সম্পাদকীয়
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক বরখাস্ত সৈনিক ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে আজকের পত্রিকায় ১৮ মে একটি খবর ছাপা হয়েছে। ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা সেনানিবাসের আশপাশে পরিকল্পিত নাশকতা ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। ঘটনাটিকে নিছক বিচ্ছিন্ন হিসেবে না দেখে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে দেখা উচিত। দেশের রাজনীতিতে যে কিছুটা অস্থিরতা চলছে, তা অস্বীকার করা যাবে না।
আবার রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ শুধু বাহিনীর নয়, গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রের শৃঙ্খলার প্রতীক। সেই জায়গা থেকে কোনো সাবেক সেনাসদস্য অসন্তোষ, বিদ্বেষ কিংবা প্রতিশোধপরায়ণ মানসিকতা নিয়ে সামনে এলেও তা উদ্বেগজনক। তবে এর পেছনে রাজনৈতিক প্ররোচনা ছিল কি না, অথবা এমন ঘটনার সুযোগে কেউ গুজব বা আতঙ্ক সৃষ্টিতে ইন্ধন জুগিয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও গুরুত্বপূর্ণ।
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেসব গুজব ছড়ানো হয়েছে, তা ছিল একধরনের সংগঠিত বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা। সেনানিবাস ঘিরে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেও কেউ কেউ ‘অভ্যুত্থান’ বা ‘সেনা অসন্তোষ’ ধরনের ভীতিকর ও ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রচার করেছেন। এই প্রবণতা শুধু অনভিপ্রেতই নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি অবজ্ঞাসূচকও।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেমন অপরিহার্য, তেমনি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা এবং সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষাও জরুরি। সেনাবাহিনীর মতো একটি সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড নিয়ে কেউ যদি অসন্তোষ প্রকাশ করে থাকেন, সে বিষয়ে উপযুক্ত ফোরামে বা আইনগত পদ্ধতিতে কথা বলাই গ্রহণযোগ্য পথ। কিন্তু সেটিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার পরিকল্পনা, অস্ত্রের ব্যবহার বা উসকানিমূলক সমাবেশের ডাক—এসব কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
এ ঘটনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর মধ্যকার সমন্বিত প্রতিক্রিয়া। দ্রুত সিদ্ধান্ত, বিচক্ষণতা ও প্রয়োগযোগ্যতা—এই তিনের সমন্বয়ে রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া প্রশংসনীয় হলেও একই সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্তরে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও ব্যাখ্যার প্রয়োজন ছিল।
যে সমাজে গুজব বিশ্বাসযোগ্যতার চেয়ে দ্রুত ছড়ায়, সেখানে রাষ্ট্রের দায়িত্ব শুধু নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নয়, বরং তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জনমানসকে শান্ত রাখা। প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন না রেখে নাগরিকদের অংশীদার করে নেওয়াই গণতন্ত্রের শক্তি। পাশাপাশি, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেই লক্ষ্যে বাহিনীর অভ্যন্তরে নীতিগত স্বচ্ছতা ও সাংগঠনিক সহমর্মিতা আরও জোরদার করতে হবে।
সাবেক বা বরখাস্ত সেনাসদস্যদের মনোভাব যথাযথ নিয়ন্ত্রণ, পুনর্বাসন এবং প্রয়োজনীয় পর্যবেক্ষণ আজ সময়ের দাবি। কারণ, বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা এক দিনে গড়ে ওঠেনি, তাই তার রক্ষাও দায়িত্বপূর্ণ এবং প্রজ্ঞাপূর্ণ হওয়া উচিত।
ঘটনাটি যেন রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়ের জন্য একটি আত্মসমালোচনার উপলক্ষ হয়ে ওঠে। আত্মরক্ষার পাশাপাশি আত্মসম্মান ও শৃঙ্খলাবোধকে সমান গুরুত্ব দেওয়াটাও জরুরি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক বরখাস্ত সৈনিক ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে আজকের পত্রিকায় ১৮ মে একটি খবর ছাপা হয়েছে। ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা সেনানিবাসের আশপাশে পরিকল্পিত নাশকতা ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। ঘটনাটিকে নিছক বিচ্ছিন্ন হিসেবে না দেখে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে দেখা উচিত। দেশের রাজনীতিতে যে কিছুটা অস্থিরতা চলছে, তা অস্বীকার করা যাবে না।
আবার রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আচরণ শুধু বাহিনীর নয়, গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রের শৃঙ্খলার প্রতীক। সেই জায়গা থেকে কোনো সাবেক সেনাসদস্য অসন্তোষ, বিদ্বেষ কিংবা প্রতিশোধপরায়ণ মানসিকতা নিয়ে সামনে এলেও তা উদ্বেগজনক। তবে এর পেছনে রাজনৈতিক প্ররোচনা ছিল কি না, অথবা এমন ঘটনার সুযোগে কেউ গুজব বা আতঙ্ক সৃষ্টিতে ইন্ধন জুগিয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও গুরুত্বপূর্ণ।
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেসব গুজব ছড়ানো হয়েছে, তা ছিল একধরনের সংগঠিত বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা। সেনানিবাস ঘিরে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেও কেউ কেউ ‘অভ্যুত্থান’ বা ‘সেনা অসন্তোষ’ ধরনের ভীতিকর ও ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রচার করেছেন। এই প্রবণতা শুধু অনভিপ্রেতই নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি অবজ্ঞাসূচকও।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেমন অপরিহার্য, তেমনি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা এবং সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষাও জরুরি। সেনাবাহিনীর মতো একটি সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড নিয়ে কেউ যদি অসন্তোষ প্রকাশ করে থাকেন, সে বিষয়ে উপযুক্ত ফোরামে বা আইনগত পদ্ধতিতে কথা বলাই গ্রহণযোগ্য পথ। কিন্তু সেটিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার পরিকল্পনা, অস্ত্রের ব্যবহার বা উসকানিমূলক সমাবেশের ডাক—এসব কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
এ ঘটনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর মধ্যকার সমন্বিত প্রতিক্রিয়া। দ্রুত সিদ্ধান্ত, বিচক্ষণতা ও প্রয়োগযোগ্যতা—এই তিনের সমন্বয়ে রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া প্রশংসনীয় হলেও একই সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্তরে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও ব্যাখ্যার প্রয়োজন ছিল।
যে সমাজে গুজব বিশ্বাসযোগ্যতার চেয়ে দ্রুত ছড়ায়, সেখানে রাষ্ট্রের দায়িত্ব শুধু নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নয়, বরং তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জনমানসকে শান্ত রাখা। প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন না রেখে নাগরিকদের অংশীদার করে নেওয়াই গণতন্ত্রের শক্তি। পাশাপাশি, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেই লক্ষ্যে বাহিনীর অভ্যন্তরে নীতিগত স্বচ্ছতা ও সাংগঠনিক সহমর্মিতা আরও জোরদার করতে হবে।
সাবেক বা বরখাস্ত সেনাসদস্যদের মনোভাব যথাযথ নিয়ন্ত্রণ, পুনর্বাসন এবং প্রয়োজনীয় পর্যবেক্ষণ আজ সময়ের দাবি। কারণ, বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা এক দিনে গড়ে ওঠেনি, তাই তার রক্ষাও দায়িত্বপূর্ণ এবং প্রজ্ঞাপূর্ণ হওয়া উচিত।
ঘটনাটি যেন রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়ের জন্য একটি আত্মসমালোচনার উপলক্ষ হয়ে ওঠে। আত্মরক্ষার পাশাপাশি আত্মসম্মান ও শৃঙ্খলাবোধকে সমান গুরুত্ব দেওয়াটাও জরুরি।
রাজনীতি যদি জনগণের জন্য হয়, তাহলে সেই সাধারণ জনগণকে প্রতিদিন ভোগান্তির ভেতর যারা ফেলে, তারা কি আদৌ রাজনৈতিক দল? নাকি মুখে মুখে জনগণের কথা বলা সুবিধাবাদী দল? এই প্রশ্নটি রইল অতি ডান, মধ্যপন্থী ও বাম—সব দলের প্রতি। অন্য দেশেও মানুষ আন্দোলন করে, বিশেষ করে যদি ইউরোপের কথা বলি, সেখানে রাজপথের মাঝে খোলা
৮ ঘণ্টা আগেনারী পুরুষের সমান—এই বাক্যটি আমরা বহুবার শুনেছি। সংবিধানে, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায়, এমনকি সামাজিক প্রচারণাতেও এই কথার উচ্চারণ ঘন ঘন হয়। কিন্তু এই বক্তব্যটি বাস্তব জীবনে কতটা প্রতিফলিত হচ্ছে, সে প্রশ্ন আজও বড় হয়ে দেখা দেয়। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে আসা বাংলাদেশে নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান
৮ ঘণ্টা আগে১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন কয়েকজন সেনাসদস্যের হাতে। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি ছিল একটি রাজনৈতিক দিক পরিবর্তনের মুহূর্ত। জিয়াউর রহমান কেবল একজন সেনানায়ক বা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তিকে পুনর্গঠনের কারিগর, একটি নতুন রাজনৈতিক দলের
৯ ঘণ্টা আগেসবকিছু মিলিয়ে রাজনীতি যে জটের মধ্যে পড়েছে, তাতে সাধারণ মানুষ বুঝে উঠতে পারছে না দেশের গন্তব্য কোন দিকে।
৯ ঘণ্টা আগে