নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চতুর্থ পর্বের তালিকায় নতুন করে ১১৮ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম গেজেটভুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চার পর্বে মোট ৫৬০ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হলো। আজ রোববার দুপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তার সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট ৫৬০ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর মধ্যে সাহিত্যিক ১৮ জন, দার্শনিক ১ জন, বিজ্ঞানী ৩ জন, চিত্রশিল্পী ১ জন, শিক্ষক ১৯৮ জন, গবেষক ১ জন, সাংবাদিক ১৮ জন, আইনজীবী ৫১ জন, চিকিৎসক ১১৩ জন, প্রকৌশলী ৪০ জন, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী ৩৭ জন, রাজনীতিক ২০ জন, সমাজসেবী ২৯ জন, সংস্কৃতিসেবী এবং চলচ্চিত্র, নাটক, সংগীত, শিল্পকলার অন্যান্য শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ৩০ জন।
মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এর আগে তিনটি পর্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী যাঁরা স্বীকৃতি পেয়েছিলেন, তাঁদের সবাই বিশিষ্টজন, সমাজের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। এর পরের ধাপে সমাজের নানা পর্যায়ে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তাঁদের নাম ধাপে ধাপে সরকারি তালিকাভুক্ত হবে।
তিনি বলেন, ‘এখন যে তালিকা প্রণয়ন হলো, তা চূড়ান্ত করা হবে আগামী ১৪ ডিসেম্বরের আগে। আজ যেটি প্রকাশ করছি, তা চূড়ান্ত খসড়া ধরে নিতে পারেন। এখন নতুন করে আবেদন জমা পড়বে, তা আবার নিরীক্ষা করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, দেশের মোট ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬১টি জেলায় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের তথ্য পাওয়া গেছে। এবারের গেজেটে প্রকাশিত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষক এবং তারা গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী। এর মাধ্যমে একটা বিষয় সুস্পষ্ট হয়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ গণমানুষের জনযুদ্ধ ছিল। এটি আমাদের গবেষণার একটি নতুন ধারা যোগ করবে।
তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত ও ইতালীয় অধিবাসীদের শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে হত্যা করা হয়েছে। কাজেই এই হত্যাকাণ্ড একটি আন্তর্জাতিক অপরাধের প্রকৃষ্ট মাত্রা বহন করে।
মোজাম্মেল হক বলেন, প্রজন্ম-৭১, রক্তঋণ, ১৯৭১: গণহত্যা নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর থেকে নাম সংগ্রহ করেছে কমিটি। এরপর কমিটি যাচাই-বাছাই করে চতুর্থ পর্বের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। চতুর্থ পর্বে শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুসূদন দে, মধু দাকে। ২০২১ সালে প্রণীত শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞায় মধুদাকে সমাজসেবী হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নাম সরকারি তালিকাভুক্ত হলেও তাঁদের পরিবার কোনো আর্থিক সহযোগিতা পাবে না বলে জানান মন্ত্রী। তবে এই পরিবারগুলো প্রশাসনিক, সামাজিক ও আর্থিক কোনো সংকটে পড়লে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব/যুগ্ম-সচিব, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ড. চৌধুরী শাহিদ কাদের, ড. বায়েজিদ খুরশীদ রিয়াজ, মফিদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, লে. কর্নেল (অব) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য আরমা দত্ত, ডা. নুজহাত চৌধুরী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন কমিটিতে ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব (গেজেট) এই কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে কাজ করছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চতুর্থ পর্বের তালিকায় নতুন করে ১১৮ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম গেজেটভুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চার পর্বে মোট ৫৬০ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হলো। আজ রোববার দুপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তার সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট ৫৬০ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর মধ্যে সাহিত্যিক ১৮ জন, দার্শনিক ১ জন, বিজ্ঞানী ৩ জন, চিত্রশিল্পী ১ জন, শিক্ষক ১৯৮ জন, গবেষক ১ জন, সাংবাদিক ১৮ জন, আইনজীবী ৫১ জন, চিকিৎসক ১১৩ জন, প্রকৌশলী ৪০ জন, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী ৩৭ জন, রাজনীতিক ২০ জন, সমাজসেবী ২৯ জন, সংস্কৃতিসেবী এবং চলচ্চিত্র, নাটক, সংগীত, শিল্পকলার অন্যান্য শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ৩০ জন।
মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এর আগে তিনটি পর্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী যাঁরা স্বীকৃতি পেয়েছিলেন, তাঁদের সবাই বিশিষ্টজন, সমাজের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। এর পরের ধাপে সমাজের নানা পর্যায়ে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তাঁদের নাম ধাপে ধাপে সরকারি তালিকাভুক্ত হবে।
তিনি বলেন, ‘এখন যে তালিকা প্রণয়ন হলো, তা চূড়ান্ত করা হবে আগামী ১৪ ডিসেম্বরের আগে। আজ যেটি প্রকাশ করছি, তা চূড়ান্ত খসড়া ধরে নিতে পারেন। এখন নতুন করে আবেদন জমা পড়বে, তা আবার নিরীক্ষা করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, দেশের মোট ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬১টি জেলায় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের তথ্য পাওয়া গেছে। এবারের গেজেটে প্রকাশিত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষক এবং তারা গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী। এর মাধ্যমে একটা বিষয় সুস্পষ্ট হয়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ গণমানুষের জনযুদ্ধ ছিল। এটি আমাদের গবেষণার একটি নতুন ধারা যোগ করবে।
তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত ও ইতালীয় অধিবাসীদের শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে হত্যা করা হয়েছে। কাজেই এই হত্যাকাণ্ড একটি আন্তর্জাতিক অপরাধের প্রকৃষ্ট মাত্রা বহন করে।
মোজাম্মেল হক বলেন, প্রজন্ম-৭১, রক্তঋণ, ১৯৭১: গণহত্যা নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর থেকে নাম সংগ্রহ করেছে কমিটি। এরপর কমিটি যাচাই-বাছাই করে চতুর্থ পর্বের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। চতুর্থ পর্বে শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুসূদন দে, মধু দাকে। ২০২১ সালে প্রণীত শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞায় মধুদাকে সমাজসেবী হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নাম সরকারি তালিকাভুক্ত হলেও তাঁদের পরিবার কোনো আর্থিক সহযোগিতা পাবে না বলে জানান মন্ত্রী। তবে এই পরিবারগুলো প্রশাসনিক, সামাজিক ও আর্থিক কোনো সংকটে পড়লে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব/যুগ্ম-সচিব, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ড. চৌধুরী শাহিদ কাদের, ড. বায়েজিদ খুরশীদ রিয়াজ, মফিদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, লে. কর্নেল (অব) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য আরমা দত্ত, ডা. নুজহাত চৌধুরী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন কমিটিতে ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব (গেজেট) এই কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে কাজ করছেন।
প্রধান উপদেষ্টার সম্প্রতি চীন সফরের ফলাফল পর্যালোচনা এবং বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতা দ্রুততর করতে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁরা এ সাক্ষাৎ করেন।
৯ ঘণ্টা আগেএজেন্সিগুলোর গাফিলতির কারণে চলতি বছর প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ব্যক্তির হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। এ নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পর তৎপরতা বাড়িয়েছে এজেন্সিগুলো। এতে অনিশ্চয়তা প্রায় কেটে গেছে। হজযাত্রীদের ভিসাপ্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকোর মহাপরিচালক পদে (২০২৫-২৯) মেক্সিকোর প্রার্থী গ্যাব্রিয়েলা রামোস পাটিনা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মেক্সিকোর অনাবাসিক
৯ ঘণ্টা আগেজুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আবেদনটি আগামী ১৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির...
১১ ঘণ্টা আগে