Ajker Patrika

সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী

সারা দেশের শহর গ্রামগুলোতে সরকারের বিপুল উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকাল বিএনপি অনেক কথা বলেন। আসলে বিএনপির মাথাটাই খারাপ হয়ে গেছে। কারণ দীর্ঘ দিন তাঁরা রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে। নয়াপল্টনের অফিসে বসে প্রতিদিন ঘণ্টা বাজায়। রিজভী সাহেব ঘণ্টা বাজায়, আর বলে আওয়ামী লীগের বিদায়ী ঘণ্টা বেজে গেছে। কিন্তু তাতে কেউ সাড়া দেয় না, এমন কী তাদের কর্মীরাও সাড়া দেয় না। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলে পদ্মাসেতু হবে না। আওয়ামী লীগ পদ্মাসেতু করতে পারবে না। অথচ পদ্মাসেতু হয়ে গেছে। গত পয়লা জানুয়ারি  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতুর এপার থেকে ওপার গেছেন। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা। এখন আমি অপেক্ষা করছি, কখন এই পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী সাহেব কখন যায়।কখন তাঁরা পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে যায়, নাকি পদ্মাসেতুর নিচ দিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকার চড়ে পার হয়। এটা এখন দেখার পালা।

তরুণ নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, সরকার যে উন্নয়ন করছে, তাতে কোনো ভোট অন্য বাক্সে যাওয়ার কথা নয়। যদি যায়, তাহলে বুঝতে হবে আমাদের নেতা–কর্মীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে গেছে। মানুষ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ পছন্দ করে না। ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। যারা দলের নাম ভাঙিয়ে জায়গা দখল, মাদক সিন্ডিকেট করছে তাদের দল থেকে ছিন্ন করতে হবে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের এত অর্জন কয়েকজন উদ্ধতপূর্ণ আচরণের নেতা-কর্মী ও আর কয়েকজনের অপকর্মের জন্য সেগুলো ঢাকা পড়তে পারে না। 

দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল আওয়াল শামীম ও নূরুল ইসলাম ঠান্ডু। সম্মেলন উদ্বোধন করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার। প্রধান বক্তা ছিলেন ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা। আরও বক্তব্যে দেন দুর্গাপুর পুঠিয়া আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনুসর রহমান, পবা মোহনপুরের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা,  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ। 

সম্মেলনের শুরুতেই জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা সহ মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রামে সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অধিবেশন শেষে দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

একটি দল ধর্মকে খাটো করে অন্য একটি দেশকে খুশি করার চেষ্টা করছে: মির্জা আব্বাস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভোট চাওয়ার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে না। একটি দল নিজ ধর্মকে খাটো করে অন্য একটি দেশকে খুশি করার চেষ্টা করছে।’

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পশ্চিম মালিবাগে এক উঠোন বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একটি কথা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে—গণহত্যাকারীরা পালিয়ে গেছে। ব্যাংক, বিমা, বাংলাদেশের যা কিছু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল, সেগুলোকে ধ্বংস করে চূড়ান্তভাবে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এর মানে তারা আমাদের পঙ্গু করার চেষ্টা করেছে, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। তারা একেবারে চলে গেছে—এটি যদি আমরা সত্যি ধরে নিই, তাহলে সেটাও ভুল হবে।’

মির্জা আব্বাস বলেন, আগামী নির্বাচনে যাদের জয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, তারাই নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে দু-একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করছে। বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্টের উত্থান হতে দেওয়া হবে না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান আরিফের সভাপতিত্বে এ সময় রমনা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম, সদস্য শামীম হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এই মাসেই ২০০ আসনে একক প্রার্থীকে সবুজসংকেত দেবে বিএনপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৪২
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ফাইল ছবি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি চলতি মাসের মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজসংকেত দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো গ্রিন সিগন্যাল দেব। সেই প্রক্রিয়ায় আছি, আমরা শেষের দিকে; যাতে নির্বাচনী মাঠে প্রার্থী হিসেবে তাঁরা কাজ করতে পারেন।’

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।

নির্বাচনে আসন ছাড়ের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত মনোনয়ন নির্ধারণ করা হবে। যাঁরা মনোনয়ন পাবেন না, তাঁদেরও অন্যভাবে মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে দেশে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘খুব শিগগির নির্ধারিত তারিখটি জানতে পারবেন। আশা করি, নভেম্বরের মধ্যেই তিনি ফিরবেন।’

জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোন কোন আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তো অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি তো সেটা সাক্ষাৎকারে বলেই দিয়েছেন। আসন পরে নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশের যেকোনো আসন থেকে তিনি নির্বাচন করতে পারেন।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে কোন কোন আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা আশা করছি, খালেদা জিয়া নিজের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন—নির্বাচন করবেন কি না। আমরা তো চাই, তিনি নির্বাচনে অংশ নিন।’

একক প্রার্থী থাকা আসনে ‘না’ ভোটে বিএনপি সম্মতি দিয়েছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া যাতে কেউ নির্বাচনে জিততে না পারেন, সে নিশ্চয়তা দিতে একক প্রার্থী থাকা আসনে ‘না’ ভোটে সম্মতি জানিয়েছে বিএনপি। নির্বাচনী ইশতেহারের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। তফসিল ঘোষণার পর সেটি সামনে আনা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ নয়। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সেটি তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত বলে মনে করি। জাতীয় পার্টি যদি আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন না করে, সেটা তাদের স্বাধীনতা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আওয়ামী লীগ বাদে সব দলের ভালো মানুষদের জন্য এনসিপির দরজা খোলা: সারজিস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগ বাদে সব রাজনৈতিক দলের ভালো মানুষদের জন্য এনসিপির দরজা খোলা বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) এবং ঢাকা জেলা শাখা সমন্বয় সভা তিনি এ কথা জানান।

সারজিস বলেন, ‘সব দলের ভালো মানুষদের জন্য এনসিপির দরজা খোলা। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান-পূর্ববর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ এবং তার যেকোনো সহযোগী সংগঠনের পদে ছিল, এমন কেউ এনসিপির কোনো আহ্বায়ক কমিটিতে আসতে পারবে না। নিষ্ক্রিয়, বিতর্কিত কাউকে কমিটিতে রাখা যাবে না। একদম স্পষ্ট কথা হচ্ছে, কেউ যদি মনে করেন এনসিপিতে এসে আগের বা নিজের কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবেন বা প্রত্যাশা করবেন, তাহলে আপনারা হয় আগের জায়গায় ফিরে যান অথবা এনসিপি থেকে দূরে থাকুন।’

সারজিস বলেন, ‘এনসিপি বাংলাদেশে ৪৬ নম্বর রাজনৈতিক দল হতে আসেনি। আমরা হয় জনগণের হয়ে সরকারি দল হিসেবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করব, না হয় শক্তিশালী বিরোধী দল হব। জাতীয় পার্টির মতো পোষা বিরোধী দল হতেও আসিনি।

তিন দিনের মধ্যে এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ সারজিস। আর ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিটি জেলা ও মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি করার নির্দেশনা দেন তিনি। সারজিস বলেন, ‘১৫ নভেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি করতে হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কিংবা মহানগর, থানা, ওয়ার্ড, বাংলাদেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি থাকতে হবে। যদি আমরা এটা করতে পারি, তাহলে আগামী সংসদ নির্বাচনে এনসিপি বাংলাদেশের শক্তিশালী দুটি রাজনৈতিক দলের একটি হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’

সারজিস জানান, কমিটিগুলোর আহ্বায়ক চল্লিশোর্ধ্ব হতে হবে, সদস্যসচিব কোনোভাবেই ৩৫ বছরের নিচে হবে না।

সমন্বয় সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (দক্ষিণাঞ্চল) প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্ষমতায় গেলে সব জাতিগোষ্ঠী নিয়ে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বিএনপি, ওয়ানগালায় মির্জা ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শুক্রবার গারো জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব ওয়ানগালায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শুক্রবার গারো জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব ওয়ানগালায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সব জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে ‘রেইনবো নেশন’ (রংধনু জাতি) গড়ে তুলবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফায় রেইনবো নেশনের বিষয়টি রয়েছে; অর্থাৎ সব জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে গারো জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব ওয়ানগালায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাঙালি, গারো বা অন্য জাতিগোষ্ঠী—সবাই বাংলাদেশের নাগরিক উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারণা দিয়ে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষকে এক পরিচয়ের বন্ধনে যুক্ত করেছেন। সেই ধারায় খালেদা জিয়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় পৃথক অধিদপ্তর গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপি সরকারে এলে ঢাকায় একটি পৃথক সাংস্কৃতিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উৎসবগুলো সরকারিভাবে পালনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

বিএনপির এই নেতা জানান, দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক আছে। তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা ও প্রয়োজনগুলো কাছ থেকে দেখেছেন। বিশেষ করে ময়মনসিংহে গারো সম্প্রদায়ের সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি তাদের সংস্কৃতি, জীবনযাপন ও উৎপাদনশীলতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক, ক্রিস্টিয়ান সার্ভিস সোসাইটির পরিচালক বাপন মানকিন, বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক পরাগ রিটসিল প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত