আয়নাল হোসেন

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ১৯৭৫ সাল থেকে যেকোনো খাদ্যদ্রব্যের মান তৈরির কাজ করছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। তবে ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) গঠিত হয়। সম্প্রতি সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের স্থানীয় মান (স্ট্যাডার্ডস) তৈরির আগ্রহের কথা জানিয়েছে বিএফএসএ। বিষয়টি সুরাহা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠিও দিয়েছে সংস্থাটি। খাদ্যের মান নির্ধারণের দায়িত্ব ধরে রাখা ও পাওয়া নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে এখন সরকারের এই দুই সংস্থা।
জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে সারা বিশ্বে কৃষি ও খাদ্যজাত দ্রব্যের মান প্রণয়ন করে থাকে। এ দুটি সংস্থা থেকে গৃহীত খাদ্যদ্রব্যের আন্তর্জাতিক মান বা স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে থাকে কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিস কমিশন (সিএসি)। বিএসটিআই ৪৬ বছর ধরে দেশে খাদ্যের মান প্রণয়ন করে আসছে।
বিএফএসএর দাবি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের ফুড সেফটি অথোরিটির সনদ চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে সে রকম কিছু নেই। তাই ব্যবসায়ী ও জনগণের স্বার্থে তারা সব সেবা এক ছাতার নিচে আনতে চায়। তবে দেশের ফুড সেফটি অথোরিটির প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল ও খাদ্যপণ্যের মান পরীক্ষার মতো ল্যাবের কোনো ব্যবস্থা নেই।
বিএসটিআইয়ের দাবি, প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই খাদ্যের আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান কোডেক্সের অনুসরণ করে খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের মান প্রণয়ন ও সনদ দিয়ে আসছে তারা। সম্প্রতি বিএফএসএ কোডেক্সের আদলে মান তৈরি এবং সব ধরনের খাদ্যের স্থানীয় মান তৈরি করার ক্ষমতা চেয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিএসটিআইকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠির জবাবে বিএসটিআই তাদের সপক্ষে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে। বলেছে, কোডেক্স মান অনুসরণ করে তারা এ পর্যন্ত ১৫৫টি সনদ দিয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৬টি দেশ কোডেক্সের সদস্য। এই সংস্থার বিভিন্ন সভা হয়। খাদ্যদ্রব্যের মান ও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে যেসব আলোচনা হয়, সেখানে সরাসরি তারা অংশ নিতে পারছে না। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নিয়ে তাদের সেখানে যেতে হচ্ছে। আগে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ছিল না বলে বিএসটিআই দায়িত্ব পালন করছে। কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর খাদ্যের সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব এখন তাদের।
জানতে চাইলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। খাদ্যের মান প্রণয়ন করা প্রতিটি রাষ্ট্রেই নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। বাংলাদেশে এখনো তা নেই। খাদ্যের মান প্রণয়নের জন্য আমাদের ৩০ জন দক্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন।’ তবে ল্যাব–সংকটের বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন।
আবদুল আলীম বলেন, এ সংকট নিরসনে দেশে স্বীকৃত পরীক্ষাগার থেকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর সনদ দেওয়ার বিষয়টি অনেক এগিয়েছে।
আবদুল আলীম বলেন, বিএসটিআই ননফুডের মান প্রণয়ন করবে। আর ফুডের মান প্রণয়ন করবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এটা এখন সময়ের দাবি।
তবে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (মান) নিলুফা হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে কী দায়িত্ব পালন করবেন, তা সরকার নির্ধারণ করবে।
বিএসটিআইয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশে কোডেক্সের দায়িত্ব সাধারণত রেগুলেটরি অথোরিটি অথবা জাতীয় মান সংস্থা পালন করে থাকে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ল্যাবসহ অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এ দায়িত্ব বিএসটিআই পালন করতে পারে। দুই সংস্থার মালিকানা নিয়ে টানাটানির বিষয় নয়। দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, ১৯৮৫ সালের বিএসটিআই অর্ডিন্যান্স এবং ২০১৮ সালের আইনে খাদ্যদ্রব্যসহ যেকোনো পণ্যের মান প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে। আর ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনের ১৩ ধারায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পর্কে বলা আছে।
বিএসটিআই আরও জানায়, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ ও বিক্রি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা তাদের দায়িত্ব।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ১৯৭৫ সাল থেকে যেকোনো খাদ্যদ্রব্যের মান তৈরির কাজ করছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। তবে ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) গঠিত হয়। সম্প্রতি সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের স্থানীয় মান (স্ট্যাডার্ডস) তৈরির আগ্রহের কথা জানিয়েছে বিএফএসএ। বিষয়টি সুরাহা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠিও দিয়েছে সংস্থাটি। খাদ্যের মান নির্ধারণের দায়িত্ব ধরে রাখা ও পাওয়া নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে এখন সরকারের এই দুই সংস্থা।
জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে সারা বিশ্বে কৃষি ও খাদ্যজাত দ্রব্যের মান প্রণয়ন করে থাকে। এ দুটি সংস্থা থেকে গৃহীত খাদ্যদ্রব্যের আন্তর্জাতিক মান বা স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে থাকে কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিস কমিশন (সিএসি)। বিএসটিআই ৪৬ বছর ধরে দেশে খাদ্যের মান প্রণয়ন করে আসছে।
বিএফএসএর দাবি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের ফুড সেফটি অথোরিটির সনদ চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে সে রকম কিছু নেই। তাই ব্যবসায়ী ও জনগণের স্বার্থে তারা সব সেবা এক ছাতার নিচে আনতে চায়। তবে দেশের ফুড সেফটি অথোরিটির প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল ও খাদ্যপণ্যের মান পরীক্ষার মতো ল্যাবের কোনো ব্যবস্থা নেই।
বিএসটিআইয়ের দাবি, প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই খাদ্যের আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান কোডেক্সের অনুসরণ করে খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের মান প্রণয়ন ও সনদ দিয়ে আসছে তারা। সম্প্রতি বিএফএসএ কোডেক্সের আদলে মান তৈরি এবং সব ধরনের খাদ্যের স্থানীয় মান তৈরি করার ক্ষমতা চেয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিএসটিআইকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠির জবাবে বিএসটিআই তাদের সপক্ষে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে। বলেছে, কোডেক্স মান অনুসরণ করে তারা এ পর্যন্ত ১৫৫টি সনদ দিয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৬টি দেশ কোডেক্সের সদস্য। এই সংস্থার বিভিন্ন সভা হয়। খাদ্যদ্রব্যের মান ও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে যেসব আলোচনা হয়, সেখানে সরাসরি তারা অংশ নিতে পারছে না। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নিয়ে তাদের সেখানে যেতে হচ্ছে। আগে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ছিল না বলে বিএসটিআই দায়িত্ব পালন করছে। কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর খাদ্যের সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব এখন তাদের।
জানতে চাইলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। খাদ্যের মান প্রণয়ন করা প্রতিটি রাষ্ট্রেই নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। বাংলাদেশে এখনো তা নেই। খাদ্যের মান প্রণয়নের জন্য আমাদের ৩০ জন দক্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন।’ তবে ল্যাব–সংকটের বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন।
আবদুল আলীম বলেন, এ সংকট নিরসনে দেশে স্বীকৃত পরীক্ষাগার থেকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর সনদ দেওয়ার বিষয়টি অনেক এগিয়েছে।
আবদুল আলীম বলেন, বিএসটিআই ননফুডের মান প্রণয়ন করবে। আর ফুডের মান প্রণয়ন করবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এটা এখন সময়ের দাবি।
তবে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (মান) নিলুফা হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে কী দায়িত্ব পালন করবেন, তা সরকার নির্ধারণ করবে।
বিএসটিআইয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশে কোডেক্সের দায়িত্ব সাধারণত রেগুলেটরি অথোরিটি অথবা জাতীয় মান সংস্থা পালন করে থাকে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ল্যাবসহ অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এ দায়িত্ব বিএসটিআই পালন করতে পারে। দুই সংস্থার মালিকানা নিয়ে টানাটানির বিষয় নয়। দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, ১৯৮৫ সালের বিএসটিআই অর্ডিন্যান্স এবং ২০১৮ সালের আইনে খাদ্যদ্রব্যসহ যেকোনো পণ্যের মান প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে। আর ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনের ১৩ ধারায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পর্কে বলা আছে।
বিএসটিআই আরও জানায়, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ ও বিক্রি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা তাদের দায়িত্ব।
আয়নাল হোসেন

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ১৯৭৫ সাল থেকে যেকোনো খাদ্যদ্রব্যের মান তৈরির কাজ করছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। তবে ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) গঠিত হয়। সম্প্রতি সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের স্থানীয় মান (স্ট্যাডার্ডস) তৈরির আগ্রহের কথা জানিয়েছে বিএফএসএ। বিষয়টি সুরাহা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠিও দিয়েছে সংস্থাটি। খাদ্যের মান নির্ধারণের দায়িত্ব ধরে রাখা ও পাওয়া নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে এখন সরকারের এই দুই সংস্থা।
জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে সারা বিশ্বে কৃষি ও খাদ্যজাত দ্রব্যের মান প্রণয়ন করে থাকে। এ দুটি সংস্থা থেকে গৃহীত খাদ্যদ্রব্যের আন্তর্জাতিক মান বা স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে থাকে কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিস কমিশন (সিএসি)। বিএসটিআই ৪৬ বছর ধরে দেশে খাদ্যের মান প্রণয়ন করে আসছে।
বিএফএসএর দাবি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের ফুড সেফটি অথোরিটির সনদ চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে সে রকম কিছু নেই। তাই ব্যবসায়ী ও জনগণের স্বার্থে তারা সব সেবা এক ছাতার নিচে আনতে চায়। তবে দেশের ফুড সেফটি অথোরিটির প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল ও খাদ্যপণ্যের মান পরীক্ষার মতো ল্যাবের কোনো ব্যবস্থা নেই।
বিএসটিআইয়ের দাবি, প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই খাদ্যের আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান কোডেক্সের অনুসরণ করে খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের মান প্রণয়ন ও সনদ দিয়ে আসছে তারা। সম্প্রতি বিএফএসএ কোডেক্সের আদলে মান তৈরি এবং সব ধরনের খাদ্যের স্থানীয় মান তৈরি করার ক্ষমতা চেয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিএসটিআইকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠির জবাবে বিএসটিআই তাদের সপক্ষে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে। বলেছে, কোডেক্স মান অনুসরণ করে তারা এ পর্যন্ত ১৫৫টি সনদ দিয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৬টি দেশ কোডেক্সের সদস্য। এই সংস্থার বিভিন্ন সভা হয়। খাদ্যদ্রব্যের মান ও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে যেসব আলোচনা হয়, সেখানে সরাসরি তারা অংশ নিতে পারছে না। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নিয়ে তাদের সেখানে যেতে হচ্ছে। আগে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ছিল না বলে বিএসটিআই দায়িত্ব পালন করছে। কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর খাদ্যের সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব এখন তাদের।
জানতে চাইলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। খাদ্যের মান প্রণয়ন করা প্রতিটি রাষ্ট্রেই নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। বাংলাদেশে এখনো তা নেই। খাদ্যের মান প্রণয়নের জন্য আমাদের ৩০ জন দক্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন।’ তবে ল্যাব–সংকটের বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন।
আবদুল আলীম বলেন, এ সংকট নিরসনে দেশে স্বীকৃত পরীক্ষাগার থেকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর সনদ দেওয়ার বিষয়টি অনেক এগিয়েছে।
আবদুল আলীম বলেন, বিএসটিআই ননফুডের মান প্রণয়ন করবে। আর ফুডের মান প্রণয়ন করবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এটা এখন সময়ের দাবি।
তবে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (মান) নিলুফা হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে কী দায়িত্ব পালন করবেন, তা সরকার নির্ধারণ করবে।
বিএসটিআইয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশে কোডেক্সের দায়িত্ব সাধারণত রেগুলেটরি অথোরিটি অথবা জাতীয় মান সংস্থা পালন করে থাকে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ল্যাবসহ অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এ দায়িত্ব বিএসটিআই পালন করতে পারে। দুই সংস্থার মালিকানা নিয়ে টানাটানির বিষয় নয়। দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, ১৯৮৫ সালের বিএসটিআই অর্ডিন্যান্স এবং ২০১৮ সালের আইনে খাদ্যদ্রব্যসহ যেকোনো পণ্যের মান প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে। আর ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনের ১৩ ধারায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পর্কে বলা আছে।
বিএসটিআই আরও জানায়, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ ও বিক্রি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা তাদের দায়িত্ব।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ১৯৭৫ সাল থেকে যেকোনো খাদ্যদ্রব্যের মান তৈরির কাজ করছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। তবে ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) গঠিত হয়। সম্প্রতি সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের স্থানীয় মান (স্ট্যাডার্ডস) তৈরির আগ্রহের কথা জানিয়েছে বিএফএসএ। বিষয়টি সুরাহা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠিও দিয়েছে সংস্থাটি। খাদ্যের মান নির্ধারণের দায়িত্ব ধরে রাখা ও পাওয়া নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে এখন সরকারের এই দুই সংস্থা।
জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে সারা বিশ্বে কৃষি ও খাদ্যজাত দ্রব্যের মান প্রণয়ন করে থাকে। এ দুটি সংস্থা থেকে গৃহীত খাদ্যদ্রব্যের আন্তর্জাতিক মান বা স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে থাকে কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিস কমিশন (সিএসি)। বিএসটিআই ৪৬ বছর ধরে দেশে খাদ্যের মান প্রণয়ন করে আসছে।
বিএফএসএর দাবি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের ফুড সেফটি অথোরিটির সনদ চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে সে রকম কিছু নেই। তাই ব্যবসায়ী ও জনগণের স্বার্থে তারা সব সেবা এক ছাতার নিচে আনতে চায়। তবে দেশের ফুড সেফটি অথোরিটির প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল ও খাদ্যপণ্যের মান পরীক্ষার মতো ল্যাবের কোনো ব্যবস্থা নেই।
বিএসটিআইয়ের দাবি, প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই খাদ্যের আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান কোডেক্সের অনুসরণ করে খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের মান প্রণয়ন ও সনদ দিয়ে আসছে তারা। সম্প্রতি বিএফএসএ কোডেক্সের আদলে মান তৈরি এবং সব ধরনের খাদ্যের স্থানীয় মান তৈরি করার ক্ষমতা চেয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিএসটিআইকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠির জবাবে বিএসটিআই তাদের সপক্ষে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে। বলেছে, কোডেক্স মান অনুসরণ করে তারা এ পর্যন্ত ১৫৫টি সনদ দিয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৬টি দেশ কোডেক্সের সদস্য। এই সংস্থার বিভিন্ন সভা হয়। খাদ্যদ্রব্যের মান ও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে যেসব আলোচনা হয়, সেখানে সরাসরি তারা অংশ নিতে পারছে না। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নিয়ে তাদের সেখানে যেতে হচ্ছে। আগে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ছিল না বলে বিএসটিআই দায়িত্ব পালন করছে। কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর খাদ্যের সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব এখন তাদের।
জানতে চাইলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। খাদ্যের মান প্রণয়ন করা প্রতিটি রাষ্ট্রেই নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। বাংলাদেশে এখনো তা নেই। খাদ্যের মান প্রণয়নের জন্য আমাদের ৩০ জন দক্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন।’ তবে ল্যাব–সংকটের বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন।
আবদুল আলীম বলেন, এ সংকট নিরসনে দেশে স্বীকৃত পরীক্ষাগার থেকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর সনদ দেওয়ার বিষয়টি অনেক এগিয়েছে।
আবদুল আলীম বলেন, বিএসটিআই ননফুডের মান প্রণয়ন করবে। আর ফুডের মান প্রণয়ন করবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এটা এখন সময়ের দাবি।
তবে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (মান) নিলুফা হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে কী দায়িত্ব পালন করবেন, তা সরকার নির্ধারণ করবে।
বিএসটিআইয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশে কোডেক্সের দায়িত্ব সাধারণত রেগুলেটরি অথোরিটি অথবা জাতীয় মান সংস্থা পালন করে থাকে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ল্যাবসহ অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এ দায়িত্ব বিএসটিআই পালন করতে পারে। দুই সংস্থার মালিকানা নিয়ে টানাটানির বিষয় নয়। দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, ১৯৮৫ সালের বিএসটিআই অর্ডিন্যান্স এবং ২০১৮ সালের আইনে খাদ্যদ্রব্যসহ যেকোনো পণ্যের মান প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে। আর ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনের ১৩ ধারায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পর্কে বলা আছে।
বিএসটিআই আরও জানায়, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ ও বিক্রি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা তাদের দায়িত্ব।

আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন।
২৭ মিনিট আগে
আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এক বছর পার হতেই বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেল। আগেরবার হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এবার একজন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুজন আহত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে একই ধরনের প্রাণহানিকর ঘটনা মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলার আসামি ক্যাসিনোকাণ্ডের আলোচিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন।
গত বৃহস্পতিবার আদালত এক আদেশে আজ সম্রাটকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। ওই দিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও আসামিদের হাজিরার জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের পক্ষে তাঁর আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হাজিরা দেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আগের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।
এ বিষয়ে শুনানি চলাকালে বিচারক আসামিপক্ষের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘সম্রাট কোথায় আছেন?’
জবাবে আইনজীবী জানান, তিনি কোথায় আছেন, জানা নেই।
এরপর বিচারক আজ আসামি সম্রাটের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। কিন্তু আজ হাজির না হওয়ায় সম্রাটের ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আগের নির্দেশ বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে তাঁর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিআইডির এসআই রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এ মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কাকরাইলের ‘মেসার্স হিস মুভিজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বসে মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অবৈধ কর্মকাণ্ড’ চালাতেন সম্রাট।
এভাবে তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত বিপুল অবৈধ অর্থ উপার্জন করেন। এসব অর্থের উৎস গোপন করার জন্য সহযোগী এনামুল হক আরমানের মাধ্যমে তিনি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচার করেন। পাচার করা টাকার পরিমাণ আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা।
২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ৩৫ বার সিঙ্গাপুর, তিনবার মালয়েশিয়া, দুবার দুবাই ও একবার হংকংয়ে যান সম্রাট।
আর এনামুল হক আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সময়ে ২৩ বার সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেছেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলায় বেশ কিছুদিন কারাগারে থাকার পর জামিন পান সম্রাট। পরে তিনি অসুস্থ মর্মে আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আবেদন করলে আদালত ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি দেন।
গত বছরের ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সম্রাটের কোনো খোঁজ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে করা অন্য মামলায় তিনি পলাতক রয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ কারণে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আগের অনুমতি বাতিল চেয়ে আবেদন করে।

১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলার আসামি ক্যাসিনোকাণ্ডের আলোচিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন।
গত বৃহস্পতিবার আদালত এক আদেশে আজ সম্রাটকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। ওই দিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও আসামিদের হাজিরার জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের পক্ষে তাঁর আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হাজিরা দেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আগের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।
এ বিষয়ে শুনানি চলাকালে বিচারক আসামিপক্ষের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘সম্রাট কোথায় আছেন?’
জবাবে আইনজীবী জানান, তিনি কোথায় আছেন, জানা নেই।
এরপর বিচারক আজ আসামি সম্রাটের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। কিন্তু আজ হাজির না হওয়ায় সম্রাটের ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আগের নির্দেশ বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে তাঁর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিআইডির এসআই রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এ মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কাকরাইলের ‘মেসার্স হিস মুভিজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বসে মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অবৈধ কর্মকাণ্ড’ চালাতেন সম্রাট।
এভাবে তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত বিপুল অবৈধ অর্থ উপার্জন করেন। এসব অর্থের উৎস গোপন করার জন্য সহযোগী এনামুল হক আরমানের মাধ্যমে তিনি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচার করেন। পাচার করা টাকার পরিমাণ আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা।
২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ৩৫ বার সিঙ্গাপুর, তিনবার মালয়েশিয়া, দুবার দুবাই ও একবার হংকংয়ে যান সম্রাট।
আর এনামুল হক আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সময়ে ২৩ বার সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেছেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলায় বেশ কিছুদিন কারাগারে থাকার পর জামিন পান সম্রাট। পরে তিনি অসুস্থ মর্মে আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আবেদন করলে আদালত ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি দেন।
গত বছরের ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সম্রাটের কোনো খোঁজ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে করা অন্য মামলায় তিনি পলাতক রয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ কারণে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আগের অনুমতি বাতিল চেয়ে আবেদন করে।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ১৯৭৫ সাল থেকে যেকোনো খাদ্যদ্রব্যের মান তৈরির কাজ করছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন–বিএসটিআই। তবে ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ–বিএফএসএ গঠিত হয়। সম্প্রতি সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের স্থানীয় মান (স্ট্যাডা
০৭ জুলাই ২০২১
আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এক বছর পার হতেই বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেল। আগেরবার হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এবার একজন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুজন আহত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে একই ধরনের প্রাণহানিকর ঘটনা মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে আত্মসাৎ হওয়া প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পরিচালক এম এ খালেকের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। পরে তাঁরা দুদকে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের টাকার ন্যায্য প্রাপ্তি চাই। যারা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
কোম্পানির রিকভারি সেকশনের ইনচার্জ মাসুদ বলেন, নজরুল-খালেক চক্র নজিরবিহীন লুটপাট চালিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। টাকা পাচার করে তারা বিদেশে নিয়ে গেছে। এখন আইনের ফাঁকফোকর গলে বাঁচার চেষ্টা করছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তাঁদের অবদানে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের তহবিলে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ে। কিন্তু তৎকালীন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পরিচালক এম এ খালেক ভুয়া বিনিয়োগ, কাগুজে খরচ ও কারসাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। এর বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয়।
বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক তাঁদের প্রাপ্য অর্থ না পেয়ে প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ঘুরছেন বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
গত ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির বাদী হয়ে নজরুল ইসলামসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার নজরুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা ঢাকার তোপখানা রোডের একটি স্থাপনা ২০৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় অনিয়মের মাধ্যমে কেনাবেচা করে।
এর মধ্যে ৪৫ কোটি টাকা নজরুল ইসলাম, এম এ খালেক ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে আসে।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে আত্মসাৎ হওয়া প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পরিচালক এম এ খালেকের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। পরে তাঁরা দুদকে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের টাকার ন্যায্য প্রাপ্তি চাই। যারা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
কোম্পানির রিকভারি সেকশনের ইনচার্জ মাসুদ বলেন, নজরুল-খালেক চক্র নজিরবিহীন লুটপাট চালিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। টাকা পাচার করে তারা বিদেশে নিয়ে গেছে। এখন আইনের ফাঁকফোকর গলে বাঁচার চেষ্টা করছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তাঁদের অবদানে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের তহবিলে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ে। কিন্তু তৎকালীন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পরিচালক এম এ খালেক ভুয়া বিনিয়োগ, কাগুজে খরচ ও কারসাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। এর বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয়।
বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক তাঁদের প্রাপ্য অর্থ না পেয়ে প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ঘুরছেন বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
গত ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির বাদী হয়ে নজরুল ইসলামসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার নজরুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা ঢাকার তোপখানা রোডের একটি স্থাপনা ২০৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় অনিয়মের মাধ্যমে কেনাবেচা করে।
এর মধ্যে ৪৫ কোটি টাকা নজরুল ইসলাম, এম এ খালেক ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে আসে।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ১৯৭৫ সাল থেকে যেকোনো খাদ্যদ্রব্যের মান তৈরির কাজ করছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন–বিএসটিআই। তবে ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ–বিএফএসএ গঠিত হয়। সম্প্রতি সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের স্থানীয় মান (স্ট্যাডা
০৭ জুলাই ২০২১
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন।
২৭ মিনিট আগে
এক বছর পার হতেই বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেল। আগেরবার হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এবার একজন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুজন আহত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে একই ধরনের প্রাণহানিকর ঘটনা মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক বছর পার হতেই বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেল। আগেরবার হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এবার একজন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুজন আহত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে একই ধরনের প্রাণহানিকর ঘটনা মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। প্রথমবার ত্রুটি ধরার পর মেট্রোরেল কি আদৌ কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিল? কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে থাকলে এই প্রাণহানির দায় কার? শুধু ক্ষতিপূরণ দিলেই দায় শেষ করবে কর্তৃপক্ষ?
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট স্টেশনের ঠিক পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছে। ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, গত বছর যে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল, সেটি ছিল ৪৩০ নম্বর পিলার। একই জায়গায় না হলেও কাছাকাছি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মেট্রোরেলে (মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত) মোট পিলার আছে ৬২০টি। প্রতিটি পিলারে চারটি করে বিয়ারিং প্যাড আছে। সে হিসেবে মেট্রোরেলে মোট বিয়ারিং প্যাড আছে ২ হাজার ৪৮০টি।
‘বিয়ারিং প্যাড’ হচ্ছে রাবার ও ইস্পাতের মিশ্রণে তৈরি আয়তাকার একধরনের প্যাড, যা ম্যাট্রেসের মতো ব্যবহৃত হয়। মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট বা উড়ালপথের ওপরই রেললাইনসহ যাবতীয় স্থাপনা বসানো হয়। ভায়াডাক্ট বসানো হয় স্তম্ভ বা পিলারের ওপর। এই স্তম্ভকে প্রকৌশলের ভাষায় পিয়ার বলা হয়।
কংক্রিটের তৈরি ৩০ থেকে ৪০ মিটার লম্বা একেকটি স্প্যান জোড়া দিয়ে মেট্রোরেলের উড়ালপথ তৈরি করা হয়েছে। ভায়াডাক্ট ও পিয়ার দুটিই কংক্রিটের হওয়ায় দুটি কংক্রিটের বস্তুর মধ্যে ঘর্ষণ থেকে ক্ষয় ও স্থানচ্যুতি ঠেকাতে ভায়াডাক্ট ও পিলারের মাঝখানে রাবার ও স্টিলের তৈরি বিয়ারিং প্যাড দেওয়া হয়, যা স্থাপনাটির সুরক্ষায় কাজ করে।
দুই পিলারের মাঝখানের প্রতিটি স্প্যানের জন্য চারটি করে বিয়ারিং প্যাড রয়েছে; অর্থাৎ একেকটি পিলারের আছে চারটি করে রাবার প্যাড। এগুলোর স্তরে স্তরে রাবার ও বিশেষ স্টিল দিয়ে তৈরি। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজন এই বিয়ারিং প্যাডের। সেটি সরাসরি এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। তখনও প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মেট্রোরেল নির্মাণের খরচ কয়েকগুণ বেশি। এই মাত্রাতিরিক্ত ব্যয়ের ব্যাখ্যা হিসেবে মেট্রোরেল নির্মাণে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান জাইকা ‘উচ্চ গুণগত মান’ রক্ষার কথা বলেছিল। সংস্থাটি বলেছিল, প্রাথমিক নির্মাণ ব্যয় বেশি হলেও রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে ব্যয় কম হবে। তাহলে উচ্চ গুণ–মানসম্পন্ন মেট্রোরেল থেকে দ্বিতীয়বার ‘ভবনের ইট খুলে পড়ার মতো’ বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে কেন— সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রকৌশলী কল্লোল মুস্তফা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা হচ্ছে।

জাপানের কোম্পানি উচ্চ গুণ–মানের দাবি করলেও এই ঘটনার পেছনে ‘নকশাগত ত্রুটিকে’ দায়ী করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ড. হদিউজ্জামান। আগেরবার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মেট্রোরেলের যেখান থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে গেছে সেই জায়গাটিতে বাঁক আছে। ট্রেন যখন সেই জায়গাটি অতিক্রম করে তখন লাইনের একপাশে বাড়তি চাপ তৈরি হয়। তখন বিয়ারিং প্যাডের একদিকে বাড়তি চাপ পড়লে অন্য রাবারের বিয়ারিং প্যাড ছিটকে বেরিয়ে আসে।
তিনি বলেন, ‘এসব বাঁকে বাড়তি চাপ মাথায় রেখে লাইনে বিয়ারিং প্যাড ধরে রাখার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্ত এই মেট্রোরেলের নকশায় বাঁকের মধ্যে বাড়তি চাপের বিষয়টি বিবেচনা না করেই ভায়াডাক্ট বসানো হয়েছে। সেখানে রাবারের বিয়ারিং প্যাডকে ধরে রাখার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। ফলে বাড়তি চাপ নিতে না পেরে রাবারের প্যাড খুলে গেছে।’
মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে উত্তরা অংশের নির্মাণকাজের সঙ্গে এক পূরকৌশলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে বিয়ারিং প্যাডটি খুলে নিচে পড়ে গেছে, তার পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলের সঠিক অবস্থানে সেটা বসানো হয়নি। সুষমভাবে ভরবণ্টন মাথায় রেখে সেটা বসানো ছিল না। ছিটকে পড়ে যাওয়া বিয়ারিং প্যাডের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আয়তাকার প্যাডের এক কোণে ভর বেশি ছিল।’
আগেরবার ঘটনার পর সমাধান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায় হিসেবে পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড আটকে রাখার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই সাথে রাবারের বিয়ারিং বাদ দিয়ে টেকসই ও অধিক চাপ সহনশীল ‘পড বিয়ারিং’ ব্যবহার করার কথাও বলেছিলেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হাদী। ওই সময় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষও ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনা এড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিল।
প্রকৌশলী কল্লোল মুস্তফা ফেসবুকে প্রশ্ন তুলেছেন, এক বছরের বেশি সময় পার করে সেই ফার্মগেট এলাকাতেই আবারও বিয়ারিং প্যাড কেন খুলে পড়ে গেল। বুয়েটের পরামর্শ মতো মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কি পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড আটকে রাখার কোনো ব্যবস্থা করেছিল।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এ ব্যাপারে জাপানের জাইকা ও মেট্রোরেলের নকশা ও নির্মাণের সাথে যুক্ত কোম্পানিগুলোই বা কি পদক্ষেপ নিয়েছিল? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া দরকার। সদ্য নির্মিত মেট্রোরেল থেকে এক বছরের ব্যবধানে দুইবার বিয়ারিং প্যাড খুলে যাওয়ার ঘটনা মেট্রোরেলের নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। জাপান বেশি টাকা নেয়ার যুক্তি হিসেবে উচ্চগুণগত মানের যে যুক্তি দিয়েছিলো সেই যুক্তিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।’
তাই শুধু জাপানের উপর ভরসা না করে ‘অবিলম্বে স্বাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেট্রোরেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করা প্রয়োজন’ বলে এই প্রকৌশলীর দাবি।

এক বছর পার হতেই বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেল। আগেরবার হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এবার একজন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুজন আহত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে একই ধরনের প্রাণহানিকর ঘটনা মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। প্রথমবার ত্রুটি ধরার পর মেট্রোরেল কি আদৌ কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিল? কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে থাকলে এই প্রাণহানির দায় কার? শুধু ক্ষতিপূরণ দিলেই দায় শেষ করবে কর্তৃপক্ষ?
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট স্টেশনের ঠিক পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছে। ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, গত বছর যে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল, সেটি ছিল ৪৩০ নম্বর পিলার। একই জায়গায় না হলেও কাছাকাছি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মেট্রোরেলে (মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত) মোট পিলার আছে ৬২০টি। প্রতিটি পিলারে চারটি করে বিয়ারিং প্যাড আছে। সে হিসেবে মেট্রোরেলে মোট বিয়ারিং প্যাড আছে ২ হাজার ৪৮০টি।
‘বিয়ারিং প্যাড’ হচ্ছে রাবার ও ইস্পাতের মিশ্রণে তৈরি আয়তাকার একধরনের প্যাড, যা ম্যাট্রেসের মতো ব্যবহৃত হয়। মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট বা উড়ালপথের ওপরই রেললাইনসহ যাবতীয় স্থাপনা বসানো হয়। ভায়াডাক্ট বসানো হয় স্তম্ভ বা পিলারের ওপর। এই স্তম্ভকে প্রকৌশলের ভাষায় পিয়ার বলা হয়।
কংক্রিটের তৈরি ৩০ থেকে ৪০ মিটার লম্বা একেকটি স্প্যান জোড়া দিয়ে মেট্রোরেলের উড়ালপথ তৈরি করা হয়েছে। ভায়াডাক্ট ও পিয়ার দুটিই কংক্রিটের হওয়ায় দুটি কংক্রিটের বস্তুর মধ্যে ঘর্ষণ থেকে ক্ষয় ও স্থানচ্যুতি ঠেকাতে ভায়াডাক্ট ও পিলারের মাঝখানে রাবার ও স্টিলের তৈরি বিয়ারিং প্যাড দেওয়া হয়, যা স্থাপনাটির সুরক্ষায় কাজ করে।
দুই পিলারের মাঝখানের প্রতিটি স্প্যানের জন্য চারটি করে বিয়ারিং প্যাড রয়েছে; অর্থাৎ একেকটি পিলারের আছে চারটি করে রাবার প্যাড। এগুলোর স্তরে স্তরে রাবার ও বিশেষ স্টিল দিয়ে তৈরি। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজন এই বিয়ারিং প্যাডের। সেটি সরাসরি এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। তখনও প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মেট্রোরেল নির্মাণের খরচ কয়েকগুণ বেশি। এই মাত্রাতিরিক্ত ব্যয়ের ব্যাখ্যা হিসেবে মেট্রোরেল নির্মাণে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান জাইকা ‘উচ্চ গুণগত মান’ রক্ষার কথা বলেছিল। সংস্থাটি বলেছিল, প্রাথমিক নির্মাণ ব্যয় বেশি হলেও রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে ব্যয় কম হবে। তাহলে উচ্চ গুণ–মানসম্পন্ন মেট্রোরেল থেকে দ্বিতীয়বার ‘ভবনের ইট খুলে পড়ার মতো’ বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে কেন— সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রকৌশলী কল্লোল মুস্তফা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা হচ্ছে।

জাপানের কোম্পানি উচ্চ গুণ–মানের দাবি করলেও এই ঘটনার পেছনে ‘নকশাগত ত্রুটিকে’ দায়ী করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ড. হদিউজ্জামান। আগেরবার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মেট্রোরেলের যেখান থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে গেছে সেই জায়গাটিতে বাঁক আছে। ট্রেন যখন সেই জায়গাটি অতিক্রম করে তখন লাইনের একপাশে বাড়তি চাপ তৈরি হয়। তখন বিয়ারিং প্যাডের একদিকে বাড়তি চাপ পড়লে অন্য রাবারের বিয়ারিং প্যাড ছিটকে বেরিয়ে আসে।
তিনি বলেন, ‘এসব বাঁকে বাড়তি চাপ মাথায় রেখে লাইনে বিয়ারিং প্যাড ধরে রাখার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্ত এই মেট্রোরেলের নকশায় বাঁকের মধ্যে বাড়তি চাপের বিষয়টি বিবেচনা না করেই ভায়াডাক্ট বসানো হয়েছে। সেখানে রাবারের বিয়ারিং প্যাডকে ধরে রাখার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। ফলে বাড়তি চাপ নিতে না পেরে রাবারের প্যাড খুলে গেছে।’
মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে উত্তরা অংশের নির্মাণকাজের সঙ্গে এক পূরকৌশলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে বিয়ারিং প্যাডটি খুলে নিচে পড়ে গেছে, তার পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলের সঠিক অবস্থানে সেটা বসানো হয়নি। সুষমভাবে ভরবণ্টন মাথায় রেখে সেটা বসানো ছিল না। ছিটকে পড়ে যাওয়া বিয়ারিং প্যাডের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আয়তাকার প্যাডের এক কোণে ভর বেশি ছিল।’
আগেরবার ঘটনার পর সমাধান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায় হিসেবে পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড আটকে রাখার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই সাথে রাবারের বিয়ারিং বাদ দিয়ে টেকসই ও অধিক চাপ সহনশীল ‘পড বিয়ারিং’ ব্যবহার করার কথাও বলেছিলেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হাদী। ওই সময় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষও ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনা এড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিল।
প্রকৌশলী কল্লোল মুস্তফা ফেসবুকে প্রশ্ন তুলেছেন, এক বছরের বেশি সময় পার করে সেই ফার্মগেট এলাকাতেই আবারও বিয়ারিং প্যাড কেন খুলে পড়ে গেল। বুয়েটের পরামর্শ মতো মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কি পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড আটকে রাখার কোনো ব্যবস্থা করেছিল।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এ ব্যাপারে জাপানের জাইকা ও মেট্রোরেলের নকশা ও নির্মাণের সাথে যুক্ত কোম্পানিগুলোই বা কি পদক্ষেপ নিয়েছিল? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া দরকার। সদ্য নির্মিত মেট্রোরেল থেকে এক বছরের ব্যবধানে দুইবার বিয়ারিং প্যাড খুলে যাওয়ার ঘটনা মেট্রোরেলের নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। জাপান বেশি টাকা নেয়ার যুক্তি হিসেবে উচ্চগুণগত মানের যে যুক্তি দিয়েছিলো সেই যুক্তিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।’
তাই শুধু জাপানের উপর ভরসা না করে ‘অবিলম্বে স্বাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেট্রোরেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করা প্রয়োজন’ বলে এই প্রকৌশলীর দাবি।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ১৯৭৫ সাল থেকে যেকোনো খাদ্যদ্রব্যের মান তৈরির কাজ করছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন–বিএসটিআই। তবে ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ–বিএফএসএ গঠিত হয়। সম্প্রতি সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের স্থানীয় মান (স্ট্যাডা
০৭ জুলাই ২০২১
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন।
২৭ মিনিট আগে
আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক কর্মীর প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমানসহ তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রৌনক জাহান তাকি এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
তিনি বলেন, আসামি তিনজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া অন্য দুজন হলেন গ্রামীণফোনের ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক ও চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার সায়িদা হোসেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের ২৬ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০০৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোন কোম্পানি লিমিটেডে চাকরি করতেন রাকিবুল আজম। চাকরিরত অবস্থায় ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আউটসোর্সিংয়ের রক্ষিত টাকা কর্মচারীদের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই আউটসোর্সিংয়ের কাজের জন্য কোম্পানির কাছে বাদীর ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৮ টাকা পাওনা হয়।
গত বছরের ১০ নভেম্বর বাদীকে তাঁর পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। টাকা আনতে গেলে আসামিরা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে বাদীর স্বাক্ষর নেন। কিন্তু বাদীর পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেন আসামি তিনজন।

সাবেক কর্মীর প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমানসহ তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রৌনক জাহান তাকি এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
তিনি বলেন, আসামি তিনজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া অন্য দুজন হলেন গ্রামীণফোনের ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক ও চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার সায়িদা হোসেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের ২৬ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০০৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোন কোম্পানি লিমিটেডে চাকরি করতেন রাকিবুল আজম। চাকরিরত অবস্থায় ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আউটসোর্সিংয়ের রক্ষিত টাকা কর্মচারীদের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই আউটসোর্সিংয়ের কাজের জন্য কোম্পানির কাছে বাদীর ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৮ টাকা পাওনা হয়।
গত বছরের ১০ নভেম্বর বাদীকে তাঁর পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। টাকা আনতে গেলে আসামিরা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে বাদীর স্বাক্ষর নেন। কিন্তু বাদীর পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেন আসামি তিনজন।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ১৯৭৫ সাল থেকে যেকোনো খাদ্যদ্রব্যের মান তৈরির কাজ করছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন–বিএসটিআই। তবে ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ–বিএফএসএ গঠিত হয়। সম্প্রতি সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের স্থানীয় মান (স্ট্যাডা
০৭ জুলাই ২০২১
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন।
২৭ মিনিট আগে
আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এক বছর পার হতেই বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেল। আগেরবার হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এবার একজন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুজন আহত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে একই ধরনের প্রাণহানিকর ঘটনা মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
১ ঘণ্টা আগে