নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০ নারী আসন বহাল রেখে সাত শতাংশ আসনে সরাসরি প্রার্থী করার সংশোধিত প্রস্তাব করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২২তম দিনে সংশোধিত প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ১০০ আসনে সরাসরি নারীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান রাখার কথা বলা হয়। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ১০০ নারী আসনে সরাসরি ভোটের কথা বলা হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ১০০ আসনে সরাসরি ভোটের কথা বলে। সিপিবি, বাসদ ও জেএসডি সরাসরি ভোটের কথা বলে।
তবে জামায়াতসহ ইসলামি দলগুলো সংখ্যানুপাতিক হারে ১০০ আসনে নারীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান রাখার কথা বলে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো বিদ্যমান পদ্ধতিতে ১০০ সংরক্ষিত আসনের কথা বলে। এমন অবস্থায় কমিশন ১৪ জুলাই সংশোধিত একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করে। সেখানে বলা হয়, যে দল ২৫টির বেশি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, তাদের ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে।
তবে ওই দিন এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে অধিকাংশ দল। পরে আরেক দিনের আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রাখার পাশাপাশি ৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী করার প্রস্তাব করেন, যা আগামী নির্বাচনে বাস্তবায়ন হবে। ১৪তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই হার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার কথা বলা হয়।
আজ নতুন প্রস্তাব উপস্থাপন করে কমিশন। সেখানে বলা হয়, জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ক্রমান্বয়ে ১০০ আসনে উন্নীত করা হবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫-এর দফা (৩)-এ প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০টি আসন বহাল রেখে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন থেকে ৭ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে।
১৪তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫ শতাংশ আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে। রাজনৈতিক দলগুলো এই হার পর্যায়ক্রমে প্রতি সাধারণ নির্বাচনে ৫ শতাংশ হারে বাড়িয়ে সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব ১০০-এ উন্নীত করবে। পঞ্চদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো পর্যাপ্তসংখ্যক নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, যাতে ১০০ জন নারী জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের সপ্তদশ সংশোধনীর (যা ৮ জুলাই ২০১৮ সালে সংসদে পাস হয়) মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বাড়ানো হয়। সে হিসাবে বিদ্যমান সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২০৪৩ সাল পর্যন্ত বহাল থাকার বিধান রয়েছে। তবে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫(৩) ও (৩ ক)-এর আওতায় সংরক্ষিত নারী আসনের বিধান চতুর্দশ সংসদের পর আর কার্যকর থাকবে না।
আরও খবর পড়ুন:
বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০ নারী আসন বহাল রেখে সাত শতাংশ আসনে সরাসরি প্রার্থী করার সংশোধিত প্রস্তাব করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২২তম দিনে সংশোধিত প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ১০০ আসনে সরাসরি নারীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান রাখার কথা বলা হয়। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ১০০ নারী আসনে সরাসরি ভোটের কথা বলা হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ১০০ আসনে সরাসরি ভোটের কথা বলে। সিপিবি, বাসদ ও জেএসডি সরাসরি ভোটের কথা বলে।
তবে জামায়াতসহ ইসলামি দলগুলো সংখ্যানুপাতিক হারে ১০০ আসনে নারীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান রাখার কথা বলে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো বিদ্যমান পদ্ধতিতে ১০০ সংরক্ষিত আসনের কথা বলে। এমন অবস্থায় কমিশন ১৪ জুলাই সংশোধিত একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করে। সেখানে বলা হয়, যে দল ২৫টির বেশি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, তাদের ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে।
তবে ওই দিন এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে অধিকাংশ দল। পরে আরেক দিনের আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রাখার পাশাপাশি ৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী করার প্রস্তাব করেন, যা আগামী নির্বাচনে বাস্তবায়ন হবে। ১৪তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই হার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার কথা বলা হয়।
আজ নতুন প্রস্তাব উপস্থাপন করে কমিশন। সেখানে বলা হয়, জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ক্রমান্বয়ে ১০০ আসনে উন্নীত করা হবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫-এর দফা (৩)-এ প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০টি আসন বহাল রেখে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন থেকে ৭ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে।
১৪তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫ শতাংশ আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে। রাজনৈতিক দলগুলো এই হার পর্যায়ক্রমে প্রতি সাধারণ নির্বাচনে ৫ শতাংশ হারে বাড়িয়ে সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব ১০০-এ উন্নীত করবে। পঞ্চদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো পর্যাপ্তসংখ্যক নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, যাতে ১০০ জন নারী জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের সপ্তদশ সংশোধনীর (যা ৮ জুলাই ২০১৮ সালে সংসদে পাস হয়) মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বাড়ানো হয়। সে হিসাবে বিদ্যমান সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২০৪৩ সাল পর্যন্ত বহাল থাকার বিধান রয়েছে। তবে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫(৩) ও (৩ ক)-এর আওতায় সংরক্ষিত নারী আসনের বিধান চতুর্দশ সংসদের পর আর কার্যকর থাকবে না।
আরও খবর পড়ুন:
সংস্কারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে।
৯ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে এই পদগুলো শূন্য হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। এতে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে...
১০ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ৩৯ টির সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জনসংখ্যার ভিত্তিতে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানোর এবং বাগেরহাটে একটি আসন কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব পরিবর্তন এনে সংসদীয় আসনের সীমানার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, নারী প্রতিনিধিত্ব ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাসংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনো কিছু বিষয়ে আলোচনা বাকি রয়েছে, যেগুলো আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
১৩ ঘণ্টা আগে