়টায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের ধৈর্য ও প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় প্রতীক। মিথ্যা মামলা, কারাবাস, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা- এসবই পুরো দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া এক কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতিফলন। তবুও তিনি তাঁর গণতান্ত্রিক আদর্শ থেকে কখনো সরে যাননি। তাঁর বিশ্বাস একটাই— অধিকার সবার; ভয় দেখিয়ে দেশকে এগোনো যায় না।
এ প্রসঙ্গে তারেক রহমান আরও লেখেন, আমি ব্যক্তিগতভাবেও সেই দুঃসহ সময়ের সাক্ষী। আমার মা, যিনি দেশনেত্রী, নিজে সহ্য করেছেন তাঁর ছেলেকে জেলে নেওয়া, নির্যাতন করার মানসিক যন্ত্রণা। তাঁর আরেক ছেলেকে আমরা চিরতরে হারিয়েছি। বাংলাদেশের হাজারো পরিবারের মতো আমাদের পরিবারও ছিল লক্ষ্যবস্তু। কিন্তু ইতিহাসের একটা সত্য আছে- কষ্ট মানুষকে সব সময় তিক্ত করে না। কখনো কখনো কষ্ট মানুষকে আরও মহান করে তোলে। দেশনেত্রী, আমার মা- এটাই প্রমাণ করেছেন। তিনি শিখিয়েছেন—যে অন্যায় আমরা সহ্য করেছি, তা যেন আর কারও জীবনে না আসে। দেশকে বদলাতে হলে, ঘৃণার পথ নয়— ন্যায়, নৈতিকতা আর ক্ষমাশীলতার পথই ভবিষ্যৎ গড়ে।

আজ বাংলাদেশের প্রয়োজন একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ, যেখানে সবার জন্য মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব কথা লিখেছেন তিনি।
পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, আজ বাংলাদেশের প্রয়োজন রাজনীতির চেয়েও বড় কিছু—একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ, যেখানে সবার জন্য মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে, যেখানে কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে, বিরোধী মত যেখানে হুমকি না হয়ে বরং গণতন্ত্রের অংশ হবে। যেখানে ভিন্ন মতের কারণে কাউকে নিপীড়িত হতে হবে না বা গুম হয়ে যেতে হবে না।
বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে, আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।
১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়— মানবাধিকারই মানুষের দৈনন্দিন বেঁচে থাকার মৌলিক শর্ত মন্তব্য করে তারেক রহমান পোস্টে লেখেন, আমরা আবরার ফাহাদ, মুশতাক আহমেদ, ইলিয়াস আলী, সাজেদুল ইসলাম সুমন, সাগর-রুনি— আর অসংখ্য শহীদের গল্প মনে রাখি, যেন ভবিষ্যতে এমন নিপীড়ন আর দায়মুক্তি আর কখনো ফিরে না আসে।
১৬টা বছর ধরে বাংলাদেশ যেন একটা কালো মেঘের নিচে চাপা পড়ে ছিল বলে পোস্টে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি লেখেন, কেউ সেই অন্ধকারকে খুব তীব্রভাবে টের পেয়েছে, কেউ চুপচাপ বয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু যাদের রাজনৈতিক অবস্থান তখনকার পতিত সরকারের বিপরীতে ছিল, তাদের জন্য এই অন্ধকার ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। রাতের বেলা দরজায় কড়া নাড়া, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, ভয়কে সংস্কৃতি বানিয়ে ফেলা, আর অসংখ্য পরিবার অপেক্ষা করেছে সেই প্রিয়জনদের জন্য, যারা আর কোনো দিন ঘরে ফিরে আসেনি। এই বোঝা বিএনপির চেয়ে বেশি আর কেউ বহন করেনি।
২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানেও সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে বিএনপির ঘরেই জানিয়ে তিনি লেখেন, ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, হেফাজতে মৃত্যু, মিথ্যা মামলা— সব জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু অত্যাচারের শিকার শুধু বিএনপি ছিল না; ছাত্র, সাংবাদিক, লেখক, পথচারী, সাধারণ মানুষ— সবাই সেই ভয়ংকর পরিবেশের ক্ষত বয়ে বেড়িয়েছে, ন্যূনতম মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত মর্যাদা, নিরাপত্তা, মত প্রকাশের অধিকারের মতো মৌলিক সব বিষয়গুলো ছিল হুমকির মুখে।
পোস্টে তারেক রহমান তাঁকে ও তাঁর মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৌলিক অধিকার বঞ্চিত করার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, এই বছরগুলোতে আমাকেও কথা বলার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। ২০১৫ সাল থেকে আমার কথা বলার অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেওয়া হয়। দেশের কোনো পত্রিকা, টিভি বা সোশ্যাল মিডিয়া যেন আমার কোনো বক্তব্য প্রকাশ না করা হয়, এমন নির্দেশনা জারি ছিল। তবুও এই চাপিয়ে দেয়া নীরবতার মধ্যেও আমি অধিকার, গণতন্ত্র আর মানুষের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই চালিয়ে গেছি, কারণ সত্যের স্পিরিটকে আদেশ দিয়ে থামানো যায় না। এই পুরো অন্ধকার সময়টায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের ধৈর্য ও প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় প্রতীক। মিথ্যা মামলা, কারাবাস, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা- এসবই পুরো দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া এক কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতিফলন। তবুও তিনি তাঁর গণতান্ত্রিক আদর্শ থেকে কখনো সরে যাননি। তাঁর বিশ্বাস একটাই— অধিকার সবার; ভয় দেখিয়ে দেশকে এগোনো যায় না।
এ প্রসঙ্গে তারেক রহমান আরও লেখেন, আমি ব্যক্তিগতভাবেও সেই দুঃসহ সময়ের সাক্ষী। আমার মা, যিনি দেশনেত্রী, নিজে সহ্য করেছেন তাঁর ছেলেকে জেলে নেওয়া, নির্যাতন করার মানসিক যন্ত্রণা। তাঁর আরেক ছেলেকে আমরা চিরতরে হারিয়েছি। বাংলাদেশের হাজারো পরিবারের মতো আমাদের পরিবারও ছিল লক্ষ্যবস্তু। কিন্তু ইতিহাসের একটা সত্য আছে- কষ্ট মানুষকে সব সময় তিক্ত করে না। কখনো কখনো কষ্ট মানুষকে আরও মহান করে তোলে। দেশনেত্রী, আমার মা- এটাই প্রমাণ করেছেন। তিনি শিখিয়েছেন—যে অন্যায় আমরা সহ্য করেছি, তা যেন আর কারও জীবনে না আসে। দেশকে বদলাতে হলে, ঘৃণার পথ নয়— ন্যায়, নৈতিকতা আর ক্ষমাশীলতার পথই ভবিষ্যৎ গড়ে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না দলটি। তার আগেই তারা সরকারকে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে চায়। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়
২৯ জুন ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এ পর্যায়ে ১২৫টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৪ জন।
১২ মিনিট আগে
আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো একান্ত গুরুত্বের দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় দিবসের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধা রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ১২৫টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচনকে কেবল আসন জেতার লড়াই হিসেবে নয়, বরং এটিকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ওপর একটি ‘গণভোট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে