আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রসব-পরবর্তী সেবা বা পোস্ট-নেটাল কেয়ার (পিএনসি) গ্রহণ করছেন না ৪৭ শতাংশ প্রসূতি। এতে শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। কারণ, নবজাতক ও প্রসূতির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে এবং মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমাতে প্রসব-পূর্ববর্তী সেবা বা অ্যান্টি-নেটাল কেয়ার (এএনসি) এবং পিএনসি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসব-পরবর্তী সেবা ও প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা বৃদ্ধিতে বহুদেশীয় গবেষণামূলক প্রকল্প ‘সংযোগ’-এর বিষয়ে আয়োজিত সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এই সম্মেলনের আয়োজন করে সেভ দ্য চিলড্রেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আয়োজকেরা জানান, প্রথম যাঁরা মা-বাবা হয়েছেন বা হতে যাচ্ছেন, এমন দম্পতিদের মানসম্পন্ন প্রসব-পরবর্তী সেবা ও প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘সংযোগ’ প্রকল্প কাজ করছে। ইতিমধ্যে নোয়াখালী ও মাদারীপুরের আট উপজেলায় কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গবেষণা শেষ হয়েছে।
‘ক্যান লাইট-টার্চ এনহেন্সমেন্ট ইম্প্রুভ পোস্টপারটাম ফ্যামিলি প্ল্যানিং ইউজ অ্যামং ফার্স্ট টাইম মাদার্স’ শিরোনামের গবেষণায় প্রথমবারের মতো মা হওয়াদের (এফটিএম) ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
গবেষণায় উঠে এসেছে, ৪৩ শতাংশ মা সন্তান ধারণ করছেন ১৮ বছর বয়সে। ৩১ শতাংশ নারীর (১৫ থেকে ১৯ বছর) দুই সন্তানের মধ্যে ব্যবধান ১৭ মাস। প্রসূতিদের ৪৭ শতাংশ প্রসব-পরবর্তী সেবা গ্রহণ করছেন না।
মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তান প্রসবের পর মা ও শিশুর শরীর দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। এ সময় সঠিক যত্ন ও কিছু নিয়ম মেনে চললে জটিলতা এড়ানো যায়। প্রসবের পরপরই মায়ের এবং নবজাতক শিশুর যত্ন নেওয়া, প্রসবের পর ছয় সপ্তাহ (৪২ দিন) পর্যন্ত মা ও শিশুর অবস্থা ফলোআপ করাকে প্রসব-পরবর্তী সেবা বলা হয়। প্রসবের পর মায়ের জরায়ু ও অন্যান্য প্রজনন অঙ্গ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সাধারণত ছয় সপ্তাহ সময় লাগে।
গবেষণায় দেখানো হয়, প্রথমবার সন্তান ধারণকারী ৫১ শতাংশ প্রসূতি পরিবারকল্যাণ সহকারীর (এফডব্লিউএ) সেবা পেয়েছেন। প্রতি প্রসূতি গড়ে এফডব্লিউএর সাক্ষাৎ পেয়েছেন গড়ে ৪ দশমিক ৫ বার। পিএনসি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ প্রসূতি (এফটিএম) নবজাতকের জন্য এফডব্লিউএর সাক্ষাৎ নিয়েছেন। নবজাতকের জন্মের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়েছেন মাত্র ১৫ শতাংশ প্রসূতি। উঠান বৈঠক ও লিফলেট গ্রহণের ক্ষেত্রেও হার খুব কম দেখা গেছে।
সংযোগ প্রকল্প সম্পর্কে বলা হয়, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল কনট্রাসেপটিভ সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রামকে (সিসিএসডিপি) কারিগরি সহযোগিতা করছে। মূলত প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা (পিপিএফপি) কেমন হওয়া উচিত এবং ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রথম সন্তান ধারণকারীদের পিএনসির বিষয়ে কাজ করছে তারা।
সম্মেলনে ‘ব্যারিয়ার অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেটর অ্যানালাইসিস’ শিরোনামের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড চাইল্ড হেলথের (আরসিএইচ) উপপরিচালক ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী বিজ্ঞানী বিধান কৃষ্ণ সরকার উপস্থাপন করেন পিএনসি ও রিয়েলিস্ট ইভালুয়েশন নিয়ে দুটি প্রবন্ধ।
সম্মেলনে গবেষকেরা বেশ কয়েকটি পরামর্শ তুলে ধরেন। এগুলোর মধ্যে মাঠপর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনার কর্মী সংকট নিরসন, এএনসি গ্রহণের সময় পিএনসি গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করা, প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে সচেতন করতে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রসূতির পরিবারের সদস্য যেমন শাশুড়ি, স্বামী, বাবাকে পিএনসির বিষয়ে সচেতন করার মতো কার্যক্রমকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথি ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক (আইইএম) মো. তসলিম উদ্দিন খান, পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর (পরিকল্পনা) সাবিনা পারভীন, পরিচালক (অর্থ) মো. এনামুল হক, পরিচালক (প্রশাসন) মীর সাজেদুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি অ্যান্ড এএইচ) ডা. এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সিসিএসডিপি) ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
প্রসব-পরবর্তী সেবা বা পোস্ট-নেটাল কেয়ার (পিএনসি) গ্রহণ করছেন না ৪৭ শতাংশ প্রসূতি। এতে শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। কারণ, নবজাতক ও প্রসূতির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে এবং মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমাতে প্রসব-পূর্ববর্তী সেবা বা অ্যান্টি-নেটাল কেয়ার (এএনসি) এবং পিএনসি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসব-পরবর্তী সেবা ও প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা বৃদ্ধিতে বহুদেশীয় গবেষণামূলক প্রকল্প ‘সংযোগ’-এর বিষয়ে আয়োজিত সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এই সম্মেলনের আয়োজন করে সেভ দ্য চিলড্রেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আয়োজকেরা জানান, প্রথম যাঁরা মা-বাবা হয়েছেন বা হতে যাচ্ছেন, এমন দম্পতিদের মানসম্পন্ন প্রসব-পরবর্তী সেবা ও প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘সংযোগ’ প্রকল্প কাজ করছে। ইতিমধ্যে নোয়াখালী ও মাদারীপুরের আট উপজেলায় কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গবেষণা শেষ হয়েছে।
‘ক্যান লাইট-টার্চ এনহেন্সমেন্ট ইম্প্রুভ পোস্টপারটাম ফ্যামিলি প্ল্যানিং ইউজ অ্যামং ফার্স্ট টাইম মাদার্স’ শিরোনামের গবেষণায় প্রথমবারের মতো মা হওয়াদের (এফটিএম) ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
গবেষণায় উঠে এসেছে, ৪৩ শতাংশ মা সন্তান ধারণ করছেন ১৮ বছর বয়সে। ৩১ শতাংশ নারীর (১৫ থেকে ১৯ বছর) দুই সন্তানের মধ্যে ব্যবধান ১৭ মাস। প্রসূতিদের ৪৭ শতাংশ প্রসব-পরবর্তী সেবা গ্রহণ করছেন না।
মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তান প্রসবের পর মা ও শিশুর শরীর দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। এ সময় সঠিক যত্ন ও কিছু নিয়ম মেনে চললে জটিলতা এড়ানো যায়। প্রসবের পরপরই মায়ের এবং নবজাতক শিশুর যত্ন নেওয়া, প্রসবের পর ছয় সপ্তাহ (৪২ দিন) পর্যন্ত মা ও শিশুর অবস্থা ফলোআপ করাকে প্রসব-পরবর্তী সেবা বলা হয়। প্রসবের পর মায়ের জরায়ু ও অন্যান্য প্রজনন অঙ্গ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সাধারণত ছয় সপ্তাহ সময় লাগে।
গবেষণায় দেখানো হয়, প্রথমবার সন্তান ধারণকারী ৫১ শতাংশ প্রসূতি পরিবারকল্যাণ সহকারীর (এফডব্লিউএ) সেবা পেয়েছেন। প্রতি প্রসূতি গড়ে এফডব্লিউএর সাক্ষাৎ পেয়েছেন গড়ে ৪ দশমিক ৫ বার। পিএনসি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ প্রসূতি (এফটিএম) নবজাতকের জন্য এফডব্লিউএর সাক্ষাৎ নিয়েছেন। নবজাতকের জন্মের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়েছেন মাত্র ১৫ শতাংশ প্রসূতি। উঠান বৈঠক ও লিফলেট গ্রহণের ক্ষেত্রেও হার খুব কম দেখা গেছে।
সংযোগ প্রকল্প সম্পর্কে বলা হয়, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল কনট্রাসেপটিভ সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রামকে (সিসিএসডিপি) কারিগরি সহযোগিতা করছে। মূলত প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা (পিপিএফপি) কেমন হওয়া উচিত এবং ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রথম সন্তান ধারণকারীদের পিএনসির বিষয়ে কাজ করছে তারা।
সম্মেলনে ‘ব্যারিয়ার অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেটর অ্যানালাইসিস’ শিরোনামের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড চাইল্ড হেলথের (আরসিএইচ) উপপরিচালক ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী বিজ্ঞানী বিধান কৃষ্ণ সরকার উপস্থাপন করেন পিএনসি ও রিয়েলিস্ট ইভালুয়েশন নিয়ে দুটি প্রবন্ধ।
সম্মেলনে গবেষকেরা বেশ কয়েকটি পরামর্শ তুলে ধরেন। এগুলোর মধ্যে মাঠপর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনার কর্মী সংকট নিরসন, এএনসি গ্রহণের সময় পিএনসি গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করা, প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে সচেতন করতে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রসূতির পরিবারের সদস্য যেমন শাশুড়ি, স্বামী, বাবাকে পিএনসির বিষয়ে সচেতন করার মতো কার্যক্রমকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথি ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক (আইইএম) মো. তসলিম উদ্দিন খান, পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর (পরিকল্পনা) সাবিনা পারভীন, পরিচালক (অর্থ) মো. এনামুল হক, পরিচালক (প্রশাসন) মীর সাজেদুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি অ্যান্ড এএইচ) ডা. এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সিসিএসডিপি) ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রসব-পরবর্তী সেবা বা পোস্ট-নেটাল কেয়ার (পিএনসি) গ্রহণ করছেন না ৪৭ শতাংশ প্রসূতি। এতে শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। কারণ, নবজাতক ও প্রসূতির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে এবং মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমাতে প্রসব-পূর্ববর্তী সেবা বা অ্যান্টি-নেটাল কেয়ার (এএনসি) এবং পিএনসি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসব-পরবর্তী সেবা ও প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা বৃদ্ধিতে বহুদেশীয় গবেষণামূলক প্রকল্প ‘সংযোগ’-এর বিষয়ে আয়োজিত সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এই সম্মেলনের আয়োজন করে সেভ দ্য চিলড্রেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আয়োজকেরা জানান, প্রথম যাঁরা মা-বাবা হয়েছেন বা হতে যাচ্ছেন, এমন দম্পতিদের মানসম্পন্ন প্রসব-পরবর্তী সেবা ও প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘সংযোগ’ প্রকল্প কাজ করছে। ইতিমধ্যে নোয়াখালী ও মাদারীপুরের আট উপজেলায় কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গবেষণা শেষ হয়েছে।
‘ক্যান লাইট-টার্চ এনহেন্সমেন্ট ইম্প্রুভ পোস্টপারটাম ফ্যামিলি প্ল্যানিং ইউজ অ্যামং ফার্স্ট টাইম মাদার্স’ শিরোনামের গবেষণায় প্রথমবারের মতো মা হওয়াদের (এফটিএম) ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
গবেষণায় উঠে এসেছে, ৪৩ শতাংশ মা সন্তান ধারণ করছেন ১৮ বছর বয়সে। ৩১ শতাংশ নারীর (১৫ থেকে ১৯ বছর) দুই সন্তানের মধ্যে ব্যবধান ১৭ মাস। প্রসূতিদের ৪৭ শতাংশ প্রসব-পরবর্তী সেবা গ্রহণ করছেন না।
মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তান প্রসবের পর মা ও শিশুর শরীর দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। এ সময় সঠিক যত্ন ও কিছু নিয়ম মেনে চললে জটিলতা এড়ানো যায়। প্রসবের পরপরই মায়ের এবং নবজাতক শিশুর যত্ন নেওয়া, প্রসবের পর ছয় সপ্তাহ (৪২ দিন) পর্যন্ত মা ও শিশুর অবস্থা ফলোআপ করাকে প্রসব-পরবর্তী সেবা বলা হয়। প্রসবের পর মায়ের জরায়ু ও অন্যান্য প্রজনন অঙ্গ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সাধারণত ছয় সপ্তাহ সময় লাগে।
গবেষণায় দেখানো হয়, প্রথমবার সন্তান ধারণকারী ৫১ শতাংশ প্রসূতি পরিবারকল্যাণ সহকারীর (এফডব্লিউএ) সেবা পেয়েছেন। প্রতি প্রসূতি গড়ে এফডব্লিউএর সাক্ষাৎ পেয়েছেন গড়ে ৪ দশমিক ৫ বার। পিএনসি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ প্রসূতি (এফটিএম) নবজাতকের জন্য এফডব্লিউএর সাক্ষাৎ নিয়েছেন। নবজাতকের জন্মের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়েছেন মাত্র ১৫ শতাংশ প্রসূতি। উঠান বৈঠক ও লিফলেট গ্রহণের ক্ষেত্রেও হার খুব কম দেখা গেছে।
সংযোগ প্রকল্প সম্পর্কে বলা হয়, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল কনট্রাসেপটিভ সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রামকে (সিসিএসডিপি) কারিগরি সহযোগিতা করছে। মূলত প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা (পিপিএফপি) কেমন হওয়া উচিত এবং ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রথম সন্তান ধারণকারীদের পিএনসির বিষয়ে কাজ করছে তারা।
সম্মেলনে ‘ব্যারিয়ার অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেটর অ্যানালাইসিস’ শিরোনামের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড চাইল্ড হেলথের (আরসিএইচ) উপপরিচালক ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী বিজ্ঞানী বিধান কৃষ্ণ সরকার উপস্থাপন করেন পিএনসি ও রিয়েলিস্ট ইভালুয়েশন নিয়ে দুটি প্রবন্ধ।
সম্মেলনে গবেষকেরা বেশ কয়েকটি পরামর্শ তুলে ধরেন। এগুলোর মধ্যে মাঠপর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনার কর্মী সংকট নিরসন, এএনসি গ্রহণের সময় পিএনসি গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করা, প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে সচেতন করতে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রসূতির পরিবারের সদস্য যেমন শাশুড়ি, স্বামী, বাবাকে পিএনসির বিষয়ে সচেতন করার মতো কার্যক্রমকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথি ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক (আইইএম) মো. তসলিম উদ্দিন খান, পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর (পরিকল্পনা) সাবিনা পারভীন, পরিচালক (অর্থ) মো. এনামুল হক, পরিচালক (প্রশাসন) মীর সাজেদুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি অ্যান্ড এএইচ) ডা. এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সিসিএসডিপি) ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
প্রসব-পরবর্তী সেবা বা পোস্ট-নেটাল কেয়ার (পিএনসি) গ্রহণ করছেন না ৪৭ শতাংশ প্রসূতি। এতে শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। কারণ, নবজাতক ও প্রসূতির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে এবং মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমাতে প্রসব-পূর্ববর্তী সেবা বা অ্যান্টি-নেটাল কেয়ার (এএনসি) এবং পিএনসি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসব-পরবর্তী সেবা ও প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা বৃদ্ধিতে বহুদেশীয় গবেষণামূলক প্রকল্প ‘সংযোগ’-এর বিষয়ে আয়োজিত সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এই সম্মেলনের আয়োজন করে সেভ দ্য চিলড্রেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আয়োজকেরা জানান, প্রথম যাঁরা মা-বাবা হয়েছেন বা হতে যাচ্ছেন, এমন দম্পতিদের মানসম্পন্ন প্রসব-পরবর্তী সেবা ও প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘সংযোগ’ প্রকল্প কাজ করছে। ইতিমধ্যে নোয়াখালী ও মাদারীপুরের আট উপজেলায় কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গবেষণা শেষ হয়েছে।
‘ক্যান লাইট-টার্চ এনহেন্সমেন্ট ইম্প্রুভ পোস্টপারটাম ফ্যামিলি প্ল্যানিং ইউজ অ্যামং ফার্স্ট টাইম মাদার্স’ শিরোনামের গবেষণায় প্রথমবারের মতো মা হওয়াদের (এফটিএম) ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
গবেষণায় উঠে এসেছে, ৪৩ শতাংশ মা সন্তান ধারণ করছেন ১৮ বছর বয়সে। ৩১ শতাংশ নারীর (১৫ থেকে ১৯ বছর) দুই সন্তানের মধ্যে ব্যবধান ১৭ মাস। প্রসূতিদের ৪৭ শতাংশ প্রসব-পরবর্তী সেবা গ্রহণ করছেন না।
মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তান প্রসবের পর মা ও শিশুর শরীর দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। এ সময় সঠিক যত্ন ও কিছু নিয়ম মেনে চললে জটিলতা এড়ানো যায়। প্রসবের পরপরই মায়ের এবং নবজাতক শিশুর যত্ন নেওয়া, প্রসবের পর ছয় সপ্তাহ (৪২ দিন) পর্যন্ত মা ও শিশুর অবস্থা ফলোআপ করাকে প্রসব-পরবর্তী সেবা বলা হয়। প্রসবের পর মায়ের জরায়ু ও অন্যান্য প্রজনন অঙ্গ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সাধারণত ছয় সপ্তাহ সময় লাগে।
গবেষণায় দেখানো হয়, প্রথমবার সন্তান ধারণকারী ৫১ শতাংশ প্রসূতি পরিবারকল্যাণ সহকারীর (এফডব্লিউএ) সেবা পেয়েছেন। প্রতি প্রসূতি গড়ে এফডব্লিউএর সাক্ষাৎ পেয়েছেন গড়ে ৪ দশমিক ৫ বার। পিএনসি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ প্রসূতি (এফটিএম) নবজাতকের জন্য এফডব্লিউএর সাক্ষাৎ নিয়েছেন। নবজাতকের জন্মের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়েছেন মাত্র ১৫ শতাংশ প্রসূতি। উঠান বৈঠক ও লিফলেট গ্রহণের ক্ষেত্রেও হার খুব কম দেখা গেছে।
সংযোগ প্রকল্প সম্পর্কে বলা হয়, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল কনট্রাসেপটিভ সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রামকে (সিসিএসডিপি) কারিগরি সহযোগিতা করছে। মূলত প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা (পিপিএফপি) কেমন হওয়া উচিত এবং ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রথম সন্তান ধারণকারীদের পিএনসির বিষয়ে কাজ করছে তারা।
সম্মেলনে ‘ব্যারিয়ার অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেটর অ্যানালাইসিস’ শিরোনামের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড চাইল্ড হেলথের (আরসিএইচ) উপপরিচালক ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী বিজ্ঞানী বিধান কৃষ্ণ সরকার উপস্থাপন করেন পিএনসি ও রিয়েলিস্ট ইভালুয়েশন নিয়ে দুটি প্রবন্ধ।
সম্মেলনে গবেষকেরা বেশ কয়েকটি পরামর্শ তুলে ধরেন। এগুলোর মধ্যে মাঠপর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনার কর্মী সংকট নিরসন, এএনসি গ্রহণের সময় পিএনসি গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করা, প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে সচেতন করতে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রসূতির পরিবারের সদস্য যেমন শাশুড়ি, স্বামী, বাবাকে পিএনসির বিষয়ে সচেতন করার মতো কার্যক্রমকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথি ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক (আইইএম) মো. তসলিম উদ্দিন খান, পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর (পরিকল্পনা) সাবিনা পারভীন, পরিচালক (অর্থ) মো. এনামুল হক, পরিচালক (প্রশাসন) মীর সাজেদুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি অ্যান্ড এএইচ) ডা. এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সিসিএসডিপি) ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ পেতে নানা হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়েন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুই পান না। এই জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যাতে চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণ পান, সে ব্যাপারে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না, আমি জানি না। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশ
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের সব উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এ ধরনের আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
চিঠিতে সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা, যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা বিপর্যয় এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সব বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের সব উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এ ধরনের আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
চিঠিতে সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা, যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা বিপর্যয় এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সব বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
প্রসব-পরবর্তী সেবা বা পোস্ট-নেটাল কেয়ার (পিএনসি) গ্রহণ করছেন না ৪৭ শতাংশ প্রসূতি। এতে শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। কারণ, নবজাতক ও প্রসূতির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে এবং মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমাতে প্রসব-পূর্ববর্তী সেবা বা অ্যান্টি-নেটাল কেয়ার (এএনসি) এবং পিএনসি গুরুত্বপূর্ণ।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ পেতে নানা হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়েন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুই পান না। এই জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যাতে চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণ পান, সে ব্যাপারে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না, আমি জানি না। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশ
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ পেতে নানা হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়েন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুই পান না। এই জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যাতে চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণ পান, সে ব্যাপারে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন গাড়ি ডাম্পিংয়ে পাঠানো হচ্ছে এবং এই অভিযান আরও বাড়ানো হবে। তিনি গাড়ির মালিকদের ফিটনেস ঠিক রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন যানবাহন কোনো অবস্থাতেই সড়কে চলতে দেওয়া হবে না। কারণ, এটি দুর্ঘটনার বড় কারণ।’
মোটরসাইকেল বিষয়ে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ায় দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে হেলমেট ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এবার জাতীয় সড়ক দিবস উপলক্ষে ১০ হাজার মোটরসাইকেল চালকের মধ্যে হেলমেট বিতরণ করা হবে, বিশেষ করে যেসব এলাকায় সড়ক নির্মাণকাজ চলছে বা মানুষ ভোগান্তিতে আছে।’
সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের জন্য এক ধরনের গ্লানি ও ব্যর্থতা। ২০১৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে গড়ে ২৭ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হন।’
উপদেষ্টার মতে, সাম্প্রতিক সময়ে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনাও বেড়েছে।
দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তারা তা পান না।’
উপদেষ্টা আরও জানান, বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণের টাকা পায়।
সড়ক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা শুধু সড়ক বিভাগের দায়িত্ব নয়, বরং এটি করতে হবে সকল সংস্থার সমন্বয়ে।’
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ পেতে নানা হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়েন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুই পান না। এই জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যাতে চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণ পান, সে ব্যাপারে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন গাড়ি ডাম্পিংয়ে পাঠানো হচ্ছে এবং এই অভিযান আরও বাড়ানো হবে। তিনি গাড়ির মালিকদের ফিটনেস ঠিক রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন যানবাহন কোনো অবস্থাতেই সড়কে চলতে দেওয়া হবে না। কারণ, এটি দুর্ঘটনার বড় কারণ।’
মোটরসাইকেল বিষয়ে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ায় দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে হেলমেট ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এবার জাতীয় সড়ক দিবস উপলক্ষে ১০ হাজার মোটরসাইকেল চালকের মধ্যে হেলমেট বিতরণ করা হবে, বিশেষ করে যেসব এলাকায় সড়ক নির্মাণকাজ চলছে বা মানুষ ভোগান্তিতে আছে।’
সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের জন্য এক ধরনের গ্লানি ও ব্যর্থতা। ২০১৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে গড়ে ২৭ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হন।’
উপদেষ্টার মতে, সাম্প্রতিক সময়ে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনাও বেড়েছে।
দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তারা তা পান না।’
উপদেষ্টা আরও জানান, বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণের টাকা পায়।
সড়ক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা শুধু সড়ক বিভাগের দায়িত্ব নয়, বরং এটি করতে হবে সকল সংস্থার সমন্বয়ে।’
প্রসব-পরবর্তী সেবা বা পোস্ট-নেটাল কেয়ার (পিএনসি) গ্রহণ করছেন না ৪৭ শতাংশ প্রসূতি। এতে শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। কারণ, নবজাতক ও প্রসূতির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে এবং মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমাতে প্রসব-পূর্ববর্তী সেবা বা অ্যান্টি-নেটাল কেয়ার (এএনসি) এবং পিএনসি গুরুত্বপূর্ণ।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না, আমি জানি না। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশ
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের বর্তমান পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এখন থেকে প্রশিক্ষণ ছাড়া কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন না। লাইসেন্স দেওয়ার সব কমিটি বাতিল করে আন্তর্জাতিক মানে নতুন ব্যবস্থা চালু করা হবে। লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে অন্তত ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এর আয়োজন করবে সরকার। প্রশিক্ষণকালে প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতার ব্যবস্থাও থাকবে।
আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে চালকদের স্বীকৃত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। বর্তমানে বিআরটিসিসহ দেশে বেশ কয়েকটি বৈধ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, যেখান থেকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণে দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে—প্রথমত, সড়কের বিভিন্ন সাইন ও চিহ্ন সম্পর্কে জ্ঞান এবং দ্বিতীয়ত, যানবাহন সঠিকভাবে চালানো ও নিয়ন্ত্রণ করার দক্ষতা। কারণ, বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে।
ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স-সংক্রান্ত কাজগুলো বিআরটিএ থেকে সরিয়ে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোর মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। এতে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতা থাকবে না।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী মাসের মধ্যেই এই নতুন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।
সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনার মূল কারণ প্রশিক্ষণহীন চালকেরা।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি সরাইল এলাকায় গিয়েছিলাম। যাওয়ার আগে সেখানে নিয়মিত যানজট ছিল, কিন্তু আমার পরিদর্শনের দুই দিন পর থেকেই আর জ্যাম নেই। আমার হাতে কোনো জাদুর কাঠি নেই—শুধু কিছু শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেছি।’
এদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম প্রমুখ।
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের বর্তমান পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এখন থেকে প্রশিক্ষণ ছাড়া কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন না। লাইসেন্স দেওয়ার সব কমিটি বাতিল করে আন্তর্জাতিক মানে নতুন ব্যবস্থা চালু করা হবে। লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে অন্তত ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এর আয়োজন করবে সরকার। প্রশিক্ষণকালে প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতার ব্যবস্থাও থাকবে।
আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে চালকদের স্বীকৃত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। বর্তমানে বিআরটিসিসহ দেশে বেশ কয়েকটি বৈধ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, যেখান থেকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণে দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে—প্রথমত, সড়কের বিভিন্ন সাইন ও চিহ্ন সম্পর্কে জ্ঞান এবং দ্বিতীয়ত, যানবাহন সঠিকভাবে চালানো ও নিয়ন্ত্রণ করার দক্ষতা। কারণ, বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে।
ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স-সংক্রান্ত কাজগুলো বিআরটিএ থেকে সরিয়ে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোর মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। এতে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতা থাকবে না।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী মাসের মধ্যেই এই নতুন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।
সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনার মূল কারণ প্রশিক্ষণহীন চালকেরা।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি সরাইল এলাকায় গিয়েছিলাম। যাওয়ার আগে সেখানে নিয়মিত যানজট ছিল, কিন্তু আমার পরিদর্শনের দুই দিন পর থেকেই আর জ্যাম নেই। আমার হাতে কোনো জাদুর কাঠি নেই—শুধু কিছু শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেছি।’
এদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম প্রমুখ।
প্রসব-পরবর্তী সেবা বা পোস্ট-নেটাল কেয়ার (পিএনসি) গ্রহণ করছেন না ৪৭ শতাংশ প্রসূতি। এতে শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। কারণ, নবজাতক ও প্রসূতির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে এবং মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমাতে প্রসব-পূর্ববর্তী সেবা বা অ্যান্টি-নেটাল কেয়ার (এএনসি) এবং পিএনসি গুরুত্বপূর্ণ।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ পেতে নানা হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়েন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুই পান না। এই জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যাতে চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণ পান, সে ব্যাপারে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না, আমি জানি না। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশ
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বাস্তব অগ্রগতিতে নির্বাচন নিয়ে ‘সব সংশয় কেটে যাবে’ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না, আমি জানি না। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় কাজ করছে। তবে আশা করি, আমরা যখন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাস্তব অগ্রগতি দেখব, এ সম্পর্কে সব সংশয় খুব দ্রুত কেটে যাবে।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করতে প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দেন বিএনপির নেতারা।
এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় যেটা বুঝেছি, উনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাননি। অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে, সেটা বলেছে। তারা আমাদের কাছ থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে। আমরা উনাদেরকে বলেছি, আমরা নিরপেক্ষ ভূমিকাই পালন করছি। নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার জন্য এমনকি প্রধান উপদেষ্টা এই নিশ্চয়তাও দিয়েছেন—জনপ্রশাসন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে বড় বদলির ব্যাপারটা উনি নিজে দেখবেন।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, এটা বলেনি। বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করতে। আমাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে। সে বিষয়ে তাদের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।’
নির্বাচনের সময় উপদেষ্টা পরিষদ ছোট হবে কি না, সেই প্রশ্নে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ধরনের কথা কোথাও আলোচনা হয়নি। এটা উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার বিষয়। নির্বাচনকালীন সরকার ছোট হবে কি না, এ ধরনের কোনো দাবিও কোনো মহল থেকে উত্থাপন হয়নি।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বাস্তব অগ্রগতিতে নির্বাচন নিয়ে ‘সব সংশয় কেটে যাবে’ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মাঠে-ঘাটে মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব আছে কি না, আমি জানি না। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় কাজ করছে। তবে আশা করি, আমরা যখন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাস্তব অগ্রগতি দেখব, এ সম্পর্কে সব সংশয় খুব দ্রুত কেটে যাবে।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করতে প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দেন বিএনপির নেতারা।
এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় যেটা বুঝেছি, উনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাননি। অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে, সেটা বলেছে। তারা আমাদের কাছ থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে। আমরা উনাদেরকে বলেছি, আমরা নিরপেক্ষ ভূমিকাই পালন করছি। নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার জন্য এমনকি প্রধান উপদেষ্টা এই নিশ্চয়তাও দিয়েছেন—জনপ্রশাসন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে বড় বদলির ব্যাপারটা উনি নিজে দেখবেন।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, এটা বলেনি। বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করতে। আমাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে। সে বিষয়ে তাদের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।’
নির্বাচনের সময় উপদেষ্টা পরিষদ ছোট হবে কি না, সেই প্রশ্নে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ধরনের কথা কোথাও আলোচনা হয়নি। এটা উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার বিষয়। নির্বাচনকালীন সরকার ছোট হবে কি না, এ ধরনের কোনো দাবিও কোনো মহল থেকে উত্থাপন হয়নি।’
প্রসব-পরবর্তী সেবা বা পোস্ট-নেটাল কেয়ার (পিএনসি) গ্রহণ করছেন না ৪৭ শতাংশ প্রসূতি। এতে শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। কারণ, নবজাতক ও প্রসূতির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে এবং মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমাতে প্রসব-পূর্ববর্তী সেবা বা অ্যান্টি-নেটাল কেয়ার (এএনসি) এবং পিএনসি গুরুত্বপূর্ণ।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ পেতে নানা হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়েন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুই পান না। এই জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যাতে চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণ পান, সে ব্যাপারে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে