নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সারা দেশে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতা থামাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি এক খোলা চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ খোলা চিঠির বক্তব্য তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক বাসুদেব ধর। খোলা চিঠির বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও। খোলা চিঠিতে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠা ও সংস্কারের লক্ষ্যে অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বিজয় চূড়ান্ত লক্ষ্য অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু একটি বিশেষ গোষ্ঠী সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে সহিংসতা ছাড়িয়ে এ অর্জনকে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। প্রাপ্ত সাংগঠনিক বিবরণ এবং গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যে অন্তত ৫২টি জেলায় এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় হাজার হাজার হিন্দু পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। অনেক মন্দিরে হামলার পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, অনেক মহিলা নিগৃহীত হয়েছেন। কয়েকটি স্থানে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। আক্রান্ত হয়েছে অন্য সংখ্যালঘুরাও। মূলত ৫ আগস্ট থেকে এ সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সারা দেশে সংখ্যালঘুদের গভীর শঙ্কা, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমরা অবিলম্বে এই অবস্থার অবসান চাই।’
খোলা চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘এই পরিস্থিতিতে আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতি, সম্মানিত সেনাপ্রধান, সংগ্রামী ছাত্র নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্মানিত নেতৃবৃন্দের কাছে আমাদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জানানোর চেষ্টা করেছি। তাঁরাও তাঁদের বক্তব্য-ভাষণে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি গত তিন দিন ধরে গভীর শূন্যতার মধ্যে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আর্তনাদ প্রলম্বিত হচ্ছে।’
খোলা চিঠিতে অবিলম্বে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রক্তক্ষরণ অবসানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে এ কয়েক দিনের সাম্প্রদায়িক হামলার যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা আংশিক। প্রতিদিনই হামলার খবর আসছে। আরও ভয়ংকর যে চিত্র উঠে আসছে, তা হলো হিন্দুদের রক্ষার নামে ব্যাপকভাবে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বিপন্ন সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী সমাজ। দেশজুড়ে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী ও রঞ্জন কর্মকার। মঞ্চে ছিলেন ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য যোসেফ সুধীন মণ্ডল, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি জে এল ভৌমিক। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ।
সারা দেশে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতা থামাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি এক খোলা চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ খোলা চিঠির বক্তব্য তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক বাসুদেব ধর। খোলা চিঠির বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও। খোলা চিঠিতে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠা ও সংস্কারের লক্ষ্যে অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বিজয় চূড়ান্ত লক্ষ্য অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু একটি বিশেষ গোষ্ঠী সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে সহিংসতা ছাড়িয়ে এ অর্জনকে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। প্রাপ্ত সাংগঠনিক বিবরণ এবং গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যে অন্তত ৫২টি জেলায় এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় হাজার হাজার হিন্দু পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। অনেক মন্দিরে হামলার পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, অনেক মহিলা নিগৃহীত হয়েছেন। কয়েকটি স্থানে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। আক্রান্ত হয়েছে অন্য সংখ্যালঘুরাও। মূলত ৫ আগস্ট থেকে এ সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সারা দেশে সংখ্যালঘুদের গভীর শঙ্কা, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমরা অবিলম্বে এই অবস্থার অবসান চাই।’
খোলা চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘এই পরিস্থিতিতে আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতি, সম্মানিত সেনাপ্রধান, সংগ্রামী ছাত্র নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্মানিত নেতৃবৃন্দের কাছে আমাদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জানানোর চেষ্টা করেছি। তাঁরাও তাঁদের বক্তব্য-ভাষণে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি গত তিন দিন ধরে গভীর শূন্যতার মধ্যে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আর্তনাদ প্রলম্বিত হচ্ছে।’
খোলা চিঠিতে অবিলম্বে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রক্তক্ষরণ অবসানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে এ কয়েক দিনের সাম্প্রদায়িক হামলার যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা আংশিক। প্রতিদিনই হামলার খবর আসছে। আরও ভয়ংকর যে চিত্র উঠে আসছে, তা হলো হিন্দুদের রক্ষার নামে ব্যাপকভাবে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বিপন্ন সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী সমাজ। দেশজুড়ে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী ও রঞ্জন কর্মকার। মঞ্চে ছিলেন ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য যোসেফ সুধীন মণ্ডল, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি জে এল ভৌমিক। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ।
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আলোচনা শেষ করা হবে জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সংলাপের সমাপ্তি টানা কমিশনের প্রধান লক্ষ্য। সংলাপে আমরা ১০টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছি। ৭টি বিষয় অসমাপ্ত আছে আর ৩টি বিষয়ে আলোচনা হয়নি।
২১ মিনিট আগেনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন বা আছেন কিংবা নিবন্ধন পেতে আবেদনের সময়ের মধ্যে কোনো নির্বাচনের প্রার্থী হতে আগ্রহী এমন কোনো ব্যক্তি যদি পর্যবেক্ষণের জন্য আবেদনকারী কোনো সংস্থার প্রধান নির্বাহী কিংবা পরিচালনা পর্ষদে বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হয়ে থাকেন, তাহলে সেটি যে নামেই হোক না...
৪ ঘণ্টা আগেএখন চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১১ জুন মধ্যরাত থেকে জেলেরা ইলিশ শিকারে নেমেছিলেন নদী-সাগরে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ধরা পড়ছে না এই মাছ। এর জন্য ভোলায় নদীর তলদেশে অসংখ্য ডুবোচর এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সন্দ্বীপ চ্যানেলে জলবায়ু পরিবর্তন ও শিল্পকারখানার বর্জ্যের প্রভাবকে...
৮ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে