রাসেল মাহমুদ, ঢাকা
দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে। কারাগারগুলোতে বন্দীদের চাপ কমাতে নতুন ছয়টি কারাগার করা হচ্ছে। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রীয় কারাগার চালু হয়েছে। বাকি চারটি জেলা কারাগার চলতি বছরেই চালু হবে। এসব কারাগারে বিশেষ বন্দীদের রাখা হবে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন ছয়টি কারাগারের মধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগার ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ চালু করা হয়েছে। বাকি চারটি জেলা কারাগারের নির্মাণকাজ চলছে। কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, পিরোজপুর ও ফেনীতে কারাগারের পুরোনো স্থাপনায় নতুন করে কারাগারগুলো নির্মাণের কাজ চলছে। কারাগারগুলোতে প্রায় ২ হাজার বন্দী রাখা যাবে। ডিভিশনপ্রাপ্ত, বয়স্ক আসামি, মাদক মামলার আসামি, কিশোর ও নারী বা বিশেষ প্রকৃতির বন্দীদের রাখা হবে এসব কারাগারে। ইতিমধ্যে এসব কারাগারে জেলারসহ ২৯৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চালু হওয়া নতুন দুটি কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশে বর্তমানে ৭৪টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় কারাগার ১৫টি এবং জেলা কারাগার ৫৯টি। ঢাকা বিভাগে কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগার রয়েছে ২০টি। চট্টগ্রাম বিভাগে ১২টি, খুলনা বিভাগে ১০টি, রাজশাহী বিভাগে ৮টি, রংপুর বিভাগে ৮টি, বরিশাল বিভাগে ৭টি, সিলেট বিভাগে ৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪টি কারাগার রয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা মামলায় শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্য, সাবেক সচিব, সাবেক বিচারপতি, সাবেক সেনা ও নৌ কর্মকর্তা, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, বিশেষ অভিযানে প্রতিদিন সারা দেশে মাদকসহ বিভিন্ন মামলা ও অপরাধের অভিযোগে দেড় হাজারের বেশি গ্রেপ্তার হচ্ছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৪টি কারাগারে বন্দী ধারণক্ষমতা ৪৩ হাজার ১৫৭ জন; এর মধ্যে পুরুষ ৪১ হাজার ১৭১ জন, নারী ১ হাজার ৯৮৬ জন। কিন্তু কারাগারগুলোতে বন্দী আছে প্রায় ৭৮ হাজার ৫০ জন; এর মধ্যে পুরুষ ৭৫ হাজার ২৫৮ জন, নারী ২ হাজার ৭৯২ জন। অর্থাৎ ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে কারাগারগুলোতে।
সূত্র আরও জানায়, দেশের বিভিন্ন কারাগারে থাকা বন্দীদের মধ্যে হাজতি ৫৮ হাজার ২১৩ জন, কয়েদি ১৯ হাজার। বিদেশি বন্দী রয়েছে ৪০২ জন।
কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাগারগুলোতে মাদক মামলায় আটক বন্দী ছিল ১৮ হাজার ৬৪৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ১৪৯ জন এবং নারী ৪৯৪ জন। মাদক মামলার আসামিসহ বয়স্ক আসামি, কিশোর, নারী ও ডিভিশনপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের রাখার জন্য নতুন কারাগার করা হচ্ছে।
কারা অধিদপ্তরের কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন করে ছয়টি কারাগার করা হচ্ছে। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রীয় কারাগার চালু হয়েছে। আরও চারটি জেলা কারাগারের কাজ চলছে। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীর সংখ্যা বেড়েছে। এ ছাড়া মাদক মামলায় আটক ও কিশোর বন্দীদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তাদের নতুন কারাগারগুলোতে রাখা হবে।
দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে। কারাগারগুলোতে বন্দীদের চাপ কমাতে নতুন ছয়টি কারাগার করা হচ্ছে। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রীয় কারাগার চালু হয়েছে। বাকি চারটি জেলা কারাগার চলতি বছরেই চালু হবে। এসব কারাগারে বিশেষ বন্দীদের রাখা হবে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন ছয়টি কারাগারের মধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগার ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ চালু করা হয়েছে। বাকি চারটি জেলা কারাগারের নির্মাণকাজ চলছে। কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, পিরোজপুর ও ফেনীতে কারাগারের পুরোনো স্থাপনায় নতুন করে কারাগারগুলো নির্মাণের কাজ চলছে। কারাগারগুলোতে প্রায় ২ হাজার বন্দী রাখা যাবে। ডিভিশনপ্রাপ্ত, বয়স্ক আসামি, মাদক মামলার আসামি, কিশোর ও নারী বা বিশেষ প্রকৃতির বন্দীদের রাখা হবে এসব কারাগারে। ইতিমধ্যে এসব কারাগারে জেলারসহ ২৯৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চালু হওয়া নতুন দুটি কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশে বর্তমানে ৭৪টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় কারাগার ১৫টি এবং জেলা কারাগার ৫৯টি। ঢাকা বিভাগে কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগার রয়েছে ২০টি। চট্টগ্রাম বিভাগে ১২টি, খুলনা বিভাগে ১০টি, রাজশাহী বিভাগে ৮টি, রংপুর বিভাগে ৮টি, বরিশাল বিভাগে ৭টি, সিলেট বিভাগে ৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪টি কারাগার রয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা মামলায় শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্য, সাবেক সচিব, সাবেক বিচারপতি, সাবেক সেনা ও নৌ কর্মকর্তা, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, বিশেষ অভিযানে প্রতিদিন সারা দেশে মাদকসহ বিভিন্ন মামলা ও অপরাধের অভিযোগে দেড় হাজারের বেশি গ্রেপ্তার হচ্ছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৪টি কারাগারে বন্দী ধারণক্ষমতা ৪৩ হাজার ১৫৭ জন; এর মধ্যে পুরুষ ৪১ হাজার ১৭১ জন, নারী ১ হাজার ৯৮৬ জন। কিন্তু কারাগারগুলোতে বন্দী আছে প্রায় ৭৮ হাজার ৫০ জন; এর মধ্যে পুরুষ ৭৫ হাজার ২৫৮ জন, নারী ২ হাজার ৭৯২ জন। অর্থাৎ ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে কারাগারগুলোতে।
সূত্র আরও জানায়, দেশের বিভিন্ন কারাগারে থাকা বন্দীদের মধ্যে হাজতি ৫৮ হাজার ২১৩ জন, কয়েদি ১৯ হাজার। বিদেশি বন্দী রয়েছে ৪০২ জন।
কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাগারগুলোতে মাদক মামলায় আটক বন্দী ছিল ১৮ হাজার ৬৪৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ১৪৯ জন এবং নারী ৪৯৪ জন। মাদক মামলার আসামিসহ বয়স্ক আসামি, কিশোর, নারী ও ডিভিশনপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের রাখার জন্য নতুন কারাগার করা হচ্ছে।
কারা অধিদপ্তরের কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন করে ছয়টি কারাগার করা হচ্ছে। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রীয় কারাগার চালু হয়েছে। আরও চারটি জেলা কারাগারের কাজ চলছে। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীর সংখ্যা বেড়েছে। এ ছাড়া মাদক মামলায় আটক ও কিশোর বন্দীদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তাদের নতুন কারাগারগুলোতে রাখা হবে।
‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারের পথে এক বিশাল অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তিনি মন্তব্য করেছেন, এই সনদ ২০২৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রক্রিয়াকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ সাত মাসের আলোচনায় কোথাও মতৈক্য এসেছে, আবার কোথাও থেকে গেছে মতানৈক্য। এসব মত-দ্বিমত, দোলাচলের মধ্যেই তৈরি হয় জুলাই জাতীয় সনদ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে সনদে স্বাক্ষর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল শেষ দিন পর্যন্ত।
১৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেসিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থী দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না। স্বাক্ষর শেষে রাজনৈতিক দল ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেওয়া জুলাই সনদে বিষয়টি উল্লেখ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
১৮ ঘণ্টা আগে