দেশের প্রায় সব পরিবারের মধ্যেই কম-বেশি বিরোধ লক্ষ করা যায়। বেশির ভাগ বিরোধের কারণ ছোট ছোট বিষয়। বিরোধ নানা কারণে দেখা দিতে পারে। ব্যক্তিগত বিষয় থেকে শুরু করে সম্পত্তি, দেনা, পাওনা ইত্যাদি বিষয়ে বিরোধ দেখা দেয়।
বিরোধ দেখা দিলে অনেকে রাগে ও ক্ষোভে সংঘাতে জড়ান। আবার কেউ আগ-পিছ না ভেবে থানায় বা আদালতে গিয়ে মামলা ঠুকে দেন। কিন্তু মামলা-মোকদ্দমার পথে যে দীর্ঘসূত্রতা, তা আগে থেকে অনেকে বুঝতে পারেন না। অথচ একটু সচেতন হলে এবং আন্তরিক হলে পারিবারিক বিষয়গুলো নিজেরাই অনায়াসে মিটিয়ে ফেলতে পারেন। এ জন্য দরকার আন্তরিকতা।
মামলা শুরু হলেই মানুষ একদিকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং অন্যদিকে হয়রানির শিকার হন। অথচ আপস নিষ্পত্তিমূলক বিচারব্যবস্থায় অল্প খরচে, একদম কম সময়ের মধ্যে বিরোধীয় পক্ষের পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে সহজেই বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব। এ ব্যবস্থায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে আনুষ্ঠানিকতা কিংবা পদ্ধতিগত কোনো জটিলতার মুখোমুখি হতে হয় না। পক্ষদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই একটি সমাধান বের হয়ে আসে।
এভাবে নিষ্পত্তিতে যা হয় তা হলো কেউই সে অর্থে হারেন না। দুপক্ষই বিজয়ী হন। বিচারপ্রার্থীরা খোলামন নিয়ে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে মুখোমুখি হয়ে কথা বলে সহজেই সমাধান বের করতে পারেন। এ ব্যবস্থার আরেকটি সুবিধা হলো মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ায় পক্ষরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে বলে গৃহীত সিদ্ধান্তটি তাঁরা নিজেদের মনে করেন। ফলে গৃহীত সিদ্ধান্ত সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় বলে এর মাধ্যমে বিরোধের কার্যকর ও স্থায়ীভাবে শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি হয়। থাকে না প্রতিশোধ গ্রহণের মানসিকতা।
আপস নিষ্পত্তিমূলক সামাজিক বিচারব্যবস্থার মূল পদ্ধতি হলো মেডিয়েশনের (মধ্যস্থতা) মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ও দ্রুত বিরোধ নিষ্পত্তি করা। সাধারণত বিচার প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তর আইনের ছকে বাঁধা। প্রচলিত আইনি পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তি করতে অনেক দেরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে মামলা চালাতে গিয়ে মানুষ নিঃস্ব হয়ে যায়। এ কারণেই বিকল্পপন্থায় বিরোধ নিষ্পত্তি খুবই ভালো পন্থা।
এই পদ্ধতিতে নিম্নবর্ণিত সুবিধা রয়েছে—
১. ফলাফলে উভয় পক্ষই জয়লাভ করে।
২. পক্ষগুলো কম সময়ের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত পান।
৩. কোনো ব্যয় ছাড়াই মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
৪. মূল্যবান সময় বাঁচে।
৫. পক্ষগুলোর মধ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব থাকে না।
৭ মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ বাড়ে।
বাংলাদেশে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিভিন্ন আইন
দেওয়ানি মামলা
১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা ৮৯ ক, ৮৯ খ, ৮৯ গ-এ ‘আপস নিষ্পত্তি’ সংক্রান্ত বিধানাবলি ২০০৩ সালে সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে। লিখিত জবাব দাখিলের পরে আদালত শুনানি মুলতবি রেখে আপসের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য স্বয়ং সচেষ্ট হবেন অথবা বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য পক্ষদের নিযুক্ত করা আইনজীবীদের কাছে পাঠাবেন। অথবা মধ্যস্থতার জন্য জেলা জজ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্যানেল থেকে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে পাঠানো হবে।
এরপর উভয় পক্ষের নিযুক্ত করা আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করবে। মধ্যস্থতার আদেশের ১০ দিনের মধ্যে পক্ষরা লিখিতভাবে মধ্যস্থতার পদ্ধতির অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে জানাবে এবং ৬০ দিনের মধ্যে মধ্যস্থতা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
যদি ওই কার্যক্রম ৬০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৩০ দিন বাড়ানো যাবে। আপসে বিরোধটি নিষ্পন্ন করা সম্ভব হলে মধ্যস্থতাকারী উভয় পক্ষ কর্তৃক গৃহীত শর্তাবলি উল্লেখপূর্বক একটি চুক্তি প্রস্তুত করবেন এবং পক্ষরা তাদের নিযুক্ত করা আইনজীবীরা ও মধ্যস্থতাকারী তাতে স্বাক্ষর করবেন এবং ওই চুক্তি আদালতে দাখিল করবেন। আদালত সাত দিনের মধ্যে ওই চুক্তির আলোকে ‘ডিক্রি’ দেবেন।
বিচারক নিজে আপস মীমাংসা করে থাকলেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে মামলার কার্যক্রম পরবর্তী ধাপ থেকে চলবে। কোনো মামলার আপিল চলাকালীন ৮৯গ ধারার অধীনে আপস নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব।
অর্থঋণ আদালত
অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩-এর পঞ্চম অধ্যায়ে ‘বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির’ বিধি উল্লেখ করা আছে। এ আইনের ধারা ২২-এ উল্লেখ আছে যে, লিখিত জবাব দাখিলের পরে আদালত বিরোধের বিষয়টি দুই পক্ষের কাছে অথবা তাদের নিযুক্ত করা আইনজীবীর কাছে ‘আপস নিষ্পত্তির’ জন্য পাঠাবেন। ‘আপস নিষ্পত্তি’র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে উভয় পক্ষ ও তাদের নিযুক্ত করা আইনজীবী এবং মধ্যস্থতাকারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে। বিরোধটি আপসে নিষ্পন্ন করা সম্ভব হলে প্রতিবেদনের শর্তাবলি একটি লিখিত চুক্তির আকারে আদালতে দাখিল করতে হবে। এরপর আদালত ওই চুক্তির আলোকে ‘ডিক্রি’ দেবেন।
পারিবারিক আদালত
পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ অনুযায়ী লিখিত জবাব দাখিলের পরে পারিবারিক আদালত মামলার শুনানির জন্য দিন ধার্য করবে। শুনানির জন্য ধার্য দিনে, আদালত উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধটি আপস নিষ্পত্তির চেষ্টা করবে।
গ্রাম আদালত
গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ অনুযায়ী, গ্রাম আদালত গঠিত হওয়ার পরে শুনানি শেষে আদালত উভয় পক্ষের মধ্যকার বিচার্য বিষয় নির্ধারণ করবে এবং উভয় পক্ষের বিরোধ আপসে মীমাংসার চেষ্টা করবে। আপসে বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভবপর হলে তা চুক্তিতে লিপিবদ্ধ করে উভয় পক্ষ এবং তাদের মনোনীত সদস্য কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে। অতঃপর গ্রাম আদালত সে অনুযায়ী ‘ডিক্রি অথবা আদেশ’ দেবে।
ফৌজদারি মামলা
ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ৩৪৫ ধারায় ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে ওই ধারায় উল্লেখিত অপরাধগুলোর জন্য আপসের মাধ্যমে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সালিস আইন
সালিস আইন, ২০০১-এর ২২ ধারা আপস নিষ্পত্তির মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ দিয়েছে। ওই আইন অনুযায়ী আপসের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মামলার যেকোনো পর্যায়ে উভয় পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে বিরোধটি মধ্যস্থতার জন্য পাঠানো যেতে পারে। বিরোধ চলমান থাকাকালে উভয় পক্ষ আপসে বিরোধটি নিষ্পত্তি করলে এবং ট্রাইব্যুনালকে ওই বিষয় জানালে ট্রাইব্যুনাল ওই সম্মতি রেকর্ডপূর্বক ট্রাইব্যুনালের ‘আদেশ’ দেবেন।
দেশের প্রায় সব পরিবারের মধ্যেই কম-বেশি বিরোধ লক্ষ করা যায়। বেশির ভাগ বিরোধের কারণ ছোট ছোট বিষয়। বিরোধ নানা কারণে দেখা দিতে পারে। ব্যক্তিগত বিষয় থেকে শুরু করে সম্পত্তি, দেনা, পাওনা ইত্যাদি বিষয়ে বিরোধ দেখা দেয়।
বিরোধ দেখা দিলে অনেকে রাগে ও ক্ষোভে সংঘাতে জড়ান। আবার কেউ আগ-পিছ না ভেবে থানায় বা আদালতে গিয়ে মামলা ঠুকে দেন। কিন্তু মামলা-মোকদ্দমার পথে যে দীর্ঘসূত্রতা, তা আগে থেকে অনেকে বুঝতে পারেন না। অথচ একটু সচেতন হলে এবং আন্তরিক হলে পারিবারিক বিষয়গুলো নিজেরাই অনায়াসে মিটিয়ে ফেলতে পারেন। এ জন্য দরকার আন্তরিকতা।
মামলা শুরু হলেই মানুষ একদিকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং অন্যদিকে হয়রানির শিকার হন। অথচ আপস নিষ্পত্তিমূলক বিচারব্যবস্থায় অল্প খরচে, একদম কম সময়ের মধ্যে বিরোধীয় পক্ষের পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে সহজেই বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব। এ ব্যবস্থায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে আনুষ্ঠানিকতা কিংবা পদ্ধতিগত কোনো জটিলতার মুখোমুখি হতে হয় না। পক্ষদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই একটি সমাধান বের হয়ে আসে।
এভাবে নিষ্পত্তিতে যা হয় তা হলো কেউই সে অর্থে হারেন না। দুপক্ষই বিজয়ী হন। বিচারপ্রার্থীরা খোলামন নিয়ে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে মুখোমুখি হয়ে কথা বলে সহজেই সমাধান বের করতে পারেন। এ ব্যবস্থার আরেকটি সুবিধা হলো মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ায় পক্ষরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে বলে গৃহীত সিদ্ধান্তটি তাঁরা নিজেদের মনে করেন। ফলে গৃহীত সিদ্ধান্ত সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় বলে এর মাধ্যমে বিরোধের কার্যকর ও স্থায়ীভাবে শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি হয়। থাকে না প্রতিশোধ গ্রহণের মানসিকতা।
আপস নিষ্পত্তিমূলক সামাজিক বিচারব্যবস্থার মূল পদ্ধতি হলো মেডিয়েশনের (মধ্যস্থতা) মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ও দ্রুত বিরোধ নিষ্পত্তি করা। সাধারণত বিচার প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তর আইনের ছকে বাঁধা। প্রচলিত আইনি পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তি করতে অনেক দেরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে মামলা চালাতে গিয়ে মানুষ নিঃস্ব হয়ে যায়। এ কারণেই বিকল্পপন্থায় বিরোধ নিষ্পত্তি খুবই ভালো পন্থা।
এই পদ্ধতিতে নিম্নবর্ণিত সুবিধা রয়েছে—
১. ফলাফলে উভয় পক্ষই জয়লাভ করে।
২. পক্ষগুলো কম সময়ের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত পান।
৩. কোনো ব্যয় ছাড়াই মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
৪. মূল্যবান সময় বাঁচে।
৫. পক্ষগুলোর মধ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব থাকে না।
৭ মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ বাড়ে।
বাংলাদেশে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিভিন্ন আইন
দেওয়ানি মামলা
১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা ৮৯ ক, ৮৯ খ, ৮৯ গ-এ ‘আপস নিষ্পত্তি’ সংক্রান্ত বিধানাবলি ২০০৩ সালে সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে। লিখিত জবাব দাখিলের পরে আদালত শুনানি মুলতবি রেখে আপসের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য স্বয়ং সচেষ্ট হবেন অথবা বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য পক্ষদের নিযুক্ত করা আইনজীবীদের কাছে পাঠাবেন। অথবা মধ্যস্থতার জন্য জেলা জজ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্যানেল থেকে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে পাঠানো হবে।
এরপর উভয় পক্ষের নিযুক্ত করা আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করবে। মধ্যস্থতার আদেশের ১০ দিনের মধ্যে পক্ষরা লিখিতভাবে মধ্যস্থতার পদ্ধতির অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে জানাবে এবং ৬০ দিনের মধ্যে মধ্যস্থতা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
যদি ওই কার্যক্রম ৬০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৩০ দিন বাড়ানো যাবে। আপসে বিরোধটি নিষ্পন্ন করা সম্ভব হলে মধ্যস্থতাকারী উভয় পক্ষ কর্তৃক গৃহীত শর্তাবলি উল্লেখপূর্বক একটি চুক্তি প্রস্তুত করবেন এবং পক্ষরা তাদের নিযুক্ত করা আইনজীবীরা ও মধ্যস্থতাকারী তাতে স্বাক্ষর করবেন এবং ওই চুক্তি আদালতে দাখিল করবেন। আদালত সাত দিনের মধ্যে ওই চুক্তির আলোকে ‘ডিক্রি’ দেবেন।
বিচারক নিজে আপস মীমাংসা করে থাকলেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে মামলার কার্যক্রম পরবর্তী ধাপ থেকে চলবে। কোনো মামলার আপিল চলাকালীন ৮৯গ ধারার অধীনে আপস নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব।
অর্থঋণ আদালত
অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩-এর পঞ্চম অধ্যায়ে ‘বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির’ বিধি উল্লেখ করা আছে। এ আইনের ধারা ২২-এ উল্লেখ আছে যে, লিখিত জবাব দাখিলের পরে আদালত বিরোধের বিষয়টি দুই পক্ষের কাছে অথবা তাদের নিযুক্ত করা আইনজীবীর কাছে ‘আপস নিষ্পত্তির’ জন্য পাঠাবেন। ‘আপস নিষ্পত্তি’র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে উভয় পক্ষ ও তাদের নিযুক্ত করা আইনজীবী এবং মধ্যস্থতাকারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে। বিরোধটি আপসে নিষ্পন্ন করা সম্ভব হলে প্রতিবেদনের শর্তাবলি একটি লিখিত চুক্তির আকারে আদালতে দাখিল করতে হবে। এরপর আদালত ওই চুক্তির আলোকে ‘ডিক্রি’ দেবেন।
পারিবারিক আদালত
পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ অনুযায়ী লিখিত জবাব দাখিলের পরে পারিবারিক আদালত মামলার শুনানির জন্য দিন ধার্য করবে। শুনানির জন্য ধার্য দিনে, আদালত উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধটি আপস নিষ্পত্তির চেষ্টা করবে।
গ্রাম আদালত
গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ অনুযায়ী, গ্রাম আদালত গঠিত হওয়ার পরে শুনানি শেষে আদালত উভয় পক্ষের মধ্যকার বিচার্য বিষয় নির্ধারণ করবে এবং উভয় পক্ষের বিরোধ আপসে মীমাংসার চেষ্টা করবে। আপসে বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভবপর হলে তা চুক্তিতে লিপিবদ্ধ করে উভয় পক্ষ এবং তাদের মনোনীত সদস্য কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে। অতঃপর গ্রাম আদালত সে অনুযায়ী ‘ডিক্রি অথবা আদেশ’ দেবে।
ফৌজদারি মামলা
ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ৩৪৫ ধারায় ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে ওই ধারায় উল্লেখিত অপরাধগুলোর জন্য আপসের মাধ্যমে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সালিস আইন
সালিস আইন, ২০০১-এর ২২ ধারা আপস নিষ্পত্তির মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ দিয়েছে। ওই আইন অনুযায়ী আপসের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মামলার যেকোনো পর্যায়ে উভয় পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে বিরোধটি মধ্যস্থতার জন্য পাঠানো যেতে পারে। বিরোধ চলমান থাকাকালে উভয় পক্ষ আপসে বিরোধটি নিষ্পত্তি করলে এবং ট্রাইব্যুনালকে ওই বিষয় জানালে ট্রাইব্যুনাল ওই সম্মতি রেকর্ডপূর্বক ট্রাইব্যুনালের ‘আদেশ’ দেবেন।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস) গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। বিভিন্ন সার্ভিস থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে এই সার্ভিসে যোগ দেওয়া যাবে। এসইএসের অধীনে থাকবে উপসচিব থেকে সচিবের সব পদ। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদের নাম...
৩ ঘণ্টা আগেফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে মোবাইল অপারেটরদের সহায়তায় বার্ন ইউনিটের ইমার্জেন্সি নম্বরগুলোকে সাময়িকভাবে টোল ফ্রি করা হয়েছে। দেশের সব কটি বার্ন ইউনিটকে একটিমাত্র শর্ট কোডে ও ৯৯৯-এর ইমার্জেন্সি কল সেন্টারে যুক্ত করতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
৫ ঘণ্টা আগেউত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর যখন পুরো দেশ শোক আর আতঙ্কে স্তব্ধ, তখন রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে দেখা গেল এক অনন্য মানবিক দৃশ্য—হাজারো মানুষের রক্তদানে ঝাঁপিয়ে পড়া।
৬ ঘণ্টা আগেই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও তাঁর স্ত্রী সাবিয়া চৌধুরীকে বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগের মামলায় চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
৭ ঘণ্টা আগে