নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নবনির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৩৪ জনের ঋণ ও দেনা রয়েছে। মোট সংসদ সদস্যের হিসাব অনুযায়ী দেনায় থাকা সংসদ সদস্যদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ ভাগ। এর মধ্যে কোটি টাকার বেশি ঋণী আছেন ৭৫ জন। গত সংসদীয় নির্বাচনে এ ধরনের সংসদ সদস্যের সংখ্যা ছিল ৪৩ জন। শতাংশের হারে যা ছিল প্রায় ১৪ ভাগ। গতবারের তুলনায় এবার সংসদে ঋণগ্রস্ত সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩২ ভাগ।
আজ মঙ্গলবার সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
গত তিন মেয়াদে প্রতিবারই নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের এমন দশজন সংসদ সদস্যের বিপুল পরিমাণ সম্পদ বাড়ার তথ্য দিয়েছে সুজন। বিগত ১৫ বছরের সব থেকে বেশি সম্পদ বেড়েছে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই আলম চৌধুরী লিটনের। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৩ টাকা, যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫ টাকায়। সেই হিসাবে সম্পদ বাড়ার হার ৯৫৯৬ শতাংশ।
জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের ২০০৮ সালে সম্পদ ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৫ টাকা যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৯৫ কোটি ২০ লাখ ৮৪৩ টাকায়। তাঁর সম্পদ বৃদ্ধির হার ৯২৩৯ শতাংশ।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮০০ টাকার সম্পদ ছিল। তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। তাঁর সম্পদ বৃদ্ধির হার ৯২২৪ শতাংশ।
সংসদের আরেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাট-২ আসন থেকে এবারও নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১০ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৬২৬ টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ১৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
প্রথমবার অর্থাৎ ২০০৮ সালে যখন নাটোর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জুনাইদ আহমেদ পলক, তখন তাঁর সম্পদ ছিল ১১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৩ টাকা। পলক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
নওগাঁ-১ আসন থেকে ২০০৮ সালে যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, তখন তাঁর সম্পদ ছিল ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৯ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১০ কোটি ২৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৬০ টাকা।
ঢাকা-২ আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কামরুল ইসলাম। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ১২ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা, বর্তমানে তাঁর সম্পদ ৫ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪ টাকা।
২০০৮ সালে নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খানের সম্পদ ছিল ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩৫ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৭ টাকা।
দিনাজপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যখন ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন তখন তাঁর সম্পদ ছিল ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৮ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৮ টাকা।
সর্বশেষ সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ২০০৮ সালে যখন নির্বাচিত হন তখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৭ টাকা।
এসব তথ্য তুলে ধরে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘হলফনামায় সম্পদের যে তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে, তাতে সম্পদের প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। কেননা, অনেক প্রার্থীই সম্পদের মূল্য উল্লেখ না করায় আর্থিক মূল্যে সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয় না।’
এ ছাড়া এবার নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ২৯৯ জনের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। শতকরা হিসাবে সংসদ সদস্যদের ৬৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ ব্যবসায়ী। একাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ছিলেন ১৮৫ জন বা মোট সংসদ সদস্যের ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সব তথ্যের মূল ভিত্তি হলো প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করে না। হলফনামায় অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য আছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নবনির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৩৪ জনের ঋণ ও দেনা রয়েছে। মোট সংসদ সদস্যের হিসাব অনুযায়ী দেনায় থাকা সংসদ সদস্যদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ ভাগ। এর মধ্যে কোটি টাকার বেশি ঋণী আছেন ৭৫ জন। গত সংসদীয় নির্বাচনে এ ধরনের সংসদ সদস্যের সংখ্যা ছিল ৪৩ জন। শতাংশের হারে যা ছিল প্রায় ১৪ ভাগ। গতবারের তুলনায় এবার সংসদে ঋণগ্রস্ত সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩২ ভাগ।
আজ মঙ্গলবার সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
গত তিন মেয়াদে প্রতিবারই নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের এমন দশজন সংসদ সদস্যের বিপুল পরিমাণ সম্পদ বাড়ার তথ্য দিয়েছে সুজন। বিগত ১৫ বছরের সব থেকে বেশি সম্পদ বেড়েছে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই আলম চৌধুরী লিটনের। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৩ টাকা, যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫ টাকায়। সেই হিসাবে সম্পদ বাড়ার হার ৯৫৯৬ শতাংশ।
জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের ২০০৮ সালে সম্পদ ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৫ টাকা যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৯৫ কোটি ২০ লাখ ৮৪৩ টাকায়। তাঁর সম্পদ বৃদ্ধির হার ৯২৩৯ শতাংশ।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮০০ টাকার সম্পদ ছিল। তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। তাঁর সম্পদ বৃদ্ধির হার ৯২২৪ শতাংশ।
সংসদের আরেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাট-২ আসন থেকে এবারও নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১০ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৬২৬ টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ১৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
প্রথমবার অর্থাৎ ২০০৮ সালে যখন নাটোর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জুনাইদ আহমেদ পলক, তখন তাঁর সম্পদ ছিল ১১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৩ টাকা। পলক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
নওগাঁ-১ আসন থেকে ২০০৮ সালে যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, তখন তাঁর সম্পদ ছিল ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৯ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১০ কোটি ২৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৬০ টাকা।
ঢাকা-২ আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কামরুল ইসলাম। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ১২ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা, বর্তমানে তাঁর সম্পদ ৫ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪ টাকা।
২০০৮ সালে নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খানের সম্পদ ছিল ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩৫ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৭ টাকা।
দিনাজপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যখন ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন তখন তাঁর সম্পদ ছিল ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৮ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৮ টাকা।
সর্বশেষ সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ২০০৮ সালে যখন নির্বাচিত হন তখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৭ টাকা।
এসব তথ্য তুলে ধরে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘হলফনামায় সম্পদের যে তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে, তাতে সম্পদের প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। কেননা, অনেক প্রার্থীই সম্পদের মূল্য উল্লেখ না করায় আর্থিক মূল্যে সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয় না।’
এ ছাড়া এবার নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ২৯৯ জনের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। শতকরা হিসাবে সংসদ সদস্যদের ৬৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ ব্যবসায়ী। একাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ছিলেন ১৮৫ জন বা মোট সংসদ সদস্যের ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সব তথ্যের মূল ভিত্তি হলো প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করে না। হলফনামায় অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য আছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নবনির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৩৪ জনের ঋণ ও দেনা রয়েছে। মোট সংসদ সদস্যের হিসাব অনুযায়ী দেনায় থাকা সংসদ সদস্যদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ ভাগ। এর মধ্যে কোটি টাকার বেশি ঋণী আছেন ৭৫ জন। গত সংসদীয় নির্বাচনে এ ধরনের সংসদ সদস্যের সংখ্যা ছিল ৪৩ জন। শতাংশের হারে যা ছিল প্রায় ১৪ ভাগ। গতবারের তুলনায় এবার সংসদে ঋণগ্রস্ত সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩২ ভাগ।
আজ মঙ্গলবার সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
গত তিন মেয়াদে প্রতিবারই নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের এমন দশজন সংসদ সদস্যের বিপুল পরিমাণ সম্পদ বাড়ার তথ্য দিয়েছে সুজন। বিগত ১৫ বছরের সব থেকে বেশি সম্পদ বেড়েছে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই আলম চৌধুরী লিটনের। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৩ টাকা, যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫ টাকায়। সেই হিসাবে সম্পদ বাড়ার হার ৯৫৯৬ শতাংশ।
জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের ২০০৮ সালে সম্পদ ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৫ টাকা যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৯৫ কোটি ২০ লাখ ৮৪৩ টাকায়। তাঁর সম্পদ বৃদ্ধির হার ৯২৩৯ শতাংশ।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮০০ টাকার সম্পদ ছিল। তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। তাঁর সম্পদ বৃদ্ধির হার ৯২২৪ শতাংশ।
সংসদের আরেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাট-২ আসন থেকে এবারও নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১০ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৬২৬ টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ১৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
প্রথমবার অর্থাৎ ২০০৮ সালে যখন নাটোর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জুনাইদ আহমেদ পলক, তখন তাঁর সম্পদ ছিল ১১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৩ টাকা। পলক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
নওগাঁ-১ আসন থেকে ২০০৮ সালে যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, তখন তাঁর সম্পদ ছিল ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৯ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১০ কোটি ২৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৬০ টাকা।
ঢাকা-২ আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কামরুল ইসলাম। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ১২ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা, বর্তমানে তাঁর সম্পদ ৫ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪ টাকা।
২০০৮ সালে নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খানের সম্পদ ছিল ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩৫ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৭ টাকা।
দিনাজপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যখন ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন তখন তাঁর সম্পদ ছিল ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৮ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৮ টাকা।
সর্বশেষ সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ২০০৮ সালে যখন নির্বাচিত হন তখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৭ টাকা।
এসব তথ্য তুলে ধরে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘হলফনামায় সম্পদের যে তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে, তাতে সম্পদের প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। কেননা, অনেক প্রার্থীই সম্পদের মূল্য উল্লেখ না করায় আর্থিক মূল্যে সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয় না।’
এ ছাড়া এবার নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ২৯৯ জনের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। শতকরা হিসাবে সংসদ সদস্যদের ৬৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ ব্যবসায়ী। একাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ছিলেন ১৮৫ জন বা মোট সংসদ সদস্যের ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সব তথ্যের মূল ভিত্তি হলো প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করে না। হলফনামায় অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য আছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নবনির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৩৪ জনের ঋণ ও দেনা রয়েছে। মোট সংসদ সদস্যের হিসাব অনুযায়ী দেনায় থাকা সংসদ সদস্যদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ ভাগ। এর মধ্যে কোটি টাকার বেশি ঋণী আছেন ৭৫ জন। গত সংসদীয় নির্বাচনে এ ধরনের সংসদ সদস্যের সংখ্যা ছিল ৪৩ জন। শতাংশের হারে যা ছিল প্রায় ১৪ ভাগ। গতবারের তুলনায় এবার সংসদে ঋণগ্রস্ত সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩২ ভাগ।
আজ মঙ্গলবার সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
গত তিন মেয়াদে প্রতিবারই নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের এমন দশজন সংসদ সদস্যের বিপুল পরিমাণ সম্পদ বাড়ার তথ্য দিয়েছে সুজন। বিগত ১৫ বছরের সব থেকে বেশি সম্পদ বেড়েছে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই আলম চৌধুরী লিটনের। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৩ টাকা, যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫ টাকায়। সেই হিসাবে সম্পদ বাড়ার হার ৯৫৯৬ শতাংশ।
জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের ২০০৮ সালে সম্পদ ছিল ১ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০৫ টাকা যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৯৫ কোটি ২০ লাখ ৮৪৩ টাকায়। তাঁর সম্পদ বৃদ্ধির হার ৯২৩৯ শতাংশ।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা দিনাজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮০০ টাকার সম্পদ ছিল। তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। তাঁর সম্পদ বৃদ্ধির হার ৯২২৪ শতাংশ।
সংসদের আরেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাট-২ আসন থেকে এবারও নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১০ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৬২৬ টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ১৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
প্রথমবার অর্থাৎ ২০০৮ সালে যখন নাটোর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জুনাইদ আহমেদ পলক, তখন তাঁর সম্পদ ছিল ১১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৩ টাকা। পলক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
নওগাঁ-১ আসন থেকে ২০০৮ সালে যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, তখন তাঁর সম্পদ ছিল ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৯ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১০ কোটি ২৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৬০ টাকা।
ঢাকা-২ আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কামরুল ইসলাম। ২০০৮ সালে তাঁর সম্পদ ছিল ১২ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা, বর্তমানে তাঁর সম্পদ ৫ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪ টাকা।
২০০৮ সালে নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খানের সম্পদ ছিল ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩৫ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৭ টাকা।
দিনাজপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যখন ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন তখন তাঁর সম্পদ ছিল ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৮ টাকা। বর্তমানে তাঁর সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৮ টাকা।
সর্বশেষ সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ২০০৮ সালে যখন নির্বাচিত হন তখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৭ টাকা।
এসব তথ্য তুলে ধরে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘হলফনামায় সম্পদের যে তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে, তাতে সম্পদের প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। কেননা, অনেক প্রার্থীই সম্পদের মূল্য উল্লেখ না করায় আর্থিক মূল্যে সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয় না।’
এ ছাড়া এবার নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ২৯৯ জনের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। শতকরা হিসাবে সংসদ সদস্যদের ৬৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ ব্যবসায়ী। একাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ছিলেন ১৮৫ জন বা মোট সংসদ সদস্যের ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সব তথ্যের মূল ভিত্তি হলো প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করে না। হলফনামায় অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য আছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের...
১০ ঘণ্টা আগে
ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচনের জন্য একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। আমরা রমজান মাসের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই।’
১১ ঘণ্টা আগে
রক্তাক্ত জুলাই অভ্যুত্থানের পর পুরোনো ব্যবস্থা ভেঙে নতুন রূপে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন মানুষ। প্রত্যাশা ছিল, নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক বিভেদ ঘুচিয়ে সংস্কার সম্পন্ন হবে, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসবে দেশে।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় এ নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এনব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছে। আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে সে জন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজার নৌবাহিনীর সদস্য এবং কিছু বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
আজকের বৈঠকে আগামী ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিন বাহিনীর প্রধান।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় এ নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এনব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছে। আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে সে জন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজার নৌবাহিনীর সদস্য এবং কিছু বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
আজকের বৈঠকে আগামী ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিন বাহিনীর প্রধান।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নব নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যদের মধ্যে ১৩৪ জনের ঋণ ও দেনা রয়েছে। মোট সংসদ সদস্যের হিসেব অনুযায়ী দেনায় থাকা সংসদ সদস্যদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ ভাগ
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের...
১০ ঘণ্টা আগে
ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচনের জন্য একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। আমরা রমজান মাসের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই।’
১১ ঘণ্টা আগে
রক্তাক্ত জুলাই অভ্যুত্থানের পর পুরোনো ব্যবস্থা ভেঙে নতুন রূপে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন মানুষ। প্রত্যাশা ছিল, নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক বিভেদ ঘুচিয়ে সংস্কার সম্পন্ন হবে, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসবে দেশে।
১৯ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের সব সচিবের কাছে নতুন পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। পরিপত্রের অনুলিপি উপদেষ্টাদের একান্ত সচিবদেরও দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, লক্ষ করা যাচ্ছে, জারিকৃত পরিপত্রগুলোর নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করে বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একই সময়ে বৈদেশিক সফরে যাচ্ছেন। একই মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা একসঙ্গে বিদেশে যাচ্ছেন। এ ধরনের প্রস্তাব প্রায়ই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে, যা আগের নির্দেশনাগুলোর পরিপন্থী।
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত আগের সব নির্দেশনা প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘এখন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করার অনুরোধ করা হলো।’
আরও খবর পড়ুন:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের সব সচিবের কাছে নতুন পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। পরিপত্রের অনুলিপি উপদেষ্টাদের একান্ত সচিবদেরও দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, লক্ষ করা যাচ্ছে, জারিকৃত পরিপত্রগুলোর নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করে বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একই সময়ে বৈদেশিক সফরে যাচ্ছেন। একই মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা একসঙ্গে বিদেশে যাচ্ছেন। এ ধরনের প্রস্তাব প্রায়ই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে, যা আগের নির্দেশনাগুলোর পরিপন্থী।
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত আগের সব নির্দেশনা প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘এখন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করার অনুরোধ করা হলো।’
আরও খবর পড়ুন:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নব নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যদের মধ্যে ১৩৪ জনের ঋণ ও দেনা রয়েছে। মোট সংসদ সদস্যের হিসেব অনুযায়ী দেনায় থাকা সংসদ সদস্যদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ ভাগ
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ মিনিট আগে
ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচনের জন্য একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। আমরা রমজান মাসের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই।’
১১ ঘণ্টা আগে
রক্তাক্ত জুলাই অভ্যুত্থানের পর পুরোনো ব্যবস্থা ভেঙে নতুন রূপে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন মানুষ। প্রত্যাশা ছিল, নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক বিভেদ ঘুচিয়ে সংস্কার সম্পন্ন হবে, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসবে দেশে।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে এবং ভোট গ্রহণ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে। রমজান মাস শুরুর আগেই নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে কমিশন কাজ করছে বলে তিনি জানান।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার এই তথ্য জানান।
ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচনের জন্য একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। আমরা রমজান মাসের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গণভোটের দাবি প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘গণভোট নির্বাচনের আগে হবে না পরে হবে—এ বিষয়টি এখনো কমিশনের আলোচনায় আসেনি। সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কেও আমরা কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য পাইনি। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলে তা যথাসময়ে জানানো হবে।’
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। আমরা সেই সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।’
নির্বাচন কমিশনার আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চাই।’
নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচনী আচরণবিধি এবং নির্বাচনী প্রতীকের তালিকা ইতিমধ্যে হালনাগাদ করা হয়েছে।
ভোটারদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কমিশন কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়ে মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নভেম্বর মাস থেকে প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে। কারাবন্দী ভোটারদেরও ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
এ সময় অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী এবং স্থানীয় প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে নির্বাচন কমিশনার জেলার কুয়াকাটায় একটি কর্মশালায় যোগ দেন।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে এবং ভোট গ্রহণ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে। রমজান মাস শুরুর আগেই নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে কমিশন কাজ করছে বলে তিনি জানান।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার এই তথ্য জানান।
ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচনের জন্য একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। আমরা রমজান মাসের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গণভোটের দাবি প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘গণভোট নির্বাচনের আগে হবে না পরে হবে—এ বিষয়টি এখনো কমিশনের আলোচনায় আসেনি। সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কেও আমরা কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য পাইনি। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলে তা যথাসময়ে জানানো হবে।’
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। আমরা সেই সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।’
নির্বাচন কমিশনার আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চাই।’
নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচনী আচরণবিধি এবং নির্বাচনী প্রতীকের তালিকা ইতিমধ্যে হালনাগাদ করা হয়েছে।
ভোটারদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কমিশন কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়ে মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নভেম্বর মাস থেকে প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে। কারাবন্দী ভোটারদেরও ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
এ সময় অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী এবং স্থানীয় প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে নির্বাচন কমিশনার জেলার কুয়াকাটায় একটি কর্মশালায় যোগ দেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নব নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যদের মধ্যে ১৩৪ জনের ঋণ ও দেনা রয়েছে। মোট সংসদ সদস্যের হিসেব অনুযায়ী দেনায় থাকা সংসদ সদস্যদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ ভাগ
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের...
১০ ঘণ্টা আগে
রক্তাক্ত জুলাই অভ্যুত্থানের পর পুরোনো ব্যবস্থা ভেঙে নতুন রূপে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন মানুষ। প্রত্যাশা ছিল, নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক বিভেদ ঘুচিয়ে সংস্কার সম্পন্ন হবে, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসবে দেশে।
১৯ ঘণ্টা আগেঅর্চি হক ও আব্দুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা

রক্তাক্ত জুলাই অভ্যুত্থানের পর পুরোনো ব্যবস্থা ভেঙে নতুন রূপে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন মানুষ। প্রত্যাশা ছিল, নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক বিভেদ ঘুচিয়ে সংস্কার সম্পন্ন হবে, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসবে দেশে। কিন্তু জনপ্রত্যাশা পূরণের পথে না হেঁটে নানা বিষয়ে একে অপরের সঙ্গে বিবাদে জড়াচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটে দলগুলোর মধ্যে মতভেদ যেভাবে তীব্র হয়ে উঠেছে, তাতে জনমনে বিরক্তি-হতাশা ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
নাগরিকদের অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলো বক্তব্য-বিবৃতি ও কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে অনড় অবস্থান জানান দিচ্ছে, তাতে প্রকৃত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, দলগুলোকে জনগণের কাছে ফিরে গিয়ে আস্থার জায়গা পুনর্গঠন করার এখনই উত্তম সময়। যেভাবেই হোক, দেশ ও জাতির স্বার্থে সমঝোতার ভিত্তিতে সংকটের অবসান ঘটাতে হবে।
নূরে আজম নামের একজন চাকরিজীবী বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয় কখন স্বাভাবিক হবে, তা অনেকাংশে নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু একেক দল একেক মত নিয়ে এখন অনড় অবস্থানে রয়েছে। এতে নির্বাচন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছে। জুলাই সনদে স্বাক্ষরের পরও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন মতানৈক্য সাধারণ মানুষকে দ্বিধার মধ্যে ফেলেছে, অনেকেই এতে বিরক্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহদিয়াব হোসেন দিহান বলেন, ‘অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ছাত্র-জনতা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল, সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন নিয়ে এখন সংশয় বিরাজ করছে—এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল সুশাসন, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, রাজনৈতিক বিভাজন ও বিশৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা এবং নিরাপত্তা সংকটের মধ্য দিয়ে আমরা সময় অতিক্রম করছি।’
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা বেড়েছে অনেক গুণ। কিন্তু সে তৎপরতার কেন্দ্রে জনগণের স্বার্থ কতটা আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দলগুলো নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে যে যার মতো সভা-সমাবেশ ও মিছিল-মিটিং করছে; কিন্তু কোনো পক্ষই এখনো দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখা স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পরে এসে প্রত্যাশার বিপরীতে বাস্তবতা মিলিয়ে মানুষ অনেকটাই দিশেহারা।
জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন-প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই নানা বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ চলে আসছে। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সনদ চূড়ান্ত হয়েছে, তাতে স্বাক্ষরও করেছে সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল। কিন্তু এখন নতুন গন্ডগোল বেধেছে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও গণভোট নিয়ে। জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সমমনা দলগুলো নভেম্বরেই জুলাই সনদের ওপর গণভোট চায়। দ্রুত সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির দাবিও করেছে দলগুলো। গতকাল শুক্রবারও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় এক সমাবেশে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নভেম্বরে গণভোট দিয়েই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।
তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গণভোট নভেম্বরেই হতে হবে এমন দাবি না করলেও তারাও চায় জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হোক। দলটির বড় চাওয়া প্রধান উপদেষ্টার আদেশেই জুলাই সনদের বাস্তবায়ন। অন্যদিকে বিএনপি বলেছে, আদেশ জারির এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। আর জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোটের পক্ষে দলটি। এ ছাড়া সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া কিছু সুপারিশ নিয়েও তীব্র আপত্তি জানিয়েছে দলটি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে গেছে, গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশ ও জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
তবে সরকারসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপদেষ্টা পরিষদের অধিকাংশ সদস্য একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের পক্ষে। তবে কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশ অনুযায়ী বাস্তবায়ন আদেশ দেবে সরকার।
গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্যের বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি মানুষের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করছে। কারণ, এ ধরনের মতানৈক্যের ফলে নির্বাচন অনুষ্ঠান বিঘ্নিত হবে কি না, এমন আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষ আশা করছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু এ ধরনের মতানৈক্য থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে সম্ভব, সে প্রশ্ন উঠছে মানুষের মনে। এটি রাজনৈতিক সংকটের আলামত।
এমন পরিস্থিতি উত্তরণের উপায় কী, জানতে চাইলে এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, দলগুলোকে ঐক্যের জায়গায় পৌঁছাতে হবে। না হয় রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একধরনের সংকট সৃষ্টি হতে পারে। দেশের স্বার্থে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জুলাই-উত্তর সময়ে বাংলাদেশ একটা রাজনৈতিক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখানে খানিকটা টেনশন হতে পারে। তবে এই টেনশনের মধ্যেও আমি মনে করি, একটা বিষয়ে সবাই একমত আছে—সেটা হলো একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে, সবাই যাতে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে রকম একটা নির্বাচন। আরও একটা জায়গায় সহমত আছে, তা হলো জুলাই সনদ। দ্বিমত যেটা দেখা যাচ্ছে, সেটি সনদ বাস্তবায়নের পথ নিয়ে। আমার ধারণা, এখনো আলাপ-আলোচনার সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো বসে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটা পদ্ধতি নিয়ে যদি একমত হতে পারে, তাহলে এই সাময়িক যে উত্তেজনা, বিভাজন থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে আমি মনে করি।’
জুলাই সনদ নিয়ে যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য ঐকমত্য কমিশনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব ছিল বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন। আমরা দেখলাম, ঐকমত্য কমিশন গঠন হলো; কিন্তু সেখানেও বিভেদ। পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আমলেই নেওয়া হলো না। যার নেতৃত্বে এই কমিশনটা চলছে, তার সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কমিশনে নারীদের একেবারেই উপেক্ষিত রাখা হয়েছে।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনই উত্তরণের পথ বলে জানান শিরীন হক। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সব ব্যাপারে ঐকমত্য হবে, তা আশা করা উচিত না। দলগুলোর নিজ নিজ আদর্শ আছে, মতাদর্শ আছে, দাবি-দাওয়া আছে, সেখানে তো পার্থক্য থাকবেই। কিন্তু মানুষ একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং শিগগিরই চায়। তাই সরকারের উচিত, নির্বাচনটা কীভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুন্দরভাবে হতে পারে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া।

রক্তাক্ত জুলাই অভ্যুত্থানের পর পুরোনো ব্যবস্থা ভেঙে নতুন রূপে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন মানুষ। প্রত্যাশা ছিল, নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক বিভেদ ঘুচিয়ে সংস্কার সম্পন্ন হবে, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসবে দেশে। কিন্তু জনপ্রত্যাশা পূরণের পথে না হেঁটে নানা বিষয়ে একে অপরের সঙ্গে বিবাদে জড়াচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটে দলগুলোর মধ্যে মতভেদ যেভাবে তীব্র হয়ে উঠেছে, তাতে জনমনে বিরক্তি-হতাশা ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
নাগরিকদের অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলো বক্তব্য-বিবৃতি ও কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে অনড় অবস্থান জানান দিচ্ছে, তাতে প্রকৃত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, দলগুলোকে জনগণের কাছে ফিরে গিয়ে আস্থার জায়গা পুনর্গঠন করার এখনই উত্তম সময়। যেভাবেই হোক, দেশ ও জাতির স্বার্থে সমঝোতার ভিত্তিতে সংকটের অবসান ঘটাতে হবে।
নূরে আজম নামের একজন চাকরিজীবী বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয় কখন স্বাভাবিক হবে, তা অনেকাংশে নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু একেক দল একেক মত নিয়ে এখন অনড় অবস্থানে রয়েছে। এতে নির্বাচন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছে। জুলাই সনদে স্বাক্ষরের পরও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন মতানৈক্য সাধারণ মানুষকে দ্বিধার মধ্যে ফেলেছে, অনেকেই এতে বিরক্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহদিয়াব হোসেন দিহান বলেন, ‘অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ছাত্র-জনতা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল, সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন নিয়ে এখন সংশয় বিরাজ করছে—এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল সুশাসন, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, রাজনৈতিক বিভাজন ও বিশৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা এবং নিরাপত্তা সংকটের মধ্য দিয়ে আমরা সময় অতিক্রম করছি।’
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা বেড়েছে অনেক গুণ। কিন্তু সে তৎপরতার কেন্দ্রে জনগণের স্বার্থ কতটা আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দলগুলো নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে যে যার মতো সভা-সমাবেশ ও মিছিল-মিটিং করছে; কিন্তু কোনো পক্ষই এখনো দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখা স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পরে এসে প্রত্যাশার বিপরীতে বাস্তবতা মিলিয়ে মানুষ অনেকটাই দিশেহারা।
জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন-প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই নানা বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ চলে আসছে। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সনদ চূড়ান্ত হয়েছে, তাতে স্বাক্ষরও করেছে সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল। কিন্তু এখন নতুন গন্ডগোল বেধেছে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও গণভোট নিয়ে। জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সমমনা দলগুলো নভেম্বরেই জুলাই সনদের ওপর গণভোট চায়। দ্রুত সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির দাবিও করেছে দলগুলো। গতকাল শুক্রবারও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় এক সমাবেশে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নভেম্বরে গণভোট দিয়েই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।
তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গণভোট নভেম্বরেই হতে হবে এমন দাবি না করলেও তারাও চায় জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হোক। দলটির বড় চাওয়া প্রধান উপদেষ্টার আদেশেই জুলাই সনদের বাস্তবায়ন। অন্যদিকে বিএনপি বলেছে, আদেশ জারির এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। আর জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোটের পক্ষে দলটি। এ ছাড়া সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া কিছু সুপারিশ নিয়েও তীব্র আপত্তি জানিয়েছে দলটি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে গেছে, গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশ ও জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
তবে সরকারসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপদেষ্টা পরিষদের অধিকাংশ সদস্য একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের পক্ষে। তবে কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশ অনুযায়ী বাস্তবায়ন আদেশ দেবে সরকার।
গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্যের বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি মানুষের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করছে। কারণ, এ ধরনের মতানৈক্যের ফলে নির্বাচন অনুষ্ঠান বিঘ্নিত হবে কি না, এমন আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষ আশা করছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু এ ধরনের মতানৈক্য থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে সম্ভব, সে প্রশ্ন উঠছে মানুষের মনে। এটি রাজনৈতিক সংকটের আলামত।
এমন পরিস্থিতি উত্তরণের উপায় কী, জানতে চাইলে এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, দলগুলোকে ঐক্যের জায়গায় পৌঁছাতে হবে। না হয় রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একধরনের সংকট সৃষ্টি হতে পারে। দেশের স্বার্থে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জুলাই-উত্তর সময়ে বাংলাদেশ একটা রাজনৈতিক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখানে খানিকটা টেনশন হতে পারে। তবে এই টেনশনের মধ্যেও আমি মনে করি, একটা বিষয়ে সবাই একমত আছে—সেটা হলো একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে, সবাই যাতে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে রকম একটা নির্বাচন। আরও একটা জায়গায় সহমত আছে, তা হলো জুলাই সনদ। দ্বিমত যেটা দেখা যাচ্ছে, সেটি সনদ বাস্তবায়নের পথ নিয়ে। আমার ধারণা, এখনো আলাপ-আলোচনার সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো বসে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটা পদ্ধতি নিয়ে যদি একমত হতে পারে, তাহলে এই সাময়িক যে উত্তেজনা, বিভাজন থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে আমি মনে করি।’
জুলাই সনদ নিয়ে যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য ঐকমত্য কমিশনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব ছিল বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন। আমরা দেখলাম, ঐকমত্য কমিশন গঠন হলো; কিন্তু সেখানেও বিভেদ। পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আমলেই নেওয়া হলো না। যার নেতৃত্বে এই কমিশনটা চলছে, তার সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কমিশনে নারীদের একেবারেই উপেক্ষিত রাখা হয়েছে।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনই উত্তরণের পথ বলে জানান শিরীন হক। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সব ব্যাপারে ঐকমত্য হবে, তা আশা করা উচিত না। দলগুলোর নিজ নিজ আদর্শ আছে, মতাদর্শ আছে, দাবি-দাওয়া আছে, সেখানে তো পার্থক্য থাকবেই। কিন্তু মানুষ একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং শিগগিরই চায়। তাই সরকারের উচিত, নির্বাচনটা কীভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুন্দরভাবে হতে পারে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নব নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যদের মধ্যে ১৩৪ জনের ঋণ ও দেনা রয়েছে। মোট সংসদ সদস্যের হিসেব অনুযায়ী দেনায় থাকা সংসদ সদস্যদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ ভাগ
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের...
১০ ঘণ্টা আগে
ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচনের জন্য একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। আমরা রমজান মাসের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই।’
১১ ঘণ্টা আগে