আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জনগণই হচ্ছে আমাদের শক্তি। জনগণ ৫ আগস্ট দেখিয়ে দিয়েছে। কাজেই আমরা যদি ভুল করি, জনগণ আবার কোনো একটা কিছু দেখিয়ে দেবে। তখন কিন্তু পস্তাতে হবে।’
আজ রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচন যে সহজ হবে না, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দেন তারেক রহমান।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন এত সহজ নয়। নিজের মনে যতই বড়াই করুন যে আরে বিএনপি তো বড় দল, যার শাখা-প্রশাখা একেবারে গ্রাম পর্যন্ত আছে, অন্যদের কি এত আছে? থাকতে পারে। তারপরেও জনগণ ম্যাটারস।’
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এই সভার আয়োজন করে।
নেতা-কর্মীদের জনগণের সঙ্গে থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে। আসুন, আসুন, আসুন—আমরা জনগণের পাশে থাকি, জনগণের সঙ্গে থাকি। যারা এমন কিছু করবে, আমাকে-আপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলব।’
৫ আগস্টের উদাহরণ টেনে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে পরিষ্কার উদাহরণ আছে—জনগণ যখন ক্ষিপ্ত হয়, জনগণ কীভাবে স্বৈরাচারকে খেদিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। এখনো চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে সেই উদাহরণ। জনগণ যদি ক্ষিপ্ত হয়, যতই মনে-মনে তৃপ্তি বোধ করেন বিএনপি সবচেয়ে বড় দল, দিন শেষে কিন্তু জনগণ, আমরা সেই জনগণের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছি। কেন আমরা সত্যিকারভাবে সেই সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করব না?’
এ সময় দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘বিনীতভাবে করজোড়ে আপনাদের অনুরোধ করব, দয়া করে আপনারা মোটরসাইকেলওয়ালাদের ভিড় করতে দেবেন না। দয়া করে আপনারা বিভ্রান্তিকর কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।’
নেতা-কর্মীদের কাছে দুটি প্রশ্ন রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি অন্য কেউ সরকার গঠন করে, তাহলে কি আপনি ভালো থাকবেন? আপনি বলতে যদি বাংলাদেশে এক কোটি বিএনপির নেতা-কর্মী থাকে, তাদের সবাইকেই বলছি। কারা চলে আসবে, কী চলে আসবে আমরা জানি না। তবে আর যা–ই হোক, সেটা আপনাদের কারও জন্যই ভালো হবে না, আমাদের কারও জন্য ভালো হবে না। কোনো কারণে যদি অন্য কেউ সরকার গঠন করে, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনার এতটুকু চিন্তা থাকতে হবে যে অন্য কেউ যদি সরকার গঠন করে, সেটা কি দেশ এবং জাতির জন্য ভালো হবে?’ এই সময়ে মিলনায়তনে কর্মীরা সমস্বরে বলে ‘না’।
এরপর তারেক রহমান বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে চাই যে আপনারা দৃঢ়ভাবে না বললেন সেটা বুঝেশুনে বলেছেন। আপনারা যদি বুঝে না বলে থাকেন তাহলে সঠিকই বলেছেন। তাই যদি ঠিক হয়, এখনো আমাদের কাছে সময় আছে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর, এখনো আমাদের কাছে সময় আছে মানুষ যেভাবে চায় সেভাবে চলার জন্য। দিন শেষে কিন্তু রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনাকে এই জনগণের কাছে, এই মানুষটার কাছে, এই ভোটারটার কাছে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখনো আমাদের কাছে সময় আছে, মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। দিন শেষে কিন্তু আপনাকে মানুষের কাছে, ভোটারের কাছেই যেতে হবে। দিন শেষে কিন্তু জনগণ। তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, আপনার-আমার কিন্তু কোনো স্থান নেই।’
নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে গুরুত্বারোপ করে তারেক রহমান বলেন, ‘একটি ক্ষেত্রে যেকোনো মূল্য এক জায়গায় আমাদের থাকতে হবে। সেটি হচ্ছে নির্দিষ্ট সময় পরে পরে দেশের নিয়মকানুন, সংবিধান যে সময়টি বেঁধে দেবে, সেই সময় অনুযায়ী রাষ্ট্রের বা সরকারের প্রতিটি পর্যায়ে যেখানে নির্ধারিত হবে, সেখানে ভোট হতে হবে। সেটি জাতীয় সংসদ হোক, পৌরসভা হোক, ইউনিয়ন পরিষদ—যেটাই হোক না কেন।’
তিনি বলেন, ‘ভোটের অধিকারই একমাত্র জবাবদিহিতা তৈরি করতে পারে। রাষ্ট্রে, সমাজে সবক্ষেত্রে যদি আমরা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে আমরা ধীরে ধীরে এগোতে সক্ষম হব। সরকার যদি জনগণকে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য থাকে প্রতি কাজের জন্য, তাহলেই জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা সম্ভব হবে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছার প্রতিফলন হবে সরকারের কাজের মাধ্যমে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জনগণই হচ্ছে আমাদের শক্তি। জনগণ ৫ আগস্ট দেখিয়ে দিয়েছে। কাজেই আমরা যদি ভুল করি, জনগণ আবার কোনো একটা কিছু দেখিয়ে দেবে। তখন কিন্তু পস্তাতে হবে।’
আজ রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচন যে সহজ হবে না, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দেন তারেক রহমান।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন এত সহজ নয়। নিজের মনে যতই বড়াই করুন যে আরে বিএনপি তো বড় দল, যার শাখা-প্রশাখা একেবারে গ্রাম পর্যন্ত আছে, অন্যদের কি এত আছে? থাকতে পারে। তারপরেও জনগণ ম্যাটারস।’
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এই সভার আয়োজন করে।
নেতা-কর্মীদের জনগণের সঙ্গে থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে। আসুন, আসুন, আসুন—আমরা জনগণের পাশে থাকি, জনগণের সঙ্গে থাকি। যারা এমন কিছু করবে, আমাকে-আপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলব।’
৫ আগস্টের উদাহরণ টেনে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে পরিষ্কার উদাহরণ আছে—জনগণ যখন ক্ষিপ্ত হয়, জনগণ কীভাবে স্বৈরাচারকে খেদিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। এখনো চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে সেই উদাহরণ। জনগণ যদি ক্ষিপ্ত হয়, যতই মনে-মনে তৃপ্তি বোধ করেন বিএনপি সবচেয়ে বড় দল, দিন শেষে কিন্তু জনগণ, আমরা সেই জনগণের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছি। কেন আমরা সত্যিকারভাবে সেই সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করব না?’
এ সময় দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘বিনীতভাবে করজোড়ে আপনাদের অনুরোধ করব, দয়া করে আপনারা মোটরসাইকেলওয়ালাদের ভিড় করতে দেবেন না। দয়া করে আপনারা বিভ্রান্তিকর কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।’
নেতা-কর্মীদের কাছে দুটি প্রশ্ন রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি অন্য কেউ সরকার গঠন করে, তাহলে কি আপনি ভালো থাকবেন? আপনি বলতে যদি বাংলাদেশে এক কোটি বিএনপির নেতা-কর্মী থাকে, তাদের সবাইকেই বলছি। কারা চলে আসবে, কী চলে আসবে আমরা জানি না। তবে আর যা–ই হোক, সেটা আপনাদের কারও জন্যই ভালো হবে না, আমাদের কারও জন্য ভালো হবে না। কোনো কারণে যদি অন্য কেউ সরকার গঠন করে, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনার এতটুকু চিন্তা থাকতে হবে যে অন্য কেউ যদি সরকার গঠন করে, সেটা কি দেশ এবং জাতির জন্য ভালো হবে?’ এই সময়ে মিলনায়তনে কর্মীরা সমস্বরে বলে ‘না’।
এরপর তারেক রহমান বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে চাই যে আপনারা দৃঢ়ভাবে না বললেন সেটা বুঝেশুনে বলেছেন। আপনারা যদি বুঝে না বলে থাকেন তাহলে সঠিকই বলেছেন। তাই যদি ঠিক হয়, এখনো আমাদের কাছে সময় আছে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর, এখনো আমাদের কাছে সময় আছে মানুষ যেভাবে চায় সেভাবে চলার জন্য। দিন শেষে কিন্তু রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনাকে এই জনগণের কাছে, এই মানুষটার কাছে, এই ভোটারটার কাছে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখনো আমাদের কাছে সময় আছে, মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। দিন শেষে কিন্তু আপনাকে মানুষের কাছে, ভোটারের কাছেই যেতে হবে। দিন শেষে কিন্তু জনগণ। তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, আপনার-আমার কিন্তু কোনো স্থান নেই।’
নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে গুরুত্বারোপ করে তারেক রহমান বলেন, ‘একটি ক্ষেত্রে যেকোনো মূল্য এক জায়গায় আমাদের থাকতে হবে। সেটি হচ্ছে নির্দিষ্ট সময় পরে পরে দেশের নিয়মকানুন, সংবিধান যে সময়টি বেঁধে দেবে, সেই সময় অনুযায়ী রাষ্ট্রের বা সরকারের প্রতিটি পর্যায়ে যেখানে নির্ধারিত হবে, সেখানে ভোট হতে হবে। সেটি জাতীয় সংসদ হোক, পৌরসভা হোক, ইউনিয়ন পরিষদ—যেটাই হোক না কেন।’
তিনি বলেন, ‘ভোটের অধিকারই একমাত্র জবাবদিহিতা তৈরি করতে পারে। রাষ্ট্রে, সমাজে সবক্ষেত্রে যদি আমরা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে আমরা ধীরে ধীরে এগোতে সক্ষম হব। সরকার যদি জনগণকে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য থাকে প্রতি কাজের জন্য, তাহলেই জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা সম্ভব হবে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছার প্রতিফলন হবে সরকারের কাজের মাধ্যমে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জনগণই হচ্ছে আমাদের শক্তি। জনগণ ৫ আগস্ট দেখিয়ে দিয়েছে। কাজেই আমরা যদি ভুল করি, জনগণ আবার কোনো একটা কিছু দেখিয়ে দেবে। তখন কিন্তু পস্তাতে হবে।’
আজ রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচন যে সহজ হবে না, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দেন তারেক রহমান।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন এত সহজ নয়। নিজের মনে যতই বড়াই করুন যে আরে বিএনপি তো বড় দল, যার শাখা-প্রশাখা একেবারে গ্রাম পর্যন্ত আছে, অন্যদের কি এত আছে? থাকতে পারে। তারপরেও জনগণ ম্যাটারস।’
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এই সভার আয়োজন করে।
নেতা-কর্মীদের জনগণের সঙ্গে থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে। আসুন, আসুন, আসুন—আমরা জনগণের পাশে থাকি, জনগণের সঙ্গে থাকি। যারা এমন কিছু করবে, আমাকে-আপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলব।’
৫ আগস্টের উদাহরণ টেনে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে পরিষ্কার উদাহরণ আছে—জনগণ যখন ক্ষিপ্ত হয়, জনগণ কীভাবে স্বৈরাচারকে খেদিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। এখনো চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে সেই উদাহরণ। জনগণ যদি ক্ষিপ্ত হয়, যতই মনে-মনে তৃপ্তি বোধ করেন বিএনপি সবচেয়ে বড় দল, দিন শেষে কিন্তু জনগণ, আমরা সেই জনগণের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছি। কেন আমরা সত্যিকারভাবে সেই সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করব না?’
এ সময় দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘বিনীতভাবে করজোড়ে আপনাদের অনুরোধ করব, দয়া করে আপনারা মোটরসাইকেলওয়ালাদের ভিড় করতে দেবেন না। দয়া করে আপনারা বিভ্রান্তিকর কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।’
নেতা-কর্মীদের কাছে দুটি প্রশ্ন রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি অন্য কেউ সরকার গঠন করে, তাহলে কি আপনি ভালো থাকবেন? আপনি বলতে যদি বাংলাদেশে এক কোটি বিএনপির নেতা-কর্মী থাকে, তাদের সবাইকেই বলছি। কারা চলে আসবে, কী চলে আসবে আমরা জানি না। তবে আর যা–ই হোক, সেটা আপনাদের কারও জন্যই ভালো হবে না, আমাদের কারও জন্য ভালো হবে না। কোনো কারণে যদি অন্য কেউ সরকার গঠন করে, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনার এতটুকু চিন্তা থাকতে হবে যে অন্য কেউ যদি সরকার গঠন করে, সেটা কি দেশ এবং জাতির জন্য ভালো হবে?’ এই সময়ে মিলনায়তনে কর্মীরা সমস্বরে বলে ‘না’।
এরপর তারেক রহমান বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে চাই যে আপনারা দৃঢ়ভাবে না বললেন সেটা বুঝেশুনে বলেছেন। আপনারা যদি বুঝে না বলে থাকেন তাহলে সঠিকই বলেছেন। তাই যদি ঠিক হয়, এখনো আমাদের কাছে সময় আছে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর, এখনো আমাদের কাছে সময় আছে মানুষ যেভাবে চায় সেভাবে চলার জন্য। দিন শেষে কিন্তু রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনাকে এই জনগণের কাছে, এই মানুষটার কাছে, এই ভোটারটার কাছে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখনো আমাদের কাছে সময় আছে, মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। দিন শেষে কিন্তু আপনাকে মানুষের কাছে, ভোটারের কাছেই যেতে হবে। দিন শেষে কিন্তু জনগণ। তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, আপনার-আমার কিন্তু কোনো স্থান নেই।’
নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে গুরুত্বারোপ করে তারেক রহমান বলেন, ‘একটি ক্ষেত্রে যেকোনো মূল্য এক জায়গায় আমাদের থাকতে হবে। সেটি হচ্ছে নির্দিষ্ট সময় পরে পরে দেশের নিয়মকানুন, সংবিধান যে সময়টি বেঁধে দেবে, সেই সময় অনুযায়ী রাষ্ট্রের বা সরকারের প্রতিটি পর্যায়ে যেখানে নির্ধারিত হবে, সেখানে ভোট হতে হবে। সেটি জাতীয় সংসদ হোক, পৌরসভা হোক, ইউনিয়ন পরিষদ—যেটাই হোক না কেন।’
তিনি বলেন, ‘ভোটের অধিকারই একমাত্র জবাবদিহিতা তৈরি করতে পারে। রাষ্ট্রে, সমাজে সবক্ষেত্রে যদি আমরা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে আমরা ধীরে ধীরে এগোতে সক্ষম হব। সরকার যদি জনগণকে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য থাকে প্রতি কাজের জন্য, তাহলেই জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা সম্ভব হবে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছার প্রতিফলন হবে সরকারের কাজের মাধ্যমে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জনগণই হচ্ছে আমাদের শক্তি। জনগণ ৫ আগস্ট দেখিয়ে দিয়েছে। কাজেই আমরা যদি ভুল করি, জনগণ আবার কোনো একটা কিছু দেখিয়ে দেবে। তখন কিন্তু পস্তাতে হবে।’
আজ রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচন যে সহজ হবে না, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দেন তারেক রহমান।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন এত সহজ নয়। নিজের মনে যতই বড়াই করুন যে আরে বিএনপি তো বড় দল, যার শাখা-প্রশাখা একেবারে গ্রাম পর্যন্ত আছে, অন্যদের কি এত আছে? থাকতে পারে। তারপরেও জনগণ ম্যাটারস।’
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এই সভার আয়োজন করে।
নেতা-কর্মীদের জনগণের সঙ্গে থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে। আসুন, আসুন, আসুন—আমরা জনগণের পাশে থাকি, জনগণের সঙ্গে থাকি। যারা এমন কিছু করবে, আমাকে-আপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলব।’
৫ আগস্টের উদাহরণ টেনে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে পরিষ্কার উদাহরণ আছে—জনগণ যখন ক্ষিপ্ত হয়, জনগণ কীভাবে স্বৈরাচারকে খেদিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। এখনো চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে সেই উদাহরণ। জনগণ যদি ক্ষিপ্ত হয়, যতই মনে-মনে তৃপ্তি বোধ করেন বিএনপি সবচেয়ে বড় দল, দিন শেষে কিন্তু জনগণ, আমরা সেই জনগণের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছি। কেন আমরা সত্যিকারভাবে সেই সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করব না?’
এ সময় দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘বিনীতভাবে করজোড়ে আপনাদের অনুরোধ করব, দয়া করে আপনারা মোটরসাইকেলওয়ালাদের ভিড় করতে দেবেন না। দয়া করে আপনারা বিভ্রান্তিকর কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।’
নেতা-কর্মীদের কাছে দুটি প্রশ্ন রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি অন্য কেউ সরকার গঠন করে, তাহলে কি আপনি ভালো থাকবেন? আপনি বলতে যদি বাংলাদেশে এক কোটি বিএনপির নেতা-কর্মী থাকে, তাদের সবাইকেই বলছি। কারা চলে আসবে, কী চলে আসবে আমরা জানি না। তবে আর যা–ই হোক, সেটা আপনাদের কারও জন্যই ভালো হবে না, আমাদের কারও জন্য ভালো হবে না। কোনো কারণে যদি অন্য কেউ সরকার গঠন করে, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনার এতটুকু চিন্তা থাকতে হবে যে অন্য কেউ যদি সরকার গঠন করে, সেটা কি দেশ এবং জাতির জন্য ভালো হবে?’ এই সময়ে মিলনায়তনে কর্মীরা সমস্বরে বলে ‘না’।
এরপর তারেক রহমান বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে চাই যে আপনারা দৃঢ়ভাবে না বললেন সেটা বুঝেশুনে বলেছেন। আপনারা যদি বুঝে না বলে থাকেন তাহলে সঠিকই বলেছেন। তাই যদি ঠিক হয়, এখনো আমাদের কাছে সময় আছে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর, এখনো আমাদের কাছে সময় আছে মানুষ যেভাবে চায় সেভাবে চলার জন্য। দিন শেষে কিন্তু রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনাকে এই জনগণের কাছে, এই মানুষটার কাছে, এই ভোটারটার কাছে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখনো আমাদের কাছে সময় আছে, মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। দিন শেষে কিন্তু আপনাকে মানুষের কাছে, ভোটারের কাছেই যেতে হবে। দিন শেষে কিন্তু জনগণ। তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, আপনার-আমার কিন্তু কোনো স্থান নেই।’
নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে গুরুত্বারোপ করে তারেক রহমান বলেন, ‘একটি ক্ষেত্রে যেকোনো মূল্য এক জায়গায় আমাদের থাকতে হবে। সেটি হচ্ছে নির্দিষ্ট সময় পরে পরে দেশের নিয়মকানুন, সংবিধান যে সময়টি বেঁধে দেবে, সেই সময় অনুযায়ী রাষ্ট্রের বা সরকারের প্রতিটি পর্যায়ে যেখানে নির্ধারিত হবে, সেখানে ভোট হতে হবে। সেটি জাতীয় সংসদ হোক, পৌরসভা হোক, ইউনিয়ন পরিষদ—যেটাই হোক না কেন।’
তিনি বলেন, ‘ভোটের অধিকারই একমাত্র জবাবদিহিতা তৈরি করতে পারে। রাষ্ট্রে, সমাজে সবক্ষেত্রে যদি আমরা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে আমরা ধীরে ধীরে এগোতে সক্ষম হব। সরকার যদি জনগণকে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য থাকে প্রতি কাজের জন্য, তাহলেই জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা সম্ভব হবে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছার প্রতিফলন হবে সরকারের কাজের মাধ্যমে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
৮ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান
১০ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইন মন্ত্রণালয়কে পল্টন ট্র্যাজেডির মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। এ জন্য ট্রাইব্যুনালকে দায়িত্ব দিতে হবে—এই হত্যাকাণ্ডের পুনরায় তদন্তের জন্য।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের’ বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ২৮ অক্টোবরে নৃশংস ও ইতিহাসের নজিরবিহীন বর্বরোচিত হামলা হয়েছে। সারা দেশ ও দুনিয়া সেদিন শিহরিত হয়েছে। মানুষ সেই দৃশ্য ভিডিওতে দেখতে পারেনি। হাসিনা লাশের ওপরে নাচানাচি করে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল, শেষে তারা লাশ পুড়িয়ে ছাই করে দিয়ে ভারত পালিয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্টকে বাংলাদেশের জনগণ আর প্রশ্রয় দিতে পারে না।
সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, খুনি হাসিনা দিল্লি থেকে কর্মসূচি দিচ্ছেন। আইন উপদেষ্টাসহ সকলকে বলব এই খুনিদের রাজনীতি চিরতরে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করার জন্য। তাদের এই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমি বলতে চাই, জুলাই সনদ অবিলম্বে আদেশ জারি করে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, একটি দলকে খুশি করার জন্য সরকারের অভ্যন্তরের কেউ কেউ গণভোটকে উপেক্ষা করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পাঁয়তারা করছেন। আমরা বলতে চাই, একই দিনে গণভোট যাঁরা করতে চাচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য হলো জুলাই সনদকে অকার্যকর করা।’
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে জুলাই সনদে বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করে রাষ্ট্র সংস্কারের ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে, একই দিনে গণভোট যাঁরা চাচ্ছেন, তাঁরা জুলাই সনদকে অকার্যকর করতে চান। এই অপরিণামদর্শী পথ থেকে ফিরে এসে আগামী নভেম্বরে গণদাবি অনুযায়ী গণভোট দিন। তার আগে রাষ্ট্রপতির আদেশে জুলাই সনদ আদেশ জারি করুন। তারপর জাতীয় নির্বাচন দিন। তাহলেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ, মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।’
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর যাঁরা জীবন দিয়েছিলেন, আল্লাহর কাছে তাঁদের শাহাদাত প্রার্থনা করছি। যাঁরা আহত হয়েছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, অসুস্থ হয়েছিলেন, রাব্বুল আলামিনের কাছে তাঁদের জন্য সুস্থতা কামনা করছি।’
ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইন মন্ত্রণালয়কে পল্টন ট্র্যাজেডির মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। এ জন্য ট্রাইব্যুনালকে দায়িত্ব দিতে হবে—এই হত্যাকাণ্ডের পুনরায় তদন্তের জন্য।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের’ বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ২৮ অক্টোবরে নৃশংস ও ইতিহাসের নজিরবিহীন বর্বরোচিত হামলা হয়েছে। সারা দেশ ও দুনিয়া সেদিন শিহরিত হয়েছে। মানুষ সেই দৃশ্য ভিডিওতে দেখতে পারেনি। হাসিনা লাশের ওপরে নাচানাচি করে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল, শেষে তারা লাশ পুড়িয়ে ছাই করে দিয়ে ভারত পালিয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্টকে বাংলাদেশের জনগণ আর প্রশ্রয় দিতে পারে না।
সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, খুনি হাসিনা দিল্লি থেকে কর্মসূচি দিচ্ছেন। আইন উপদেষ্টাসহ সকলকে বলব এই খুনিদের রাজনীতি চিরতরে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করার জন্য। তাদের এই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমি বলতে চাই, জুলাই সনদ অবিলম্বে আদেশ জারি করে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, একটি দলকে খুশি করার জন্য সরকারের অভ্যন্তরের কেউ কেউ গণভোটকে উপেক্ষা করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পাঁয়তারা করছেন। আমরা বলতে চাই, একই দিনে গণভোট যাঁরা করতে চাচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য হলো জুলাই সনদকে অকার্যকর করা।’
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে জুলাই সনদে বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করে রাষ্ট্র সংস্কারের ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে, একই দিনে গণভোট যাঁরা চাচ্ছেন, তাঁরা জুলাই সনদকে অকার্যকর করতে চান। এই অপরিণামদর্শী পথ থেকে ফিরে এসে আগামী নভেম্বরে গণদাবি অনুযায়ী গণভোট দিন। তার আগে রাষ্ট্রপতির আদেশে জুলাই সনদ আদেশ জারি করুন। তারপর জাতীয় নির্বাচন দিন। তাহলেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ, মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।’
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর যাঁরা জীবন দিয়েছিলেন, আল্লাহর কাছে তাঁদের শাহাদাত প্রার্থনা করছি। যাঁরা আহত হয়েছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, অসুস্থ হয়েছিলেন, রাব্বুল আলামিনের কাছে তাঁদের জন্য সুস্থতা কামনা করছি।’
ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জনগণই হচ্ছে আমাদের শক্তি। জনগণ ৫ আগস্ট দেখিয়ে দিয়েছে। কাজেই আমরা যদি ভুল করি, জনগণ আবার কোনো একটা কিছু দেখিয়ে দেবে। তখন কিন্তু পস্তাতে হবে।’ রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
৮ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান
১০ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে এমনটি বলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না। কারণ, এখানে ‘‘অথবা’’ দিয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ থাকায় আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই।’
আযাদ যোগ করেন, ‘আমাদের বক্তব্য হলো—অবিলম্বে আদেশ জারি করতে হবে এবং নভেম্বরে গণভোট আয়োজন করতে হবে।
‘নভেম্বরে গণভোট না হলে জনগণ তো বুঝবে না কী সংস্কার হবে আর ভোট দিব কাকে। জনগণ তো সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায় না।’
একটা দল নির্বাচনের দিন গণভোট চাচ্ছে, এতে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কী—এমন প্রশ্নের জবাবে আযাদ বলেন, তারা চাইতেই পারে, তবে এর পেছনে সংস্কার বানচালের কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না—এমন প্রশ্ন থেকে যায়।

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে এমনটি বলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না। কারণ, এখানে ‘‘অথবা’’ দিয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ থাকায় আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই।’
আযাদ যোগ করেন, ‘আমাদের বক্তব্য হলো—অবিলম্বে আদেশ জারি করতে হবে এবং নভেম্বরে গণভোট আয়োজন করতে হবে।
‘নভেম্বরে গণভোট না হলে জনগণ তো বুঝবে না কী সংস্কার হবে আর ভোট দিব কাকে। জনগণ তো সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায় না।’
একটা দল নির্বাচনের দিন গণভোট চাচ্ছে, এতে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কী—এমন প্রশ্নের জবাবে আযাদ বলেন, তারা চাইতেই পারে, তবে এর পেছনে সংস্কার বানচালের কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না—এমন প্রশ্ন থেকে যায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জনগণই হচ্ছে আমাদের শক্তি। জনগণ ৫ আগস্ট দেখিয়ে দিয়েছে। কাজেই আমরা যদি ভুল করি, জনগণ আবার কোনো একটা কিছু দেখিয়ে দেবে। তখন কিন্তু পস্তাতে হবে।’ রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান
১০ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ইতিহাসকে যেন আর ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয়। আওয়ামী লীগ এখন ডেড চ্যাপটার। এটা এখন মরা হাতি—এটাকে এখন যে ইচ্ছা, সে লাথি দিতে পারে। তবে আমাদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে, না হলে ঝামেলা হতে পারে।’
আমলাতন্ত্রের সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘ব্যুরোক্রেসিকে গতিশীল করতে হবে। তারা গতিশীল না হলে যে ক্ষোভ জমছে, তাতে বিস্ফোরণ হবেই। আমলাতন্ত্র ঠিক না করতে পারলে, যেই ক্ষমতায় আসুক, ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ইতিহাসকে যেন আর ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয়। আওয়ামী লীগ এখন ডেড চ্যাপটার। এটা এখন মরা হাতি—এটাকে এখন যে ইচ্ছা, সে লাথি দিতে পারে। তবে আমাদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে, না হলে ঝামেলা হতে পারে।’
আমলাতন্ত্রের সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘ব্যুরোক্রেসিকে গতিশীল করতে হবে। তারা গতিশীল না হলে যে ক্ষোভ জমছে, তাতে বিস্ফোরণ হবেই। আমলাতন্ত্র ঠিক না করতে পারলে, যেই ক্ষমতায় আসুক, ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জনগণই হচ্ছে আমাদের শক্তি। জনগণ ৫ আগস্ট দেখিয়ে দিয়েছে। কাজেই আমরা যদি ভুল করি, জনগণ আবার কোনো একটা কিছু দেখিয়ে দেবে। তখন কিন্তু পস্তাতে হবে।’ রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
৮ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুরুল হক হলে আয়োজিত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এনসিপি এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাটওয়ারী। তাঁর দাবি, ঘোষণা অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদেরও রাখতে হবে। ওই দিন এনসিপি সনদে সই করবে বলেও জানান তিনি।
পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা জেনেছি, জুলাই সনদ বর্তমানে আইন কমিশনে আছে। আমরা দেখতে চাই ড. আসিফ নজরুল স্যার কোনো টালবাহানা ছাড়াই জনগণের পক্ষে থেকে দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করবেন। প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে শহীদ মিনারে আসবেন।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া জুলাই শহীদ ও জনগণের বড় অর্জন। জুলাই সনদ সই না করার কারণে হারিয়ে যাওয়ার ভয় ছিল। তবে রিস্ক (ঝুঁকি) নিয়ে অবস্থান নিয়েছে এনসিপি। ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে এর সুফল পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।’
এ বিষয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘বাহাত্তরের পচা সংবিধান দিয়ে এ দেশ আর চলতে পারে না। এ সংবিধান আমাদের ভাইদের হত্যার বৈধতা দিয়েছে।’
এই নেতা বলেন, ‘রক্তের ট্যাংকার দিয়ে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে, বুলেট রেভল্যুশনের পর ব্যালট রেভল্যুশনের মাধ্যমে মানুষ জবাব দেবে। দলীয় দাস হিসেবে কেউ সংস্কার রুখতে চাইলে সেফ এক্সিট পাবে না তারা, মানুষ তাদের বিচার করবেই।’
এনসিপি সরকার গঠন করবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কারণ, পেছনের দরজা দিয়ে এনসিপি ক্যান্টনমেন্টে যাবে না, কোনো অ্যাম্বাসিতেও যাবে না। তাই মানুষ এনসিপিকে ভোট দেবে।’
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার অথর্ব নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘যে লাউ সেই কদুর নির্বাচন চায় না এনসিপি। বিএনপি-জামায়াত বিরোধী বিরোধী নাটক করছে। তারা একদল ভারতে, আরেক দল পাকিস্তানে পা দিয়ে রেখেছে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুরুল হক হলে আয়োজিত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এনসিপি এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাটওয়ারী। তাঁর দাবি, ঘোষণা অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদেরও রাখতে হবে। ওই দিন এনসিপি সনদে সই করবে বলেও জানান তিনি।
পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা জেনেছি, জুলাই সনদ বর্তমানে আইন কমিশনে আছে। আমরা দেখতে চাই ড. আসিফ নজরুল স্যার কোনো টালবাহানা ছাড়াই জনগণের পক্ষে থেকে দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করবেন। প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে শহীদ মিনারে আসবেন।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া জুলাই শহীদ ও জনগণের বড় অর্জন। জুলাই সনদ সই না করার কারণে হারিয়ে যাওয়ার ভয় ছিল। তবে রিস্ক (ঝুঁকি) নিয়ে অবস্থান নিয়েছে এনসিপি। ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে এর সুফল পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।’
এ বিষয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘বাহাত্তরের পচা সংবিধান দিয়ে এ দেশ আর চলতে পারে না। এ সংবিধান আমাদের ভাইদের হত্যার বৈধতা দিয়েছে।’
এই নেতা বলেন, ‘রক্তের ট্যাংকার দিয়ে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে, বুলেট রেভল্যুশনের পর ব্যালট রেভল্যুশনের মাধ্যমে মানুষ জবাব দেবে। দলীয় দাস হিসেবে কেউ সংস্কার রুখতে চাইলে সেফ এক্সিট পাবে না তারা, মানুষ তাদের বিচার করবেই।’
এনসিপি সরকার গঠন করবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কারণ, পেছনের দরজা দিয়ে এনসিপি ক্যান্টনমেন্টে যাবে না, কোনো অ্যাম্বাসিতেও যাবে না। তাই মানুষ এনসিপিকে ভোট দেবে।’
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার অথর্ব নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘যে লাউ সেই কদুর নির্বাচন চায় না এনসিপি। বিএনপি-জামায়াত বিরোধী বিরোধী নাটক করছে। তারা একদল ভারতে, আরেক দল পাকিস্তানে পা দিয়ে রেখেছে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জনগণই হচ্ছে আমাদের শক্তি। জনগণ ৫ আগস্ট দেখিয়ে দিয়েছে। কাজেই আমরা যদি ভুল করি, জনগণ আবার কোনো একটা কিছু দেখিয়ে দেবে। তখন কিন্তু পস্তাতে হবে।’ রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
৮ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান
১০ ঘণ্টা আগে