মাসুমা হক প্রিয়াংকা
একটি সমাজ যখন সংকটে পড়ে, তখন বুদ্ধিজীবীরা তার দিকনির্দেশক হয়ে ওঠেন। তাঁদের কাজ শুধু লিখে যাওয়া নয়; তাঁরা সমাজের আয়না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ। কিন্তু আমাদের সময়ে? দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের দাম বাড়ার নামে সাধারণ মানুষের কাঁধে বোঝা চাপিয়ে দেওয়া, রাজনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য—এসবের বিরুদ্ধে কে কথা বলছে? রাজধানীর রাজপথে কি কোনো কবি-সাহিত্যিক দাঁড়িয়েছেন প্রতিবাদী পোস্টার হাতে? কোথায় সেই গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, যা সমাজের এই দুঃসহ বাস্তবতাকে তুলে ধরবে?
একসময় এমন ছিল না। ব্রিটিশ শাসনের নিগড়ে যখন এ দেশ ছিল বন্দী, তখন সাহিত্যিকদের কলম ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। নজরুল তাঁর ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার মাধ্যমে বিদ্রোহের বার্তা ছড়িয়েছিলেন, যা ব্রিটিশ সরকার এক বছরের মধ্যেই বন্ধ করে দেয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশের দেওয়া ‘নাইটহুড’ খেতাব ফিরিয়ে দেন। দেশভাগের বেদনাকে তিনি তুলে ধরেন ‘শেষ প্রশ্ন’ গল্পে, যেখানে এক মায়ের আর্তনাদ ব্যক্ত হয়েছিল, ‘এ কোন স্বাধীনতা?’ জীবনানন্দ দাশের কবিতায় উঠে এসেছে নিঃসঙ্গ, নিঃস্ব মানুষের কথা। সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর ক্ষুধার্ত শিশুদের নিয়ে লিখেছেন—‘এই সব গ্লানিজনিত ধোঁয়ায় ঢাকা পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে একদিন সবুজের বিস্তারে।’
কিন্তু আজ? সমাজের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে আমাদের সাহিত্যিকেরা কতটুকু সোচ্চার? বিদ্যুতের দাম এক মাসে তিনবার বাড়ে, চাল-ডাল-তেল কেনার সামর্থ্য মানুষের আর থাকে না, অথচ আমাদের কবিতায় প্রেম আছে, প্রকৃতি আছে, শূন্যতা আছে—কিন্তু ক্ষুধার কথা নেই, দ্রব্যমূল্যের বোঝা টানতে থাকা মানুষের দুঃখগাথা নেই। সাহিত্যের দায়বদ্ধতা কি ফুরিয়ে গেছে?
ফ্রান্সের কথাসাহিত্যিক আনি এরনো ২০২২ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ৮২ বছর বয়সেও তিনি মিছিলের অগ্রভাগে হাঁটতে দ্বিধা করেননি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ফ্রান্সজুড়ে যখন প্রতিবাদ চলছিল, তিনি ছিলেন রাজপথে। শুধু লেখালেখিতে নয়, তিনি তাঁর প্রতিটি কাজে দেখিয়ে দিয়েছেন, বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব কী। অথচ আমাদের দেশে? কবি-সাহিত্যিকেরা কি আজ এতটাই বিচ্ছিন্ন যে সমাজের বাস্তব সংকট তাঁদের স্পর্শ করে না? তাঁরা কি ভয় পান? নাকি তাঁদের কলম সুবিধাবাদের শিকলে বন্দী?
স্বাধীনতা মানে শুধু একটি পতাকা নয়, একটি গর্বিত জাতির আত্মমর্যাদাও বটে। রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই প্রশ্ন আজও প্রাসঙ্গিক—‘স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায়?’ যদি মানুষ ক্ষুধার্ত থাকে, অধিকারহীন থাকে, যদি শাসকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারা কথা বলতে না পারে, তাহলে এই স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ কী?
একটি সমাজ কতটা বিকশিত, তা বোঝা যায় তার সাহিত্যিকদের লেখা দেখে। সমাজের আয়না যদি ধুলা জমে অস্পষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সত্য প্রতিফলিত হবে কোথায়? একসময় সাহিত্যের শক্তিই ছিল সমাজ বদলের হাতিয়ার। আজ সাহিত্যের কাজ কি শুধুই বিনোদন দেওয়া? নাকি এখনো সে সমাজের বিবেক হয়ে উঠতে পারেনি?
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এক নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতিতে পক্ষ-বিপক্ষ মতামত থাকতেই পারে, এক পক্ষের অবস্থান অন্য পক্ষের কাছে বর্জনীয় হলেও প্রতিকারের পথ হতে হবে আইনসংগত ও যুক্তিসংগত। ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত ক্রোধকে জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে মেলানো যায় না। আমরা দেখছি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বহু স্থাপনা ও প্রতীক ধ্বংস করা হচ্ছে, কিন্তু ইতিহাস বলছে, এসব ধ্বংসযজ্ঞের শেষ পরিণাম কখনো শুভ হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষা করা এবং দেশের ভেতর নতুন করে সংঘাতের উপাদান সৃষ্টি না করা। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। যদি তা-ই হয়, তবে তাঁর বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগই হওয়া উচিত। তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্য মোকাবিলা করতে হলে প্রয়োজন ন্যায়সংগত এবং রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ব প্রতিক্রিয়া।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘ভাঙার প্রকল্প থেকে সরে এসে গড়ার প্রকল্প হাতে নেওয়া উচিত।’ এটি অত্যন্ত সময়োপযোগী কথা। রাষ্ট্রব্যবস্থায় পরিবর্তন বা শুদ্ধি অভিযান প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু তা যদি সহিংস হয়ে ওঠে, তাহলে সেটি কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না। বরং এর ফলে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও জটিল হবে, সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে এবং জনগণের মধ্যে বিভাজন আরও গভীর হবে।
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের মূল চেতনা ছিল ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। সেই চেতনার পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ডই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ইতিহাস সাক্ষী, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি কোনো দেশকে এগিয়ে নিতে পারেনি। বরং জাতিকে একত্র করে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব মতাদর্শের সহাবস্থান নিশ্চিত করেই প্রকৃত পরিবর্তন আনা সম্ভব।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাহিত্যিকদেরও আত্মজিজ্ঞাসার সময়। তাঁরা কি শুধু উৎসব-আনন্দের বয়ানকারী, নাকি সংগ্রামেরও? তাঁদের কলম কি কেবল কাব্যমাধুর্যে ভাসবে, নাকি দ্রব্যমূল্যের চাপে পিষ্ট মানুষের আর্তনাদও তুলে ধরবে? সত্য বলার সাহস কি চিরতরে হারিয়ে গেছে, নাকি এখনো কারও মধ্যে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্তের বিদ্রোহী সত্তা বেঁচে আছে?
সমাজের বিবেক হিসেবে সাহিত্যিকদের জেগে উঠতেই হবে। স্বাধীনতার নামে নিঃশব্দ বন্দিত্ব বরণ করলে আগামী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর, সাহসী লেখনীতে প্রতিবাদ তোলার এবং সমাজকে সত্যিকার অর্থে আলোর পথে নেওয়ার সময় এখনই।
একটি সমাজ যখন সংকটে পড়ে, তখন বুদ্ধিজীবীরা তার দিকনির্দেশক হয়ে ওঠেন। তাঁদের কাজ শুধু লিখে যাওয়া নয়; তাঁরা সমাজের আয়না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ। কিন্তু আমাদের সময়ে? দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের দাম বাড়ার নামে সাধারণ মানুষের কাঁধে বোঝা চাপিয়ে দেওয়া, রাজনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য—এসবের বিরুদ্ধে কে কথা বলছে? রাজধানীর রাজপথে কি কোনো কবি-সাহিত্যিক দাঁড়িয়েছেন প্রতিবাদী পোস্টার হাতে? কোথায় সেই গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, যা সমাজের এই দুঃসহ বাস্তবতাকে তুলে ধরবে?
একসময় এমন ছিল না। ব্রিটিশ শাসনের নিগড়ে যখন এ দেশ ছিল বন্দী, তখন সাহিত্যিকদের কলম ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। নজরুল তাঁর ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার মাধ্যমে বিদ্রোহের বার্তা ছড়িয়েছিলেন, যা ব্রিটিশ সরকার এক বছরের মধ্যেই বন্ধ করে দেয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশের দেওয়া ‘নাইটহুড’ খেতাব ফিরিয়ে দেন। দেশভাগের বেদনাকে তিনি তুলে ধরেন ‘শেষ প্রশ্ন’ গল্পে, যেখানে এক মায়ের আর্তনাদ ব্যক্ত হয়েছিল, ‘এ কোন স্বাধীনতা?’ জীবনানন্দ দাশের কবিতায় উঠে এসেছে নিঃসঙ্গ, নিঃস্ব মানুষের কথা। সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর ক্ষুধার্ত শিশুদের নিয়ে লিখেছেন—‘এই সব গ্লানিজনিত ধোঁয়ায় ঢাকা পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে একদিন সবুজের বিস্তারে।’
কিন্তু আজ? সমাজের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে আমাদের সাহিত্যিকেরা কতটুকু সোচ্চার? বিদ্যুতের দাম এক মাসে তিনবার বাড়ে, চাল-ডাল-তেল কেনার সামর্থ্য মানুষের আর থাকে না, অথচ আমাদের কবিতায় প্রেম আছে, প্রকৃতি আছে, শূন্যতা আছে—কিন্তু ক্ষুধার কথা নেই, দ্রব্যমূল্যের বোঝা টানতে থাকা মানুষের দুঃখগাথা নেই। সাহিত্যের দায়বদ্ধতা কি ফুরিয়ে গেছে?
ফ্রান্সের কথাসাহিত্যিক আনি এরনো ২০২২ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ৮২ বছর বয়সেও তিনি মিছিলের অগ্রভাগে হাঁটতে দ্বিধা করেননি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ফ্রান্সজুড়ে যখন প্রতিবাদ চলছিল, তিনি ছিলেন রাজপথে। শুধু লেখালেখিতে নয়, তিনি তাঁর প্রতিটি কাজে দেখিয়ে দিয়েছেন, বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব কী। অথচ আমাদের দেশে? কবি-সাহিত্যিকেরা কি আজ এতটাই বিচ্ছিন্ন যে সমাজের বাস্তব সংকট তাঁদের স্পর্শ করে না? তাঁরা কি ভয় পান? নাকি তাঁদের কলম সুবিধাবাদের শিকলে বন্দী?
স্বাধীনতা মানে শুধু একটি পতাকা নয়, একটি গর্বিত জাতির আত্মমর্যাদাও বটে। রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই প্রশ্ন আজও প্রাসঙ্গিক—‘স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায়?’ যদি মানুষ ক্ষুধার্ত থাকে, অধিকারহীন থাকে, যদি শাসকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারা কথা বলতে না পারে, তাহলে এই স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ কী?
একটি সমাজ কতটা বিকশিত, তা বোঝা যায় তার সাহিত্যিকদের লেখা দেখে। সমাজের আয়না যদি ধুলা জমে অস্পষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সত্য প্রতিফলিত হবে কোথায়? একসময় সাহিত্যের শক্তিই ছিল সমাজ বদলের হাতিয়ার। আজ সাহিত্যের কাজ কি শুধুই বিনোদন দেওয়া? নাকি এখনো সে সমাজের বিবেক হয়ে উঠতে পারেনি?
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এক নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতিতে পক্ষ-বিপক্ষ মতামত থাকতেই পারে, এক পক্ষের অবস্থান অন্য পক্ষের কাছে বর্জনীয় হলেও প্রতিকারের পথ হতে হবে আইনসংগত ও যুক্তিসংগত। ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত ক্রোধকে জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে মেলানো যায় না। আমরা দেখছি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বহু স্থাপনা ও প্রতীক ধ্বংস করা হচ্ছে, কিন্তু ইতিহাস বলছে, এসব ধ্বংসযজ্ঞের শেষ পরিণাম কখনো শুভ হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষা করা এবং দেশের ভেতর নতুন করে সংঘাতের উপাদান সৃষ্টি না করা। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। যদি তা-ই হয়, তবে তাঁর বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগই হওয়া উচিত। তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্য মোকাবিলা করতে হলে প্রয়োজন ন্যায়সংগত এবং রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ব প্রতিক্রিয়া।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘ভাঙার প্রকল্প থেকে সরে এসে গড়ার প্রকল্প হাতে নেওয়া উচিত।’ এটি অত্যন্ত সময়োপযোগী কথা। রাষ্ট্রব্যবস্থায় পরিবর্তন বা শুদ্ধি অভিযান প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু তা যদি সহিংস হয়ে ওঠে, তাহলে সেটি কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না। বরং এর ফলে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও জটিল হবে, সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে এবং জনগণের মধ্যে বিভাজন আরও গভীর হবে।
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের মূল চেতনা ছিল ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। সেই চেতনার পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ডই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ইতিহাস সাক্ষী, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি কোনো দেশকে এগিয়ে নিতে পারেনি। বরং জাতিকে একত্র করে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব মতাদর্শের সহাবস্থান নিশ্চিত করেই প্রকৃত পরিবর্তন আনা সম্ভব।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাহিত্যিকদেরও আত্মজিজ্ঞাসার সময়। তাঁরা কি শুধু উৎসব-আনন্দের বয়ানকারী, নাকি সংগ্রামেরও? তাঁদের কলম কি কেবল কাব্যমাধুর্যে ভাসবে, নাকি দ্রব্যমূল্যের চাপে পিষ্ট মানুষের আর্তনাদও তুলে ধরবে? সত্য বলার সাহস কি চিরতরে হারিয়ে গেছে, নাকি এখনো কারও মধ্যে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্তের বিদ্রোহী সত্তা বেঁচে আছে?
সমাজের বিবেক হিসেবে সাহিত্যিকদের জেগে উঠতেই হবে। স্বাধীনতার নামে নিঃশব্দ বন্দিত্ব বরণ করলে আগামী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর, সাহসী লেখনীতে প্রতিবাদ তোলার এবং সমাজকে সত্যিকার অর্থে আলোর পথে নেওয়ার সময় এখনই।
এবারের মার্চ মাসটাকে কীভাবে দেখা হবে? কে কীভাবে দেখবে? উন্মাতাল এই শহরের ফুঁসে ওঠা দেখে শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন ৩ মার্চের ইত্তেফাকের শিরোনাম করেছিলেন ‘বিক্ষুব্ধ নগরীর ভয়াল গর্জন’।
১১ ঘণ্টা আগেএবার সিডনির বইমেলায়ও মানুষের সমাগম কম হয়েছে। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত মেলাটিতে ছিল সামান্যসংখ্যক মানুষ। পরদিন রোববার দীর্ঘকালের মেলাটি গতবারের মতো মানুষ টানতে পারেনি। আমি যখন মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে পৌঁছাই, তখন যা দেখেছি তাতে এটা বলা চলে যে মানুষ আগের মতো আসেনি।
১১ ঘণ্টা আগেকতভাবে যে লুটপাটের পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন চলছে, তার হিসাব কোনো জ্যোতিষী হিসাববিজ্ঞানে পারদর্শী ব্যক্তিও করতে পারবেন বলে মনে হয় না। ২৪ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকায় ‘২০০ বছরের মাঠ কেটে পুকুর, উজাড় গাছও’ শিরোনামের খবরটি পড়লে...
১১ ঘণ্টা আগেড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। বর্তমানে তিনি বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন...
১ দিন আগে