সম্পাদকীয়
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা কি সময়মতো পাঠ্যবই হাতে পাবে? জানুয়ারির শুরুতেই উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়ার যে ঐতিহ্য চালু হয়েছিল, তা রক্ষা করা আদৌ কি সম্ভব হবে? ১১ অক্টোবর আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম হয়েছে পাঠ্যপুস্তক প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা বিষয়ে। খবরটি মোটেই সুখকর নয়। শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই পৌঁছাবে কীভাবে, যদি এখন পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরে পাঠ্যবই ছাপার দরপত্র শেষ না হয়ে থাকে?
এই কথাও জানা দরকার, কেন ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র বাতিল করা হলো? নিশ্চয়ই এমন কোনো অনিয়ম হয়েছিল, যার কারণে তা বাতিল করা হয়। এ ছাড়া আরেকটি ভয়াবহ অভিযোগ বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে, এবার প্রাক্কলিত দরের চেয়ে গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে অসাধু মুদ্রণকারীরা। এটা আসলে প্রতারণা করে অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার এক চৌকস দুরভিসন্ধি। অর্থাৎ প্রাক্কলিত দরের চেয়ে কম দামে কাজ পেলে কেমন কাগজ দেওয়া হবে, কেমন ছাপা হবে, কোন মেশিনে ছাপা হবে—এসব ব্যাপারে আপস হওয়া অস্বাভাবিক নয়। অর্থাৎ খারাপ মানের কাগজে বাজে ছাপা বই যদি শিক্ষার্থীদের হাতে আসে, তাহলে তাতে লাভবান হবে শুধু সেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, অন্যরা পরাজিত হবে।
আরও একটা আশঙ্কার কথা রয়েছে যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে প্রেসগুলো নির্বাচনের পোস্টার ছাপানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া বহু চেষ্টায় যে নোটবই ও গাইডের ব্যবসা বন্ধ করা যায়নি, সেগুলো ছাপানোর কাজও করবেন প্রেসের মালিকেরা। তাহলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে সময়মতো পাঠ্যপুস্তক হাতে পাবে?
চলতি বছর সব শিক্ষার্থীর হাতে সময়মতো বই পৌঁছায়নি। বই নিয়ে কী এক বিতিকিচ্ছি ব্যাপার তৈরি হয়েছিল, সে কথা নিশ্চয়ই দেশের জনগণ ভুলে যায়নি। প্রায় তিন মাস দেরিতে সবার হাতে বই পৌঁছেছিল। এই ব্যর্থতার দায় যাদের ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা-ও অস্পষ্ট। এনসিপির এক নেতার নামে পাঠ্যপুস্তকে কমিশন-বাণিজ্যের যে অভিযোগ উঠেছিল, তার তদন্ত কতটা এগিয়েছে, সে ব্যাপারে দেশের মানুষ আর কিছু জানে না। কিন্তু এই অভিযোগ সত্য ছিল কি না, এই বাণিজ্যের সঙ্গে আর কারা জড়িত ছিল, সে বিষয়গুলো দেশের মানুষের জানার অধিকার রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা যদি সময়মতো বই হাতে না পায়, তাহলে তাদের প্রস্তুতিও ভালো হবে না। প্রস্তুতি ভালো না হলে বিভিন্ন রকম গোঁজামিল দিয়ে তারা পাস করার চেষ্টা করবে, শিক্ষকেরাও জ্ঞানার্জনের চেয়ে পাস করিয়ে দেওয়ার দিকে বেশি নজর দিতে পারেন। ফলে যে প্রজন্ম গড়ে উঠবে, তাদের নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করার মতো কিছু থাকবে না। সুতরাং পাঠ্যপুস্তক সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা কি সময়মতো পাঠ্যবই হাতে পাবে? জানুয়ারির শুরুতেই উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়ার যে ঐতিহ্য চালু হয়েছিল, তা রক্ষা করা আদৌ কি সম্ভব হবে? ১১ অক্টোবর আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম হয়েছে পাঠ্যপুস্তক প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা বিষয়ে। খবরটি মোটেই সুখকর নয়। শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই পৌঁছাবে কীভাবে, যদি এখন পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরে পাঠ্যবই ছাপার দরপত্র শেষ না হয়ে থাকে?
এই কথাও জানা দরকার, কেন ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র বাতিল করা হলো? নিশ্চয়ই এমন কোনো অনিয়ম হয়েছিল, যার কারণে তা বাতিল করা হয়। এ ছাড়া আরেকটি ভয়াবহ অভিযোগ বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে, এবার প্রাক্কলিত দরের চেয়ে গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে অসাধু মুদ্রণকারীরা। এটা আসলে প্রতারণা করে অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার এক চৌকস দুরভিসন্ধি। অর্থাৎ প্রাক্কলিত দরের চেয়ে কম দামে কাজ পেলে কেমন কাগজ দেওয়া হবে, কেমন ছাপা হবে, কোন মেশিনে ছাপা হবে—এসব ব্যাপারে আপস হওয়া অস্বাভাবিক নয়। অর্থাৎ খারাপ মানের কাগজে বাজে ছাপা বই যদি শিক্ষার্থীদের হাতে আসে, তাহলে তাতে লাভবান হবে শুধু সেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, অন্যরা পরাজিত হবে।
আরও একটা আশঙ্কার কথা রয়েছে যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে প্রেসগুলো নির্বাচনের পোস্টার ছাপানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া বহু চেষ্টায় যে নোটবই ও গাইডের ব্যবসা বন্ধ করা যায়নি, সেগুলো ছাপানোর কাজও করবেন প্রেসের মালিকেরা। তাহলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে সময়মতো পাঠ্যপুস্তক হাতে পাবে?
চলতি বছর সব শিক্ষার্থীর হাতে সময়মতো বই পৌঁছায়নি। বই নিয়ে কী এক বিতিকিচ্ছি ব্যাপার তৈরি হয়েছিল, সে কথা নিশ্চয়ই দেশের জনগণ ভুলে যায়নি। প্রায় তিন মাস দেরিতে সবার হাতে বই পৌঁছেছিল। এই ব্যর্থতার দায় যাদের ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা-ও অস্পষ্ট। এনসিপির এক নেতার নামে পাঠ্যপুস্তকে কমিশন-বাণিজ্যের যে অভিযোগ উঠেছিল, তার তদন্ত কতটা এগিয়েছে, সে ব্যাপারে দেশের মানুষ আর কিছু জানে না। কিন্তু এই অভিযোগ সত্য ছিল কি না, এই বাণিজ্যের সঙ্গে আর কারা জড়িত ছিল, সে বিষয়গুলো দেশের মানুষের জানার অধিকার রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা যদি সময়মতো বই হাতে না পায়, তাহলে তাদের প্রস্তুতিও ভালো হবে না। প্রস্তুতি ভালো না হলে বিভিন্ন রকম গোঁজামিল দিয়ে তারা পাস করার চেষ্টা করবে, শিক্ষকেরাও জ্ঞানার্জনের চেয়ে পাস করিয়ে দেওয়ার দিকে বেশি নজর দিতে পারেন। ফলে যে প্রজন্ম গড়ে উঠবে, তাদের নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করার মতো কিছু থাকবে না। সুতরাং পাঠ্যপুস্তক সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
আজকে সারা বিশ্বে শিশুরা ক্রমবর্ধমান নিপীড়ন ও সহিংসতার শিকার। এটা যে শুধু যুদ্ধ কিংবা সংঘাতসংকুল অঞ্চলে ঘটছে, তা-ই নয়, অন্যান্য অঞ্চলেও এ-জাতীয় সহিংসতা ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের সূত্র অনুসারে, গত বছর বিশ্বব্যাপী ২২ হাজারের বেশি শিশুর কুশল এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৮ হাজারই
১০ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্ভোগ নিরসনে এসে নিজেই দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা। উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বর্তমানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও আছেন। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর
১৩ মিনিট আগেমীরা দেববর্মন ছিলেন বাংলা গানের এক অসামান্য গীতিকার, যিনি কৃতী স্বামী এবং সন্তানের নামের আড়ালে ছড়িয়ে গিয়ে জড়িয়ে আছেন আপন সৃষ্টির কারণেই। অনেকের হয়তো জানা নেই, আধুনিক বাংলা গানের কিংবদন্তি প্রয়াত শচীন দেববর্মনের স্ত্রী এবং উপমহাদেশের আরেক কিংবদন্তি সুরকার রাহুল দেববর্মনের মাতা মীরা দেববর্মন অসংখ্য জন
১৭ মিনিট আগেনা, বারনই নদ বাঁচানোর কোনো মোক্ষম উপায় আমাদের জানা আছে, এ রকম কথা বলব না। যে নদকে বলা হতো বরেন্দ্র অঞ্চলের ‘প্রাণদায়িনী’, সে নদই এখন মৃত্যুশয্যায়। হাসপাতালের ভাষায় বলা যায়, নদটি এখন আইসিইউতে। যেকোনো সময় আসতে পারে তার মৃত্যুসংবাদ।
২৪ মিনিট আগে