Ajker Patrika

শান্তি চুক্তির ২৭ বছরেও প্রত্যাশা পূরণ হয়নি পার্বত্যবাসীর

হিমেল চাকমা, রাঙামাটি 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর এ চুক্তি হলেও এখনো বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি এর অনেক শর্ত।

চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামকে উপজাতি-অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি এবং বিশেষ শাসনব্যবস্থার আওতায় তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে পুলিশ, ভূমি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্রীড়া, সংস্কৃতিসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ সব দপ্তর ন্যস্ত করা। চুক্তির পর বিভিন্ন সরকারের আমলে পরিষদের কাছে অনেক দপ্তর হস্তান্তরিত হলেও পুলিশ ও ভূমি দপ্তর দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া শক্তিশালী করা হয়নি জেলা পরিষদগুলো। এখনো স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে পরিষদের নির্বাচন হয়নি। যখন যে সরকার আসে, সেই সরকারের মনোনীতদের দিয়ে জোড়াতালিতে চালানো হচ্ছে এগুলো।

রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজীব চাকমা বলেন, ‘চুক্তির আলোকে জেলা পরিষদ বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এখানে অনেক দপ্তর দেওয়া হয়েছে, অথচ ২৭ বছরেও নির্বাচন হলো না। যে সরকার এসেছে, সে সরকার তার মতো করে চালিয়ে নিয়েছে। এখানে পার্বত্যবাসীর অধিকার উপেক্ষা করা হয়েছে। বর্তমান সরকার পরিষদ পুনর্গঠন করে আবারও চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।

এদিকে ঠিক নেই পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পদমর্যাদা। এতে দাপ্তরিক কাজ করতে সমস্যা হয় বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রেম লিয়ানা পাংখোয়া।

চুক্তির আলোকে গঠন করা আছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর সঙ্গে জেলা পরিষদগুলোর সমন্বয় করতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। জেলা পরিষদে নির্বাচন না হওয়ায় ঝুলে রয়েছে আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচনও। এ ছাড়া সংস্থাটির কার্যবিধিমালা না করায় এটি একরকম অকার্যকর হয়ে আছে। বিভিন্ন সরকারের আমলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বদল হলেও ১৯৯৮ সাল থেকে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) হয়ে আছেন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা।

যোগাযোগ করা হলে রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, ‘এভাবে জেলা পরিষদ চলতে পারে না। পরিষদগুলো শক্তিশালী করতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত হলে পাহাড়ি-বাঙালি উভয়ে সুফল পাবে। সে জন্য জেলা পরিষদ এবং আঞ্চলিক পরিষদে নির্বাচন দরকার। তার আগে চুক্তি অনুযায়ী ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা জরুরি।’

এ ছাড়া পাহাড়ে ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি করতে চুক্তি অনুযায়ী প্রণয়ন হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন। পরে কমিশন বিরোধ বিষয়ে আবেদনপত্র নিলেও পুনর্বাসিত বাঙালিদের আপত্তির মুখে নিষ্পত্তির কার্যক্রম আর এগোয়নি।

সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা বলেন, ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন বিরোধ সৃষ্টি হচ্ছে। ভূমি বন্দোবস্ত বন্ধ আছে। এদিকে অসাধু চক্র জাল দলিল দিয়ে ভূমি রেজিস্ট্রেশন করছে, এতে সমস্যা বাড়ছে।

সার্বিক বিষয়ে কথা হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এম এন লারমা দলের কেন্দ্রীয় তথ্য প্রচার সম্পাদক জুপিটার চাকমা জানান, চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ২৫টি বাস্তবায়িত, ১৮টি আংশিক বাস্তবায়িত ও ২৯টি সম্পূর্ণ অবাস্তবায়িত রয়েছে। তিনি আংশিক ও অবাস্তবায়িত ধারাগুলোর সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি করেছেন।

রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, ‘চুক্তি ২৭ বছরেও পার্বত্যবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেটা হোক পাহাড়ি কিংবা বাঙালি। পাহাড়ে শান্তি স্থাপনের স্বার্থে সংযোজন-বিয়োজন করে হলেও চুক্তি বাস্তবায়ন করা দরকার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তফসিল ঘোষণার পর কার্যকর হবে আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগপত্র

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫০
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে বুধবার সন্ধ্যায় প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে বুধবার সন্ধ্যায় প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের পদত্যাগপত্র প্রধান উপদেষ্টা গ্রহণ করেছেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তাঁদের পদত্যাগপত্র কার্যকর হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে আজ বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ আজ বিকেল ৫টা নাগাদ প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। তাঁদের পদত্যাগপত্র নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে।

শফিকুল আলম জানান, পদত্যাগ করা দুই ছাত্র উপদেষ্টার ভবিষ্যৎ জীবনের মঙ্গল কামনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই তফসিল ঘোষণা করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রাথমিকের আরও ৬৫,৫০২ প্রধান শিক্ষক পাচ্ছেন ১০ম গ্রেডে বেতন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫১
প্রাথমিকের আরও ৬৫,৫০২ প্রধান শিক্ষক পাচ্ছেন ১০ম গ্রেডে বেতন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আজ বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক উন্নয়ন ও সমন্বয়-১ অধিশাখার এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষকের পদের বেতন স্কেল ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ আলোচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষকের পদের বেতন স্কেল ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের প্রস্তাব সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় উপস্থাপন করে।

রিট পিটিশন অনুযায়ী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-১০-এ উন্নীতকরণ করে সরকারি আদেশ জারি করা হয়েছে। উক্ত ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের ধারাবাহিকতায় অবশিষ্ট ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষক পদের বেতন স্কেল গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-১০-এ উন্নীতকরণের প্রস্তাব করা হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়।

এতে বলা হয়, অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ সম্মতি দিয়েছে। অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ উক্ত ৬৫ হাজার ৫০২টি পদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ করেছে। বিস্তারিত পর্যালোচনাপূর্বক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদের বেতন স্কেল ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের সুপারিশ করা যেতে পারে মর্মে সভায় ঐকমত্য প্রকাশ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো ৬০ এজেন্সির পেটে ৪৫০০ কোটি টাকা

সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে ঢাকার ছোট চায়ের দোকান ছেড়ে উন্নত জীবনের আশায় ২০২২ সালে মালয়েশিয়ার পথে পা বাড়ান কুমিল্লার চান্দিনার যুবক আকাশ। পরিবারকে একটু স্বস্তি দিতে শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দেশে-বিদেশে দালালদের টাকা পরিশোধ করে বিদেশে গেলেও সেখানে গিয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল ভয়াবহ বাস্তবতা।

মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর আকাশ বুঝতে পারেন, যে বেতনের কথা বলা হয়েছিল, এর সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। যেখানে খেয়ে-পরে টিকে থাকা কঠিন, সেখানে সঞ্চয়ের তো প্রশ্নই আসে না। ঢাকায় তাঁর আগের চায়ের দোকান থেকেও কম আয় হয় সেখানে। কয়েক মাসের মধ্যে বুঝে যান, বিদেশে আসা ছিল জীবনের বড় ভুল। নিজের সঙ্গে বিপদে ফেলেছেন পরিবারকেও।

অবশেষে ২০২৩ সালে দেশে ফিরে কমলাপুর ফুটপাতে আবার শুরু করেন চায়ের দোকান। দুই বছরে ধারদেনা শোধ করেছেন, তবে বাবার জমিটা উদ্ধার করতে পারেননি।

আকাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় যাওয়াই ছিল আমাদের জীবনের সবচেয়ে ভুল সিদ্ধান্ত। আমরা কয়েকজন একসঙ্গেই দেশে ফিরে এসেছি। আর কখনো বিদেশে যেতে চাই না।’

সম্প্রতি মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের নিয়ে একটি জরিপ শুরু করেছে দেশের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে। এতে ৬০টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে নতুন করে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি উঠে এসেছে।

দুদকের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন শ্রমিকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৫৪৫ কোটি ২০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র। এই অর্থ আত্মসাৎ করেছে দেশের ৬০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। এসব এজেন্সির ১২৪ জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগও পেয়েছে দুদক।

এই চার বছরে ১০০ এজেন্সির বিরুদ্ধে শ্রমিকদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো শ্রমিকদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে ৭ হাজার ৯৮৪ কোটি ১৫ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা। এজেন্সিগুলোর ২৩২ জন দায়িত্বশীল ব্যক্তির বিরুদ্ধে টাকা আদায়ের সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।

দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে এসব অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম। এর মধ্যে কয়েকটি হলো—জনতা ট্রাভেলস লিমিটেড, ত্রিবেনী ইন্টারন্যাশনাল, এমএস সান ওভারসিজ, কিসওয়া এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, নাতাশা ওভারসিজ, রমনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, উইন ইন্টারন্যাশনাল, মৃধা ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন, প্রান্তিক ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম লিমিটেড, সুলতান ওভারসিজ ও প্রভাতী ইন্টারন্যাশনাল।

দুদকের একটি সূত্র জানায়, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে উপার্জন করা টাকা বহু বছর ধরে হাতিয়ে নিচ্ছিল এ চক্র। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। পরে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটি পুনরায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে। তখন শ্রমিক ভিসায় যেতে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে সরকার, যা ২০২২ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত খরচের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি অর্থ আদায় করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদত্যাগ করেছেন উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৩
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম। ফাইল ছবি
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম। ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম পদত্যাগ করেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৮ মিনিটে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় গিয়ে তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর দুই উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সূত্র জানায়, আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করছেন। বৈঠকের বিষয়ে তাঁরা সাংবাদিকদের জানাবেন।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। তবে সেখানে কে বক্তব্য দেবেন, তা জানানো হয়নি।

তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য সময় জানানোর পর থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম শিগগির পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলে আলোচনা চলছিল। কারণ, তাঁরা দুজনই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন।

এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে বলে খবর আসার পর দুই উপদেষ্টা আজ পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন জোরালো হয়।

বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও পদত্যাগের বিষয়ে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

আসিফ মাহমুদ জানান, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। কোন দলের মনোনয়ন নেবেন, সেটি পরে জানাবেন।

গত বছর কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একপর্যায়ে জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতন হয়। পরে ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

শুরুতেই ওই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ। আর মাহফুজ আলম উপদেষ্টার পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁরা।

মাহফুজ পরে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এবং কিছুদিন দপ্তরবিহীন ছিলেন। নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর তিনি তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার দায়িত্ব পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত