নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রতি চার মাসে একটি সভা করার বিধান থাকলেও ছয় বছরে হলো একটি। সেই সভায়ও যেসব নির্দেশনা এল, তার সবই পুরোনো। বাস্তবায়ন না হওয়া সেসব নির্দেশনাই কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলো গতকাল বুধবার সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায়।
এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে জ্বালানি তেল দেওয়া যাবে না, ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না, ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলবে না এবং ২২ মহাসড়কে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে হবে।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৭ এর ১২(১) ধারায় বলা হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সভা প্রতি চার মাসে একবার অনুষ্ঠিত হবে। জরুরি যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে ওই আইন পাসের পর উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভা হলো গতকাল। রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে এই সভা হয়েছে প্রায় তিন ঘণ্টা। এর আগে মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ পাস হওয়ার পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের ৪২টি সভা হয়েছে।
গতকালের সভায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সভায় সড়ক যোগাযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর নির্দেশনার মধ্য দিয়ে সভা শেষ হয়। তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে মোটরসাইকেল চালকদের কাউকে হেলমেটবিহীন অবস্থায় পাওয়া গেলে জ্বালানি দেওয়া হবে না। সারা দেশে এ নিয়ম জারি করতে হবে। ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এখন এটা কার্যকর করতে হবে। ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। রাস্তায় রংচটা ও লক্কড়ঝক্কড় বাস থাকবে না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ বিষয়ে সম্মতি দেন।
হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেলে জ্বালানি তেল না দেওয়ার নির্দেশনা কয়েক বছর আগের। রাজধানীর পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে এই নির্দেশনা পালিতও হয়েছিল। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনই দুই বছর ধরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের কথা বলছে। ট্রাফিক পুলিশ দিনের বেলা বিভিন্ন সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা আটকে অভিযানও চালাচ্ছে। কিন্তু মহানগরের বেশির ভাগ সড়কেই এমন রিকশা চলছে। এমনকি রাত ১০টার পর প্রধান সড়কেও এই রিকশা বাধাহীন চলাচল করে।
সভায় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বিআরটিএর কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান, লক্কড়ঝক্কড় বাসগুলোর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে বিআরটিএ অনেক কর্মসূচি ও আইন করে। কিন্তু ফলাফল কী? দুর্ঘটনা ও যানজট তো কমছে না।
৩১ মে পর্যন্ত ঢাকা শহরে চলা বাসগুলোতে রং করতে ও ফিটনেস ঠিক করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বাসমালিকেরাই এই সময় নির্ধারণ করেছিলেন। তবে মন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্যে এটি সম্ভব নয়। তাই আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেন তিনি। তিনি বলেন, জরুরি সেবা ছাড়া কোনো গাড়িতে হুটার বাজানো যাবে না। বিআরটিএতে আপাতত আর জনবল নিয়োগ হচ্ছে না।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান এমপি ড্রাইভিং লাইসেন্সের সংখ্যা, দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনা হলে শুধু পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতউল্ল্যাহ বলেন, সব সময় বাসমালিকদের দায় দেওয়া হয়। বিআরটিএর উচিত দু-চারটি গাড়ি স্ক্র্যাপ ও ডাম্পিং করা। এতে অন্যরা ভয় পাবে।
শেখ ফজলে নূর তাপস ডাম্পিং করার জন্য মাতুয়াইলে সিটি করপোরেশনের ৮১ একর জায়গা বিনা মূল্যে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. এম হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব নির্দেশনা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। তবে আগে দেওয়া এসব নির্দেশনা কেন এত দিন বাস্তবায়ন হয়নি, তা দেখা দরকার। এসব সংস্থাকে জবাবদিহির আওতায় না আনলে কখনো নির্দেশনা বাস্তবায়ন হবে না। এতে একধরনের দায়মুক্তি তৈরি হয়। আবার বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বারবার সময় পরিবর্তন করলে সুফল আসবে না।

প্রতি চার মাসে একটি সভা করার বিধান থাকলেও ছয় বছরে হলো একটি। সেই সভায়ও যেসব নির্দেশনা এল, তার সবই পুরোনো। বাস্তবায়ন না হওয়া সেসব নির্দেশনাই কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলো গতকাল বুধবার সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায়।
এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে জ্বালানি তেল দেওয়া যাবে না, ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না, ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলবে না এবং ২২ মহাসড়কে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে হবে।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৭ এর ১২(১) ধারায় বলা হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সভা প্রতি চার মাসে একবার অনুষ্ঠিত হবে। জরুরি যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে ওই আইন পাসের পর উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভা হলো গতকাল। রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে এই সভা হয়েছে প্রায় তিন ঘণ্টা। এর আগে মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ পাস হওয়ার পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের ৪২টি সভা হয়েছে।
গতকালের সভায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সভায় সড়ক যোগাযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর নির্দেশনার মধ্য দিয়ে সভা শেষ হয়। তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে মোটরসাইকেল চালকদের কাউকে হেলমেটবিহীন অবস্থায় পাওয়া গেলে জ্বালানি দেওয়া হবে না। সারা দেশে এ নিয়ম জারি করতে হবে। ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এখন এটা কার্যকর করতে হবে। ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। রাস্তায় রংচটা ও লক্কড়ঝক্কড় বাস থাকবে না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ বিষয়ে সম্মতি দেন।
হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেলে জ্বালানি তেল না দেওয়ার নির্দেশনা কয়েক বছর আগের। রাজধানীর পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে এই নির্দেশনা পালিতও হয়েছিল। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনই দুই বছর ধরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের কথা বলছে। ট্রাফিক পুলিশ দিনের বেলা বিভিন্ন সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা আটকে অভিযানও চালাচ্ছে। কিন্তু মহানগরের বেশির ভাগ সড়কেই এমন রিকশা চলছে। এমনকি রাত ১০টার পর প্রধান সড়কেও এই রিকশা বাধাহীন চলাচল করে।
সভায় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বিআরটিএর কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান, লক্কড়ঝক্কড় বাসগুলোর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে বিআরটিএ অনেক কর্মসূচি ও আইন করে। কিন্তু ফলাফল কী? দুর্ঘটনা ও যানজট তো কমছে না।
৩১ মে পর্যন্ত ঢাকা শহরে চলা বাসগুলোতে রং করতে ও ফিটনেস ঠিক করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বাসমালিকেরাই এই সময় নির্ধারণ করেছিলেন। তবে মন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্যে এটি সম্ভব নয়। তাই আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেন তিনি। তিনি বলেন, জরুরি সেবা ছাড়া কোনো গাড়িতে হুটার বাজানো যাবে না। বিআরটিএতে আপাতত আর জনবল নিয়োগ হচ্ছে না।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান এমপি ড্রাইভিং লাইসেন্সের সংখ্যা, দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনা হলে শুধু পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতউল্ল্যাহ বলেন, সব সময় বাসমালিকদের দায় দেওয়া হয়। বিআরটিএর উচিত দু-চারটি গাড়ি স্ক্র্যাপ ও ডাম্পিং করা। এতে অন্যরা ভয় পাবে।
শেখ ফজলে নূর তাপস ডাম্পিং করার জন্য মাতুয়াইলে সিটি করপোরেশনের ৮১ একর জায়গা বিনা মূল্যে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. এম হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব নির্দেশনা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। তবে আগে দেওয়া এসব নির্দেশনা কেন এত দিন বাস্তবায়ন হয়নি, তা দেখা দরকার। এসব সংস্থাকে জবাবদিহির আওতায় না আনলে কখনো নির্দেশনা বাস্তবায়ন হবে না। এতে একধরনের দায়মুক্তি তৈরি হয়। আবার বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বারবার সময় পরিবর্তন করলে সুফল আসবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রতি চার মাসে একটি সভা করার বিধান থাকলেও ছয় বছরে হলো একটি। সেই সভায়ও যেসব নির্দেশনা এল, তার সবই পুরোনো। বাস্তবায়ন না হওয়া সেসব নির্দেশনাই কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলো গতকাল বুধবার সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায়।
এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে জ্বালানি তেল দেওয়া যাবে না, ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না, ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলবে না এবং ২২ মহাসড়কে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে হবে।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৭ এর ১২(১) ধারায় বলা হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সভা প্রতি চার মাসে একবার অনুষ্ঠিত হবে। জরুরি যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে ওই আইন পাসের পর উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভা হলো গতকাল। রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে এই সভা হয়েছে প্রায় তিন ঘণ্টা। এর আগে মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ পাস হওয়ার পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের ৪২টি সভা হয়েছে।
গতকালের সভায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সভায় সড়ক যোগাযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর নির্দেশনার মধ্য দিয়ে সভা শেষ হয়। তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে মোটরসাইকেল চালকদের কাউকে হেলমেটবিহীন অবস্থায় পাওয়া গেলে জ্বালানি দেওয়া হবে না। সারা দেশে এ নিয়ম জারি করতে হবে। ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এখন এটা কার্যকর করতে হবে। ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। রাস্তায় রংচটা ও লক্কড়ঝক্কড় বাস থাকবে না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ বিষয়ে সম্মতি দেন।
হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেলে জ্বালানি তেল না দেওয়ার নির্দেশনা কয়েক বছর আগের। রাজধানীর পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে এই নির্দেশনা পালিতও হয়েছিল। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনই দুই বছর ধরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের কথা বলছে। ট্রাফিক পুলিশ দিনের বেলা বিভিন্ন সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা আটকে অভিযানও চালাচ্ছে। কিন্তু মহানগরের বেশির ভাগ সড়কেই এমন রিকশা চলছে। এমনকি রাত ১০টার পর প্রধান সড়কেও এই রিকশা বাধাহীন চলাচল করে।
সভায় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বিআরটিএর কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান, লক্কড়ঝক্কড় বাসগুলোর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে বিআরটিএ অনেক কর্মসূচি ও আইন করে। কিন্তু ফলাফল কী? দুর্ঘটনা ও যানজট তো কমছে না।
৩১ মে পর্যন্ত ঢাকা শহরে চলা বাসগুলোতে রং করতে ও ফিটনেস ঠিক করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বাসমালিকেরাই এই সময় নির্ধারণ করেছিলেন। তবে মন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্যে এটি সম্ভব নয়। তাই আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেন তিনি। তিনি বলেন, জরুরি সেবা ছাড়া কোনো গাড়িতে হুটার বাজানো যাবে না। বিআরটিএতে আপাতত আর জনবল নিয়োগ হচ্ছে না।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান এমপি ড্রাইভিং লাইসেন্সের সংখ্যা, দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনা হলে শুধু পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতউল্ল্যাহ বলেন, সব সময় বাসমালিকদের দায় দেওয়া হয়। বিআরটিএর উচিত দু-চারটি গাড়ি স্ক্র্যাপ ও ডাম্পিং করা। এতে অন্যরা ভয় পাবে।
শেখ ফজলে নূর তাপস ডাম্পিং করার জন্য মাতুয়াইলে সিটি করপোরেশনের ৮১ একর জায়গা বিনা মূল্যে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. এম হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব নির্দেশনা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। তবে আগে দেওয়া এসব নির্দেশনা কেন এত দিন বাস্তবায়ন হয়নি, তা দেখা দরকার। এসব সংস্থাকে জবাবদিহির আওতায় না আনলে কখনো নির্দেশনা বাস্তবায়ন হবে না। এতে একধরনের দায়মুক্তি তৈরি হয়। আবার বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বারবার সময় পরিবর্তন করলে সুফল আসবে না।

প্রতি চার মাসে একটি সভা করার বিধান থাকলেও ছয় বছরে হলো একটি। সেই সভায়ও যেসব নির্দেশনা এল, তার সবই পুরোনো। বাস্তবায়ন না হওয়া সেসব নির্দেশনাই কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলো গতকাল বুধবার সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায়।
এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে জ্বালানি তেল দেওয়া যাবে না, ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না, ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলবে না এবং ২২ মহাসড়কে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে হবে।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৭ এর ১২(১) ধারায় বলা হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সভা প্রতি চার মাসে একবার অনুষ্ঠিত হবে। জরুরি যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে ওই আইন পাসের পর উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভা হলো গতকাল। রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে এই সভা হয়েছে প্রায় তিন ঘণ্টা। এর আগে মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ পাস হওয়ার পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের ৪২টি সভা হয়েছে।
গতকালের সভায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সভায় সড়ক যোগাযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর নির্দেশনার মধ্য দিয়ে সভা শেষ হয়। তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে মোটরসাইকেল চালকদের কাউকে হেলমেটবিহীন অবস্থায় পাওয়া গেলে জ্বালানি দেওয়া হবে না। সারা দেশে এ নিয়ম জারি করতে হবে। ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এখন এটা কার্যকর করতে হবে। ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। রাস্তায় রংচটা ও লক্কড়ঝক্কড় বাস থাকবে না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ বিষয়ে সম্মতি দেন।
হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেলে জ্বালানি তেল না দেওয়ার নির্দেশনা কয়েক বছর আগের। রাজধানীর পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে এই নির্দেশনা পালিতও হয়েছিল। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনই দুই বছর ধরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের কথা বলছে। ট্রাফিক পুলিশ দিনের বেলা বিভিন্ন সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা আটকে অভিযানও চালাচ্ছে। কিন্তু মহানগরের বেশির ভাগ সড়কেই এমন রিকশা চলছে। এমনকি রাত ১০টার পর প্রধান সড়কেও এই রিকশা বাধাহীন চলাচল করে।
সভায় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বিআরটিএর কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান, লক্কড়ঝক্কড় বাসগুলোর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে বিআরটিএ অনেক কর্মসূচি ও আইন করে। কিন্তু ফলাফল কী? দুর্ঘটনা ও যানজট তো কমছে না।
৩১ মে পর্যন্ত ঢাকা শহরে চলা বাসগুলোতে রং করতে ও ফিটনেস ঠিক করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বাসমালিকেরাই এই সময় নির্ধারণ করেছিলেন। তবে মন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্যে এটি সম্ভব নয়। তাই আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেন তিনি। তিনি বলেন, জরুরি সেবা ছাড়া কোনো গাড়িতে হুটার বাজানো যাবে না। বিআরটিএতে আপাতত আর জনবল নিয়োগ হচ্ছে না।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান এমপি ড্রাইভিং লাইসেন্সের সংখ্যা, দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনা হলে শুধু পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতউল্ল্যাহ বলেন, সব সময় বাসমালিকদের দায় দেওয়া হয়। বিআরটিএর উচিত দু-চারটি গাড়ি স্ক্র্যাপ ও ডাম্পিং করা। এতে অন্যরা ভয় পাবে।
শেখ ফজলে নূর তাপস ডাম্পিং করার জন্য মাতুয়াইলে সিটি করপোরেশনের ৮১ একর জায়গা বিনা মূল্যে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. এম হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব নির্দেশনা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। তবে আগে দেওয়া এসব নির্দেশনা কেন এত দিন বাস্তবায়ন হয়নি, তা দেখা দরকার। এসব সংস্থাকে জবাবদিহির আওতায় না আনলে কখনো নির্দেশনা বাস্তবায়ন হবে না। এতে একধরনের দায়মুক্তি তৈরি হয়। আবার বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বারবার সময় পরিবর্তন করলে সুফল আসবে না।

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেট দুর্ঘটনায়স্থল পরিদর্শন এসে এসব কথা বলেন তিনি।
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের....
৯ মিনিট আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
১৭ মিনিট আগে
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেট দুর্ঘটনায়স্থল পরিদর্শন এসে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও দুজন পথচারী আহত হয়েছেন। আহত দুজনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ওই হাসপাতালে আছে।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির সব দায়-দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করব। প্রাথমিকভাবে নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের কেউ কর্মক্ষম থাকলে তাঁকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়া হবে।’
এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেলের সাবেক এমডি ও সেতুসচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটিতে আরও আছেন বুয়েটের অধ্যাপক এবিএম তৌফিক হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)-র সহকারী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব ও সড়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসফিয়া সুলতানা।
এই কমিটি ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা কি নির্মাণ কাজের ত্রুটির জন্য হয়েছে, নাকি নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য সুপারিশ করবে।’
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০।

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেট দুর্ঘটনায়স্থল পরিদর্শন এসে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও দুজন পথচারী আহত হয়েছেন। আহত দুজনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ওই হাসপাতালে আছে।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির সব দায়-দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করব। প্রাথমিকভাবে নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের কেউ কর্মক্ষম থাকলে তাঁকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়া হবে।’
এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেলের সাবেক এমডি ও সেতুসচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটিতে আরও আছেন বুয়েটের অধ্যাপক এবিএম তৌফিক হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)-র সহকারী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব ও সড়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসফিয়া সুলতানা।
এই কমিটি ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা কি নির্মাণ কাজের ত্রুটির জন্য হয়েছে, নাকি নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য সুপারিশ করবে।’
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০।

প্রতি চার মাসে একটি সভা করার বিধান থাকলেও ছয় বছরে হলো একটি। সেই সভায়ও যেসব নির্দেশনা এল, তার সবই পুরোনো। বাস্তবায়ন না হওয়া সেসব নির্দেশনাই কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলো গতকাল বুধবার সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায়।
১৬ মে ২০২৪
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের....
৯ মিনিট আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
১৭ মিনিট আগে
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের এই কাঠামোটি সরাসরি এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার পরপরই জননিরাপত্তা ও কারিগরি দিক বিবেচনা করে মেট্রোরেল চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল। এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল, যার ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে একই কাঠামোগত উপাদানের পুনরাবৃত্তিমূলক ত্রুটি মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া নিয়ে মারাত্মক প্রশ্ন তুলেছে।
বিয়ারিং প্যাড: কাঠামোর মেরুদণ্ড এবং এর জটিল প্রকৌশল
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড (Metrorail Bearing Pads) হলো উড়ালপথের স্থায়িত্ব ও সুরক্ষার জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এটি বিশেষ ধরনের রাবার বা ইলাস্টোমেরিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। এটি সেতুর কাঠামোগত উপাদানগুলোর মধ্যে একটি কুশন বা কোমল সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে।
বিয়ারিং প্যাডের মূল কাজগুলো কেবল ভার বহন করা নয়, বরং জটিল প্রকৌশলগত চাপ সামলানো। যেমন:
উল্লম্ব ভার বহন ও বণ্টন: এটি ট্রেন চলাচলের সময় সৃষ্ট বিপুল উল্লম্ব চাপ (Vertical Load) শোষণ করে এবং চাপটিকে সরাসরি কোনো একটি নির্দিষ্ট পিলারে কেন্দ্রীভূত না করে পুরো পিলারের মাধ্যমে সমানভাবে ভিত্তি বা মাটির দিকে ছড়িয়ে দেয়।
অনুভূমিক ও কৌণিক সরণ নিয়ন্ত্রণ: স্থিতিস্থাপকতার গুণে ভায়াডাক্টের অনুভূমিক সরণ (Horizontal Movement) বা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এটি। তাপমাত্রা পরিবর্তন, ট্রেন চলাচলের গতি বা বাঁকের কারণে ভায়াডাক্টে যে সামান্য প্রসারণ, সংকোচন বা পার্শ্বীয় নড়াচড়া হয়, প্যাড সেই নড়াচড়ার চাপ শোষণ করে।
কম্পন শোষণ (Damping) : বিয়ারিং প্যাড একটি কার্যকর ‘শক অ্যাবজর্ভার’ হিসেবে কাজ করে। এটি মেট্রোরেল চলাচলের স্বাভাবিক কম্পনের বেশিরভাগ অংশ শোষণ করে, যা শুধু কাঠামোর দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে না, বরং যাত্রীদের ভ্রমণও মসৃণ ও আরামদায়ক করে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ: নকশা ও মান নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতা
বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসাল্ট্যান্টের (বিআরটিসি) পরিচালক ড. সামছুল হক প্রথম দুর্ঘটনার সময়ই বলেছিলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’। তাঁর মতে, একটি অত্যাধুনিক অবকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বারবার খুলে পড়ার অর্থ হলো নকশাগত ত্রুটি অথবা ব্যবহৃত উপাদানের গুণমানে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।
গভীরতর ঝুঁকি: বিয়ারিং প্যাড যদি স্থানচ্যুত হয়, তবে ট্রেন চলাচলের গতিশীল চাপ (Dynamic Stress) সরাসরি পিলারের সঙ্গে ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে গিয়ে পড়ে। এই ঘর্ষণ ও অস্বাভাবিক চাপ পিলারে সূক্ষ্ণ-ফাটল (Micro-fractures) তৈরি করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে গোটা কাঠামোটিকেই ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। বিশেষত বাঁকযুক্ত স্থানে যেখানে চাপ স্বভাবতই বেশি তৈরি হয়, সেখানে উন্নত প্রযুক্তির অধিক চাপ সহনশীল প্যাড ব্যবহার করা অপরিহার্য।
ফার্মগেটের এই দুর্ঘটনা কেবল একটি প্রযুক্তিগত ব্যর্থতা নয়, বরং এটি নগরবাসীর মধ্যে নিরাপদ যাতায়াত নিয়ে গভীর আস্থা সংকট তৈরি করতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
বিয়ারিং প্যাডের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নির্মাণকালেই
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভায়াডাক্টে ত্রুটির কারণে দীর্ঘ সময় আংশিক বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ভায়াডাক্টের বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অদৃশ্য কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বিয়ারিং প্যাডই বসানো হয়।
বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষায় উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয় বলে দেখা যায়। এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল–থাই। সে সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, মেট্রোরেল প্রকল্পে নিম্নমানের বিয়ারিং প্যাড সরবরাহের ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরা–আগারগাঁও অংশের প্যাকেজ ৩ ও ৪–এর নির্মাণকাজে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজটি বাস্তবায়ন করছিল ইতালিয়ান–থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ইতাল–থাই)।
মেট্রোরেলের উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার। যখন অভিযোগ ওঠে তত দিনে পিয়ার–ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড বসিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথ বসানো হয়ে গেছে। কিন্তু পরে সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি।
বিয়ারিং প্যাডের কারিগরি মান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার বিষয়টি উঠে আসার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ এ উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোটিকেই ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে। আজ মেট্রোরেলের দুর্ঘটনা সে কথাই প্রমাণ করল!
বিশেষজ্ঞরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, বিয়ারিং প্যাড কেবল সেতুর কাঠামোর রক্ষাকবচ নয়, এটি বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান গণপরিবহন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব ও জননিরাপত্তার প্রতীক। এই দুর্ঘটনা প্রমাণ করে, কেবল অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়, গুণমান নিশ্চিতকরণ ও কঠোর নজরদারিই আধুনিক ব্যবস্থার সফলতার ভিত্তি।

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের এই কাঠামোটি সরাসরি এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার পরপরই জননিরাপত্তা ও কারিগরি দিক বিবেচনা করে মেট্রোরেল চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল। এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল, যার ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে একই কাঠামোগত উপাদানের পুনরাবৃত্তিমূলক ত্রুটি মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া নিয়ে মারাত্মক প্রশ্ন তুলেছে।
বিয়ারিং প্যাড: কাঠামোর মেরুদণ্ড এবং এর জটিল প্রকৌশল
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড (Metrorail Bearing Pads) হলো উড়ালপথের স্থায়িত্ব ও সুরক্ষার জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এটি বিশেষ ধরনের রাবার বা ইলাস্টোমেরিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। এটি সেতুর কাঠামোগত উপাদানগুলোর মধ্যে একটি কুশন বা কোমল সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে।
বিয়ারিং প্যাডের মূল কাজগুলো কেবল ভার বহন করা নয়, বরং জটিল প্রকৌশলগত চাপ সামলানো। যেমন:
উল্লম্ব ভার বহন ও বণ্টন: এটি ট্রেন চলাচলের সময় সৃষ্ট বিপুল উল্লম্ব চাপ (Vertical Load) শোষণ করে এবং চাপটিকে সরাসরি কোনো একটি নির্দিষ্ট পিলারে কেন্দ্রীভূত না করে পুরো পিলারের মাধ্যমে সমানভাবে ভিত্তি বা মাটির দিকে ছড়িয়ে দেয়।
অনুভূমিক ও কৌণিক সরণ নিয়ন্ত্রণ: স্থিতিস্থাপকতার গুণে ভায়াডাক্টের অনুভূমিক সরণ (Horizontal Movement) বা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এটি। তাপমাত্রা পরিবর্তন, ট্রেন চলাচলের গতি বা বাঁকের কারণে ভায়াডাক্টে যে সামান্য প্রসারণ, সংকোচন বা পার্শ্বীয় নড়াচড়া হয়, প্যাড সেই নড়াচড়ার চাপ শোষণ করে।
কম্পন শোষণ (Damping) : বিয়ারিং প্যাড একটি কার্যকর ‘শক অ্যাবজর্ভার’ হিসেবে কাজ করে। এটি মেট্রোরেল চলাচলের স্বাভাবিক কম্পনের বেশিরভাগ অংশ শোষণ করে, যা শুধু কাঠামোর দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে না, বরং যাত্রীদের ভ্রমণও মসৃণ ও আরামদায়ক করে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ: নকশা ও মান নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতা
বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসাল্ট্যান্টের (বিআরটিসি) পরিচালক ড. সামছুল হক প্রথম দুর্ঘটনার সময়ই বলেছিলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’। তাঁর মতে, একটি অত্যাধুনিক অবকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বারবার খুলে পড়ার অর্থ হলো নকশাগত ত্রুটি অথবা ব্যবহৃত উপাদানের গুণমানে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।
গভীরতর ঝুঁকি: বিয়ারিং প্যাড যদি স্থানচ্যুত হয়, তবে ট্রেন চলাচলের গতিশীল চাপ (Dynamic Stress) সরাসরি পিলারের সঙ্গে ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে গিয়ে পড়ে। এই ঘর্ষণ ও অস্বাভাবিক চাপ পিলারে সূক্ষ্ণ-ফাটল (Micro-fractures) তৈরি করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে গোটা কাঠামোটিকেই ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। বিশেষত বাঁকযুক্ত স্থানে যেখানে চাপ স্বভাবতই বেশি তৈরি হয়, সেখানে উন্নত প্রযুক্তির অধিক চাপ সহনশীল প্যাড ব্যবহার করা অপরিহার্য।
ফার্মগেটের এই দুর্ঘটনা কেবল একটি প্রযুক্তিগত ব্যর্থতা নয়, বরং এটি নগরবাসীর মধ্যে নিরাপদ যাতায়াত নিয়ে গভীর আস্থা সংকট তৈরি করতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
বিয়ারিং প্যাডের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নির্মাণকালেই
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভায়াডাক্টে ত্রুটির কারণে দীর্ঘ সময় আংশিক বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ভায়াডাক্টের বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অদৃশ্য কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বিয়ারিং প্যাডই বসানো হয়।
বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষায় উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয় বলে দেখা যায়। এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল–থাই। সে সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, মেট্রোরেল প্রকল্পে নিম্নমানের বিয়ারিং প্যাড সরবরাহের ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরা–আগারগাঁও অংশের প্যাকেজ ৩ ও ৪–এর নির্মাণকাজে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজটি বাস্তবায়ন করছিল ইতালিয়ান–থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ইতাল–থাই)।
মেট্রোরেলের উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার। যখন অভিযোগ ওঠে তত দিনে পিয়ার–ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড বসিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথ বসানো হয়ে গেছে। কিন্তু পরে সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি।
বিয়ারিং প্যাডের কারিগরি মান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার বিষয়টি উঠে আসার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ এ উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোটিকেই ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে। আজ মেট্রোরেলের দুর্ঘটনা সে কথাই প্রমাণ করল!
বিশেষজ্ঞরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, বিয়ারিং প্যাড কেবল সেতুর কাঠামোর রক্ষাকবচ নয়, এটি বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান গণপরিবহন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব ও জননিরাপত্তার প্রতীক। এই দুর্ঘটনা প্রমাণ করে, কেবল অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়, গুণমান নিশ্চিতকরণ ও কঠোর নজরদারিই আধুনিক ব্যবস্থার সফলতার ভিত্তি।

প্রতি চার মাসে একটি সভা করার বিধান থাকলেও ছয় বছরে হলো একটি। সেই সভায়ও যেসব নির্দেশনা এল, তার সবই পুরোনো। বাস্তবায়ন না হওয়া সেসব নির্দেশনাই কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলো গতকাল বুধবার সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায়।
১৬ মে ২০২৪
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেট দুর্ঘটনায়স্থল পরিদর্শন এসে এসব কথা বলেন তিনি।
৬ মিনিট আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
১৭ মিনিট আগে
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় বেলা ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর বেলা ৩টা থেকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আংশিক মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড ডিএমটিসিএল পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে দুপুরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হবে খুব দ্রুততম সময়ে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আপাতত চালু হচ্ছে না। আজ চালু করা সম্ভব হবে না এই অংশ।’
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।
মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় বেলা ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর বেলা ৩টা থেকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আংশিক মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড ডিএমটিসিএল পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে দুপুরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হবে খুব দ্রুততম সময়ে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আপাতত চালু হচ্ছে না। আজ চালু করা সম্ভব হবে না এই অংশ।’
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।
মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

প্রতি চার মাসে একটি সভা করার বিধান থাকলেও ছয় বছরে হলো একটি। সেই সভায়ও যেসব নির্দেশনা এল, তার সবই পুরোনো। বাস্তবায়ন না হওয়া সেসব নির্দেশনাই কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলো গতকাল বুধবার সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায়।
১৬ মে ২০২৪
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেট দুর্ঘটনায়স্থল পরিদর্শন এসে এসব কথা বলেন তিনি।
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের....
৯ মিনিট আগে
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবারও বইমেলা যাতে খুব সুন্দর হয়। সময়ের ব্যাপারে আমি জানি না, বাংলা একাডেমি কি একই সময়ে করবে নাকি সময় একটু হেরফের করবে—সেটা বাংলা একাডেমির বিষয়। তবে মেলা হবে—এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এমন একটা বইমেলা চাই, যে বইমেলায় আমাদের সব মানুষের বই থাকবে। আমরা যারা বই লিখি, যে যেইটাই লিখুক কেন, যে কোনো ভিন্ন মতের লেখাই থাকুক না কেন, সবার বই যেন বইমেলায় থাকে। পাঠক বেছে নেবেন—উনি যেটা পড়তে চান, যে বই তাঁকে টানে উনি ওই বইটা কিনবেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা চাই এমন একটা মেলা, অবশ্যই সেটা বৈষম্যবিরোধী। কারও প্রতি যেন বৈষম্য না করা হয়। কেউ যেন এসে না বলেন যে না, আমার প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। আমি যে বইটা প্রকাশ করতে চাচ্ছি বা বিক্রি করতে চাচ্ছি, এটা এখানে করা যাচ্ছে না। এই কথাটা যেন না শোনা হয়।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এমন কোনো বইমেলা চাই না যেখানে ৪০ শতাংশ বই হচ্ছে একটা লোকের ওপরে। এমন একটা বইমেলার সময় গেছে, সামনে আপনি বই দেখবেন, সবই হচ্ছে শেখ পরিবারের বই। উনি টুঙ্গিপাড়ায় পুকুরের পাশে বসে আছেন, সেটা নিয়েও একটা বড় বই কেউ লিখে ফেলেছে। ওই বইগুলো ছিল—কোনোভাবে প্রতারণা করে কিছু টাকা-পয়সা কামানোর জন্য।’
সভায় জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, ‘বইমেলাকে দলীয় বইমেলা হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছে। প্রতিটি স্টল, প্যাভেলিয়ন আওয়ামী দালালদের দেওয়া হয়েছিল। প্রকাশকেরা ছিল ফ্যাসিস্টদের দোসর। তবে এবারের বইমেলা হবে সবার।’
নির্বাচনের কারণে বইমেলা বন্ধের কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হোক। নির্বাচনের কয়েক দিন বইমেলা বন্ধ রেখে। তা আবার কয়েক দিন বর্ধিত করা যেতে পারে। তা-ও যাতে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা বন্ধ না থাকে। এবারের বইমেলা না হলে মনে করা হবে, ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসররা এটা জন্য জড়িত। তারাই ষড়যন্ত্র করে বইমেলা বন্ধ করতে চাইছে। সরকারের কাছে আবেদন বইমেলা যাতে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখেই হয়।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাঈদ বারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কবি গাজীউল হাসান খান, ফয়েজ আলম।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবারও বইমেলা যাতে খুব সুন্দর হয়। সময়ের ব্যাপারে আমি জানি না, বাংলা একাডেমি কি একই সময়ে করবে নাকি সময় একটু হেরফের করবে—সেটা বাংলা একাডেমির বিষয়। তবে মেলা হবে—এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এমন একটা বইমেলা চাই, যে বইমেলায় আমাদের সব মানুষের বই থাকবে। আমরা যারা বই লিখি, যে যেইটাই লিখুক কেন, যে কোনো ভিন্ন মতের লেখাই থাকুক না কেন, সবার বই যেন বইমেলায় থাকে। পাঠক বেছে নেবেন—উনি যেটা পড়তে চান, যে বই তাঁকে টানে উনি ওই বইটা কিনবেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা চাই এমন একটা মেলা, অবশ্যই সেটা বৈষম্যবিরোধী। কারও প্রতি যেন বৈষম্য না করা হয়। কেউ যেন এসে না বলেন যে না, আমার প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। আমি যে বইটা প্রকাশ করতে চাচ্ছি বা বিক্রি করতে চাচ্ছি, এটা এখানে করা যাচ্ছে না। এই কথাটা যেন না শোনা হয়।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এমন কোনো বইমেলা চাই না যেখানে ৪০ শতাংশ বই হচ্ছে একটা লোকের ওপরে। এমন একটা বইমেলার সময় গেছে, সামনে আপনি বই দেখবেন, সবই হচ্ছে শেখ পরিবারের বই। উনি টুঙ্গিপাড়ায় পুকুরের পাশে বসে আছেন, সেটা নিয়েও একটা বড় বই কেউ লিখে ফেলেছে। ওই বইগুলো ছিল—কোনোভাবে প্রতারণা করে কিছু টাকা-পয়সা কামানোর জন্য।’
সভায় জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, ‘বইমেলাকে দলীয় বইমেলা হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছে। প্রতিটি স্টল, প্যাভেলিয়ন আওয়ামী দালালদের দেওয়া হয়েছিল। প্রকাশকেরা ছিল ফ্যাসিস্টদের দোসর। তবে এবারের বইমেলা হবে সবার।’
নির্বাচনের কারণে বইমেলা বন্ধের কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হোক। নির্বাচনের কয়েক দিন বইমেলা বন্ধ রেখে। তা আবার কয়েক দিন বর্ধিত করা যেতে পারে। তা-ও যাতে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা বন্ধ না থাকে। এবারের বইমেলা না হলে মনে করা হবে, ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসররা এটা জন্য জড়িত। তারাই ষড়যন্ত্র করে বইমেলা বন্ধ করতে চাইছে। সরকারের কাছে আবেদন বইমেলা যাতে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখেই হয়।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাঈদ বারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কবি গাজীউল হাসান খান, ফয়েজ আলম।

প্রতি চার মাসে একটি সভা করার বিধান থাকলেও ছয় বছরে হলো একটি। সেই সভায়ও যেসব নির্দেশনা এল, তার সবই পুরোনো। বাস্তবায়ন না হওয়া সেসব নির্দেশনাই কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলো গতকাল বুধবার সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায়।
১৬ মে ২০২৪
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেট দুর্ঘটনায়স্থল পরিদর্শন এসে এসব কথা বলেন তিনি।
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের....
৯ মিনিট আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
১৭ মিনিট আগে