অনলাইন ডেস্ক
দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রণীত প্রথম সংবিধানেই ‘ফ্যাসিবাদের বীজ’ রক্ষিত আছে বলে দাবি করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশন। আজ শনিবার প্রকাশিত এই কমিশনের সুপারিশের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এই দাবি তুলে ধরা হয়।
আজ বিকেলে ৫ খণ্ডের সুপারিশ কমিশন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এতে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত রাষ্ট্রের চার মূলনীতির অন্যতম ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়েও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ রাষ্ট্রে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, যা আওয়ামী লীগের ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল না।’
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পরবর্তীকালের অগণতান্ত্রিক প্রবণতা ও শেষপর্যন্ত ফ্যাসিবাদের বীজ’ ৭২ সালের সংবিধানের মধ্যেই নিহিত ছিল। এরই ফলাফল হলো প্রতিটি আমলেই ক্ষমতার পুঞ্জীভবন আরও ঘনীভূত হয়েছে, আমলাতান্ত্রিকতা আরও প্রকট রূপ পেয়েছে, বিচার বিভাগ ক্রমশ বেশি বেশি হারে দলীয়করণের শিকার হয়েছে, জবাবদিহির অভাবে ক্ষমতাসীনদের আর্থিক দুর্নীতি আরও প্রবল চেহারা নিয়েছে।’ কমিশন বলেছে, ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা দল, রাষ্ট্র ও সমাজে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশকে রুদ্ধ করেছে। ১৯৭২ সালে একজন একক ব্যক্তি ও একটি দলকে কেন্দ্রে রেখে যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা শেষ পর্যন্ত উত্তরোত্তর স্বৈরতন্ত্রী চেহারা ধারণ করতে করতে অবশেষে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে।
বিদ্যমান সংবিধানে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি প্রদর্শনের বাধ্যতামূলক বিধান রয়েছে। এ বিধান বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিধান ব্যক্তিবন্দনাকে উৎসাহিত করে, স্বৈরতন্ত্রের পথ সুগম করে। বাংলাদেশ অগণিত বরেণ্য মানুষের নেতৃত্ব, আত্মত্যাগ ও অবদানের ফসল। কমিশনের অভিমত হচ্ছে, এ রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে একক ব্যক্তিকে ‘জাতির পিতা’ হিসেবে অভিহিত করার কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি বা বাস্তবতা নেই।
১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের অন্যতম মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ১৯৭০ সালের লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার বা আওয়ামী লীগের ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ইশতেহার কিংবা ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত পাকিস্তানের খসড়া সংবিধানে উল্লেখ করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব রাজনৈতিক আলোচনায় ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল এক ধরনের অপরিচিত ধারণা। মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করার পক্ষে যুক্তি দিয়ে আরও বলা হয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রে বিভক্তি ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এটি বাংলাদেশের বিদ্যমান বহুত্ববাদী সমাজের ধারণার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার বিরোধী।
বর্তমানে বাংলাদেশ সংবিধানে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে রয়েছে ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’।
সংবিধানের প্রস্তাবনার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’/আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু’ অন্তর্ভুক্ত করার মত দিয়েছে কমিশন।
দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রণীত প্রথম সংবিধানেই ‘ফ্যাসিবাদের বীজ’ রক্ষিত আছে বলে দাবি করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশন। আজ শনিবার প্রকাশিত এই কমিশনের সুপারিশের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এই দাবি তুলে ধরা হয়।
আজ বিকেলে ৫ খণ্ডের সুপারিশ কমিশন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এতে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত রাষ্ট্রের চার মূলনীতির অন্যতম ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়েও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ রাষ্ট্রে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, যা আওয়ামী লীগের ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল না।’
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পরবর্তীকালের অগণতান্ত্রিক প্রবণতা ও শেষপর্যন্ত ফ্যাসিবাদের বীজ’ ৭২ সালের সংবিধানের মধ্যেই নিহিত ছিল। এরই ফলাফল হলো প্রতিটি আমলেই ক্ষমতার পুঞ্জীভবন আরও ঘনীভূত হয়েছে, আমলাতান্ত্রিকতা আরও প্রকট রূপ পেয়েছে, বিচার বিভাগ ক্রমশ বেশি বেশি হারে দলীয়করণের শিকার হয়েছে, জবাবদিহির অভাবে ক্ষমতাসীনদের আর্থিক দুর্নীতি আরও প্রবল চেহারা নিয়েছে।’ কমিশন বলেছে, ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা দল, রাষ্ট্র ও সমাজে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশকে রুদ্ধ করেছে। ১৯৭২ সালে একজন একক ব্যক্তি ও একটি দলকে কেন্দ্রে রেখে যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা শেষ পর্যন্ত উত্তরোত্তর স্বৈরতন্ত্রী চেহারা ধারণ করতে করতে অবশেষে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে।
বিদ্যমান সংবিধানে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি প্রদর্শনের বাধ্যতামূলক বিধান রয়েছে। এ বিধান বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিধান ব্যক্তিবন্দনাকে উৎসাহিত করে, স্বৈরতন্ত্রের পথ সুগম করে। বাংলাদেশ অগণিত বরেণ্য মানুষের নেতৃত্ব, আত্মত্যাগ ও অবদানের ফসল। কমিশনের অভিমত হচ্ছে, এ রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে একক ব্যক্তিকে ‘জাতির পিতা’ হিসেবে অভিহিত করার কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি বা বাস্তবতা নেই।
১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের অন্যতম মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ১৯৭০ সালের লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার বা আওয়ামী লীগের ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ইশতেহার কিংবা ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত পাকিস্তানের খসড়া সংবিধানে উল্লেখ করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব রাজনৈতিক আলোচনায় ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল এক ধরনের অপরিচিত ধারণা। মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করার পক্ষে যুক্তি দিয়ে আরও বলা হয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রে বিভক্তি ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এটি বাংলাদেশের বিদ্যমান বহুত্ববাদী সমাজের ধারণার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার বিরোধী।
বর্তমানে বাংলাদেশ সংবিধানে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে রয়েছে ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’।
সংবিধানের প্রস্তাবনার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’/আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু’ অন্তর্ভুক্ত করার মত দিয়েছে কমিশন।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় এক বছর হতে চললেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের পর বিভিন্ন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনের ভঙ্গুর চিত্র আরেকবার প্রকাশ পেয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলো
২ ঘণ্টা আগেস্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। এর আগে রাত ১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা
৪ ঘণ্টা আগেসরকারি কর্মচারীদের জন্য অনানুগত্যের ধারা বাদ দিয়ে ও সব ধরনের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রেখে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ দ্বিতীয় দফায় সংশোধন করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই, গাজীপুর জেলার অন্তর্গত কাপাসিয়ার দরদরিয়ায় জন্মগ্রহণ করা শিশুটি যে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখে যাবেন, সেটা হয়তো সেদিনই বোঝা যায়নি। কিন্তু সেদিনের ক্ষীণকায় শিশুটি ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠেন। আজীবন সঙ্গী হয় শান্ত, সংযমী, আত্মমগ্ন স্বভাব। তিনি তাজউদ্দীন আহমদ—স্বাধীন বাংলাদ
৫ ঘণ্টা আগে