Ajker Patrika

জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল আজ, অনুমতি পেলে সরাসরি সম্প্রচার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ জুন ২০২৫, ১০: ৪৪

জুলাই-আগস্টে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজ রোববার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে। গতকাল শনিবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এদিকে ট্রাইব্যুনাল অনুমতি দিলে বিষয়টি সরাসরি সম্প্রচার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

জুলাই–আগস্টে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এটি হবে দ্বিতীয় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ। এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ২৫ মে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। এখনো ওই মামলায় অভিযোগ গঠন হয়নি। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর তা আমলে নেবেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর অভিযোগ গঠন করা হবে। মূলত অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়েই শুরু হবে বিচার। তাই ঈদুল আজহার ছুটির পর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হবে বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনালের একটি সূত্র।

এর আগে গত ১২ মে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। বাকি দুজন হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে প্রতিবেদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

চিফ প্রসিকিউটর প্রতিবেদনের বিষয়ে বলেন, প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে উসকানি এবং সরাসরি নির্দেশ। এ বিষয়ে তাঁর বহু কল রেকর্ড, অডিও-ভিডিও পাওয়া গেছে। পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট তিনটি ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে এসেছে—প্রায় দেড় হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে, ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে গুলি করে আহত করা হয়েছে, নারীদের ওপর বিশেষভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছে, লাশ একত্রিত করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, আহতদের হাসপাতালে নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে, পোস্টমর্টেম করতে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং চিকিৎসকদের চিকিৎসা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘হাসপাতালে শেখ হাসিনা নিজে গিয়ে বলেছিলেন, এসব ভর্তি রোগীদের যাতে চিকিৎসা দেওয়া না হয়। রোগীরা যখন যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে চেয়েছিল, তাঁদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। যাতে করে পচে গেলে কেটে ফেলতে হয় সেরকম নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানোর জন্য বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় নিজেদের লোকদের দিয়ে অগ্নিসংযোগের নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।’

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, জুলাই–আগস্টের ঘটনায় গত ১০ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ৩৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যেখানে প্রায় সবগুলোতেই শেখ হাসিনার নাম রয়েছে। এরপরও শুধুমাত্র শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে একটি বিবিধ মামলা হয়। এরপর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর আনুষ্ঠানিক অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যুক্ত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপমানিত সহকর্মীর ছাদ থেকে লাফ, শ্রমিক বিক্ষোভে রণক্ষেত্র শ্রীপুর, আহত শতাধিক

জি-৭ সম্মেলন: টানা ৫ বছর বিশেষ অতিথি, এবার আমন্ত্রণ পেলেন না মোদি

পুরোনো আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ

শাহরাস্তিতে মৃত্যুর ১০ মাস পর আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উত্তোলন

সরকারি কর্মচারীদের ১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত