
দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনরতরা। পরে সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস পেয়ে রাতে আগামী রোববার পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন কোটি গ্রাহক। কোথাও কোথাও পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। কোথাও আবার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে। এভাবে হুট করে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে জাতীয় গ্রিডও।
বাংলাদেশে আরইবিসহ ছয়টি বিতরণ সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এর মধ্যে আরইবিই দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই দফা দাবি হলো পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।
গতকাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনরত ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, চাকরি অবসায়নের আদেশ বাতিল ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। পাশাপাশি দুই দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কমপ্লিট শাটডাউন করে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
তবে রাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হাকিম টেলিফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আটক করা কর্মকর্তাদের সকালের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুতি আদেশ ও মামলা প্রত্যাহার এবং আটকদের মুক্তির দাবি মানা না হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রকৌশলীরা বলছেন, না জানিয়ে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো যদি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাতে জাতীয় সঞ্চালন লাইন বা ন্যাশনাল গ্রিড ঝুঁকিতে পড়ে। যেকোনো সময় গ্রিড ট্রিপ করতে পারে। গ্রিড ট্রিপ করলে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের আলোচনায় আসতে বলেছি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারও প্ররোচনায় যেন এমন কোনো কাজ না করেন, যাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। আশা করি, তাঁরা আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই আলোচনায় বসব।’ তিনি বলেন, ‘তাঁদের অধিকাংশ ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সমিতির অন্তর্দ্বন্দ্ব দ্রুতই ন্যায্যতার ভিত্তিতে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হবে।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের বলেছি, জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না। আপনাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
দেশজুড়ে লাখো গ্রাহকের ভোগান্তি
আরইবি সূত্র বলেছে, সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে গতকাল দেশের অন্তত ৩৫টি জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকাগুলো কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, বিদ্যুৎ বন্ধে ভোগান্তির শিকার হন সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, মাগুরা, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, নওগাঁ, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা। মানিকগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের চার কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। ফেনীতে পুলিশ পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
মাগুরায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল ৪ ঘণ্টা। মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পারনান্দুয়ালী কার্যালয়ের গ্রাহক মকবুল হোসেন বলেন, ‘কোনো কথা নাই, বার্তা নাই, বিদ্যুৎ নাই সকাল থেকে। বাড়িতে অনুষ্ঠান, গরমে টেকা যাচ্ছে না। এসে শুনি, তারা আন্দোলনের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখছে। এটা কোনো কথা হলো? গ্রাহকেরা কী অপরাধ করেছে, যে আমাগের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে হবি?’ কাদির মোল্লা নামের আরেক গ্রাহক বলেন, বিদ্যুৎ বিল নেয় নিয়মিত। তাহলে আন্দোলনের অস্ত্র হিসেবে কেন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হবে?
রাজশাহীতে গতকাল বেলা সোয়া ৩টার দিকে কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সকাল থেকে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় অফিসের গেটে তালা দিয়ে চলে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ফেনীর সোনাগাজী বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রুবেল বলেন, ‘এমনিতে বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। এখন বিকেল থেকে নেই। কখন আসবে, তাও জানি না। দ্রুত বিদ্যুৎ না দিলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’ এদিকে ফেনীতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় এখানকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচিব হাসিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ চালুর ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। মাঠপর্যায়ের সমিতির অফিসগুলো এ নিয়ে কাজ করছে।’

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনরতরা। পরে সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস পেয়ে রাতে আগামী রোববার পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন কোটি গ্রাহক। কোথাও কোথাও পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। কোথাও আবার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে। এভাবে হুট করে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে জাতীয় গ্রিডও।
বাংলাদেশে আরইবিসহ ছয়টি বিতরণ সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এর মধ্যে আরইবিই দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই দফা দাবি হলো পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।
গতকাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনরত ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, চাকরি অবসায়নের আদেশ বাতিল ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। পাশাপাশি দুই দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কমপ্লিট শাটডাউন করে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
তবে রাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হাকিম টেলিফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আটক করা কর্মকর্তাদের সকালের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুতি আদেশ ও মামলা প্রত্যাহার এবং আটকদের মুক্তির দাবি মানা না হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রকৌশলীরা বলছেন, না জানিয়ে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো যদি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাতে জাতীয় সঞ্চালন লাইন বা ন্যাশনাল গ্রিড ঝুঁকিতে পড়ে। যেকোনো সময় গ্রিড ট্রিপ করতে পারে। গ্রিড ট্রিপ করলে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের আলোচনায় আসতে বলেছি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারও প্ররোচনায় যেন এমন কোনো কাজ না করেন, যাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। আশা করি, তাঁরা আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই আলোচনায় বসব।’ তিনি বলেন, ‘তাঁদের অধিকাংশ ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সমিতির অন্তর্দ্বন্দ্ব দ্রুতই ন্যায্যতার ভিত্তিতে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হবে।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের বলেছি, জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না। আপনাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
দেশজুড়ে লাখো গ্রাহকের ভোগান্তি
আরইবি সূত্র বলেছে, সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে গতকাল দেশের অন্তত ৩৫টি জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকাগুলো কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, বিদ্যুৎ বন্ধে ভোগান্তির শিকার হন সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, মাগুরা, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, নওগাঁ, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা। মানিকগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের চার কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। ফেনীতে পুলিশ পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
মাগুরায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল ৪ ঘণ্টা। মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পারনান্দুয়ালী কার্যালয়ের গ্রাহক মকবুল হোসেন বলেন, ‘কোনো কথা নাই, বার্তা নাই, বিদ্যুৎ নাই সকাল থেকে। বাড়িতে অনুষ্ঠান, গরমে টেকা যাচ্ছে না। এসে শুনি, তারা আন্দোলনের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখছে। এটা কোনো কথা হলো? গ্রাহকেরা কী অপরাধ করেছে, যে আমাগের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে হবি?’ কাদির মোল্লা নামের আরেক গ্রাহক বলেন, বিদ্যুৎ বিল নেয় নিয়মিত। তাহলে আন্দোলনের অস্ত্র হিসেবে কেন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হবে?
রাজশাহীতে গতকাল বেলা সোয়া ৩টার দিকে কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সকাল থেকে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় অফিসের গেটে তালা দিয়ে চলে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ফেনীর সোনাগাজী বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রুবেল বলেন, ‘এমনিতে বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। এখন বিকেল থেকে নেই। কখন আসবে, তাও জানি না। দ্রুত বিদ্যুৎ না দিলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’ এদিকে ফেনীতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় এখানকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচিব হাসিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ চালুর ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। মাঠপর্যায়ের সমিতির অফিসগুলো এ নিয়ে কাজ করছে।’

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনরতরা। পরে সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস পেয়ে রাতে আগামী রোববার পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন কোটি গ্রাহক। কোথাও কোথাও পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। কোথাও আবার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে। এভাবে হুট করে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে জাতীয় গ্রিডও।
বাংলাদেশে আরইবিসহ ছয়টি বিতরণ সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এর মধ্যে আরইবিই দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই দফা দাবি হলো পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।
গতকাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনরত ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, চাকরি অবসায়নের আদেশ বাতিল ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। পাশাপাশি দুই দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কমপ্লিট শাটডাউন করে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
তবে রাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হাকিম টেলিফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আটক করা কর্মকর্তাদের সকালের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুতি আদেশ ও মামলা প্রত্যাহার এবং আটকদের মুক্তির দাবি মানা না হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রকৌশলীরা বলছেন, না জানিয়ে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো যদি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাতে জাতীয় সঞ্চালন লাইন বা ন্যাশনাল গ্রিড ঝুঁকিতে পড়ে। যেকোনো সময় গ্রিড ট্রিপ করতে পারে। গ্রিড ট্রিপ করলে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের আলোচনায় আসতে বলেছি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারও প্ররোচনায় যেন এমন কোনো কাজ না করেন, যাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। আশা করি, তাঁরা আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই আলোচনায় বসব।’ তিনি বলেন, ‘তাঁদের অধিকাংশ ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সমিতির অন্তর্দ্বন্দ্ব দ্রুতই ন্যায্যতার ভিত্তিতে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হবে।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের বলেছি, জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না। আপনাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
দেশজুড়ে লাখো গ্রাহকের ভোগান্তি
আরইবি সূত্র বলেছে, সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে গতকাল দেশের অন্তত ৩৫টি জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকাগুলো কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, বিদ্যুৎ বন্ধে ভোগান্তির শিকার হন সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, মাগুরা, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, নওগাঁ, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা। মানিকগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের চার কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। ফেনীতে পুলিশ পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
মাগুরায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল ৪ ঘণ্টা। মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পারনান্দুয়ালী কার্যালয়ের গ্রাহক মকবুল হোসেন বলেন, ‘কোনো কথা নাই, বার্তা নাই, বিদ্যুৎ নাই সকাল থেকে। বাড়িতে অনুষ্ঠান, গরমে টেকা যাচ্ছে না। এসে শুনি, তারা আন্দোলনের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখছে। এটা কোনো কথা হলো? গ্রাহকেরা কী অপরাধ করেছে, যে আমাগের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে হবি?’ কাদির মোল্লা নামের আরেক গ্রাহক বলেন, বিদ্যুৎ বিল নেয় নিয়মিত। তাহলে আন্দোলনের অস্ত্র হিসেবে কেন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হবে?
রাজশাহীতে গতকাল বেলা সোয়া ৩টার দিকে কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সকাল থেকে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় অফিসের গেটে তালা দিয়ে চলে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ফেনীর সোনাগাজী বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রুবেল বলেন, ‘এমনিতে বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। এখন বিকেল থেকে নেই। কখন আসবে, তাও জানি না। দ্রুত বিদ্যুৎ না দিলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’ এদিকে ফেনীতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় এখানকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচিব হাসিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ চালুর ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। মাঠপর্যায়ের সমিতির অফিসগুলো এ নিয়ে কাজ করছে।’

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনরতরা। পরে সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস পেয়ে রাতে আগামী রোববার পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন কোটি গ্রাহক। কোথাও কোথাও পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। কোথাও আবার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে। এভাবে হুট করে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে জাতীয় গ্রিডও।
বাংলাদেশে আরইবিসহ ছয়টি বিতরণ সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এর মধ্যে আরইবিই দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই দফা দাবি হলো পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।
গতকাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনরত ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাঁদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, চাকরি অবসায়নের আদেশ বাতিল ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। পাশাপাশি দুই দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কমপ্লিট শাটডাউন করে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
তবে রাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হাকিম টেলিফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আটক করা কর্মকর্তাদের সকালের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুতি আদেশ ও মামলা প্রত্যাহার এবং আটকদের মুক্তির দাবি মানা না হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রকৌশলীরা বলছেন, না জানিয়ে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো যদি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাতে জাতীয় সঞ্চালন লাইন বা ন্যাশনাল গ্রিড ঝুঁকিতে পড়ে। যেকোনো সময় গ্রিড ট্রিপ করতে পারে। গ্রিড ট্রিপ করলে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের আলোচনায় আসতে বলেছি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারও প্ররোচনায় যেন এমন কোনো কাজ না করেন, যাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। আশা করি, তাঁরা আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই আলোচনায় বসব।’ তিনি বলেন, ‘তাঁদের অধিকাংশ ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সমিতির অন্তর্দ্বন্দ্ব দ্রুতই ন্যায্যতার ভিত্তিতে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হবে।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁদের বলেছি, জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না। আপনাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
দেশজুড়ে লাখো গ্রাহকের ভোগান্তি
আরইবি সূত্র বলেছে, সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে গতকাল দেশের অন্তত ৩৫টি জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকাগুলো কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, বিদ্যুৎ বন্ধে ভোগান্তির শিকার হন সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, মাগুরা, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, নওগাঁ, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা। মানিকগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের চার কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। ফেনীতে পুলিশ পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
মাগুরায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল ৪ ঘণ্টা। মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পারনান্দুয়ালী কার্যালয়ের গ্রাহক মকবুল হোসেন বলেন, ‘কোনো কথা নাই, বার্তা নাই, বিদ্যুৎ নাই সকাল থেকে। বাড়িতে অনুষ্ঠান, গরমে টেকা যাচ্ছে না। এসে শুনি, তারা আন্দোলনের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখছে। এটা কোনো কথা হলো? গ্রাহকেরা কী অপরাধ করেছে, যে আমাগের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে হবি?’ কাদির মোল্লা নামের আরেক গ্রাহক বলেন, বিদ্যুৎ বিল নেয় নিয়মিত। তাহলে আন্দোলনের অস্ত্র হিসেবে কেন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হবে?
রাজশাহীতে গতকাল বেলা সোয়া ৩টার দিকে কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সকাল থেকে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় অফিসের গেটে তালা দিয়ে চলে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ফেনীর সোনাগাজী বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রুবেল বলেন, ‘এমনিতে বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। এখন বিকেল থেকে নেই। কখন আসবে, তাও জানি না। দ্রুত বিদ্যুৎ না দিলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’ এদিকে ফেনীতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ায় এখানকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচিব হাসিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ চালুর ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। মাঠপর্যায়ের সমিতির অফিসগুলো এ নিয়ে কাজ করছে।’

জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্য
৫ ঘণ্টা আগে
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পলাতক ২৪ জনের বিরুদ্ধে সাত মাসেও রেড নোটিশ জারি করেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। বাংলাদেশ পুলিশের সূত্র বলেছে, তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইন্টারপোলের কাছে এ সহায়তা চাওয়া হয়
৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন।
ঐকমত্য কমিশন আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই সুপারিশ জমা দেবে। আগামী সংসদ সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো অনুমোদন না করলে কী হবে, তা নিয়ে কমিশন একটি বিকল্প প্রস্তাবও সুপারিশ করবে। সেখানে থাকবে বিশেষ আদেশ জারির পর সংবিধানসংক্রান্ত সব প্রস্তাব নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিল তৈরি, পরে বিলের প্রশ্নে গণভোট এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের মেয়াদে বাস্তবায়িত না হলে বিলে থাকা বিষয়গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
গতকাল সোমবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কমিশনের প্রস্তুত করা সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রস্তুত করা সুপারিশের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিশনের প্রধানকে সুপারিশগুলো আমরা অবহিত করেছি। এ ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, চূড়ান্ত সুপারিশ অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। এর অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যে সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব/সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি করা হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। এগুলোর মধ্যে ৪৭টি প্রস্তাব সংবিধানসম্পর্কিত। মূলত এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা আছে। এই প্রস্তাবগুলোর বেশির ভাগের ক্ষেত্রে কোনো না কোনো দলের ভিন্নমত আছে। এগুলোর মধ্যে ৭টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে ভিন্নমত আছে বিএনপির।
কমিশনের একাধিক সূত্র জানায়, সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) উল্লেখ থাকবে না। সনদের ওপরই গণভোট হবে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই তা বাস্তবায়িত হবে। ‘গণভোট ও সংবিধান সংস্কার পরিষদে পাস হলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে আইনসভার উচ্চকক্ষ গঠন করার সুপারিশ করা হতে পারে’; যা আদেশে আলাদা করে উল্লেখ থাকতে পারে।
সংবিধান সংস্কার পরিষদকে সনদের সংবিধানসম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সমাধানে বাধ্যবাধকতা রাখতে বিকল্প আরেকটি প্রস্তাব কমিশন দেবে বলে সূত্র জানায়। বিকল্প সুপারিশে বলা হতে পারে, সংবিধানসংক্রান্ত সব সুপারিশ বিল আকারে আগামী চার মাসের মধ্যে সরকারকে তৈরি করতে বলা হবে। সে ক্ষেত্রে গণভোটে বিলটি দেওয়া হবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদ আলোচনার মাধ্যমে বিলের শব্দ বা বাক্য পরিবর্তন করতে পারবে, তবে স্পিরিট বা মূলভাব পরিবর্তন করা যাবে না। তবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে বিষয়গুলোর সমাধান না হলে ২৭১তম দিনে বিলগুলো সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে গণভোটে প্রশ্ন হতে পারে—জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না এবং গণভোট বিলের প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন চান কি না।
গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির সিদ্ধান্ত দেবে সরকার
গণভোটে জুলাই সনদের বৈধতা নেওয়ার প্রশ্নে দলগুলো একমত হলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে—এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে মতবিরোধ আছে। কমিশন সূত্র জানায়, গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে—এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে জারি করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। বিএনপি আদেশ জারির পক্ষে নয়। এই অবস্থায় আদেশটি রাষ্ট্রপতি নাকি প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারও সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে কমিশন।

জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন।
ঐকমত্য কমিশন আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই সুপারিশ জমা দেবে। আগামী সংসদ সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো অনুমোদন না করলে কী হবে, তা নিয়ে কমিশন একটি বিকল্প প্রস্তাবও সুপারিশ করবে। সেখানে থাকবে বিশেষ আদেশ জারির পর সংবিধানসংক্রান্ত সব প্রস্তাব নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিল তৈরি, পরে বিলের প্রশ্নে গণভোট এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের মেয়াদে বাস্তবায়িত না হলে বিলে থাকা বিষয়গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
গতকাল সোমবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য কমিশনের প্রস্তুত করা সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রস্তুত করা সুপারিশের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমিশনের প্রধানকে সুপারিশগুলো আমরা অবহিত করেছি। এ ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, চূড়ান্ত সুপারিশ অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। এর অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যে সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব/সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি করা হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। এগুলোর মধ্যে ৪৭টি প্রস্তাব সংবিধানসম্পর্কিত। মূলত এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা আছে। এই প্রস্তাবগুলোর বেশির ভাগের ক্ষেত্রে কোনো না কোনো দলের ভিন্নমত আছে। এগুলোর মধ্যে ৭টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে ভিন্নমত আছে বিএনপির।
কমিশনের একাধিক সূত্র জানায়, সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) উল্লেখ থাকবে না। সনদের ওপরই গণভোট হবে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই তা বাস্তবায়িত হবে। ‘গণভোট ও সংবিধান সংস্কার পরিষদে পাস হলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে আইনসভার উচ্চকক্ষ গঠন করার সুপারিশ করা হতে পারে’; যা আদেশে আলাদা করে উল্লেখ থাকতে পারে।
সংবিধান সংস্কার পরিষদকে সনদের সংবিধানসম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সমাধানে বাধ্যবাধকতা রাখতে বিকল্প আরেকটি প্রস্তাব কমিশন দেবে বলে সূত্র জানায়। বিকল্প সুপারিশে বলা হতে পারে, সংবিধানসংক্রান্ত সব সুপারিশ বিল আকারে আগামী চার মাসের মধ্যে সরকারকে তৈরি করতে বলা হবে। সে ক্ষেত্রে গণভোটে বিলটি দেওয়া হবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদ আলোচনার মাধ্যমে বিলের শব্দ বা বাক্য পরিবর্তন করতে পারবে, তবে স্পিরিট বা মূলভাব পরিবর্তন করা যাবে না। তবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে বিষয়গুলোর সমাধান না হলে ২৭১তম দিনে বিলগুলো সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে গণভোটে প্রশ্ন হতে পারে—জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না এবং গণভোট বিলের প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন চান কি না।
গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির সিদ্ধান্ত দেবে সরকার
গণভোটে জুলাই সনদের বৈধতা নেওয়ার প্রশ্নে দলগুলো একমত হলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে—এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে মতবিরোধ আছে। কমিশন সূত্র জানায়, গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে—এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে জারি করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। বিএনপি আদেশ জারির পক্ষে নয়। এই অবস্থায় আদেশটি রাষ্ট্রপতি নাকি প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারও সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে কমিশন।

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার
১৮ অক্টোবর ২০২৪
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পলাতক ২৪ জনের বিরুদ্ধে সাত মাসেও রেড নোটিশ জারি করেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। বাংলাদেশ পুলিশের সূত্র বলেছে, তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইন্টারপোলের কাছে এ সহায়তা চাওয়া হয়
৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৮ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন মামলায় পরোয়ানা
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পলাতক ২৪ জনের বিরুদ্ধে সাত মাসেও রেড নোটিশ জারি করেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। বাংলাদেশ পুলিশের সূত্র বলেছে, তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইন্টারপোলের কাছে এ সহায়তা চাওয়া হয়।
পলাতক এই ২৪ জনের বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখার সূত্র বলছে, ওই ২৪ জনের বিরুদ্ধে এখনো ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি না হওয়ার কারণ জানা যায়নি। আবেদন পেলে ইন্টারপোল তাদের নিজস্ব নিয়মে আসামির সব নথি ও তথ্য যাচাই-বাছাই করে নোটিশ জারি করে। সাধারণত আবেদনের তিন সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ এর আগে ইন্টারপোলের কাছ থেকে জবাব পেয়েছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এখনো তারা কিছু ক্ষেত্রে রেড নোটিশ জারি করেনি। হয়তো যাচাই-বাছাই করছে, এটা তাদের প্রক্রিয়া। তারা রেড নোটিশ জারি না করলেও বিচার থেমে থাকবে না। বিচার আসামির অনুপস্থিতিতেই হবে।
তিনি বলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে সব প্রক্রিয়াও চালু রাখতে হবে। ইন্টারপোল এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের কূটনৈতিক ধারাও অব্যাহত রাখতে হবে।
সূত্র জানায়, শেখ হাসিনাসহ পলাতক ২৮ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) ইন্টারপোলে আবেদন করেছে। এখন পর্যন্ত ইন্টারপোল তাঁদের মধ্যে মাত্র চারজনের নামে রেড নোটিশ জারি করেছে। তাঁরা হলেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার আসামি আরিফ সরকার, মহসিন মিয়া ও আওলাদ হোসেন। মহসিন মিয়াকে গত জুলাইয়ে দুবাই থেকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে আবেদন করা হলেও ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়ান্টেডের বাংলাদেশের তালিকায় বেনজীর আহমেদের ছবি ও নাম এখনো উঠানো হয়নি।
যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল এখনো রেড নোটিশ জারি করেনি তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার ব্যবসায়ী মো. সাইফুল আলম ও তাঁর তিন ভাই এবং কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি), ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা।
চলতি বছরের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও দেশের কয়েকটি আদালতের নির্দেশে তাঁদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, আবেদন করলেই ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে না। সংস্থাটি তাদের নিয়মে আসামির সব নথি ও তথ্য যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়। এনসিবি সাধারণত আবেদন জমা দেওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারপোলের কাছ থেকে জবাব পায়। এত দীর্ঘ সময় ঝুলিয়ে রাখে না। তিনি বলেন, আসামিরা কে কোথায় আছেন, সে বিষয়ে ইন্টারপোল জানে, বাংলাদেশকে তথ্যও দিয়েছে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তবে রেড নোটিশের বিষয়ে সংস্থাটি এখনো কিছু জানায়নি।
ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করা পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, ইন্টারপোল রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হতে চায় না। বিভিন্ন দেশে সরকার পরিবর্তনের পর সাবেকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। দেশগুলো ইন্টারপোলের সহায়তা চায়। তাই এসব আবেদন ইন্টারপোল খুব সতর্কভাবে দেখে। ইন্টারপোল কোনো আবেদনের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায় না, নীরবতা পালন করে। যেসব আবেদনে তারা রেড নোটিশ জারি করে, সেগুলো দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে জানিয়ে দেয়।
এনসিবির কর্মকর্তারা বলছেন, ইন্টারপোল দুই ভাবে আবেদন মূল্যায়ন করে, জরুরি ও সাধারণ। কোনো দেশ জরুরি আবেদন করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয় সংস্থাটি। আর কম গুরুত্বপূর্ণ হলে ইন্টারপোলের ফ্রান্সের কমিটি সেটি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় নেয়।
আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম শাহজাহান সাইফ বলেন, আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচারপ্রক্রিয়া চলতে পারে। তবে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে উদ্যোগও নিতে হবে।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী মোট ৬ হাজার ৫১৭ জন ওয়ান্টেড ব্যক্তির বিরুদ্ধে রেড নোটিশ আছে, যার মধ্যে বাংলাদেশি ৬০ জন।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘ইন্টারপোল তাদের নিজস্ব আইনি কাঠামোর মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমরা নিয়মের মধ্যে থেকে তাদের কাছে আবেদন করেছি। তারা রেড নোটিশ জারি করবে কি না, এটা তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পলাতক ২৪ জনের বিরুদ্ধে সাত মাসেও রেড নোটিশ জারি করেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। বাংলাদেশ পুলিশের সূত্র বলেছে, তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইন্টারপোলের কাছে এ সহায়তা চাওয়া হয়।
পলাতক এই ২৪ জনের বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখার সূত্র বলছে, ওই ২৪ জনের বিরুদ্ধে এখনো ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি না হওয়ার কারণ জানা যায়নি। আবেদন পেলে ইন্টারপোল তাদের নিজস্ব নিয়মে আসামির সব নথি ও তথ্য যাচাই-বাছাই করে নোটিশ জারি করে। সাধারণত আবেদনের তিন সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ এর আগে ইন্টারপোলের কাছ থেকে জবাব পেয়েছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এখনো তারা কিছু ক্ষেত্রে রেড নোটিশ জারি করেনি। হয়তো যাচাই-বাছাই করছে, এটা তাদের প্রক্রিয়া। তারা রেড নোটিশ জারি না করলেও বিচার থেমে থাকবে না। বিচার আসামির অনুপস্থিতিতেই হবে।
তিনি বলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে সব প্রক্রিয়াও চালু রাখতে হবে। ইন্টারপোল এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের কূটনৈতিক ধারাও অব্যাহত রাখতে হবে।
সূত্র জানায়, শেখ হাসিনাসহ পলাতক ২৮ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) ইন্টারপোলে আবেদন করেছে। এখন পর্যন্ত ইন্টারপোল তাঁদের মধ্যে মাত্র চারজনের নামে রেড নোটিশ জারি করেছে। তাঁরা হলেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার আসামি আরিফ সরকার, মহসিন মিয়া ও আওলাদ হোসেন। মহসিন মিয়াকে গত জুলাইয়ে দুবাই থেকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে আবেদন করা হলেও ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়ান্টেডের বাংলাদেশের তালিকায় বেনজীর আহমেদের ছবি ও নাম এখনো উঠানো হয়নি।
যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল এখনো রেড নোটিশ জারি করেনি তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার ব্যবসায়ী মো. সাইফুল আলম ও তাঁর তিন ভাই এবং কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি), ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা।
চলতি বছরের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও দেশের কয়েকটি আদালতের নির্দেশে তাঁদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, আবেদন করলেই ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে না। সংস্থাটি তাদের নিয়মে আসামির সব নথি ও তথ্য যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়। এনসিবি সাধারণত আবেদন জমা দেওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারপোলের কাছ থেকে জবাব পায়। এত দীর্ঘ সময় ঝুলিয়ে রাখে না। তিনি বলেন, আসামিরা কে কোথায় আছেন, সে বিষয়ে ইন্টারপোল জানে, বাংলাদেশকে তথ্যও দিয়েছে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তবে রেড নোটিশের বিষয়ে সংস্থাটি এখনো কিছু জানায়নি।
ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করা পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, ইন্টারপোল রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হতে চায় না। বিভিন্ন দেশে সরকার পরিবর্তনের পর সাবেকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। দেশগুলো ইন্টারপোলের সহায়তা চায়। তাই এসব আবেদন ইন্টারপোল খুব সতর্কভাবে দেখে। ইন্টারপোল কোনো আবেদনের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায় না, নীরবতা পালন করে। যেসব আবেদনে তারা রেড নোটিশ জারি করে, সেগুলো দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে জানিয়ে দেয়।
এনসিবির কর্মকর্তারা বলছেন, ইন্টারপোল দুই ভাবে আবেদন মূল্যায়ন করে, জরুরি ও সাধারণ। কোনো দেশ জরুরি আবেদন করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয় সংস্থাটি। আর কম গুরুত্বপূর্ণ হলে ইন্টারপোলের ফ্রান্সের কমিটি সেটি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় নেয়।
আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম শাহজাহান সাইফ বলেন, আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচারপ্রক্রিয়া চলতে পারে। তবে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে উদ্যোগও নিতে হবে।
ইন্টারপোলের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী মোট ৬ হাজার ৫১৭ জন ওয়ান্টেড ব্যক্তির বিরুদ্ধে রেড নোটিশ আছে, যার মধ্যে বাংলাদেশি ৬০ জন।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘ইন্টারপোল তাদের নিজস্ব আইনি কাঠামোর মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমরা নিয়মের মধ্যে থেকে তাদের কাছে আবেদন করেছি। তারা রেড নোটিশ জারি করবে কি না, এটা তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার
১৮ অক্টোবর ২০২৪
জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্য
৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৮ ঘণ্টা আগেপবিত্র হজ পালন
আয়নাল হোসেন, ঢাকা

দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কোন দেশের কতজন হজ করতে পারবেন, তা নির্ধারণ করে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ওআইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ১ শতাংশ প্রতিবছর হজে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আসছেন। সে অনুযায়ী ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা পেয়ে আসছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নিবন্ধিত অনেকে ২০২০ সাল থেকে হজে যেতে পারেননি। করোনা অতিমারির ধাক্কা ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিল। ২০২২ সালে হজে গিয়েছিলেন ৫৯ হাজার ৯০৯ জন। ২০২৩ সালে গিয়েছিলেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন, ২০২৪ সালে ৮৫ হাজার, ২০২৫ সালে ৮৭ হাজার ২০০ এবং আগামী বছরের (২০২৬ সালে) জন্য হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন ৭৩ হাজার ৪১৬ জন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৯ সালে সরকারি হজ প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ৪৪ হাজার থেকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ থেকে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। ২০২৩ সালে শুধু এক প্যাকেজে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা ছিল।
২০২৪ সালে করা হয় ৫ লাখ ৭৮ হাজার থেকে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬৬ টাকা, ২০২৫ সালে করা হয় ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭২০ থেকে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৭০ টাকা এবং আগামী বছরের জন্য করা হয় ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ থেকে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা।
এদিকে প্রতিবছরই সরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণার পরপরই বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকেরাও বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে আসছেন। তাঁরা বরাবরই উড়োজাহাজের ভাড়া কমানোর পক্ষে বলে আসছেন। তবে বর্তমানে সৌদি আরব অংশে সব ধরনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মোট খরচ বেড়েছে বলে তাঁরা জানান।
হজযাত্রী কোটা পূরণ হচ্ছে না কেন? জানতে চাইলে এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিরা বলছেন, অনেকেই ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ করছেন। এতে গ্রামগঞ্জের মানুষের ধারণা, তাঁদের হজ পালন হয়ে গেছে। এই কারণে অনেকে নিবন্ধন করার পরও তাঁদের টাকা ফেরত নিয়েছেন। গত বছর কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তিনজন বাসিন্দা হজ নিবন্ধন করার পরও হজে যাননি। পরে তাঁরা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ পালন করে আসেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাওয়া হলে বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, উড়োজাহাজের ভাড়া অস্বাভাবিক বাড়া, সৌদি আরবে খরচ অনেক বেড়ে যাওয়া, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা পরিশোধ করতে পারছে না, ব্যবসায় মন্দা ও এক বছর ধরে বিনিয়োগ প্রায় বন্ধের কারণে অনেকেই হজে যেতে পারছেন না। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে বিনিয়োগ স্থিতিশীল হবে এবং বেশি মানুষ হজে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দেশে হজযাত্রী কোটা পূরণ কেন হচ্ছে না, জানতে চাওয়া হয় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের কাছে। তিনি তাঁর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দীকের মাধ্যমে জানান, সৌদি রোডম্যাপ অনুসারে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সূচি প্রায় দুই মাস এগিয়ে এসেছে। এর ফলে পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় অনেকে নিবন্ধন করতে পারেননি। ক্রমবর্ধমানহারে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। এখন বছরে এ দেশ থেকে প্রায় ৪ লাখ মুসলমান ওমরাহ পালন করে থাকেন। এবং কিছু ব্যাংকের তারল্যসংকটের কারণেও হজযাত্রী নিবন্ধন কমে থাকতে পারে।

দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কোন দেশের কতজন হজ করতে পারবেন, তা নির্ধারণ করে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ওআইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ১ শতাংশ প্রতিবছর হজে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আসছেন। সে অনুযায়ী ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা পেয়ে আসছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নিবন্ধিত অনেকে ২০২০ সাল থেকে হজে যেতে পারেননি। করোনা অতিমারির ধাক্কা ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিল। ২০২২ সালে হজে গিয়েছিলেন ৫৯ হাজার ৯০৯ জন। ২০২৩ সালে গিয়েছিলেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন, ২০২৪ সালে ৮৫ হাজার, ২০২৫ সালে ৮৭ হাজার ২০০ এবং আগামী বছরের (২০২৬ সালে) জন্য হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন ৭৩ হাজার ৪১৬ জন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৯ সালে সরকারি হজ প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ৪৪ হাজার থেকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ থেকে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। ২০২৩ সালে শুধু এক প্যাকেজে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা ছিল।
২০২৪ সালে করা হয় ৫ লাখ ৭৮ হাজার থেকে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬৬ টাকা, ২০২৫ সালে করা হয় ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭২০ থেকে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৭০ টাকা এবং আগামী বছরের জন্য করা হয় ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ থেকে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা।
এদিকে প্রতিবছরই সরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণার পরপরই বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকেরাও বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে আসছেন। তাঁরা বরাবরই উড়োজাহাজের ভাড়া কমানোর পক্ষে বলে আসছেন। তবে বর্তমানে সৌদি আরব অংশে সব ধরনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মোট খরচ বেড়েছে বলে তাঁরা জানান।
হজযাত্রী কোটা পূরণ হচ্ছে না কেন? জানতে চাইলে এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিরা বলছেন, অনেকেই ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ করছেন। এতে গ্রামগঞ্জের মানুষের ধারণা, তাঁদের হজ পালন হয়ে গেছে। এই কারণে অনেকে নিবন্ধন করার পরও তাঁদের টাকা ফেরত নিয়েছেন। গত বছর কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তিনজন বাসিন্দা হজ নিবন্ধন করার পরও হজে যাননি। পরে তাঁরা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওমরাহ পালন করে আসেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাওয়া হলে বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, উড়োজাহাজের ভাড়া অস্বাভাবিক বাড়া, সৌদি আরবে খরচ অনেক বেড়ে যাওয়া, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা পরিশোধ করতে পারছে না, ব্যবসায় মন্দা ও এক বছর ধরে বিনিয়োগ প্রায় বন্ধের কারণে অনেকেই হজে যেতে পারছেন না। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে বিনিয়োগ স্থিতিশীল হবে এবং বেশি মানুষ হজে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দেশে হজযাত্রী কোটা পূরণ কেন হচ্ছে না, জানতে চাওয়া হয় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের কাছে। তিনি তাঁর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দীকের মাধ্যমে জানান, সৌদি রোডম্যাপ অনুসারে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সূচি প্রায় দুই মাস এগিয়ে এসেছে। এর ফলে পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় অনেকে নিবন্ধন করতে পারেননি। ক্রমবর্ধমানহারে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। এখন বছরে এ দেশ থেকে প্রায় ৪ লাখ মুসলমান ওমরাহ পালন করে থাকেন। এবং কিছু ব্যাংকের তারল্যসংকটের কারণেও হজযাত্রী নিবন্ধন কমে থাকতে পারে।

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার
১৮ অক্টোবর ২০২৪
জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্য
৫ ঘণ্টা আগে
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পলাতক ২৪ জনের বিরুদ্ধে সাত মাসেও রেড নোটিশ জারি করেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। বাংলাদেশ পুলিশের সূত্র বলেছে, তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইন্টারপোলের কাছে এ সহায়তা চাওয়া হয়
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৮ ঘণ্টা আগেদুই দশক পর জেইসি বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর আবার বৈঠক বসল, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ উষ্ণ হতে শুরু করেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। ২০ বছর পর এই জেইসি বৈঠক হলো। একটি ইতিবাচক আলোচনার ধারা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্প্রসারণে কোথায় সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আকাশ ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ আবার চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বৈঠকটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, উচ্চশিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, ক্রীড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশই বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে ‘হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এবং পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
বৈঠক শেষে উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী (দশম) জেইসি বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর আবার বৈঠক বসল, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ উষ্ণ হতে শুরু করেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। ২০ বছর পর এই জেইসি বৈঠক হলো। একটি ইতিবাচক আলোচনার ধারা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্প্রসারণে কোথায় সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আকাশ ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ আবার চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বৈঠকটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, উচ্চশিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, ক্রীড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশই বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে ‘হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এবং পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
বৈঠক শেষে উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী (দশম) জেইসি বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই দফা দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার
১৮ অক্টোবর ২০২৪
জুলাই জাতীয় সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এগুলো হলো আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্য
৫ ঘণ্টা আগে
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পলাতক ২৪ জনের বিরুদ্ধে সাত মাসেও রেড নোটিশ জারি করেনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। বাংলাদেশ পুলিশের সূত্র বলেছে, তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইন্টারপোলের কাছে এ সহায়তা চাওয়া হয়
৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ৬-৭ বছর ধরে হজযাত্রীর কোটা পূরণ হচ্ছে না। উড়োজাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি, সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগে ভাটাসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে