Ajker Patrika

সহিংসতায় প্রাণহানির বিচার বিভাগীয় তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা নেবে সরকার 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৪, ১১: ২৫
সহিংসতায় প্রাণহানির বিচার বিভাগীয় তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা নেবে সরকার 

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা নেবে সরকার। এ বিষয়ে ‘বিদেশি কারিগরি সহায়তা’ও নেবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন। 

আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরেন তাঁর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের যে জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি (তদন্ত) কমিটি (গঠিত হয়েছে), তাদের সুষ্ঠু ইনকোয়ারির জন্য, তাদের ইনকোয়ারিটা যেন খুব উচ্চমানের হয় এ জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে।’ 

তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা প্রসঙ্গে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘ইতিমধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতার (সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনকে সহায়তা) ব্যাপারে যোগাযোগও হয়েছে। যোগাযোগ বলতে জাতিসংঘ আগ্রহ প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশও এ ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে।’ 

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, বৈঠকের শুরুতে জার্মান রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবনহানির ঘটনায় বাংলাদেশ যে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে, তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শোক ও সমবেদনা জানান। 

জার্মান রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তাঁরা (জার্মানি) দৃঢ় আশাবাদী যে একটা ইনডিপেনডেন্ট (স্বাধীন) ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) হবে, যারা দুর্বৃত্ত তারা চিহ্নিত হবে এবং তাদের বিচার হবে।’
 
তিনি আরো বলেন, জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেছেন, যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী, তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোনো সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) নাই।

রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক এবং এখনো তারা বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে। 

দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বিদ্যমান সুসম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং জার্মানির বেশ কিছু পরিবার বাংলাদেশের যুদ্ধশিশুকে দত্তক নিয়েছিল; প্রধানমন্ত্রী সে কথা স্মরণ করেন। 

ভিসা প্রক্রিয়ার ধীরগতি প্রসঙ্গে আলাপ হয়েছে জানিয়ে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘জার্মান রাষ্ট্রদূত তাঁদের ভিসা প্রক্রিয়ায় শ্লথগতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রদুত বলেছেন, গুডউইলের (সুনামের) কমতির জন্য এটা হচ্ছে না। তাঁদের (জার্মান দূতাবাস) সক্ষমতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এটা হচ্ছে।’

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত