Ajker Patrika

শেখ হাসিনার লকারে শুধু পাটের ব্যাগ, যৌথ লকারে সোনার নৌকা ও গয়না

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৪১
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনার যৌথ দুই লকারে রয়েছে সোনার তৈরি নৌকা, হরিণ ও অলংকার। ছবি: দুদক
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনার যৌথ দুই লকারে রয়েছে সোনার তৈরি নৌকা, হরিণ ও অলংকার। ছবি: দুদক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক ব্যাংক লকারে মিলেছে একটি খালি পাটের ব্যাগ। তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যৌথ দুই লকারে রয়েছে সোনার তৈরি নৌকা, হরিণ ও অলংকার মিলিয়ে ৮৩২ ভরি সোনা। তিনটি লকার পরীক্ষা করে আজ বুধবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সোনা পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, কমিশনের অনুমোদনক্রমে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা তিনটি লকার পুনঃযাচাই করতে আদালতের কাছে লকারগুলো খোলার আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লকার খোলার অনুমতি দেন।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনার যৌথ দুই লকারে রয়েছে সোনার তৈরি নৌকা, হরিণ ও অলংকার। ছবি: দুদক
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনার যৌথ দুই লকারে রয়েছে সোনার তৈরি নৌকা, হরিণ ও অলংকার। ছবি: দুদক

পরে গতকাল মঙ্গলবার দুদক নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের একটি টিম লকার পরীক্ষা করতে যায়। এ দলে ছিলেন একজন বিজ্ঞ মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুদকের অনুসন্ধান তদারক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ব্যাংকের বুলিয়ন শাখা কর্তৃক মনোনীত একজন সোনা বিশেষজ্ঞ, এনবিআরের কর গোয়েন্দা ও সিআইসি কর্তৃক মনোনীত দুজন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট শাখার ব্যাংক কর্মকর্তারা। তাঁদের উপস্থিতিতে তিনটি লকার খোলা হয়।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনার যৌথ দুই লকারে রয়েছে সোনার তৈরি নৌকা, হরিণ ও অলংকার। ছবি: দুদক
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনার যৌথ দুই লকারে রয়েছে সোনার তৈরি নৌকা, হরিণ ও অলংকার। ছবি: দুদক

দুদক জানায়, শেখ হাসিনার নামে পূবালী ব্যাংক পিএলসির মতিঝিল করপোরেট শাখায় একটি (লকার নম্বর–১২৮), শেখ হাসিনা ওয়াজেদ ও তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের যৌথ নামে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির প্রিন্সিপাল শাখায় একটি (লকার নম্বর ৭৫১) এবং ব্যাংকটির একই শাখায় শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার যৌথ নামে অপর একটি লকার (লকার নম্বর ৭৫৩) খোলা হয়। লকারগুলোতে পাওয়া মালামালের ইনভেন্টরি প্রস্তুতপূর্বক সংশ্লিষ্ট শাখার ব্যবস্থাপকের জিম্মায় দেওয়া হয়।

দুদক জানায়, লকারের প্রতিটি গয়নার সঙ্গে আলাদা চিরকুটে কার গয়না সেটি উল্লেখ করা রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা।
দুদক জানায়, লকারের প্রতিটি গয়নার সঙ্গে আলাদা চিরকুটে কার গয়না সেটি উল্লেখ করা রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা।

দুদক জানায়, শেখ হাসিনার নিজ নামে থাকা পূবালী ব্যাংক পিএলসির মতিঝিল করপোরেট শাখার লকারটিতে একটি খালি পাটের ব্যাগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অগ্রণী ব্যাংক প্রিন্সিপাল শাখায় শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের যৌথ নামে থাকা লকারটিতে আনুমানিক ৪ হাজার ৯২৩ দশমিক ৬০ গ্রাম বা ৪২২ দশমিক ২৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং একই শাখায় শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার নামে থাকা যৌথ লকারে আনুমানিক ৪ হাজার ৭৮৩ দশমিক ৫৬ গ্রাম বা ৪১০ দশমিক ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়; যা সব মিলিয়ে ৮৩২ ভরি সোনা।

শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং তাঁদের সন্তানদের নামে এই লকারগুলোতে গয়না রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা।
শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং তাঁদের সন্তানদের নামে এই লকারগুলোতে গয়না রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা।

দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, দুটি লকারে রক্ষিত স্বর্ণালংকারের সঙ্গে বিভিন্ন চিরকুট ও বর্ণনা অনুযায়ী স্বর্ণালংকারসমূহ অভিযোগসংশ্লিষ্ট শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সজীব ওয়াজেদ জয় ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে রয়েছে। প্রতিটি গয়নায় আলাদা আলাদা চিরকুট ব্যবহার করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং তাঁদের সন্তানদের নামে এই লকারগুলোতে গয়না রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা।
শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং তাঁদের সন্তানদের নামে এই লকারগুলোতে গয়না রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা।

যৌথ লকারে থাকা স্বর্ণালংকারের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সোনা কতটুকু—জানতে চাইলে দুদক মহাপরিচালক বলেন, দুদক যেসব স্বর্ণালংকার পেয়েছে, তার প্রতিটিতে আলাদা নামে চিরকুট রয়েছে। এটা জানা সময়সাপেক্ষ। কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করে দেখবেন, সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিজ নামে, তাঁর ছেলেমেয়ে এবং বোন ও বোনের ছেলের নামে কতটুকু সোনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে এসব লকারের কথা উল্লেখ করেন। দুদক সম্প্রতি তাঁর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করতে গিয়ে পুনঃযাচাইয়ের অংশ হিসেবে কমিশনের অনুমোদনক্রমে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা লকার খোলার আবেদন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ শিখতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন সমন্বয়কসহ ১২ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে দুজন কর্মকর্তা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। ছবি: সংগৃহীত
১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে দুজন কর্মকর্তা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিংস্টক ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে আরও দুজন কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাঁরা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অনুদানে পরিচালিত এ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণটি ৯ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোরিয়া রেল ওয়ার্কশপে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে প্রকল্পের অংশ হিসেবে পাহাড়তলী ডিজেল ওয়ার্কশপে দুই দফায় ৬০ জন কর্মীকে কোরিয়ান বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে নেওয়া মূল্যায়নের ভিত্তিতেই বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য এই কর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে রেলওয়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে।

রেলসংশ্লিষ্টদের মতে, কর্মী পর্যায়ে বিদেশে প্রশিক্ষণ কর্মীদের কাজে উৎসাহ জোগাবে এবং সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের সেবা ও রক্ষণাবেক্ষণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। তাঁরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩ সাবেক সচিবের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে নিজেদের জন্য ফ্ল্যাট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাবেক ১৩ সচিবের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন মামলার অনুমোদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ অবৈধভাবে ভোগদখলের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে দুদক দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ এনেছে।

অভিযোগ রয়েছে, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটিকে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি প্রকৃত উদ্দেশ্যের বাইরে গিয়ে তাঁরা স্বল্পমূল্যে ফ্ল্যাট বরাদ্দ নেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১০৬ ও ১০৭তম বোর্ডসভায় বেআইনিভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় ‘ফ্ল্যাট দীর্ঘমেয়াদি লিজ প্রদানের নীতিমালা-২০১৮’ অনুমোদন করা হয়। কিন্তু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে অধিগ্রহণ করা ৪০ একর জমি পরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৯৯ বছরের লিজে আবাসন বরাদ্দে ব্যবহার করা হয়, যা গেজেটের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

দুদক জানায়, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭ অনুযায়ী ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়ার কথা থাকলেও সেতু কর্তৃপক্ষ তা নেয়নি। সেতু কর্তৃপক্ষের নিজস্ব আইনেও এ ধরনের আবাসন প্রকল্প গ্রহণের কোনো ক্ষমতা নেই। এমনকি সরকারি নীতিমালা গেজেটে প্রকাশ বাধ্যতামূলক হলেও ‘নীতিমালা, ২০১৮’ কোনো গেজেটে প্রকাশ করা হয়নি। সব মিলিয়ে এটি ছিল সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নেওয়া একটি প্রকল্প।

ওবায়দুল কাদের ছাড়াও মামলায় অপর আসামিরা হলেন সেতু বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সাবেক বিদ্যুৎ-সচিব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. আবদুল জলিল, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, সাবেক অর্থসচিব ও সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য ও সাবেক সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন, ইআরডির সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আজম, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়া এবং এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ও আইআরডির সাবেক সচিব ড. আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫৯
খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ পুলিশের দুই উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সাত অতিরিক্ত ডিআইজি, ১৩ পুলিশ সুপারসহ (এসপি) মোট ২২ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনগুলোতে সই করেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহা. জুলফিকার আলী হায়দারকে বদলি করে শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও সম্প্রতি ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ জাহিদুল হাসানকে খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

এ ছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে নিয়মিত রদবদলের অংশ হিসেবে সাত অতিরিক্ত ডিআইজি ও ১৩ পুলিশ সুপারকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের বেঞ্চ আজ সোমবার আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।

এর আগে ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কংগ্রেস নামের একটি দলের মহাসচিব ইয়ারুল ইসলাম রিটটি করেন। নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা এবং ইলেকটোরাল সার্ভিস কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল রিটে।

আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালত বলেছেন—দেশে এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। এখন এই রিট করার উপযুক্ত সময় নয়। পরে আমি রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ চাইলে আদালত খারিজ করে দেন।’

রিটে বলা হয়, নির্বাহী বিভাগের লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও নির্বাচন পরিচালনা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিচার বিভাগের ন্যায় স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনেরও নিজস্ব লোকবল থাকতে হবে। এর জন্য রিটে ‘ইলেকটোরাল সার্ভিস কমিশন’ গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের মহাসচিব ইয়ারুল ইসলাম রিট করার পর বলেন, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সব প্রকার সহযোগিতা দেবে। কিন্তু সংবিধান লঙ্ঘন করে প্রতিটি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগকে দেওয়া হয়। নির্বাহী বিভাগ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের চাহিদা মোতাবেক নির্বাচন পরিচালনা করে। ফলে নির্বাচন নিয়ে নানামুখী বিতর্ক তৈরি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত