বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কোথাও প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া, কোথাও ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, আবার কোথাও পাশের গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে মারামারি—সব মিলিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান অস্থিরতার শুরু বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে। বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই আলাদা ইস্যুকে কেন্দ্র করে আরও তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ ও আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত সমাধান না এলে এই অস্থিরতা আরও বিস্তৃত হতে পারে, যা দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে দীর্ঘমেয়াদি সংকটে ঠেলে দেবে।
গত ২৭ আগস্ট তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আর ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বিতণ্ডার জেরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে। ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’র দাবিতে চলমান আন্দোলনে হামলার ঘটনায় সংঘর্ষের পরই ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো অস্থির হচ্ছে, তা শুভ লক্ষণ নয়। কেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমন ঘটনা ঘটছে, তা খুঁজে বের করে দ্রুত সমাধান করা উচিত। না হলে দীর্ঘ মেয়াদে উচ্চশিক্ষা সংকটে পড়বে।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আজকের পত্রিকা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন প্রশাসন এসেছে, তারা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। এটা শিক্ষার্থীদের হতাশার কারণ। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটছে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের মাধ্যমে। তিনি আরও বলেন, চলমান আন্দোলনের পেছনে কোনো ‘সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা’ কাজ করছে কি না, তাও ভেবে দেখা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্থির হলে আগামী জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই সব পক্ষের সঙ্গে বসে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমের প্রস্তাব পাঠানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংঘর্ষ ও অস্থিরতার ঘটনায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সেটিতে মন্ত্রণালয় অবহিত রয়েছে। অবশ্যই এতে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এতে আমরা উদ্বিগ্ন।’
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেকোনো সমস্যাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আশা করি দ্রুত এর সমাধান হবে। যত দ্রুত সেটা হয়, ততই মঙ্গলজনক।’
এ ধরনের পরিস্থিতি কারও কাম্য নয় বলে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ধরনের পরিস্থিতি শিক্ষকেরাও চান না, ছাত্ররাও চায় না, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও চায় না। সে কারণেই আমাদের দিক থেকে আহ্বান দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলোর সমাধান করার। এ জন্য স্থানীয় কমিউনিটিও কাজ করছে। আমাদের আশা, খুব দ্রুত এর সমাধান আসবে।’
হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কোথাও প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া, কোথাও ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, আবার কোথাও পাশের গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে মারামারি—সব মিলিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান অস্থিরতার শুরু বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে। বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই আলাদা ইস্যুকে কেন্দ্র করে আরও তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ ও আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত সমাধান না এলে এই অস্থিরতা আরও বিস্তৃত হতে পারে, যা দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে দীর্ঘমেয়াদি সংকটে ঠেলে দেবে।
গত ২৭ আগস্ট তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আর ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বিতণ্ডার জেরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে। ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’র দাবিতে চলমান আন্দোলনে হামলার ঘটনায় সংঘর্ষের পরই ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো অস্থির হচ্ছে, তা শুভ লক্ষণ নয়। কেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমন ঘটনা ঘটছে, তা খুঁজে বের করে দ্রুত সমাধান করা উচিত। না হলে দীর্ঘ মেয়াদে উচ্চশিক্ষা সংকটে পড়বে।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আজকের পত্রিকা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন প্রশাসন এসেছে, তারা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। এটা শিক্ষার্থীদের হতাশার কারণ। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটছে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের মাধ্যমে। তিনি আরও বলেন, চলমান আন্দোলনের পেছনে কোনো ‘সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা’ কাজ করছে কি না, তাও ভেবে দেখা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্থির হলে আগামী জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই সব পক্ষের সঙ্গে বসে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমের প্রস্তাব পাঠানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংঘর্ষ ও অস্থিরতার ঘটনায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সেটিতে মন্ত্রণালয় অবহিত রয়েছে। অবশ্যই এতে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এতে আমরা উদ্বিগ্ন।’
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেকোনো সমস্যাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আশা করি দ্রুত এর সমাধান হবে। যত দ্রুত সেটা হয়, ততই মঙ্গলজনক।’
এ ধরনের পরিস্থিতি কারও কাম্য নয় বলে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ধরনের পরিস্থিতি শিক্ষকেরাও চান না, ছাত্ররাও চায় না, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও চায় না। সে কারণেই আমাদের দিক থেকে আহ্বান দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলোর সমাধান করার। এ জন্য স্থানীয় কমিউনিটিও কাজ করছে। আমাদের আশা, খুব দ্রুত এর সমাধান আসবে।’
দ্বিতীয়বারের মতো আগা খান আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করায় স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
৪৩ মিনিট আগেদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং মাঠ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে আজ বুধবার এক বিশেষ বৈঠকে বসছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বেলা ২টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ কমিশনার, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক...
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জন্য রাষ্ট্রদূত হিসেবে পেশাদার কূটনীতিক ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে মনোনীত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস এ মনোনয়নের বিষয়ে শুনানির জন্য গতকাল মঙ্গলবার দেশটির সিনেটে পাঠিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জন্য রাষ্ট্রদূত হিসেবে পেশাদার কূটনীতিক ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে মনোনীত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস এ মনোনয়নের বিষয়ে শুনানির জন্য গতকাল মঙ্গলবার দেশটির সিনেটে পাঠিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে