Ajker Patrika

জামায়াত ৭০ অনুচ্ছেদ রাখার পক্ষে, বিএনপি চায় সংস্কার

  • মুক্তিযুদ্ধ মেনে নিয়েই জুলাই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতির প্রস্তাব জামায়াতের।
  • প্রায় সব দলই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের সুপারিশ করেছে কমিশনে।
  • সংবিধান পুনর্লিখনের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও এবি পার্টি।
তানিম আহমেদ, ঢাকা 
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪: ৪৫
জামায়াত ৭০ অনুচ্ছেদ রাখার পক্ষে, বিএনপি চায় সংস্কার

বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম বিতর্কিত অংশ ৭০ অনুচ্ছেদ। এই অনুচ্ছেদের কারণে সংসদ সদস্যরা (এমপি) দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দিতে পারেন না। ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে সংবিধান থেকে এই অনুচ্ছেদের বিলোপ চায় অনেক রাজনৈতিক দল। বিএনপিসহ কিছু দল চায় ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার বা সংশোধন, যাতে অর্থবিল ও অনাস্থা ভোট ছাড়া বাকি সব বিষয়ে এমপিরা দলে বিপক্ষে কথা বলতে পারেন। তবে এখনই ৭০ অনুচ্ছেদে হাত দেওয়ার পক্ষে নয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া প্রস্তাব পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

অধ্যাপক আলী রিয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশনে মোট ৩৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট সংস্কার নিয়ে লিখিত প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। এর মধ্যে বেশির ভাগ দলই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল বা সংস্কার চেয়েছে। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম জামায়াতে ইসলামী। দলটি তাদের প্রস্তাবে অনুচ্ছেদ ৬৭ ও ৭০ নিয়ে বলেছে—‘ফ্লোর ক্রসিং বর্তমানে বন্ধ করা উচিত নয়। এটি সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা স্থিতিশীল করতে যুক্ত করা হয়েছিল। আমরা এটি আরও দুই মেয়াদ পর্যন্ত রাখতে চাই।...যদি রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার হয়, তাহলে এমপিদের বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে, তখন অনুচ্ছেদ ৭০ পুনর্বিবেচনা করা যাবে।’

বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দিলে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে। এই বিধানের পরিবর্তন চেয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এমপিরা অর্থবিল ছাড়া সবক্ষেত্রে দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে—এমন সুপারিশ হয় কমিশনের প্রস্তাবে।

কমিশনের এই সুপারিশের সঙ্গে অনেকটি মিল আছে বিএনপির প্রস্তাবের।

কমিশনকে দেওয়া বিএনপি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংসদকে অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে ফ্লোর ক্রসিং সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা যাইতে পারে। তবে আস্থা ভোট, অর্থবিল, সংবিধান সংশোধনী এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা জড়িত প্রশ্নে দলের বিপক্ষে এমপিরা ভোট দিতে পারবে না বলেও দলটির প্রস্তাবে বলা হয়।

অন্যদিকে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে সংযুক্ত শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ও ২৫ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার বিধানটি বাতিলের প্রস্তাব করেছে বিএনপি।

এ ছাড়া অন্য দলগুলোর মধ্যে ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার বা সংশোধন চেয়েছে জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, ভাসানি অনুসারী পরিষদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাসদ ও বাংলাদেশ জাসদ। তবে ৭০ অনুচ্ছেদের বাতিল চেয়েছে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও বাসদ (মার্কসবাদী)। এই দলগুলো ছাড়া আরও বেশ কিছু দল ৭০ অনুচ্ছেদের বাতিল বা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের কাঠামোতে চর্চিত হচ্ছে একক নেতার ক্ষমতা। সেখানে রাজনৈতিক দলের সংস্কার না করলে তার প্রভাব দলীয় নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ওপর পড়বে। এখন যদি ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার হয়ে আসে কিন্তু দল যদি উৎসাহিত না করে, একক নেতার দল তৈরি হয় তখন নির্বাচিত হয়ে আসলেও ব্যবহার করবে না। কারণ তারা জানেন দলের বিরোধিতা করলে ছিটকে পড়বেন কিংবা নেতার বিরাগভাজন হবেন। তাই দলের সংস্কার হওয়া উচিত।

সংবিধান সংস্কার কমিশনে দলগুলোর জমা দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যে আরেকটি আলোচিত বিষয় ছিল সংবিধানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি। এ ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাকে মেনে নিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসহ গণতান্ত্রিক সব আন্দোলনের সংবিধানিক স্বীকৃতির প্রস্তাব দিয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিফলন ও স্বীকৃতি সংবিধানের প্রস্তাবনায় থাকা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশনও ।

মুক্তিযুদ্ধ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতিসহ জামায়াতের প্রস্তাবের বিষয়ে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রস্তাবে আমরা আমাদের কথা বলেছি। অন্যান্য দলও তাদের মতামত দিয়েছি, সবগুলো মিলিয়ে কমিশন প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এখন কোনটা গ্রহণ করবে, যোগ-বিয়োগ করবে সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। তার আগে কিছু বলা সমীচীন মনে করি না।’

সংবিধানের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি জামায়াত ছাড়াও জাতীয় নাগরিক কমিটি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি) পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দলও করে। সংবিধান সংস্কার কমিশনও তাদের সুপারিশে মুক্তিযুদ্ধসহ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিফলন ও স্বীকৃতি অবশ্যই সংবিধানে প্রস্তাবনায় থাকা প্রয়োজন বলে মনে করে।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অগ্রগতি বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাদের শুধু প্রস্তাবনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, সবাই বোধ হয় তাই চাইবে। তারা প্রকাশ্যে বলুক, তারা যা করেছে অন্যায় হয়েছে। কিন্তু তারপরও তারা যেহেতু লিখিতভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে, সুতরাং তাদের দিক থেকে অগ্রগতি। এটা রাজনীতিতে জামায়াতের ইতিবাচক পরিবর্তন।

৭০ অনুচ্ছেদ বাংলাদেশের ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কোন দলই বাদ দেবে বলে মনে করেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা বাদ দিলে দলের ওপর নেতার নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে। দলের এমপিরা নেতৃত্বের নির্দেশ মানবে না। এটা এখন যে আকারে প্রস্তাব থাকুক না কেন কেউ মানবে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেনাবেচার যে সংস্কৃতি, এটাকে (৭০ অনুচ্ছেদ) পুরোপুরি তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না। এটাকে হয়তো কিছুটা সংস্কার করার সুযোগ রয়েছে। সেটাও করবে কিনা সন্দেহ আছে।

যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে সংরক্ষিত মহিলা আসন নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশেও বিধানটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে জামায়াত। তবে উচ্চকক্ষে নারীদের জন্য ২০টি আসন সংরক্ষণের সুপারিশ করে দলটি। জামায়াত ছাড়া অন্যান্য ইসলামি দলগুলোও এটি না রাখার অনুরোধ করেছে। তবে সংবিধান সংস্কার কমিশন নারীদের জন্য ৫০টি আসনের পরিবর্তে ১০০টি আসনের সুপারিশ করে, যা দেশের নির্ধারিত ১০০টি আসনের জনগণের ভোটে নির্বাচনের পরামর্শ দেয় তারা।

প্রায় সব দলই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের সুপারিশ সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে করেছে। এর মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির প্রস্তাবে বলা আছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের মেয়াদ চার বছর। একই প্রস্তাব জাতীয় নাগরিক কমিটি, গণ অধিকার পরিষদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। সংস্কার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্নকক্ষের মেয়াদ চার বছর।

এদিকে সংবিধান পুনর্লিখনের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। নাগরিক কমিটি লিগ্যাল ফ্রেম অর্ডারের অধীনে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের দাবি করে। সংবিধান সংস্কার বা পুনর্লিখনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশেষ শাসনতান্ত্রিক মর্যাদা ফিরে পাবে বলে আশা প্রকাশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। তারা তিন পার্বত্য জেলাকে বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ঘোষণার পাশাপাশি পাহাড়ি জাতিগুলোর জন্য ১টি মহিলা আসনসন চারটি সংরক্ষিত আসনের প্রস্তাব করে। যা পাহাড়ি জাতিসমূহের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হওয়ার বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করে।

সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত প্রত্যেকটা প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে কি, হবে না তা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের মাধ্যমে নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সহকারী উপজেলা-থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।

এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক

গ্রাহকপ্রতি সিম কার্ডের সংখ্যা ১০টিতে নামছে এ মাসেই, নির্বাচনের আগে আরও কমানোর চিন্তা

  • বৈঠকে নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা।
  • ৩০ অক্টোবর থেকে এক এনআইডির বিপরীতে সিম রাখা যাবে ১০টি।
  • নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে সিমের সংখ্যা আরও কমানোর চেষ্টা হবে।
  • স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৩৯
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) ঢাকায় আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: পিআইডি
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) ঢাকায় আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: পিআইডি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।

নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।

ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ৩০ অক্টোবর ইসির মতবিনিময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নির্বাচন কমিশন। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশন। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।

কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ড. ইউনূসের সঙ্গে পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাসস, ঢাকা  
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।

তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।

দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত