কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ঢাকা: রোহিঙ্গাদের চলাচলে স্বাধীনতা দিতে জাতিসংঘের অনুরোধের পর কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের যে পরিকল্পনা ছিল, তা চলতি বছরের মধ্যে শেষ করবে সরকার। আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় টাস্কফোর্সের ৩৪ তম বৈঠকে জাতিসংঘের অনুরোধের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, করোনার কারণে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও ক্যাম্পগুলোতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ এখন বেশ গতি পেয়েছে। বেড়া নির্মাণ হলে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা বা অবাধ চলাফেরা অনেকটা কমে আসবে।
রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা নিয়ে জাতিসংঘের আহ্বানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বের অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণে দেশ। রোহিঙ্গাদের সুনির্দিষ্ট স্থানে আটকে রাখা ছাড়া আমাদের অন্য কোনো সুযোগ নেই। ক্যাম্পে অপরাধ চক্র গড়ে উঠেছে। চাঁদাবাজি, মাদক ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের ঘটনা ঘটছে। সেই সঙ্গে জঙ্গিবাদের উত্থানের একটি ভয়ও আছে। এসব কারণে ক্যাম্পের নিরাপত্তা আমাদের কাছে অত্যন্ত জরুরি।’
এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোভিড–১৯ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এক সময়ে ক্যাম্পে করোনা পরিস্থিতি ভালো ছিল। সংক্রমণের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল। তবে গত তিন দিন ধরে ক্যাম্পে সংক্রমণের হার ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এ সময়ে জাতীয় গড় সংক্রমণ ১২ শতাংশ। এটি একটি দুশ্চিন্তার বিষয়।
রোহিঙ্গা শিবিরে করোনার টিকা কর্মসূচি প্রসঙ্গে সচিব বলেন, জাতিসংঘ রোহিঙ্গা ও সেখানকার স্থানীয় জনগণের জন্য টিকার ব্যবস্থা করলে আমরা সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানাব। তবে আমাদের যে টিকা আছে, সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়।
পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, বৈঠকে জাতিসংঘের অংশগ্রহণকারীরা ভাসানচর নিয়ে আলোচনা করেছেন। ভাসানচরে জাতিসংঘকে দ্রুত যোগ করার বিষয়ে প্রতিনিধিরা তাদের আগ্রহের কথা জানান। একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রথম বৈঠকে বসবে। জাতিসংঘ কীভাবে ভাসানচরে মানবিক কার্যক্রম চালাবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, চলতি বছরের মধ্যে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হবে।

ঢাকা: রোহিঙ্গাদের চলাচলে স্বাধীনতা দিতে জাতিসংঘের অনুরোধের পর কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের যে পরিকল্পনা ছিল, তা চলতি বছরের মধ্যে শেষ করবে সরকার। আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় টাস্কফোর্সের ৩৪ তম বৈঠকে জাতিসংঘের অনুরোধের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, করোনার কারণে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও ক্যাম্পগুলোতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ এখন বেশ গতি পেয়েছে। বেড়া নির্মাণ হলে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা বা অবাধ চলাফেরা অনেকটা কমে আসবে।
রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা নিয়ে জাতিসংঘের আহ্বানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বের অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণে দেশ। রোহিঙ্গাদের সুনির্দিষ্ট স্থানে আটকে রাখা ছাড়া আমাদের অন্য কোনো সুযোগ নেই। ক্যাম্পে অপরাধ চক্র গড়ে উঠেছে। চাঁদাবাজি, মাদক ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের ঘটনা ঘটছে। সেই সঙ্গে জঙ্গিবাদের উত্থানের একটি ভয়ও আছে। এসব কারণে ক্যাম্পের নিরাপত্তা আমাদের কাছে অত্যন্ত জরুরি।’
এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোভিড–১৯ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এক সময়ে ক্যাম্পে করোনা পরিস্থিতি ভালো ছিল। সংক্রমণের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল। তবে গত তিন দিন ধরে ক্যাম্পে সংক্রমণের হার ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এ সময়ে জাতীয় গড় সংক্রমণ ১২ শতাংশ। এটি একটি দুশ্চিন্তার বিষয়।
রোহিঙ্গা শিবিরে করোনার টিকা কর্মসূচি প্রসঙ্গে সচিব বলেন, জাতিসংঘ রোহিঙ্গা ও সেখানকার স্থানীয় জনগণের জন্য টিকার ব্যবস্থা করলে আমরা সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানাব। তবে আমাদের যে টিকা আছে, সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়।
পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, বৈঠকে জাতিসংঘের অংশগ্রহণকারীরা ভাসানচর নিয়ে আলোচনা করেছেন। ভাসানচরে জাতিসংঘকে দ্রুত যোগ করার বিষয়ে প্রতিনিধিরা তাদের আগ্রহের কথা জানান। একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রথম বৈঠকে বসবে। জাতিসংঘ কীভাবে ভাসানচরে মানবিক কার্যক্রম চালাবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, চলতি বছরের মধ্যে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হবে।
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ঢাকা: রোহিঙ্গাদের চলাচলে স্বাধীনতা দিতে জাতিসংঘের অনুরোধের পর কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের যে পরিকল্পনা ছিল, তা চলতি বছরের মধ্যে শেষ করবে সরকার। আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় টাস্কফোর্সের ৩৪ তম বৈঠকে জাতিসংঘের অনুরোধের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, করোনার কারণে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও ক্যাম্পগুলোতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ এখন বেশ গতি পেয়েছে। বেড়া নির্মাণ হলে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা বা অবাধ চলাফেরা অনেকটা কমে আসবে।
রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা নিয়ে জাতিসংঘের আহ্বানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বের অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণে দেশ। রোহিঙ্গাদের সুনির্দিষ্ট স্থানে আটকে রাখা ছাড়া আমাদের অন্য কোনো সুযোগ নেই। ক্যাম্পে অপরাধ চক্র গড়ে উঠেছে। চাঁদাবাজি, মাদক ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের ঘটনা ঘটছে। সেই সঙ্গে জঙ্গিবাদের উত্থানের একটি ভয়ও আছে। এসব কারণে ক্যাম্পের নিরাপত্তা আমাদের কাছে অত্যন্ত জরুরি।’
এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোভিড–১৯ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এক সময়ে ক্যাম্পে করোনা পরিস্থিতি ভালো ছিল। সংক্রমণের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল। তবে গত তিন দিন ধরে ক্যাম্পে সংক্রমণের হার ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এ সময়ে জাতীয় গড় সংক্রমণ ১২ শতাংশ। এটি একটি দুশ্চিন্তার বিষয়।
রোহিঙ্গা শিবিরে করোনার টিকা কর্মসূচি প্রসঙ্গে সচিব বলেন, জাতিসংঘ রোহিঙ্গা ও সেখানকার স্থানীয় জনগণের জন্য টিকার ব্যবস্থা করলে আমরা সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানাব। তবে আমাদের যে টিকা আছে, সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়।
পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, বৈঠকে জাতিসংঘের অংশগ্রহণকারীরা ভাসানচর নিয়ে আলোচনা করেছেন। ভাসানচরে জাতিসংঘকে দ্রুত যোগ করার বিষয়ে প্রতিনিধিরা তাদের আগ্রহের কথা জানান। একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রথম বৈঠকে বসবে। জাতিসংঘ কীভাবে ভাসানচরে মানবিক কার্যক্রম চালাবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, চলতি বছরের মধ্যে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হবে।

ঢাকা: রোহিঙ্গাদের চলাচলে স্বাধীনতা দিতে জাতিসংঘের অনুরোধের পর কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের যে পরিকল্পনা ছিল, তা চলতি বছরের মধ্যে শেষ করবে সরকার। আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় টাস্কফোর্সের ৩৪ তম বৈঠকে জাতিসংঘের অনুরোধের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, করোনার কারণে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও ক্যাম্পগুলোতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ এখন বেশ গতি পেয়েছে। বেড়া নির্মাণ হলে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা বা অবাধ চলাফেরা অনেকটা কমে আসবে।
রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা নিয়ে জাতিসংঘের আহ্বানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বের অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণে দেশ। রোহিঙ্গাদের সুনির্দিষ্ট স্থানে আটকে রাখা ছাড়া আমাদের অন্য কোনো সুযোগ নেই। ক্যাম্পে অপরাধ চক্র গড়ে উঠেছে। চাঁদাবাজি, মাদক ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের ঘটনা ঘটছে। সেই সঙ্গে জঙ্গিবাদের উত্থানের একটি ভয়ও আছে। এসব কারণে ক্যাম্পের নিরাপত্তা আমাদের কাছে অত্যন্ত জরুরি।’
এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোভিড–১৯ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এক সময়ে ক্যাম্পে করোনা পরিস্থিতি ভালো ছিল। সংক্রমণের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল। তবে গত তিন দিন ধরে ক্যাম্পে সংক্রমণের হার ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এ সময়ে জাতীয় গড় সংক্রমণ ১২ শতাংশ। এটি একটি দুশ্চিন্তার বিষয়।
রোহিঙ্গা শিবিরে করোনার টিকা কর্মসূচি প্রসঙ্গে সচিব বলেন, জাতিসংঘ রোহিঙ্গা ও সেখানকার স্থানীয় জনগণের জন্য টিকার ব্যবস্থা করলে আমরা সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানাব। তবে আমাদের যে টিকা আছে, সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়।
পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, বৈঠকে জাতিসংঘের অংশগ্রহণকারীরা ভাসানচর নিয়ে আলোচনা করেছেন। ভাসানচরে জাতিসংঘকে দ্রুত যোগ করার বিষয়ে প্রতিনিধিরা তাদের আগ্রহের কথা জানান। একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রথম বৈঠকে বসবে। জাতিসংঘ কীভাবে ভাসানচরে মানবিক কার্যক্রম চালাবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, চলতি বছরের মধ্যে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হবে।

আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আরও ৪৬৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
৩ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশন
৩৫ মিনিট আগে
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গত ২৭ অক্টোবর (সোমবার) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
২ ঘণ্টা আগে
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আরও ৪৬৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ। দুদকের উপপরিচালক তাহসিন মুনাবীল হক এসব জমি ক্রোকের নির্দেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদন অনুযায়ী গাজীপুর সদর থানার ৮ দশমিক ৫৮ একর; গাজীপুর শ্রীপুর থানার ৪ দশমিক ৮৬ একর; কক্সবাজারের সদর থানার ২ দশমিক ১২ একর; কক্সবাজার চকরিয়া থানার দশমিক ৯৬ একর; মহেশখালী থানার ১৮০ দশমিক ২৮ একর এবং কক্সবাজার পেকুয়া থানার ২৭২ দশমিক ৬৮ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। ক্রোককৃত মোট জমির পরিমাণ ৪৬ হাজার ৯৪৮ দশমিক ৭৫ শতক বা ৪৬৯ একর।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা করেছে দুদক। বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান ও মামলাগুলোর তদন্ত চলাকালে এস আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের এই পরিমাণ স্থাবর সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে দুদক জানতে পেরেছে, বিপুল পরিমাণ সম্পদ তাঁরা যেকোনো সময় বিক্রি, হস্তান্তর বা স্থানান্তর করতে পারেন। এসব সম্পদ বিক্রি, হস্তান্তর বা স্থানান্তরিত হলে অভিযোগের অনুসন্ধান ও মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে এবং রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। কাজেই সেগুলো ক্রোক করার নির্দেশ প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২০ অক্টোবর বিভিন্ন কোম্পানির আট হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ, ১০ জুলাই এস আলম ও তাঁর ছেলেদের ১৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের ৪৩৪ দশমিক ৮৬ একর জমি ও রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসের দুটি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। গত ২৩ এপ্রিল শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ১৫৯ দশমিক ১৫ একর জমি ক্রোকের আদেশ দেন ঢাকার আদালত।
গত ১৭ জুন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ২০০ একর জমি, ১৭ এপ্রিল ১ হাজার ৩৬০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। গত ১৬ জানুয়ারি এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন একই আদালত।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ১৭৫ বিঘা সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৭৪টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এসব শেয়ারের মূল্য ৫ হাজার ১০৯ কোটি টাকা।
এ ছাড়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। গত ১০ মার্চ এস আলমের এক হাজার ছয় বিঘা জমি, গত ৯ এপ্রিল তাঁর ৯০ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। একই দিন আদালত তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা ৩৭৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন। গত ২৪ জুন এস আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে থাকা ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড ও ব্রিটিশ রাজার অধীনস্থ দ্বীপরাষ্ট্র জার্সির ২৫ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ এবং এস আলমের নামে থাকা সাইপ্রাসের দোতলাবিশিষ্ট বাড়ি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৯ জুলাই এস আলমের ৫৩টি হিসাবে থাকা ১১৩ কোটি ৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৮ টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে এস আলম গ্রুপের পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সর্বশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর এস আলমের তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।

আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আরও ৪৬৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ। দুদকের উপপরিচালক তাহসিন মুনাবীল হক এসব জমি ক্রোকের নির্দেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদন অনুযায়ী গাজীপুর সদর থানার ৮ দশমিক ৫৮ একর; গাজীপুর শ্রীপুর থানার ৪ দশমিক ৮৬ একর; কক্সবাজারের সদর থানার ২ দশমিক ১২ একর; কক্সবাজার চকরিয়া থানার দশমিক ৯৬ একর; মহেশখালী থানার ১৮০ দশমিক ২৮ একর এবং কক্সবাজার পেকুয়া থানার ২৭২ দশমিক ৬৮ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। ক্রোককৃত মোট জমির পরিমাণ ৪৬ হাজার ৯৪৮ দশমিক ৭৫ শতক বা ৪৬৯ একর।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা করেছে দুদক। বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান ও মামলাগুলোর তদন্ত চলাকালে এস আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের এই পরিমাণ স্থাবর সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে দুদক জানতে পেরেছে, বিপুল পরিমাণ সম্পদ তাঁরা যেকোনো সময় বিক্রি, হস্তান্তর বা স্থানান্তর করতে পারেন। এসব সম্পদ বিক্রি, হস্তান্তর বা স্থানান্তরিত হলে অভিযোগের অনুসন্ধান ও মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে এবং রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। কাজেই সেগুলো ক্রোক করার নির্দেশ প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২০ অক্টোবর বিভিন্ন কোম্পানির আট হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ, ১০ জুলাই এস আলম ও তাঁর ছেলেদের ১৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের ৪৩৪ দশমিক ৮৬ একর জমি ও রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসের দুটি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। গত ২৩ এপ্রিল শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ১৫৯ দশমিক ১৫ একর জমি ক্রোকের আদেশ দেন ঢাকার আদালত।
গত ১৭ জুন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ২০০ একর জমি, ১৭ এপ্রিল ১ হাজার ৩৬০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। গত ১৬ জানুয়ারি এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন একই আদালত।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ১৭৫ বিঘা সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৭৪টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এসব শেয়ারের মূল্য ৫ হাজার ১০৯ কোটি টাকা।
এ ছাড়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। গত ১০ মার্চ এস আলমের এক হাজার ছয় বিঘা জমি, গত ৯ এপ্রিল তাঁর ৯০ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। একই দিন আদালত তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা ৩৭৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন। গত ২৪ জুন এস আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে থাকা ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড ও ব্রিটিশ রাজার অধীনস্থ দ্বীপরাষ্ট্র জার্সির ২৫ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ এবং এস আলমের নামে থাকা সাইপ্রাসের দোতলাবিশিষ্ট বাড়ি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৯ জুলাই এস আলমের ৫৩টি হিসাবে থাকা ১১৩ কোটি ৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৮ টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে এস আলম গ্রুপের পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সর্বশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর এস আলমের তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।

রোহিঙ্গাদের চলাচলে স্বাধীনতা দিতে জাতিসংঘের অনুরোধের পর কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের যে পরিকল্পনা ছিল, তা চলতি বছরের মধ্যে শেষ করতে চায় সরকার। আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় টাস্কফোর্সের ৩৪ তম বৈঠকে জাতিসংঘের অনুরোধের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
০৯ জুন ২০২১
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশন
৩৫ মিনিট আগে
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গত ২৭ অক্টোবর (সোমবার) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
২ ঘণ্টা আগে
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা কিনতে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই বডি ওর্ন ক্যামেরা ক্রয়প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। ভোটারদের মধ্যে এমন আস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে তাঁরা অনুভব করেন যে নির্বাচনের জন্য একটি অনুকূল ও নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান।
ড. ইউনূস নির্দেশ দেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই বডি ওর্ন ক্যামেরা ক্রয়প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে, যাতে নির্বাচনকালীন সহিংসতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায়।
ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এমন একটি কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে পরিস্থিতি অবনতির কোনো সুযোগ কেউ না পায়।
বৈঠকে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ বডি ওর্ন ক্যামেরা মজুত রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করে পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নতুন ক্যামেরাগুলো এসে পৌঁছালে প্রতিটি জেলায় পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বডি ওর্ন ক্যামেরার সাহায্যে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি প্রতিটি থানা ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকেও তা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা কিনতে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই বডি ওর্ন ক্যামেরা ক্রয়প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। ভোটারদের মধ্যে এমন আস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে তাঁরা অনুভব করেন যে নির্বাচনের জন্য একটি অনুকূল ও নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান।
ড. ইউনূস নির্দেশ দেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই বডি ওর্ন ক্যামেরা ক্রয়প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে, যাতে নির্বাচনকালীন সহিংসতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায়।
ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এমন একটি কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে পরিস্থিতি অবনতির কোনো সুযোগ কেউ না পায়।
বৈঠকে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ বডি ওর্ন ক্যামেরা মজুত রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করে পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নতুন ক্যামেরাগুলো এসে পৌঁছালে প্রতিটি জেলায় পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বডি ওর্ন ক্যামেরার সাহায্যে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি প্রতিটি থানা ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকেও তা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।

রোহিঙ্গাদের চলাচলে স্বাধীনতা দিতে জাতিসংঘের অনুরোধের পর কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের যে পরিকল্পনা ছিল, তা চলতি বছরের মধ্যে শেষ করতে চায় সরকার। আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় টাস্কফোর্সের ৩৪ তম বৈঠকে জাতিসংঘের অনুরোধের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
০৯ জুন ২০২১
আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আরও ৪৬৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
৩ মিনিট আগে
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গত ২৭ অক্টোবর (সোমবার) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
২ ঘণ্টা আগে
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক শিডিউলড ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ (ইমার্জেন্সি/ডাইভারশন) বা নন-শিডিউলড আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রেও বিমানবন্দরটি ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গতকাল (২৭ অক্টোবর) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক শিডিউল ফ্লাইটের পাশাপাশি নন-শিডিউল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও জরুরি অবতরণের ক্ষেত্রেও ব্যবহার না করার অনুরোধ করা হলো।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়টি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি সরকার স্থগিত করে। এর ফলে বিমানবন্দরটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকছে।

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক শিডিউলড ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ (ইমার্জেন্সি/ডাইভারশন) বা নন-শিডিউলড আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রেও বিমানবন্দরটি ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গতকাল (২৭ অক্টোবর) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক শিডিউল ফ্লাইটের পাশাপাশি নন-শিডিউল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও জরুরি অবতরণের ক্ষেত্রেও ব্যবহার না করার অনুরোধ করা হলো।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়টি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি সরকার স্থগিত করে। এর ফলে বিমানবন্দরটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকছে।

রোহিঙ্গাদের চলাচলে স্বাধীনতা দিতে জাতিসংঘের অনুরোধের পর কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের যে পরিকল্পনা ছিল, তা চলতি বছরের মধ্যে শেষ করতে চায় সরকার। আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় টাস্কফোর্সের ৩৪ তম বৈঠকে জাতিসংঘের অনুরোধের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
০৯ জুন ২০২১
আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আরও ৪৬৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
৩ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশন
৩৫ মিনিট আগে
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীর ও মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রস্তাবিত আদেশের প্রারম্ভিক ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল ভিত্তি হলো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে।
৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশসংবলিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো সম্মিলিতভাবে ওই সনদে স্বাক্ষর করে এবং তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সর্বোচ্চ অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে: সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন নেওয়ার উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান অপরিহার্য। সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করা অত্যাবশ্যক।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সে কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে। আদেশের খসড়ায় যা যা আছে জানতে বিস্তারিত পড়ুন—
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫
যেহেতু সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের প্রকাশ ঘটিয়াছে; এবং
যেহেতু উক্ত গণঅভ্যুত্থানের ফলে ৫ আগস্ট ২০২৪ (২১ শ্রাবণ ১৪৩১) তারিখে তৎকালীন কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটে, ৬ আগস্ট ২০২৪ (২২ শ্রাবণ ১৪৩১) তারিখে জাতীয় সংসদ ভাঙ্গিয়া দেওয়া হয় এবং ৮ আগস্ট ২০২৪ (২৪ শ্রাবণ ১৪৩১) তারিখে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যাহা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকারিতা ও স্বীকৃতি লাভ করিয়াছে; এবং
যেহেতু রাষ্ট্রীয় সংস্কার সাধনের মাধ্যমে সুশাসন, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ করিবার উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থায় সংস্কারের সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করে এবং উক্ত কমিশনসমূহ স্ব স্ব প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করে; এবং
যেহেতু উপরিউক্ত প্রতিবেদনগুলিতে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশসমূহের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (২৯ মাঘ ১৪৩২) তারিখে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে; এবং
যেহেতু জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সহিত আলোচনাক্রমে সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ প্রণয়ন করে এবং রাজনৈতিক দল ও জোট সম্মিলিতভাবে উক্ত সনদে স্বাক্ষর ও তাহা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে; এবং
যেহেতু সংবিধান সংস্কার বিষয়ে জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন প্রয়োজন এবং তদুদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার অপরিহার্য; এবং
যেহেতু উপরে বর্ণিতমতে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করিবার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা একান্ত প্রয়োজন,
সেহেতু সরকার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই আদেশ জারি করিল:-
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম।- এই আদেশ জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হইবে, যাহা অতঃপর “এই আদেশ” বলিয়া উল্লেখিত।
২। আদেশের প্রবর্তন ও কার্যকরতা।- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফল হিসাবে প্রণীত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আদেশ অবিলম্বে সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হইবে, এবং-
(ক) উক্তরূপে গেজেট প্রকাশের তারিখে ইহার ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ১৩ ও ১৬ অনুচ্ছেদ কার্যকর হইবে; এবং
(খ) ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৪ ও ১৫ অনুচ্ছেদ গণভোটের ইতিবাচক ফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখে কার্যকর হইবে।
৩। সংজ্ঞা।- বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আদেশে,-
(ক) “গণভোট” অর্থ এই আদেশের অধীনে অনুষ্ঠিত গণভোট;
(খ) “জাতীয় সংসদ” অর্থ সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে গঠিত জাতীয় সংসদ;
(গ) “জুলাই গণঅভ্যুত্থান” অর্থ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান, যাহার পরিণতিতে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে তৎকালীন সরকারের পতন ঘটে, ৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সংসদ ভাঙ্গিয়া দেওয়া হয় এবং ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়;
(ঘ) “জুলাই জাতীয় সনদ” অর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ এবং উক্ত কমিশন কর্তৃক স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫;
(ঙ) “নির্বাচন কমিশন” অর্থ সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত নির্বাচন কমিশন;
(চ) “নির্বাচিত প্রতিনিধি” অর্থ সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুসারে গঠিত জাতীয় সংসদের সকল সংসদ-সদস্য;
(ছ) “পরিষদ” অর্থ এই আদেশের ৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে গঠিত সংবিধান সংস্কার পরিষদ;
(জ) “সভাপ্রধান” অর্থ এই আদেশের ১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে পরিষদের সভায় সভাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;
(ঝ) “সংবিধান” অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধান; এবং
(ঞ) “সংসদ নির্বাচন” অর্থ এই আদেশ জারির অব্যবহিত পরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন।
৪। জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গণভোট।- জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হইবে।
৫। গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্ন ।- (১) গণভোটে নিম্নরূপ প্রশ্ন উপস্থাপন করা হইবে -
‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’।
(২) ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোটদান করিবেন।
৬। গণভোট অনুষ্ঠান।- এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।
৭। গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়ন।- গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা হইবে।
৮। সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উহার কার্যাবলি।- (১) গণভোটে উপস্থাপিত প্রশ্নের উত্তরে প্রদত্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ইতিবাচক (হ্যাঁ সূচক) হইলে-
(ক) এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হইবে, যাহা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গাঠনিক ক্ষমতা (Constituent Power) প্রয়োগ করিতে পারিবে;
(খ) উক্ত নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ একইসাথে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসাবে এবং এই আদেশ অনুসারে সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন;
(গ) পরিষদ উহার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হইতে ২৭০ পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে এই আদেশের তফসিল-১ এ বর্ণিত জুলাই জাতীয় সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করিবে এবং তাহা সম্পন্ন করিবার পর পরিষদের কার্যক্রম সমাপ্ত হইবে।
(২) পরিষদের কার্যধারায় অংশগ্রহণের সময় নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ পরিষদ-সদস্য হিসাবে অভিহিত হইবেন।
(৩) এই আদেশের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিষদ ইহার অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবি, সংবিধান সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব উত্থাপনের পদ্ধতি, উক্ত প্রস্তাব বিবেচনা ও গ্রহণ এবং অন্য সকল বিষয়ে কার্যপ্রণালি নির্ধারণ করিবে।
(৪) জাতীয় সংসদ সচিবালয় পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবে।
৯। শপথ এবং শপথ-পাঠ পরিচালনা।- (১) নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সংসদ-সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণের পর একই শপথ অনুষ্ঠানে এই আদেশের তফসিল-২ অনুযায়ী পরিষদ-সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা (এই অনুচ্ছেদে “শপথ” বলিয়া অভিহিত) করিবেন এবং অনুরূপ শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর দান করিবেন।
(২) সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের ক্ষেত্রে যিনি শপথ-পাঠ পরিচালনা করিবেন তিনিই এই আদেশের তফসিল-২ এ বিধৃত ফরমে পরিষদ-সদস্যদের শপথ-পাঠ পরিচালনা করিবেন।
১০। পরিষদের সভাপ্রধান, ইত্যাদি।- (১) পরিষদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে পরিষদ-সদস্যগণ ইহার সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান নির্বাচন করিবে; এবং উক্তরূপ নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত পরিষদের বয়োজ্যেষ্ঠ একজন সদস্য বৈঠকে সভাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।
(২) সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান উভয়ের অনুপস্থিতিতে পরিষদের কার্যপ্রণালী অনুযায়ী কোন পরিষদ-সদস্য সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করিবেন।
১১। পরিষদের অধিবেশন আহ্বান, কোরাম, ভোটদান, ইত্যাদি।- (১) সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষিত হইবার ৩০ পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে যে পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করা হইবে অনুরূপ পদ্ধতিতে পরিষদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করা হইবে।
(২) পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ন্যূনতম ৬০ (ষাট) জন পরিষদ-সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হইবে।
(৩) সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরিষদের মোট সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে; এবং অন্যান্য বিষয়ে উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিষদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্র ব্যতীত সভাপ্রধান ভোটদান করিবেন না এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে তিনি নির্ণায়ক ভোট প্রদান করিবেন।
১২। পরিষদ ও উহার সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি।- পরিষদের কোনো কার্যধারার বৈধতা এবং পরিষদ-সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি জাতীয় সংসদ ও সংসদ-সদস্যদের অনুরূপ হইবে।
১৩। জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধানে অন্তর্ভুক্তকরণ।- জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত হইবে।
১৪। সংবিধান সংস্কার অবিলম্বে কার্যকর করা।- (১) এই আদেশের ৮ অনুচ্ছেদের উপঅনুচ্ছেদ (১)(গ) অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হইবার পর যে সমস্ত সংস্কার অবিলম্বে কার্যকর করা সম্ভব তা অবিলম্বে কার্যকর করা হইবে এবং এক্ষেত্রে সরকার সকল যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
(২) এই অনুচ্ছেদের উপঅনুচ্ছেদ (১) এর সাধারণতা ক্ষুণ্ন না করিয়া [without prejudice to the generality of sub-article (1)] এই আদেশের ৮ অনুচ্ছেদের উপঅনুচ্ছেদ (১)(গ) অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হইবার পর ৪৫ পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Proportional Representation-PR) পদ্ধতিতে একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা হইবে।
(৩) এই অনুচ্ছেদের উপঅনুচ্ছেদ (২) অনুসারে গঠিত উচ্চকক্ষের মেয়াদ শপথ গ্রহণের তারিখ হইতে এই আদেশ জারির অব্যবহিত পরে গঠিত নিম্নকক্ষের (জাতীয় সংসদের) মেয়াদের শেষ দিবস পর্যন্ত হইবে।
(৪) এই আদেশ জারির অব্যবহিত পরে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের সময় উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের প্রয়োজন হইবে না।
(৫) এই অনুচ্ছেদের উপঅনুচ্ছেদ (২) অনুসারে উচ্চকক্ষ গঠনের ক্ষেত্রে যেকোনো প্রতিবন্ধকতা দূর করার উদ্দেশ্যে পরিষদ প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে এবং সরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে।
১৫। পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার চূড়ান্তকরণ ও প্রকাশ।- (১) সার্বভৌম জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তির ভিত্তিতে পরিষদ গঠিত বিধায় তৎকর্তৃক গৃহীত সংবিধান সংস্কার চূড়ান্ত হইবে এবং উক্তরূপ সংস্কার বিষয়ে অন্য কোনোভাবে অনুমোদন বা সম্মতির প্রয়োজন হইবে না।
(২) পরিষদ কর্তৃক গৃহীত সংবিধান সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ পাঠ এবং উক্তরূপে সংস্কারকৃত সংবিধানের পূর্ণাঙ্গ পাঠ অনতিবিলম্বে সরকার সরকারি গেজেটে প্রকাশ করিবে।
১৬। সরকার কর্তৃক নির্দেশনা ইত্যাদি জারি।- এই আদেশের বিধানাবলি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে।
জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ এর সংবিধান সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাবগুলো নিচে দেখুন—

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীর ও মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রস্তাবিত আদেশের প্রারম্ভিক ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল ভিত্তি হলো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে।
৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশসংবলিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো সম্মিলিতভাবে ওই সনদে স্বাক্ষর করে এবং তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সর্বোচ্চ অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে: সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন নেওয়ার উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান অপরিহার্য। সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করা অত্যাবশ্যক।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সে কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে। আদেশের খসড়ায় যা যা আছে জানতে বিস্তারিত পড়ুন—
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫
যেহেতু সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের প্রকাশ ঘটিয়াছে; এবং
যেহেতু উক্ত গণঅভ্যুত্থানের ফলে ৫ আগস্ট ২০২৪ (২১ শ্রাবণ ১৪৩১) তারিখে তৎকালীন কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটে, ৬ আগস্ট ২০২৪ (২২ শ্রাবণ ১৪৩১) তারিখে জাতীয় সংসদ ভাঙ্গিয়া দেওয়া হয় এবং ৮ আগস্ট ২০২৪ (২৪ শ্রাবণ ১৪৩১) তারিখে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যাহা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকারিতা ও স্বীকৃতি লাভ করিয়াছে; এবং
যেহেতু রাষ্ট্রীয় সংস্কার সাধনের মাধ্যমে সুশাসন, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ করিবার উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থায় সংস্কারের সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করে এবং উক্ত কমিশনসমূহ স্ব স্ব প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করে; এবং
যেহেতু উপরিউক্ত প্রতিবেদনগুলিতে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশসমূহের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (২৯ মাঘ ১৪৩২) তারিখে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে; এবং
যেহেতু জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সহিত আলোচনাক্রমে সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ প্রণয়ন করে এবং রাজনৈতিক দল ও জোট সম্মিলিতভাবে উক্ত সনদে স্বাক্ষর ও তাহা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে; এবং
যেহেতু সংবিধান সংস্কার বিষয়ে জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন প্রয়োজন এবং তদুদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার অপরিহার্য; এবং
যেহেতু উপরে বর্ণিতমতে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করিবার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা একান্ত প্রয়োজন,
সেহেতু সরকার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই আদেশ জারি করিল:-
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম।- এই আদেশ জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হইবে, যাহা অতঃপর “এই আদেশ” বলিয়া উল্লেখিত।
২। আদেশের প্রবর্তন ও কার্যকরতা।- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফল হিসাবে প্রণীত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আদেশ অবিলম্বে সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হইবে, এবং-
(ক) উক্তরূপে গেজেট প্রকাশের তারিখে ইহার ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ১৩ ও ১৬ অনুচ্ছেদ কার্যকর হইবে; এবং
(খ) ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৪ ও ১৫ অনুচ্ছেদ গণভোটের ইতিবাচক ফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখে কার্যকর হইবে।
৩। সংজ্ঞা।- বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আদেশে,-
(ক) “গণভোট” অর্থ এই আদেশের অধীনে অনুষ্ঠিত গণভোট;
(খ) “জাতীয় সংসদ” অর্থ সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে গঠিত জাতীয় সংসদ;
(গ) “জুলাই গণঅভ্যুত্থান” অর্থ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান, যাহার পরিণতিতে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে তৎকালীন সরকারের পতন ঘটে, ৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সংসদ ভাঙ্গিয়া দেওয়া হয় এবং ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়;
(ঘ) “জুলাই জাতীয় সনদ” অর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ এবং উক্ত কমিশন কর্তৃক স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫;
(ঙ) “নির্বাচন কমিশন” অর্থ সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত নির্বাচন কমিশন;
(চ) “নির্বাচিত প্রতিনিধি” অর্থ সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুসারে গঠিত জাতীয় সংসদের সকল সংসদ-সদস্য;
(ছ) “পরিষদ” অর্থ এই আদেশের ৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে গঠিত সংবিধান সংস্কার পরিষদ;
(জ) “সভাপ্রধান” অর্থ এই আদেশের ১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে পরিষদের সভায় সভাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;
(ঝ) “সংবিধান” অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধান; এবং
(ঞ) “সংসদ নির্বাচন” অর্থ এই আদেশ জারির অব্যবহিত পরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন।
৪। জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গণভোট।- জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হইবে।
৫। গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্ন ।- (১) গণভোটে নিম্নরূপ প্রশ্ন উপস্থাপন করা হইবে -
‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’।
(২) ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোটদান করিবেন।
৬। গণভোট অনুষ্ঠান।- এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।
৭। গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়ন।- গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা হইবে।
৮। সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উহার কার্যাবলি।- (১) গণভোটে উপস্থাপিত প্রশ্নের উত্তরে প্রদত্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ইতিবাচক (হ্যাঁ সূচক) হইলে-
(ক) এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হইবে, যাহা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গাঠনিক ক্ষমতা (Constituent Power) প্রয়োগ করিতে পারিবে;
(খ) উক্ত নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ একইসাথে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসাবে এবং এই আদেশ অনুসারে সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন;
(গ) পরিষদ উহার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হইতে ২৭০ পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে এই আদেশের তফসিল-১ এ বর্ণিত জুলাই জাতীয় সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করিবে এবং তাহা সম্পন্ন করিবার পর পরিষদের কার্যক্রম সমাপ্ত হইবে।
(২) পরিষদের কার্যধারায় অংশগ্রহণের সময় নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ পরিষদ-সদস্য হিসাবে অভিহিত হইবেন।
(৩) এই আদেশের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিষদ ইহার অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবি, সংবিধান সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব উত্থাপনের পদ্ধতি, উক্ত প্রস্তাব বিবেচনা ও গ্রহণ এবং অন্য সকল বিষয়ে কার্যপ্রণালি নির্ধারণ করিবে।
(৪) জাতীয় সংসদ সচিবালয় পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবে।
৯। শপথ এবং শপথ-পাঠ পরিচালনা।- (১) নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সংসদ-সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণের পর একই শপথ অনুষ্ঠানে এই আদেশের তফসিল-২ অনুযায়ী পরিষদ-সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা (এই অনুচ্ছেদে “শপথ” বলিয়া অভিহিত) করিবেন এবং অনুরূপ শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর দান করিবেন।
(২) সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের ক্ষেত্রে যিনি শপথ-পাঠ পরিচালনা করিবেন তিনিই এই আদেশের তফসিল-২ এ বিধৃত ফরমে পরিষদ-সদস্যদের শপথ-পাঠ পরিচালনা করিবেন।
১০। পরিষদের সভাপ্রধান, ইত্যাদি।- (১) পরিষদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে পরিষদ-সদস্যগণ ইহার সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান নির্বাচন করিবে; এবং উক্তরূপ নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত পরিষদের বয়োজ্যেষ্ঠ একজন সদস্য বৈঠকে সভাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।
(২) সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান উভয়ের অনুপস্থিতিতে পরিষদের কার্যপ্রণালী অনুযায়ী কোন পরিষদ-সদস্য সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করিবেন।
১১। পরিষদের অধিবেশন আহ্বান, কোরাম, ভোটদান, ইত্যাদি।- (১) সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষিত হইবার ৩০ পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে যে পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করা হইবে অনুরূপ পদ্ধতিতে পরিষদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করা হইবে।
(২) পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ন্যূনতম ৬০ (ষাট) জন পরিষদ-সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হইবে।
(৩) সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরিষদের মোট সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে; এবং অন্যান্য বিষয়ে উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিষদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্র ব্যতীত সভাপ্রধান ভোটদান করিবেন না এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে তিনি নির্ণায়ক ভোট প্রদান করিবেন।
১২। পরিষদ ও উহার সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি।- পরিষদের কোনো কার্যধারার বৈধতা এবং পরিষদ-সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি জাতীয় সংসদ ও সংসদ-সদস্যদের অনুরূপ হইবে।
১৩। জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধানে অন্তর্ভুক্তকরণ।- জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত হইবে।
১৪। সংবিধান সংস্কার অবিলম্বে কার্যকর করা।- (১) এই আদেশের ৮ অনুচ্ছেদের উপঅনুচ্ছেদ (১)(গ) অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হইবার পর যে সমস্ত সংস্কার অবিলম্বে কার্যকর করা সম্ভব তা অবিলম্বে কার্যকর করা হইবে এবং এক্ষেত্রে সরকার সকল যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
(২) এই অনুচ্ছেদের উপঅনুচ্ছেদ (১) এর সাধারণতা ক্ষুণ্ন না করিয়া [without prejudice to the generality of sub-article (1)] এই আদেশের ৮ অনুচ্ছেদের উপঅনুচ্ছেদ (১)(গ) অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হইবার পর ৪৫ পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Proportional Representation-PR) পদ্ধতিতে একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা হইবে।
(৩) এই অনুচ্ছেদের উপঅনুচ্ছেদ (২) অনুসারে গঠিত উচ্চকক্ষের মেয়াদ শপথ গ্রহণের তারিখ হইতে এই আদেশ জারির অব্যবহিত পরে গঠিত নিম্নকক্ষের (জাতীয় সংসদের) মেয়াদের শেষ দিবস পর্যন্ত হইবে।
(৪) এই আদেশ জারির অব্যবহিত পরে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের সময় উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের প্রয়োজন হইবে না।
(৫) এই অনুচ্ছেদের উপঅনুচ্ছেদ (২) অনুসারে উচ্চকক্ষ গঠনের ক্ষেত্রে যেকোনো প্রতিবন্ধকতা দূর করার উদ্দেশ্যে পরিষদ প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে এবং সরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে।
১৫। পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার চূড়ান্তকরণ ও প্রকাশ।- (১) সার্বভৌম জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তির ভিত্তিতে পরিষদ গঠিত বিধায় তৎকর্তৃক গৃহীত সংবিধান সংস্কার চূড়ান্ত হইবে এবং উক্তরূপ সংস্কার বিষয়ে অন্য কোনোভাবে অনুমোদন বা সম্মতির প্রয়োজন হইবে না।
(২) পরিষদ কর্তৃক গৃহীত সংবিধান সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ পাঠ এবং উক্তরূপে সংস্কারকৃত সংবিধানের পূর্ণাঙ্গ পাঠ অনতিবিলম্বে সরকার সরকারি গেজেটে প্রকাশ করিবে।
১৬। সরকার কর্তৃক নির্দেশনা ইত্যাদি জারি।- এই আদেশের বিধানাবলি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে।
জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ এর সংবিধান সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাবগুলো নিচে দেখুন—

রোহিঙ্গাদের চলাচলে স্বাধীনতা দিতে জাতিসংঘের অনুরোধের পর কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের যে পরিকল্পনা ছিল, তা চলতি বছরের মধ্যে শেষ করতে চায় সরকার। আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় টাস্কফোর্সের ৩৪ তম বৈঠকে জাতিসংঘের অনুরোধের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
০৯ জুন ২০২১
আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আরও ৪৬৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
৩ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশন
৩৫ মিনিট আগে
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গত ২৭ অক্টোবর (সোমবার) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
২ ঘণ্টা আগে