শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আখতারুল ইসলামের নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় এডিসি আখতারুল বলেন, ‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে, তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি ফায়ার করে তাদেরকে মেরে ফেলো।’
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন আন্দোলনের সময় দায়িত্ব পালন করা পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জুলাই–আগস্টে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আজ আশরাফুল ছাড়াও সাক্ষ্য দেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ হাসান এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ। এ মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩৯ জন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল।
সাক্ষ্য গ্রহণের পর তাঁদের জেরা করেন পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে এরই মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ পুলিশের এসআই মো. আশরাফুল ইসলাম তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট ৬০-৬৫ জন পুলিশ এডিসি শাহ্ আলম মোহাম্মদ আখতারুল ইসলাম স্যার, এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর মো. আরশাদ হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডিউটিতে পৌঁছাই। সেখানে পৌঁছে এসি ইমরুল স্যারসহ কয়েকজন কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ওই সময় এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে কয়েকজন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে প্রিজন ভ্যানে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়। এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর আরশাদ স্যার, ১৫-২০ জন এপিবিএন সদস্য, ডিএমপির ১০-১৫ জন সদস্যের সঙ্গে আমিসহ আমার সঙ্গে থাকা কনস্টেবল পিয়াস, আসিফ, আকাশ ও নাসিরুল পায়ে হেঁটে সাড়ে ১০টার দিকে চানখাঁরপুলে পৌঁছাই।’
আশরাফুল বলেন, ‘চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে এডিসি আখতারুল ইসলাম স্যারের নির্দেশে কোনো প্রয়োজন ছাড়া সাউন্ড গ্রেনেড, গ্যাস গান ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এই গুলি করা হয় চানখাঁরপুল মোড়ে। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় এডিসি আখতারুল বলেন, ‘‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে, তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি ফায়ার করে তাদেরকে মেরে ফেলো।’’
আশরাফুল আরও বলেন, ‘তখন আমিসহ আরও কয়েকজন এই অবৈধ আদেশ পালন না করলে তিনি আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। তিনি আমাদের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘তোরা সরকারের বেতন–রেশন খাস না? গুলি করবি না কেন? তোদের চাকরি খেয়ে দেব।’’ তারপরও আমি আমার পিস্তল দিয়ে ফায়ার করা থেকে বিরত থাকি। এরপর কনস্টেবল মো. নাসিরুল ইসলাম এডিসি আখতারুলের সরবরাহ করা অতিরিক্ত গুলি ব্যবহার করে রাস্তায় বসে চায়নিজ রাইফেল দিয়ে আন্দোলনকারীদের টার্গেট করে বারবার ফায়ার করতে থাকে। এ সময় এডিসি আখতারুল ইসলাম এপিবিএন পুলিশের একজন কনস্টেবলের হাত থেকে চায়নিজ রাইফেল কেড়ে নিয়ে এপিবিএন পুলিশের কনস্টেবল সুজন হোসেনের হাতে দেয়। যার হাত থেকে চায়নিজ রাইফেল কেড়ে নেওয়া হয়, সে গুলি করা থেকে বিরত ছিল।’
আশরাফুল বলেন, ‘কনস্টেবল সুজন হোসেন চানখাঁরপুল মোড়ে কখনো দাঁড়িয়ে, কখনো শুয়ে, কখনো হাঁটু গেড়ে বসে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে চায়নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করতে থাকে। তা ছাড়া এপিবিএনের কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন তার নামে ইস্যু করা চায়নিজ রাইফেল দিয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করে। আমি দেখতে পাই, গুলিতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে অন্য আন্দোলনকারীরা তাদের ধরাধরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর আরশাদ স্যার এপিবিএনের পাঁচ-সাতজন সদস্য নিয়ে নাজিমুদ্দিন রোডের বিভিন্ন গলিতে গুলি করতে করতে প্রবেশ করলে আমরা চায়নিজ রাইফেলের গুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপর শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন শুনতে পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে চানখাঁরপুল এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে টিএসসি মোড় হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হয়ে শাহবাগ থানার পেছন দিক দিয়ে থানায় প্রবেশ করি।’
আন্দোলনে গুলিতে আহত চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হাসান জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর শরীরে শটগানের ১১টি গুলি লাগে। তিনটি এখনো ভেতরে রয়েছে। তিনি বলেন, গত বছরের ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় যুবলীগ নেতা নুরুল আযিম রনির নেতৃত্বে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, শৈবাল দাস, সুমন, সাবেক মেয়র আজম নাছিরসহ আরও অনেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন। রনির হাতে পিস্তল, বাবরের হাতে শটগান ও অন্যদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। ওই ঘটনায় আন্দোলনকারী ফয়সাল আহমেদ শান্ত নিহত হন। পরে জানতে পারেন, সন্ত্রাসীরা ওয়াসীম আকরাম নামের একজন আন্দোলনকারীকে মুরাদপুর এলাকায় কুপিয়ে এবং ফারুক নামের একজন কাঠমিস্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে।
হাসান আরও বলেন, ‘১৮ জুলাই চট্টগ্রাম নতুন ব্রিজ এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি ছিল। সেখানে ওই সময় প্রায় ২ হাজার আন্দোলনকারী অবস্থান করছিল। আমাদের সামনে বাকুলিয়া ও কর্ণফুলী থানার পুলিশ এবং তাদের পেছনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিল। পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেল ছুড়লে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সদস্যরা আমাদের লক্ষ্য করে শটগান দিয়ে গুলি করলে আমি পিঠে গুলিবিদ্ধ হই। প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার সময় গেটে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশ প্রবেশে বাধা দেয়। পরে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিই। সেখানে ডাক্তারেরা আটটি গুলি বের করেন এবং এখনো তিনটি শরীরে আছে (এ সময় সাক্ষী গুলিবিদ্ধ ক্ষতস্থান ট্রাইব্যুনালকে দেখান)।’ তিনি হত্যা ও নির্যাতনের জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কঠিন শাস্তির দাবি করেন।
এ ছাড়া গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘আমি ৫ আগস্ট সকালে বাড়ির পাশে শরীফ মেডিকেলের সামনে যাই। সে সময় কারফিউ ও মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি চলছিল। সেখানে গিয়ে দেখি, হাজার হাজার লোক বিজয় মিছিল নিয়ে শরীফ মেডিকেলের দিকে আসছে। মিছিলকে লক্ষ্য করে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও গুলি করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আমিসহ কিছু লোক আমার বাড়িতে আশ্রয় নিই। আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের বাড়ির ছাদে উঠে দেখতে পাই, কয়েকজন পুলিশ গ্যারেজ থেকে একজনকে তুলে নিয়ে যায় এবং তাকে আমার বাড়ির সামনের কবরস্থানের কাছে নিয়ে গুলি করে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ লাশটিকে থানার দিকে নিয়ে যায়। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ওসি আশরাফ ও ডিবির এসি ছিল। পরে জানতে পারি, যে গুলি করেছে, তার নাম কনস্টেবল আকরাম। আর যাকে গুলি করেছে, তার নাম হৃদয়। পরদিন সকালে জানতে পারি, পুলিশ লাশ নিয়ে পালিয়ে গেছে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অন্যান্য মন্ত্রী এবং স্থানীয় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা দায়ী। আমি ট্রাইব্যুনালের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।’

মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আখতারুল ইসলামের নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় এডিসি আখতারুল বলেন, ‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে, তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি ফায়ার করে তাদেরকে মেরে ফেলো।’
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন আন্দোলনের সময় দায়িত্ব পালন করা পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জুলাই–আগস্টে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আজ আশরাফুল ছাড়াও সাক্ষ্য দেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ হাসান এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ। এ মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩৯ জন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল।
সাক্ষ্য গ্রহণের পর তাঁদের জেরা করেন পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে এরই মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ পুলিশের এসআই মো. আশরাফুল ইসলাম তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট ৬০-৬৫ জন পুলিশ এডিসি শাহ্ আলম মোহাম্মদ আখতারুল ইসলাম স্যার, এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর মো. আরশাদ হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডিউটিতে পৌঁছাই। সেখানে পৌঁছে এসি ইমরুল স্যারসহ কয়েকজন কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ওই সময় এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে কয়েকজন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে প্রিজন ভ্যানে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়। এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর আরশাদ স্যার, ১৫-২০ জন এপিবিএন সদস্য, ডিএমপির ১০-১৫ জন সদস্যের সঙ্গে আমিসহ আমার সঙ্গে থাকা কনস্টেবল পিয়াস, আসিফ, আকাশ ও নাসিরুল পায়ে হেঁটে সাড়ে ১০টার দিকে চানখাঁরপুলে পৌঁছাই।’
আশরাফুল বলেন, ‘চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে এডিসি আখতারুল ইসলাম স্যারের নির্দেশে কোনো প্রয়োজন ছাড়া সাউন্ড গ্রেনেড, গ্যাস গান ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এই গুলি করা হয় চানখাঁরপুল মোড়ে। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় এডিসি আখতারুল বলেন, ‘‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে, তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি ফায়ার করে তাদেরকে মেরে ফেলো।’’
আশরাফুল আরও বলেন, ‘তখন আমিসহ আরও কয়েকজন এই অবৈধ আদেশ পালন না করলে তিনি আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। তিনি আমাদের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘তোরা সরকারের বেতন–রেশন খাস না? গুলি করবি না কেন? তোদের চাকরি খেয়ে দেব।’’ তারপরও আমি আমার পিস্তল দিয়ে ফায়ার করা থেকে বিরত থাকি। এরপর কনস্টেবল মো. নাসিরুল ইসলাম এডিসি আখতারুলের সরবরাহ করা অতিরিক্ত গুলি ব্যবহার করে রাস্তায় বসে চায়নিজ রাইফেল দিয়ে আন্দোলনকারীদের টার্গেট করে বারবার ফায়ার করতে থাকে। এ সময় এডিসি আখতারুল ইসলাম এপিবিএন পুলিশের একজন কনস্টেবলের হাত থেকে চায়নিজ রাইফেল কেড়ে নিয়ে এপিবিএন পুলিশের কনস্টেবল সুজন হোসেনের হাতে দেয়। যার হাত থেকে চায়নিজ রাইফেল কেড়ে নেওয়া হয়, সে গুলি করা থেকে বিরত ছিল।’
আশরাফুল বলেন, ‘কনস্টেবল সুজন হোসেন চানখাঁরপুল মোড়ে কখনো দাঁড়িয়ে, কখনো শুয়ে, কখনো হাঁটু গেড়ে বসে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে চায়নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করতে থাকে। তা ছাড়া এপিবিএনের কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন তার নামে ইস্যু করা চায়নিজ রাইফেল দিয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করে। আমি দেখতে পাই, গুলিতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে অন্য আন্দোলনকারীরা তাদের ধরাধরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর আরশাদ স্যার এপিবিএনের পাঁচ-সাতজন সদস্য নিয়ে নাজিমুদ্দিন রোডের বিভিন্ন গলিতে গুলি করতে করতে প্রবেশ করলে আমরা চায়নিজ রাইফেলের গুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপর শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন শুনতে পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে চানখাঁরপুল এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে টিএসসি মোড় হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হয়ে শাহবাগ থানার পেছন দিক দিয়ে থানায় প্রবেশ করি।’
আন্দোলনে গুলিতে আহত চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হাসান জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর শরীরে শটগানের ১১টি গুলি লাগে। তিনটি এখনো ভেতরে রয়েছে। তিনি বলেন, গত বছরের ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় যুবলীগ নেতা নুরুল আযিম রনির নেতৃত্বে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, শৈবাল দাস, সুমন, সাবেক মেয়র আজম নাছিরসহ আরও অনেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন। রনির হাতে পিস্তল, বাবরের হাতে শটগান ও অন্যদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। ওই ঘটনায় আন্দোলনকারী ফয়সাল আহমেদ শান্ত নিহত হন। পরে জানতে পারেন, সন্ত্রাসীরা ওয়াসীম আকরাম নামের একজন আন্দোলনকারীকে মুরাদপুর এলাকায় কুপিয়ে এবং ফারুক নামের একজন কাঠমিস্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে।
হাসান আরও বলেন, ‘১৮ জুলাই চট্টগ্রাম নতুন ব্রিজ এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি ছিল। সেখানে ওই সময় প্রায় ২ হাজার আন্দোলনকারী অবস্থান করছিল। আমাদের সামনে বাকুলিয়া ও কর্ণফুলী থানার পুলিশ এবং তাদের পেছনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিল। পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেল ছুড়লে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সদস্যরা আমাদের লক্ষ্য করে শটগান দিয়ে গুলি করলে আমি পিঠে গুলিবিদ্ধ হই। প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার সময় গেটে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশ প্রবেশে বাধা দেয়। পরে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিই। সেখানে ডাক্তারেরা আটটি গুলি বের করেন এবং এখনো তিনটি শরীরে আছে (এ সময় সাক্ষী গুলিবিদ্ধ ক্ষতস্থান ট্রাইব্যুনালকে দেখান)।’ তিনি হত্যা ও নির্যাতনের জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কঠিন শাস্তির দাবি করেন।
এ ছাড়া গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘আমি ৫ আগস্ট সকালে বাড়ির পাশে শরীফ মেডিকেলের সামনে যাই। সে সময় কারফিউ ও মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি চলছিল। সেখানে গিয়ে দেখি, হাজার হাজার লোক বিজয় মিছিল নিয়ে শরীফ মেডিকেলের দিকে আসছে। মিছিলকে লক্ষ্য করে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও গুলি করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আমিসহ কিছু লোক আমার বাড়িতে আশ্রয় নিই। আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের বাড়ির ছাদে উঠে দেখতে পাই, কয়েকজন পুলিশ গ্যারেজ থেকে একজনকে তুলে নিয়ে যায় এবং তাকে আমার বাড়ির সামনের কবরস্থানের কাছে নিয়ে গুলি করে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ লাশটিকে থানার দিকে নিয়ে যায়। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ওসি আশরাফ ও ডিবির এসি ছিল। পরে জানতে পারি, যে গুলি করেছে, তার নাম কনস্টেবল আকরাম। আর যাকে গুলি করেছে, তার নাম হৃদয়। পরদিন সকালে জানতে পারি, পুলিশ লাশ নিয়ে পালিয়ে গেছে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অন্যান্য মন্ত্রী এবং স্থানীয় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা দায়ী। আমি ট্রাইব্যুনালের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।’
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আখতারুল ইসলামের নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় এডিসি আখতারুল বলেন, ‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে, তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি ফায়ার করে তাদেরকে মেরে ফেলো।’
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন আন্দোলনের সময় দায়িত্ব পালন করা পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জুলাই–আগস্টে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আজ আশরাফুল ছাড়াও সাক্ষ্য দেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ হাসান এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ। এ মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩৯ জন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল।
সাক্ষ্য গ্রহণের পর তাঁদের জেরা করেন পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে এরই মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ পুলিশের এসআই মো. আশরাফুল ইসলাম তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট ৬০-৬৫ জন পুলিশ এডিসি শাহ্ আলম মোহাম্মদ আখতারুল ইসলাম স্যার, এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর মো. আরশাদ হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডিউটিতে পৌঁছাই। সেখানে পৌঁছে এসি ইমরুল স্যারসহ কয়েকজন কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ওই সময় এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে কয়েকজন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে প্রিজন ভ্যানে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়। এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর আরশাদ স্যার, ১৫-২০ জন এপিবিএন সদস্য, ডিএমপির ১০-১৫ জন সদস্যের সঙ্গে আমিসহ আমার সঙ্গে থাকা কনস্টেবল পিয়াস, আসিফ, আকাশ ও নাসিরুল পায়ে হেঁটে সাড়ে ১০টার দিকে চানখাঁরপুলে পৌঁছাই।’
আশরাফুল বলেন, ‘চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে এডিসি আখতারুল ইসলাম স্যারের নির্দেশে কোনো প্রয়োজন ছাড়া সাউন্ড গ্রেনেড, গ্যাস গান ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এই গুলি করা হয় চানখাঁরপুল মোড়ে। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় এডিসি আখতারুল বলেন, ‘‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে, তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি ফায়ার করে তাদেরকে মেরে ফেলো।’’
আশরাফুল আরও বলেন, ‘তখন আমিসহ আরও কয়েকজন এই অবৈধ আদেশ পালন না করলে তিনি আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। তিনি আমাদের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘তোরা সরকারের বেতন–রেশন খাস না? গুলি করবি না কেন? তোদের চাকরি খেয়ে দেব।’’ তারপরও আমি আমার পিস্তল দিয়ে ফায়ার করা থেকে বিরত থাকি। এরপর কনস্টেবল মো. নাসিরুল ইসলাম এডিসি আখতারুলের সরবরাহ করা অতিরিক্ত গুলি ব্যবহার করে রাস্তায় বসে চায়নিজ রাইফেল দিয়ে আন্দোলনকারীদের টার্গেট করে বারবার ফায়ার করতে থাকে। এ সময় এডিসি আখতারুল ইসলাম এপিবিএন পুলিশের একজন কনস্টেবলের হাত থেকে চায়নিজ রাইফেল কেড়ে নিয়ে এপিবিএন পুলিশের কনস্টেবল সুজন হোসেনের হাতে দেয়। যার হাত থেকে চায়নিজ রাইফেল কেড়ে নেওয়া হয়, সে গুলি করা থেকে বিরত ছিল।’
আশরাফুল বলেন, ‘কনস্টেবল সুজন হোসেন চানখাঁরপুল মোড়ে কখনো দাঁড়িয়ে, কখনো শুয়ে, কখনো হাঁটু গেড়ে বসে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে চায়নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করতে থাকে। তা ছাড়া এপিবিএনের কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন তার নামে ইস্যু করা চায়নিজ রাইফেল দিয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করে। আমি দেখতে পাই, গুলিতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে অন্য আন্দোলনকারীরা তাদের ধরাধরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর আরশাদ স্যার এপিবিএনের পাঁচ-সাতজন সদস্য নিয়ে নাজিমুদ্দিন রোডের বিভিন্ন গলিতে গুলি করতে করতে প্রবেশ করলে আমরা চায়নিজ রাইফেলের গুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপর শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন শুনতে পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে চানখাঁরপুল এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে টিএসসি মোড় হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হয়ে শাহবাগ থানার পেছন দিক দিয়ে থানায় প্রবেশ করি।’
আন্দোলনে গুলিতে আহত চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হাসান জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর শরীরে শটগানের ১১টি গুলি লাগে। তিনটি এখনো ভেতরে রয়েছে। তিনি বলেন, গত বছরের ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় যুবলীগ নেতা নুরুল আযিম রনির নেতৃত্বে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, শৈবাল দাস, সুমন, সাবেক মেয়র আজম নাছিরসহ আরও অনেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন। রনির হাতে পিস্তল, বাবরের হাতে শটগান ও অন্যদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। ওই ঘটনায় আন্দোলনকারী ফয়সাল আহমেদ শান্ত নিহত হন। পরে জানতে পারেন, সন্ত্রাসীরা ওয়াসীম আকরাম নামের একজন আন্দোলনকারীকে মুরাদপুর এলাকায় কুপিয়ে এবং ফারুক নামের একজন কাঠমিস্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে।
হাসান আরও বলেন, ‘১৮ জুলাই চট্টগ্রাম নতুন ব্রিজ এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি ছিল। সেখানে ওই সময় প্রায় ২ হাজার আন্দোলনকারী অবস্থান করছিল। আমাদের সামনে বাকুলিয়া ও কর্ণফুলী থানার পুলিশ এবং তাদের পেছনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিল। পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেল ছুড়লে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সদস্যরা আমাদের লক্ষ্য করে শটগান দিয়ে গুলি করলে আমি পিঠে গুলিবিদ্ধ হই। প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার সময় গেটে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশ প্রবেশে বাধা দেয়। পরে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিই। সেখানে ডাক্তারেরা আটটি গুলি বের করেন এবং এখনো তিনটি শরীরে আছে (এ সময় সাক্ষী গুলিবিদ্ধ ক্ষতস্থান ট্রাইব্যুনালকে দেখান)।’ তিনি হত্যা ও নির্যাতনের জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কঠিন শাস্তির দাবি করেন।
এ ছাড়া গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘আমি ৫ আগস্ট সকালে বাড়ির পাশে শরীফ মেডিকেলের সামনে যাই। সে সময় কারফিউ ও মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি চলছিল। সেখানে গিয়ে দেখি, হাজার হাজার লোক বিজয় মিছিল নিয়ে শরীফ মেডিকেলের দিকে আসছে। মিছিলকে লক্ষ্য করে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও গুলি করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আমিসহ কিছু লোক আমার বাড়িতে আশ্রয় নিই। আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের বাড়ির ছাদে উঠে দেখতে পাই, কয়েকজন পুলিশ গ্যারেজ থেকে একজনকে তুলে নিয়ে যায় এবং তাকে আমার বাড়ির সামনের কবরস্থানের কাছে নিয়ে গুলি করে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ লাশটিকে থানার দিকে নিয়ে যায়। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ওসি আশরাফ ও ডিবির এসি ছিল। পরে জানতে পারি, যে গুলি করেছে, তার নাম কনস্টেবল আকরাম। আর যাকে গুলি করেছে, তার নাম হৃদয়। পরদিন সকালে জানতে পারি, পুলিশ লাশ নিয়ে পালিয়ে গেছে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অন্যান্য মন্ত্রী এবং স্থানীয় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা দায়ী। আমি ট্রাইব্যুনালের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।’

মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আখতারুল ইসলামের নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় এডিসি আখতারুল বলেন, ‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে, তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি ফায়ার করে তাদেরকে মেরে ফেলো।’
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন আন্দোলনের সময় দায়িত্ব পালন করা পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জুলাই–আগস্টে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আজ আশরাফুল ছাড়াও সাক্ষ্য দেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ হাসান এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ। এ মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩৯ জন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল।
সাক্ষ্য গ্রহণের পর তাঁদের জেরা করেন পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে এরই মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ পুলিশের এসআই মো. আশরাফুল ইসলাম তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট ৬০-৬৫ জন পুলিশ এডিসি শাহ্ আলম মোহাম্মদ আখতারুল ইসলাম স্যার, এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর মো. আরশাদ হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডিউটিতে পৌঁছাই। সেখানে পৌঁছে এসি ইমরুল স্যারসহ কয়েকজন কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ওই সময় এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে কয়েকজন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে প্রিজন ভ্যানে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়। এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর আরশাদ স্যার, ১৫-২০ জন এপিবিএন সদস্য, ডিএমপির ১০-১৫ জন সদস্যের সঙ্গে আমিসহ আমার সঙ্গে থাকা কনস্টেবল পিয়াস, আসিফ, আকাশ ও নাসিরুল পায়ে হেঁটে সাড়ে ১০টার দিকে চানখাঁরপুলে পৌঁছাই।’
আশরাফুল বলেন, ‘চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে এডিসি আখতারুল ইসলাম স্যারের নির্দেশে কোনো প্রয়োজন ছাড়া সাউন্ড গ্রেনেড, গ্যাস গান ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এই গুলি করা হয় চানখাঁরপুল মোড়ে। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় এডিসি আখতারুল বলেন, ‘‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে, তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি ফায়ার করে তাদেরকে মেরে ফেলো।’’
আশরাফুল আরও বলেন, ‘তখন আমিসহ আরও কয়েকজন এই অবৈধ আদেশ পালন না করলে তিনি আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। তিনি আমাদের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘তোরা সরকারের বেতন–রেশন খাস না? গুলি করবি না কেন? তোদের চাকরি খেয়ে দেব।’’ তারপরও আমি আমার পিস্তল দিয়ে ফায়ার করা থেকে বিরত থাকি। এরপর কনস্টেবল মো. নাসিরুল ইসলাম এডিসি আখতারুলের সরবরাহ করা অতিরিক্ত গুলি ব্যবহার করে রাস্তায় বসে চায়নিজ রাইফেল দিয়ে আন্দোলনকারীদের টার্গেট করে বারবার ফায়ার করতে থাকে। এ সময় এডিসি আখতারুল ইসলাম এপিবিএন পুলিশের একজন কনস্টেবলের হাত থেকে চায়নিজ রাইফেল কেড়ে নিয়ে এপিবিএন পুলিশের কনস্টেবল সুজন হোসেনের হাতে দেয়। যার হাত থেকে চায়নিজ রাইফেল কেড়ে নেওয়া হয়, সে গুলি করা থেকে বিরত ছিল।’
আশরাফুল বলেন, ‘কনস্টেবল সুজন হোসেন চানখাঁরপুল মোড়ে কখনো দাঁড়িয়ে, কখনো শুয়ে, কখনো হাঁটু গেড়ে বসে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে চায়নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করতে থাকে। তা ছাড়া এপিবিএনের কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন তার নামে ইস্যু করা চায়নিজ রাইফেল দিয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করে। আমি দেখতে পাই, গুলিতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে অন্য আন্দোলনকারীরা তাদের ধরাধরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর এসি ইমরুল স্যার, ইন্সপেক্টর আরশাদ স্যার এপিবিএনের পাঁচ-সাতজন সদস্য নিয়ে নাজিমুদ্দিন রোডের বিভিন্ন গলিতে গুলি করতে করতে প্রবেশ করলে আমরা চায়নিজ রাইফেলের গুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপর শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন শুনতে পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে চানখাঁরপুল এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন এডিসি আখতারুল স্যারের নির্দেশে টিএসসি মোড় হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হয়ে শাহবাগ থানার পেছন দিক দিয়ে থানায় প্রবেশ করি।’
আন্দোলনে গুলিতে আহত চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হাসান জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর শরীরে শটগানের ১১টি গুলি লাগে। তিনটি এখনো ভেতরে রয়েছে। তিনি বলেন, গত বছরের ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় যুবলীগ নেতা নুরুল আযিম রনির নেতৃত্বে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, শৈবাল দাস, সুমন, সাবেক মেয়র আজম নাছিরসহ আরও অনেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন। রনির হাতে পিস্তল, বাবরের হাতে শটগান ও অন্যদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। ওই ঘটনায় আন্দোলনকারী ফয়সাল আহমেদ শান্ত নিহত হন। পরে জানতে পারেন, সন্ত্রাসীরা ওয়াসীম আকরাম নামের একজন আন্দোলনকারীকে মুরাদপুর এলাকায় কুপিয়ে এবং ফারুক নামের একজন কাঠমিস্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে।
হাসান আরও বলেন, ‘১৮ জুলাই চট্টগ্রাম নতুন ব্রিজ এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি ছিল। সেখানে ওই সময় প্রায় ২ হাজার আন্দোলনকারী অবস্থান করছিল। আমাদের সামনে বাকুলিয়া ও কর্ণফুলী থানার পুলিশ এবং তাদের পেছনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিল। পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেল ছুড়লে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সদস্যরা আমাদের লক্ষ্য করে শটগান দিয়ে গুলি করলে আমি পিঠে গুলিবিদ্ধ হই। প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার সময় গেটে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশ প্রবেশে বাধা দেয়। পরে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিই। সেখানে ডাক্তারেরা আটটি গুলি বের করেন এবং এখনো তিনটি শরীরে আছে (এ সময় সাক্ষী গুলিবিদ্ধ ক্ষতস্থান ট্রাইব্যুনালকে দেখান)।’ তিনি হত্যা ও নির্যাতনের জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কঠিন শাস্তির দাবি করেন।
এ ছাড়া গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘আমি ৫ আগস্ট সকালে বাড়ির পাশে শরীফ মেডিকেলের সামনে যাই। সে সময় কারফিউ ও মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি চলছিল। সেখানে গিয়ে দেখি, হাজার হাজার লোক বিজয় মিছিল নিয়ে শরীফ মেডিকেলের দিকে আসছে। মিছিলকে লক্ষ্য করে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও গুলি করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আমিসহ কিছু লোক আমার বাড়িতে আশ্রয় নিই। আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের বাড়ির ছাদে উঠে দেখতে পাই, কয়েকজন পুলিশ গ্যারেজ থেকে একজনকে তুলে নিয়ে যায় এবং তাকে আমার বাড়ির সামনের কবরস্থানের কাছে নিয়ে গুলি করে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ লাশটিকে থানার দিকে নিয়ে যায়। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ওসি আশরাফ ও ডিবির এসি ছিল। পরে জানতে পারি, যে গুলি করেছে, তার নাম কনস্টেবল আকরাম। আর যাকে গুলি করেছে, তার নাম হৃদয়। পরদিন সকালে জানতে পারি, পুলিশ লাশ নিয়ে পালিয়ে গেছে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অন্যান্য মন্ত্রী এবং স্থানীয় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা দায়ী। আমি ট্রাইব্যুনালের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৪ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আখতারুল ইসলামের নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৪ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আখতারুল ইসলামের নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৪ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১১ ঘণ্টা আগেসিনেটে শুনানিতে ট্রাম্প–মনোনীত রাষ্ট্রদূত
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আখতারুল ইসলামের নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১১ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখাঁরপুলসংলগ্ন বংশাল ও চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আখতারুল ইসলামের নির্দেশে সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগান দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এপিবিএন পুলিশকে দিয়ে শটগান ফায়ার করে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৪ ঘণ্টা আগে