নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচকে গত কয়েক দশকে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। তবে উন্নতির সেই ধারাবাহিকতায় বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে রয়ে গেছে মায়ের গর্ভে সন্তান মারা যাওয়া বা মৃত সন্তান প্রসব (স্টিলবার্থ)। এ ক্ষেত্রে উন্নতি তো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন মৃত সন্তান প্রসবের হার বাড়ছে। খোদ সরকারের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, বর্তমানে দেশে প্রতি হাজারে ১৪টি মৃত শিশুর জন্ম হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, মৃত সন্তান প্রসব একটি প্রতিরোধযোগ্য জনস্বাস্থ্য সমস্যা। যদিও এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। তবে সব কারণই সমাধানযোগ্য। প্রসূতির মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে মৃত সন্তান প্রসব অনেকাংশেই প্রতিরোধ সম্ভব।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত জুনে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (বিএসভিএস) ২০২৩’ প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, দেশে প্রতি হাজার জীবিত শিশু জন্মের বিপরীতে ১৪টি শিশু মৃত ভূমিষ্ঠ হচ্ছে। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছরের তুলনামূলক চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০২৩ সালের এই হার গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মৃত শিশুর জন্ম বলতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, মায়ের গর্ভে ২৮ সপ্তাহ বেঁচে থাকার পর শিশুর মৃত্যুকে বলা হয়। জন্মের ঠিক আগে বা জন্মের সময় শিশুর মৃত্যু হওয়াকে স্টিলবার্থ শ্রেণিভুক্ত করা হয়। বিশ্বব্যাপী বছরে প্রায় ২০ লাখ মৃত শিশু ভূমিষ্ঠ হচ্ছে, প্রতি সেকেন্ডে ১৬টি। এসব মৃত্যুর ৪০ শতাংশই ঘটে প্রসবের সময়। প্রসূতির নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করলে এসব মৃত্যু এড়ানো যায় বলে মন্তব্য করেছে ডব্লিউএইচও।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুসারে দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত শিশুর জন্ম হচ্ছে সিলেট বিভাগে। এই হার সবচেয়ে কম ঢাকা বিভাগে। গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে জন্মের আগেই শিশুমৃত্যুর হার বেশি। নগরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মৃত সন্তান প্রসবের হার বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অনুন্নত অবকাঠামো ও যোগাযোগব্যবস্থার ভঙ্গুর দশা, আর্থসামাজিক অবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং অসচেতনতার কারণে এসব অঞ্চলে মৃত অবস্থায় শিশুজন্মের হার বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা জেএসআইয়ে কর্মরত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইশতিয়াক মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্টিলবার্থ নিয়ে তেমন আলোচনা হচ্ছে না। যারা জন্মের পর মারা যাচ্ছে, তাদের নিয়েই সাধারণত আলোচনা হয়। অথচ মৃত অবস্থায় জন্মের হার অত্যধিক। মৃত সন্তান প্রসবের পেছনে বহু কারণ রয়েছে। দেশে প্রসবপূর্ব সেবা গ্রহণ বাড়লেও মৃত সন্তান জন্মের সংখ্যা কমছে না।
অর্থাৎ প্রসূতি সেবার পরিধি ও সংখ্যা বাড়ানো হলেও তা মানসম্মত নয়। প্রসূতি সেবার বিষয়টি হচ্ছে সিরিজ অব ইন্টারভেনশন (অনেক সেবার সমন্বয়)। সারা দেশে সঠিকভাবে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।’
প্রসূতি ও তাদের অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রসবপূর্ব যত্ন (অ্যান্টিনেটাল কেয়ার বা এএনসি) অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য এবং সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে এএনসি সেবার মাধ্যমে একজন প্রসূতিকে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। প্রসূতির ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ, টিকা প্রদান, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং মানসিক স্বাস্থ্যেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রসূতিকে কমপক্ষে চারবার এএনসির পর্যবেক্ষণে আনার সুপারিশ করেছে ডব্লিউএইচও।
বাংলাদেশে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় প্রসূতিদের ওই সেবা প্রদানের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার বিভাগের। এ ছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সরকারিভাবে প্রসূতিদের এ সেবা দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা. শামস এল আরেফিন ও বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ এহসানুর রহমান প্রায় একই সুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সমস্যাটিকে তেমন গুরুত্ব আগে দেওয়া হয়নি। স্টিলবার্থের ৪০ শতাংশ ঘটনাই ঘটছে প্রসবের সময়। অর্থাৎ ওই সময়ে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এতে যেসব আধুনিক সুবিধা প্রয়োজন তা নেই, আবার মান বজায় রেখে সেবা, পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি হয় না। বাকি ৬০ শতাংশের মৃত্যু হচ্ছে প্রসবের আগে। এর জন্য পরিবেশদূষণ থেকে শুরু করে মায়ের অসংক্রামক রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তপাত, খিঁচুনি, সংক্রমণ ও নানা জটিলতা দায়ী। দেশে প্রসবপূর্ব সেবার মান ভালো নয়।’
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (মা ও শিশুস্বাস্থ্য) ডা. শামীম মো. আকরাম বলেন, ‘মৃত অবস্থায় শিশুর জন্মের বিষয়টি কিছুটা পর্যবেক্ষণের বাইরে রয়েছে। সরকারিভাবে প্রসূতিদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে জনবলের সংকট আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এর মধ্যেও আমরা যতটুকু সেবা দিতে পারছি, তাতে কোনো দুর্বলতা নেই।’
ধারাবাহিকভাবে প্রসূতিদের স্বাস্থ্যসেবা পরিধি ও গুরুত্ব বাড়িয়েছে সরকার, জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে আগের তুলনায় মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। স্টিলবার্থের বিষয়টি নিয়েও কাজ হচ্ছে।’

মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচকে গত কয়েক দশকে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। তবে উন্নতির সেই ধারাবাহিকতায় বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে রয়ে গেছে মায়ের গর্ভে সন্তান মারা যাওয়া বা মৃত সন্তান প্রসব (স্টিলবার্থ)। এ ক্ষেত্রে উন্নতি তো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন মৃত সন্তান প্রসবের হার বাড়ছে। খোদ সরকারের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, বর্তমানে দেশে প্রতি হাজারে ১৪টি মৃত শিশুর জন্ম হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, মৃত সন্তান প্রসব একটি প্রতিরোধযোগ্য জনস্বাস্থ্য সমস্যা। যদিও এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। তবে সব কারণই সমাধানযোগ্য। প্রসূতির মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে মৃত সন্তান প্রসব অনেকাংশেই প্রতিরোধ সম্ভব।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত জুনে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (বিএসভিএস) ২০২৩’ প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, দেশে প্রতি হাজার জীবিত শিশু জন্মের বিপরীতে ১৪টি শিশু মৃত ভূমিষ্ঠ হচ্ছে। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছরের তুলনামূলক চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০২৩ সালের এই হার গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মৃত শিশুর জন্ম বলতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, মায়ের গর্ভে ২৮ সপ্তাহ বেঁচে থাকার পর শিশুর মৃত্যুকে বলা হয়। জন্মের ঠিক আগে বা জন্মের সময় শিশুর মৃত্যু হওয়াকে স্টিলবার্থ শ্রেণিভুক্ত করা হয়। বিশ্বব্যাপী বছরে প্রায় ২০ লাখ মৃত শিশু ভূমিষ্ঠ হচ্ছে, প্রতি সেকেন্ডে ১৬টি। এসব মৃত্যুর ৪০ শতাংশই ঘটে প্রসবের সময়। প্রসূতির নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করলে এসব মৃত্যু এড়ানো যায় বলে মন্তব্য করেছে ডব্লিউএইচও।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুসারে দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত শিশুর জন্ম হচ্ছে সিলেট বিভাগে। এই হার সবচেয়ে কম ঢাকা বিভাগে। গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে জন্মের আগেই শিশুমৃত্যুর হার বেশি। নগরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মৃত সন্তান প্রসবের হার বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অনুন্নত অবকাঠামো ও যোগাযোগব্যবস্থার ভঙ্গুর দশা, আর্থসামাজিক অবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং অসচেতনতার কারণে এসব অঞ্চলে মৃত অবস্থায় শিশুজন্মের হার বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা জেএসআইয়ে কর্মরত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইশতিয়াক মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্টিলবার্থ নিয়ে তেমন আলোচনা হচ্ছে না। যারা জন্মের পর মারা যাচ্ছে, তাদের নিয়েই সাধারণত আলোচনা হয়। অথচ মৃত অবস্থায় জন্মের হার অত্যধিক। মৃত সন্তান প্রসবের পেছনে বহু কারণ রয়েছে। দেশে প্রসবপূর্ব সেবা গ্রহণ বাড়লেও মৃত সন্তান জন্মের সংখ্যা কমছে না।
অর্থাৎ প্রসূতি সেবার পরিধি ও সংখ্যা বাড়ানো হলেও তা মানসম্মত নয়। প্রসূতি সেবার বিষয়টি হচ্ছে সিরিজ অব ইন্টারভেনশন (অনেক সেবার সমন্বয়)। সারা দেশে সঠিকভাবে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।’
প্রসূতি ও তাদের অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রসবপূর্ব যত্ন (অ্যান্টিনেটাল কেয়ার বা এএনসি) অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য এবং সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে এএনসি সেবার মাধ্যমে একজন প্রসূতিকে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। প্রসূতির ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ, টিকা প্রদান, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং মানসিক স্বাস্থ্যেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রসূতিকে কমপক্ষে চারবার এএনসির পর্যবেক্ষণে আনার সুপারিশ করেছে ডব্লিউএইচও।
বাংলাদেশে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় প্রসূতিদের ওই সেবা প্রদানের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার বিভাগের। এ ছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সরকারিভাবে প্রসূতিদের এ সেবা দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা. শামস এল আরেফিন ও বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ এহসানুর রহমান প্রায় একই সুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সমস্যাটিকে তেমন গুরুত্ব আগে দেওয়া হয়নি। স্টিলবার্থের ৪০ শতাংশ ঘটনাই ঘটছে প্রসবের সময়। অর্থাৎ ওই সময়ে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এতে যেসব আধুনিক সুবিধা প্রয়োজন তা নেই, আবার মান বজায় রেখে সেবা, পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি হয় না। বাকি ৬০ শতাংশের মৃত্যু হচ্ছে প্রসবের আগে। এর জন্য পরিবেশদূষণ থেকে শুরু করে মায়ের অসংক্রামক রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তপাত, খিঁচুনি, সংক্রমণ ও নানা জটিলতা দায়ী। দেশে প্রসবপূর্ব সেবার মান ভালো নয়।’
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (মা ও শিশুস্বাস্থ্য) ডা. শামীম মো. আকরাম বলেন, ‘মৃত অবস্থায় শিশুর জন্মের বিষয়টি কিছুটা পর্যবেক্ষণের বাইরে রয়েছে। সরকারিভাবে প্রসূতিদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে জনবলের সংকট আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এর মধ্যেও আমরা যতটুকু সেবা দিতে পারছি, তাতে কোনো দুর্বলতা নেই।’
ধারাবাহিকভাবে প্রসূতিদের স্বাস্থ্যসেবা পরিধি ও গুরুত্ব বাড়িয়েছে সরকার, জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে আগের তুলনায় মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। স্টিলবার্থের বিষয়টি নিয়েও কাজ হচ্ছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচকে গত কয়েক দশকে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। তবে উন্নতির সেই ধারাবাহিকতায় বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে রয়ে গেছে মায়ের গর্ভে সন্তান মারা যাওয়া বা মৃত সন্তান প্রসব (স্টিলবার্থ)। এ ক্ষেত্রে উন্নতি তো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন মৃত সন্তান প্রসবের হার বাড়ছে। খোদ সরকারের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, বর্তমানে দেশে প্রতি হাজারে ১৪টি মৃত শিশুর জন্ম হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, মৃত সন্তান প্রসব একটি প্রতিরোধযোগ্য জনস্বাস্থ্য সমস্যা। যদিও এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। তবে সব কারণই সমাধানযোগ্য। প্রসূতির মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে মৃত সন্তান প্রসব অনেকাংশেই প্রতিরোধ সম্ভব।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত জুনে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (বিএসভিএস) ২০২৩’ প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, দেশে প্রতি হাজার জীবিত শিশু জন্মের বিপরীতে ১৪টি শিশু মৃত ভূমিষ্ঠ হচ্ছে। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছরের তুলনামূলক চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০২৩ সালের এই হার গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মৃত শিশুর জন্ম বলতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, মায়ের গর্ভে ২৮ সপ্তাহ বেঁচে থাকার পর শিশুর মৃত্যুকে বলা হয়। জন্মের ঠিক আগে বা জন্মের সময় শিশুর মৃত্যু হওয়াকে স্টিলবার্থ শ্রেণিভুক্ত করা হয়। বিশ্বব্যাপী বছরে প্রায় ২০ লাখ মৃত শিশু ভূমিষ্ঠ হচ্ছে, প্রতি সেকেন্ডে ১৬টি। এসব মৃত্যুর ৪০ শতাংশই ঘটে প্রসবের সময়। প্রসূতির নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করলে এসব মৃত্যু এড়ানো যায় বলে মন্তব্য করেছে ডব্লিউএইচও।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুসারে দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত শিশুর জন্ম হচ্ছে সিলেট বিভাগে। এই হার সবচেয়ে কম ঢাকা বিভাগে। গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে জন্মের আগেই শিশুমৃত্যুর হার বেশি। নগরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মৃত সন্তান প্রসবের হার বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অনুন্নত অবকাঠামো ও যোগাযোগব্যবস্থার ভঙ্গুর দশা, আর্থসামাজিক অবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং অসচেতনতার কারণে এসব অঞ্চলে মৃত অবস্থায় শিশুজন্মের হার বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা জেএসআইয়ে কর্মরত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইশতিয়াক মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্টিলবার্থ নিয়ে তেমন আলোচনা হচ্ছে না। যারা জন্মের পর মারা যাচ্ছে, তাদের নিয়েই সাধারণত আলোচনা হয়। অথচ মৃত অবস্থায় জন্মের হার অত্যধিক। মৃত সন্তান প্রসবের পেছনে বহু কারণ রয়েছে। দেশে প্রসবপূর্ব সেবা গ্রহণ বাড়লেও মৃত সন্তান জন্মের সংখ্যা কমছে না।
অর্থাৎ প্রসূতি সেবার পরিধি ও সংখ্যা বাড়ানো হলেও তা মানসম্মত নয়। প্রসূতি সেবার বিষয়টি হচ্ছে সিরিজ অব ইন্টারভেনশন (অনেক সেবার সমন্বয়)। সারা দেশে সঠিকভাবে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।’
প্রসূতি ও তাদের অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রসবপূর্ব যত্ন (অ্যান্টিনেটাল কেয়ার বা এএনসি) অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য এবং সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে এএনসি সেবার মাধ্যমে একজন প্রসূতিকে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। প্রসূতির ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ, টিকা প্রদান, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং মানসিক স্বাস্থ্যেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রসূতিকে কমপক্ষে চারবার এএনসির পর্যবেক্ষণে আনার সুপারিশ করেছে ডব্লিউএইচও।
বাংলাদেশে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় প্রসূতিদের ওই সেবা প্রদানের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার বিভাগের। এ ছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সরকারিভাবে প্রসূতিদের এ সেবা দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা. শামস এল আরেফিন ও বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ এহসানুর রহমান প্রায় একই সুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সমস্যাটিকে তেমন গুরুত্ব আগে দেওয়া হয়নি। স্টিলবার্থের ৪০ শতাংশ ঘটনাই ঘটছে প্রসবের সময়। অর্থাৎ ওই সময়ে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এতে যেসব আধুনিক সুবিধা প্রয়োজন তা নেই, আবার মান বজায় রেখে সেবা, পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি হয় না। বাকি ৬০ শতাংশের মৃত্যু হচ্ছে প্রসবের আগে। এর জন্য পরিবেশদূষণ থেকে শুরু করে মায়ের অসংক্রামক রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তপাত, খিঁচুনি, সংক্রমণ ও নানা জটিলতা দায়ী। দেশে প্রসবপূর্ব সেবার মান ভালো নয়।’
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (মা ও শিশুস্বাস্থ্য) ডা. শামীম মো. আকরাম বলেন, ‘মৃত অবস্থায় শিশুর জন্মের বিষয়টি কিছুটা পর্যবেক্ষণের বাইরে রয়েছে। সরকারিভাবে প্রসূতিদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে জনবলের সংকট আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এর মধ্যেও আমরা যতটুকু সেবা দিতে পারছি, তাতে কোনো দুর্বলতা নেই।’
ধারাবাহিকভাবে প্রসূতিদের স্বাস্থ্যসেবা পরিধি ও গুরুত্ব বাড়িয়েছে সরকার, জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে আগের তুলনায় মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। স্টিলবার্থের বিষয়টি নিয়েও কাজ হচ্ছে।’

মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচকে গত কয়েক দশকে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। তবে উন্নতির সেই ধারাবাহিকতায় বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে রয়ে গেছে মায়ের গর্ভে সন্তান মারা যাওয়া বা মৃত সন্তান প্রসব (স্টিলবার্থ)। এ ক্ষেত্রে উন্নতি তো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন মৃত সন্তান প্রসবের হার বাড়ছে। খোদ সরকারের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, বর্তমানে দেশে প্রতি হাজারে ১৪টি মৃত শিশুর জন্ম হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, মৃত সন্তান প্রসব একটি প্রতিরোধযোগ্য জনস্বাস্থ্য সমস্যা। যদিও এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। তবে সব কারণই সমাধানযোগ্য। প্রসূতির মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে মৃত সন্তান প্রসব অনেকাংশেই প্রতিরোধ সম্ভব।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত জুনে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (বিএসভিএস) ২০২৩’ প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, দেশে প্রতি হাজার জীবিত শিশু জন্মের বিপরীতে ১৪টি শিশু মৃত ভূমিষ্ঠ হচ্ছে। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছরের তুলনামূলক চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০২৩ সালের এই হার গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মৃত শিশুর জন্ম বলতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, মায়ের গর্ভে ২৮ সপ্তাহ বেঁচে থাকার পর শিশুর মৃত্যুকে বলা হয়। জন্মের ঠিক আগে বা জন্মের সময় শিশুর মৃত্যু হওয়াকে স্টিলবার্থ শ্রেণিভুক্ত করা হয়। বিশ্বব্যাপী বছরে প্রায় ২০ লাখ মৃত শিশু ভূমিষ্ঠ হচ্ছে, প্রতি সেকেন্ডে ১৬টি। এসব মৃত্যুর ৪০ শতাংশই ঘটে প্রসবের সময়। প্রসূতির নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করলে এসব মৃত্যু এড়ানো যায় বলে মন্তব্য করেছে ডব্লিউএইচও।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুসারে দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত শিশুর জন্ম হচ্ছে সিলেট বিভাগে। এই হার সবচেয়ে কম ঢাকা বিভাগে। গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে জন্মের আগেই শিশুমৃত্যুর হার বেশি। নগরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মৃত সন্তান প্রসবের হার বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অনুন্নত অবকাঠামো ও যোগাযোগব্যবস্থার ভঙ্গুর দশা, আর্থসামাজিক অবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং অসচেতনতার কারণে এসব অঞ্চলে মৃত অবস্থায় শিশুজন্মের হার বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা জেএসআইয়ে কর্মরত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইশতিয়াক মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্টিলবার্থ নিয়ে তেমন আলোচনা হচ্ছে না। যারা জন্মের পর মারা যাচ্ছে, তাদের নিয়েই সাধারণত আলোচনা হয়। অথচ মৃত অবস্থায় জন্মের হার অত্যধিক। মৃত সন্তান প্রসবের পেছনে বহু কারণ রয়েছে। দেশে প্রসবপূর্ব সেবা গ্রহণ বাড়লেও মৃত সন্তান জন্মের সংখ্যা কমছে না।
অর্থাৎ প্রসূতি সেবার পরিধি ও সংখ্যা বাড়ানো হলেও তা মানসম্মত নয়। প্রসূতি সেবার বিষয়টি হচ্ছে সিরিজ অব ইন্টারভেনশন (অনেক সেবার সমন্বয়)। সারা দেশে সঠিকভাবে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।’
প্রসূতি ও তাদের অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রসবপূর্ব যত্ন (অ্যান্টিনেটাল কেয়ার বা এএনসি) অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য এবং সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে এএনসি সেবার মাধ্যমে একজন প্রসূতিকে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। প্রসূতির ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ, টিকা প্রদান, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং মানসিক স্বাস্থ্যেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রসূতিকে কমপক্ষে চারবার এএনসির পর্যবেক্ষণে আনার সুপারিশ করেছে ডব্লিউএইচও।
বাংলাদেশে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় প্রসূতিদের ওই সেবা প্রদানের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার বিভাগের। এ ছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সরকারিভাবে প্রসূতিদের এ সেবা দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা. শামস এল আরেফিন ও বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ এহসানুর রহমান প্রায় একই সুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সমস্যাটিকে তেমন গুরুত্ব আগে দেওয়া হয়নি। স্টিলবার্থের ৪০ শতাংশ ঘটনাই ঘটছে প্রসবের সময়। অর্থাৎ ওই সময়ে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এতে যেসব আধুনিক সুবিধা প্রয়োজন তা নেই, আবার মান বজায় রেখে সেবা, পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি হয় না। বাকি ৬০ শতাংশের মৃত্যু হচ্ছে প্রসবের আগে। এর জন্য পরিবেশদূষণ থেকে শুরু করে মায়ের অসংক্রামক রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তপাত, খিঁচুনি, সংক্রমণ ও নানা জটিলতা দায়ী। দেশে প্রসবপূর্ব সেবার মান ভালো নয়।’
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (মা ও শিশুস্বাস্থ্য) ডা. শামীম মো. আকরাম বলেন, ‘মৃত অবস্থায় শিশুর জন্মের বিষয়টি কিছুটা পর্যবেক্ষণের বাইরে রয়েছে। সরকারিভাবে প্রসূতিদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে জনবলের সংকট আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এর মধ্যেও আমরা যতটুকু সেবা দিতে পারছি, তাতে কোনো দুর্বলতা নেই।’
ধারাবাহিকভাবে প্রসূতিদের স্বাস্থ্যসেবা পরিধি ও গুরুত্ব বাড়িয়েছে সরকার, জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে আগের তুলনায় মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। স্টিলবার্থের বিষয়টি নিয়েও কাজ হচ্ছে।’

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচকে গত কয়েক দশকে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। তবে উন্নতির সেই ধারাবাহিকতায় বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে রয়ে গেছে মায়ের গর্ভে সন্তান মারা যাওয়া বা মৃত সন্তান প্রসব (স্টিলবার্থ)। এ ক্ষেত্রে উন্নতি তো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন মৃত সন্তান প্রসবের হার বাড়ছে। খোদ সরকারের পরিসংখ্যানে উঠে এসে
২৪ অক্টোবর ২০২৪
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচকে গত কয়েক দশকে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। তবে উন্নতির সেই ধারাবাহিকতায় বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে রয়ে গেছে মায়ের গর্ভে সন্তান মারা যাওয়া বা মৃত সন্তান প্রসব (স্টিলবার্থ)। এ ক্ষেত্রে উন্নতি তো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন মৃত সন্তান প্রসবের হার বাড়ছে। খোদ সরকারের পরিসংখ্যানে উঠে এসে
২৪ অক্টোবর ২০২৪
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচকে গত কয়েক দশকে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। তবে উন্নতির সেই ধারাবাহিকতায় বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে রয়ে গেছে মায়ের গর্ভে সন্তান মারা যাওয়া বা মৃত সন্তান প্রসব (স্টিলবার্থ)। এ ক্ষেত্রে উন্নতি তো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন মৃত সন্তান প্রসবের হার বাড়ছে। খোদ সরকারের পরিসংখ্যানে উঠে এসে
২৪ অক্টোবর ২০২৪
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ দিন আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচকে গত কয়েক দশকে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। তবে উন্নতির সেই ধারাবাহিকতায় বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে রয়ে গেছে মায়ের গর্ভে সন্তান মারা যাওয়া বা মৃত সন্তান প্রসব (স্টিলবার্থ)। এ ক্ষেত্রে উন্নতি তো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন মৃত সন্তান প্রসবের হার বাড়ছে। খোদ সরকারের পরিসংখ্যানে উঠে এসে
২৪ অক্টোবর ২০২৪
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৬ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১ দিন আগে