Ajker Patrika

সিভিল সার্ভিস পুনর্গঠন করে ৩টি পিএসসি গঠনের সুপারিশ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫: ৪৬
বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পুনর্গঠনের প্রস্তাব করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এ ছাড়া সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। এরপর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) আওতায় একীভূত ‘ক্যাডার’ সার্ভিস বাতিল করে তার পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট সার্ভিসের কাজের ধরন ও বিশেষায়িত দক্ষতার বিষয়টি সামনে রেখে আলাদা নামকরণ করা যেতে পারে। বিদ্যমান বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারগুলোকে ১২টি প্রধান সার্ভিসে বিভক্ত করার সুপারিশ করা হলো।

এগুলো হলো—বাংলাদেশ প্রশাসনিক সার্ভিস, বাংলাদেশ বিচারিক সার্ভিস, বাংলাদেশ জননিরাপত্তা সার্ভিস, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র সার্ভিস, বাংলাদেশ হিসাব সার্ভিস, বাংলাদেশ নিরীক্ষা সার্ভিস, বাংলাদেশ রাজস্ব সার্ভিস, বাংলাদেশ প্রকৌশল সার্ভিস, বাংলাদেশ শিক্ষা সার্ভিস, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সার্ভিস, বাংলাদেশ কৃষি সার্ভিস, বাংলাদেশ তথ্য সার্ভিস এবং বাংলাদেশ তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সার্ভিস।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে দুটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করা হয়েছিল। একটি ক্যাডার সার্ভিসের জন্য এবং অপরটি নন–ক্যাডার সার্ভিসের জন্য। পরবর্তীতে দুটিকে একীভূত করা হয়।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রজাতন্ত্রের কর্মে জনবল নিয়োগের জন্য এখন তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করার সুপারিশ করা হলো। প্রতিটি কমিশনের সদস্য সংখ্যা হবে চেয়ারম্যানসহ ৮ জন।

কমিশনগুলো হবে—১. পাবলিক সার্ভিস কমিশন (সাধারণ): শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সার্ভিস ছাড়া অন্য সব সার্ভিসে নিয়োগ ও পদোন্নতি পরীক্ষা। ২. পাবলিক সার্ভিস কমিশন (শিক্ষা): শুধু শিক্ষা সার্ভিসে নিয়োগ ও পদোন্নতি পরীক্ষা। ৩. পাবলিক সার্ভিস কমিশন (স্বাস্থ্য): শুধু স্বাস্থ্য সার্ভিসে নিয়োগ ও পদোন্নতি পরীক্ষা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা সার্ভিস ও স্বাস্থ্য সার্ভিসের কর্মকর্তারা অন্যান্য সার্ভিসের সঙ্গে সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

প্রশাসন ক্যাডারের ক্ষমতা কমাতে ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করতে ‘সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস)’ নামে নতুন একটি সার্ভিস গঠনের প্রস্তাব করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। সরকারের উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত কর্মকর্তারা এই সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এই সার্ভিসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই পূরণ করা হবে প্রশাসনের শীর্ষ পদ— মন্ত্রিপরিষদসচিব, মুখ্যসচিবসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত