Ajker Patrika

ভোটকেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা

  • পুলিশের পোশাকের সঙ্গে যুক্ত ক্যামেরা রাখারও ভাবনা
  • আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৮ লাখ সদস্য মোতায়েন করা হবে
  • বৈঠকে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা
আয়নাল হোসেন, ঢাকা 
আপডেট : ১০ আগস্ট ২০২৫, ১০: ১০
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি টিভি) রাখতে চাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে কেন্দ্রে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বডি ওর্ন (পোশাকের সঙ্গে যুক্ত) ক্যামেরা রাখার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কমিটির দিকনির্দেশনামূলক এক বৈঠক হয় গত বুধবার। নির্বাচনে সম্ভাব্য সহিংসতা এড়াতে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে সে বৈঠকে। সংশ্লিষ্টরা মত দিয়েছেন, খরচ বেশি পড়লেও বডি ওর্ন ক্যামেরার বদলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলে ভোটকেন্দ্রে অপ্রীতিকর কার্যকলাপ থেকে মানুষ বিরত থাকবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেওয়া নির্দেশনার আলোকে বুধবারের বৈঠকে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে সিসি ক্যামেরাসহ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আলোচিত বিষয়গুলো হচ্ছে (১) নির্বাচনী কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য মোতায়েন, (২) মোতায়েনের লক্ষ্যে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, (৩) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে নতুন সদস্য নিয়োগ, (৪) নির্বাচনী সচেতনতামূলক ভিডিও তৈরি, (৫) নারী ও তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথের ব্যবস্থা, (৬) বেআইনি অস্ত্র ও বিস্ফোরকসামগ্রী উদ্ধারে নির্দেশনা, (৭) নির্বাচনের সময় সব জেলায় এবং কেন্দ্রীয়ভাবে কন্ট্রোলরুম খোলা, (৮) প্রতিটি কেন্দ্রে বডি ওর্ন ক্যামেরা এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা, (৯) পুলিশের ওয়েবসাইটে ‘ইলেকশন ইনফরমেশন কর্নার’ চালু করা, (১০) গণমাধ্যম যাতে মিথ্যা, ভুল, অসত্য তথ্য প্রচার থেকে বিরত থেকে সঠিক তথ্য দেয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ, (১১) আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেল স্থাপন এবং ৯৯৯-এর সেবা সহজ করার জন্য নতুন জনবল নিয়োগ।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন নিয়ে এ বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন, অর্থ, সড়ক পরিবহন, নৌপরিবহন, নির্বাচন কমিশন, তথ্য ও সম্প্রচার এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল অফিসার, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজি), র‍্যাব, কোস্ট গার্ড, আনসার ও বিজিবির মহাপরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৮ লাখ সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ১ লাখ ৪১ হাজার, অঙ্গীভূত আনসার বা সাধারণ আনসার পিসি (অস্ত্রসহ) ৪৭ হাজার, অঙ্গীভূত আনসার, সাধারণ আনসার ও ভিডিপি-এপিসি (অস্ত্র-লাঠিসহ) ৪৭ হাজার, অঙ্গীভূত আনসার, সাধারণ আনসার ও ভিডিপি (লাঠিসহ) ৪ লাখ ৭০ হাজার, গ্রাম পুলিশ, দফাদার ও মহল্লাদার (লাঠিসহ) ৯৪ হাজার জনকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আজকের আলোচনায় সারা দেশে নির্বাচন পরিচালনার জন্য কত ফোর্স প্রয়োজন হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পুলিশ, আনসার থেকে শুরু বিজিবি, সেনাবাহিনী পর্যন্ত থাকবে। সব বাহিনীকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা যেন কারও বাসায় না থেকে নির্বাচনী কেন্দ্রে থাকতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, নির্বাচনের আগে এসপি ও ওসিদের প্রকাশ্য লটারির মাধ্যমে বদলি ও পদায়ন করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চীন–রাশিয়া থেকে ভারতকে দূরে রাখতে কয়েক দশকের মার্কিন প্রচেষ্টা ভেস্তে দিচ্ছেন ট্রাম্প: জন বোল্টন

ডিটারজেন্ট, তেল ও সোডা দিয়ে ভেজাল দুধ তৈরি, সরবরাহ মিল্ক ভিটায়

স্ত্রীকে মেরে ফেলেছি, আমাকে নিয়ে যান—৯৯৯–এ স্বামীর ফোন

১৫৮ বছর আগে হারানো আলাস্কাতেই কি ইউক্রেনের জমি লিখে নেবে রাশিয়া

জট খুলছে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড ক্রয়ের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত