শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সরকারি কর্মচারীদের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বদল আসছে। বিদ্যমান বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর) বাদ দিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর বার্ষিক কর্মকৃতি মূল্যায়ন (এপিএআর) পদ্ধতি প্রণয়নে অনুশাসনমালার খসড়া করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এটি চালু হলে নবম থেকে দ্বিতীয় গ্রেডের কর্মচারীদের পাঁচটি গ্রেডে মূল্যায়ন করা হবে। ভালো গ্রেডপ্রাপ্তদের দেওয়া হবে প্রণোদনা। আর খারাপ গ্রেড পেলে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে প্রশিক্ষণ, বই বা জার্নাল পড়া এবং অন্য কর্মচারীর অধীনে কাজ করতে হবে।
বিদ্যমান এসিআর পদ্ধতিতে ঊর্ধ্বতনেরা অধীনস্থ কর্মচারীদের শুধু পেশাগত মূল্যায়ন করেন। তবে কে কত নম্বর পান, তা জানার কোনো সুযোগ নেই। এপিএআর চালু হলে কর্মচারীদের কাজের জন্য ৬০ নম্বর থাকবে, আর বাকি ৪০ নম্বর ব্যক্তিগত ও পেশাগত মূল্যায়ন করা হবে। অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখে এপিএআর করা হবে। এ জন্য কে কী করবেন, কমপক্ষে এমন ১২টি কাজের তালিকা জুন মাসে দিতে হবে।
এপিএআরের খসড়া অনুশাসনমালায় বলা হয়েছে, কোনো কর্মস্থলে টানা তিন মাস দায়িত্ব পালন করলে এপিএআর দাখিল করতে হবে। তবে গ্রেড-১ ও তদূর্ধ্ব কর্মচারী, চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত, শিক্ষানবিশ এবং যাঁদের চাকরি স্থায়ী হয়নি, তাঁদের এপিএআর দিতে হবে না।
সরকার বলছে, স্বচ্ছ, আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতি ব্যবহার করে কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা ও দক্ষতা বাড়াতে এপিএআর করা হচ্ছে। অনলাইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে এপিএআর পরিচালিত হবে। এপিএআরে ৯৬-১০০ নম্বর পেলে ‘এ প্লাস’, ৮৫-৯৫ নম্বরে ‘এ’, ৭৫-৮৪ নম্বরে ‘বি’, ৬৬-৭৪ নম্বরে ‘সি’ এবং ৬৫ বা কম নম্বর পেলে আইআর (ইমপ্রুভমেন্ট রিকুইয়ার্ড) গ্রেড দেওয়া হবে। কোনো কর্মচারী যে দপ্তরে কর্মরত, সেই কর্মস্থলের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে পাওয়া নম্বর নির্ধারিত অনুপাতে সমন্বয়ের পর প্রণোদনা বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অন্যান্য নম্বর সংযোজন বা বিয়োজনের পর চূড়ান্ত বার্ষিক এপিএআর নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
এপিএআরে ‘এ প্লাস’ ও ‘এ’ গ্রেডপ্রাপ্তদের প্রণোদনা দেবে সরকার। বিদেশ সফর ও বিদেশে প্রশিক্ষণে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ‘এ প্লাস’ গ্রেডধারীদের মন্ত্রী-সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে প্রশংসাপত্র, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ওয়েবসাইটে ছবি প্রকাশ এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে মতবিনিময়ের জন্য সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। আর ‘এ’ গ্রেডধারীদের প্রশংসাপত্র দেওয়ার সঙ্গে তাদের ছবি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, যারা ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘আইআর’ গ্রেড পাবেন তাঁদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো দপ্তর বা কারও অধীনে সংযুক্তিতে থাকতে হবে। এই তিনটি শ্রেণিতে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর দুটি করে বিষয়ে প্রতিকারের পরামর্শ পাবেন তাঁরা।
প্রতিকার হিসেবে ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্তদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাবলিক পলিসি, পাবলিক ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা, জেনারেল ফাইন্যান্সিয়াল রুলস, স্থানীয় সরকার, উন্নয়ন প্রশাসন বিষয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নিজ উদ্যোগে তথ্যপ্রযুক্তি, বিদেশি ভাষা, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, চ্যালেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট বা লিডারশিপ কোর্স উদ্বুদ্ধকরণ এবং আচরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
নির্ধারিত তালিকা থেকে ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্তদের সর্বোচ্চ তিনটি, ‘সি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের দুটি এবং ‘বি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরামর্শ দিতে হবে। ‘আইআর’ গ্রেডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই মাস, ‘সি’ গ্রেডের দেড় মাস এবং ‘বি’ গ্রেডের প্রশিক্ষণের সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে এক মাস।
এ ছাড়া সরকারি দায়িত্ব পালনে দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচিত বই ও জার্নাল পাঠের পরামর্শ দেওয়া যাবে। ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে এক হাজার পৃষ্ঠার সর্বোচ্চ তিনটি, ‘সি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ৬০০ পৃষ্ঠার দুটি, ‘বি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ৪০০ পৃষ্ঠার একটি বই বা জার্নাল পাঠের পরামর্শ দেওয়া যাবে। যেসব বাই বা জার্নাল পড়ার পরামর্শ দেওয়া হবে সরকার সেই তালিকা করে সেগুলোর ফটোকপি সিস্টেমে আপলোড করবে।
এর বাইরে কোনো কর্মচারীকে কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কোনো ইউনিট, প্রকল্প, কার্যক্রমের সঙ্গে অথবা কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মচারীর অধীনে সর্বোচ্চ ১০ দিনের জন্য সংযুক্তির পরামর্শ দেওয়া যাবে। এই সময়সীমা সংযুক্তি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে বাড়াতে পারবে, তবে তা তিন মাসের বেশি হবে না। গ্রেড ২, গ্রেড ৩-এর কর্মচারীদের সংযুক্তির পরামর্শ দেওয়া যাবে না।
প্রতিকারের পরামর্শ পাওয়ার পর থেকে ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্ত কর্মচারীদের এক বছর, ‘সি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের নয় মাস এবং ‘বি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ছয় মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আগের মতোই কর্মচারীদের পদোন্নতিতে এপিএআর বিবেচনায় নেওয়া হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ও প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সহিদউল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূল্যায়ন শেষে ভালো করলে পুরস্কার দেওয়া হবে আর কেউ খারাপ করলে তাদের পরামর্শ দেওয়া হবে। কারণ কাউকে পানিশমেন্ট দেওয়ার জন্য এটা করা হচ্ছে না। আমরা চাই সবাই যাতে ইম্প্রুভ করতে পারে।’
মো. সহিদউল্যাহ বলেন, ‘প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনলাইনের মাধ্যমে এপিএআর করা হবে। বিদ্যমান এসিআর পদ্ধতিতে শুধু পেশাগত মূল্যায়ন করা হয়, কর্মচারীদের কর্মকে মূল্যায়নে আনা হয় না। এখন থেকে ৬০ নম্বরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে। বাকি ২০ নম্বর ব্যক্তিগত ও ২০ নম্বর পেশাগত মূল্যায়ন করা হবে। কাজের জন্য মূল্যায়ন করে ৬০ নম্বর কর্মচারী নিজে নিজেই দেবেন, সঙ্গে তথ্য-উপাত্ত আপলোড করবেন। অনুস্বাক্ষরকারীর আপত্তি থাকলেও তারা আলোচনা করে নম্বর ঠিক করবেন। কাজের মূল্যায়নে কে কত নম্বর পেলেন তা জানতে পারবেন।’
একজন কর্মচারীকে এক বছরের জন্য ন্যূনতম ১২টি কাজের পরিকল্পনা দিতে হবে জানিয়ে সহিদউল্যাহ বলেন, ‘কেউ চাইলে বেশি কাজের পরিকল্পনা দিতে পারবেন। কর্তৃপক্ষ পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করবে। পরিকল্পনা রিভিউয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। কারণ কোনো সময়ে সরকারের মনে হতে পারে কোনো একটি প্রকল্প বা কাজ বাস্তবায়নের দরকার নেই।’
এসিআর নিয়ে অনেক জটিলতা ও ভোগান্তি ছিল জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব সহিদউল্যাহ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সিস্টেমে এপিএআর দাখিল করতে হবে। কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা অনুস্বাক্ষরকারীর কাছে চলে যাবে। অনুস্বাক্ষরকারী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুমোদন না করলে তার এপিএআর থেকে নম্বর কাটা যাবে। ফলে সবার মধ্যে দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হবে। কেউ ভালো কাজ করলে তাকে কম নম্বর দেওয়ার সুযোগ নেই।’
এপিএআর বাস্তবায়ন হলে কোনো দপ্তরে যখন যে ধরনের কর্মচারীর প্রয়োজন হবে মুহূর্তের মধ্যেই তা পাওয়া যাবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এটা বের করে দেবে। প্রত্যেক কর্মচারীর আলাদা প্রোফাইল তৈরি হবে। সেখানে তিনি এখন কী করছেন, আগে কী কী করেছেন, কোন কোন বিষয়ে তিনি বেশি পারদর্শী, সেসব বিষয়ের উল্লেখ থাকবে।

সরকারি কর্মচারীদের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বদল আসছে। বিদ্যমান বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর) বাদ দিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর বার্ষিক কর্মকৃতি মূল্যায়ন (এপিএআর) পদ্ধতি প্রণয়নে অনুশাসনমালার খসড়া করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এটি চালু হলে নবম থেকে দ্বিতীয় গ্রেডের কর্মচারীদের পাঁচটি গ্রেডে মূল্যায়ন করা হবে। ভালো গ্রেডপ্রাপ্তদের দেওয়া হবে প্রণোদনা। আর খারাপ গ্রেড পেলে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে প্রশিক্ষণ, বই বা জার্নাল পড়া এবং অন্য কর্মচারীর অধীনে কাজ করতে হবে।
বিদ্যমান এসিআর পদ্ধতিতে ঊর্ধ্বতনেরা অধীনস্থ কর্মচারীদের শুধু পেশাগত মূল্যায়ন করেন। তবে কে কত নম্বর পান, তা জানার কোনো সুযোগ নেই। এপিএআর চালু হলে কর্মচারীদের কাজের জন্য ৬০ নম্বর থাকবে, আর বাকি ৪০ নম্বর ব্যক্তিগত ও পেশাগত মূল্যায়ন করা হবে। অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখে এপিএআর করা হবে। এ জন্য কে কী করবেন, কমপক্ষে এমন ১২টি কাজের তালিকা জুন মাসে দিতে হবে।
এপিএআরের খসড়া অনুশাসনমালায় বলা হয়েছে, কোনো কর্মস্থলে টানা তিন মাস দায়িত্ব পালন করলে এপিএআর দাখিল করতে হবে। তবে গ্রেড-১ ও তদূর্ধ্ব কর্মচারী, চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত, শিক্ষানবিশ এবং যাঁদের চাকরি স্থায়ী হয়নি, তাঁদের এপিএআর দিতে হবে না।
সরকার বলছে, স্বচ্ছ, আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতি ব্যবহার করে কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা ও দক্ষতা বাড়াতে এপিএআর করা হচ্ছে। অনলাইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে এপিএআর পরিচালিত হবে। এপিএআরে ৯৬-১০০ নম্বর পেলে ‘এ প্লাস’, ৮৫-৯৫ নম্বরে ‘এ’, ৭৫-৮৪ নম্বরে ‘বি’, ৬৬-৭৪ নম্বরে ‘সি’ এবং ৬৫ বা কম নম্বর পেলে আইআর (ইমপ্রুভমেন্ট রিকুইয়ার্ড) গ্রেড দেওয়া হবে। কোনো কর্মচারী যে দপ্তরে কর্মরত, সেই কর্মস্থলের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে পাওয়া নম্বর নির্ধারিত অনুপাতে সমন্বয়ের পর প্রণোদনা বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অন্যান্য নম্বর সংযোজন বা বিয়োজনের পর চূড়ান্ত বার্ষিক এপিএআর নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
এপিএআরে ‘এ প্লাস’ ও ‘এ’ গ্রেডপ্রাপ্তদের প্রণোদনা দেবে সরকার। বিদেশ সফর ও বিদেশে প্রশিক্ষণে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ‘এ প্লাস’ গ্রেডধারীদের মন্ত্রী-সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে প্রশংসাপত্র, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ওয়েবসাইটে ছবি প্রকাশ এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে মতবিনিময়ের জন্য সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। আর ‘এ’ গ্রেডধারীদের প্রশংসাপত্র দেওয়ার সঙ্গে তাদের ছবি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, যারা ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘আইআর’ গ্রেড পাবেন তাঁদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো দপ্তর বা কারও অধীনে সংযুক্তিতে থাকতে হবে। এই তিনটি শ্রেণিতে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর দুটি করে বিষয়ে প্রতিকারের পরামর্শ পাবেন তাঁরা।
প্রতিকার হিসেবে ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্তদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাবলিক পলিসি, পাবলিক ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা, জেনারেল ফাইন্যান্সিয়াল রুলস, স্থানীয় সরকার, উন্নয়ন প্রশাসন বিষয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নিজ উদ্যোগে তথ্যপ্রযুক্তি, বিদেশি ভাষা, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, চ্যালেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট বা লিডারশিপ কোর্স উদ্বুদ্ধকরণ এবং আচরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
নির্ধারিত তালিকা থেকে ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্তদের সর্বোচ্চ তিনটি, ‘সি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের দুটি এবং ‘বি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরামর্শ দিতে হবে। ‘আইআর’ গ্রেডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই মাস, ‘সি’ গ্রেডের দেড় মাস এবং ‘বি’ গ্রেডের প্রশিক্ষণের সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে এক মাস।
এ ছাড়া সরকারি দায়িত্ব পালনে দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচিত বই ও জার্নাল পাঠের পরামর্শ দেওয়া যাবে। ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে এক হাজার পৃষ্ঠার সর্বোচ্চ তিনটি, ‘সি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ৬০০ পৃষ্ঠার দুটি, ‘বি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ৪০০ পৃষ্ঠার একটি বই বা জার্নাল পাঠের পরামর্শ দেওয়া যাবে। যেসব বাই বা জার্নাল পড়ার পরামর্শ দেওয়া হবে সরকার সেই তালিকা করে সেগুলোর ফটোকপি সিস্টেমে আপলোড করবে।
এর বাইরে কোনো কর্মচারীকে কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কোনো ইউনিট, প্রকল্প, কার্যক্রমের সঙ্গে অথবা কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মচারীর অধীনে সর্বোচ্চ ১০ দিনের জন্য সংযুক্তির পরামর্শ দেওয়া যাবে। এই সময়সীমা সংযুক্তি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে বাড়াতে পারবে, তবে তা তিন মাসের বেশি হবে না। গ্রেড ২, গ্রেড ৩-এর কর্মচারীদের সংযুক্তির পরামর্শ দেওয়া যাবে না।
প্রতিকারের পরামর্শ পাওয়ার পর থেকে ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্ত কর্মচারীদের এক বছর, ‘সি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের নয় মাস এবং ‘বি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ছয় মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আগের মতোই কর্মচারীদের পদোন্নতিতে এপিএআর বিবেচনায় নেওয়া হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ও প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সহিদউল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূল্যায়ন শেষে ভালো করলে পুরস্কার দেওয়া হবে আর কেউ খারাপ করলে তাদের পরামর্শ দেওয়া হবে। কারণ কাউকে পানিশমেন্ট দেওয়ার জন্য এটা করা হচ্ছে না। আমরা চাই সবাই যাতে ইম্প্রুভ করতে পারে।’
মো. সহিদউল্যাহ বলেন, ‘প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনলাইনের মাধ্যমে এপিএআর করা হবে। বিদ্যমান এসিআর পদ্ধতিতে শুধু পেশাগত মূল্যায়ন করা হয়, কর্মচারীদের কর্মকে মূল্যায়নে আনা হয় না। এখন থেকে ৬০ নম্বরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে। বাকি ২০ নম্বর ব্যক্তিগত ও ২০ নম্বর পেশাগত মূল্যায়ন করা হবে। কাজের জন্য মূল্যায়ন করে ৬০ নম্বর কর্মচারী নিজে নিজেই দেবেন, সঙ্গে তথ্য-উপাত্ত আপলোড করবেন। অনুস্বাক্ষরকারীর আপত্তি থাকলেও তারা আলোচনা করে নম্বর ঠিক করবেন। কাজের মূল্যায়নে কে কত নম্বর পেলেন তা জানতে পারবেন।’
একজন কর্মচারীকে এক বছরের জন্য ন্যূনতম ১২টি কাজের পরিকল্পনা দিতে হবে জানিয়ে সহিদউল্যাহ বলেন, ‘কেউ চাইলে বেশি কাজের পরিকল্পনা দিতে পারবেন। কর্তৃপক্ষ পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করবে। পরিকল্পনা রিভিউয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। কারণ কোনো সময়ে সরকারের মনে হতে পারে কোনো একটি প্রকল্প বা কাজ বাস্তবায়নের দরকার নেই।’
এসিআর নিয়ে অনেক জটিলতা ও ভোগান্তি ছিল জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব সহিদউল্যাহ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সিস্টেমে এপিএআর দাখিল করতে হবে। কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা অনুস্বাক্ষরকারীর কাছে চলে যাবে। অনুস্বাক্ষরকারী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুমোদন না করলে তার এপিএআর থেকে নম্বর কাটা যাবে। ফলে সবার মধ্যে দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হবে। কেউ ভালো কাজ করলে তাকে কম নম্বর দেওয়ার সুযোগ নেই।’
এপিএআর বাস্তবায়ন হলে কোনো দপ্তরে যখন যে ধরনের কর্মচারীর প্রয়োজন হবে মুহূর্তের মধ্যেই তা পাওয়া যাবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এটা বের করে দেবে। প্রত্যেক কর্মচারীর আলাদা প্রোফাইল তৈরি হবে। সেখানে তিনি এখন কী করছেন, আগে কী কী করেছেন, কোন কোন বিষয়ে তিনি বেশি পারদর্শী, সেসব বিষয়ের উল্লেখ থাকবে।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সরকারি কর্মচারীদের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বদল আসছে। বিদ্যমান বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর) বাদ দিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর বার্ষিক কর্মকৃতি মূল্যায়ন (এপিএআর) পদ্ধতি প্রণয়নে অনুশাসনমালার খসড়া করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এটি চালু হলে নবম থেকে দ্বিতীয় গ্রেডের কর্মচারীদের পাঁচটি গ্রেডে মূল্যায়ন করা হবে। ভালো গ্রেডপ্রাপ্তদের দেওয়া হবে প্রণোদনা। আর খারাপ গ্রেড পেলে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে প্রশিক্ষণ, বই বা জার্নাল পড়া এবং অন্য কর্মচারীর অধীনে কাজ করতে হবে।
বিদ্যমান এসিআর পদ্ধতিতে ঊর্ধ্বতনেরা অধীনস্থ কর্মচারীদের শুধু পেশাগত মূল্যায়ন করেন। তবে কে কত নম্বর পান, তা জানার কোনো সুযোগ নেই। এপিএআর চালু হলে কর্মচারীদের কাজের জন্য ৬০ নম্বর থাকবে, আর বাকি ৪০ নম্বর ব্যক্তিগত ও পেশাগত মূল্যায়ন করা হবে। অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখে এপিএআর করা হবে। এ জন্য কে কী করবেন, কমপক্ষে এমন ১২টি কাজের তালিকা জুন মাসে দিতে হবে।
এপিএআরের খসড়া অনুশাসনমালায় বলা হয়েছে, কোনো কর্মস্থলে টানা তিন মাস দায়িত্ব পালন করলে এপিএআর দাখিল করতে হবে। তবে গ্রেড-১ ও তদূর্ধ্ব কর্মচারী, চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত, শিক্ষানবিশ এবং যাঁদের চাকরি স্থায়ী হয়নি, তাঁদের এপিএআর দিতে হবে না।
সরকার বলছে, স্বচ্ছ, আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতি ব্যবহার করে কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা ও দক্ষতা বাড়াতে এপিএআর করা হচ্ছে। অনলাইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে এপিএআর পরিচালিত হবে। এপিএআরে ৯৬-১০০ নম্বর পেলে ‘এ প্লাস’, ৮৫-৯৫ নম্বরে ‘এ’, ৭৫-৮৪ নম্বরে ‘বি’, ৬৬-৭৪ নম্বরে ‘সি’ এবং ৬৫ বা কম নম্বর পেলে আইআর (ইমপ্রুভমেন্ট রিকুইয়ার্ড) গ্রেড দেওয়া হবে। কোনো কর্মচারী যে দপ্তরে কর্মরত, সেই কর্মস্থলের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে পাওয়া নম্বর নির্ধারিত অনুপাতে সমন্বয়ের পর প্রণোদনা বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অন্যান্য নম্বর সংযোজন বা বিয়োজনের পর চূড়ান্ত বার্ষিক এপিএআর নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
এপিএআরে ‘এ প্লাস’ ও ‘এ’ গ্রেডপ্রাপ্তদের প্রণোদনা দেবে সরকার। বিদেশ সফর ও বিদেশে প্রশিক্ষণে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ‘এ প্লাস’ গ্রেডধারীদের মন্ত্রী-সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে প্রশংসাপত্র, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ওয়েবসাইটে ছবি প্রকাশ এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে মতবিনিময়ের জন্য সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। আর ‘এ’ গ্রেডধারীদের প্রশংসাপত্র দেওয়ার সঙ্গে তাদের ছবি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, যারা ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘আইআর’ গ্রেড পাবেন তাঁদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো দপ্তর বা কারও অধীনে সংযুক্তিতে থাকতে হবে। এই তিনটি শ্রেণিতে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর দুটি করে বিষয়ে প্রতিকারের পরামর্শ পাবেন তাঁরা।
প্রতিকার হিসেবে ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্তদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাবলিক পলিসি, পাবলিক ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা, জেনারেল ফাইন্যান্সিয়াল রুলস, স্থানীয় সরকার, উন্নয়ন প্রশাসন বিষয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নিজ উদ্যোগে তথ্যপ্রযুক্তি, বিদেশি ভাষা, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, চ্যালেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট বা লিডারশিপ কোর্স উদ্বুদ্ধকরণ এবং আচরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
নির্ধারিত তালিকা থেকে ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্তদের সর্বোচ্চ তিনটি, ‘সি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের দুটি এবং ‘বি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরামর্শ দিতে হবে। ‘আইআর’ গ্রেডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই মাস, ‘সি’ গ্রেডের দেড় মাস এবং ‘বি’ গ্রেডের প্রশিক্ষণের সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে এক মাস।
এ ছাড়া সরকারি দায়িত্ব পালনে দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচিত বই ও জার্নাল পাঠের পরামর্শ দেওয়া যাবে। ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে এক হাজার পৃষ্ঠার সর্বোচ্চ তিনটি, ‘সি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ৬০০ পৃষ্ঠার দুটি, ‘বি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ৪০০ পৃষ্ঠার একটি বই বা জার্নাল পাঠের পরামর্শ দেওয়া যাবে। যেসব বাই বা জার্নাল পড়ার পরামর্শ দেওয়া হবে সরকার সেই তালিকা করে সেগুলোর ফটোকপি সিস্টেমে আপলোড করবে।
এর বাইরে কোনো কর্মচারীকে কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কোনো ইউনিট, প্রকল্প, কার্যক্রমের সঙ্গে অথবা কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মচারীর অধীনে সর্বোচ্চ ১০ দিনের জন্য সংযুক্তির পরামর্শ দেওয়া যাবে। এই সময়সীমা সংযুক্তি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে বাড়াতে পারবে, তবে তা তিন মাসের বেশি হবে না। গ্রেড ২, গ্রেড ৩-এর কর্মচারীদের সংযুক্তির পরামর্শ দেওয়া যাবে না।
প্রতিকারের পরামর্শ পাওয়ার পর থেকে ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্ত কর্মচারীদের এক বছর, ‘সি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের নয় মাস এবং ‘বি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ছয় মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আগের মতোই কর্মচারীদের পদোন্নতিতে এপিএআর বিবেচনায় নেওয়া হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ও প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সহিদউল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূল্যায়ন শেষে ভালো করলে পুরস্কার দেওয়া হবে আর কেউ খারাপ করলে তাদের পরামর্শ দেওয়া হবে। কারণ কাউকে পানিশমেন্ট দেওয়ার জন্য এটা করা হচ্ছে না। আমরা চাই সবাই যাতে ইম্প্রুভ করতে পারে।’
মো. সহিদউল্যাহ বলেন, ‘প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনলাইনের মাধ্যমে এপিএআর করা হবে। বিদ্যমান এসিআর পদ্ধতিতে শুধু পেশাগত মূল্যায়ন করা হয়, কর্মচারীদের কর্মকে মূল্যায়নে আনা হয় না। এখন থেকে ৬০ নম্বরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে। বাকি ২০ নম্বর ব্যক্তিগত ও ২০ নম্বর পেশাগত মূল্যায়ন করা হবে। কাজের জন্য মূল্যায়ন করে ৬০ নম্বর কর্মচারী নিজে নিজেই দেবেন, সঙ্গে তথ্য-উপাত্ত আপলোড করবেন। অনুস্বাক্ষরকারীর আপত্তি থাকলেও তারা আলোচনা করে নম্বর ঠিক করবেন। কাজের মূল্যায়নে কে কত নম্বর পেলেন তা জানতে পারবেন।’
একজন কর্মচারীকে এক বছরের জন্য ন্যূনতম ১২টি কাজের পরিকল্পনা দিতে হবে জানিয়ে সহিদউল্যাহ বলেন, ‘কেউ চাইলে বেশি কাজের পরিকল্পনা দিতে পারবেন। কর্তৃপক্ষ পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করবে। পরিকল্পনা রিভিউয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। কারণ কোনো সময়ে সরকারের মনে হতে পারে কোনো একটি প্রকল্প বা কাজ বাস্তবায়নের দরকার নেই।’
এসিআর নিয়ে অনেক জটিলতা ও ভোগান্তি ছিল জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব সহিদউল্যাহ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সিস্টেমে এপিএআর দাখিল করতে হবে। কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা অনুস্বাক্ষরকারীর কাছে চলে যাবে। অনুস্বাক্ষরকারী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুমোদন না করলে তার এপিএআর থেকে নম্বর কাটা যাবে। ফলে সবার মধ্যে দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হবে। কেউ ভালো কাজ করলে তাকে কম নম্বর দেওয়ার সুযোগ নেই।’
এপিএআর বাস্তবায়ন হলে কোনো দপ্তরে যখন যে ধরনের কর্মচারীর প্রয়োজন হবে মুহূর্তের মধ্যেই তা পাওয়া যাবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এটা বের করে দেবে। প্রত্যেক কর্মচারীর আলাদা প্রোফাইল তৈরি হবে। সেখানে তিনি এখন কী করছেন, আগে কী কী করেছেন, কোন কোন বিষয়ে তিনি বেশি পারদর্শী, সেসব বিষয়ের উল্লেখ থাকবে।

সরকারি কর্মচারীদের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বদল আসছে। বিদ্যমান বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর) বাদ দিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর বার্ষিক কর্মকৃতি মূল্যায়ন (এপিএআর) পদ্ধতি প্রণয়নে অনুশাসনমালার খসড়া করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এটি চালু হলে নবম থেকে দ্বিতীয় গ্রেডের কর্মচারীদের পাঁচটি গ্রেডে মূল্যায়ন করা হবে। ভালো গ্রেডপ্রাপ্তদের দেওয়া হবে প্রণোদনা। আর খারাপ গ্রেড পেলে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে প্রশিক্ষণ, বই বা জার্নাল পড়া এবং অন্য কর্মচারীর অধীনে কাজ করতে হবে।
বিদ্যমান এসিআর পদ্ধতিতে ঊর্ধ্বতনেরা অধীনস্থ কর্মচারীদের শুধু পেশাগত মূল্যায়ন করেন। তবে কে কত নম্বর পান, তা জানার কোনো সুযোগ নেই। এপিএআর চালু হলে কর্মচারীদের কাজের জন্য ৬০ নম্বর থাকবে, আর বাকি ৪০ নম্বর ব্যক্তিগত ও পেশাগত মূল্যায়ন করা হবে। অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখে এপিএআর করা হবে। এ জন্য কে কী করবেন, কমপক্ষে এমন ১২টি কাজের তালিকা জুন মাসে দিতে হবে।
এপিএআরের খসড়া অনুশাসনমালায় বলা হয়েছে, কোনো কর্মস্থলে টানা তিন মাস দায়িত্ব পালন করলে এপিএআর দাখিল করতে হবে। তবে গ্রেড-১ ও তদূর্ধ্ব কর্মচারী, চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত, শিক্ষানবিশ এবং যাঁদের চাকরি স্থায়ী হয়নি, তাঁদের এপিএআর দিতে হবে না।
সরকার বলছে, স্বচ্ছ, আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতি ব্যবহার করে কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা ও দক্ষতা বাড়াতে এপিএআর করা হচ্ছে। অনলাইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে এপিএআর পরিচালিত হবে। এপিএআরে ৯৬-১০০ নম্বর পেলে ‘এ প্লাস’, ৮৫-৯৫ নম্বরে ‘এ’, ৭৫-৮৪ নম্বরে ‘বি’, ৬৬-৭৪ নম্বরে ‘সি’ এবং ৬৫ বা কম নম্বর পেলে আইআর (ইমপ্রুভমেন্ট রিকুইয়ার্ড) গ্রেড দেওয়া হবে। কোনো কর্মচারী যে দপ্তরে কর্মরত, সেই কর্মস্থলের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে পাওয়া নম্বর নির্ধারিত অনুপাতে সমন্বয়ের পর প্রণোদনা বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অন্যান্য নম্বর সংযোজন বা বিয়োজনের পর চূড়ান্ত বার্ষিক এপিএআর নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
এপিএআরে ‘এ প্লাস’ ও ‘এ’ গ্রেডপ্রাপ্তদের প্রণোদনা দেবে সরকার। বিদেশ সফর ও বিদেশে প্রশিক্ষণে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ‘এ প্লাস’ গ্রেডধারীদের মন্ত্রী-সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে প্রশংসাপত্র, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ওয়েবসাইটে ছবি প্রকাশ এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে মতবিনিময়ের জন্য সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। আর ‘এ’ গ্রেডধারীদের প্রশংসাপত্র দেওয়ার সঙ্গে তাদের ছবি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, যারা ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘আইআর’ গ্রেড পাবেন তাঁদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো দপ্তর বা কারও অধীনে সংযুক্তিতে থাকতে হবে। এই তিনটি শ্রেণিতে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর দুটি করে বিষয়ে প্রতিকারের পরামর্শ পাবেন তাঁরা।
প্রতিকার হিসেবে ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্তদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাবলিক পলিসি, পাবলিক ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা, জেনারেল ফাইন্যান্সিয়াল রুলস, স্থানীয় সরকার, উন্নয়ন প্রশাসন বিষয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নিজ উদ্যোগে তথ্যপ্রযুক্তি, বিদেশি ভাষা, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, চ্যালেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট বা লিডারশিপ কোর্স উদ্বুদ্ধকরণ এবং আচরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
নির্ধারিত তালিকা থেকে ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্তদের সর্বোচ্চ তিনটি, ‘সি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের দুটি এবং ‘বি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরামর্শ দিতে হবে। ‘আইআর’ গ্রেডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই মাস, ‘সি’ গ্রেডের দেড় মাস এবং ‘বি’ গ্রেডের প্রশিক্ষণের সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে এক মাস।
এ ছাড়া সরকারি দায়িত্ব পালনে দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচিত বই ও জার্নাল পাঠের পরামর্শ দেওয়া যাবে। ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে এক হাজার পৃষ্ঠার সর্বোচ্চ তিনটি, ‘সি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ৬০০ পৃষ্ঠার দুটি, ‘বি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ৪০০ পৃষ্ঠার একটি বই বা জার্নাল পাঠের পরামর্শ দেওয়া যাবে। যেসব বাই বা জার্নাল পড়ার পরামর্শ দেওয়া হবে সরকার সেই তালিকা করে সেগুলোর ফটোকপি সিস্টেমে আপলোড করবে।
এর বাইরে কোনো কর্মচারীকে কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কোনো ইউনিট, প্রকল্প, কার্যক্রমের সঙ্গে অথবা কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মচারীর অধীনে সর্বোচ্চ ১০ দিনের জন্য সংযুক্তির পরামর্শ দেওয়া যাবে। এই সময়সীমা সংযুক্তি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে বাড়াতে পারবে, তবে তা তিন মাসের বেশি হবে না। গ্রেড ২, গ্রেড ৩-এর কর্মচারীদের সংযুক্তির পরামর্শ দেওয়া যাবে না।
প্রতিকারের পরামর্শ পাওয়ার পর থেকে ‘আইআর’ গ্রেডপ্রাপ্ত কর্মচারীদের এক বছর, ‘সি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের নয় মাস এবং ‘বি’ গ্রেডপ্রাপ্তদের ছয় মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আগের মতোই কর্মচারীদের পদোন্নতিতে এপিএআর বিবেচনায় নেওয়া হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ও প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সহিদউল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূল্যায়ন শেষে ভালো করলে পুরস্কার দেওয়া হবে আর কেউ খারাপ করলে তাদের পরামর্শ দেওয়া হবে। কারণ কাউকে পানিশমেন্ট দেওয়ার জন্য এটা করা হচ্ছে না। আমরা চাই সবাই যাতে ইম্প্রুভ করতে পারে।’
মো. সহিদউল্যাহ বলেন, ‘প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনলাইনের মাধ্যমে এপিএআর করা হবে। বিদ্যমান এসিআর পদ্ধতিতে শুধু পেশাগত মূল্যায়ন করা হয়, কর্মচারীদের কর্মকে মূল্যায়নে আনা হয় না। এখন থেকে ৬০ নম্বরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে। বাকি ২০ নম্বর ব্যক্তিগত ও ২০ নম্বর পেশাগত মূল্যায়ন করা হবে। কাজের জন্য মূল্যায়ন করে ৬০ নম্বর কর্মচারী নিজে নিজেই দেবেন, সঙ্গে তথ্য-উপাত্ত আপলোড করবেন। অনুস্বাক্ষরকারীর আপত্তি থাকলেও তারা আলোচনা করে নম্বর ঠিক করবেন। কাজের মূল্যায়নে কে কত নম্বর পেলেন তা জানতে পারবেন।’
একজন কর্মচারীকে এক বছরের জন্য ন্যূনতম ১২টি কাজের পরিকল্পনা দিতে হবে জানিয়ে সহিদউল্যাহ বলেন, ‘কেউ চাইলে বেশি কাজের পরিকল্পনা দিতে পারবেন। কর্তৃপক্ষ পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন করবে। পরিকল্পনা রিভিউয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। কারণ কোনো সময়ে সরকারের মনে হতে পারে কোনো একটি প্রকল্প বা কাজ বাস্তবায়নের দরকার নেই।’
এসিআর নিয়ে অনেক জটিলতা ও ভোগান্তি ছিল জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব সহিদউল্যাহ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সিস্টেমে এপিএআর দাখিল করতে হবে। কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা অনুস্বাক্ষরকারীর কাছে চলে যাবে। অনুস্বাক্ষরকারী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুমোদন না করলে তার এপিএআর থেকে নম্বর কাটা যাবে। ফলে সবার মধ্যে দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হবে। কেউ ভালো কাজ করলে তাকে কম নম্বর দেওয়ার সুযোগ নেই।’
এপিএআর বাস্তবায়ন হলে কোনো দপ্তরে যখন যে ধরনের কর্মচারীর প্রয়োজন হবে মুহূর্তের মধ্যেই তা পাওয়া যাবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এটা বের করে দেবে। প্রত্যেক কর্মচারীর আলাদা প্রোফাইল তৈরি হবে। সেখানে তিনি এখন কী করছেন, আগে কী কী করেছেন, কোন কোন বিষয়ে তিনি বেশি পারদর্শী, সেসব বিষয়ের উল্লেখ থাকবে।

আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
২১ মিনিট আগে
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণকাজ না করেই আগাম অর্থ উত্তোলন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দেওয়া হবে একই দিন।
১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং চীনের সঙ্গেও ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি, এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, আমরা একটি ভারসাম্য বজায় রেখেছি।’
উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পারস্পরিক সম্মান ও গঠনমূলক সহযোগিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। সরকার কোনো নির্দিষ্ট দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এড়িয়ে চলার প্রয়োজন মনে করে না।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতের সরকারও এই ভারসাম্যপূর্ণ নীতি বজায় রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশ তার আকার ও শক্তির তুলনায় আন্তর্জাতিকভাবে যথেষ্ট মনোযোগ পাচ্ছে। যারা আমাদের চেয়ে বড় ও শক্তিশালী, তারা স্বাভাবিকভাবেই বেশি দৃশ্যমান। তবে আমাদের অবস্থান বিবেচনায় আমাদের উপস্থিতি ছোট নয়—আমরা সর্বত্র দৃশ্যমানতা বজায় রাখছি।’
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি বাস্তবসম্মত, অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
সম্প্রতি মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির শুনানিতে বাংলাদেশের জন্য মনোনীত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হলে তিনি ঢাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন এবং এই অঞ্চলে ‘চীনের কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকি’ তুলে ধরবেন।
ক্রিস্টেনসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে সমর্থন করে।
তিনি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের টিমকে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী, যাতে অন্তর্বর্তী সরকার ও ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।
বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির অনুপাতে বৈশ্বিক অঙ্গনে দেশের মর্যাদা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং চীনের সঙ্গেও ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি, এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, আমরা একটি ভারসাম্য বজায় রেখেছি।’
উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পারস্পরিক সম্মান ও গঠনমূলক সহযোগিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। সরকার কোনো নির্দিষ্ট দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এড়িয়ে চলার প্রয়োজন মনে করে না।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতের সরকারও এই ভারসাম্যপূর্ণ নীতি বজায় রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশ তার আকার ও শক্তির তুলনায় আন্তর্জাতিকভাবে যথেষ্ট মনোযোগ পাচ্ছে। যারা আমাদের চেয়ে বড় ও শক্তিশালী, তারা স্বাভাবিকভাবেই বেশি দৃশ্যমান। তবে আমাদের অবস্থান বিবেচনায় আমাদের উপস্থিতি ছোট নয়—আমরা সর্বত্র দৃশ্যমানতা বজায় রাখছি।’
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি বাস্তবসম্মত, অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
সম্প্রতি মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির শুনানিতে বাংলাদেশের জন্য মনোনীত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হলে তিনি ঢাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন এবং এই অঞ্চলে ‘চীনের কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকি’ তুলে ধরবেন।
ক্রিস্টেনসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে সমর্থন করে।
তিনি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের টিমকে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী, যাতে অন্তর্বর্তী সরকার ও ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।
বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির অনুপাতে বৈশ্বিক অঙ্গনে দেশের মর্যাদা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

বিদ্যমান এসিআর পদ্ধতিতে ঊর্ধ্বতনেরা অধীনস্থ কর্মচারীদের শুধু পেশাগত মূল্যায়ন করেন। তবে কে কত নম্বর পান তা জানার কোনো সুযোগ নেই। এপিএআর চালু হলে কর্মচারীদের কাজের জন্য ৬০ নম্বর থাকবে। আর বাকি ৪০ নম্বর ব্যক্তিগত ও পেশাগত মূল্যায়ন করা হবে। অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখে এপিএআর করা হবে। এ জন্য কে কী করবেন কমপ
২৩ জানুয়ারি ২০২২
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণকাজ না করেই আগাম অর্থ উত্তোলন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দেওয়া হবে একই দিন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহারকে আদালতের বারান্দায় মারধর করা হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার খায়রুল বাশারের জামিন আবেদন শুনানির জন্য তাঁকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরির পাশাপাশি মূল সড়ক ব্যবহার না করে কৌশলে অন্য পথ দিয়ে এজলাসে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ।
ওই পথ ধরে এজলাসের দরজায় পৌঁছানোর সময় হঠাৎ কয়েকজন ব্যক্তি খায়রুল বাশারের ওপর হামলা চালান। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে খায়রুল বাশারকে এজলাসের ভেতরে নিয়ে যায়।
পরে ৯৯টি মামলায় জামিন শুনানি করেন তাঁর আইনজীবীরা। আদালত ১৪ মামলায় জামিন দেন। অন্য ৭৫ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান।
বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খায়রুল বাশারের বিরুদ্ধে তিন শর বেশি মামলা রয়েছে।
গত ১৪ জুলাই খায়রুল বাশারকে আটক করা হয়। পর্যায়ক্রমে তাঁকে শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কয়েক মামলায় তাঁকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়।
খায়রুল বাশারকে আজ আদালতে হাজির করা হবে জেনে বেশ কয়েকজন অভিযোগকারী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই সুযোগ বুঝে তাঁর ওপর হামলা করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহারকে আদালতের বারান্দায় মারধর করা হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার খায়রুল বাশারের জামিন আবেদন শুনানির জন্য তাঁকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরির পাশাপাশি মূল সড়ক ব্যবহার না করে কৌশলে অন্য পথ দিয়ে এজলাসে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ।
ওই পথ ধরে এজলাসের দরজায় পৌঁছানোর সময় হঠাৎ কয়েকজন ব্যক্তি খায়রুল বাশারের ওপর হামলা চালান। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে খায়রুল বাশারকে এজলাসের ভেতরে নিয়ে যায়।
পরে ৯৯টি মামলায় জামিন শুনানি করেন তাঁর আইনজীবীরা। আদালত ১৪ মামলায় জামিন দেন। অন্য ৭৫ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান।
বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খায়রুল বাশারের বিরুদ্ধে তিন শর বেশি মামলা রয়েছে।
গত ১৪ জুলাই খায়রুল বাশারকে আটক করা হয়। পর্যায়ক্রমে তাঁকে শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কয়েক মামলায় তাঁকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়।
খায়রুল বাশারকে আজ আদালতে হাজির করা হবে জেনে বেশ কয়েকজন অভিযোগকারী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই সুযোগ বুঝে তাঁর ওপর হামলা করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

বিদ্যমান এসিআর পদ্ধতিতে ঊর্ধ্বতনেরা অধীনস্থ কর্মচারীদের শুধু পেশাগত মূল্যায়ন করেন। তবে কে কত নম্বর পান তা জানার কোনো সুযোগ নেই। এপিএআর চালু হলে কর্মচারীদের কাজের জন্য ৬০ নম্বর থাকবে। আর বাকি ৪০ নম্বর ব্যক্তিগত ও পেশাগত মূল্যায়ন করা হবে। অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখে এপিএআর করা হবে। এ জন্য কে কী করবেন কমপ
২৩ জানুয়ারি ২০২২
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
২১ মিনিট আগে
রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণকাজ না করেই আগাম অর্থ উত্তোলন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দেওয়া হবে একই দিন।
১ ঘণ্টা আগেগাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণকাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণকাজ না করেই আগাম অর্থ উত্তোলন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক স্বপন কুমার রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. ছাবের আলী, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শামস জাভেদ এবং মেসার্স নির্মাণ প্রকৌশলের মালিক আবু সাইদ খান।
মামলার এজাহার বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার কাজ সম্পন্ন না করেই বিল উত্তোলন করেছেন। এভাবে তাঁরা ১ কোটি ২২ লাখ ১৯ হাজার ৮০৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ে করা হয়েছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বিল্ডিংয়ে নির্মাণকাজ সম্পন্ন না করে অতিরিক্ত বিল পরিশোধের অভিযোগে একটি দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায় দুদক। দুদকের অভিযানে অভিযোগর সত্যতা থাকায় কমিশন মামলা অনুমোদন করে।

রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণকাজ না করেই আগাম অর্থ উত্তোলন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক স্বপন কুমার রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. ছাবের আলী, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শামস জাভেদ এবং মেসার্স নির্মাণ প্রকৌশলের মালিক আবু সাইদ খান।
মামলার এজাহার বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার কাজ সম্পন্ন না করেই বিল উত্তোলন করেছেন। এভাবে তাঁরা ১ কোটি ২২ লাখ ১৯ হাজার ৮০৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ে করা হয়েছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বিল্ডিংয়ে নির্মাণকাজ সম্পন্ন না করে অতিরিক্ত বিল পরিশোধের অভিযোগে একটি দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায় দুদক। দুদকের অভিযানে অভিযোগর সত্যতা থাকায় কমিশন মামলা অনুমোদন করে।

বিদ্যমান এসিআর পদ্ধতিতে ঊর্ধ্বতনেরা অধীনস্থ কর্মচারীদের শুধু পেশাগত মূল্যায়ন করেন। তবে কে কত নম্বর পান তা জানার কোনো সুযোগ নেই। এপিএআর চালু হলে কর্মচারীদের কাজের জন্য ৬০ নম্বর থাকবে। আর বাকি ৪০ নম্বর ব্যক্তিগত ও পেশাগত মূল্যায়ন করা হবে। অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখে এপিএআর করা হবে। এ জন্য কে কী করবেন কমপ
২৩ জানুয়ারি ২০২২
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
২১ মিনিট আগে
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দেওয়া হবে একই দিন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দেওয়া হবে একই দিন।
আজ মঙ্গলবার পৃথক শুনানি শেষে এদিন ধার্য করেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তিনি শুনানিতে বলেন, ‘ইনুর বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগই সত্য নয়। কারণ, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় তিনি কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিলেন না। অথচ তাঁকে সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটির আওতায় এনেছে প্রসিকিউশন।’ তিনি ইনুর অব্যাহতির আবেদন জানান।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শুনানিতে বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতা ছিলেন হাসানুল হক ইনু। জুলাই-আগস্টের আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সব পরিকল্পনায় ছিলেন জোট নেতারা। শেখ হাসিনার সঙ্গে ইনুর কথোপকথনের মাধ্যমেও কমান্ড রেসপনসিবিলিটি প্রমাণ করে।’
এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী ও কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি চার আসামির অব্যাহতির আবেদন করেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে গত ২৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। তবে আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দেওয়া হবে একই দিন।
আজ মঙ্গলবার পৃথক শুনানি শেষে এদিন ধার্য করেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তিনি শুনানিতে বলেন, ‘ইনুর বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগই সত্য নয়। কারণ, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় তিনি কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিলেন না। অথচ তাঁকে সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটির আওতায় এনেছে প্রসিকিউশন।’ তিনি ইনুর অব্যাহতির আবেদন জানান।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শুনানিতে বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতা ছিলেন হাসানুল হক ইনু। জুলাই-আগস্টের আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সব পরিকল্পনায় ছিলেন জোট নেতারা। শেখ হাসিনার সঙ্গে ইনুর কথোপকথনের মাধ্যমেও কমান্ড রেসপনসিবিলিটি প্রমাণ করে।’
এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী ও কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি চার আসামির অব্যাহতির আবেদন করেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে গত ২৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। তবে আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

বিদ্যমান এসিআর পদ্ধতিতে ঊর্ধ্বতনেরা অধীনস্থ কর্মচারীদের শুধু পেশাগত মূল্যায়ন করেন। তবে কে কত নম্বর পান তা জানার কোনো সুযোগ নেই। এপিএআর চালু হলে কর্মচারীদের কাজের জন্য ৬০ নম্বর থাকবে। আর বাকি ৪০ নম্বর ব্যক্তিগত ও পেশাগত মূল্যায়ন করা হবে। অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখে এপিএআর করা হবে। এ জন্য কে কী করবেন কমপ
২৩ জানুয়ারি ২০২২
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
২১ মিনিট আগে
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণকাজ না করেই আগাম অর্থ উত্তোলন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে