সম্পাদকীয়
‘প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে/কে কোথা ধরা পড়ে, কে জানে/গরব সব হায়, কখন টুটে যায়/সলিল বহে যায় নয়নে!’ স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তের কণ্ঠে এই রবীন্দ্রসংগীত শুনে মুগ্ধ হওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়।
‘প্রেমের ফাঁদ’ কথাটা কে প্রথম উচ্চারণ করেছেন, কিংবা কে প্রথম প্রেমের ফাঁদে পড়েছেন, সেটা রীতিমতো একটি গবেষণার বিষয়। তবে প্রেমের ফাঁদ ছাড়াও ইদানীং আরও একটি ফাঁদের কথা ব্যাপকভাবে শোনা যাচ্ছে এবং এই ফাঁদে পড়ে অনেকেই সর্বস্ব হারিয়ে চোখের জলে ভাসছেন। এই ফাঁদের নাম ‘প্রতারণা’।
প্রতারণার ফাঁদে পড়াও নতুন কিছু নয়। তবে আজকাল প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অনেকের টাকাকড়ি লুটে নেওয়ার খবর প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্রে ছাপা হচ্ছে। করোনা মহামারি শুরু হলে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম নামের একজন প্রতারকের কথা জানা গিয়েছিল। ক্ষমতাসীন মহলে যোগাযোগের ভিত্তিতে সাহেদ একটি লুটপাটের বৃত্ত গড়ে তুলেছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদ একটি দুর্নীতির মামলায় সাহেদের সঙ্গে অভিযুক্ত হয়ে আদালতে জামিন নিতে গেলে বিচারক তাঁকে বলেন, ‘সাহেদের সঙ্গে আপনার এত মহব্বত কীভাবে হয়েছিল?’
মহব্বত কার সঙ্গে কখন কীভাবে হয়, তা বলা কঠিন। তবে সব মহব্বতের পরিণতি এক হয় না। কোনোটার পরিণতি মধুর, কোনোটার বেদনাঘন। ‘চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ে ধরা’ বলে একটি কথা আছে। প্রতারণার বেলায়ও তা-ই। যারা ধরা পড়ে না, তারা সুখে থাকে আর যারা ধরা খায়, তাদের জীবন হয়ে ওঠে বেদনাময়।
আমাদের দেশকে বলা হয় জোয়ার-ভাটার দেশ। একেক সময় একেকটা বিষয়ে জোয়ার আসে। পরে আবার ভাটার টান। এখন মনে হয় প্রতারকদের জন্য ভাটার সময় চলছে। প্রতারণার অভিযোগে অনেকগুলো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক-মোক্তারকে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। তাঁরা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে শত শত মানুষকে পথে বসিয়ে জেলে বসে আরাম করছেন। আবার নতুন কৌশলের ফন্দি আঁটছেন। কিন্তু যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁরা টাকা ফেরত পাবেন–সে আশা কম।
বাণিজ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ই-কমার্সের গ্রাহকদের ক্ষতির দায় সরকার নেবে না। বিষয়টা এমন যে তাঁরা লোভে পড়ে প্রতারক প্রতিষ্ঠানের ফাঁদে পা দিয়েছেন, তাই তাঁদের পা মচকাবেই।
প্রতারণার অভিযোগে আরজে নীরব গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন গ্রেপ্তার হয়েছেন ভুয়া সচিব পরিচয় দিয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়া প্রতারক আব্দুল কাদের। এসএসসি পাস না-করা এই ব্যক্তি মাসে ৫ লাখ টাকা ভাড়ায় গুলশানে আলিশান অফিস খুলে বসে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পরিচয় দিয়ে মানুষ ঠকানোর ব্যবসায় নেমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
প্রতারকদের কেউ কেউ ধরা পড়ছেন। এতে কি বন্ধ হবে প্রতারণার ফাঁদ পাতা? প্রতারকদের কৌশলের ফাঁদে না পড়ার মতো সচেতনতা কি মানুষের মধ্যে গড়ে উঠবে?
‘প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে/কে কোথা ধরা পড়ে, কে জানে/গরব সব হায়, কখন টুটে যায়/সলিল বহে যায় নয়নে!’ স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তের কণ্ঠে এই রবীন্দ্রসংগীত শুনে মুগ্ধ হওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়।
‘প্রেমের ফাঁদ’ কথাটা কে প্রথম উচ্চারণ করেছেন, কিংবা কে প্রথম প্রেমের ফাঁদে পড়েছেন, সেটা রীতিমতো একটি গবেষণার বিষয়। তবে প্রেমের ফাঁদ ছাড়াও ইদানীং আরও একটি ফাঁদের কথা ব্যাপকভাবে শোনা যাচ্ছে এবং এই ফাঁদে পড়ে অনেকেই সর্বস্ব হারিয়ে চোখের জলে ভাসছেন। এই ফাঁদের নাম ‘প্রতারণা’।
প্রতারণার ফাঁদে পড়াও নতুন কিছু নয়। তবে আজকাল প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অনেকের টাকাকড়ি লুটে নেওয়ার খবর প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্রে ছাপা হচ্ছে। করোনা মহামারি শুরু হলে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম নামের একজন প্রতারকের কথা জানা গিয়েছিল। ক্ষমতাসীন মহলে যোগাযোগের ভিত্তিতে সাহেদ একটি লুটপাটের বৃত্ত গড়ে তুলেছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদ একটি দুর্নীতির মামলায় সাহেদের সঙ্গে অভিযুক্ত হয়ে আদালতে জামিন নিতে গেলে বিচারক তাঁকে বলেন, ‘সাহেদের সঙ্গে আপনার এত মহব্বত কীভাবে হয়েছিল?’
মহব্বত কার সঙ্গে কখন কীভাবে হয়, তা বলা কঠিন। তবে সব মহব্বতের পরিণতি এক হয় না। কোনোটার পরিণতি মধুর, কোনোটার বেদনাঘন। ‘চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ে ধরা’ বলে একটি কথা আছে। প্রতারণার বেলায়ও তা-ই। যারা ধরা পড়ে না, তারা সুখে থাকে আর যারা ধরা খায়, তাদের জীবন হয়ে ওঠে বেদনাময়।
আমাদের দেশকে বলা হয় জোয়ার-ভাটার দেশ। একেক সময় একেকটা বিষয়ে জোয়ার আসে। পরে আবার ভাটার টান। এখন মনে হয় প্রতারকদের জন্য ভাটার সময় চলছে। প্রতারণার অভিযোগে অনেকগুলো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক-মোক্তারকে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। তাঁরা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে শত শত মানুষকে পথে বসিয়ে জেলে বসে আরাম করছেন। আবার নতুন কৌশলের ফন্দি আঁটছেন। কিন্তু যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁরা টাকা ফেরত পাবেন–সে আশা কম।
বাণিজ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ই-কমার্সের গ্রাহকদের ক্ষতির দায় সরকার নেবে না। বিষয়টা এমন যে তাঁরা লোভে পড়ে প্রতারক প্রতিষ্ঠানের ফাঁদে পা দিয়েছেন, তাই তাঁদের পা মচকাবেই।
প্রতারণার অভিযোগে আরজে নীরব গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন গ্রেপ্তার হয়েছেন ভুয়া সচিব পরিচয় দিয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়া প্রতারক আব্দুল কাদের। এসএসসি পাস না-করা এই ব্যক্তি মাসে ৫ লাখ টাকা ভাড়ায় গুলশানে আলিশান অফিস খুলে বসে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পরিচয় দিয়ে মানুষ ঠকানোর ব্যবসায় নেমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
প্রতারকদের কেউ কেউ ধরা পড়ছেন। এতে কি বন্ধ হবে প্রতারণার ফাঁদ পাতা? প্রতারকদের কৌশলের ফাঁদে না পড়ার মতো সচেতনতা কি মানুষের মধ্যে গড়ে উঠবে?
মনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী। তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
১০ ঘণ্টা আগেসরকার ১৫ মে ২০২৫ তারিখে এক প্রজ্ঞাপন দ্বারা ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছকে আগ্রাসী গাছ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সেই প্রজ্ঞাপনে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিপর্যায়ে বৃক্
১০ ঘণ্টা আগেখারাপ খবরের ভিড়ে হাঁপিয়ে ওঠা সমাজে যখন ইতিবাচক বা ভালো কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, তখন রংপুরের কাউনিয়ার একটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের খবর পড়ে মন ভালো না হয়ে পারে না।
১০ ঘণ্টা আগে১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, তা কি খুব অপ্রত্যাশিত ছিল? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘গোপালগঞ্জের ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। কিন্তু ঘটনা এত বড় হবে, সে তথ্য ছিল না।’ অর্থাৎ ছোটখাটো ঘটনা ঘটবে, সেটা সরকারের জানা ছিল।
১ দিন আগে