সাইফুল মাসুম, ঢাকা
দেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশে মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। ১৮ মাসে এই কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে থমকে আছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ। চলতি বছর প্রায় সাড়ে চার মাস পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়। তবে এখনো শুরু হয়নি পর্যটনের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ।
দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে ২৫ বছর মেয়াদি এই মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে বিদেশি সংস্থা আইপিই গ্লোবাল। তারা বলছে, পর্যটনশিল্পের জন্য বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ দরকার। এ ছাড়া অবকাঠামোসহ উন্নত যোগাযোগ ও সেবা দরকার, যা বাংলাদেশে নেই। এসব বিষয় পর্যটন মহাপরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মহাপরিকল্পনার প্রথম ধাপে রয়েছে সমীক্ষা। এতে পর্যটন এলাকার সমস্যা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে থাকছে স্ট্র্যাটেজি প্ল্যান বা কৌশলগত পরিকল্পনা। আর তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে স্ট্রাকচার বা অবকাঠামো ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা। সমীক্ষার পর সরকার দেশের পর্যটনশিল্পের নীতিমালা নির্ধারণ করবে। কীভাবে পরিকল্পনা করলে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করা সম্ভব হবে। এ জন্য নেপাল, থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার মাস্টার প্ল্যান অনুসরণ করা হচ্ছে।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৬৪ জেলায় সমীক্ষার কাজ শুরু করার কথা ছিল। খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় সমীক্ষার কাজ শুরু হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে থমকে যায়।
আজ সোমবার বিশ্ব পর্যটন দিবস। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তত্ত্বাবধানে ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। চলতি বছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য—‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন’।
কিন্তু বাংলাদেশের পর্যটনে প্রবৃদ্ধি কখনোই কাঙ্ক্ষিত ছিল না। প্রায় ৪৫ লাখ কর্মী থাকলেও জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। নেই পর্যাপ্ত সেবা ও সুযোগ-সুবিধা। বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এখনো হয়নি সঠিক পরিকল্পনা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিকভাবে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বর্তমানের দ্বিগুণ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। জিডিপির ১০ শতাংশ আসবে এই খাত থেকে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাবেদ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি বছর মহাপরিকল্পনার প্রথম ধাপের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে সবকিছু থেমে গেছে। এটি এখন আমাদের গলার ফাঁস।’
সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মাজাহারুল ইসলাম কচি। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনসহ সারা দেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে সরকার মাস্টার প্ল্যান করেছে বলে আমরা জেনেছি। কীভাবে এই মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হবে, আমাদের জানানো হয়নি।’
পর্যটনের মহাপরিকল্পনা যেনতেনভাবে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে চাচ্ছি, সেভাবে না করে সেকেন্ডারি ইনফরমেশন নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই ও জরিপ ছাড়াই পর্যটনের মহাপরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ জন্য বিদেশি পরামর্শকেরা নেবেন ৩৬ কোটি টাকা। পর্যটন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী, সাংবাদিক, স্থানীয় মানুষ, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা না বলে বিদেশে বসে যেনতেনভাবে তৈরি করা মহাপরিকল্পনা আমরা চাই না।’
এই মহাপরিকল্পনা দলের উপদলনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম নাজেম। ২০০৪ সালে মালদ্বীপে পর্যটন মহাপরিকল্পনার দলনেতা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে পর্যটনের সম্ভাবনাকে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। শীত মৌসুমে পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। বর্ষাসহ অন্য মৌসুমে ফাঁকা থাকে। সারা বছর সচল রাখার কৌশল আমাদের ভাবতে হবে।’
৬৪ জেলায় পর্যটন সাইট নির্বাচনের কথা ছিল জানিয়ে নাজেম বলেন, এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি কাজ হয়েছে। প্রথম ধাপ শেষ না করতে পারলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের কাজ করা যাবে না।
জানতে চাইলে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিদেশি পরামর্শকেরা আসতে পারেননি। তাই মহাপরিকল্পনার কাজও থেমে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজ শুরু হবে।
দেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশে মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। ১৮ মাসে এই কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে থমকে আছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ। চলতি বছর প্রায় সাড়ে চার মাস পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়। তবে এখনো শুরু হয়নি পর্যটনের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ।
দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে ২৫ বছর মেয়াদি এই মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে বিদেশি সংস্থা আইপিই গ্লোবাল। তারা বলছে, পর্যটনশিল্পের জন্য বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ দরকার। এ ছাড়া অবকাঠামোসহ উন্নত যোগাযোগ ও সেবা দরকার, যা বাংলাদেশে নেই। এসব বিষয় পর্যটন মহাপরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মহাপরিকল্পনার প্রথম ধাপে রয়েছে সমীক্ষা। এতে পর্যটন এলাকার সমস্যা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে থাকছে স্ট্র্যাটেজি প্ল্যান বা কৌশলগত পরিকল্পনা। আর তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে স্ট্রাকচার বা অবকাঠামো ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা। সমীক্ষার পর সরকার দেশের পর্যটনশিল্পের নীতিমালা নির্ধারণ করবে। কীভাবে পরিকল্পনা করলে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করা সম্ভব হবে। এ জন্য নেপাল, থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার মাস্টার প্ল্যান অনুসরণ করা হচ্ছে।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৬৪ জেলায় সমীক্ষার কাজ শুরু করার কথা ছিল। খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় সমীক্ষার কাজ শুরু হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে থমকে যায়।
আজ সোমবার বিশ্ব পর্যটন দিবস। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তত্ত্বাবধানে ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। চলতি বছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য—‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন’।
কিন্তু বাংলাদেশের পর্যটনে প্রবৃদ্ধি কখনোই কাঙ্ক্ষিত ছিল না। প্রায় ৪৫ লাখ কর্মী থাকলেও জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। নেই পর্যাপ্ত সেবা ও সুযোগ-সুবিধা। বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এখনো হয়নি সঠিক পরিকল্পনা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিকভাবে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বর্তমানের দ্বিগুণ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। জিডিপির ১০ শতাংশ আসবে এই খাত থেকে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাবেদ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি বছর মহাপরিকল্পনার প্রথম ধাপের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে সবকিছু থেমে গেছে। এটি এখন আমাদের গলার ফাঁস।’
সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মাজাহারুল ইসলাম কচি। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনসহ সারা দেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে সরকার মাস্টার প্ল্যান করেছে বলে আমরা জেনেছি। কীভাবে এই মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হবে, আমাদের জানানো হয়নি।’
পর্যটনের মহাপরিকল্পনা যেনতেনভাবে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে চাচ্ছি, সেভাবে না করে সেকেন্ডারি ইনফরমেশন নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই ও জরিপ ছাড়াই পর্যটনের মহাপরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ জন্য বিদেশি পরামর্শকেরা নেবেন ৩৬ কোটি টাকা। পর্যটন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী, সাংবাদিক, স্থানীয় মানুষ, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা না বলে বিদেশে বসে যেনতেনভাবে তৈরি করা মহাপরিকল্পনা আমরা চাই না।’
এই মহাপরিকল্পনা দলের উপদলনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম নাজেম। ২০০৪ সালে মালদ্বীপে পর্যটন মহাপরিকল্পনার দলনেতা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে পর্যটনের সম্ভাবনাকে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। শীত মৌসুমে পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। বর্ষাসহ অন্য মৌসুমে ফাঁকা থাকে। সারা বছর সচল রাখার কৌশল আমাদের ভাবতে হবে।’
৬৪ জেলায় পর্যটন সাইট নির্বাচনের কথা ছিল জানিয়ে নাজেম বলেন, এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি কাজ হয়েছে। প্রথম ধাপ শেষ না করতে পারলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের কাজ করা যাবে না।
জানতে চাইলে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিদেশি পরামর্শকেরা আসতে পারেননি। তাই মহাপরিকল্পনার কাজও থেমে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজ শুরু হবে।
মিয়ানমারকে করিডোর দেওয়ার খবরটি ‘চিলে কান নিয়ে যাওয়ার গল্প’ বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গতকাল শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগেকোরবানির ঈদ উপলক্ষে সীমান্তপথে কুরবানির পশুর চামড়া পাচারের আশঙ্কায় কড়া অবস্থান নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান ও দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি এবার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে চামড়া পাচার প্রতিরোধে।
২ ঘণ্টা আগেপবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
৫ ঘণ্টা আগেমুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি হলো ঈদুল আজহা। যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে এবারের ঈদ উদ্যাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশে এটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের আদর্শে উদ্ভাসিত করে আসছে।
৬ ঘণ্টা আগে