মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা
গ্রাহক হয়রানি প্রতিরোধে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি খসড়া পরিপত্র তৈরি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। নতুন পরিপত্রের মূল বিষয় হচ্ছে, এক ট্রাভেল এজেন্সি আরেক ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে টিকিট ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না। এটি ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাদের আশঙ্কা, এই পরিপত্র বাস্তবায়ন করা হলে কয়েক হাজার ট্রাভেল এজেন্সি বন্ধ হয়ে যাবে। গ্রাহকদেরও বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন খসড়া পরিপত্রের (ণ)-ধারাতে বলা হয়েছে, ‘এক ট্রাভেল এজেন্সি অন্য ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে টিকিট ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না।’ এই সিদ্ধান্তটি সরাসরি প্রভাব ফেলবে বাংলাদেশের ৫ হাজার ৭৪৬টি লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সির ওপর। বর্তমানে দেশে যেসব ট্রাভেল এজেন্সি ছোট আকারে ব্যবসা পরিচালনা করে, তারা মূলত বড় এজেন্সির ওপর নির্ভরশীল থাকে টিকিট ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য। সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যন্ত এখন ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে। যাঁদের কম্পিউটার আছে, তাঁরাও সাব-এজেন্টের মাধ্যমে কমিশনভিত্তিক টিকিট বিক্রির এই ব্যবসা করছেন। পরিপত্রটি বাস্তবায়িত হলে ছোট ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে পড়বে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিপত্রের খসড়ায় ব্যবসা পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের কথা বলা হলেও মূলত এতে বন্ধ হবে ৫ হাজারের বেশি ট্রাভেল এজেন্সি, বেড়ে যাবে গ্রাহক হয়রানি। উড়োজাহাজের টিকিট বিক্রিতে তৈরি হবে মনোপলি, ইচ্ছেমতো বাড়ানো হবে টিকিটের দাম।
বিশ্বব্যাপী ট্রাভেল ব্যবসায় ‘এজেন্ট টু এজেন্ট’ (বিটুবি) মডেল প্রচলিত। যেখানে একটি ট্রাভেল এজেন্সি অন্য একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি বা ক্রয় করতে পারে। বাংলাদেশে এই নিয়মের প্রয়োগ না হলে ছোট ও মাঝারি আকারের ট্রাভেল এজেন্সিগুলো আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারবে না।
খসড়া পরিপত্রের (ঙ)-ধারায় বলা হয়েছে, ‘ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনার জন্য অবশ্যই আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আয়াটা) স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে হবে।’ যদিও ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর দাবি, পৃথিবীর কোথাও টিকিট বিক্রির জন্য আয়াটার সদস্যপদ বাধ্যতামূলক নয়। বড় বড় ট্রাভেল এজেন্সি আয়াটার সদস্যপদ গ্রহণ করলেও ছোট এজেন্সিগুলো তাদের ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য আয়াটার মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করতে পারে না।
বর্তমানে দেশে আয়াটার সদস্যপদ পাওয়া ট্রাভেল এজেন্সির সংখ্যা ৯৭০টি; যাদের মধ্যে কেবল ৩৫০টি ট্রাভেল এজেন্সির কাছে এমিরেটস এয়ারলাইনস, কাতার এয়ারওয়েজ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসসহ বড় বড় এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রির অনুমতি (ক্যাপিং) আছে।
আয়াটা একটি আন্তর্জাতিক টিকিট সেলিং প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বব্যাপী ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা পরিচালনা করতে সহায়তা করে। ট্রাভেল এজেন্সিগুলো বলছে, পৃথিবীর কোথাও ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা পরিচালনার জন্য আয়াটা সদস্যপদ লাভ করা বাধ্যতামূলক নয়। সাধারণত, বড় বড় ট্রাভেল এজেন্সি আয়াটা সদস্যপদ লাভ করে। এই সদস্যপদের মাধ্যমে তারা সব ধরনের এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রির অনুমতি পায়। তবে আয়াটা সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কড়াকড়ি রয়েছে। প্রথমত, এজন্য ট্রাভেল এজেন্সিকে একটি বিশাল অঙ্কের ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হয়, যা কোটি টাকা হতে পারে। এরপরও আয়াটার সদস্যপদ পেতে কয়েক বছর অপেক্ষা করা লাগতে পারে। ছোট বা মাঝারি আকারের এজেন্সিগুলোর জন্য এই দুটো বিষয়ই আয়াটার সদস্যপদ পেতে বড় বাধা।
আয়াটা সদস্যপদ লাভের শর্ত অনুযায়ী, একটিমাত্র ট্রাভেল এজেন্সিকে সদস্যপদ পেতে হলে কমপক্ষে ছয় মাস ব্যবসা করতে হয়। এর পাশাপাশি, ৩০ লাখ টাকার ব্যাংক গ্যারান্টিসহ বিভিন্ন কাগজপত্র আয়াটার বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজারের কাছে জমা দিতে হয়। তবে এই গ্যারান্টি থেকে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ, অর্থাৎ ২১ লাখ টাকা পর্যন্ত টিকিট কেনার অনুমতি পাওয়া যায়, যা শুধু তিন থেকে চারটি এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রির জন্য যথেষ্ট।
বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ট্রাভেল এজেন্সি খাতের একাধিক সমস্যা ইতিমধ্যেই বিদ্যমান। একদিকে যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করতে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন, অন্যদিকে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর ওপর এই নতুন নিয়ম চাপ তৈরি করবে।
ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নতুন নিয়ম বাস্তবায়িত হলে ছোট ও মাঝারি আকারের ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সরকারের অধীনে নিবন্ধিত ৪ হাজার ৪৭৬টি ট্রাভেল এজেন্সির মধ্যে ৮৩% এজেন্সিরই আয়াটা সদস্যপদ নেই। এ ধরনের এজেন্সিগুলোর জন্য যদি পরিপত্র অনুসারে আয়াটা সদস্যপদ বাধ্যতামূলক করা হয়, তবে তারা আর টিকিট বিক্রি করতে পারবে না। এর ফলে, টিকিটের সংকট সৃষ্টি হবে এবং সাধারণ যাত্রীদের জন্য ভোগান্তি বাড়বে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান বলেন, নতুন খসড়া পরিপত্রে বলা হয়েছে যে, ব্যবসা শুরুর ছয় মাসের মধ্যে ট্রাভেল এজেন্সিকে আয়াটা সদস্যপদ নিতে হবে। এই শর্ত ছোট ও মাঝারি আকারের ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে এবং তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, আয়াটা সদস্যপদ লাভের প্রক্রিয়া অনেক কঠিন এবং ব্যয়বহুল—এটি ছোট এজেন্সিগুলোর পক্ষে অর্জন করা প্রায় অসম্ভব।
আরও খবর পড়ুন:
গ্রাহক হয়রানি প্রতিরোধে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি খসড়া পরিপত্র তৈরি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। নতুন পরিপত্রের মূল বিষয় হচ্ছে, এক ট্রাভেল এজেন্সি আরেক ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে টিকিট ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না। এটি ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাদের আশঙ্কা, এই পরিপত্র বাস্তবায়ন করা হলে কয়েক হাজার ট্রাভেল এজেন্সি বন্ধ হয়ে যাবে। গ্রাহকদেরও বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন খসড়া পরিপত্রের (ণ)-ধারাতে বলা হয়েছে, ‘এক ট্রাভেল এজেন্সি অন্য ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে টিকিট ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না।’ এই সিদ্ধান্তটি সরাসরি প্রভাব ফেলবে বাংলাদেশের ৫ হাজার ৭৪৬টি লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সির ওপর। বর্তমানে দেশে যেসব ট্রাভেল এজেন্সি ছোট আকারে ব্যবসা পরিচালনা করে, তারা মূলত বড় এজেন্সির ওপর নির্ভরশীল থাকে টিকিট ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য। সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যন্ত এখন ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে। যাঁদের কম্পিউটার আছে, তাঁরাও সাব-এজেন্টের মাধ্যমে কমিশনভিত্তিক টিকিট বিক্রির এই ব্যবসা করছেন। পরিপত্রটি বাস্তবায়িত হলে ছোট ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে পড়বে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিপত্রের খসড়ায় ব্যবসা পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের কথা বলা হলেও মূলত এতে বন্ধ হবে ৫ হাজারের বেশি ট্রাভেল এজেন্সি, বেড়ে যাবে গ্রাহক হয়রানি। উড়োজাহাজের টিকিট বিক্রিতে তৈরি হবে মনোপলি, ইচ্ছেমতো বাড়ানো হবে টিকিটের দাম।
বিশ্বব্যাপী ট্রাভেল ব্যবসায় ‘এজেন্ট টু এজেন্ট’ (বিটুবি) মডেল প্রচলিত। যেখানে একটি ট্রাভেল এজেন্সি অন্য একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি বা ক্রয় করতে পারে। বাংলাদেশে এই নিয়মের প্রয়োগ না হলে ছোট ও মাঝারি আকারের ট্রাভেল এজেন্সিগুলো আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারবে না।
খসড়া পরিপত্রের (ঙ)-ধারায় বলা হয়েছে, ‘ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনার জন্য অবশ্যই আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আয়াটা) স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে হবে।’ যদিও ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর দাবি, পৃথিবীর কোথাও টিকিট বিক্রির জন্য আয়াটার সদস্যপদ বাধ্যতামূলক নয়। বড় বড় ট্রাভেল এজেন্সি আয়াটার সদস্যপদ গ্রহণ করলেও ছোট এজেন্সিগুলো তাদের ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য আয়াটার মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করতে পারে না।
বর্তমানে দেশে আয়াটার সদস্যপদ পাওয়া ট্রাভেল এজেন্সির সংখ্যা ৯৭০টি; যাদের মধ্যে কেবল ৩৫০টি ট্রাভেল এজেন্সির কাছে এমিরেটস এয়ারলাইনস, কাতার এয়ারওয়েজ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসসহ বড় বড় এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রির অনুমতি (ক্যাপিং) আছে।
আয়াটা একটি আন্তর্জাতিক টিকিট সেলিং প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বব্যাপী ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা পরিচালনা করতে সহায়তা করে। ট্রাভেল এজেন্সিগুলো বলছে, পৃথিবীর কোথাও ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা পরিচালনার জন্য আয়াটা সদস্যপদ লাভ করা বাধ্যতামূলক নয়। সাধারণত, বড় বড় ট্রাভেল এজেন্সি আয়াটা সদস্যপদ লাভ করে। এই সদস্যপদের মাধ্যমে তারা সব ধরনের এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রির অনুমতি পায়। তবে আয়াটা সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কড়াকড়ি রয়েছে। প্রথমত, এজন্য ট্রাভেল এজেন্সিকে একটি বিশাল অঙ্কের ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হয়, যা কোটি টাকা হতে পারে। এরপরও আয়াটার সদস্যপদ পেতে কয়েক বছর অপেক্ষা করা লাগতে পারে। ছোট বা মাঝারি আকারের এজেন্সিগুলোর জন্য এই দুটো বিষয়ই আয়াটার সদস্যপদ পেতে বড় বাধা।
আয়াটা সদস্যপদ লাভের শর্ত অনুযায়ী, একটিমাত্র ট্রাভেল এজেন্সিকে সদস্যপদ পেতে হলে কমপক্ষে ছয় মাস ব্যবসা করতে হয়। এর পাশাপাশি, ৩০ লাখ টাকার ব্যাংক গ্যারান্টিসহ বিভিন্ন কাগজপত্র আয়াটার বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজারের কাছে জমা দিতে হয়। তবে এই গ্যারান্টি থেকে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ, অর্থাৎ ২১ লাখ টাকা পর্যন্ত টিকিট কেনার অনুমতি পাওয়া যায়, যা শুধু তিন থেকে চারটি এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রির জন্য যথেষ্ট।
বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ট্রাভেল এজেন্সি খাতের একাধিক সমস্যা ইতিমধ্যেই বিদ্যমান। একদিকে যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করতে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন, অন্যদিকে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর ওপর এই নতুন নিয়ম চাপ তৈরি করবে।
ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নতুন নিয়ম বাস্তবায়িত হলে ছোট ও মাঝারি আকারের ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সরকারের অধীনে নিবন্ধিত ৪ হাজার ৪৭৬টি ট্রাভেল এজেন্সির মধ্যে ৮৩% এজেন্সিরই আয়াটা সদস্যপদ নেই। এ ধরনের এজেন্সিগুলোর জন্য যদি পরিপত্র অনুসারে আয়াটা সদস্যপদ বাধ্যতামূলক করা হয়, তবে তারা আর টিকিট বিক্রি করতে পারবে না। এর ফলে, টিকিটের সংকট সৃষ্টি হবে এবং সাধারণ যাত্রীদের জন্য ভোগান্তি বাড়বে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান বলেন, নতুন খসড়া পরিপত্রে বলা হয়েছে যে, ব্যবসা শুরুর ছয় মাসের মধ্যে ট্রাভেল এজেন্সিকে আয়াটা সদস্যপদ নিতে হবে। এই শর্ত ছোট ও মাঝারি আকারের ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে এবং তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, আয়াটা সদস্যপদ লাভের প্রক্রিয়া অনেক কঠিন এবং ব্যয়বহুল—এটি ছোট এজেন্সিগুলোর পক্ষে অর্জন করা প্রায় অসম্ভব।
আরও খবর পড়ুন:
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার মো. রিয়াজ হামিদুল্লাহ। এ উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও হাই কমিশনের কূটনীতিক, দিল্লির নাগরিক সমাজের সদস্য এবং সাংবাদিকদের নিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ শল্য চিকিৎসক ঢাকায় এসেছিলেন। তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মূলত গত বছরের জুলাই আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় চোখে আঘাত পাওয়া আন্দোলনকারীদের সুচিকিৎসা দেওয়া। এরই মধ্যে ব্রিটিশ চিকিৎসকেরা অন্তত ২০ জন জুলাইযোদ্ধা
৬ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নের সবার লক্ষ্য এক। তবে সংস্কার বাস্তবায়নের পথ নিয়ে সামান্য ভিন্নতা আছে। আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করে যে সব জায়গায় ঐকমত্য আছে তার ভিত্তিতে দ্রুতই জাতীয় সনদ তৈরি করা যাবে। এই সনদ তৈরির মাধ্যমে জাতির রাষ্ট্র সংস্কারের...
৬ ঘণ্টা আগে