সুলতান মাহমুদ

কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার কামারপাড়া গ্রামের হুমাইরা আক্তার রুমকি। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই দাম্পত্য কলহ শুরু হলে চলে আসেন বাবার বাড়ি। সে সময় তিনি সন্তানসম্ভবা ছিলেন। স্বামী মমিনুল ইসলামও স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। রুমকি প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে থাকেন, হয়তো স্বামী তাঁকে নিতে আসবেন। কিন্তু দিন গড়িয়ে মাস পেরোয়, মমিনুল আসেন না।
রুমকি ও তাঁর বাবা-মা স্থানীয়দের মাধ্যমে মীমাংসার উদ্যোগ নেন। কিন্তু মমিনুল সাড়া দেন না। এর মধ্যে রুমকির কোলজুড়ে আসে একটি কন্যাসন্তান। এবার রুমকি ও তাঁর পরিবারের লোকজন আশায় বুক বেঁধে থাকেন। অন্তত সন্তানের মুখ দেখতে মমিনুল আসবেন। কিন্তু সেই আশার গুড়েও বালি!
রুমকির পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও প্রতিকার পায়নি। মমিনুল স্ত্রী-সন্তান কারও খোঁজ নেন না। রুমকির সন্তান আস্তে আস্তে হাঁটতে শেখে। কিন্তু বাবাকে দেখা হয় না। এভাবে কেটে যায় চারটি বছর। মমিনুল স্ত্রী-সন্তানকে দেখতে যান না, খোঁজও নেন না। রুমকির প্রতীক্ষার শেষ হয় না। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
অবশেষে রুমকির পরিবার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের শরণাপন্ন হয়। লিগ্যাল এইড অফিস থেকে মমিনুলকে নোটিশ করে কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে অভিযোগ শোনেন। মীমাংসার প্রস্তাব দেন। মমিনুলকে স্ত্রী ও সন্তানের গুরুত্ব বোঝানো হয়। আইনগত ঝামেলার বিষয়েও তাঁকে সতর্ক করা হয়। মমিনুল যেন সংজ্ঞা ফিরে পান! তিনি স্ত্রী-সন্তানকে বাড়িতে নিতে রাজি হন।
লিগ্যাল এইড অফিসারের উদ্যোগে মমিনুল-রুমকির চার বছরের দাম্পত্য কলহের অবসান ঘটে। তাঁদের মেয়ে পায় বাবাকে। বর্তমানে মমিনুল ও রুমকি মেয়েকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে সংসার করছেন।
রুমকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে আমার স্বামীর মধ্যে একটা পরিবর্তন আসছে। তিনি আর আগের মতো নেই। আমার ও মেয়ের ভরণপোষণও ঠিকমতো দিচ্ছেন। আমরা এখন ভালো আছি। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আমাদের চার বছরের কষ্টের অবসান হয়েছে। আমার মেয়ে তার বাবা পেয়েছে।’
রুমকি-মমিনুল দম্পতির মতো শত শত পরিবারের কলহ, নির্যাতন, প্রতারণা, পাওনা টাকা আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি ও আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। এসব সেবা মিলছে সম্পূর্ণ বিনা খরচে। এতে মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও অর্থ খরচ থেকে রেহাই পাচ্ছে শত শত পরিবার। মিলছে হয়রানি থেকে মুক্তি।
২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইনগত সহায়তা
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৯২৯ জনকে সহায়তা দিয়েছে। সংস্থাটি দেশব্যাপী আইনি সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫৬ জনকে আইনি পরামর্শ দিয়েছে। একই সময়ে সংস্থাটি ৮২ হাজার ৫৮৮টি বিরোধ/মামলা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করেছে এবং বিরোধে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ১৩৪ কোটি ৯০ লাখ ৬ হাজার ৪৯৮ টাকা আদায় করে দিয়েছে।
বিনা খরচে আইনগত সহায়তা পাবেন যেভাবে
অফিস চলাকালীন এই কল সেন্টারের ১৬৪৩০ নম্বরে যে কোনো মোবাইল/টেলিফোন থেকে কল করে আইনি পরামর্শ, আইনগত তথ্য, লিগ্যাল কাউন্সেলিং, মামলা করার প্রাথমিক তথ্য, সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কিত যেকোনো পরামর্শ, সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে যেকোনো অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ সম্পর্কিত সেবা পাওয়া যায়। এর জন্য কোনো কলচার্জ কাটা যায় না।
যাঁরা আইনগত সহায়তা পাবেন:
কোনো মামলায় বাদী, বিবাদী বা আসামি যে কেউ আইনগত সহায়তা পেতে পারেন। আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালা, ২০১৪-এর ধারা ২-এ বলা হয়েছে কারা আইনগত সহায়তা পাবেন।
এ ছাড়া আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০-এর উদ্দেশ্য পূরণে, সংস্থা সময়-সময় চিহ্নিত আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন, নানাবিধ আর্থসামাজিক এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো ব্যক্তি, যিনি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা বা মামলা পরিচালনায় অসমর্থ, তিনিও আইনগত সহায়তা পাবেন।
আইনগত সহায়তা পাওয়ার শর্ত
অনেকের মধ্যে এমন একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে, মামলা করার প্রয়োজন হলেই হয়তো জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাবে। কিন্তু মামলা করার প্রয়োজন ছাড়াও যেকোনো আইনগত পরামর্শের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা পাওয়া যায়। কোনো ব্যক্তি যখন কোনো প্রকারের আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হন, তখন জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা থেকে আইনি পরামর্শ নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে লিগ্যাল এইড অফিসার আইনগত পরামর্শ দেন, আপস-মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ করেন বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করেন বা মামলায় সহযোগিতা করেন। যেকোনো ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্ট, জেলায় অবস্থিত নিম্ন আদালত, শ্রম আদালতে আইনগত সহায়তা পেতে পারেন।
আইনগত সহায়তা প্রদান প্রবিধানমালা, ২০১৫-এর ধারা ৩ অনুযায়ী প্রত্যেক বিচারপ্রার্থীকে তাঁর নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং আইনগত সহায়তার কারণ উল্লেখ করে সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া সাদা কাগজে লিখেও আবেদন করা যায়।
আপিল বিভাগ বা হাইকোর্ট বিভাগে বিচারের বিষয় হলে সুপ্রিম কোর্ট কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। অন্যান্য আদালতে বিচারের বিষয় হলে জেলা কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। শ্রম আদালতে বিচারের বিষয় হলে শ্রম আদালতের বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে।
এ ছাড়া বিচারাধীন মামলার আইনগত সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতকে জানিয়ে সহযোগিতা পাওয়া যায়।
যেভাবে আবেদন করা যাবে
দুইভাবে আবেদন করা যায়। এক. অনলাইনে। দুই. সরাসরি লিগ্যাল এইড অফিসে গিয়ে। লিগ্যাল এইডের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করতে হবে।
যদি কেউ অনলাইনে আবেদন করেন, তাহলে ওই দিন তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লিগ্যাল এইড অফিস থেকে যোগাযোগ করে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় আবেদনটি গ্রহণ করা হবে কি না। যদি গ্রহণ করা হয়, তাহলে একটি আবেদন নম্বর তৈরি হবে। এরপর একটি নির্দিষ্ট তারিখে উভয় পক্ষকে লিগ্যাল এইড অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়।
যদি নির্দিষ্ট তারিখে উভয় পক্ষ আসে, তাহলে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। যদি অপর পক্ষ না আসে, তাহলে লিগ্যাল এইড অফিস থেকে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আর যদি সরাসরি কেউ লিগ্যাল এইড অফিসে গিয়ে হাজির হন, তাহলে সেখানে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা সেবাপ্রার্থী ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁর নাম-ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করবেন। এরপর উভয় পক্ষকে একটি নির্দিষ্ট দিনে লিগ্যাল এইড অফিসে আসার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হবে। যদি অপর পক্ষ না আসে তাহলে লিগ্যাল এইড অফিস থেকে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সশরীরে কোথায় যোগাযোগ করবেন
প্রতি জেলায় জেলা জজ আদালত ভবনে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির অফিস রয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ এর চেয়ারম্যান। সেখানে যোগাযোগ করলে লিগ্যাল এইড অফিসার ও কর্মচারীরা আইনগত সহায়তার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সহায়তা দেবেন। সুপ্রিম কোর্টের বিষয়ে আইনগত সহায়তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস রয়েছে।
এ ছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় উপজেলা কমিটি রয়েছে, উপজেলা চেয়ারম্যান ওই কমিটির চেয়ারম্যান। প্রতি ইউনিয়নে ইউনিয়ন কমিটি রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। কমিটিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনগত সহায়তার বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া যায়। এ ছাড়া জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত জাতীয় হেল্পলাইন থেকে সাহায্য নিয়ে যোগাযোগ করা যায়।
বিচারপ্রার্থী বা আইনগত সহায়তাপ্রার্থীর দায়িত্ব
আইনগত সহায়তা প্রদান প্রবিধানমালা, ২০১৫-এর ৪ ধারা মতে বিচারপ্রার্থীর কিছু দায়িত্ব রয়েছে। দায়িত্বগুলোর মধ্যে রয়েছে—আবেদন নির্ভুল হতে হবে এবং পরিপূর্ণ তথ্য দিতে হবে। কমিটি, লিগ্যাল এইড অফিসার এবং নিযুক্ত আইনজীবীকে সহায়তা করতে হবে। কমিটি যেসব শর্ত দেবে, তা পালন করতে হবে।
আইনজীবী নিয়োগ
আইনগত সহায়তা প্রদান প্রবিধানমালা, ২০১৫-এর ৫ ধারামতে, কোনো বিচারপ্রার্থীকে আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে মামলা পরিচালনার জন্য কমিটি তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের মধ্যে থেকে তিনজন আইনজীবীকে মনোনীত করবে এবং বিচারপ্রার্থীর সম্মতি সাপেক্ষে তাঁদের মধ্য থেকে একজনকে মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগ করা হবে।
(এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।)

কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার কামারপাড়া গ্রামের হুমাইরা আক্তার রুমকি। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই দাম্পত্য কলহ শুরু হলে চলে আসেন বাবার বাড়ি। সে সময় তিনি সন্তানসম্ভবা ছিলেন। স্বামী মমিনুল ইসলামও স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। রুমকি প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে থাকেন, হয়তো স্বামী তাঁকে নিতে আসবেন। কিন্তু দিন গড়িয়ে মাস পেরোয়, মমিনুল আসেন না।
রুমকি ও তাঁর বাবা-মা স্থানীয়দের মাধ্যমে মীমাংসার উদ্যোগ নেন। কিন্তু মমিনুল সাড়া দেন না। এর মধ্যে রুমকির কোলজুড়ে আসে একটি কন্যাসন্তান। এবার রুমকি ও তাঁর পরিবারের লোকজন আশায় বুক বেঁধে থাকেন। অন্তত সন্তানের মুখ দেখতে মমিনুল আসবেন। কিন্তু সেই আশার গুড়েও বালি!
রুমকির পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও প্রতিকার পায়নি। মমিনুল স্ত্রী-সন্তান কারও খোঁজ নেন না। রুমকির সন্তান আস্তে আস্তে হাঁটতে শেখে। কিন্তু বাবাকে দেখা হয় না। এভাবে কেটে যায় চারটি বছর। মমিনুল স্ত্রী-সন্তানকে দেখতে যান না, খোঁজও নেন না। রুমকির প্রতীক্ষার শেষ হয় না। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
অবশেষে রুমকির পরিবার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের শরণাপন্ন হয়। লিগ্যাল এইড অফিস থেকে মমিনুলকে নোটিশ করে কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে অভিযোগ শোনেন। মীমাংসার প্রস্তাব দেন। মমিনুলকে স্ত্রী ও সন্তানের গুরুত্ব বোঝানো হয়। আইনগত ঝামেলার বিষয়েও তাঁকে সতর্ক করা হয়। মমিনুল যেন সংজ্ঞা ফিরে পান! তিনি স্ত্রী-সন্তানকে বাড়িতে নিতে রাজি হন।
লিগ্যাল এইড অফিসারের উদ্যোগে মমিনুল-রুমকির চার বছরের দাম্পত্য কলহের অবসান ঘটে। তাঁদের মেয়ে পায় বাবাকে। বর্তমানে মমিনুল ও রুমকি মেয়েকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে সংসার করছেন।
রুমকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে আমার স্বামীর মধ্যে একটা পরিবর্তন আসছে। তিনি আর আগের মতো নেই। আমার ও মেয়ের ভরণপোষণও ঠিকমতো দিচ্ছেন। আমরা এখন ভালো আছি। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আমাদের চার বছরের কষ্টের অবসান হয়েছে। আমার মেয়ে তার বাবা পেয়েছে।’
রুমকি-মমিনুল দম্পতির মতো শত শত পরিবারের কলহ, নির্যাতন, প্রতারণা, পাওনা টাকা আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি ও আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। এসব সেবা মিলছে সম্পূর্ণ বিনা খরচে। এতে মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও অর্থ খরচ থেকে রেহাই পাচ্ছে শত শত পরিবার। মিলছে হয়রানি থেকে মুক্তি।
২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইনগত সহায়তা
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৯২৯ জনকে সহায়তা দিয়েছে। সংস্থাটি দেশব্যাপী আইনি সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫৬ জনকে আইনি পরামর্শ দিয়েছে। একই সময়ে সংস্থাটি ৮২ হাজার ৫৮৮টি বিরোধ/মামলা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করেছে এবং বিরোধে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ১৩৪ কোটি ৯০ লাখ ৬ হাজার ৪৯৮ টাকা আদায় করে দিয়েছে।
বিনা খরচে আইনগত সহায়তা পাবেন যেভাবে
অফিস চলাকালীন এই কল সেন্টারের ১৬৪৩০ নম্বরে যে কোনো মোবাইল/টেলিফোন থেকে কল করে আইনি পরামর্শ, আইনগত তথ্য, লিগ্যাল কাউন্সেলিং, মামলা করার প্রাথমিক তথ্য, সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কিত যেকোনো পরামর্শ, সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে যেকোনো অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ সম্পর্কিত সেবা পাওয়া যায়। এর জন্য কোনো কলচার্জ কাটা যায় না।
যাঁরা আইনগত সহায়তা পাবেন:
কোনো মামলায় বাদী, বিবাদী বা আসামি যে কেউ আইনগত সহায়তা পেতে পারেন। আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালা, ২০১৪-এর ধারা ২-এ বলা হয়েছে কারা আইনগত সহায়তা পাবেন।
এ ছাড়া আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০-এর উদ্দেশ্য পূরণে, সংস্থা সময়-সময় চিহ্নিত আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন, নানাবিধ আর্থসামাজিক এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো ব্যক্তি, যিনি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা বা মামলা পরিচালনায় অসমর্থ, তিনিও আইনগত সহায়তা পাবেন।
আইনগত সহায়তা পাওয়ার শর্ত
অনেকের মধ্যে এমন একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে, মামলা করার প্রয়োজন হলেই হয়তো জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাবে। কিন্তু মামলা করার প্রয়োজন ছাড়াও যেকোনো আইনগত পরামর্শের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা পাওয়া যায়। কোনো ব্যক্তি যখন কোনো প্রকারের আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হন, তখন জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা থেকে আইনি পরামর্শ নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে লিগ্যাল এইড অফিসার আইনগত পরামর্শ দেন, আপস-মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ করেন বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করেন বা মামলায় সহযোগিতা করেন। যেকোনো ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্ট, জেলায় অবস্থিত নিম্ন আদালত, শ্রম আদালতে আইনগত সহায়তা পেতে পারেন।
আইনগত সহায়তা প্রদান প্রবিধানমালা, ২০১৫-এর ধারা ৩ অনুযায়ী প্রত্যেক বিচারপ্রার্থীকে তাঁর নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং আইনগত সহায়তার কারণ উল্লেখ করে সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া সাদা কাগজে লিখেও আবেদন করা যায়।
আপিল বিভাগ বা হাইকোর্ট বিভাগে বিচারের বিষয় হলে সুপ্রিম কোর্ট কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। অন্যান্য আদালতে বিচারের বিষয় হলে জেলা কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। শ্রম আদালতে বিচারের বিষয় হলে শ্রম আদালতের বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে।
এ ছাড়া বিচারাধীন মামলার আইনগত সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতকে জানিয়ে সহযোগিতা পাওয়া যায়।
যেভাবে আবেদন করা যাবে
দুইভাবে আবেদন করা যায়। এক. অনলাইনে। দুই. সরাসরি লিগ্যাল এইড অফিসে গিয়ে। লিগ্যাল এইডের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করতে হবে।
যদি কেউ অনলাইনে আবেদন করেন, তাহলে ওই দিন তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লিগ্যাল এইড অফিস থেকে যোগাযোগ করে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় আবেদনটি গ্রহণ করা হবে কি না। যদি গ্রহণ করা হয়, তাহলে একটি আবেদন নম্বর তৈরি হবে। এরপর একটি নির্দিষ্ট তারিখে উভয় পক্ষকে লিগ্যাল এইড অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়।
যদি নির্দিষ্ট তারিখে উভয় পক্ষ আসে, তাহলে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। যদি অপর পক্ষ না আসে, তাহলে লিগ্যাল এইড অফিস থেকে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আর যদি সরাসরি কেউ লিগ্যাল এইড অফিসে গিয়ে হাজির হন, তাহলে সেখানে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা সেবাপ্রার্থী ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁর নাম-ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করবেন। এরপর উভয় পক্ষকে একটি নির্দিষ্ট দিনে লিগ্যাল এইড অফিসে আসার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হবে। যদি অপর পক্ষ না আসে তাহলে লিগ্যাল এইড অফিস থেকে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সশরীরে কোথায় যোগাযোগ করবেন
প্রতি জেলায় জেলা জজ আদালত ভবনে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির অফিস রয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ এর চেয়ারম্যান। সেখানে যোগাযোগ করলে লিগ্যাল এইড অফিসার ও কর্মচারীরা আইনগত সহায়তার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সহায়তা দেবেন। সুপ্রিম কোর্টের বিষয়ে আইনগত সহায়তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস রয়েছে।
এ ছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় উপজেলা কমিটি রয়েছে, উপজেলা চেয়ারম্যান ওই কমিটির চেয়ারম্যান। প্রতি ইউনিয়নে ইউনিয়ন কমিটি রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। কমিটিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনগত সহায়তার বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া যায়। এ ছাড়া জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত জাতীয় হেল্পলাইন থেকে সাহায্য নিয়ে যোগাযোগ করা যায়।
বিচারপ্রার্থী বা আইনগত সহায়তাপ্রার্থীর দায়িত্ব
আইনগত সহায়তা প্রদান প্রবিধানমালা, ২০১৫-এর ৪ ধারা মতে বিচারপ্রার্থীর কিছু দায়িত্ব রয়েছে। দায়িত্বগুলোর মধ্যে রয়েছে—আবেদন নির্ভুল হতে হবে এবং পরিপূর্ণ তথ্য দিতে হবে। কমিটি, লিগ্যাল এইড অফিসার এবং নিযুক্ত আইনজীবীকে সহায়তা করতে হবে। কমিটি যেসব শর্ত দেবে, তা পালন করতে হবে।
আইনজীবী নিয়োগ
আইনগত সহায়তা প্রদান প্রবিধানমালা, ২০১৫-এর ৫ ধারামতে, কোনো বিচারপ্রার্থীকে আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে মামলা পরিচালনার জন্য কমিটি তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের মধ্যে থেকে তিনজন আইনজীবীকে মনোনীত করবে এবং বিচারপ্রার্থীর সম্মতি সাপেক্ষে তাঁদের মধ্য থেকে একজনকে মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগ করা হবে।
(এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।)
সুলতান মাহমুদ

কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার কামারপাড়া গ্রামের হুমাইরা আক্তার রুমকি। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই দাম্পত্য কলহ শুরু হলে চলে আসেন বাবার বাড়ি। সে সময় তিনি সন্তানসম্ভবা ছিলেন। স্বামী মমিনুল ইসলামও স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। রুমকি প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে থাকেন, হয়তো স্বামী তাঁকে নিতে আসবেন। কিন্তু দিন গড়িয়ে মাস পেরোয়, মমিনুল আসেন না।
রুমকি ও তাঁর বাবা-মা স্থানীয়দের মাধ্যমে মীমাংসার উদ্যোগ নেন। কিন্তু মমিনুল সাড়া দেন না। এর মধ্যে রুমকির কোলজুড়ে আসে একটি কন্যাসন্তান। এবার রুমকি ও তাঁর পরিবারের লোকজন আশায় বুক বেঁধে থাকেন। অন্তত সন্তানের মুখ দেখতে মমিনুল আসবেন। কিন্তু সেই আশার গুড়েও বালি!
রুমকির পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও প্রতিকার পায়নি। মমিনুল স্ত্রী-সন্তান কারও খোঁজ নেন না। রুমকির সন্তান আস্তে আস্তে হাঁটতে শেখে। কিন্তু বাবাকে দেখা হয় না। এভাবে কেটে যায় চারটি বছর। মমিনুল স্ত্রী-সন্তানকে দেখতে যান না, খোঁজও নেন না। রুমকির প্রতীক্ষার শেষ হয় না। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
অবশেষে রুমকির পরিবার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের শরণাপন্ন হয়। লিগ্যাল এইড অফিস থেকে মমিনুলকে নোটিশ করে কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে অভিযোগ শোনেন। মীমাংসার প্রস্তাব দেন। মমিনুলকে স্ত্রী ও সন্তানের গুরুত্ব বোঝানো হয়। আইনগত ঝামেলার বিষয়েও তাঁকে সতর্ক করা হয়। মমিনুল যেন সংজ্ঞা ফিরে পান! তিনি স্ত্রী-সন্তানকে বাড়িতে নিতে রাজি হন।
লিগ্যাল এইড অফিসারের উদ্যোগে মমিনুল-রুমকির চার বছরের দাম্পত্য কলহের অবসান ঘটে। তাঁদের মেয়ে পায় বাবাকে। বর্তমানে মমিনুল ও রুমকি মেয়েকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে সংসার করছেন।
রুমকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে আমার স্বামীর মধ্যে একটা পরিবর্তন আসছে। তিনি আর আগের মতো নেই। আমার ও মেয়ের ভরণপোষণও ঠিকমতো দিচ্ছেন। আমরা এখন ভালো আছি। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আমাদের চার বছরের কষ্টের অবসান হয়েছে। আমার মেয়ে তার বাবা পেয়েছে।’
রুমকি-মমিনুল দম্পতির মতো শত শত পরিবারের কলহ, নির্যাতন, প্রতারণা, পাওনা টাকা আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি ও আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। এসব সেবা মিলছে সম্পূর্ণ বিনা খরচে। এতে মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও অর্থ খরচ থেকে রেহাই পাচ্ছে শত শত পরিবার। মিলছে হয়রানি থেকে মুক্তি।
২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইনগত সহায়তা
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৯২৯ জনকে সহায়তা দিয়েছে। সংস্থাটি দেশব্যাপী আইনি সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫৬ জনকে আইনি পরামর্শ দিয়েছে। একই সময়ে সংস্থাটি ৮২ হাজার ৫৮৮টি বিরোধ/মামলা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করেছে এবং বিরোধে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ১৩৪ কোটি ৯০ লাখ ৬ হাজার ৪৯৮ টাকা আদায় করে দিয়েছে।
বিনা খরচে আইনগত সহায়তা পাবেন যেভাবে
অফিস চলাকালীন এই কল সেন্টারের ১৬৪৩০ নম্বরে যে কোনো মোবাইল/টেলিফোন থেকে কল করে আইনি পরামর্শ, আইনগত তথ্য, লিগ্যাল কাউন্সেলিং, মামলা করার প্রাথমিক তথ্য, সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কিত যেকোনো পরামর্শ, সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে যেকোনো অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ সম্পর্কিত সেবা পাওয়া যায়। এর জন্য কোনো কলচার্জ কাটা যায় না।
যাঁরা আইনগত সহায়তা পাবেন:
কোনো মামলায় বাদী, বিবাদী বা আসামি যে কেউ আইনগত সহায়তা পেতে পারেন। আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালা, ২০১৪-এর ধারা ২-এ বলা হয়েছে কারা আইনগত সহায়তা পাবেন।
এ ছাড়া আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০-এর উদ্দেশ্য পূরণে, সংস্থা সময়-সময় চিহ্নিত আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন, নানাবিধ আর্থসামাজিক এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো ব্যক্তি, যিনি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা বা মামলা পরিচালনায় অসমর্থ, তিনিও আইনগত সহায়তা পাবেন।
আইনগত সহায়তা পাওয়ার শর্ত
অনেকের মধ্যে এমন একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে, মামলা করার প্রয়োজন হলেই হয়তো জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাবে। কিন্তু মামলা করার প্রয়োজন ছাড়াও যেকোনো আইনগত পরামর্শের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা পাওয়া যায়। কোনো ব্যক্তি যখন কোনো প্রকারের আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হন, তখন জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা থেকে আইনি পরামর্শ নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে লিগ্যাল এইড অফিসার আইনগত পরামর্শ দেন, আপস-মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ করেন বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করেন বা মামলায় সহযোগিতা করেন। যেকোনো ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্ট, জেলায় অবস্থিত নিম্ন আদালত, শ্রম আদালতে আইনগত সহায়তা পেতে পারেন।
আইনগত সহায়তা প্রদান প্রবিধানমালা, ২০১৫-এর ধারা ৩ অনুযায়ী প্রত্যেক বিচারপ্রার্থীকে তাঁর নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং আইনগত সহায়তার কারণ উল্লেখ করে সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া সাদা কাগজে লিখেও আবেদন করা যায়।
আপিল বিভাগ বা হাইকোর্ট বিভাগে বিচারের বিষয় হলে সুপ্রিম কোর্ট কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। অন্যান্য আদালতে বিচারের বিষয় হলে জেলা কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। শ্রম আদালতে বিচারের বিষয় হলে শ্রম আদালতের বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে।
এ ছাড়া বিচারাধীন মামলার আইনগত সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতকে জানিয়ে সহযোগিতা পাওয়া যায়।
যেভাবে আবেদন করা যাবে
দুইভাবে আবেদন করা যায়। এক. অনলাইনে। দুই. সরাসরি লিগ্যাল এইড অফিসে গিয়ে। লিগ্যাল এইডের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করতে হবে।
যদি কেউ অনলাইনে আবেদন করেন, তাহলে ওই দিন তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লিগ্যাল এইড অফিস থেকে যোগাযোগ করে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় আবেদনটি গ্রহণ করা হবে কি না। যদি গ্রহণ করা হয়, তাহলে একটি আবেদন নম্বর তৈরি হবে। এরপর একটি নির্দিষ্ট তারিখে উভয় পক্ষকে লিগ্যাল এইড অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়।
যদি নির্দিষ্ট তারিখে উভয় পক্ষ আসে, তাহলে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। যদি অপর পক্ষ না আসে, তাহলে লিগ্যাল এইড অফিস থেকে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আর যদি সরাসরি কেউ লিগ্যাল এইড অফিসে গিয়ে হাজির হন, তাহলে সেখানে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা সেবাপ্রার্থী ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁর নাম-ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করবেন। এরপর উভয় পক্ষকে একটি নির্দিষ্ট দিনে লিগ্যাল এইড অফিসে আসার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হবে। যদি অপর পক্ষ না আসে তাহলে লিগ্যাল এইড অফিস থেকে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সশরীরে কোথায় যোগাযোগ করবেন
প্রতি জেলায় জেলা জজ আদালত ভবনে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির অফিস রয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ এর চেয়ারম্যান। সেখানে যোগাযোগ করলে লিগ্যাল এইড অফিসার ও কর্মচারীরা আইনগত সহায়তার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সহায়তা দেবেন। সুপ্রিম কোর্টের বিষয়ে আইনগত সহায়তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস রয়েছে।
এ ছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় উপজেলা কমিটি রয়েছে, উপজেলা চেয়ারম্যান ওই কমিটির চেয়ারম্যান। প্রতি ইউনিয়নে ইউনিয়ন কমিটি রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। কমিটিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনগত সহায়তার বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া যায়। এ ছাড়া জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত জাতীয় হেল্পলাইন থেকে সাহায্য নিয়ে যোগাযোগ করা যায়।
বিচারপ্রার্থী বা আইনগত সহায়তাপ্রার্থীর দায়িত্ব
আইনগত সহায়তা প্রদান প্রবিধানমালা, ২০১৫-এর ৪ ধারা মতে বিচারপ্রার্থীর কিছু দায়িত্ব রয়েছে। দায়িত্বগুলোর মধ্যে রয়েছে—আবেদন নির্ভুল হতে হবে এবং পরিপূর্ণ তথ্য দিতে হবে। কমিটি, লিগ্যাল এইড অফিসার এবং নিযুক্ত আইনজীবীকে সহায়তা করতে হবে। কমিটি যেসব শর্ত দেবে, তা পালন করতে হবে।
আইনজীবী নিয়োগ
আইনগত সহায়তা প্রদান প্রবিধানমালা, ২০১৫-এর ৫ ধারামতে, কোনো বিচারপ্রার্থীকে আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে মামলা পরিচালনার জন্য কমিটি তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের মধ্যে থেকে তিনজন আইনজীবীকে মনোনীত করবে এবং বিচারপ্রার্থীর সম্মতি সাপেক্ষে তাঁদের মধ্য থেকে একজনকে মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগ করা হবে।
(এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।)

কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার কামারপাড়া গ্রামের হুমাইরা আক্তার রুমকি। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই দাম্পত্য কলহ শুরু হলে চলে আসেন বাবার বাড়ি। সে সময় তিনি সন্তানসম্ভবা ছিলেন। স্বামী মমিনুল ইসলামও স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। রুমকি প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে থাকেন, হয়তো স্বামী তাঁকে নিতে আসবেন। কিন্তু দিন গড়িয়ে মাস পেরোয়, মমিনুল আসেন না।
রুমকি ও তাঁর বাবা-মা স্থানীয়দের মাধ্যমে মীমাংসার উদ্যোগ নেন। কিন্তু মমিনুল সাড়া দেন না। এর মধ্যে রুমকির কোলজুড়ে আসে একটি কন্যাসন্তান। এবার রুমকি ও তাঁর পরিবারের লোকজন আশায় বুক বেঁধে থাকেন। অন্তত সন্তানের মুখ দেখতে মমিনুল আসবেন। কিন্তু সেই আশার গুড়েও বালি!
রুমকির পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও প্রতিকার পায়নি। মমিনুল স্ত্রী-সন্তান কারও খোঁজ নেন না। রুমকির সন্তান আস্তে আস্তে হাঁটতে শেখে। কিন্তু বাবাকে দেখা হয় না। এভাবে কেটে যায় চারটি বছর। মমিনুল স্ত্রী-সন্তানকে দেখতে যান না, খোঁজও নেন না। রুমকির প্রতীক্ষার শেষ হয় না। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
অবশেষে রুমকির পরিবার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের শরণাপন্ন হয়। লিগ্যাল এইড অফিস থেকে মমিনুলকে নোটিশ করে কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে অভিযোগ শোনেন। মীমাংসার প্রস্তাব দেন। মমিনুলকে স্ত্রী ও সন্তানের গুরুত্ব বোঝানো হয়। আইনগত ঝামেলার বিষয়েও তাঁকে সতর্ক করা হয়। মমিনুল যেন সংজ্ঞা ফিরে পান! তিনি স্ত্রী-সন্তানকে বাড়িতে নিতে রাজি হন।
লিগ্যাল এইড অফিসারের উদ্যোগে মমিনুল-রুমকির চার বছরের দাম্পত্য কলহের অবসান ঘটে। তাঁদের মেয়ে পায় বাবাকে। বর্তমানে মমিনুল ও রুমকি মেয়েকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে সংসার করছেন।
রুমকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে আমার স্বামীর মধ্যে একটা পরিবর্তন আসছে। তিনি আর আগের মতো নেই। আমার ও মেয়ের ভরণপোষণও ঠিকমতো দিচ্ছেন। আমরা এখন ভালো আছি। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আমাদের চার বছরের কষ্টের অবসান হয়েছে। আমার মেয়ে তার বাবা পেয়েছে।’
রুমকি-মমিনুল দম্পতির মতো শত শত পরিবারের কলহ, নির্যাতন, প্রতারণা, পাওনা টাকা আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি ও আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। এসব সেবা মিলছে সম্পূর্ণ বিনা খরচে। এতে মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও অর্থ খরচ থেকে রেহাই পাচ্ছে শত শত পরিবার। মিলছে হয়রানি থেকে মুক্তি।
২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইনগত সহায়তা
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৯২৯ জনকে সহায়তা দিয়েছে। সংস্থাটি দেশব্যাপী আইনি সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫৬ জনকে আইনি পরামর্শ দিয়েছে। একই সময়ে সংস্থাটি ৮২ হাজার ৫৮৮টি বিরোধ/মামলা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করেছে এবং বিরোধে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ১৩৪ কোটি ৯০ লাখ ৬ হাজার ৪৯৮ টাকা আদায় করে দিয়েছে।
বিনা খরচে আইনগত সহায়তা পাবেন যেভাবে
অফিস চলাকালীন এই কল সেন্টারের ১৬৪৩০ নম্বরে যে কোনো মোবাইল/টেলিফোন থেকে কল করে আইনি পরামর্শ, আইনগত তথ্য, লিগ্যাল কাউন্সেলিং, মামলা করার প্রাথমিক তথ্য, সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কিত যেকোনো পরামর্শ, সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে যেকোনো অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ সম্পর্কিত সেবা পাওয়া যায়। এর জন্য কোনো কলচার্জ কাটা যায় না।
যাঁরা আইনগত সহায়তা পাবেন:
কোনো মামলায় বাদী, বিবাদী বা আসামি যে কেউ আইনগত সহায়তা পেতে পারেন। আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালা, ২০১৪-এর ধারা ২-এ বলা হয়েছে কারা আইনগত সহায়তা পাবেন।
এ ছাড়া আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০-এর উদ্দেশ্য পূরণে, সংস্থা সময়-সময় চিহ্নিত আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন, নানাবিধ আর্থসামাজিক এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো ব্যক্তি, যিনি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা বা মামলা পরিচালনায় অসমর্থ, তিনিও আইনগত সহায়তা পাবেন।
আইনগত সহায়তা পাওয়ার শর্ত
অনেকের মধ্যে এমন একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে, মামলা করার প্রয়োজন হলেই হয়তো জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাবে। কিন্তু মামলা করার প্রয়োজন ছাড়াও যেকোনো আইনগত পরামর্শের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা পাওয়া যায়। কোনো ব্যক্তি যখন কোনো প্রকারের আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হন, তখন জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা থেকে আইনি পরামর্শ নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে লিগ্যাল এইড অফিসার আইনগত পরামর্শ দেন, আপস-মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ করেন বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করেন বা মামলায় সহযোগিতা করেন। যেকোনো ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্ট, জেলায় অবস্থিত নিম্ন আদালত, শ্রম আদালতে আইনগত সহায়তা পেতে পারেন।
আইনগত সহায়তা প্রদান প্রবিধানমালা, ২০১৫-এর ধারা ৩ অনুযায়ী প্রত্যেক বিচারপ্রার্থীকে তাঁর নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং আইনগত সহায়তার কারণ উল্লেখ করে সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া সাদা কাগজে লিখেও আবেদন করা যায়।
আপিল বিভাগ বা হাইকোর্ট বিভাগে বিচারের বিষয় হলে সুপ্রিম কোর্ট কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। অন্যান্য আদালতে বিচারের বিষয় হলে জেলা কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। শ্রম আদালতে বিচারের বিষয় হলে শ্রম আদালতের বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে।
এ ছাড়া বিচারাধীন মামলার আইনগত সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতকে জানিয়ে সহযোগিতা পাওয়া যায়।
যেভাবে আবেদন করা যাবে
দুইভাবে আবেদন করা যায়। এক. অনলাইনে। দুই. সরাসরি লিগ্যাল এইড অফিসে গিয়ে। লিগ্যাল এইডের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করতে হবে।
যদি কেউ অনলাইনে আবেদন করেন, তাহলে ওই দিন তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লিগ্যাল এইড অফিস থেকে যোগাযোগ করে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় আবেদনটি গ্রহণ করা হবে কি না। যদি গ্রহণ করা হয়, তাহলে একটি আবেদন নম্বর তৈরি হবে। এরপর একটি নির্দিষ্ট তারিখে উভয় পক্ষকে লিগ্যাল এইড অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়।
যদি নির্দিষ্ট তারিখে উভয় পক্ষ আসে, তাহলে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। যদি অপর পক্ষ না আসে, তাহলে লিগ্যাল এইড অফিস থেকে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আর যদি সরাসরি কেউ লিগ্যাল এইড অফিসে গিয়ে হাজির হন, তাহলে সেখানে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা সেবাপ্রার্থী ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁর নাম-ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করবেন। এরপর উভয় পক্ষকে একটি নির্দিষ্ট দিনে লিগ্যাল এইড অফিসে আসার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হবে। যদি অপর পক্ষ না আসে তাহলে লিগ্যাল এইড অফিস থেকে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সশরীরে কোথায় যোগাযোগ করবেন
প্রতি জেলায় জেলা জজ আদালত ভবনে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির অফিস রয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ এর চেয়ারম্যান। সেখানে যোগাযোগ করলে লিগ্যাল এইড অফিসার ও কর্মচারীরা আইনগত সহায়তার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সহায়তা দেবেন। সুপ্রিম কোর্টের বিষয়ে আইনগত সহায়তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস রয়েছে।
এ ছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় উপজেলা কমিটি রয়েছে, উপজেলা চেয়ারম্যান ওই কমিটির চেয়ারম্যান। প্রতি ইউনিয়নে ইউনিয়ন কমিটি রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। কমিটিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনগত সহায়তার বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া যায়। এ ছাড়া জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত জাতীয় হেল্পলাইন থেকে সাহায্য নিয়ে যোগাযোগ করা যায়।
বিচারপ্রার্থী বা আইনগত সহায়তাপ্রার্থীর দায়িত্ব
আইনগত সহায়তা প্রদান প্রবিধানমালা, ২০১৫-এর ৪ ধারা মতে বিচারপ্রার্থীর কিছু দায়িত্ব রয়েছে। দায়িত্বগুলোর মধ্যে রয়েছে—আবেদন নির্ভুল হতে হবে এবং পরিপূর্ণ তথ্য দিতে হবে। কমিটি, লিগ্যাল এইড অফিসার এবং নিযুক্ত আইনজীবীকে সহায়তা করতে হবে। কমিটি যেসব শর্ত দেবে, তা পালন করতে হবে।
আইনজীবী নিয়োগ
আইনগত সহায়তা প্রদান প্রবিধানমালা, ২০১৫-এর ৫ ধারামতে, কোনো বিচারপ্রার্থীকে আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে মামলা পরিচালনার জন্য কমিটি তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের মধ্যে থেকে তিনজন আইনজীবীকে মনোনীত করবে এবং বিচারপ্রার্থীর সম্মতি সাপেক্ষে তাঁদের মধ্য থেকে একজনকে মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগ করা হবে।
(এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।)

আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
৩৪ মিনিট আগে
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণকাজ না করেই আগাম অর্থ উত্তোলন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দেওয়া হবে একই দিন।
১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং চীনের সঙ্গেও ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি, এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, আমরা একটি ভারসাম্য বজায় রেখেছি।’
উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পারস্পরিক সম্মান ও গঠনমূলক সহযোগিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। সরকার কোনো নির্দিষ্ট দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এড়িয়ে চলার প্রয়োজন মনে করে না।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতের সরকারও এই ভারসাম্যপূর্ণ নীতি বজায় রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশ তার আকার ও শক্তির তুলনায় আন্তর্জাতিকভাবে যথেষ্ট মনোযোগ পাচ্ছে। যারা আমাদের চেয়ে বড় ও শক্তিশালী, তারা স্বাভাবিকভাবেই বেশি দৃশ্যমান। তবে আমাদের অবস্থান বিবেচনায় আমাদের উপস্থিতি ছোট নয়—আমরা সর্বত্র দৃশ্যমানতা বজায় রাখছি।’
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি বাস্তবসম্মত, অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
সম্প্রতি মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির শুনানিতে বাংলাদেশের জন্য মনোনীত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হলে তিনি ঢাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন এবং এই অঞ্চলে ‘চীনের কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকি’ তুলে ধরবেন।
ক্রিস্টেনসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে সমর্থন করে।
তিনি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের টিমকে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী, যাতে অন্তর্বর্তী সরকার ও ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।
বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির অনুপাতে বৈশ্বিক অঙ্গনে দেশের মর্যাদা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং চীনের সঙ্গেও ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি, এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, আমরা একটি ভারসাম্য বজায় রেখেছি।’
উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পারস্পরিক সম্মান ও গঠনমূলক সহযোগিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। সরকার কোনো নির্দিষ্ট দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এড়িয়ে চলার প্রয়োজন মনে করে না।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতের সরকারও এই ভারসাম্যপূর্ণ নীতি বজায় রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশ তার আকার ও শক্তির তুলনায় আন্তর্জাতিকভাবে যথেষ্ট মনোযোগ পাচ্ছে। যারা আমাদের চেয়ে বড় ও শক্তিশালী, তারা স্বাভাবিকভাবেই বেশি দৃশ্যমান। তবে আমাদের অবস্থান বিবেচনায় আমাদের উপস্থিতি ছোট নয়—আমরা সর্বত্র দৃশ্যমানতা বজায় রাখছি।’
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি বাস্তবসম্মত, অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
সম্প্রতি মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির শুনানিতে বাংলাদেশের জন্য মনোনীত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হলে তিনি ঢাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন এবং এই অঞ্চলে ‘চীনের কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকি’ তুলে ধরবেন।
ক্রিস্টেনসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে সমর্থন করে।
তিনি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের টিমকে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী, যাতে অন্তর্বর্তী সরকার ও ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।
বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির অনুপাতে বৈশ্বিক অঙ্গনে দেশের মর্যাদা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

পরিবারের কলহ, নির্যাতন, প্রতারণা, পাওনা টাকা আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি ও আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। এসব সেবা মিলছে সম্পূর্ণ বিনা খরচে। এতে মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও অর্থ খরচ থেকে রেহাই পাচ্ছে শত শত পরিবার। মিলছে হয়রানি থেকে মুক্তি।
২৮ এপ্রিল ২০২৩
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণকাজ না করেই আগাম অর্থ উত্তোলন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দেওয়া হবে একই দিন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহারকে আদালতের বারান্দায় মারধর করা হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার খায়রুল বাশারের জামিন আবেদন শুনানির জন্য তাঁকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরির পাশাপাশি মূল সড়ক ব্যবহার না করে কৌশলে অন্য পথ দিয়ে এজলাসে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ।
ওই পথ ধরে এজলাসের দরজায় পৌঁছানোর সময় হঠাৎ কয়েকজন ব্যক্তি খায়রুল বাশারের ওপর হামলা চালান। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে খায়রুল বাশারকে এজলাসের ভেতরে নিয়ে যায়।
পরে ৯৯টি মামলায় জামিন শুনানি করেন তাঁর আইনজীবীরা। আদালত ১৪ মামলায় জামিন দেন। অন্য ৭৫ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান।
বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খায়রুল বাশারের বিরুদ্ধে তিন শর বেশি মামলা রয়েছে।
গত ১৪ জুলাই খায়রুল বাশারকে আটক করা হয়। পর্যায়ক্রমে তাঁকে শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কয়েক মামলায় তাঁকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়।
খায়রুল বাশারকে আজ আদালতে হাজির করা হবে জেনে বেশ কয়েকজন অভিযোগকারী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই সুযোগ বুঝে তাঁর ওপর হামলা করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহারকে আদালতের বারান্দায় মারধর করা হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার খায়রুল বাশারের জামিন আবেদন শুনানির জন্য তাঁকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরির পাশাপাশি মূল সড়ক ব্যবহার না করে কৌশলে অন্য পথ দিয়ে এজলাসে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ।
ওই পথ ধরে এজলাসের দরজায় পৌঁছানোর সময় হঠাৎ কয়েকজন ব্যক্তি খায়রুল বাশারের ওপর হামলা চালান। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে খায়রুল বাশারকে এজলাসের ভেতরে নিয়ে যায়।
পরে ৯৯টি মামলায় জামিন শুনানি করেন তাঁর আইনজীবীরা। আদালত ১৪ মামলায় জামিন দেন। অন্য ৭৫ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান।
বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খায়রুল বাশারের বিরুদ্ধে তিন শর বেশি মামলা রয়েছে।
গত ১৪ জুলাই খায়রুল বাশারকে আটক করা হয়। পর্যায়ক্রমে তাঁকে শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কয়েক মামলায় তাঁকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়।
খায়রুল বাশারকে আজ আদালতে হাজির করা হবে জেনে বেশ কয়েকজন অভিযোগকারী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই সুযোগ বুঝে তাঁর ওপর হামলা করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

পরিবারের কলহ, নির্যাতন, প্রতারণা, পাওনা টাকা আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি ও আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। এসব সেবা মিলছে সম্পূর্ণ বিনা খরচে। এতে মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও অর্থ খরচ থেকে রেহাই পাচ্ছে শত শত পরিবার। মিলছে হয়রানি থেকে মুক্তি।
২৮ এপ্রিল ২০২৩
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
৩৪ মিনিট আগে
রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণকাজ না করেই আগাম অর্থ উত্তোলন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দেওয়া হবে একই দিন।
১ ঘণ্টা আগেগাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণকাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণকাজ না করেই আগাম অর্থ উত্তোলন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক স্বপন কুমার রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. ছাবের আলী, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শামস জাভেদ এবং মেসার্স নির্মাণ প্রকৌশলের মালিক আবু সাইদ খান।
মামলার এজাহার বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার কাজ সম্পন্ন না করেই বিল উত্তোলন করেছেন। এভাবে তাঁরা ১ কোটি ২২ লাখ ১৯ হাজার ৮০৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ে করা হয়েছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বিল্ডিংয়ে নির্মাণকাজ সম্পন্ন না করে অতিরিক্ত বিল পরিশোধের অভিযোগে একটি দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায় দুদক। দুদকের অভিযানে অভিযোগর সত্যতা থাকায় কমিশন মামলা অনুমোদন করে।

রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণকাজ না করেই আগাম অর্থ উত্তোলন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক স্বপন কুমার রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. ছাবের আলী, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শামস জাভেদ এবং মেসার্স নির্মাণ প্রকৌশলের মালিক আবু সাইদ খান।
মামলার এজাহার বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার কাজ সম্পন্ন না করেই বিল উত্তোলন করেছেন। এভাবে তাঁরা ১ কোটি ২২ লাখ ১৯ হাজার ৮০৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ে করা হয়েছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বিল্ডিংয়ে নির্মাণকাজ সম্পন্ন না করে অতিরিক্ত বিল পরিশোধের অভিযোগে একটি দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায় দুদক। দুদকের অভিযানে অভিযোগর সত্যতা থাকায় কমিশন মামলা অনুমোদন করে।

পরিবারের কলহ, নির্যাতন, প্রতারণা, পাওনা টাকা আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি ও আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। এসব সেবা মিলছে সম্পূর্ণ বিনা খরচে। এতে মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও অর্থ খরচ থেকে রেহাই পাচ্ছে শত শত পরিবার। মিলছে হয়রানি থেকে মুক্তি।
২৮ এপ্রিল ২০২৩
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
৩৪ মিনিট আগে
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দেওয়া হবে একই দিন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দেওয়া হবে একই দিন।
আজ মঙ্গলবার পৃথক শুনানি শেষে এদিন ধার্য করেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তিনি শুনানিতে বলেন, ‘ইনুর বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগই সত্য নয়। কারণ, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় তিনি কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিলেন না। অথচ তাঁকে সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটির আওতায় এনেছে প্রসিকিউশন।’ তিনি ইনুর অব্যাহতির আবেদন জানান।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শুনানিতে বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতা ছিলেন হাসানুল হক ইনু। জুলাই-আগস্টের আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সব পরিকল্পনায় ছিলেন জোট নেতারা। শেখ হাসিনার সঙ্গে ইনুর কথোপকথনের মাধ্যমেও কমান্ড রেসপনসিবিলিটি প্রমাণ করে।’
এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী ও কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি চার আসামির অব্যাহতির আবেদন করেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে গত ২৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। তবে আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দেওয়া হবে একই দিন।
আজ মঙ্গলবার পৃথক শুনানি শেষে এদিন ধার্য করেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তিনি শুনানিতে বলেন, ‘ইনুর বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগই সত্য নয়। কারণ, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় তিনি কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিলেন না। অথচ তাঁকে সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটির আওতায় এনেছে প্রসিকিউশন।’ তিনি ইনুর অব্যাহতির আবেদন জানান।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শুনানিতে বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতা ছিলেন হাসানুল হক ইনু। জুলাই-আগস্টের আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সব পরিকল্পনায় ছিলেন জোট নেতারা। শেখ হাসিনার সঙ্গে ইনুর কথোপকথনের মাধ্যমেও কমান্ড রেসপনসিবিলিটি প্রমাণ করে।’
এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী ও কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি চার আসামির অব্যাহতির আবেদন করেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে গত ২৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। তবে আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

পরিবারের কলহ, নির্যাতন, প্রতারণা, পাওনা টাকা আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি ও আইনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। এসব সেবা মিলছে সম্পূর্ণ বিনা খরচে। এতে মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও অর্থ খরচ থেকে রেহাই পাচ্ছে শত শত পরিবার। মিলছে হয়রানি থেকে মুক্তি।
২৮ এপ্রিল ২০২৩
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
৩৪ মিনিট আগে
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণকাজ না করেই আগাম অর্থ উত্তোলন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে