সম্পাদকীয়
আগুন লেগেছে। ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার মিরপুরের রূপনগরের এম এস আলম ট্রেডার্স নামের একটি রাসায়নিক গুদাম ও পাশের একটি পোশাক কারখানায়।
খবরটি দুই দিনে পুরোনো হয়ে গেলেও আহাজারি কমেনি এই আগুনে দগ্ধ ব্যক্তিদের স্বজনদের। ঠিক কোথায় আর কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যেমনটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি কতজন প্রাণ দিয়েছেন এই অগ্নিকাণ্ডে।
রূপনগরের শিয়ালবাড়ীর ৩ নম্বর রোডে এখনো হয়তো কেউ দাঁড়িয়ে আছেন স্বজনের ছবি হাতে। সেই ছবি দেখে লাশ চেনার কোনো উপায় থাকবে বলে মনে হয় না। নারগিস আক্তারের মরদেহটি যেমন তাঁর বাবা শনাক্ত করেছেন পায়ের নূপুর দেখে। ফল বিক্রেতা বাবাকে একটু সাহায্যই তো করতে চেয়েছিলেন এইচএসসি পাস করা নারগিস। মরে গিয়ে হয়তো পরিবারের একজন সদস্যের ভার কমিয়ে দিলেন। তাতে কি তাঁর বাবার খুব সাহায্য হলো? বরং বাবার বুকটা ভারী হয়ে গেল আজীবনের জন্য।
এই সম্পাদকীয়টি লেখা পর্যন্ত একে একে যে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হলো, তাদের প্রত্যেকের এ রকম ভিন্ন ভিন্ন গল্প রয়েছে। তাঁদের জীবনপ্রদীপ নিভেছে, আগুনও নিভেছে, কিন্তু সম্পাদকীয় লেখা পর্যন্ত রাসায়নিক গুদাম থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। গুদামে থাকা দাহ্য পদার্থ পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় না হওয়া পর্যন্ত ধোঁয়া উঠবে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। রাসায়নিক গুদামে তাই উদ্ধারকাজ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বিশেষ পোশাক পরে প্রস্তুতি নিয়েছে এখানে প্রবেশের।
রূপনগরের এই ঘটনার সঙ্গে অনেকে হয়তো অনেক অগ্নিকাণ্ডের মিল পাবেন। আগুন লাগার এসব দৃশ্য আমাদের দেশে সাধারণ চিত্রে পরিণত হয়েছে। খানিকটা অতীতের দিকে তাকালে মনে পড়ে শুধু ঢাকা শহরেই ঘটে যাওয়া তাজরীন ফ্যাশনস অগ্নিকাণ্ড, নিমতলী ট্র্যাজেডি, চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডি কিংবা বঙ্গবাজার, বনানীর এফ আর টাওয়ার ও বেইলি রোড ট্র্যাজেডির কথা। এসব অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। তবু আমাদের সতর্ক হতে যেন বয়েই গেছে!
আলম ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এটি অনুমোদনহীন। পোশাক কারখানার মালিকের কোনো হদিস নেই। আপাতত সেদিকটা না ঘেঁটে নজর দিতে হয় আগুনের ওপর। একটা ভবনে আগুন কেন লাগে, কীভাবে লাগে আর লেগে গেলে করণীয় কী কিংবা অগ্নিকাণ্ড এড়াতে ভবনের নকশা কেমন হওয়া উচিত—এসব ব্যাপারে কোনো ভবনের মালিক ও ওই ভবন ব্যবহারকারীরা কস্মিনকালেও ভেবেছে কি না, এ নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। এখন তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে জিজ্ঞেস করলেও সে বলে দিতে পারে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
গ্যাস ও বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ, দাহ্য পদার্থের সঠিক সংরক্ষণ, আগুন নিয়ন্ত্রণে ভবনের সঠিক নকশা, ফায়ার অ্যালার্ম ও ফায়ার এক্সিটের ব্যবহারের পাশাপাশি অগ্নি সুরক্ষা প্রশিক্ষণ সম্পর্কে দেশের প্রতিটি নাগরিকের ধারণা থাকা উচিত। জনসচেতনতা তৈরি ও বাড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকেই কাজ করতে হবে জোরেশোরে।
আগুন লেগেছে। ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার মিরপুরের রূপনগরের এম এস আলম ট্রেডার্স নামের একটি রাসায়নিক গুদাম ও পাশের একটি পোশাক কারখানায়।
খবরটি দুই দিনে পুরোনো হয়ে গেলেও আহাজারি কমেনি এই আগুনে দগ্ধ ব্যক্তিদের স্বজনদের। ঠিক কোথায় আর কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যেমনটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি কতজন প্রাণ দিয়েছেন এই অগ্নিকাণ্ডে।
রূপনগরের শিয়ালবাড়ীর ৩ নম্বর রোডে এখনো হয়তো কেউ দাঁড়িয়ে আছেন স্বজনের ছবি হাতে। সেই ছবি দেখে লাশ চেনার কোনো উপায় থাকবে বলে মনে হয় না। নারগিস আক্তারের মরদেহটি যেমন তাঁর বাবা শনাক্ত করেছেন পায়ের নূপুর দেখে। ফল বিক্রেতা বাবাকে একটু সাহায্যই তো করতে চেয়েছিলেন এইচএসসি পাস করা নারগিস। মরে গিয়ে হয়তো পরিবারের একজন সদস্যের ভার কমিয়ে দিলেন। তাতে কি তাঁর বাবার খুব সাহায্য হলো? বরং বাবার বুকটা ভারী হয়ে গেল আজীবনের জন্য।
এই সম্পাদকীয়টি লেখা পর্যন্ত একে একে যে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হলো, তাদের প্রত্যেকের এ রকম ভিন্ন ভিন্ন গল্প রয়েছে। তাঁদের জীবনপ্রদীপ নিভেছে, আগুনও নিভেছে, কিন্তু সম্পাদকীয় লেখা পর্যন্ত রাসায়নিক গুদাম থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। গুদামে থাকা দাহ্য পদার্থ পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় না হওয়া পর্যন্ত ধোঁয়া উঠবে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। রাসায়নিক গুদামে তাই উদ্ধারকাজ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বিশেষ পোশাক পরে প্রস্তুতি নিয়েছে এখানে প্রবেশের।
রূপনগরের এই ঘটনার সঙ্গে অনেকে হয়তো অনেক অগ্নিকাণ্ডের মিল পাবেন। আগুন লাগার এসব দৃশ্য আমাদের দেশে সাধারণ চিত্রে পরিণত হয়েছে। খানিকটা অতীতের দিকে তাকালে মনে পড়ে শুধু ঢাকা শহরেই ঘটে যাওয়া তাজরীন ফ্যাশনস অগ্নিকাণ্ড, নিমতলী ট্র্যাজেডি, চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডি কিংবা বঙ্গবাজার, বনানীর এফ আর টাওয়ার ও বেইলি রোড ট্র্যাজেডির কথা। এসব অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। তবু আমাদের সতর্ক হতে যেন বয়েই গেছে!
আলম ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এটি অনুমোদনহীন। পোশাক কারখানার মালিকের কোনো হদিস নেই। আপাতত সেদিকটা না ঘেঁটে নজর দিতে হয় আগুনের ওপর। একটা ভবনে আগুন কেন লাগে, কীভাবে লাগে আর লেগে গেলে করণীয় কী কিংবা অগ্নিকাণ্ড এড়াতে ভবনের নকশা কেমন হওয়া উচিত—এসব ব্যাপারে কোনো ভবনের মালিক ও ওই ভবন ব্যবহারকারীরা কস্মিনকালেও ভেবেছে কি না, এ নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। এখন তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে জিজ্ঞেস করলেও সে বলে দিতে পারে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
গ্যাস ও বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ, দাহ্য পদার্থের সঠিক সংরক্ষণ, আগুন নিয়ন্ত্রণে ভবনের সঠিক নকশা, ফায়ার অ্যালার্ম ও ফায়ার এক্সিটের ব্যবহারের পাশাপাশি অগ্নি সুরক্ষা প্রশিক্ষণ সম্পর্কে দেশের প্রতিটি নাগরিকের ধারণা থাকা উচিত। জনসচেতনতা তৈরি ও বাড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকেই কাজ করতে হবে জোরেশোরে।
রাশিয়ার রাজধানীতে আফগানিস্তান-বিষয়ক ‘মস্কো ফরম্যাট সংলাপ’ হয়েছে মাত্র কদিন আগে, ৭ অক্টোবর। হাসিমুখে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের দুই বিশেষ প্রতিনিধি। কথা বলেছেন অর্থনীতি, বাণিজ্য, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে।
৮ ঘণ্টা আগেআজ থেকে প্রায় পাঁচ শ বছর আগের কথা। তুরস্ক থেকে টিউলিপ ফুল পৌঁছায় ইউরোপে। নেদারল্যান্ডস তখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি। মাথাপিছু আয়ে দেশটি সবার চেয়ে এগিয়ে। টিউলিপের রূপে দেশটির মানুষ হঠাৎ মজে উঠল। এর মধ্যে বিশেষ একধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত টিউলিপে সবার আগ্রহ বেড়ে যায়।
৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত নির্দেশনা ধরে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। নানা অস্পষ্টতা থাকার পরও চুক্তি এখনো টিকে আছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফিরিয়ে দিতে দেরি করছে, এই অজুহাতে তেল আবিব গাজায় ত্রাণ প্রবেশের হার...
১৫ ঘণ্টা আগেআজকে সারা বিশ্বে শিশুরা ক্রমবর্ধমান নিপীড়ন ও সহিংসতার শিকার। এটা যে শুধু যুদ্ধ কিংবা সংঘাতসংকুল অঞ্চলে ঘটছে, তা-ই নয়, অন্যান্য অঞ্চলেও এ-জাতীয় সহিংসতা ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের সূত্র অনুসারে, গত বছর বিশ্বব্যাপী ২২ হাজারের বেশি শিশুর কুশল এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৮ হাজারই
১ দিন আগে