Ajker Patrika

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর ছড়াছড়ি ঢাকা ও চট্টগ্রামে, সিলেট হারাল বেশি

আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭: ১৭
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর ছড়াছড়ি ঢাকা ও চট্টগ্রামে, সিলেট হারাল বেশি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিজয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভা ৩৭ সদস্যের নাম গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা ছাড়া নতুন সরকারে ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন। 

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে তাঁরা শপথ নেবেন। তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন নতুন মন্ত্রীদের। 

নতুন মন্ত্রিসভায় রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ছড়াছড়ি দেখা গেছে। পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল ও বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলেরও প্রাধান্য রয়েছে। 

বিভাগের হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রাধান্য বেশি। ঢাকা জেলায় চারজন পূর্ণমন্ত্রীর সঙ্গে আছে দুজন প্রতিমন্ত্রী। এর বাইরে এই বিভাগে গোপালগঞ্জ দুটি, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গাজীপুর, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ একটিসহ মোট ১০টি পূর্ণমন্ত্রী পেয়েছে।

প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যেও ঢাকা বিভাগের প্রাধান্য বেশি। ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে ঢাকা ও গাজীপুরের আছেন দুজন এবং টাঙ্গাইলে একজন মিলে ঢাকা বিভাগেরই আছেন ৫ জন।

চট্টগ্রাম বিভাগে বৃহত্তর কুমিল্লায় চারটি, নোয়াখালীতে একটি এবং চট্টগ্রাম জেলায় দুটিসহ মন্ত্রিত্ব মিলেছে সাতটি। বিদায়ী সরকারে সিলেটের গুরুত্ব এবার অনেকে কম। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের একই অবস্থা। এর বাইরে রংপুর, খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ দুটি করে মন্ত্রিত্ব পেয়েছে। বরিশাল বিভাগ একটিও পায়নি।

উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর ও নাটোর, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বরিশাল ও পটুয়াখালীতে একজন করে প্রতিমন্ত্রী এবং সিলেট ও খাগড়াছড়িতে আছেন একজন করে। 

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর ছড়াছড়ি ঢাকায়
রাজধানীর ১৬টি আসনের মধ্যে তিনটির সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), আসাদুজ্জামান খান (ঢাকা-১২) ও জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩) পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছেন। 

রাজধানীর সংসদ সদস্যদের মধ্যে সদ্য বিদায়ী সরকারের একমাত্র মন্ত্রী হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন আসাদুজ্জামান। সম্ভবত নিজের পোর্টফোলিও তিনি ধরে রাখবেন। 

সাবের হোসেন আওয়ামী লীগে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন, এর আগে উপমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এবার তাঁকে মন্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে এনেছেন শেখ হাসিনা। 

পুরান ঢাকার টিকাটুলিতে বেড়ে ওঠা ইয়াফেস ওসমানের টেকনোক্র্যাট হিসেবে মন্ত্রিসভায় ফিরছেন। গত মেয়াদের আগে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সেই হিসাবে ঢাকা শহর থেকে মন্ত্রী হচ্ছেন চারজন।

এ ছাড়া দুটি প্রতিমন্ত্রীও পাচ্ছে রাজধানী। ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবার মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে প্রতিমন্ত্রী করছেন শেখ হাসিনা। বিদায়ী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পোর্টফোলিও জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ঢাকা-৩ আসনের নসরুল হামিদ এবারও থাকছেন। 

গাজীপুর-১ আসনের এমপি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবারও পদ ধরে রেখেছেন। নতুন দুজন প্রতিমন্ত্রী পেয়েছে গাজীপুর। তাঁরা হলেন গাজীপুর-৩ আসনের রুমানা আলী ও গাজীপুর-৪ আসনের সিমিন হোসেন রিমি। 

বৃহত্তর ঢাকার মধ্যে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের কেউ মন্ত্রিত্ব পাননি। নরসিংদী-৪ আসনের নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন নতুন সরকারেও মন্ত্রিত্ব ধরে রেখেছেন।

ঢাকা বিভাগে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য বর্তমানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় এ জেলার কোনো প্রতিনিধিত্ব ছিল না। 

টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটো প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাঁর বাবা মকবুল হোসেন ১৯৯৬ সালে ঢাকা-৯ (সে সময়ের ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। 

প্রাধান্য বৃহত্তর ফরিদপুরের
নতুন সরকারে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল সবচেয়ে বেশি মন্ত্রী পেতে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য। গোপালগঞ্জ-১ আসনের ফারুক খান মন্ত্রিত্ব ফিরে পেয়েছেন। 

এ ছাড়া ফরিদপুর-১ আসনের মো. আব্দুর রহমান এবং রাজবাড়ী-২ আসনের জিল্লুল হাকিম মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। বিদায়ী সরকারে শেখ হাসিনা একাই এই অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেন। 

বৃহত্তর কুমিল্লাও পিছিয়ে নেই, চট্টগ্রাম নগর পেল মন্ত্রী
বিদায়ী সরকারে বৃহত্তর কুমিল্লা থেকে চার মন্ত্রী নতুন সরকারেও থাকছে। তবে কুমিল্লা থেকে একটি কমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি যোগ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনিসুল হক ও র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কুমিল্লার তাজুল ইসলাম ও চাঁদপুরের দীপু মনি আছেন।

কুমিল্লা-৯ আসনের বর্তমানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা তাজুল ইসলাম পদ ধরে রেখেছেন। চাঁদপুর-৩ আসনের দীপু মনিও মন্ত্রিত্ব ধরে রেখেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল হকও তাই। এবার প্রথমবারের মতো মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। 

বিদায়ী সরকারে চট্টগ্রাম মহানগরে কোনো পূর্ণমন্ত্রী ছিল না। চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। তিনি এক লাফে হয়ে যাচ্ছেন মন্ত্রী।

চট্টগ্রাম-৭ আসনের হাছান মাহমুদ গত পাঁচ বছরে সামলেছেন তথ্য মন্ত্রণালয়। আবারও তিনি মন্ত্রিত্ব পেতে যাচ্ছেন। এবার নতুন মন্ত্রিসভায় ঢুকছেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তবে পূর্ণমন্ত্রী নন, তিনি হতে যাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী। 

বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের সংসদ সদস্য হিসেবে গত তিন মেয়াদে একমাত্র মন্ত্রী ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নোয়াখালী-৫ আসনের এই এমপি এবারও আছেন। 

এ অঞ্চলে এবারও তিনি একমাত্র মন্ত্রী। এই জেলার ছয়টি আসনের অন্য কাউকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়নি। লক্ষ্মীপুর ও ফেনী থেকেও কাউকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়নি। 

মন্ত্রিসভায় উত্তরের মুখ কমল
বিদায়ী সরকারে উত্তরবঙ্গ তথা রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের চারজন মন্ত্রী এবং তিনজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। নতুন মন্ত্রিসভায় দুই বিভাগ মিলিয়ে মন্ত্রী আছেন দুজন। প্রতিমন্ত্রী আছেন কেবল একজন। 

একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গের চার মন্ত্রীর মধ্যে শুধু নওগাঁর সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্যমন্ত্রী) টিকে আছেন। তাঁর সঙ্গে এবার যোগ দিচ্ছেন নবম সংসদ নির্বাচনের পরের মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪)।

তিন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও জুনাইদ আহমেদ পলক নতুন মন্ত্রিসভায় আছেন। এবার রংপুর জেলায় কেউ মন্ত্রিত্ব পাননি। বগুড়া ও জয়পুরহাটেও মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নেই কোনো। 

রাজশাহী বিভাগে কেবল নওগাঁ একটি মন্ত্রী ও একটি প্রতিমন্ত্রীর পদ পেয়েছে। রাজশাহী জেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জেও কারও ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েনি। বৃহত্তর পাবনাও কোনো মন্ত্রিত্ব পেল না। 

ময়মনসিংহ ফিরে পেল মন্ত্রী
বিদায়ী সরকারে এ বিভাগের চার জেলার সংসদ সদস্যদের মধ্যে কোনো মন্ত্রী ছিল না। তবে টেকনোক্র্যাট হিসেবে নেত্রকোনার মোস্তাফা জব্বার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। বিদায়ী সরকারে ময়মনসিংহের দুজন, জামালপুরের দুজন এবং ময়মনসিংহের একজন ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। 

তবে এবার এই বিভাগের দুই এমপি মন্ত্রী হচ্ছেন। তাঁরা হলেন ময়মনসিংহ-৯ আসন থেকে নির্বাচিত আব্দুস সালাম এবং জামালপুর-২ আসনের মো. ফরিদুল হক খান। বিদায়ী সরকারে ফরিদুল ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। এবার এ বিভাগে কোনো প্রতিমন্ত্রী নেই। 

মন্ত্রী পেল খুলনা বিভাগ
বিদায়ী সরকারে গোটা বিভাগের ১০টি জেলায় কাউকে পূর্ণ মন্ত্রিত্ব দেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এবার দুজন মন্ত্রী পেতে যাচ্ছে বিভাগটি। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রথমে প্রতিমন্ত্রী ও পরে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে সরকারের পরের মেয়াদে মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি তিনি। 

মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন গত পাঁচ বছর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তিনি পুরো মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। 

চার মন্ত্রী হারিয়ে এক মন্ত্রী পেল সিলেট
সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্যরা টানা চারটি সরকারে পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। এবার ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বাদ পড়েছেন। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী সিলেট-৪ আসনের ইমরান আহমেদ বাদ পড়েছেন। 

সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মান্নান ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। জোর গুঞ্জন ছিল, তিনি এবার অর্থমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু দেখা গেল তিনি বাদই পড়ে গেছেন। আর মৌলভীবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহাব উদ্দিন বিদায়ী সরকারে সামলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। তাকেও রাখা হয়নি নতুন সরকারে। 

এই বিভাগ থেকে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হচ্ছেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ। আর সিলেটের বিশ্বনাথের সন্তান চিকিৎসক সামন্তলাল সেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হচ্ছেন। পৈতৃক বাড়ি সিলেট হলেও তাঁর পরিচিতি ঢাকা শহর ঘিরেই। সেই হিসেবে সিলেটবাসী একটি মন্ত্রী পাওয়ার কথা ভাবতেও পারে।

হবিগঞ্জ-৪ আসনে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের কাছে হারার পর দুবারের সংসদ সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বাদ পড়েছেন। এবার সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত শফিকুর রহমান চৌধুরী হচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী। 

বরিশাল বিভাগ এবারও মন্ত্রীশূন্য
বিদায়ী সরকারের মতো এবারও বরিশাল বিভাগের কাউকে মন্ত্রী করা হচ্ছে না। তবে বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক নতুন সরকারেও প্রতিমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। 

আর প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় ঢুকতে যাচ্ছেন পটুয়াখালী-৪ আসনের মহিবুর রহমান। এই বিভাগের বাকি জেলা, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলা থেকে কাউকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়নি। 

বিদায়ী সরকারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছিলেন শ ম রেজাউল করিম। ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় বরিশাল অঞ্চল থেকে বেশ কয়েকজন পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় সাক্ষ্য দিলেন ২০ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় সাক্ষ্য দিলেন ২০ জন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ২০ জন। আজ বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষ্য দেন আশুলিয়া থানার এসআই মো. আশরাফুল হাসান। জবানবন্দি শেষে তাঁকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।

জবানবন্দিতে আশরাফুল হাসান বলেন, চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল ডিউটি করার সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাঁকে জানান, আশুলিয়া থানাসংলগ্ন মুনির ও লতিফ মণ্ডলের পুরোনো টিনশেড বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় কয়েকটি গুলি পড়ে আছে। পরে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি চার্জারসহ ছয়টি রাইফেলের গুলি উদ্ধার করেন। এসব গুলির পেছনে ইংরেজিতে ৭.৬২ লেখাসহ অন্যান্য লেখা ছিল। তিনি গুলিগুলো আলামত হিসেবে জব্দ করেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশ গুলি চালানোর পর ছয় তরুণকে ভ্যানে তুলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাতে ছয়জনের দেহ আগুনে পুড়ে যায়। তবে পোড়ানোর সময় একজনের দেহে প্রাণ ছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

শুনানির সময় এই মামলায় গ্রেপ্তার আটজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁরা হলেন ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল হোসেন ও কনস্টেবল মুকুল। এ ছাড়া সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ আটজন এখনো পলাতক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেশের চুরির টাকায় ল ফার্ম নিয়োগ করে আইসিসিতে আওয়ামী লীগের অভিযোগ: শফিকুল আলম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ থেকে চুরি করা অর্থ দিয়ে বিদেশি আইনি পরামর্শক নিয়োগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ৪০০ নেতাকর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) একটা স্থানীয় মিডিয়ায় দেখলাম, আইসিসিতে তাঁর পার্টি একটি ক্লেইম করছে। সেখানে তিনি যে ভয়ানক রকম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, তার কোনো উল্লেখ আমরা সেখানে দেখি নাই। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’

আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দাবি করছে, ৪০০ জন মারা গেছে। সেটাও আনকনটেস্টেড দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ যারা জমা দিয়েছেন, আমাদের টাকা চুরি করেছেন, সেই টাকা দিয়ে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দামি ল ফার্মকে নিয়োগ করে, এই ধরনের কাজ তারা করছেন। আমাদের দেশের চুরির টাকায় এই কাজটি করেছেন, এটাকেও আবার কেউ কেউ প্রমোট করছেন।’

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লন্ডনের ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আইনজীবী স্টিভেন পাওলস কেসি আইসিসিতে অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে বল হয়, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ‘প্রায় ৪০০’ নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের অনেককে ‘মব তৈরি করে পিটিয়ে হত্যা’ করা হয়। এসব ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ভিডিও ও সাক্ষ্য যুক্ত করে নথিতে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

আবেদনে বলা হয়, এসব হত্যা, বেআইনি আটক ও নির্যাতনের ঘটনা মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার বাংলাদেশে হওয়ার কোনো বাস্তব সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ব্যক্তিদের ‘অযৌক্তিকভাবে গ্রেপ্তার করে জামিন বা অভিযোগ ছাড়াই কারাগারে পাঠানোর’ অভিযোগ করা হয়েছে সেখানে।

আবেদনে বলা হয়েছে, রাজনীতিক, বিচারক, আইনজীবী, সাংবাদিক থেকে শুরু করে অভিনেতা ও সংগীতশিল্পীর মতো বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এই ‘নিপীড়নের’ শিকার হচ্ছেন।

সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর থেকে কারাগারে ‘অন্তত ২৫ জন’ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের মৃত্যুর কারণ ‘হৃদরোগ’ বলা হয়েছে, তাঁদের অনেকের শরীরে ‘নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন’ পাওয়া গেছে।

আইনজীবী স্টিভেন পাওলস বলছেন, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘ডেভিল হান্ট’ নামে যে অভিযান শুরু করে, যার ঘোষিত লক্ষ্য ছিল ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদ’ দমন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ওই অভিযানে মাত্র ১২ দিনে প্রায় ১৮ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আইসিসিতে জমা দেওয়া আবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ‘ইমিউনিটি অর্ডার’ জারি করে, যাতে বলা হয়েছিল—১৫ জুলাই থেকে ৮ অগাস্টের মধ্যে আন্দোলনে যারা ভূমিকা রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।

অভিযোগে বলা হয়, এ ধরনের একতরফা দায়মুক্তি শুধু অপরাধীদের পার পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে না, বরং এসব হামলার প্রতি রাষ্ট্রের নীরব সমর্থনেরও ইঙ্গিত দেয়।

সেখানে আরও বলা হয়, তদন্তের মাধ্যমে এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের দায় নির্ধারণ সম্ভব হবে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় প্রতিশোধমূলক সহিংসতা এখন বৈশ্বিক উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে; এবং এই ধরনের অপরাধ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এখতিয়ারের মধ্যেই পড়ে।

আবেদনে আইসিসির রোম সংবিধির ১৫ নম্বর বিধি অনুযায়ী তদন্ত শুরু করতে আইসিসির প্রসিকিউটরের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১০ সালের ২৩ মার্চ রোম সংবিধিতে অনুসমর্থন করে বাংলাদেশ; ওই বছরের ১ জুন থেকে তা কার্যকর হয়।

এমন এক সময়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আইসিসিতে অভিযোগ করা হল, যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে আজ বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট এবং আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টিকটক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সিইসির বৈঠক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব রোধে ছোট ভিডিওর জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে টিকটকের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান (পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিলেশন) ফেরদৌস মুত্তাকিম, বৈশ্বিক লিগ্যাল বিজনেস পার্টনার আদিল শাহ ও টিকটকের বাংলাদেশপ্রধান আবু নাঈম উপস্থিত ছিলেন।

তবে বৈঠকের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি টিকটক প্রতিনিধিরা। তাঁরা এটিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে উল্লেখ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনকে জনগণের জন্য সহজবোধ্য করতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আজ বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আট খণ্ডের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আজ বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আট খণ্ডের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের একটি সহজবোধ্য বই প্রস্তুত করে দেশের জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আট খণ্ডের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। প্রতিবেদনে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ, সভা ও কার্যবিবরণীর বিস্তারিত রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের সহজবোধ্য একটি ভার্সন তৈরি করতে হবে। বই আকারে প্রকাশ করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়ে বুঝতে পারে এবং অন্যদেরও বোঝাতে পারে।

বইটি ইংরেজি ও বাংলা—দুই ভাষাতেই প্রকাশের আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে এই বই যেন শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যপাঠ্য হয়, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। তরুণ প্রজন্ম বইটি পড়বে, তারা নিজেরা জানবে এবং তাদের বাবা-মাকেও জানাবে এতে কী আছে।

প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, আট খণ্ডের এই প্রতিবেদনে কমিশনের কার্যক্রমের প্রক্রিয়া, প্রেক্ষাপট, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে পাওয়া লিখিত প্রস্তাব, সাধারণ মানুষের মতামত, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো স্প্রেডশিট—সব ধরনের আলোচনা ও সংলাপ লিপিবদ্ধ রয়েছে।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, ভবিষ্যতে এই আট খণ্ডের প্রতিবেদন দেশে-বিদেশে গবেষণার জন্য দলিল হয়ে উঠবে।’

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ড. ইউনূসের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ হস্তান্তর করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত