Ajker Patrika

আরও ১১৮ শহীদ বুদ্ধিজীবীর নামে গেজেট 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪, ২১: ১৫
Thumbnail image

মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চতুর্থ পর্বের তালিকায় নতুন করে ১১৮ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম গেজেটভুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চার পর্বে মোট ৫৬০ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হলো। আজ রোববার দুপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তার সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট ৫৬০ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর মধ্যে সাহিত্যিক ১৮ জন, দার্শনিক ১ জন, বিজ্ঞানী ৩ জন, চিত্রশিল্পী ১ জন, শিক্ষক ১৯৮ জন, গবেষক ১ জন, সাংবাদিক ১৮ জন, আইনজীবী ৫১ জন, চিকিৎসক ১১৩ জন, প্রকৌশলী ৪০ জন, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী ৩৭ জন, রাজনীতিক ২০ জন, সমাজসেবী ২৯ জন, সংস্কৃতিসেবী এবং চলচ্চিত্র, নাটক, সংগীত, শিল্পকলার অন্যান্য শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ৩০ জন। 

মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এর আগে তিনটি পর্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী যাঁরা স্বীকৃতি পেয়েছিলেন, তাঁদের সবাই বিশিষ্টজন, সমাজের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। এর পরের ধাপে সমাজের নানা পর্যায়ে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তাঁদের নাম ধাপে ধাপে সরকারি তালিকাভুক্ত হবে। 
 
তিনি বলেন, ‘এখন যে তালিকা প্রণয়ন হলো, তা চূড়ান্ত করা হবে আগামী ১৪ ডিসেম্বরের আগে। আজ যেটি প্রকাশ করছি, তা চূড়ান্ত খসড়া ধরে নিতে পারেন। এখন নতুন করে আবেদন জমা পড়বে, তা আবার নিরীক্ষা করা হবে।’ 

মন্ত্রী বলেন, দেশের মোট ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬১টি জেলায় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের তথ্য পাওয়া গেছে। এবারের গেজেটে প্রকাশিত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষক এবং তারা গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী। এর মাধ্যমে একটা বিষয় সুস্পষ্ট হয়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ গণমানুষের জনযুদ্ধ ছিল। এটি আমাদের গবেষণার একটি নতুন ধারা যোগ করবে। 
 
তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত ও ইতালীয় অধিবাসীদের শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে হত্যা করা হয়েছে। কাজেই এই হত্যাকাণ্ড একটি আন্তর্জাতিক অপরাধের প্রকৃষ্ট মাত্রা বহন করে। 

মোজাম্মেল হক বলেন, প্রজন্ম-৭১, রক্তঋণ, ১৯৭১: গণহত্যা নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর থেকে নাম সংগ্রহ করেছে কমিটি। এরপর কমিটি যাচাই-বাছাই করে চতুর্থ পর্বের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। চতুর্থ পর্বে শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুসূদন দে, মধু দাকে। ২০২১ সালে প্রণীত শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞায় মধুদাকে সমাজসেবী হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নাম সরকারি তালিকাভুক্ত হলেও তাঁদের পরিবার কোনো আর্থিক সহযোগিতা পাবে না বলে জানান মন্ত্রী। তবে এই পরিবারগুলো প্রশাসনিক, সামাজিক ও আর্থিক কোনো সংকটে পড়লে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব/যুগ্ম-সচিব, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ড. চৌধুরী শাহিদ কাদের, ড. বায়েজিদ খুরশীদ রিয়াজ, মফিদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, লে. কর্নেল (অব) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য আরমা দত্ত, ডা. নুজহাত চৌধুরী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন কমিটিতে ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব (গেজেট) এই কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে কাজ করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত