Ajker Patrika

অভিভাবকশূন্য তিন উপজেলার ১৮৮ বিদ্যালয়

  • কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ার ১০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
  • গৌরীপুরে অভিভাবকশূন্য ৭৯ বিদ্যালয়। পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৩১ বিদ্যালয়ে।
  • অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে এই পদগুলো শূন্য হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৯: ৪১
অভিভাবকশূন্য তিন উপজেলার ১৮৮ বিদ্যালয়

ময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে এই পদগুলো শূন্য হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। এতে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান চলছে এসব প্রতিষ্ঠানে। ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রমও।

গৌরীপুরে অভিভাবকশূন্য ৭৯ বিদ্যালয়

গৌরীপুরে ৭৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকের ৪৭টি পদও শূন্য রয়েছে উপজেলার ৩১টি বিদ্যালয়ে। এগুলোর মধ্যে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে তিন-চারজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ ফাঁকা। শিক্ষকশূন্য এসব বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে শিক্ষক দেওয়ার কথা বললেও চাহিদার তুলনায় তা নগণ্য।

গৌরীপুরে প্রধান শিক্ষক না থাকা বিদ্যালয়গুলো হলো শ্যামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লামাপাড়া, ডেংগা, চান্দের সাটিয়া, রামচন্দ্র নগর, শাহগঞ্জ, ছিলিমপুর, খলতবাড়ী, কড়েহা, নহাটা, আমুদপুর, ভুটিয়ারকোনা, ঘাটেরকোনা, সোনাকান্দি, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, পল্টীপাড়া, ভালুকাপুর, কাশীচরণ, টেংগাপাড়া, বড়ভাগ, দাড়িয়াপুর, গোবিন্দনগর, পশ্চিমপাড়া, বিশ্বনাথপুর, ধুরুয়া, ডাউকী, নওয়াগাঁও, আহছানপুর, সরযুবালা পৌর, গিধাউষা, লক্ষ্মীপুর, বেলতলী, উখাকান্দা, শৌলঘাই, সাতপাই, পশ্চিম কাউরাট, বেকারকান্দা, গাভীশিমুল, ইছুলিয়া, মুখুরিয়া, মহিশ্বরণ, সিংরাউন্দ, সহরবানু, ধারাকান্দি, বিষমপুর নিউ, নিজ মাওহা, কুমড়ি, চল্লিশা কড়েহা, কুমড়ি, মাওহা নয়ানগর, দৌলতাবাদ, বহেড়াতলা, বড়ইবাড়ী, সহনাটি আব্বাসিয়া, বেতন্দর আদর্শ সংসদ, আব্দুর রহমান, গুজিখা, দামগাঁও, পাঁচাশি, আগপাড়া, কান্দুলিয়া, পশ্চিমপাড়া, বৈরাটি আজমত আলী, হিরন সনখিলা, সাবদুল সরকার, আজমত আলী মণ্ডল, নাপ্তের আলগী, সিধলা চারআনি, গোবরা, হাসানপুর উত্তর পাড়া, পূর্ব পুনারিয়া, চিতরাটিয়া, চানপুর, আব্দুল শেখ মেমোরিয়াল, শৌলঘাই, সুতিরপায়া, শাহবাজপুর ও নন্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে চল্লিশা কড়েহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড়ইবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনজন করে এবং গোবরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদও শূন্য। এ ছাড়া মাওহা, কড়েহা, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, উখাকান্দা, যোগীর ডাংগুলি, বহেড়াতলা, পেচাংগীয়া এবং পূর্ব পুবারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় পড়াশোনায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষকেরা যথাসময়ে স্কুলে আসেন না, আবার নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছুটি দিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে একাধিক। এতে বিদ্যালয় থেকে ঝরে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী।

গৌরীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে প্রধান শিক্ষককের পদগুলো শূন্য হয়েছে। সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকা বিদ্যালয়গুলোর বেশির ভাগই প্রত্যন্ত অঞ্চলের। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পোস্টিং দিলে তাঁরা বিভিন্ন প্রভাবশালীর মাধ্যমে তুলনামূলক সুবিধাজনক বিদ্যালয়ে চলে যান। এতে বিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। এসব প্রতিবন্ধকতা নিয়েই পাঠদান চলছে। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছে।’

ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচংয়ে ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম

কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে শুরু করে শিক্ষাদান প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুড়িচং উপজেলার ১৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৩টিতে এবং ব্রাহ্মণপাড়ার ১০৮টির মধ্যে ৫৬টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। শুধু তা-ই নয়, বুড়িচংয়ে ৩২টি ও ব্রাহ্মণপাড়ায় ২১টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে।

এ ছাড়া, বুড়িচংয়ের কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদসংক্রান্ত মামলা চলমান রয়েছে। বিদ্যালয়গুলো হলো বাজেবাহেরচর, বাহিড়ীপাড়া, হাসনাবাদ, পাইকোঠা, রাজাপুর পূর্বপাড়া লালমিয়া, নামতলা ও পরিহলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

অন্য দিকে নতুন পদ সৃষ্টি হলেও এখনো নিয়োগ না হওয়ায় শূন্য রয়েছে—ইছাপুরা-২, উত্তর পশ্চিম গোবিন্দপুর, বাকশীমুল উত্তরপাড়া, উত্তর জরুইন ও বুড়িচং হাজী ফজর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি কামরুল হাসান বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। একজন প্রধান শিক্ষক শুধু ক্লাসই নেন না, তিনি সহকারী শিক্ষকদের তদারকির পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজও পরিচালনা করেন। সহকারী শিক্ষক দিয়ে ওই দায়িত্ব পালন করালে উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যা হয়।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা হালিমা পারভীন বলেন, ‘শূন্য পদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে সংকট নিরসন হবে।’

বুড়িচং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফওজিয়া আক্তার বলেন, চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। নতুন নিয়োগ হলে সংকট কেটে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

সিসিইউতে নিবিড় তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়া, আশাবাদী চিকিৎসকেরা

ইউরোপ চাইলে রাশিয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত—পুতিনের এই মন্তব্যে ব্রিটেনের তীব্র প্রতিক্রিয়া

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

জামায়াতে ইসলামীর প্রথম হিন্দু প্রার্থী খুলনার কৃষ্ণ নন্দী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানবতাবিরোধী অপরাধ: জয়সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেওয়া হবে শিগগির

এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা  
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে (গত বছরের জুলাই-আগস্ট) সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশন এই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে কয়েক দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবে।

তদন্ত প্রতিবেদনে নাম থাকা অপর তিনজন হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

জানতে চাইলে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চার-পাঁচজনের তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। যাচাই-বাছাই চলছে। আগামী সপ্তাহে এসব আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে পারব বলে আশা করছি।’

জানা গেছে, ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিলে এর মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হবে।

ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বিষয়ে তদন্ত শেষ দিকে রয়েছে। শিগগির তাঁর বিষয়ে প্রতিবেদন জমা হলে যাচাই-বাছাই করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।

সূত্র জানায়, আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই-আগস্টে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডে উসকানি, সহযোগিতা, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হচ্ছে। সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট বন্ধ করা, হতাহতের তথ্য গোপন ও হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হচ্ছে। গুম-খুনের অভিযোগ আনা হচ্ছে জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে।

প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সজীব ওয়াজেদ জয়, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন। এসব যাচাই-বাছাই চলছে। আগামী সপ্তাহে দাখিল করার আশা করা হচ্ছে। তবে জিয়াউল আহসানের বিষয়টি পরের ধাপে আসবে। সেটিও দ্রুত হাতে পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ে গত ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অপর আসামি ও পরে রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে দুটি ট্রাইব্যুনালে আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানো, চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ড, রংপুরে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড, রামপুরায় হত্যাকাণ্ড ও কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য রয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলা।

অভিযোগ গঠনের জন্য রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ সাবেক-বর্তমান বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলাও অভিযোগ গঠনের জন্য রয়েছে। তদন্ত চলছে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, জাহাজবাড়িতে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যাকাণ্ড, গুম-নির্যাতন, উত্তরায় হত্যাকাণ্ড, গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে হৃদয় হত্যাকাণ্ড, মহাখালী-তেজগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার।

এ ছাড়া কক্সবাজারে কাউন্সিলর একরাম হত্যা, চট্টগ্রামে ওয়াসিম হত্যাসহ রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, রাজশাহী ও লক্ষ্মীপুরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা পৃথক মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলছে বলে ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

সিসিইউতে নিবিড় তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়া, আশাবাদী চিকিৎসকেরা

ইউরোপ চাইলে রাশিয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত—পুতিনের এই মন্তব্যে ব্রিটেনের তীব্র প্রতিক্রিয়া

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

জামায়াতে ইসলামীর প্রথম হিন্দু প্রার্থী খুলনার কৃষ্ণ নন্দী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সেনা কর্মকর্তাদের ভার্চুয়ালি শুনানির আবেদন নামঞ্জুর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রিজন ভ্যানে করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয় সেনা কর্মকর্তাদের। ফাইল ছবি
প্রিজন ভ্যানে করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয় সেনা কর্মকর্তাদের। ফাইল ছবি

গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কর্মকর্তাদের ভার্চুয়ালি শুনানির আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।

শুনানির শুরুতে চিফ প্রসিকিউটর এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তুলে ধরেন এবং অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান। পরে আসামিপক্ষ থেকে আসামিদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

একই সময় সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির না করে ভার্চুয়ালি শুনানি করতে করা আবেদনের বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন আইনজীবী ড. তাবারক হোসেন। তবে শুনানি শেষে দৃশ্যমান বিচারের স্বার্থে আবেদন নামঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। আদালত বলেন, আইন সবার জন্য সমান।

শেখ হাসিনা, সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ১০ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

তাঁরা হলেন—র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

এ ছাড়া এই মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর-রশিদ এবং সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।

এর আগে র‍্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) মাধ্যমে গুম–নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আজ আসামিদের সকাল সোয়া ১০টার দিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তাঁদের হাজির উপলক্ষে সকাল থেকে ট্রাইব্যুনাল ও এর আশপাশে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। আসামিদের হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলা হয় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে। আর ট্রাইব্যুনালের বিচারকেরা এজলাসে আসেন দুপুর পৌনে ১২টায়। এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

সিসিইউতে নিবিড় তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়া, আশাবাদী চিকিৎসকেরা

ইউরোপ চাইলে রাশিয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত—পুতিনের এই মন্তব্যে ব্রিটেনের তীব্র প্রতিক্রিয়া

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

জামায়াতে ইসলামীর প্রথম হিন্দু প্রার্থী খুলনার কৃষ্ণ নন্দী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুম ও নির্যাতনের যে চার অভিযোগ শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গুম ও নির্যাতনের যে চার অভিযোগ শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আবেদন জানিয়েছে প্রসিকিউশন। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এর আগে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি করেন তিনি। অপর দিকে অভিযোগ থেকে আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়। এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে পৃথক চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ-১—২০১৬ সালের ২৩ মে থেকে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ জনকে আটক, অপহরণ ও গুম করে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। র‍্যাবের সদর দপ্তর কার্গো অ্যাডমিন বিল্ডিং ও র‍্যাব-১-এর কম্পাউন্ডে পুরোনো অস্ত্রাগারসংলগ্ন দ্বিতল ভবনে অবস্থিত টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটক রেখে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এখানে যাঁদের গুম করে রাখা হয়েছিল, তাঁরা হলেন—তাজুল ইসলাম সুমন, আশিক উল আকবর, মাহমুদুল হাসান, নূরে আলম, মো. শরীয়তউল্ল্যাহ, মো. রাজিবুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাশেম আরমান, সাইফুল ইসলাম তারেক, রিজওয়ান মাহমুদ অনিক, মো. ফয়েজ ও মাসরুর আনোয়ার চৌধুরী।

১ নম্বর অভিযোগে আসামি করা হয়েছে—শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, বেনজীর আহমেদ, আনোয়ার লতিফ খান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. মাহাবুব আলম ও মো. সারোয়ার বিন কাশেমকে।

এতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে এবং বিরোধী দল ও মত নির্মূল করার লক্ষ্যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ব্যাপক মাত্রায়, লক্ষ্যভিত্তিক এবং পদ্ধতিগতভাবে অবৈধ আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছে। এর অংশ হিসেবে উল্লিখিত ১১ জনকে আসামিরা আটক করে অপহরণপূর্বক র‍্যাব গোয়েন্দা বিভাগের বন্দিশালা টিএফআই সেলে নির্যাতন করেছে।

অভিযোগ-২—২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক, অপহরণ ও গুম করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ। র‍্যাবের সদর দপ্তর কার্গো অ্যাডমিন বিল্ডিং ও র‍্যাব-১-এর কম্পাউন্ডে পুরোনো অস্ত্রাগারসংলগ্ন দ্বিতল ভবনে অবস্থিত টিএফআই সেলে আটক রেখে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এখানে যাঁদের গুম করে রাখা হয়েছিল, তাঁরা হলেন—ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাশেম আরমান, সাইফুল ইসলাম তারেক, সোহেল রানা, মেহেদী হাসান ডলার ও মো. শফিকুল ইসলাম।

২ নম্বর অভিযোগে আসামি করা হয়েছে—শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার, কে এম আজাদ, সারোয়ার বিন কাশেম, মো. খায়রুল ইসলাম ও মো. মশিউর রহমান জুয়েলকে।

অভিযোগ ৩—২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৪ জুন পর্যন্ত দুজনকে আটক, অপহরণ ও গুম করে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। র‍্যাবের সদর দপ্তর কার্গো অ্যাডমিন বিল্ডিং ও র‍্যাব-১-এর কম্পাউন্ডে পুরোনো অস্ত্রাগারসংলগ্ন দ্বিতল ভবনে অবস্থিত টিএফআই সেলে আটক রেখে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এখানে যাঁদের গুম করে রাখা হয়েছিল, তাঁরা হলেন—ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাশেম আরমান ও সোহেল রানা।

৩ নম্বর অভিযোগে আসামি করা হয়েছে—শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, এম খুরশিদ হোসেন, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম, মশিউর রহমান জুয়েল ও সাইফুল ইসলাম সুমনকে।

অভিযোগ ৪—২০২৪ সালের ৫ জুন থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত একজনকে আটক, অপহরণ ও গুম করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ। র‍্যাবের সদর দপ্তর কার্গো অ্যাডমিন বিল্ডিংয়ে ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাশেম আরমানকে আটক রেখে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আসামি করা হয়েছে—শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার হারুন অর-রশিদ, মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল মোমেন ও সাইফুল ইসলাম সুমনকে।

এই মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ১০ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন—র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

এ ছাড়া এই মামলায় পলাতক রয়েছেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর-রশিদ এবং সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।

এর আগে র‍্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) মাধ্যমে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

সিসিইউতে নিবিড় তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়া, আশাবাদী চিকিৎসকেরা

ইউরোপ চাইলে রাশিয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত—পুতিনের এই মন্তব্যে ব্রিটেনের তীব্র প্রতিক্রিয়া

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

জামায়াতে ইসলামীর প্রথম হিন্দু প্রার্থী খুলনার কৃষ্ণ নন্দী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাষ্ট্রের ৯ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি, বিটিআরসির সাবেক ৩ চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাষ্ট্রের ৯ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি, বিটিআরসির সাবেক ৩ চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) দায়িত্ব পালনকালে বেআইনি সিদ্ধান্তের জেরে রাষ্ট্রের ৯ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে বিটিআরসির সাবেক তিন চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের নামে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থার মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে কমিশন মামলার অনুমোদন দিয়েছে। বিটিআরসির সাবেক কর্মকর্তাদের বেআইনি সিদ্ধান্তের কারণে রাষ্ট্রের বিশাল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। তদন্তে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, শাহজাহান মাহমুদ ও মো. জহুরুল হক; বিটিআরসির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান, বিটিআরসির সাবেক কমিশনার মো. রেজাউল কাদের ও মো. আমিনুল হাসান।

অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাকালে এসব কর্মকর্তা সরকারের অনুমোদন ছাড়া এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও গাইডলাইন লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (IGW) অপারেটরদের আর্থিকভাবে লাভবান করার উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

দুদক বলছে, পরীক্ষামূলকভাবে এক বছরের জন্য নির্ধারিত আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের টার্মিনেশন রেট ০.০৩ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ০.০১৫ ডলার করা হয়। একই সঙ্গে বিটিআরসির রেভিনিউ শেয়ার ৫১ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ এবং IGW অপারেটরদের শেয়ার ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। পরীক্ষামূলক এক বছর পর এই হার বহাল রাখার কোনো অনুমোদন না থাকলেও তা বেআইনিভাবে ২৮ মাস ধরে কার্যকর রাখা হয়।

এই অনিয়মের ফলে রেভিনিউ শেয়ারে ৩৮৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। কম রেটে কল আনায় ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ৯৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে ৭২ লাখ ১০ হাজার ৯৬৯ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকার বেশি ক্ষতিসহ সব মিলিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

রাষ্ট্রের এই বিপুল ক্ষতি, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪১৮ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭–এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

সিসিইউতে নিবিড় তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়া, আশাবাদী চিকিৎসকেরা

ইউরোপ চাইলে রাশিয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত—পুতিনের এই মন্তব্যে ব্রিটেনের তীব্র প্রতিক্রিয়া

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

জামায়াতে ইসলামীর প্রথম হিন্দু প্রার্থী খুলনার কৃষ্ণ নন্দী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত