নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ২টা ৩৩ মিনিটে আগারগাঁও স্টেশনে সবুজ পতাকা নেড়ে উদ্বোধন করেন মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। এ সময় একটি ট্রেন আগারগাঁও ছেড়ে যায়। যার মাধ্যমে ঢাকার দুই প্রান্ত উত্তরা ও মতিঝিলে এখন যাতায়াত করা যাবে মাত্র ৩১ মিনিটে ১০০ টাকা ভাড়ায়।
২টা ৪০ মিনিটে আরেকটি ট্রেনে করে তিনি মতিঝিল রওনা হন। সেখানে তাঁর একটি ফলক উন্মোচন করার কথা রয়েছে। সেখানে মেট্রোরেল ৫-এর নর্দান রুটের কাজের উদ্বোধনেরও কথা রয়েছে তাঁর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই ট্রেনযাত্রার সঙ্গী হন সরকারের উচ্চপর্যায়ের লোকজন। এ ছাড়া সমাজের নানা পেশার মানুষ। এর মধ্যে থাকবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, অগ্নি-সন্ত্রাসে আহত ব্যক্তি, কৃষক, সবজি বিক্রেতাসহ ৪০ জন। আর সব মিলিয়ে ২২২ জন। ছয়টি কোচ সমৃদ্ধ ট্রেনটির ধারণক্ষমতা ৩০৬ জনের।
মেট্রোরেল উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সড়কসচিব, মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মেট্রোরেলে কর্মরত জাপানি কর্মকর্তাসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় সাংবাদিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পথ হারায়নি। তিনি অত্যান্ত আনন্দিত যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এই মেট্রোরেল চলাচল করতে পারবে। সামনের বছর কমলাপুর পর্যন্ত চলাচলের কাজ শেষ হবে। তিনি এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত জাপান সরকারসহ সবাইকে ধন্যবাদ দেন।
মেট্রোরেল উদ্বোধন শেষে বিকেল ৪টায় আরামবাগে জনসভায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।
দেশের প্রথম এই মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার এবং ১৭টি স্টেশনবিশিষ্ট। ১১ মাস আগে গত বছর ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করেন। এখন শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রোরেল নিয়মিত চলাচল করছে। মতিঝিল অংশ আগামীকাল রোববার থেকে যাত্রীদের জন্য চালু হবে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিটিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানান, শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন মেট্রোরেল মতিঝিল থেকে উত্তরার মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে ১০ মিনিট পরপর। মতিঝিল থেকে আগারগাঁওয়ের মধ্যে বাংলাদেশ সচিবালয় এবং ফার্মগেট স্টেশনে ট্রেন থামবে। বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।
এই অংশে প্রথম তিনটি স্টেশন চালু হচ্ছে। আগারগাঁও থেকে ফার্মগেট, বাংলাদেশ সচিবালয় হয়ে মতিঝিল গিয়ে থামবে। তারপর আগামী দুই মাসের মধ্যে একে একে চালু হবে শাহবাগ, কারওয়ান বাজার ও বিজয় সরণি স্টেশন।
বর্তমান আগারগাঁও রুটে রাত ৮টার পরে যাদের এমআরটি বা র্যাপিড পাস রয়েছে তাঁরা রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবেন। কিন্তু যেসব যাত্রী স্টেশন থেকে একক টিকিট কাটবেন, তাঁরা রাত ৮টা পর্যন্তই সর্বশেষ মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্মাণ ও আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি থাকায় পুরোদমে চালু হতে আরও কিছু সময় লাগবে। বর্তমানে আগারগাঁও রুটে প্রতিদিন গড়ে ৯০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। মতিঝিল-কমলাপুর পর্যন্ত পুরোদমে চালু হলে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং প্রতিদিন ৬ লাখ ৭৭ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন এই ট্রেনে।
২০১৩ সালে জাইকার সঙ্গে এই প্রকল্পের ঋণচুক্তি করে সরকার। ২০১৬ সালের ২৬ জুন এমআরটি লাইন-৬-এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৭ সালের ২ আগস্ট উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটারের উড়ালপথ ও স্টেশন নির্মাণ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ২টা ৩৩ মিনিটে আগারগাঁও স্টেশনে সবুজ পতাকা নেড়ে উদ্বোধন করেন মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। এ সময় একটি ট্রেন আগারগাঁও ছেড়ে যায়। যার মাধ্যমে ঢাকার দুই প্রান্ত উত্তরা ও মতিঝিলে এখন যাতায়াত করা যাবে মাত্র ৩১ মিনিটে ১০০ টাকা ভাড়ায়।
২টা ৪০ মিনিটে আরেকটি ট্রেনে করে তিনি মতিঝিল রওনা হন। সেখানে তাঁর একটি ফলক উন্মোচন করার কথা রয়েছে। সেখানে মেট্রোরেল ৫-এর নর্দান রুটের কাজের উদ্বোধনেরও কথা রয়েছে তাঁর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই ট্রেনযাত্রার সঙ্গী হন সরকারের উচ্চপর্যায়ের লোকজন। এ ছাড়া সমাজের নানা পেশার মানুষ। এর মধ্যে থাকবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, অগ্নি-সন্ত্রাসে আহত ব্যক্তি, কৃষক, সবজি বিক্রেতাসহ ৪০ জন। আর সব মিলিয়ে ২২২ জন। ছয়টি কোচ সমৃদ্ধ ট্রেনটির ধারণক্ষমতা ৩০৬ জনের।
মেট্রোরেল উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সড়কসচিব, মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মেট্রোরেলে কর্মরত জাপানি কর্মকর্তাসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় সাংবাদিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পথ হারায়নি। তিনি অত্যান্ত আনন্দিত যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এই মেট্রোরেল চলাচল করতে পারবে। সামনের বছর কমলাপুর পর্যন্ত চলাচলের কাজ শেষ হবে। তিনি এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত জাপান সরকারসহ সবাইকে ধন্যবাদ দেন।
মেট্রোরেল উদ্বোধন শেষে বিকেল ৪টায় আরামবাগে জনসভায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।
দেশের প্রথম এই মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার এবং ১৭টি স্টেশনবিশিষ্ট। ১১ মাস আগে গত বছর ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করেন। এখন শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রোরেল নিয়মিত চলাচল করছে। মতিঝিল অংশ আগামীকাল রোববার থেকে যাত্রীদের জন্য চালু হবে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিটিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানান, শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন মেট্রোরেল মতিঝিল থেকে উত্তরার মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে ১০ মিনিট পরপর। মতিঝিল থেকে আগারগাঁওয়ের মধ্যে বাংলাদেশ সচিবালয় এবং ফার্মগেট স্টেশনে ট্রেন থামবে। বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।
এই অংশে প্রথম তিনটি স্টেশন চালু হচ্ছে। আগারগাঁও থেকে ফার্মগেট, বাংলাদেশ সচিবালয় হয়ে মতিঝিল গিয়ে থামবে। তারপর আগামী দুই মাসের মধ্যে একে একে চালু হবে শাহবাগ, কারওয়ান বাজার ও বিজয় সরণি স্টেশন।
বর্তমান আগারগাঁও রুটে রাত ৮টার পরে যাদের এমআরটি বা র্যাপিড পাস রয়েছে তাঁরা রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবেন। কিন্তু যেসব যাত্রী স্টেশন থেকে একক টিকিট কাটবেন, তাঁরা রাত ৮টা পর্যন্তই সর্বশেষ মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্মাণ ও আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি থাকায় পুরোদমে চালু হতে আরও কিছু সময় লাগবে। বর্তমানে আগারগাঁও রুটে প্রতিদিন গড়ে ৯০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। মতিঝিল-কমলাপুর পর্যন্ত পুরোদমে চালু হলে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং প্রতিদিন ৬ লাখ ৭৭ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন এই ট্রেনে।
২০১৩ সালে জাইকার সঙ্গে এই প্রকল্পের ঋণচুক্তি করে সরকার। ২০১৬ সালের ২৬ জুন এমআরটি লাইন-৬-এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৭ সালের ২ আগস্ট উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটারের উড়ালপথ ও স্টেশন নির্মাণ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
ঐকমত্য কমিশনে নারী আসন বিষয়ে গত ১৪ জুলাই থেকে অন্তত চার দিন আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় বিএনপি, জামায়াত, সিপিবি, বাসদ, এলডিপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নারী প্রতিনিধি ছাড়াই অংশ নিয়েছে। কমিশনের আলোচনায় এনসিপি, জেএসডি, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাসদ
২ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ৫ আগস্ট জুলাই জাতীয় সনদ ঘোষণা করতে চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সে অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই পর্বের সংলাপ শেষে সনদ প্রণয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খসড়া চূড়ান্ত করে দলগুলোর মতামত ও স্বাক্ষর নেওয়ার কাজটুকুই এখন বাকি। তবে সনদের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া
২ ঘণ্টা আগেদর-কষাকষির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কমিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, ‘ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কি না। আমরা তো ফল আনলাম এবং যেটা আনলাম, আমাদের প্রতিযোগীদের যে রেঞ্জে, সেই রেঞ্জে।’ ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি খোলাচিঠি দিয়েছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যনীতি বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা এই সুপারিশগুলোকে আগামী ‘জুলাই চার্টার ২০২৫’-এ অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে