নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত সরকারের সব ধরনের লেনদেন ‘নগদের’ মাধ্যমে পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাটিকে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আজ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।
কমিটির আগের বৈঠকে ডাক বিভাগের সঙ্গে নগদের কি সম্পর্ক সেটি জানতে চাওয়া হয়। নগদের কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়। বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপস্থাপিত প্রতিবেদনে ‘নগদ’-এর সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
কতিপয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের সহায়তায় পরিচালিত নগদ সম্পর্কে বিরূপ তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে বৈঠকে বলা হয়। আর সংসদীয় কমিটির সদস্যরা তাদের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে। এছাড়া নগদ থাকায় মোবাইল ব্যাংকের একচেটিয়া প্রভাব বন্ধ হয়েছে। যাতে গ্রাহক সুবিধা পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
সংসদীয় কমিটির সদস্যরা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসটিকে জনপ্রিয় করে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দেন। বয়স্ক ভাতা, শিক্ষা বৃত্তি ও উপবৃত্তিসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সব ধরনের ভাতা নগদের মাধ্যমে প্রদানের পরামর্শ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রের উন্নয়নের কথা বিবেচনায় রেখে দেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ-এর মাধ্যমে সরকারের সকল লেনদেন পরিচালনার পাশাপাশি জনগণের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই সঙ্গে নগদ-এর নাম ভাঙিয়ে কোনো প্রকার অসৎ উপায় অবলম্বন করলে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত তথ্য মতে, নগদ-এর গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ। উদ্যোক্তার সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার। পরিবেশক সংখ্যা ২০৮ টি। প্রায় ৯৫৩ কোটি টাকা দৈনিক লেনদেন হয়। প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ৬ হাজার ২৩১ জন। পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ২ লাখ ৫৫ হাজার। দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে ৬০২টি নগদ সেবা কেন্দ্র। দেশব্যাপী ৪৬ ‘নগদ’ সেবা সেন্টার রয়েছে।
ডাক অধিদপ্তরের সঙ্গে রাজস্ব শেয়ারের মাধ্যমে পরিচালিত সরকারি বিভিন্ন নিয়ম মেনে নগদ ডাক বিভাগকে ৫১ শতাংশ রাজস্ব শেয়ার প্রদান করছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, নগদ থেকে ডাক বিভাগ মোট ৪ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার ৪৫৫ টাকা রাজস্ব পেয়েছে। ডাক বিভাগ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সাত লাখ ৯৩ হাজার ২৬৬ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এক কোটি ১৯ লাখ ২২ হাজার ৩১১ টাকা, ২০২০-২১ অর্থ বছরে তিন কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৮ টাকা রাজস্ব পেয়েছে।
নগদ বর্তমানে ১৭ ধরনের সেবা প্রদান করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। সেগুলো হলো-ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, মার্চেন্ট পেমেন্ট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, করোনা টেস্টের ফি, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি প্রদান, অ্যাড মানি (ব্যাংক ও কার্ড থেকে), জিটুপি, মোবাইল রিচার্জ, আয়কর প্রদান, ডোনেশান, ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম পেমেন্ট, ইএমআই কালেকশন, ই-কমার্স পেমেন্ট, রেলওয়ে টিকিট ফি পেমেন্ট ও ইন্ডিয়ান ভিসা ফি পেমেন্ট।
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং গ্রাহক ও পরিবেশবান্ধব নানাবিধ কৌশলের কারণে ‘নগদ’ দেশের সাধারণ জনগণের কাছে একটি জনপ্রিয় সেবা হিসেবে নিজেদের অধিষ্ঠিত করা; ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকসেবা প্রদানের জন্য রয়েছে হটলাইন নম্বর ১৬১৬৭। এ সেবাগুলোকে নগদের অর্জন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
গ্রাহকের লেনদেন ব্যয় হ্রাস: ‘নগদ’ সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ, সেন্ড মানি ও বিল পেমেন্ট ফ্রি’সহ নানাবিধ সেবাসমূহের কারণে দেশের প্রান্তিক জনসাধারণ এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়ন: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা এক কোটি চল্লিশ লাখ মায়ের ‘নগদ’ মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এতে নারীর ক্ষমতায়নে ‘নগদ’ সহযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে।
ভাতা বিতরণে সরকারের ব্যয় হ্রাস: সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন উপহার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা বিতরণ কার্যক্রমে ডাক অধিদপ্তরের ‘নগদ’ সেবার ব্যবহারে ভাতা বিতরণ খরচ প্রতি হাজারে ২০ টাকার স্থলে ৭ টাকায় নেমে এসেছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী সরকারি সকল বিতরণ কার্যক্রম ‘নগদ’ সেবার মাধ্যমে সম্পাদিত হলে শুধুমাত্র বিতরণ ব্যয় থেকে প্রতি বছর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে।
গ্রাহকের অর্থের সুরক্ষা ‘নগদ’ এর কার্যকরী ও আধুনিকতর ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ এর মাধ্যমে যেকোনো লেনদেনে ‘অস্বাভাবিকতা’ পরিলক্ষিত হলে, তার ব্যাপারে ‘ফ্ল্যাগ রেইজ’ এর মাধ্যমে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি সুচারুরূপে পালন করা সম্ভব হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে, সম্প্রতি ‘সিরাজগঞ্জ শপ ডট কম’ ও ‘আলাদীনের প্রদীপ’ নামক প্রতিষ্ঠান দুইটির অস্বাভাবিক ‘রিফান্ড রিকোয়েস্ট’-এর বিষয়টিকে সঠিক সময়ে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। যার মাধ্যমে গ্রাহকের গচ্ছিত অর্থের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সন্দেহজনক লেনদেনসমূহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবর রিপোর্ট করা সম্ভব হয়েছে।
প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি: ‘নগদ’ সেবার প্রবর্তনের পর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গ্রাহক, এজেন্টসহ সকল ব্যবহারকারী প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে লাভবান হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় ভূমিকা পালনঃ করোনা টেস্টের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) এর একমাত্র পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে ‘নগদ’ কাজ করেছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জনঃ ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য দেশের ডাক সেবা সমূহ নিজেদের দেশে ‘নগদ’ এর আদলে সেবা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে এবং সে সমস্ত ক্ষেত্রে ডাক অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে কারিগরি ও অন্যান্য সহায়তা প্রাপ্তির আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
২০১৯ সালের ২৬ শে মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা প্রেরণের মাধ্যমে ‘নগদ’ সেবার উদ্বোধন করেন।
সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নুরুল আমিন, মনিরা সুলতানা এবং অপরাজিতা হক।

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত সরকারের সব ধরনের লেনদেন ‘নগদের’ মাধ্যমে পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাটিকে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আজ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।
কমিটির আগের বৈঠকে ডাক বিভাগের সঙ্গে নগদের কি সম্পর্ক সেটি জানতে চাওয়া হয়। নগদের কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়। বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপস্থাপিত প্রতিবেদনে ‘নগদ’-এর সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
কতিপয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের সহায়তায় পরিচালিত নগদ সম্পর্কে বিরূপ তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে বৈঠকে বলা হয়। আর সংসদীয় কমিটির সদস্যরা তাদের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে। এছাড়া নগদ থাকায় মোবাইল ব্যাংকের একচেটিয়া প্রভাব বন্ধ হয়েছে। যাতে গ্রাহক সুবিধা পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
সংসদীয় কমিটির সদস্যরা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসটিকে জনপ্রিয় করে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দেন। বয়স্ক ভাতা, শিক্ষা বৃত্তি ও উপবৃত্তিসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সব ধরনের ভাতা নগদের মাধ্যমে প্রদানের পরামর্শ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রের উন্নয়নের কথা বিবেচনায় রেখে দেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ-এর মাধ্যমে সরকারের সকল লেনদেন পরিচালনার পাশাপাশি জনগণের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই সঙ্গে নগদ-এর নাম ভাঙিয়ে কোনো প্রকার অসৎ উপায় অবলম্বন করলে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত তথ্য মতে, নগদ-এর গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ। উদ্যোক্তার সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার। পরিবেশক সংখ্যা ২০৮ টি। প্রায় ৯৫৩ কোটি টাকা দৈনিক লেনদেন হয়। প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ৬ হাজার ২৩১ জন। পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ২ লাখ ৫৫ হাজার। দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে ৬০২টি নগদ সেবা কেন্দ্র। দেশব্যাপী ৪৬ ‘নগদ’ সেবা সেন্টার রয়েছে।
ডাক অধিদপ্তরের সঙ্গে রাজস্ব শেয়ারের মাধ্যমে পরিচালিত সরকারি বিভিন্ন নিয়ম মেনে নগদ ডাক বিভাগকে ৫১ শতাংশ রাজস্ব শেয়ার প্রদান করছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, নগদ থেকে ডাক বিভাগ মোট ৪ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার ৪৫৫ টাকা রাজস্ব পেয়েছে। ডাক বিভাগ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সাত লাখ ৯৩ হাজার ২৬৬ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এক কোটি ১৯ লাখ ২২ হাজার ৩১১ টাকা, ২০২০-২১ অর্থ বছরে তিন কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৮ টাকা রাজস্ব পেয়েছে।
নগদ বর্তমানে ১৭ ধরনের সেবা প্রদান করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। সেগুলো হলো-ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, মার্চেন্ট পেমেন্ট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, করোনা টেস্টের ফি, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি প্রদান, অ্যাড মানি (ব্যাংক ও কার্ড থেকে), জিটুপি, মোবাইল রিচার্জ, আয়কর প্রদান, ডোনেশান, ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম পেমেন্ট, ইএমআই কালেকশন, ই-কমার্স পেমেন্ট, রেলওয়ে টিকিট ফি পেমেন্ট ও ইন্ডিয়ান ভিসা ফি পেমেন্ট।
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং গ্রাহক ও পরিবেশবান্ধব নানাবিধ কৌশলের কারণে ‘নগদ’ দেশের সাধারণ জনগণের কাছে একটি জনপ্রিয় সেবা হিসেবে নিজেদের অধিষ্ঠিত করা; ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকসেবা প্রদানের জন্য রয়েছে হটলাইন নম্বর ১৬১৬৭। এ সেবাগুলোকে নগদের অর্জন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
গ্রাহকের লেনদেন ব্যয় হ্রাস: ‘নগদ’ সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ, সেন্ড মানি ও বিল পেমেন্ট ফ্রি’সহ নানাবিধ সেবাসমূহের কারণে দেশের প্রান্তিক জনসাধারণ এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়ন: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা এক কোটি চল্লিশ লাখ মায়ের ‘নগদ’ মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এতে নারীর ক্ষমতায়নে ‘নগদ’ সহযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে।
ভাতা বিতরণে সরকারের ব্যয় হ্রাস: সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন উপহার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা বিতরণ কার্যক্রমে ডাক অধিদপ্তরের ‘নগদ’ সেবার ব্যবহারে ভাতা বিতরণ খরচ প্রতি হাজারে ২০ টাকার স্থলে ৭ টাকায় নেমে এসেছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী সরকারি সকল বিতরণ কার্যক্রম ‘নগদ’ সেবার মাধ্যমে সম্পাদিত হলে শুধুমাত্র বিতরণ ব্যয় থেকে প্রতি বছর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে।
গ্রাহকের অর্থের সুরক্ষা ‘নগদ’ এর কার্যকরী ও আধুনিকতর ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ এর মাধ্যমে যেকোনো লেনদেনে ‘অস্বাভাবিকতা’ পরিলক্ষিত হলে, তার ব্যাপারে ‘ফ্ল্যাগ রেইজ’ এর মাধ্যমে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি সুচারুরূপে পালন করা সম্ভব হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে, সম্প্রতি ‘সিরাজগঞ্জ শপ ডট কম’ ও ‘আলাদীনের প্রদীপ’ নামক প্রতিষ্ঠান দুইটির অস্বাভাবিক ‘রিফান্ড রিকোয়েস্ট’-এর বিষয়টিকে সঠিক সময়ে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। যার মাধ্যমে গ্রাহকের গচ্ছিত অর্থের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সন্দেহজনক লেনদেনসমূহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবর রিপোর্ট করা সম্ভব হয়েছে।
প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি: ‘নগদ’ সেবার প্রবর্তনের পর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গ্রাহক, এজেন্টসহ সকল ব্যবহারকারী প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে লাভবান হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় ভূমিকা পালনঃ করোনা টেস্টের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) এর একমাত্র পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে ‘নগদ’ কাজ করেছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জনঃ ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য দেশের ডাক সেবা সমূহ নিজেদের দেশে ‘নগদ’ এর আদলে সেবা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে এবং সে সমস্ত ক্ষেত্রে ডাক অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে কারিগরি ও অন্যান্য সহায়তা প্রাপ্তির আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
২০১৯ সালের ২৬ শে মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা প্রেরণের মাধ্যমে ‘নগদ’ সেবার উদ্বোধন করেন।
সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নুরুল আমিন, মনিরা সুলতানা এবং অপরাজিতা হক।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত সরকারের সব ধরনের লেনদেন ‘নগদের’ মাধ্যমে পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাটিকে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আজ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।
কমিটির আগের বৈঠকে ডাক বিভাগের সঙ্গে নগদের কি সম্পর্ক সেটি জানতে চাওয়া হয়। নগদের কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়। বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপস্থাপিত প্রতিবেদনে ‘নগদ’-এর সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
কতিপয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের সহায়তায় পরিচালিত নগদ সম্পর্কে বিরূপ তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে বৈঠকে বলা হয়। আর সংসদীয় কমিটির সদস্যরা তাদের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে। এছাড়া নগদ থাকায় মোবাইল ব্যাংকের একচেটিয়া প্রভাব বন্ধ হয়েছে। যাতে গ্রাহক সুবিধা পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
সংসদীয় কমিটির সদস্যরা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসটিকে জনপ্রিয় করে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দেন। বয়স্ক ভাতা, শিক্ষা বৃত্তি ও উপবৃত্তিসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সব ধরনের ভাতা নগদের মাধ্যমে প্রদানের পরামর্শ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রের উন্নয়নের কথা বিবেচনায় রেখে দেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ-এর মাধ্যমে সরকারের সকল লেনদেন পরিচালনার পাশাপাশি জনগণের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই সঙ্গে নগদ-এর নাম ভাঙিয়ে কোনো প্রকার অসৎ উপায় অবলম্বন করলে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত তথ্য মতে, নগদ-এর গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ। উদ্যোক্তার সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার। পরিবেশক সংখ্যা ২০৮ টি। প্রায় ৯৫৩ কোটি টাকা দৈনিক লেনদেন হয়। প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ৬ হাজার ২৩১ জন। পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ২ লাখ ৫৫ হাজার। দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে ৬০২টি নগদ সেবা কেন্দ্র। দেশব্যাপী ৪৬ ‘নগদ’ সেবা সেন্টার রয়েছে।
ডাক অধিদপ্তরের সঙ্গে রাজস্ব শেয়ারের মাধ্যমে পরিচালিত সরকারি বিভিন্ন নিয়ম মেনে নগদ ডাক বিভাগকে ৫১ শতাংশ রাজস্ব শেয়ার প্রদান করছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, নগদ থেকে ডাক বিভাগ মোট ৪ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার ৪৫৫ টাকা রাজস্ব পেয়েছে। ডাক বিভাগ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সাত লাখ ৯৩ হাজার ২৬৬ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এক কোটি ১৯ লাখ ২২ হাজার ৩১১ টাকা, ২০২০-২১ অর্থ বছরে তিন কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৮ টাকা রাজস্ব পেয়েছে।
নগদ বর্তমানে ১৭ ধরনের সেবা প্রদান করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। সেগুলো হলো-ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, মার্চেন্ট পেমেন্ট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, করোনা টেস্টের ফি, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি প্রদান, অ্যাড মানি (ব্যাংক ও কার্ড থেকে), জিটুপি, মোবাইল রিচার্জ, আয়কর প্রদান, ডোনেশান, ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম পেমেন্ট, ইএমআই কালেকশন, ই-কমার্স পেমেন্ট, রেলওয়ে টিকিট ফি পেমেন্ট ও ইন্ডিয়ান ভিসা ফি পেমেন্ট।
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং গ্রাহক ও পরিবেশবান্ধব নানাবিধ কৌশলের কারণে ‘নগদ’ দেশের সাধারণ জনগণের কাছে একটি জনপ্রিয় সেবা হিসেবে নিজেদের অধিষ্ঠিত করা; ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকসেবা প্রদানের জন্য রয়েছে হটলাইন নম্বর ১৬১৬৭। এ সেবাগুলোকে নগদের অর্জন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
গ্রাহকের লেনদেন ব্যয় হ্রাস: ‘নগদ’ সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ, সেন্ড মানি ও বিল পেমেন্ট ফ্রি’সহ নানাবিধ সেবাসমূহের কারণে দেশের প্রান্তিক জনসাধারণ এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়ন: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা এক কোটি চল্লিশ লাখ মায়ের ‘নগদ’ মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এতে নারীর ক্ষমতায়নে ‘নগদ’ সহযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে।
ভাতা বিতরণে সরকারের ব্যয় হ্রাস: সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন উপহার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা বিতরণ কার্যক্রমে ডাক অধিদপ্তরের ‘নগদ’ সেবার ব্যবহারে ভাতা বিতরণ খরচ প্রতি হাজারে ২০ টাকার স্থলে ৭ টাকায় নেমে এসেছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী সরকারি সকল বিতরণ কার্যক্রম ‘নগদ’ সেবার মাধ্যমে সম্পাদিত হলে শুধুমাত্র বিতরণ ব্যয় থেকে প্রতি বছর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে।
গ্রাহকের অর্থের সুরক্ষা ‘নগদ’ এর কার্যকরী ও আধুনিকতর ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ এর মাধ্যমে যেকোনো লেনদেনে ‘অস্বাভাবিকতা’ পরিলক্ষিত হলে, তার ব্যাপারে ‘ফ্ল্যাগ রেইজ’ এর মাধ্যমে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি সুচারুরূপে পালন করা সম্ভব হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে, সম্প্রতি ‘সিরাজগঞ্জ শপ ডট কম’ ও ‘আলাদীনের প্রদীপ’ নামক প্রতিষ্ঠান দুইটির অস্বাভাবিক ‘রিফান্ড রিকোয়েস্ট’-এর বিষয়টিকে সঠিক সময়ে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। যার মাধ্যমে গ্রাহকের গচ্ছিত অর্থের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সন্দেহজনক লেনদেনসমূহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবর রিপোর্ট করা সম্ভব হয়েছে।
প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি: ‘নগদ’ সেবার প্রবর্তনের পর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গ্রাহক, এজেন্টসহ সকল ব্যবহারকারী প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে লাভবান হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় ভূমিকা পালনঃ করোনা টেস্টের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) এর একমাত্র পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে ‘নগদ’ কাজ করেছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জনঃ ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য দেশের ডাক সেবা সমূহ নিজেদের দেশে ‘নগদ’ এর আদলে সেবা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে এবং সে সমস্ত ক্ষেত্রে ডাক অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে কারিগরি ও অন্যান্য সহায়তা প্রাপ্তির আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
২০১৯ সালের ২৬ শে মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা প্রেরণের মাধ্যমে ‘নগদ’ সেবার উদ্বোধন করেন।
সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নুরুল আমিন, মনিরা সুলতানা এবং অপরাজিতা হক।

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত সরকারের সব ধরনের লেনদেন ‘নগদের’ মাধ্যমে পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাটিকে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আজ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।
কমিটির আগের বৈঠকে ডাক বিভাগের সঙ্গে নগদের কি সম্পর্ক সেটি জানতে চাওয়া হয়। নগদের কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়। বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপস্থাপিত প্রতিবেদনে ‘নগদ’-এর সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
কতিপয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের সহায়তায় পরিচালিত নগদ সম্পর্কে বিরূপ তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে বৈঠকে বলা হয়। আর সংসদীয় কমিটির সদস্যরা তাদের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে। এছাড়া নগদ থাকায় মোবাইল ব্যাংকের একচেটিয়া প্রভাব বন্ধ হয়েছে। যাতে গ্রাহক সুবিধা পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
সংসদীয় কমিটির সদস্যরা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসটিকে জনপ্রিয় করে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দেন। বয়স্ক ভাতা, শিক্ষা বৃত্তি ও উপবৃত্তিসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সব ধরনের ভাতা নগদের মাধ্যমে প্রদানের পরামর্শ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রের উন্নয়নের কথা বিবেচনায় রেখে দেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ-এর মাধ্যমে সরকারের সকল লেনদেন পরিচালনার পাশাপাশি জনগণের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই সঙ্গে নগদ-এর নাম ভাঙিয়ে কোনো প্রকার অসৎ উপায় অবলম্বন করলে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত তথ্য মতে, নগদ-এর গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ। উদ্যোক্তার সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার। পরিবেশক সংখ্যা ২০৮ টি। প্রায় ৯৫৩ কোটি টাকা দৈনিক লেনদেন হয়। প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ৬ হাজার ২৩১ জন। পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ২ লাখ ৫৫ হাজার। দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে ৬০২টি নগদ সেবা কেন্দ্র। দেশব্যাপী ৪৬ ‘নগদ’ সেবা সেন্টার রয়েছে।
ডাক অধিদপ্তরের সঙ্গে রাজস্ব শেয়ারের মাধ্যমে পরিচালিত সরকারি বিভিন্ন নিয়ম মেনে নগদ ডাক বিভাগকে ৫১ শতাংশ রাজস্ব শেয়ার প্রদান করছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, নগদ থেকে ডাক বিভাগ মোট ৪ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার ৪৫৫ টাকা রাজস্ব পেয়েছে। ডাক বিভাগ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সাত লাখ ৯৩ হাজার ২৬৬ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এক কোটি ১৯ লাখ ২২ হাজার ৩১১ টাকা, ২০২০-২১ অর্থ বছরে তিন কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৮ টাকা রাজস্ব পেয়েছে।
নগদ বর্তমানে ১৭ ধরনের সেবা প্রদান করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। সেগুলো হলো-ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, মার্চেন্ট পেমেন্ট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, করোনা টেস্টের ফি, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি প্রদান, অ্যাড মানি (ব্যাংক ও কার্ড থেকে), জিটুপি, মোবাইল রিচার্জ, আয়কর প্রদান, ডোনেশান, ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম পেমেন্ট, ইএমআই কালেকশন, ই-কমার্স পেমেন্ট, রেলওয়ে টিকিট ফি পেমেন্ট ও ইন্ডিয়ান ভিসা ফি পেমেন্ট।
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং গ্রাহক ও পরিবেশবান্ধব নানাবিধ কৌশলের কারণে ‘নগদ’ দেশের সাধারণ জনগণের কাছে একটি জনপ্রিয় সেবা হিসেবে নিজেদের অধিষ্ঠিত করা; ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকসেবা প্রদানের জন্য রয়েছে হটলাইন নম্বর ১৬১৬৭। এ সেবাগুলোকে নগদের অর্জন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
গ্রাহকের লেনদেন ব্যয় হ্রাস: ‘নগদ’ সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ, সেন্ড মানি ও বিল পেমেন্ট ফ্রি’সহ নানাবিধ সেবাসমূহের কারণে দেশের প্রান্তিক জনসাধারণ এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়ন: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা এক কোটি চল্লিশ লাখ মায়ের ‘নগদ’ মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এতে নারীর ক্ষমতায়নে ‘নগদ’ সহযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে।
ভাতা বিতরণে সরকারের ব্যয় হ্রাস: সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন উপহার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা বিতরণ কার্যক্রমে ডাক অধিদপ্তরের ‘নগদ’ সেবার ব্যবহারে ভাতা বিতরণ খরচ প্রতি হাজারে ২০ টাকার স্থলে ৭ টাকায় নেমে এসেছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী সরকারি সকল বিতরণ কার্যক্রম ‘নগদ’ সেবার মাধ্যমে সম্পাদিত হলে শুধুমাত্র বিতরণ ব্যয় থেকে প্রতি বছর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে।
গ্রাহকের অর্থের সুরক্ষা ‘নগদ’ এর কার্যকরী ও আধুনিকতর ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ এর মাধ্যমে যেকোনো লেনদেনে ‘অস্বাভাবিকতা’ পরিলক্ষিত হলে, তার ব্যাপারে ‘ফ্ল্যাগ রেইজ’ এর মাধ্যমে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি সুচারুরূপে পালন করা সম্ভব হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে, সম্প্রতি ‘সিরাজগঞ্জ শপ ডট কম’ ও ‘আলাদীনের প্রদীপ’ নামক প্রতিষ্ঠান দুইটির অস্বাভাবিক ‘রিফান্ড রিকোয়েস্ট’-এর বিষয়টিকে সঠিক সময়ে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। যার মাধ্যমে গ্রাহকের গচ্ছিত অর্থের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সন্দেহজনক লেনদেনসমূহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবর রিপোর্ট করা সম্ভব হয়েছে।
প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি: ‘নগদ’ সেবার প্রবর্তনের পর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গ্রাহক, এজেন্টসহ সকল ব্যবহারকারী প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে লাভবান হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় ভূমিকা পালনঃ করোনা টেস্টের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) এর একমাত্র পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে ‘নগদ’ কাজ করেছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জনঃ ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য দেশের ডাক সেবা সমূহ নিজেদের দেশে ‘নগদ’ এর আদলে সেবা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে এবং সে সমস্ত ক্ষেত্রে ডাক অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে কারিগরি ও অন্যান্য সহায়তা প্রাপ্তির আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
২০১৯ সালের ২৬ শে মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা প্রেরণের মাধ্যমে ‘নগদ’ সেবার উদ্বোধন করেন।
সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নুরুল আমিন, মনিরা সুলতানা এবং অপরাজিতা হক।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রশ্নে সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা এর আগে যেকোনো দিন গণভোট করতে পারবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশে এই প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গতকাল মঙ্গলবার এই সুপারিশমালা জমা দিয়েছে...
৩ ঘণ্টা আগে
তিন বিচারপতিকে কোনো শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এটি আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়। তাই আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করতে গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রি
৭ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে এবং অন্যরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
৭ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি। এ অবস্থায় আবারও চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
ঢাকা-নিউ জলপাইগুঁড়ি পথে মিতালী এক্সপ্রেস, ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং খুলনা-কলকাতা পথে বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল করত। রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই থেকে এসব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাসংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৮তম আন্তসরকার রেলওয়ে সভার (আইজিআরএম) প্রস্তুতিমূলক সভায় ভারতকে পুনরায় চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেল মন্ত্রণালয়ে ৬ অক্টোবর ওই সভা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে চিঠি প্রস্তুত করে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে সেই চিঠি পাঠানো হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এ মন্ত্রণালয় চিঠিটি ভারতকে পাঠাবে বলে রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড প্রতিবছর আইজিআরএম করে। ৩৮তম আইজিআরএম ২০২৬ সালের মার্চে ঢাকায় হওয়ার কথা। তবে সেটি হবে কি না এখনো চূড়ান্ত নয়।
জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগেও কয়েকবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি দেওয়া হয়েছে ভারতকে। আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতকে আবারও চিঠি লিখব। আমাদের দিক থেকে আগ্রহের যে কমতি নেই, সেটা আমরা প্রমাণ করতে চাই। এ ছাড়া আরও অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আইজিআরএমের প্রস্তুতিমূলক সভায়।’
প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, এ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন পদ্মা সেতু দিয়ে পরিচালনার বিষয়ে দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারতীয় রেলওয়েকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠাবে। এ প্রস্তাবে রাতের বেলা ট্রেন পরিচালনার বিষয়টিও উল্লেখ করা হবে। এ ছাড়া আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীদের অতিরিক্ত মালামাল পরিবহনের জন্য লাগেজ ভ্যান সংযুক্ত করার বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ভারতীয় রেলওয়েকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই সভায়।
একসঙ্গে রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব বাংলাদেশ রেলওয়েকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে প্রস্তুতিমূলক আইজিআরএম সভা থেকে।
বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের এন্ড টু এন্ড কাস্টম ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করার জন্য খুলনা স্টেশনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া রেলপথে যাতায়াতের জন্য আলাদা ভিসা দেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারত সরকারকে চিঠি পাঠাবে রেল মন্ত্রণালয়।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, উভয় দেশের পণ্য পরিবহনে রেলপথ ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ এবং পণ্যবাহী ট্রেন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। দর্শনা-গেদে, পেট্রাপোল-বেনাপোল এবং রোহনপুর-সিঙ্গাবাদ সীমান্ত দিয়ে ২৪ ঘণ্টা পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আইজিআরএমের প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা যায়, সভায় প্রায় ২৯টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল, আন্তসীমান্ত যোগাযোগ এবং যৌথ প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
রেলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তদেশীয় ট্রেন চালানোর জন্য এর আগেও ভারতকে দুই দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে ভারত সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি। এমনকি চিঠির উত্তর পর্যন্ত দেয়নি। নিরাপত্তাসংক্রান্ত ইস্যুতে ট্রেন চালাতে চায় না তারা। বর্তমানে পণ্যবাহী ট্রেন চলছে। তবে তা আগের তুলনায় কম। ভারতের পর্যটন ভিসা বন্ধ রয়েছে। ফলে এ সরকারের আমলে পুনরায় এসব ট্রেন চালু হবে কি না, সেটা অনিশ্চিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসা বা অন্য জরুরি ভিসা দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে দিল্লি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে উভয় দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ট্রেন চলাচলের প্রস্তাব দিলে ভারতের সেটা বিবেচনায় নিয়ে চালানো উচিত। ভূরাজনীতির বাইরেও বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী দেশ। মানুষের এই ট্রেনগুলো প্রয়োজন। ফলে যাত্রীবাহী আন্তদেশীয় ট্রেনগুলো চালু হলে উভয় দেশের জনগণের জন্য ভালো হবে। এটা যত দ্রুত সম্ভব চালু করা উচিত।’

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি। এ অবস্থায় আবারও চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
ঢাকা-নিউ জলপাইগুঁড়ি পথে মিতালী এক্সপ্রেস, ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং খুলনা-কলকাতা পথে বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল করত। রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই থেকে এসব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাসংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৮তম আন্তসরকার রেলওয়ে সভার (আইজিআরএম) প্রস্তুতিমূলক সভায় ভারতকে পুনরায় চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেল মন্ত্রণালয়ে ৬ অক্টোবর ওই সভা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে চিঠি প্রস্তুত করে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে সেই চিঠি পাঠানো হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এ মন্ত্রণালয় চিঠিটি ভারতকে পাঠাবে বলে রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড প্রতিবছর আইজিআরএম করে। ৩৮তম আইজিআরএম ২০২৬ সালের মার্চে ঢাকায় হওয়ার কথা। তবে সেটি হবে কি না এখনো চূড়ান্ত নয়।
জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগেও কয়েকবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি দেওয়া হয়েছে ভারতকে। আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতকে আবারও চিঠি লিখব। আমাদের দিক থেকে আগ্রহের যে কমতি নেই, সেটা আমরা প্রমাণ করতে চাই। এ ছাড়া আরও অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আইজিআরএমের প্রস্তুতিমূলক সভায়।’
প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, এ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন পদ্মা সেতু দিয়ে পরিচালনার বিষয়ে দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারতীয় রেলওয়েকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠাবে। এ প্রস্তাবে রাতের বেলা ট্রেন পরিচালনার বিষয়টিও উল্লেখ করা হবে। এ ছাড়া আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীদের অতিরিক্ত মালামাল পরিবহনের জন্য লাগেজ ভ্যান সংযুক্ত করার বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ভারতীয় রেলওয়েকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই সভায়।
একসঙ্গে রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব বাংলাদেশ রেলওয়েকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে প্রস্তুতিমূলক আইজিআরএম সভা থেকে।
বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের এন্ড টু এন্ড কাস্টম ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করার জন্য খুলনা স্টেশনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া রেলপথে যাতায়াতের জন্য আলাদা ভিসা দেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারত সরকারকে চিঠি পাঠাবে রেল মন্ত্রণালয়।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, উভয় দেশের পণ্য পরিবহনে রেলপথ ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ এবং পণ্যবাহী ট্রেন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। দর্শনা-গেদে, পেট্রাপোল-বেনাপোল এবং রোহনপুর-সিঙ্গাবাদ সীমান্ত দিয়ে ২৪ ঘণ্টা পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আইজিআরএমের প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা যায়, সভায় প্রায় ২৯টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল, আন্তসীমান্ত যোগাযোগ এবং যৌথ প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
রেলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তদেশীয় ট্রেন চালানোর জন্য এর আগেও ভারতকে দুই দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে ভারত সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি। এমনকি চিঠির উত্তর পর্যন্ত দেয়নি। নিরাপত্তাসংক্রান্ত ইস্যুতে ট্রেন চালাতে চায় না তারা। বর্তমানে পণ্যবাহী ট্রেন চলছে। তবে তা আগের তুলনায় কম। ভারতের পর্যটন ভিসা বন্ধ রয়েছে। ফলে এ সরকারের আমলে পুনরায় এসব ট্রেন চালু হবে কি না, সেটা অনিশ্চিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসা বা অন্য জরুরি ভিসা দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে দিল্লি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে উভয় দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ট্রেন চলাচলের প্রস্তাব দিলে ভারতের সেটা বিবেচনায় নিয়ে চালানো উচিত। ভূরাজনীতির বাইরেও বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী দেশ। মানুষের এই ট্রেনগুলো প্রয়োজন। ফলে যাত্রীবাহী আন্তদেশীয় ট্রেনগুলো চালু হলে উভয় দেশের জনগণের জন্য ভালো হবে। এটা যত দ্রুত সম্ভব চালু করা উচিত।’

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত সরকারের সব ধরনের লেনদেন ‘নগদের’ মাধ্যমে পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাটিকে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রশ্নে সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা এর আগে যেকোনো দিন গণভোট করতে পারবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশে এই প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গতকাল মঙ্গলবার এই সুপারিশমালা জমা দিয়েছে...
৩ ঘণ্টা আগে
তিন বিচারপতিকে কোনো শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এটি আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়। তাই আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করতে গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রি
৭ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে এবং অন্যরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রশ্নে সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা এর আগে যেকোনো দিন গণভোট করতে পারবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশে এই প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গতকাল মঙ্গলবার এই সুপারিশমালা জমা দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন।
দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সুপারিশে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারকে আদেশ জারি করার পরামর্শ দিয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৮৫টি সংস্কার প্রস্তাব তিন ভাগে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে সুপারিশে। এগুলোর মধ্যে ৯টি নির্বাহী আদেশ এবং ২৮টি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংবিধান-সম্পর্কিত বাকি ৪৮টি বাস্তবায়নের জন্য দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। দুটির বেশির ভাগ বিষয় এক হলেও একটির গণভোটের বিষয়ে ভিন্নতা রয়েছে।
বিকল্প দুটি প্রস্তাবে গণভোটের দিনক্ষণ ঠিক করা সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুপারিশে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আদেশ জারির পর থেকে যেকোনো দিন বা জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করতে পারবে। তবে কবে করবে, সেই সিদ্ধান্ত সরকার নেবে। সরকারকে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য। তিনি মনে করেন, জনগণ গণভোটে সনদ প্রত্যাখ্যান করবে না।
রমজান মাসের আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি ভোটের দিন গণভোট চেয়েছে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী আসছে নভেম্বরে ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগে গণভোট দাবি করেছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির ভিত্তি হিসেবে দুটি প্রস্তাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের কথা বলা হয়েছে। জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন প্রয়োজন। যার জন্য গণভোট, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার অপরিহার্য।
বিকল্প প্রস্তাব-১-এ বলা হয়েছে, গণভোটের আগে জনগণকে জানাতে এবং সাংবিধানিক পরিষদের দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকারের প্রস্তুত করা খসড়া বিল গণভোটে দেওয়া প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে ৪৮ প্রস্তাব বিল আকারে করতে হবে। সেখানে গণভোটের প্রশ্ন হবে ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং এতে সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার-সম্পর্কিত খসড়া বিলের প্রস্তাবসমূহ সমর্থন করছেন?’ গণভোট করতে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করতে বলা হয়েছে।
গণভোটের ফল ইতিবাচক হলে আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দ্বৈত ভূমিকা পালন করবেন। তাঁরা নিয়মিত সংসদ সদস্যের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা একই অনুষ্ঠানে প্রথমে এমপি এবং পরে সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হলে সংবিধান সংস্কার বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে গৃহীত হয়ে যাবে এবং সংবিধান সংস্কার আইনরূপে কার্যকর হবে। স্পিকারই পরিষদের সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান সংস্কার কার্যকরের ৪৫ দিনের মধ্যে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠিত হবে।
বিকল্প প্রস্তাব-২-এ আদেশ খসড়া বিলের কথা বলা নেই। সে ক্ষেত্রে গণভোটের প্রশ্ন থাকবে, ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং তাতে সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি সমর্থন করেন?’ এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। বাকি ধারাগুলো একই আছে।
সংস্কার পরিষদের ক্ষমতা সম্পর্কে কমিশনের সহসভাপতি বলেন, সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্যরা জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত এবং গণভোটে যদি জনগণের সম্মতি পাওয়া যায়, সেই বিষয়গুলো সংবিধানে সংযুক্ত করার জন্য প্রয়োজন সব রকম বিধিবিধান প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন করবেন। আদেশ জারির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার আদেশ দেবে বলেছি। সরকার আইনি এবং বিভিন্ন বিষয়ে বিবেচনা করেই নিশ্চয় একটি সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এটা সরকারের হাতে রেখেছি।’
জুলাই জাতীয় সনদে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবায়নের সুপারিশে সেটি রাখা হয়নি। দলগুলোর দেওয়া আপত্তি নিয়ে কী হবে জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশন ৪৮ বিষয়ে জনগণের সম্মতি-অসম্মতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৮টি প্রস্তাবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো—সংবিধান সংশোধন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব, আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ, ন্যায়পাল নিয়োগ, সরকারি কর্ম কমিশন নিয়োগ, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ, দুর্নীতি দমন কমিশনের নিয়োগ।
অধ্যাদেশে জারির জন্য ২৮টি প্রস্তাবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, বিচারক ও সাবেক বিচারকদের জন্য পালনীয় আচরণবিধি, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, স্বাধীন ও স্থায়ী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন, তিনটি সরকারি কর্ম কমিশন গঠন, স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন, বৈধ উৎসবিহীন আয়কে বৈধতা দানের চর্চা বন্ধ করা, জনপ্রতিনিধিদের সম্পদ ও আয়-ব্যয়ের তথ্য প্রকাশ, দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলসমূহের করণীয়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর সংশোধন।
নির্বাহী আদেশে জুলাই সনদের ৯টি প্রস্তাব বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করতে পারবে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ, আদালত ব্যবস্থাপনা সংস্কার ও ডিজিটাইজ করা, আইনজীবীদের আচরণবিধি, গণহত্যা এবং ভোট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন।
রাজনৈতিক দল এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন উপায়ের সুপারিশ কমিশন তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত, বিশেষজ্ঞদের মতামত, আমাদের কমিশনের সম্মানিত সদস্যদের অভিজ্ঞতা এবং আন্তরিকতার প্রেক্ষাপটে আমরা সুপারিশগুলো তৈরি করেছি। এই সুপারিশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ যেন একটি আইনি ভিত্তি পায়। ভবিষ্যতের পথরেখা হিসেবে যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো যেন বাস্তবায়িত হয়।’
সব দলের জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, যারা স্বাক্ষর করেনি, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। এনসিপির সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে, হচ্ছে। তাঁর আশা, এনসিপি স্বাক্ষর করবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রশ্নে সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা এর আগে যেকোনো দিন গণভোট করতে পারবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশে এই প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গতকাল মঙ্গলবার এই সুপারিশমালা জমা দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন।
দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সুপারিশে প্রথমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সর্বশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারকে আদেশ জারি করার পরামর্শ দিয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৮৫টি সংস্কার প্রস্তাব তিন ভাগে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে সুপারিশে। এগুলোর মধ্যে ৯টি নির্বাহী আদেশ এবং ২৮টি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংবিধান-সম্পর্কিত বাকি ৪৮টি বাস্তবায়নের জন্য দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। দুটির বেশির ভাগ বিষয় এক হলেও একটির গণভোটের বিষয়ে ভিন্নতা রয়েছে।
বিকল্প দুটি প্রস্তাবে গণভোটের দিনক্ষণ ঠিক করা সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুপারিশে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আদেশ জারির পর থেকে যেকোনো দিন বা জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করতে পারবে। তবে কবে করবে, সেই সিদ্ধান্ত সরকার নেবে। সরকারকে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য। তিনি মনে করেন, জনগণ গণভোটে সনদ প্রত্যাখ্যান করবে না।
রমজান মাসের আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি ভোটের দিন গণভোট চেয়েছে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী আসছে নভেম্বরে ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগে গণভোট দাবি করেছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির ভিত্তি হিসেবে দুটি প্রস্তাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের কথা বলা হয়েছে। জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন প্রয়োজন। যার জন্য গণভোট, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার অপরিহার্য।
বিকল্প প্রস্তাব-১-এ বলা হয়েছে, গণভোটের আগে জনগণকে জানাতে এবং সাংবিধানিক পরিষদের দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকারের প্রস্তুত করা খসড়া বিল গণভোটে দেওয়া প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে ৪৮ প্রস্তাব বিল আকারে করতে হবে। সেখানে গণভোটের প্রশ্ন হবে ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং এতে সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার-সম্পর্কিত খসড়া বিলের প্রস্তাবসমূহ সমর্থন করছেন?’ গণভোট করতে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করতে বলা হয়েছে।
গণভোটের ফল ইতিবাচক হলে আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দ্বৈত ভূমিকা পালন করবেন। তাঁরা নিয়মিত সংসদ সদস্যের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা একই অনুষ্ঠানে প্রথমে এমপি এবং পরে সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হলে সংবিধান সংস্কার বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে গৃহীত হয়ে যাবে এবং সংবিধান সংস্কার আইনরূপে কার্যকর হবে। স্পিকারই পরিষদের সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান সংস্কার কার্যকরের ৪৫ দিনের মধ্যে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠিত হবে।
বিকল্প প্রস্তাব-২-এ আদেশ খসড়া বিলের কথা বলা নেই। সে ক্ষেত্রে গণভোটের প্রশ্ন থাকবে, ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং তাতে সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি সমর্থন করেন?’ এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। বাকি ধারাগুলো একই আছে।
সংস্কার পরিষদের ক্ষমতা সম্পর্কে কমিশনের সহসভাপতি বলেন, সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্যরা জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত এবং গণভোটে যদি জনগণের সম্মতি পাওয়া যায়, সেই বিষয়গুলো সংবিধানে সংযুক্ত করার জন্য প্রয়োজন সব রকম বিধিবিধান প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন করবেন। আদেশ জারির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার আদেশ দেবে বলেছি। সরকার আইনি এবং বিভিন্ন বিষয়ে বিবেচনা করেই নিশ্চয় একটি সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এটা সরকারের হাতে রেখেছি।’
জুলাই জাতীয় সনদে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবায়নের সুপারিশে সেটি রাখা হয়নি। দলগুলোর দেওয়া আপত্তি নিয়ে কী হবে জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশন ৪৮ বিষয়ে জনগণের সম্মতি-অসম্মতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৮টি প্রস্তাবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো—সংবিধান সংশোধন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব, আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ, ন্যায়পাল নিয়োগ, সরকারি কর্ম কমিশন নিয়োগ, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগ, দুর্নীতি দমন কমিশনের নিয়োগ।
অধ্যাদেশে জারির জন্য ২৮টি প্রস্তাবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, বিচারক ও সাবেক বিচারকদের জন্য পালনীয় আচরণবিধি, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, স্বাধীন ও স্থায়ী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন, তিনটি সরকারি কর্ম কমিশন গঠন, স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন, বৈধ উৎসবিহীন আয়কে বৈধতা দানের চর্চা বন্ধ করা, জনপ্রতিনিধিদের সম্পদ ও আয়-ব্যয়ের তথ্য প্রকাশ, দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলসমূহের করণীয়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর সংশোধন।
নির্বাহী আদেশে জুলাই সনদের ৯টি প্রস্তাব বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করতে পারবে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ, আদালত ব্যবস্থাপনা সংস্কার ও ডিজিটাইজ করা, আইনজীবীদের আচরণবিধি, গণহত্যা এবং ভোট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন।
রাজনৈতিক দল এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন উপায়ের সুপারিশ কমিশন তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত, বিশেষজ্ঞদের মতামত, আমাদের কমিশনের সম্মানিত সদস্যদের অভিজ্ঞতা এবং আন্তরিকতার প্রেক্ষাপটে আমরা সুপারিশগুলো তৈরি করেছি। এই সুপারিশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ যেন একটি আইনি ভিত্তি পায়। ভবিষ্যতের পথরেখা হিসেবে যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো যেন বাস্তবায়িত হয়।’
সব দলের জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, যারা স্বাক্ষর করেনি, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। এনসিপির সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে, হচ্ছে। তাঁর আশা, এনসিপি স্বাক্ষর করবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত সরকারের সব ধরনের লেনদেন ‘নগদের’ মাধ্যমে পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাটিকে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
তিন বিচারপতিকে কোনো শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এটি আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়। তাই আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করতে গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রি
৭ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে এবং অন্যরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিন বিচারপতিকে কোনো শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এটি আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়। তাই আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করতে গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিপুলসংখ্যক জামিন দেওয়ায় হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে শোকজ করে তাঁদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এবং ফোন করে তিনজন বিচারপতি, যথা বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি জাকির হোসেনকে ওই নোটিশ সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাস্তবে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ উল্লিখিত তিনজন বিচারপতিকে কোনো শোকজ বা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেননি, বরং প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন, যা আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার একটি নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়।
তথ্য চাওয়ার বিষয়টি আদালতের বিশেষ একটি যোগাযোগব্যবস্থা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নানা সংবাদে ব্যবহৃত তথ্যে মূল বিষয়টি বিকৃত ও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের প্রতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা হচ্ছে, প্রতিটি গণমাধ্যম আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংবাদ প্রচার করবে, যাতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন থাকে এবং জনগণ বিভ্রান্ত না হয়।
কয়েক দিন আগে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উচ্চ আদালতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা ওঠার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যেমন ধরেন, আপনারা জানেন সাম্প্রতিককালে আপনারা কেউ এটা ইনভেস্টিগেট (অনুসন্ধান) করেননি। আপনাদের অনুরোধ করব, ইনভেস্টিগেট করেন যে, একটা উচ্চ আদালতের একটা বেঞ্চ এক দিনে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ মামলায় জামিন দিয়েছেন। জামিন তিনি দিতেই পারেন, কিন্তু চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় ৮০০ মামলা কি শোনা সম্ভব?’

তিন বিচারপতিকে কোনো শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এটি আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়। তাই আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করতে গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিপুলসংখ্যক জামিন দেওয়ায় হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে শোকজ করে তাঁদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এবং ফোন করে তিনজন বিচারপতি, যথা বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি জাকির হোসেনকে ওই নোটিশ সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাস্তবে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ উল্লিখিত তিনজন বিচারপতিকে কোনো শোকজ বা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেননি, বরং প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন, যা আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার একটি নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়।
তথ্য চাওয়ার বিষয়টি আদালতের বিশেষ একটি যোগাযোগব্যবস্থা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নানা সংবাদে ব্যবহৃত তথ্যে মূল বিষয়টি বিকৃত ও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের প্রতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা হচ্ছে, প্রতিটি গণমাধ্যম আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংবাদ প্রচার করবে, যাতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন থাকে এবং জনগণ বিভ্রান্ত না হয়।
কয়েক দিন আগে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উচ্চ আদালতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা ওঠার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যেমন ধরেন, আপনারা জানেন সাম্প্রতিককালে আপনারা কেউ এটা ইনভেস্টিগেট (অনুসন্ধান) করেননি। আপনাদের অনুরোধ করব, ইনভেস্টিগেট করেন যে, একটা উচ্চ আদালতের একটা বেঞ্চ এক দিনে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ মামলায় জামিন দিয়েছেন। জামিন তিনি দিতেই পারেন, কিন্তু চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় ৮০০ মামলা কি শোনা সম্ভব?’

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত সরকারের সব ধরনের লেনদেন ‘নগদের’ মাধ্যমে পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাটিকে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রশ্নে সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা এর আগে যেকোনো দিন গণভোট করতে পারবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশে এই প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গতকাল মঙ্গলবার এই সুপারিশমালা জমা দিয়েছে...
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে এবং অন্যরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
৭ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বৃহৎ প্রতিনিধিদল পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। ২০০৮ সালের পর এটিই হবে ইইউর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে ও অন্যরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
মিলার জানান, ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ইইউ বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত আরও জানান, ভোটের সময় স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগেও সহায়তা করবে ইইউ।
প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে উভয় পক্ষ সাংবিধানিক সংস্কার, নির্বাচন প্রস্তুতি, বিচার বিভাগ ও শ্রম খাতের সংস্কার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক এবং দেশের সার্বিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত মিলার জুলাই জাতীয় সনদকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে মসৃণ করতে সহায়ক হবে।
সম্প্রতি অনুমোদিত শ্রম আইন সংস্কার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জোরদারের পদক্ষেপগুলোকে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
‘এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’—উল্লেখ করে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে ইইউর অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
মিলার আসন্ন নির্বাচনকে ‘দেশের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের সুযোগ’ বলে মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ইইউ বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৈঠকে উভয় পক্ষ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে।
এর মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির সম্ভাবনা এবং বিমান ও নৌপরিবহন খাতে নতুন সুযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ ছাড়া মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিষয়ে তাঁরা একমত হন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া টার্মিনালের উন্নয়ন ও পরিচালনায় বৈশ্বিক শিপিং কোম্পানি এ পি মোলারমায়ার্সকের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ডেনমার্কের এই প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে লালদিয়াকে এই অঞ্চলের অন্যতম আধুনিক টার্মিনালে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
বৈঠকে নির্বাচনী পরিবেশ, প্রার্থীদের যোগ্যতা ও মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়।

বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বৃহৎ প্রতিনিধিদল পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। ২০০৮ সালের পর এটিই হবে ইইউর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে ও অন্যরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
মিলার জানান, ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ইইউ বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত আরও জানান, ভোটের সময় স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগেও সহায়তা করবে ইইউ।
প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে উভয় পক্ষ সাংবিধানিক সংস্কার, নির্বাচন প্রস্তুতি, বিচার বিভাগ ও শ্রম খাতের সংস্কার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক এবং দেশের সার্বিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত মিলার জুলাই জাতীয় সনদকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে মসৃণ করতে সহায়ক হবে।
সম্প্রতি অনুমোদিত শ্রম আইন সংস্কার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জোরদারের পদক্ষেপগুলোকে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
‘এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’—উল্লেখ করে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে ইইউর অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
মিলার আসন্ন নির্বাচনকে ‘দেশের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের সুযোগ’ বলে মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ইইউ বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৈঠকে উভয় পক্ষ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে।
এর মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির সম্ভাবনা এবং বিমান ও নৌপরিবহন খাতে নতুন সুযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ ছাড়া মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিষয়ে তাঁরা একমত হন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া টার্মিনালের উন্নয়ন ও পরিচালনায় বৈশ্বিক শিপিং কোম্পানি এ পি মোলারমায়ার্সকের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ডেনমার্কের এই প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে লালদিয়াকে এই অঞ্চলের অন্যতম আধুনিক টার্মিনালে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
বৈঠকে নির্বাচনী পরিবেশ, প্রার্থীদের যোগ্যতা ও মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়।

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত সরকারের সব ধরনের লেনদেন ‘নগদের’ মাধ্যমে পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাটিকে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের প্রশ্নে সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা এর আগে যেকোনো দিন গণভোট করতে পারবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশে এই প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গতকাল মঙ্গলবার এই সুপারিশমালা জমা দিয়েছে...
৩ ঘণ্টা আগে
তিন বিচারপতিকে কোনো শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এটি আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়। তাই আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করতে গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রি
৭ ঘণ্টা আগে