জুলাই অভ্যুত্থান
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তিন শ্রেণির ব্যক্তিদের পাসপোর্ট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, দেশ-বিদেশে পলাতক ব্যক্তি ও ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পাসপোর্ট সেবা পাবেন না। এই সিদ্ধান্ত আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
অবশ্য আইনজ্ঞরা বলছেন, আদালতের নির্দেশনা ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কারও পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ রাখতে পারে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় গত বছরের জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তি, দেশ-বিদেশে পলাতক ব্যক্তি এবং ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কোনো পাসপোর্ট পাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত সরকারের যেসব সহযোগী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশের প্রচলিত আইন ও বিচারব্যবস্থা এড়িয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশে পলাতক রয়েছেন, যেসব পলাতক ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিরা পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেছেন অথবা ভবিষ্যতে করতে পারেন—এ ধরনের আবেদন অনুমোদন প্রচলিত আইন, বিধিমালা ও ন্যায়বিচারের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহের পরিপন্থী। এ ধরনের আবেদন অনুমোদন দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে গুরুতর ঝুঁকি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
সভার সিদ্ধান্তে আরও বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নামের তালিকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে, দেশ-বিদেশে পলাতক ও ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তদের নামের তালিকা আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে পাঠিয়ে তাঁদের পাসপোর্ট নবায়ন রোধ, বাতিল ও নতুন পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-২ শাখা থেকে ১৫ মে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে কোর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশ-বিদেশে পলাতক ও ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নামের তালিকা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সব দূতাবাসে পাঠিয়ে তাঁদের পাসপোর্ট নবায়ন রোধ, বাতিল ও নতুন পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হয়। চিঠিতে পলাতকদের নামের তালিকা জরুরিভাবে দিতে অনুরোধ করা হয়।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালতে কোনো ব্যক্তি অভিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কারও পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ করা আইনসিদ্ধ নয়। ইতিপূর্বে আদালত এ বিষয়ে কয়েকটি রায়ও দিয়েছেন। কারা পলাতক আর কারা নয়, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হলেই তিনি দোষী এটি বলা যাবে না। কারও বিরুদ্ধে মামলা হলে কিংবা সেই ব্যক্তি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে আদালতের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে কেবল তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা কিংবা পাসপোর্ট দিতে বাধা দিতে পারেন। এর বাইরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
তিন শ্রেণির ব্যক্তিরা কত দিন পর্যন্ত পাসপোর্ট সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকবেন, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহির্গমন অনুবিভাগ) মো. শামীম আহমেদ বলেন, যত দিন তিনি অভিযুক্ত থাকবেন, তত দিন পাসপোর্ট সেবা বন্ধ থাকবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁরা এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখবেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৩ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় ওই সংসদের কূটনৈতিক পাসপোর্টের প্রাধিকারভুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, চিফ হুইপ, সংসদ সদস্য, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, উপনেতা, উপদেষ্টা পদমর্যাদার ব্যক্তিদের অনুকূলে ইস্যু করা কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়।
তিন শ্রেণির ব্যক্তিদের পাসপোর্ট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, দেশ-বিদেশে পলাতক ব্যক্তি ও ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পাসপোর্ট সেবা পাবেন না। এই সিদ্ধান্ত আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
অবশ্য আইনজ্ঞরা বলছেন, আদালতের নির্দেশনা ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কারও পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ রাখতে পারে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় গত বছরের জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তি, দেশ-বিদেশে পলাতক ব্যক্তি এবং ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কোনো পাসপোর্ট পাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত সরকারের যেসব সহযোগী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশের প্রচলিত আইন ও বিচারব্যবস্থা এড়িয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশে পলাতক রয়েছেন, যেসব পলাতক ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিরা পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেছেন অথবা ভবিষ্যতে করতে পারেন—এ ধরনের আবেদন অনুমোদন প্রচলিত আইন, বিধিমালা ও ন্যায়বিচারের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহের পরিপন্থী। এ ধরনের আবেদন অনুমোদন দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে গুরুতর ঝুঁকি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
সভার সিদ্ধান্তে আরও বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নামের তালিকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে, দেশ-বিদেশে পলাতক ও ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তদের নামের তালিকা আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে পাঠিয়ে তাঁদের পাসপোর্ট নবায়ন রোধ, বাতিল ও নতুন পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-২ শাখা থেকে ১৫ মে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে কোর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশ-বিদেশে পলাতক ও ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নামের তালিকা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সব দূতাবাসে পাঠিয়ে তাঁদের পাসপোর্ট নবায়ন রোধ, বাতিল ও নতুন পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হয়। চিঠিতে পলাতকদের নামের তালিকা জরুরিভাবে দিতে অনুরোধ করা হয়।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালতে কোনো ব্যক্তি অভিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কারও পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ করা আইনসিদ্ধ নয়। ইতিপূর্বে আদালত এ বিষয়ে কয়েকটি রায়ও দিয়েছেন। কারা পলাতক আর কারা নয়, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হলেই তিনি দোষী এটি বলা যাবে না। কারও বিরুদ্ধে মামলা হলে কিংবা সেই ব্যক্তি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে আদালতের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে কেবল তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা কিংবা পাসপোর্ট দিতে বাধা দিতে পারেন। এর বাইরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
তিন শ্রেণির ব্যক্তিরা কত দিন পর্যন্ত পাসপোর্ট সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকবেন, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহির্গমন অনুবিভাগ) মো. শামীম আহমেদ বলেন, যত দিন তিনি অভিযুক্ত থাকবেন, তত দিন পাসপোর্ট সেবা বন্ধ থাকবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁরা এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখবেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৩ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় ওই সংসদের কূটনৈতিক পাসপোর্টের প্রাধিকারভুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, চিফ হুইপ, সংসদ সদস্য, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, উপনেতা, উপদেষ্টা পদমর্যাদার ব্যক্তিদের অনুকূলে ইস্যু করা কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়।
শুধু পাঠদান নয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যেন অনেক কাজের কাজি। ভোট গ্রহণ, ভোটার তালিকা, শুমারি, জরিপ, টিকাদান, কৃমিনাশক ওষুধ ও ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো, টিসিবির চাল বিতরণ, বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ বারোয়ারি অন্তত ২০ ধরনের কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। সরকারি এসব কাজে বছরে ব্যস্ত থাকছেন কমপক্ষে...
৭ ঘণ্টা আগেদেশের সব আসামির মামলা-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত থাকা পুলিশের ক্রিমিনাল ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) সফটওয়্যারে মাদক কর্মকর্তাদের প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না সরকার। পুলিশ সদর দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নিজস্ব সিডিএমএস তৈরি করবে।
৮ ঘণ্টা আগে২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় প্রাণ হারিয়েছিলেন দুই কলেজশিক্ষার্থী। সেই ঘটনার পর শুরু হয়েছিল নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। ধরন ও মাত্রার দিক থেকে তা ছিল দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ঢাকার হাজারো শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে।
৮ ঘণ্টা আগেপুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) আশঙ্কা, ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে কেন্দ্র করে অনলাইন ও অফলাইনে সংঘবদ্ধ প্রচারণার মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হতে পারে। দলটির কিছু নেতা-কর্মী এ সময় সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, বিশৃঙ্খলা কিংবা ভাঙচুর চালাতে পারে বলেও ধারণা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
৮ ঘণ্টা আগে