তাসনিম মহসিন, ঢাকা

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেউ কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত চার বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে। এই সময়ে জাতিসংঘসহ শক্তিধর দেশগুলো এ সংকট সমাধানের তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি বা মিয়ানমারের ওপর কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি। ফলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পরিবর্তে দিন দিন আরও তীব্র হচ্ছে।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট নতুন রূপ নেওয়ায় বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। যারা নিয়মিত কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার পাশাপাশি আশপাশের এলাকায় নানা অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর সেখানে মানবিক সংকটের পাশাপাশি সামাজিক সংকটও অনুমান করেছিল জাতিসংঘ। কারণ, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বাসিন্দারা আগে কখনোই এত সুযোগ-সুবিধা দেখেনি, যা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আসছে। রোহিঙ্গারা আসার পর সেখানে প্রচুর অর্থ ও সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলো। ফলে শুরুতে স্থানীয় লোকজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে খাবার ও স্থান ভাগাভাগি করে নিলেও দিন দিন সেখানকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। যা থেকে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হয়েছে। এরই মধ্যে স্থানীয়দের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে সেখানে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা শুরু করেছে জাতিসংঘ।
এ ছাড়া ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। দেশের বেশ কিছু স্থান থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে আবারও কক্সবাজারে ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে। আর সেই সঙ্গে রোহিঙ্গারা অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে।
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়াতে ১০ লাখ রোহিঙ্গার স্থান করে দেওয়ায় সেখানকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ক্ষতি হয়েছে, যা পূরণ হতে কয়েক দশক লেগে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছেই। শুরুতে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা দিতে চাপ ছিল। এখন আর সেই চাপ নেই। তবে জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশন অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য তীব্র চাপ রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থান প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা তো রয়েছে।
আমেনা মোহসিন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও এ বিষয়ে মিয়ানমারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পারেনি জাতিসংঘ ও বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো। উল্টো চীন ও রাশিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পক্ষ নিয়েছে।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট তৈরি হওয়ার পর দ্বিপক্ষীয়ভাবে সংকট নিরসনে তড়িঘড়ি করে প্রত্যাবাসন-সংক্রান্ত ত্রুটিপূর্ণ চুক্তি করে বাংলাদেশ। সেই চুক্তি অনুযায়ী চীনের উপস্থিতিতে কয়েকবার প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করলেও সেটি সফল হয়নি। এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসিত হয়নি। আর মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের পর সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয়। এরপর আর মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে। এমনকি চীনের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটিতেও সাড়া দেয়নি মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখনো ধরে রাখাকে বাংলাদেশের সফলতা বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা যখন তৈরি হয় তখন সেখানে গণতন্ত্র ছিল। এখন সেখানে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে প্রত্যাবাসন দেরি করে দিচ্ছে। আমরা অপেক্ষা করব।’
তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের ব্যর্থতার কথা বেশ জোরে বললেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত তারা বিষয়টিতে বিব্রত। তবে আমরা তাদের উৎসাহ দিই এটি সমাধানে আরও ভালো কাজ করার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মোহসিন মনে করেন, সমস্যাটি আন্তর্জাতিক, দ্বিপক্ষীয় নয়। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থান প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা তো রয়েছে। বাংলাদেশ শুরুতে এ ক্ষেত্রে যা করেছে, এর থেকে বেশি কিছু করার ছিল না।’
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার কথা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশগুলোকে বোঝাতে হবে। কারণ, মিয়ানমার স্থিতিশীল না হলে সেখানে দেশগুলোর বিনিয়োগও নিরাপদ নয়। আর মিয়ানমার স্থিতিশীল হওয়া শুরু করবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের মধ্য দিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক আদালত আইসিসি এবং আইসিজেতে এ বিষয়ে মামলা চলছে। এখান থেকে একটা রায় পাওয়া গেলে প্রত্যাবাসনে একটি গতি আসবে।’ এ ছাড়াও আরও বিভিন্ন উপাদান রয়েছে তার মাধ্যমেও প্রত্যাবাসনে গতি আসতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেউ কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত চার বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে। এই সময়ে জাতিসংঘসহ শক্তিধর দেশগুলো এ সংকট সমাধানের তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি বা মিয়ানমারের ওপর কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি। ফলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পরিবর্তে দিন দিন আরও তীব্র হচ্ছে।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট নতুন রূপ নেওয়ায় বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। যারা নিয়মিত কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার পাশাপাশি আশপাশের এলাকায় নানা অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর সেখানে মানবিক সংকটের পাশাপাশি সামাজিক সংকটও অনুমান করেছিল জাতিসংঘ। কারণ, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বাসিন্দারা আগে কখনোই এত সুযোগ-সুবিধা দেখেনি, যা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আসছে। রোহিঙ্গারা আসার পর সেখানে প্রচুর অর্থ ও সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলো। ফলে শুরুতে স্থানীয় লোকজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে খাবার ও স্থান ভাগাভাগি করে নিলেও দিন দিন সেখানকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। যা থেকে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হয়েছে। এরই মধ্যে স্থানীয়দের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে সেখানে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা শুরু করেছে জাতিসংঘ।
এ ছাড়া ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। দেশের বেশ কিছু স্থান থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে আবারও কক্সবাজারে ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে। আর সেই সঙ্গে রোহিঙ্গারা অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে।
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়াতে ১০ লাখ রোহিঙ্গার স্থান করে দেওয়ায় সেখানকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ক্ষতি হয়েছে, যা পূরণ হতে কয়েক দশক লেগে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছেই। শুরুতে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা দিতে চাপ ছিল। এখন আর সেই চাপ নেই। তবে জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশন অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য তীব্র চাপ রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থান প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা তো রয়েছে।
আমেনা মোহসিন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও এ বিষয়ে মিয়ানমারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পারেনি জাতিসংঘ ও বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো। উল্টো চীন ও রাশিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পক্ষ নিয়েছে।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট তৈরি হওয়ার পর দ্বিপক্ষীয়ভাবে সংকট নিরসনে তড়িঘড়ি করে প্রত্যাবাসন-সংক্রান্ত ত্রুটিপূর্ণ চুক্তি করে বাংলাদেশ। সেই চুক্তি অনুযায়ী চীনের উপস্থিতিতে কয়েকবার প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করলেও সেটি সফল হয়নি। এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসিত হয়নি। আর মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের পর সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয়। এরপর আর মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে। এমনকি চীনের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটিতেও সাড়া দেয়নি মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখনো ধরে রাখাকে বাংলাদেশের সফলতা বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা যখন তৈরি হয় তখন সেখানে গণতন্ত্র ছিল। এখন সেখানে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে প্রত্যাবাসন দেরি করে দিচ্ছে। আমরা অপেক্ষা করব।’
তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের ব্যর্থতার কথা বেশ জোরে বললেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত তারা বিষয়টিতে বিব্রত। তবে আমরা তাদের উৎসাহ দিই এটি সমাধানে আরও ভালো কাজ করার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মোহসিন মনে করেন, সমস্যাটি আন্তর্জাতিক, দ্বিপক্ষীয় নয়। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থান প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা তো রয়েছে। বাংলাদেশ শুরুতে এ ক্ষেত্রে যা করেছে, এর থেকে বেশি কিছু করার ছিল না।’
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার কথা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশগুলোকে বোঝাতে হবে। কারণ, মিয়ানমার স্থিতিশীল না হলে সেখানে দেশগুলোর বিনিয়োগও নিরাপদ নয়। আর মিয়ানমার স্থিতিশীল হওয়া শুরু করবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের মধ্য দিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক আদালত আইসিসি এবং আইসিজেতে এ বিষয়ে মামলা চলছে। এখান থেকে একটা রায় পাওয়া গেলে প্রত্যাবাসনে একটি গতি আসবে।’ এ ছাড়াও আরও বিভিন্ন উপাদান রয়েছে তার মাধ্যমেও প্রত্যাবাসনে গতি আসতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
তাসনিম মহসিন, ঢাকা

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেউ কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত চার বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে। এই সময়ে জাতিসংঘসহ শক্তিধর দেশগুলো এ সংকট সমাধানের তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি বা মিয়ানমারের ওপর কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি। ফলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পরিবর্তে দিন দিন আরও তীব্র হচ্ছে।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট নতুন রূপ নেওয়ায় বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। যারা নিয়মিত কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার পাশাপাশি আশপাশের এলাকায় নানা অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর সেখানে মানবিক সংকটের পাশাপাশি সামাজিক সংকটও অনুমান করেছিল জাতিসংঘ। কারণ, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বাসিন্দারা আগে কখনোই এত সুযোগ-সুবিধা দেখেনি, যা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আসছে। রোহিঙ্গারা আসার পর সেখানে প্রচুর অর্থ ও সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলো। ফলে শুরুতে স্থানীয় লোকজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে খাবার ও স্থান ভাগাভাগি করে নিলেও দিন দিন সেখানকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। যা থেকে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হয়েছে। এরই মধ্যে স্থানীয়দের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে সেখানে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা শুরু করেছে জাতিসংঘ।
এ ছাড়া ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। দেশের বেশ কিছু স্থান থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে আবারও কক্সবাজারে ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে। আর সেই সঙ্গে রোহিঙ্গারা অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে।
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়াতে ১০ লাখ রোহিঙ্গার স্থান করে দেওয়ায় সেখানকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ক্ষতি হয়েছে, যা পূরণ হতে কয়েক দশক লেগে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছেই। শুরুতে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা দিতে চাপ ছিল। এখন আর সেই চাপ নেই। তবে জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশন অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য তীব্র চাপ রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থান প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা তো রয়েছে।
আমেনা মোহসিন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও এ বিষয়ে মিয়ানমারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পারেনি জাতিসংঘ ও বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো। উল্টো চীন ও রাশিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পক্ষ নিয়েছে।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট তৈরি হওয়ার পর দ্বিপক্ষীয়ভাবে সংকট নিরসনে তড়িঘড়ি করে প্রত্যাবাসন-সংক্রান্ত ত্রুটিপূর্ণ চুক্তি করে বাংলাদেশ। সেই চুক্তি অনুযায়ী চীনের উপস্থিতিতে কয়েকবার প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করলেও সেটি সফল হয়নি। এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসিত হয়নি। আর মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের পর সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয়। এরপর আর মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে। এমনকি চীনের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটিতেও সাড়া দেয়নি মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখনো ধরে রাখাকে বাংলাদেশের সফলতা বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা যখন তৈরি হয় তখন সেখানে গণতন্ত্র ছিল। এখন সেখানে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে প্রত্যাবাসন দেরি করে দিচ্ছে। আমরা অপেক্ষা করব।’
তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের ব্যর্থতার কথা বেশ জোরে বললেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত তারা বিষয়টিতে বিব্রত। তবে আমরা তাদের উৎসাহ দিই এটি সমাধানে আরও ভালো কাজ করার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মোহসিন মনে করেন, সমস্যাটি আন্তর্জাতিক, দ্বিপক্ষীয় নয়। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থান প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা তো রয়েছে। বাংলাদেশ শুরুতে এ ক্ষেত্রে যা করেছে, এর থেকে বেশি কিছু করার ছিল না।’
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার কথা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশগুলোকে বোঝাতে হবে। কারণ, মিয়ানমার স্থিতিশীল না হলে সেখানে দেশগুলোর বিনিয়োগও নিরাপদ নয়। আর মিয়ানমার স্থিতিশীল হওয়া শুরু করবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের মধ্য দিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক আদালত আইসিসি এবং আইসিজেতে এ বিষয়ে মামলা চলছে। এখান থেকে একটা রায় পাওয়া গেলে প্রত্যাবাসনে একটি গতি আসবে।’ এ ছাড়াও আরও বিভিন্ন উপাদান রয়েছে তার মাধ্যমেও প্রত্যাবাসনে গতি আসতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেউ কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত চার বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে। এই সময়ে জাতিসংঘসহ শক্তিধর দেশগুলো এ সংকট সমাধানের তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি বা মিয়ানমারের ওপর কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি। ফলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পরিবর্তে দিন দিন আরও তীব্র হচ্ছে।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট নতুন রূপ নেওয়ায় বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। যারা নিয়মিত কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার পাশাপাশি আশপাশের এলাকায় নানা অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর সেখানে মানবিক সংকটের পাশাপাশি সামাজিক সংকটও অনুমান করেছিল জাতিসংঘ। কারণ, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বাসিন্দারা আগে কখনোই এত সুযোগ-সুবিধা দেখেনি, যা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আসছে। রোহিঙ্গারা আসার পর সেখানে প্রচুর অর্থ ও সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলো। ফলে শুরুতে স্থানীয় লোকজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে খাবার ও স্থান ভাগাভাগি করে নিলেও দিন দিন সেখানকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। যা থেকে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হয়েছে। এরই মধ্যে স্থানীয়দের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে সেখানে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা শুরু করেছে জাতিসংঘ।
এ ছাড়া ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। দেশের বেশ কিছু স্থান থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে আবারও কক্সবাজারে ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে। আর সেই সঙ্গে রোহিঙ্গারা অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে।
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়াতে ১০ লাখ রোহিঙ্গার স্থান করে দেওয়ায় সেখানকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ক্ষতি হয়েছে, যা পূরণ হতে কয়েক দশক লেগে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছেই। শুরুতে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা দিতে চাপ ছিল। এখন আর সেই চাপ নেই। তবে জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশন অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য তীব্র চাপ রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থান প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা তো রয়েছে।
আমেনা মোহসিন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও এ বিষয়ে মিয়ানমারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পারেনি জাতিসংঘ ও বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো। উল্টো চীন ও রাশিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পক্ষ নিয়েছে।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট তৈরি হওয়ার পর দ্বিপক্ষীয়ভাবে সংকট নিরসনে তড়িঘড়ি করে প্রত্যাবাসন-সংক্রান্ত ত্রুটিপূর্ণ চুক্তি করে বাংলাদেশ। সেই চুক্তি অনুযায়ী চীনের উপস্থিতিতে কয়েকবার প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করলেও সেটি সফল হয়নি। এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসিত হয়নি। আর মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের পর সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয়। এরপর আর মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে। এমনকি চীনের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটিতেও সাড়া দেয়নি মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখনো ধরে রাখাকে বাংলাদেশের সফলতা বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা যখন তৈরি হয় তখন সেখানে গণতন্ত্র ছিল। এখন সেখানে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে প্রত্যাবাসন দেরি করে দিচ্ছে। আমরা অপেক্ষা করব।’
তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের ব্যর্থতার কথা বেশ জোরে বললেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত তারা বিষয়টিতে বিব্রত। তবে আমরা তাদের উৎসাহ দিই এটি সমাধানে আরও ভালো কাজ করার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মোহসিন মনে করেন, সমস্যাটি আন্তর্জাতিক, দ্বিপক্ষীয় নয়। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থান প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা তো রয়েছে। বাংলাদেশ শুরুতে এ ক্ষেত্রে যা করেছে, এর থেকে বেশি কিছু করার ছিল না।’
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার কথা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশগুলোকে বোঝাতে হবে। কারণ, মিয়ানমার স্থিতিশীল না হলে সেখানে দেশগুলোর বিনিয়োগও নিরাপদ নয়। আর মিয়ানমার স্থিতিশীল হওয়া শুরু করবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের মধ্য দিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক আদালত আইসিসি এবং আইসিজেতে এ বিষয়ে মামলা চলছে। এখান থেকে একটা রায় পাওয়া গেলে প্রত্যাবাসনে একটি গতি আসবে।’ এ ছাড়াও আরও বিভিন্ন উপাদান রয়েছে তার মাধ্যমেও প্রত্যাবাসনে গতি আসতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় ১৮ হাজার ৫৬৩ জন শ্রমিক পাঠিয়ে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় পাঁচগুণ বেশি অর্থ আদায়ের মাধ্যমে ৩১০ কোটি ৯৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চারটি এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
৩৮ মিনিট আগে
বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো হাউসে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সিসিটিভি মনিটরিং, টহল
১ ঘণ্টা আগে
আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইনগত সহায়তা প্রদান অধ্যাদেশ সংশোধনবিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ তথ্য জানান বলে আইন মন্ত্রণালয়ের
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই ধাপে সংলাপ হবে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৩১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে চারটি রিক্রুটিং এজেন্সির পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাগুলো করেন।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন আজ মঙ্গলবার বিকেলে মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় ১৮ হাজার ৫৬৩ জন শ্রমিক পাঠিয়ে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি অর্থ আদায়ের মাধ্যমে ৩১০ কোটি ৯৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চারটি এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, সেলিব্রেটি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মালিক ফরিদা বানু ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুল হাইকে একটি মামলার আসামি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৪৮৬ জনের কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত ফির অতিরিক্ত ৫৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগে আনা হয়েছে।
একইভাবে অদীতি ইন্টারন্যাশনালের মালিক বিশ্বজিৎ সাহার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলাটি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৮৫২ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৬৪ কোটি ৫২ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা আদায় ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া রাব্বি ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে ৩ হাজার ১৪৮ জনের কাছ থেকে ৫২ কোটি ৭২ লাখ ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্ত গ্রহণের অভিযোগে এর মালিক মোহাম্মদ বশিরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
চতুর্থ মামলাটি করা হয়েছে আরভিং এন্টারপ্রাইজের মালিক হেফজুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের নামে। তাঁর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৭৭ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৩৫ কোটি ২৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায় ও আত্মাসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ৬ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ৫২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
চলতি বছরের ১১ মার্চ একই দেশে কর্মী পাঠিয়ে ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩২ জনের নামে এবং ১৪ সেপ্টেম্বর ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৩ রিক্রুটিং এজেন্সির শীর্ষ কর্মকর্তার নামে মামলা করে দুদক।
বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর ফের বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে দেশটি।
সে দেশে শ্রমিক পাঠাতে সরকারনির্ধারিত ফি সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৩১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে চারটি রিক্রুটিং এজেন্সির পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাগুলো করেন।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন আজ মঙ্গলবার বিকেলে মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় ১৮ হাজার ৫৬৩ জন শ্রমিক পাঠিয়ে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি অর্থ আদায়ের মাধ্যমে ৩১০ কোটি ৯৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চারটি এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, সেলিব্রেটি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মালিক ফরিদা বানু ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুল হাইকে একটি মামলার আসামি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৪৮৬ জনের কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত ফির অতিরিক্ত ৫৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগে আনা হয়েছে।
একইভাবে অদীতি ইন্টারন্যাশনালের মালিক বিশ্বজিৎ সাহার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলাটি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৮৫২ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৬৪ কোটি ৫২ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা আদায় ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া রাব্বি ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে ৩ হাজার ১৪৮ জনের কাছ থেকে ৫২ কোটি ৭২ লাখ ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্ত গ্রহণের অভিযোগে এর মালিক মোহাম্মদ বশিরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
চতুর্থ মামলাটি করা হয়েছে আরভিং এন্টারপ্রাইজের মালিক হেফজুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের নামে। তাঁর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৭৭ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৩৫ কোটি ২৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায় ও আত্মাসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ৬ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ৫২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
চলতি বছরের ১১ মার্চ একই দেশে কর্মী পাঠিয়ে ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩২ জনের নামে এবং ১৪ সেপ্টেম্বর ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৩ রিক্রুটিং এজেন্সির শীর্ষ কর্মকর্তার নামে মামলা করে দুদক।
বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর ফের বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে দেশটি।
সে দেশে শ্রমিক পাঠাতে সরকারনির্ধারিত ফি সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেউ কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত চার বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে।
২৬ আগস্ট ২০২১
বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো হাউসে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সিসিটিভি মনিটরিং, টহল
১ ঘণ্টা আগে
আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইনগত সহায়তা প্রদান অধ্যাদেশ সংশোধনবিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ তথ্য জানান বলে আইন মন্ত্রণালয়ের
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই ধাপে সংলাপ হবে।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

দেশজুড়ে চলমান সহিংসতা ও নাশকতার আশঙ্কায় দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
আজ মঙ্গলবার বেবিচকের সদর দপ্তর থেকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে এক চিঠিতে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়।
গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো হাউসে (পণ্য রাখার স্থান) আগুন লাগার পর বিমানবন্দরগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর করা হয়।
এবার এর পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে বেবিচক; যাতে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সব বিমানবন্দরে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিমানবন্দর এলাকায় ভেহিকল প্যাট্রোল ও ফুট প্যাট্রোল বাড়ানো এবং মনিটরিং ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য ঝুঁকি বা হুমকির ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চসংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েনের পাশাপাশি সার্বিক ফায়ার সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়া যায়।
বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো হাউসে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সিসিটিভি মনিটরিং, টহল কার্যক্রম এবং ফায়ার সার্ভেইল্যান্স আরও জোরদার করা হয়েছে।
সূত্রমতে, এই বিশেষ সতর্কতা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

দেশজুড়ে চলমান সহিংসতা ও নাশকতার আশঙ্কায় দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
আজ মঙ্গলবার বেবিচকের সদর দপ্তর থেকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে এক চিঠিতে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়।
গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো হাউসে (পণ্য রাখার স্থান) আগুন লাগার পর বিমানবন্দরগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর করা হয়।
এবার এর পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে বেবিচক; যাতে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সব বিমানবন্দরে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিমানবন্দর এলাকায় ভেহিকল প্যাট্রোল ও ফুট প্যাট্রোল বাড়ানো এবং মনিটরিং ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য ঝুঁকি বা হুমকির ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চসংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েনের পাশাপাশি সার্বিক ফায়ার সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়া যায়।
বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো হাউসে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সিসিটিভি মনিটরিং, টহল কার্যক্রম এবং ফায়ার সার্ভেইল্যান্স আরও জোরদার করা হয়েছে।
সূত্রমতে, এই বিশেষ সতর্কতা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেউ কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত চার বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে।
২৬ আগস্ট ২০২১
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় ১৮ হাজার ৫৬৩ জন শ্রমিক পাঠিয়ে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় পাঁচগুণ বেশি অর্থ আদায়ের মাধ্যমে ৩১০ কোটি ৯৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চারটি এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
৩৮ মিনিট আগে
আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইনগত সহায়তা প্রদান অধ্যাদেশ সংশোধনবিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ তথ্য জানান বলে আইন মন্ত্রণালয়ের
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই ধাপে সংলাপ হবে।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইনগত সহায়তা প্রদান অধ্যাদেশ সংশোধনবিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ তথ্য জানান বলে আইন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের একটা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ ধরনের প্রত্যাশা আমরা করেছিলাম। কিন্তু প্রত্যাশা করেই আমরা বসে থাকিনি। আমরা নিজেদের মতো কাজ করেছি। সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছি, তা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন।’
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘আমরা উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ে এটা আলোচনা করছি। সব দলের প্রত্যাশার প্রতি সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ও জনগণের স্বার্থে যা করা দরকার, সেটাই আমরা করতে যাচ্ছি।’
মতবিনিময় সভায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পক্ষ থেকে আইনগত সহায়তা প্রদান (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া উপস্থাপন করা হয়। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ এবং জুলাই সনদে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাকে অধিদপ্তরে রূপান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা, সাবেক জেলা জজ মোতাহার হোসেন, ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আইন মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল কনসালট্যান্ট ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আইনটির প্রস্তাবিত সংশোধনীর বিভিন্ন দিক নিয়ে পরামর্শ দেন।

আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইনগত সহায়তা প্রদান অধ্যাদেশ সংশোধনবিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ তথ্য জানান বলে আইন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের একটা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ ধরনের প্রত্যাশা আমরা করেছিলাম। কিন্তু প্রত্যাশা করেই আমরা বসে থাকিনি। আমরা নিজেদের মতো কাজ করেছি। সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছি, তা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন।’
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘আমরা উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ে এটা আলোচনা করছি। সব দলের প্রত্যাশার প্রতি সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ও জনগণের স্বার্থে যা করা দরকার, সেটাই আমরা করতে যাচ্ছি।’
মতবিনিময় সভায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পক্ষ থেকে আইনগত সহায়তা প্রদান (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া উপস্থাপন করা হয়। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ এবং জুলাই সনদে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাকে অধিদপ্তরে রূপান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা, সাবেক জেলা জজ মোতাহার হোসেন, ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আইন মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল কনসালট্যান্ট ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আইনটির প্রস্তাবিত সংশোধনীর বিভিন্ন দিক নিয়ে পরামর্শ দেন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেউ কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত চার বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে।
২৬ আগস্ট ২০২১
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় ১৮ হাজার ৫৬৩ জন শ্রমিক পাঠিয়ে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় পাঁচগুণ বেশি অর্থ আদায়ের মাধ্যমে ৩১০ কোটি ৯৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চারটি এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
৩৮ মিনিট আগে
বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো হাউসে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সিসিটিভি মনিটরিং, টহল
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই ধাপে সংলাপ হবে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই ধাপে সংলাপ হবে।
ইসি সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সংলাপের প্রথম দিন ১২টি দলের সঙ্গে বসবে ইসি। সকালে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ–এই ছয়টি দলের সঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক আলোচনা করবে ইসি।
পরের ধাপেও ছয়টি দল সংলাপে অংশ নেবে। দলগুলো হচ্ছে–বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই ধাপে সংলাপ হবে।
ইসি সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সংলাপের প্রথম দিন ১২টি দলের সঙ্গে বসবে ইসি। সকালে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ–এই ছয়টি দলের সঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক আলোচনা করবে ইসি।
পরের ধাপেও ছয়টি দল সংলাপে অংশ নেবে। দলগুলো হচ্ছে–বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেউ কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত চার বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে।
২৬ আগস্ট ২০২১
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় ১৮ হাজার ৫৬৩ জন শ্রমিক পাঠিয়ে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় পাঁচগুণ বেশি অর্থ আদায়ের মাধ্যমে ৩১০ কোটি ৯৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চারটি এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
৩৮ মিনিট আগে
বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো হাউসে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সিসিটিভি মনিটরিং, টহল
১ ঘণ্টা আগে
আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইনগত সহায়তা প্রদান অধ্যাদেশ সংশোধনবিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ তথ্য জানান বলে আইন মন্ত্রণালয়ের
১ ঘণ্টা আগে