Ajker Patrika

সেতু ভবন পোড়ানো নিয়ে হাসিনা-তাপস ‘ফোনালাপ’ ট্রাইব্যুনালে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সেতু ভবন পোড়ানো নিয়ে হাসিনা-তাপস ‘ফোনালাপ’ ট্রাইব্যুনালে

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের কথোপকথনের সময় শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা গেছে, ‘সব জায়গায় আগুন। বিআরটি, বিটিআরসি বন্ধ করে দিছে, পোড়াইয়া দিছে, বিটিভি পোড়াইয়া দিছে। এখন তো ইন্টারনেট বন্ধ, সব পোড়াইয়া দিছে, এখন চলবে কীভাবে।’ তখন অপর প্রান্ত থেকে তাপস বলেন, ‘জি এটা ভালো হয়েছে।’ তখন শেখ হাসিনা বলেন, ‘মেশিনপত্র সব পুড়ে গেছে, আমি যা যা পোড়াতে বলেছি...ও আমাদের সেতু ভবন পোড়াইছে।’

আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ শেখ হাসিনা ও ফজলে নূর তাপসের কথোপকথনের অডিওতে এসব কথা বলতে শোনা যায়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তানভীর হাসান জোহা সাক্ষ্য দেওয়ার পর ওই অডিও শোনানো হয়। ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন জোহা। তিনি এই মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর।

জবানবন্দির শেষ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনালকে পাঁচটি অডিও দেন তানভীর হাসান জোহা। এর মধ্যে চারটি শোনানো হয়। যার মধ্যে দুটি অডিও শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর। আর অন্য দুটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি এ এস এম মাকসুদ কামাল ও ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে কথোপকথনের।

ট্রাইব্যুনালের আজকের এই বিচারিক কার্যক্রম বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। পরে জোহাকে জেরা করেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। চৌধুরী মামুন এরই মধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে এ মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা ও তাপসের ফোনালাপ হুবহু তুলে ধরা হলো—

শেখ হাসিনা: হ্যালো

তাপস: জি, সালামালাইকুম

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ, ওয়ালাইকুম আসসালাম

তাপস: জি

শেখ হাসিনা: বল বাবা। তুমি নরমাল ফোনে কল দেও ইন্টারনেটের অবস্থা ভালো না।

তাপস: নরমাল ফোনেই, নরমাল ফোনেই।

শেখ হাসিনা: আচ্ছা বল বাবা।

তাপস: জি, সন্ত্রাসীরা তো বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় বিভিন্ন সময় ঘুরতেছে। এখন কোথায় কী আক্রমণ করে, বলা যাচ্ছে না তো।

শেখ হাসিনা: না, করতেছে আমরা ওদের আবার ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর্মি আর আবাহনী ক্লাবে কি আগুন দিচ্ছে?

তাপস: ওরা মনে হয় সচিবালয়ে আক্রমণ করছে, আবাহনী ক্লাবেও।

শেখ হাসিনা: কোথায়?

তাপস: সচিবালয়ে তো আক্রমণ করছে, আপনি জানেন না?

শেখ হাসিনা: না।

তাপস: হ্যাঁ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো ওইখানে আছে, সচিবালয়ে কয়েকবার ওরা আক্রমণ করছে, ওরা রাতে যদি আবার কোথাও কোথাও বিভিন্ন সংবেদনশীল বাসাবাড়িতে আক্রমণ করে, তাহলে তো ইয়ে হবে।

শেখ হাসিনা: রাতের বেলা সব ভিজিলেন্স থাকবে এবং এই এত দিন তো...। আচ্ছা ঠিক আছে আমি এখনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। একটু আস্তে আস্তে অনেক জায়গায় গেদারিং ক্লিয়ার হচ্ছে।

তাপস: ওরা মনে হচ্ছে না ইয়ে করবে, রাতে মনে হয় ওদের আরও অনেক কিছু পরিকল্পনা আছে মনে হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো আমাকে তা-ই বলল, আভাস দিল এবং আপনাকেও মনে হয় বলছে কিছু যে, রাতে যদি সর্বোচ্চ না ইয়ে করে, করবেন নাকি?

শেখ হাসিনা: কী করব?

তাপস: মানে সেনাবাহিনী দিবেন?

শেখ হাসিনা: বাবা, একটু চিন্তা করে কথা কইও।

তাপস: জি

শেখ হাসিনা: এটাই তাদের আকাঙ্ক্ষা।

তাপস: বুঝতেছি। আমি টেকনিক্যালি এইটা বুঝতেছি। কিন্তু ওরা মনে হয় ওই পথে নেওয়ার জন্য ইয়ে করছে।

শেখ হাসিনা: দরকার নাই, ওটা দরকার নাই। আমি সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বলছি। ওরা রেডি থাকবে ঠিক আছে। এখন তো আমরা অন্য ইয়ে করতেছি। ড্রোন দিয়ে ছবি নিচ্ছি আর হেলিকপ্টারে ইয়ে হচ্ছে, মানে কয়েক জায়গায়।

তাপস: তাহলে ওই কিছু ছবি দেখে পাকড়াও করা যায় না রাতের মধ্যে?

শেখ হাসিনা: সবগুলিকে গ্রেপ্তার করতে বলেছি রাতে।

তাপস: হ্যাঁ, পাকড়াও পাকড়াও করলে ওদেরকে।

শেখ হাসিনা: না ওটা বলা হয়ে গেছে, ওটা নিয়ে র‍্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই সবাইকে বলা হয়েছে। যে যেখান থেকে যে কয়টা পারবা, ধইরা ফেলো।

তাপস: জি।

শেখ হাসিনা: ওটা বলা আছে, আর যেখানে জটলা দেখবে সেখানে ওপর থেকে, এখন ওপর থেকে করাচ্ছি, অলরেডি গুরু হয়েছে কয়েকটা জায়গায়।

তাপস: জি জি, মোহাম্মদপুর। মোহাম্মদপুর থানার দিকে মনে হয় ওরা যাচ্ছে একটা। আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলল।

শেখ হাসিনা: মোহাম্মদপুর থানার দিকে?

তাপস: হ্যাঁ

শেখ হাসিনা: ওখানে পাঠাইয়া দিক র‍্যাবকে।

তাপস: জি, তাহলে আপনার নির্দেশনা লাগবে।

শেখ হাসিনা: আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে। ওপেন নির্দেশনা দিয়ে দিছি এখন। এখন লেথাল উইপন ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সোজা গুলি করবে।

তাপস: জি জি।

শেখ হাসিনা: ওটা বলা আছে, আমি এত দিন বাধা দিয়ে রাখছিলাম। ওই যে ছাত্ররা ছিল, ওদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে, তারপর তো ওই...।

তাপস: না রাতে ছাত্র না। রাতে হলো ওরা সন্ত্রাসী।

শেখ হাসিনা: ওই যে আমাদের রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুলের একটা বাচ্চা ছেলে। তার শিক্ষক তাকে ডেকে নিয়ে আসছে, শিক্ষক নাকি আবার শিবির করত, ওরা জানে না। তারপর সেই ছেলেটা মারা গেছে। তার মাত্র বুকে একটা গুলি অথচ পুলিশ কিন্তু কোনো রিভলবার ব্যবহার করেনি।

তাপস: হ্যাঁ...জি।

শেখ হাসিনা: এই রকম ঘটনা তারা ঘটিয়েছে।

তাপস: জি, আপনি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ইয়ে করেন।

শেখ হাসিনা: সব জায়গায় আগুন... বিআরটি, বিটিআরসি বন্ধ করে দিয়েছে, পুড়িয়ে দিয়েছে, বিটিভি পুড়িয়ে দিয়েছে। এখন তো ইন্টারনেট বন্ধ সব পুড়িয়ে দিয়েছে, এখন চলবে কীভাবে?

তাপস: জি, এটা ভালো হয়েছে।

শেখ হাসিনা: মেশিনপত্র সব পুড়ে গেছে। আমি বলছি যা যা পোড়াতে...ও আমাদের সেতু ভবন পুড়িয়ে দিয়েছে।

উপস: জি, ওরা রাতে মনে হয় আরও ব্যাপক আক্রমণ করবে।

হাসিনা: হ্যাঁ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেটা পুড়িয়ে দিয়েছে।

তাপস: জি, কারণ এই যে আমি ফিরলাম, আমি দেখলাম যে রাস্তায় রাস্তায় ওরা বিভিন্ন জায়গায় ইয়ে করতে।

শেখ হাসিনা: কোন কোন জায়গায়?

তাপস: বনানীতে। বনানী গুলশানে তো সচরাচর করে না। কিন্তু বনানী গুলশানে ওরা ইয়েতে চলে আসছে। কোথাও কোথাও ইয়ে করতে পারে। মুভমেন্ট আছে সব জায়গায়।

শেখ হাসিনা: ঠিক আছে আমি দেখছি।

তাপস: জি।

শেখ হাসিনা: তোমরা সাবধানে থেকো।

তাপস: জি আমি সাবধানে আছি।

শেখ হাসিনা: আচ্ছা।

তাপস: ধরপাকড় করতে হবে, সব ধরে ফেলতে হবে রাতের মধ্যে।

শেখ হাসিনা: না না ওটা বলে দেওয়া আছে অলরেডি। আর একটু রাত গাঢ় হলেই শুরু হবে।

তাপস: জি, জি।

শেখ হাসিনা: অন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তাপস: জি জি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচন করব, পদত্যাগের বিষয়ে জানাবে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর: আসিফ মাহমুদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩২
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ। আজকের পত্রিকা
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ। আজকের পত্রিকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধির মধ্যে একজন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তাঁর অধীনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগ ও উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন আসিফ মাহমুদ। শেষ দিকে সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রশ্ন চান। এ সময় পদত্যাগ ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ জানান, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। কোন দলের মনোনয়ন নেবেন, সে প্রশ্নে বলেন, সেটি পরে জানাবেন।

আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগেই দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন ছিল।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আজ বেলা ৩টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বলে গতকাল প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন। উপদেষ্টা সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।

আরেক ছাত্র প্রতিনিধি, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে তিনি বা তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপতি: ইসি সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৫
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। ফাইল ছবি

নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ও চার কমিশনারের সাক্ষাৎ শেষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ফিরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

সচিব বলেন, নির্বাচন প্রস্তুতি ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে আমরা হালনাগাদ তথ্য জানাই। রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে—গত জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদের অগ্রগতি, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন এবং তাদের সদস্যসংখ্যার অবস্থা, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটোই একই দিনে আয়োজনের বিষয়। ব্যালট পেপারের নকশা, রং এবং কীভাবে ভোটারদের হাতে এটি পৌঁছাবে— এসব প্রক্রিয়া। পূর্ববর্তী ভোটগ্রহণে সময় ব্যবহারের অভিজ্ঞতা এবং এবার সময় বৃদ্ধি (সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা) করার যৌক্তিকতা।

সচিব আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি এসব বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে দেশের বাইরে ও দেশের ভেতরে পোস্টাল ভোটিংয়ের প্রযুক্তিগত দিকগুলো আমাদের নিজস্ব বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে— এ তথ্য শুনে তিনি আরও খুশি হন। তিনি নির্বাচন কমিশনের অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বলেন, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ সহায়তা তিনি দেবেন।

তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সচিব বলেন, আজ বিকেল ৪টায় মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড হবে। এরপর কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণার সময় নির্ধারণ করা হবে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে আমি আবার আপনাদের জানাব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৫
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদারে ১২তম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সংলাপ রাজধানী ঢাকার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চলবে।

২০১২ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে এই প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় চলমান বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে।

আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানানো হয়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, ওই প্রতিরক্ষা সংলাপ দুই দেশের পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও এই সংলাপে উভয় দেশের সামরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হবে। উল্লিখিত সংলাপ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তি রক্ষা কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, পরিদর্শন, যৌথ অনুশীলন ও মহড়া, কর্মশালা ইত্যাদি ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।

এই প্রতিরক্ষা সংলাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, অপারেশনস ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আলী হায়দার সিদ্দিকী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারাহ রুস। এ ছাড়া সংলাপে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।

দুই দিনের এই প্রতিরক্ষা সংলাপের মাধ্যমে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে এবং পারস্পরিক আস্থা ও বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগামী নির্বাচনকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করে রাখতে হবে: ইউএনওদের প্রধান উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪১
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামী নির্বাচনকে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে হবে।

রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে আজ বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দেশের সব জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।

প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ বলবে—এটা নির্বাচন নয়, প্রতারণা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অন্যান্য দায়িত্বের মতো নয়; বরং একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা যদি ভালোভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আগামী নির্বাচনের দিনটি জনগণের জন্যও ঐতিহাসিক হবে।’

ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সরকার তার দায়িত্বটি সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে।’

আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটিই জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আর গণভোট শত বছরের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশটাকে স্থায়ীভাবে পাল্টে দিতে পারি। যে নতুন বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই, তার ভিতটা এর মাধ্যমে গড়তে পারি।’

এ সময় সদ্য যোগদান করা ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর নির্বাচন আয়োজন করা।’

প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের নিজ নিজ এলাকার সব পোলিং স্টেশন পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।

গণভোট বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বোঝাতে হবে, আপনারা মন ঠিক করে আসুন—“হ্যাঁ”-তে দেবেন নাকি “না”-তে ভোট দেবেন। মন ঠিক করে আসুন।’

কর্মকর্তাদের ধাত্রীর সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধাত্রী ভালো হলে জন্ম নেওয়া শিশুও ভালো হয়।

তিনি কর্মকর্তাদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সৃজনশীল হওয়ার পাশাপাশি অপতথ্য ও গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।

নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারীরা যেন ঠিকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

শিগগির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন, কীভাবে, কোন কাজটি করবেন—তার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এখন থেকেই নিন।’

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও জনপ্রশাসন সচিব মো. এহছানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত