নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এগারো কোটির বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও বিক্রির অভিযোগে কাফরুল থানায় করা মামলায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডেটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে তারেককে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আবু হানিফ। অন্যদিকে তারেকের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল বুধবার রাজধানীর কাফরুল থানার উত্তর কাজীপাড়া থেকে তারেক এম বরকতউল্লাহকে আটক করা হয়। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গতকাল বুধবার এনামুল হক বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি আরও ১৫ থেকে ২০ জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জয় ও পলক একটি সংগঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নাগরিকদের এনআইডি তথ্য বিক্রির সুবিধা দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে ব্যবসার অনুমতি দেন। যে তথ্য দেশি-বিদেশি ১৮২টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির তথ্য মিলেছে। তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য পাচার হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে অপরাধ করেছেন আসামিরা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেসের পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহবুবুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক (অপারেশনস) আবদুল বাতেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী আশরাফ হোসেন, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রাকিবুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হায়দার আলী, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক উপাচার্য মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিবন্ধক অফিসের সাবেক সিস্টেম বিশ্লেষক অলিউল হাসান, আইসিটি বিভাগের সাবেক উপসচিব তবিবুর রহমান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক সহকারী পরিচালক (আইনি ও যাচাই) সারওয়ার হোসেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন শাখার সাবেক পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) আবদুল মমিন সরকার, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন শাখার সাবেক পরিচালক (বাজেট, হিসাব ও সাধারণ সেবার ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ম্যানেজার (সিকিউরিটি অপারেশন) মাহিদুর রহমান খান এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সফটওয়্যার ডেভেলপার সিদ্দিকুর রহমান।
তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, তারেক এম বরকতউল্লাহ ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইসির ডাটা সেন্টার এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) পরিচালক ছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নাগরিকদের তথ্যের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থাকলেও তারই সহায়তায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তথ্য বিক্রি করেছেন। এমনকি বাইরের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাছে তথ্য প্রচার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিষয়গুলি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার পর জিজ্ঞাসাবাদেও তিনি এসব তথ্য স্বীকার করেছেন। মামলার তদন্তের সঙ্গে ভবিষ্যতে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
এগারো কোটির বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও বিক্রির অভিযোগে কাফরুল থানায় করা মামলায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডেটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে তারেককে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আবু হানিফ। অন্যদিকে তারেকের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল বুধবার রাজধানীর কাফরুল থানার উত্তর কাজীপাড়া থেকে তারেক এম বরকতউল্লাহকে আটক করা হয়। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গতকাল বুধবার এনামুল হক বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি আরও ১৫ থেকে ২০ জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জয় ও পলক একটি সংগঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নাগরিকদের এনআইডি তথ্য বিক্রির সুবিধা দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে ব্যবসার অনুমতি দেন। যে তথ্য দেশি-বিদেশি ১৮২টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির তথ্য মিলেছে। তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য পাচার হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে অপরাধ করেছেন আসামিরা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেসের পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহবুবুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক (অপারেশনস) আবদুল বাতেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী আশরাফ হোসেন, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রাকিবুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হায়দার আলী, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক উপাচার্য মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিবন্ধক অফিসের সাবেক সিস্টেম বিশ্লেষক অলিউল হাসান, আইসিটি বিভাগের সাবেক উপসচিব তবিবুর রহমান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক সহকারী পরিচালক (আইনি ও যাচাই) সারওয়ার হোসেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন শাখার সাবেক পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) আবদুল মমিন সরকার, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন শাখার সাবেক পরিচালক (বাজেট, হিসাব ও সাধারণ সেবার ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ম্যানেজার (সিকিউরিটি অপারেশন) মাহিদুর রহমান খান এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সফটওয়্যার ডেভেলপার সিদ্দিকুর রহমান।
তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, তারেক এম বরকতউল্লাহ ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইসির ডাটা সেন্টার এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) পরিচালক ছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নাগরিকদের তথ্যের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থাকলেও তারই সহায়তায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তথ্য বিক্রি করেছেন। এমনকি বাইরের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাছে তথ্য প্রচার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিষয়গুলি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার পর জিজ্ঞাসাবাদেও তিনি এসব তথ্য স্বীকার করেছেন। মামলার তদন্তের সঙ্গে ভবিষ্যতে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের মূলনীতি বিষয়ে আজ চতুর্থ দিনের মতো আলোচনা হয়েছে। এই চার দিনের আলোচনায় আমরা দেখেছি, সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে যেসব প্রস্তাব (সাম্য ও মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি) কমিশনের পক্ষ থেকে সংশোধিতভাবে
১০ মিনিট আগেগোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষের মামলায় শিশুদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে কেন সরকার শিশু আইন অনুসরণ করছে না—তা জানতে চেয়ে রুল
১১ মিনিট আগেসরকারি প্রজ্ঞাপনে পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোন পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায় না। তাই এখন থেকে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২০ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে সরকার। আজ রোববার (২৭ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগে