Ajker Patrika

করোনা পরীক্ষায় কোরিয়ার কীট বাধ্যতামূলক করবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা পরীক্ষায় কোরিয়ার কীট বাধ্যতামূলক করবে সরকার

ঢাকা: দক্ষিণ কোরিয়ায় শ্রমিক রপ্তানি আবারও চালু করতে করোনা পরীক্ষায় কোরিয়ার কীট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে সরকার। কোরিয়ায় শ্রমিক রপ্তানি চালু করা নিয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে করোনা পরীক্ষা নিয়ে এক প্রকার অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশের ওপর। ফলে দক্ষিণ কোরিয়া আবার কবে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া শুরু করবে তা অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত এপ্রিল মাসে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কোরিয়া শ্রম রপ্তানিতে যাত্রীদের করোনা সংক্রান্ত দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের বোয়েসেলের (বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড) তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয়। দক্ষিণ কোরিয়া প্রবেশের পূর্বে কোরিয়ান কীট দিয়ে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। সেই সঙ্গে ৭ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের সিদ্ধান্ত হয়। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত খুব শিগগিরি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাম না প্রকাশ করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এর আগে করোনা পরীক্ষা নিয়ে বাংলাদেশে জালিয়াতি হয়েছে। তখন ২০২০ সালে কোরিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করার পাশাপাশি ভিসা বন্ধ করে দেয়। এবার আবারও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ই-৭ ভিসা নিয়ে নাজমুস সাকিব ও শয়াইব ইসলাম সিলেট থেকে গত ১৬ই মে কোরিয়া যায়। তাঁরা বাংলাদেশ থেকে করোনা নেগেটিভ নিয়ে যায়। তবে সেখানে গিয়ে তাদের করোনা পজিটিভ আসে। যা বাংলাদেশের করোনা পরীক্ষার পুরো ব্যবস্থাকে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করে। ফলে বাংলাদেশিদের ওপর যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেশটি দিয়ে রেখেছে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কোরিয়া। ফলে নিয়মিত এমপ্লয়েড পারমিট সিস্টেমে (ইপিএস) কর্মীরা দেশটিতে যেতে পারছে না। আগে গড়ে প্রতি বছর ২০০০ বাংলাদেশি উচ্চ বেতনে দেশটিতে যেতে পারত। আর করোনা পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির কারণে এটি হয়েছে। ফলে সরকারকে কোরিয়ায় শ্রম রপ্তানি আবারও চালু করতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত