Ajker Patrika

জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রাজনৈতিক ঐকমত্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৭: ১৪
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো। ছবি: আজকের পত্রিকা

আপিল বিভাগের বিচারকদের মধ্যে কর্মে জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে আগামী নির্বাচনের ইশতেহারে কোনো দল যদি জ্যেষ্ঠতম দুজন বিচারপতি থেকে একজনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং ওই দল বিজয়ী হয়, তাহলে তা করতে পারবে। বিধানটি যুক্ত করার বিষয়েও একমত দলগুলো।

আজ রোববার (১৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২তম দিনের দুপুরের বিরতির পরে আলোচনা শুরু হলে দলগুলো একমত হয়।

কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের বিদ্যমান ব্যবস্থা পরিবর্তনের ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন।

আজ সকালে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয় আলোচনা শেষে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেখানে দলগুলোর মধ্যে কর্মে জ্যেষ্ঠতম বিচারককে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে জামায়াত ইসলাম, এনসিপিসহ কয়েকটি দল প্রস্তাব করে। বিএনপিসহ অনেকগুলো দল দুজন থেকে একজনকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রস্তাব করে। দুপুরের বিরতির আগে ঐকমত্য ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

দুপুরের বিরতির পরে আবারও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেখানে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আপিল বিভাগের কর্মে জ্যেষ্ঠতম বিচারক পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হবেন। তবে কোনো দল যদি তাদের নির্বাচনের ইশতেহারের কর্মে দুজন থেকে একজন নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়, তারা বিজয়ী হলে সেটা করতে পারবে।

এতে একমত প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জ্যেষ্ঠতম বিচারককে আপনি পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন, সেটা আমরা মানি। তবে আমরা নোট অব ডিসেন্ট দেব, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার যা রাখা হবে, সেটা হলে কর্ম জ্যেষ্ঠতম দুজন থেকে একজনকে প্রধান বিচারপতি করা হবে।’

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘আমাদের দলীয় অবস্থান আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারকই হবেন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি। এরপর কেউ যদি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দুজন হতে একজনকে রাখার কথা বলে, সে ক্ষেত্রে জনগণ সুপারসিড চাইলে আমরা মানব।’

পরে কমিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ঐকমত্যের ঘোষণা করা হয়। তাতে বলা হয়, আপিল বিভাগের কর্মে জ্যেষ্ঠ বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের অভিযোগের কারণে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে কোনো তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান না থাকলে রাষ্ট্রপতি তাঁকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা মামলার আসামি দুই ভাই নেত্রকোনায় গ্রেপ্তার

‘নৌকা আউট, শাপলা ইন’, সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির চাওয়া

জরুরি অবস্থা ঘোষণায় লাগবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন, প্রস্তাবে একমত রাজনৈতিক দলগুলো

যশোরে কেন্দ্রের ভুলে বিজ্ঞানের ৪৮ জন ফেল, সংশোধনে জিপিএ-৫ পেল সবাই

পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের পর বললেন, ‘আমি যুবদলের সভাপতি, জানস?’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত