নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ধর্ষণ মামলার রায়ে অসাংবিধানিক পর্যবেক্ষণ দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভুল বার্তা দেওয়ায়’ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মোছা. কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার পর আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তবে তাঁকে বিচারিক ক্ষমতা থেকে সরাতে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিলেও সেই চিঠি এখানো আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়নি জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, (ওই বিচারকের) কিছুই কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। আইনে যে প্রভিশনস দেওয়া আছে, আইনানুগভাবে তা করা হচ্ছে। এমন ঘটনা ঘটলে প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা আছে, কিছুদিনের জন্য বিচারিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা।
আনিসুল হক বলেন, বিজ্ঞ বিচারকেরা প্রতিদিনই রায় দেন। রায়ে কেউ সন্তুষ্ট হন, কেউ অসন্তুষ্ট হন। যাঁরা অসন্তুষ্ট হন,, ফৌজদারি কার্যবিধি ও সংবিধান অনুযায়ী তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন। সর্বোচ্চ আদালত হচ্ছে আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের সাংবিধানিক কিছু বাড়তি ক্ষমতা আছে, সেগুলো তাঁরা প্রয়োগ করেন। রায় দিলেই যে কোনো বিচারকের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা নয়। মেরিটের ওপর, আইনের ওপর তাঁরা রায় দেওয়ার ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বাধীন।
‘কিন্তু এখানে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা হচ্ছে, একজন বিজ্ঞ বিচারক তিনি ওপেন কোর্টে রায় দেওয়ার সময় তাঁর পর্যবেক্ষণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলেছেন যে, ৭২ ঘণ্টা পরে কোনো ধর্ষণ মামলা যদি কেউ করতে আসে তাহলে সেই মামলা গ্রহণ না করতে। এটাই হচ্ছে আপত্তির জায়গা। কোনো ফৌজদারি অপরাধে মামলা করার ব্যাপারে তামাদি বারিত হয় না। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে মামলা হয়নি। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর এই মামলা হয়। তিনি সে ক্ষেত্রে বলেছেন, ৭২ ঘণ্টা পরে এ মামলা নিয়েন না। সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদে এটা পরিষ্কার বলা আছে, বাংলাদেশের একজন নাগরিক বা আপাতত বাংলাদেশে বসবাসরত একজন ব্যক্তি তিনি একমাত্র আইন দ্বারা এবং আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিজ্ঞ বিচারক যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। ফৌজদারি অপরাধে বিচার চাওয়ার ব্যাপারে, মামলা করার ব্যাপারে কখনো তামাদি বারিত হয় না। এ দুটো তিনি ভায়োলেট করেছেন।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, `অনেক রায় আছে, যেগুলো হয়তো বেআইনি হয়, আপিলে গিয়ে রায়টা সেট অ্যাসাইড (বাতিল) হয়। এখানে তিনি যে কথাটা বলেছেন, সেটার একটা ইমপ্লিকেশন আছে, কনসিকুয়েন্স আছে। সে কারণে আজকে বিচার বিভাগের প্রধানকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। আইনমন্ত্রী হিসেবে নির্বাহী বিভাগ থেকেও আমি প্রধান বিচারপতির কাছেই বিচার চাইতে পারি। কারণ বিচার বিভাগ স্বাধীন। সে কারণে এই বক্তব্য বিজ্ঞ বিচারকদের জন্য বিব্রতকর। এটা একটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি ভুল নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেওয়াটা প্রয়োজনীয় ছিল। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁকে শোকজ করা হবে, তিনি কেন বলেছেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।'
নিয়মানুযায়ী প্রধান বিচারপতি ওই বিচারককে শোকজ পাঠাবেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, `সেই শোকজ যখন আমাদের কাছে পাঠানো হবে আমরা সেটা তাঁর (বিচারকের) কাছে পাঠাব, চিঠি এখনো পাইনি। তাঁর বিচারিক কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশের আমরা প্রজ্ঞাপন করব। স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রধান বিচারপতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'
বিচারক প্রভাবিত হয়ে রেইনট্রি হোটেলে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার রায় দিয়েছেন কি না, সেই প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, `রায়ের ব্যাপারে আমি কোনো বক্তব্য দেব না। রায়ে যাঁরা সংক্ষুব্ধ হন তাঁদের কিন্তু বিচারব্যবস্থার মধ্যেই আপিল করা সুযোগ থাকে। যেহেতু তাঁদের আপিল করার সুযোগ আছে, আমি বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলব না।'
আলোচিত এই মামলার রায়ে বিচারক যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, সেটি সরকার যদি পরিষ্কার না করত এবং বিচার বিভাগ যদি পদক্ষেপ না নিত, তাহলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যেত বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী। নির্বাহী ও বিচার বিভাগ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
‘ধর্ষণ মামলার রায়ে অসাংবিধানিক পর্যবেক্ষণ দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভুল বার্তা দেওয়ায়’ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মোছা. কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার পর আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তবে তাঁকে বিচারিক ক্ষমতা থেকে সরাতে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিলেও সেই চিঠি এখানো আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়নি জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, (ওই বিচারকের) কিছুই কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। আইনে যে প্রভিশনস দেওয়া আছে, আইনানুগভাবে তা করা হচ্ছে। এমন ঘটনা ঘটলে প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা আছে, কিছুদিনের জন্য বিচারিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা।
আনিসুল হক বলেন, বিজ্ঞ বিচারকেরা প্রতিদিনই রায় দেন। রায়ে কেউ সন্তুষ্ট হন, কেউ অসন্তুষ্ট হন। যাঁরা অসন্তুষ্ট হন,, ফৌজদারি কার্যবিধি ও সংবিধান অনুযায়ী তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন। সর্বোচ্চ আদালত হচ্ছে আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের সাংবিধানিক কিছু বাড়তি ক্ষমতা আছে, সেগুলো তাঁরা প্রয়োগ করেন। রায় দিলেই যে কোনো বিচারকের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা নয়। মেরিটের ওপর, আইনের ওপর তাঁরা রায় দেওয়ার ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বাধীন।
‘কিন্তু এখানে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা হচ্ছে, একজন বিজ্ঞ বিচারক তিনি ওপেন কোর্টে রায় দেওয়ার সময় তাঁর পর্যবেক্ষণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলেছেন যে, ৭২ ঘণ্টা পরে কোনো ধর্ষণ মামলা যদি কেউ করতে আসে তাহলে সেই মামলা গ্রহণ না করতে। এটাই হচ্ছে আপত্তির জায়গা। কোনো ফৌজদারি অপরাধে মামলা করার ব্যাপারে তামাদি বারিত হয় না। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে মামলা হয়নি। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর এই মামলা হয়। তিনি সে ক্ষেত্রে বলেছেন, ৭২ ঘণ্টা পরে এ মামলা নিয়েন না। সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদে এটা পরিষ্কার বলা আছে, বাংলাদেশের একজন নাগরিক বা আপাতত বাংলাদেশে বসবাসরত একজন ব্যক্তি তিনি একমাত্র আইন দ্বারা এবং আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিজ্ঞ বিচারক যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। ফৌজদারি অপরাধে বিচার চাওয়ার ব্যাপারে, মামলা করার ব্যাপারে কখনো তামাদি বারিত হয় না। এ দুটো তিনি ভায়োলেট করেছেন।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, `অনেক রায় আছে, যেগুলো হয়তো বেআইনি হয়, আপিলে গিয়ে রায়টা সেট অ্যাসাইড (বাতিল) হয়। এখানে তিনি যে কথাটা বলেছেন, সেটার একটা ইমপ্লিকেশন আছে, কনসিকুয়েন্স আছে। সে কারণে আজকে বিচার বিভাগের প্রধানকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। আইনমন্ত্রী হিসেবে নির্বাহী বিভাগ থেকেও আমি প্রধান বিচারপতির কাছেই বিচার চাইতে পারি। কারণ বিচার বিভাগ স্বাধীন। সে কারণে এই বক্তব্য বিজ্ঞ বিচারকদের জন্য বিব্রতকর। এটা একটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি ভুল নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেওয়াটা প্রয়োজনীয় ছিল। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁকে শোকজ করা হবে, তিনি কেন বলেছেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।'
নিয়মানুযায়ী প্রধান বিচারপতি ওই বিচারককে শোকজ পাঠাবেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, `সেই শোকজ যখন আমাদের কাছে পাঠানো হবে আমরা সেটা তাঁর (বিচারকের) কাছে পাঠাব, চিঠি এখনো পাইনি। তাঁর বিচারিক কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশের আমরা প্রজ্ঞাপন করব। স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রধান বিচারপতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'
বিচারক প্রভাবিত হয়ে রেইনট্রি হোটেলে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার রায় দিয়েছেন কি না, সেই প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, `রায়ের ব্যাপারে আমি কোনো বক্তব্য দেব না। রায়ে যাঁরা সংক্ষুব্ধ হন তাঁদের কিন্তু বিচারব্যবস্থার মধ্যেই আপিল করা সুযোগ থাকে। যেহেতু তাঁদের আপিল করার সুযোগ আছে, আমি বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলব না।'
আলোচিত এই মামলার রায়ে বিচারক যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, সেটি সরকার যদি পরিষ্কার না করত এবং বিচার বিভাগ যদি পদক্ষেপ না নিত, তাহলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যেত বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী। নির্বাহী ও বিচার বিভাগ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
সারা দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে মশার উৎপাত। কয়েক মাস ধরে এমন উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানীতে দিনের বেলায় কোনো রকমে টিকতে পারলেও সন্ধ্যা হওয়ার পরপর ঘরে-বাইরে মশার যন্ত্রণায় দাঁড়ানোই দায় হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আসন্ন গরমের মৌসুমে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
৩ ঘণ্টা আগেশুধু রাত নয়, দিনদুপুরেও মহাসড়কে বাসে ডাকাতি হয়েছে। রাতে সড়ক-মহাসড়কে বাসসহ যানবাহনে একের পর এক ডাকাতিতে তৈরি হওয়া আতঙ্কে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে গত রোববার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বেলা দুইটায় সাভারের রেডিও কলোনি এলাকার এই ডাকাতি। রাতের মতো দিনেও যেন অরক্ষিত মহাসড়ক।
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভোট সম্ভবত এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন একটি সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন, যেখানে কোনো বেওয়ারিশ লাশ থাকবে না। তিনি বলেছেন, ‘এমন এক সমাজ চাই, যেখানে বেওয়ারিশ লাশ যেন না থাকে। আমাদের লক্ষ্যও সেটি।’
৭ ঘণ্টা আগে