সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
সোমালি জলদস্যুদের কবজায় বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। চতুর্থ দিনের মতো নাবিকেরা জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সোমালিয়ার উপকূল থেকে সাত নটিক্যাল মাইল (১ নটিক্যাল মাইল সমান ১ দশমিক ৮৫২ কিলোমিটার) দূরে নোঙর করা জাহাজটির অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
তবে এখনো দস্যুদের তরফ থেকে মুক্তিপণের জন্য কোনো কথা বলা হয়নি। আর প্রিয়জনদের খবর পেতে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন ২৩ নাবিকের পরিবারের সদস্যরা। এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টদের চোখও মোবাইল স্ক্রিনে। দস্যুদের তরফ থেকে তাঁদের মুক্তি নিয়ে রফার কোনো তথ্য আসছে কি না, সেই আশায় তাঁরা বসে আছেন। জাহাজটির মালিকপক্ষ ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ছাড়িয়ে আনতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে তৎপরতা চালাচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্যমতে, জলদস্যুরা নাবিকদের নিজ নিজ কেবিনে থাকার সুযোগ দিয়েছে। সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জানান, সোমালি দস্যুরা জাহাজ নোঙর করার পর দেনদরবারের পর্ব এখনো শুরু করেনি। আরও দু-এক দিন সময় নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, মুক্তিপণ চাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কিছু প্রস্তুতি থাকে। ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে সোমালি দস্যুদের কবজায় থাকা নাবিকদের আত্মীয়স্বজনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছেই। কখন কী খবর আসে তা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন যাচ্ছে তাঁদের। নাবিক পরিবারের সদস্যদের চোখ মোবাইলের স্ক্রিনে। কখন জিম্মি প্রিয়জনের কল আসে। কখন অডিও বার্তা বা মেসেজ ভেসে ওঠে মোবাইলের পর্দায়। রিং বেজে উঠলেই বুক ধড়ফড় করে উঠছে!
জিম্মি হওয়ার আগে ও পরে জাহাজের নাবিকেরা বেশ কয়েকটি অডিও বার্তা, সরাসরি মোবাইল কল ও মেসেজ পাঠিয়েছেন পরিবার ও জাহাজ মালিকপক্ষের কাছে। কিন্তু জাহাজটি দস্যুরা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকে আর তেমন কোনো বার্তা আসছে না। আজ শুক্রবার সারা দিন কোনো বার্তা আসেনি।
জিম্মি হওয়ার পর গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ খানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তাঁর মা শাহনুর বেগম ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। তাঁরা আর কোনো হালনাগাদ খবর পাচ্ছেন না।
আতিকের মা বলেন, ‘আমাদের নির্ঘুম সময় কাটছে। মোবাইলের দিকেই সারাক্ষণ নজর। কবে আমার ছেলের কল আসে এ চিন্তায়। আমার ছেলেকে অক্ষত ফেরত চাই।’
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা নূর উদ্দিনের মা ইসলাম খাতুনের ও পরিবারের অন্য সদস্যদেরও একই অবস্থা। নূর উদ্দিনের বড় ভাই মো. লোকমান বলেন, ‘মঙ্গলবার ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছিল। এর পর থেকেই আমরা চরম উদ্বেগের মধ্যে আছি। মোবাইল ফোনের দিকেই সবার নজর কখন ভাইয়ের কল আসে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পৌঁছানোর পর নাবিকদের নিজ নিজ কেবিনে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টায় জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান মালিকপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমন তথ্য দিয়েছেন। কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
সোমালি জলদস্যুদের কবজায় বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। চতুর্থ দিনের মতো নাবিকেরা জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সোমালিয়ার উপকূল থেকে সাত নটিক্যাল মাইল (১ নটিক্যাল মাইল সমান ১ দশমিক ৮৫২ কিলোমিটার) দূরে নোঙর করা জাহাজটির অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
তবে এখনো দস্যুদের তরফ থেকে মুক্তিপণের জন্য কোনো কথা বলা হয়নি। আর প্রিয়জনদের খবর পেতে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন ২৩ নাবিকের পরিবারের সদস্যরা। এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টদের চোখও মোবাইল স্ক্রিনে। দস্যুদের তরফ থেকে তাঁদের মুক্তি নিয়ে রফার কোনো তথ্য আসছে কি না, সেই আশায় তাঁরা বসে আছেন। জাহাজটির মালিকপক্ষ ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ছাড়িয়ে আনতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে তৎপরতা চালাচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্যমতে, জলদস্যুরা নাবিকদের নিজ নিজ কেবিনে থাকার সুযোগ দিয়েছে। সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জানান, সোমালি দস্যুরা জাহাজ নোঙর করার পর দেনদরবারের পর্ব এখনো শুরু করেনি। আরও দু-এক দিন সময় নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, মুক্তিপণ চাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কিছু প্রস্তুতি থাকে। ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে সোমালি দস্যুদের কবজায় থাকা নাবিকদের আত্মীয়স্বজনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছেই। কখন কী খবর আসে তা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন যাচ্ছে তাঁদের। নাবিক পরিবারের সদস্যদের চোখ মোবাইলের স্ক্রিনে। কখন জিম্মি প্রিয়জনের কল আসে। কখন অডিও বার্তা বা মেসেজ ভেসে ওঠে মোবাইলের পর্দায়। রিং বেজে উঠলেই বুক ধড়ফড় করে উঠছে!
জিম্মি হওয়ার আগে ও পরে জাহাজের নাবিকেরা বেশ কয়েকটি অডিও বার্তা, সরাসরি মোবাইল কল ও মেসেজ পাঠিয়েছেন পরিবার ও জাহাজ মালিকপক্ষের কাছে। কিন্তু জাহাজটি দস্যুরা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকে আর তেমন কোনো বার্তা আসছে না। আজ শুক্রবার সারা দিন কোনো বার্তা আসেনি।
জিম্মি হওয়ার পর গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ খানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তাঁর মা শাহনুর বেগম ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। তাঁরা আর কোনো হালনাগাদ খবর পাচ্ছেন না।
আতিকের মা বলেন, ‘আমাদের নির্ঘুম সময় কাটছে। মোবাইলের দিকেই সারাক্ষণ নজর। কবে আমার ছেলের কল আসে এ চিন্তায়। আমার ছেলেকে অক্ষত ফেরত চাই।’
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা নূর উদ্দিনের মা ইসলাম খাতুনের ও পরিবারের অন্য সদস্যদেরও একই অবস্থা। নূর উদ্দিনের বড় ভাই মো. লোকমান বলেন, ‘মঙ্গলবার ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছিল। এর পর থেকেই আমরা চরম উদ্বেগের মধ্যে আছি। মোবাইল ফোনের দিকেই সবার নজর কখন ভাইয়ের কল আসে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পৌঁছানোর পর নাবিকদের নিজ নিজ কেবিনে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টায় জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান মালিকপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমন তথ্য দিয়েছেন। কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও আহতদের জন্য সরকার যে সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সেসব সুবিধা নিলে দুই বছর কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে সরকারের জারি করা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ...
৫ ঘণ্টা আগেকরোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে নয়টায় সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো হালনাগাদকৃত তথ্যে বিষয়টি জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১৩ বছরের শিশু ফারহান আহমেদ তিন দিন ধরে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ৭ দিন ধরে অসুস্থ ফারহানের বাসা মগবাজারের রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়সংলগ্ন এলাকায়। ওই এলাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে। এলাকাটিতে মশার উপদ্রব ব্যাপক...
৬ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে রাজধানীর বাইরে। চলতি বছর দেশে সবচেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বরগুনায়। গ্রামাঞ্চলে সাধারণভাবে বাস করা অ্যালবোপিকটাস প্রজাতির মশাও ডেঙ্গু ভাইরাসবাহী হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে সেখানে বিস্তার ঘটেছে শহর থেকে যাওয়া এডিস...
৬ ঘণ্টা আগে