মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন স্বাস্থ্যকে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু হিসেবে দেখার প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে। একই সঙ্গে নাগরিকদের স্বাস্থ্যের সকল পর্যায়ের সেবা নিশ্চিতে বরাদ্দ ও ব্যয়ের সমন্বয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়কে জনকল্যাণমূলক ও অলাভজনক হিসেবে উপস্থাপন করা হবে। মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য নিয়ে তা নিরীক্ষার কাজ করছে ১২ সদস্যের এই কমিশন। আগামী মাসে সরকারের কাছে সংস্কার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
কমিশনকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বেঁধে দেওয়া ৯০ দিনের সময় শেষ হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি। ফেব্রুয়ারির শুরুতে সরকারকে লেখা কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমা মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
কমিশনের অন্তত তিনজন সদস্য আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অংশের পুরোনো কাঠামো ভেঙে সংস্কার করা এবং কিছু কাঠামো বহাল রেখে এই ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
কমিশন ইতিমধ্যে সারা দেশে বিভাগীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সেবা গ্রহণকারী, ঔষধশিল্প, বেসরকারি মেডিকেল কলেজসহ স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। মাঠপর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা চলছে। কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেছেন, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে তাঁরা প্রতিবেদন দেবেন। সে লক্ষ্যেই কাজ চলছে।
জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্ব
স্বাস্থ্যকে জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে কমিশনে আলোচনা চলছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনজন সদস্য বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরকার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ও বিভাগকে কাজে লাগাচ্ছে। সেখান থেকে অর্থনৈতিক প্রাপ্তি আশা করছে না। স্বাস্থ্যসেবাকেও তেমনি জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্ব দেওয়া যায় কি না, কমিশন সেই প্রস্তাব দিতে পারে।
কমিশনের একজন সদস্য বলেন, ‘স্বাস্থ্য একটা জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু। সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য ব্যয় করা অর্থে রাষ্ট্র নিরাপত্তা ছাড়া কোনো প্রত্যাশা রাখে না। তেমনি স্বাস্থ্যের বিনিয়োগ হবে প্রত্যাশা ছাড়া। এসবের মধ্যে রয়েছে ওষুধ, মেডিকেল ডিভাইসসহ বিভিন্ন বিষয়।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর উৎপাদিত ওষুধে স্থানীয় চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ হয়। তবে ওষুধের কাঁচামালের (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট–এপিআই) ৯০ শতাংশের বেশি আসে ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। ফলে দেশ ওষুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ তা বলার যৌক্তিকতা কতটা, সে বিষয়ে আলোচনা করছে কমিশন।
আলোচনায় উঠে এসেছে, স্বাস্থ্যকে জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্ব দিলে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনেও সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখবে। জরুরি টিকা নিজেরা উৎপাদনের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব বাড়বে। যেসব দেশ থেকে ওষুধের কাঁচামাল আমদানি করা হয়, তারা রপ্তানি বন্ধ করে দিলে দেশে উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যাবে। মুমূর্ষু রোগীদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় মেডিকেল অক্সিজেনের সিংহভাগই আমদানি করা হয়। বহু ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল ডিভাইস আসে চীন, ভারতসহ বিদেশ থেকে। কোনো বিশেষ কারণে জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি বন্ধ হলে রোগীরা মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়বে। কমিশন মনে করছে, কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে বড় সফটওয়্যারটি পরিচালিত হচ্ছে নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পের মাধ্যমে। এ ধরনের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়ে বিদেশনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে কমিশনের কাছে।
আইনি বাধ্যবাধকতায় নজর
কমিশনের একজন সদস্য বলেছেন, সংবিধানে স্বাস্থ্যকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এতে রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়ে গেছে পরোক্ষ। স্বাস্থ্যকে সংবিধান কর্তৃক সংরক্ষিত অধিকার করা হলে রাষ্ট্রকে এতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ওই সদস্য বলেন, বর্তমানে সংবিধানে স্বাস্থ্যের স্বীকৃতি যে রূপে রয়েছে তাতে কোনো নাগরিক চিকিৎসা না পেলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে পারবে না।
এ ছাড়া কোনো আর্থিক লাভের আশা না রেখে স্বাস্থ্যে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে।
স্বাস্থ্যে বরাদ্দ নিতান্ত অপ্রতুল
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, একটি দেশের স্বাস্থ্য ব্যয়ের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সেবাগ্রহীতার নিজের পকেট থেকে যেতে পারে। আর স্বাস্থ্যের জন্য সরকারের ব্যয় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ থেকে ৬ শতাংশ হতে হবে। সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগেরই হিসাবে দেশে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে রোগীর নিজস্ব ব্যয় ৬৯ শতাংশ। বেসরকারি সংস্থার হিসাবে এই ব্যয় আরও বেশি। আর সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের জন্য বরাদ্দ ৫ দশমিক ২ শতাংশ। এই বরাদ্দ জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। ডব্লিউএইচওর দেওয়া সর্বশেষ হিসাব বলছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের ব্যয় ছিল জিডিপির মাত্র ২ দশমিক ৩ শতাংশ।
কমিশনের সদস্যরা বলছেন, পুরো ব্যয় সরকার বহন না করলে অথবা স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা না থাকলে চিকিৎসার জন্য জনগণের বাড়তি ব্যয় বন্ধ হবে না। সরকারের পক্ষে পুরো খরচ বহন করা কঠিন হবে বলে ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশ সরকারকে বহনের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা শিক্ষা
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর বিষয়ে আলোচনা করছে কমিশন। সদস্যদের ভাষ্য, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারলে মাধ্যমিক ও বিশেষায়িত সহজে পাওয়া যাবে। তারা গ্রামীণ পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সীমাবদ্ধতাগুলো শনাক্ত করেছেন। প্রচলিত ‘চিকিৎসকনির্ভর’ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা থেকে বের হওয়ার উপায় খোঁজা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের যথাযথ বণ্টন ও পদায়ন এবং চিকিৎসা শিক্ষার মানের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। চিকিৎসক হিসেবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) যে নিবন্ধন লাগে, তা অর্জনের প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা চলছে।
কমিশনের কাজ যে পর্যায়ে
মাঠপর্যায়ে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি কাজ শেষ করেছে কমিশন। কমিশনের অনুরোধে সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৬৪ জেলার সোয়া ৮ হাজার পরিবারের ওপর জরিপ চালিয়েছে। এতে স্বাস্থ্যসেবার মান, সেবার ক্ষেত্রে অবহেলা, ওষুধের দুষ্প্রাপ্যতা এবং নাগরিককে স্বাস্থ্যসেবা দিতে রাষ্ট্রের ওপর আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। জরিপের ফলাফল প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের একাধিক সদস্য।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার প্রতিটি শাখা কার্যত ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। তাঁরা বলছেন, সমন্বিত ব্যবস্থাপনাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
জনস্বাস্থ্যবিদ ও বৈশ্বিক সংস্থা ওয়াটারএইড সাউথ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক খায়রুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের সমস্যাগুলো সবার জানা। এ থেকে উত্তরণে সরকারগুলোর আগ্রহের ঘাটতি দীর্ঘদিনের। সংস্কার প্রস্তাব যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় এবং পরবর্তী সরকার এসে তা বাস্তবায়ন অব্যাহত না রাখে, তাহলে কোনো লাভ হবে না। অল্প সময়ের মধ্যে কী করা যায় তা ভাবা উচিত। নির্বাচনের আগে এই সরকার হয়তো কয়েক মাস সময় পাবে। পরে রাজনৈতিক সরকার এসে এ ব্যাপারে আন্তরিক নাও হতে পারে।’
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও পরামর্শগুলো জনকল্যাণমুখী হওয়া উচিত বলে মনে করেন পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার প্রতিটি শাখায় ঘাটতি ও সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা যে চিহ্নিত হয়নি তা নয়। কিন্তু সমাধানে সমন্বিত আগ্রহ প্রয়োজন ছিল।’

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন স্বাস্থ্যকে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু হিসেবে দেখার প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে। একই সঙ্গে নাগরিকদের স্বাস্থ্যের সকল পর্যায়ের সেবা নিশ্চিতে বরাদ্দ ও ব্যয়ের সমন্বয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়কে জনকল্যাণমূলক ও অলাভজনক হিসেবে উপস্থাপন করা হবে। মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য নিয়ে তা নিরীক্ষার কাজ করছে ১২ সদস্যের এই কমিশন। আগামী মাসে সরকারের কাছে সংস্কার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
কমিশনকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বেঁধে দেওয়া ৯০ দিনের সময় শেষ হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি। ফেব্রুয়ারির শুরুতে সরকারকে লেখা কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমা মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
কমিশনের অন্তত তিনজন সদস্য আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অংশের পুরোনো কাঠামো ভেঙে সংস্কার করা এবং কিছু কাঠামো বহাল রেখে এই ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
কমিশন ইতিমধ্যে সারা দেশে বিভাগীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সেবা গ্রহণকারী, ঔষধশিল্প, বেসরকারি মেডিকেল কলেজসহ স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। মাঠপর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা চলছে। কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেছেন, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে তাঁরা প্রতিবেদন দেবেন। সে লক্ষ্যেই কাজ চলছে।
জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্ব
স্বাস্থ্যকে জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে কমিশনে আলোচনা চলছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনজন সদস্য বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরকার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ও বিভাগকে কাজে লাগাচ্ছে। সেখান থেকে অর্থনৈতিক প্রাপ্তি আশা করছে না। স্বাস্থ্যসেবাকেও তেমনি জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্ব দেওয়া যায় কি না, কমিশন সেই প্রস্তাব দিতে পারে।
কমিশনের একজন সদস্য বলেন, ‘স্বাস্থ্য একটা জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু। সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য ব্যয় করা অর্থে রাষ্ট্র নিরাপত্তা ছাড়া কোনো প্রত্যাশা রাখে না। তেমনি স্বাস্থ্যের বিনিয়োগ হবে প্রত্যাশা ছাড়া। এসবের মধ্যে রয়েছে ওষুধ, মেডিকেল ডিভাইসসহ বিভিন্ন বিষয়।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর উৎপাদিত ওষুধে স্থানীয় চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ হয়। তবে ওষুধের কাঁচামালের (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট–এপিআই) ৯০ শতাংশের বেশি আসে ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। ফলে দেশ ওষুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ তা বলার যৌক্তিকতা কতটা, সে বিষয়ে আলোচনা করছে কমিশন।
আলোচনায় উঠে এসেছে, স্বাস্থ্যকে জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্ব দিলে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনেও সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখবে। জরুরি টিকা নিজেরা উৎপাদনের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব বাড়বে। যেসব দেশ থেকে ওষুধের কাঁচামাল আমদানি করা হয়, তারা রপ্তানি বন্ধ করে দিলে দেশে উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যাবে। মুমূর্ষু রোগীদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় মেডিকেল অক্সিজেনের সিংহভাগই আমদানি করা হয়। বহু ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল ডিভাইস আসে চীন, ভারতসহ বিদেশ থেকে। কোনো বিশেষ কারণে জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি বন্ধ হলে রোগীরা মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়বে। কমিশন মনে করছে, কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে বড় সফটওয়্যারটি পরিচালিত হচ্ছে নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পের মাধ্যমে। এ ধরনের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়ে বিদেশনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে কমিশনের কাছে।
আইনি বাধ্যবাধকতায় নজর
কমিশনের একজন সদস্য বলেছেন, সংবিধানে স্বাস্থ্যকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এতে রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়ে গেছে পরোক্ষ। স্বাস্থ্যকে সংবিধান কর্তৃক সংরক্ষিত অধিকার করা হলে রাষ্ট্রকে এতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ওই সদস্য বলেন, বর্তমানে সংবিধানে স্বাস্থ্যের স্বীকৃতি যে রূপে রয়েছে তাতে কোনো নাগরিক চিকিৎসা না পেলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে পারবে না।
এ ছাড়া কোনো আর্থিক লাভের আশা না রেখে স্বাস্থ্যে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে।
স্বাস্থ্যে বরাদ্দ নিতান্ত অপ্রতুল
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, একটি দেশের স্বাস্থ্য ব্যয়ের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সেবাগ্রহীতার নিজের পকেট থেকে যেতে পারে। আর স্বাস্থ্যের জন্য সরকারের ব্যয় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ থেকে ৬ শতাংশ হতে হবে। সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগেরই হিসাবে দেশে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে রোগীর নিজস্ব ব্যয় ৬৯ শতাংশ। বেসরকারি সংস্থার হিসাবে এই ব্যয় আরও বেশি। আর সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের জন্য বরাদ্দ ৫ দশমিক ২ শতাংশ। এই বরাদ্দ জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। ডব্লিউএইচওর দেওয়া সর্বশেষ হিসাব বলছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের ব্যয় ছিল জিডিপির মাত্র ২ দশমিক ৩ শতাংশ।
কমিশনের সদস্যরা বলছেন, পুরো ব্যয় সরকার বহন না করলে অথবা স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা না থাকলে চিকিৎসার জন্য জনগণের বাড়তি ব্যয় বন্ধ হবে না। সরকারের পক্ষে পুরো খরচ বহন করা কঠিন হবে বলে ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশ সরকারকে বহনের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা শিক্ষা
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর বিষয়ে আলোচনা করছে কমিশন। সদস্যদের ভাষ্য, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারলে মাধ্যমিক ও বিশেষায়িত সহজে পাওয়া যাবে। তারা গ্রামীণ পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সীমাবদ্ধতাগুলো শনাক্ত করেছেন। প্রচলিত ‘চিকিৎসকনির্ভর’ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা থেকে বের হওয়ার উপায় খোঁজা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের যথাযথ বণ্টন ও পদায়ন এবং চিকিৎসা শিক্ষার মানের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। চিকিৎসক হিসেবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) যে নিবন্ধন লাগে, তা অর্জনের প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা চলছে।
কমিশনের কাজ যে পর্যায়ে
মাঠপর্যায়ে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি কাজ শেষ করেছে কমিশন। কমিশনের অনুরোধে সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৬৪ জেলার সোয়া ৮ হাজার পরিবারের ওপর জরিপ চালিয়েছে। এতে স্বাস্থ্যসেবার মান, সেবার ক্ষেত্রে অবহেলা, ওষুধের দুষ্প্রাপ্যতা এবং নাগরিককে স্বাস্থ্যসেবা দিতে রাষ্ট্রের ওপর আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। জরিপের ফলাফল প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের একাধিক সদস্য।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার প্রতিটি শাখা কার্যত ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। তাঁরা বলছেন, সমন্বিত ব্যবস্থাপনাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
জনস্বাস্থ্যবিদ ও বৈশ্বিক সংস্থা ওয়াটারএইড সাউথ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক খায়রুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের সমস্যাগুলো সবার জানা। এ থেকে উত্তরণে সরকারগুলোর আগ্রহের ঘাটতি দীর্ঘদিনের। সংস্কার প্রস্তাব যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় এবং পরবর্তী সরকার এসে তা বাস্তবায়ন অব্যাহত না রাখে, তাহলে কোনো লাভ হবে না। অল্প সময়ের মধ্যে কী করা যায় তা ভাবা উচিত। নির্বাচনের আগে এই সরকার হয়তো কয়েক মাস সময় পাবে। পরে রাজনৈতিক সরকার এসে এ ব্যাপারে আন্তরিক নাও হতে পারে।’
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও পরামর্শগুলো জনকল্যাণমুখী হওয়া উচিত বলে মনে করেন পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার প্রতিটি শাখায় ঘাটতি ও সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা যে চিহ্নিত হয়নি তা নয়। কিন্তু সমাধানে সমন্বিত আগ্রহ প্রয়োজন ছিল।’

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই শিশুরাই
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অন্যতম ভিত্তি।
আনসার মহাপরিচালক ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দীন অ্যাভিনিউয়ের সুপরিচিত ‘প্যালেট গ্যালারি’তে ঢাকা সেনানিবাসের প্রয়াস স্কুলের আর্ট প্রশিক্ষক আফিফ আলভির একক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা এই নবীন শিল্পীর প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে মানবিক সংবেদন, প্রকৃতির সূক্ষ্ম সৌন্দর্য এবং সমকালীন জীবনের বহুরূপী অভিব্যক্তি। আফিফ আলভির শিল্পকর্মে সাহসী রঙের ব্যবহার, দৃঢ় ব্রাশস্ট্রোক এবং আবেগঘন উপস্থাপনা দর্শকদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক বলেন, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অন্যতম ভিত্তি। সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে তারাই দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’ তিনি আরও বলেন, সমাজের সম্মিলিত সহযোগিতাই পারে তাদের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে।
আনসার মহাপরিচালক এ সময় আনসার বাহিনীর ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, এ প্রকল্প গ্রামীণ ও প্রান্তিক এলাকার প্রতিভা বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সমান সুযোগ সৃষ্টিতেও প্রকল্পটি কার্যকর অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দ্য সিটি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মাসরুর আরেফীন, প্রয়াস স্কুলের অধ্যক্ষ কর্নেল মো. আলতাফ আলী এবং বেক্সার সভাপতি মো. গোলাম রব্বানী। তাঁদের উপস্থিতিতে প্রদর্শনী আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
এই প্রদর্শনী শুধু আফিফ আলভির শিল্পযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নয়, বরং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ শিল্পীদের সৃজনশীল বিকাশে অনুপ্রেরণার নতুন দৃষ্টান্ত।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অন্যতম ভিত্তি।
আনসার মহাপরিচালক ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দীন অ্যাভিনিউয়ের সুপরিচিত ‘প্যালেট গ্যালারি’তে ঢাকা সেনানিবাসের প্রয়াস স্কুলের আর্ট প্রশিক্ষক আফিফ আলভির একক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা এই নবীন শিল্পীর প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে মানবিক সংবেদন, প্রকৃতির সূক্ষ্ম সৌন্দর্য এবং সমকালীন জীবনের বহুরূপী অভিব্যক্তি। আফিফ আলভির শিল্পকর্মে সাহসী রঙের ব্যবহার, দৃঢ় ব্রাশস্ট্রোক এবং আবেগঘন উপস্থাপনা দর্শকদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক বলেন, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অন্যতম ভিত্তি। সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে তারাই দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’ তিনি আরও বলেন, সমাজের সম্মিলিত সহযোগিতাই পারে তাদের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে।
আনসার মহাপরিচালক এ সময় আনসার বাহিনীর ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, এ প্রকল্প গ্রামীণ ও প্রান্তিক এলাকার প্রতিভা বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সমান সুযোগ সৃষ্টিতেও প্রকল্পটি কার্যকর অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দ্য সিটি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মাসরুর আরেফীন, প্রয়াস স্কুলের অধ্যক্ষ কর্নেল মো. আলতাফ আলী এবং বেক্সার সভাপতি মো. গোলাম রব্বানী। তাঁদের উপস্থিতিতে প্রদর্শনী আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
এই প্রদর্শনী শুধু আফিফ আলভির শিল্পযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নয়, বরং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ শিল্পীদের সৃজনশীল বিকাশে অনুপ্রেরণার নতুন দৃষ্টান্ত।

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন স্বাস্থ্যকে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু হিসেবে দেখার প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে। একই সঙ্গে নাগরিকদের স্বাস্থ্যের সকল পর্যায়ের সেবা নিশ্চিতে বরাদ্দ ও ব্যয়ের সমন্বয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়কে জনকল্যাণমূলক ও অলাভজনক হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
৯ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
আজ শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এই তথ্য জানা যায়। আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমদ খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৯ এবং নারীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৫ জন।
দেশভিত্তিক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের প্রবাসী ভোটাররা শীর্ষে রয়েছেন; যেখানে ৩৮ হাজার ২৬৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে ১৯ হাজার ২৭১ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন।
নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের সুবিধার্থে নিবন্ধনের সময়সীমা আরও বাড়িয়েছে। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে এই সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকেই এই অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউ ভোটার নিবন্ধন করতে পারছেন।
নির্বাচন কমিশন পোস্টাল ব্যালট পেপার নির্বিঘ্নে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সঠিক ঠিকানা প্রদানের ওপর জোর দিয়েছে। ইসি থেকে পাঠানো এক বার্তায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে:
নিবন্ধনের সময় আপনার অবস্থানকালীন দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী সঠিক ঠিকানা দিন। প্রয়োজনে কর্মস্থল অথবা পরিচিতজনের ঠিকানা ব্যবহার করুন।
নিবন্ধনের সময় ভুল ঠিকানা দিয়ে থাকলে, ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মোবাইল অ্যাপের এডিট মেনু ব্যবহার করে তা সংশোধন করুন।
ইসি সতর্ক করেছে যে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান ব্যতিরেকে পোস্টাল ব্যালট পেপার ভোটারদের নিকট পাঠানো সম্ভব হবে না।
সেই সঙ্গে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার সময় ইন্টারনেট ভিপিএন ব্যবহার না করার ব্যাপারে সতর্ক করেছে।
অভ্যন্তরীণ পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) চালু হবে
ইসি সচিব আখতার আহমেদ আরও জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটার এবং নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) প্রক্রিয়াও চালু করা হবে।
তিনি জানান, আইসিপিভির জন্য তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ দিনের মেয়াদে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার গত ১৮ নভেম্বর ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের উদ্বোধন করেন এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪৮টি নির্দিষ্ট দেশে ভোটার নিবন্ধনের সময়সূচি ঘোষণা করেছিলেন। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের জন্য প্রবাসী ভোটারকে অবশ্যই যেখান থেকে ভোট দেবেন, সেই দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
আজ শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এই তথ্য জানা যায়। আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমদ খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৯ এবং নারীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৫ জন।
দেশভিত্তিক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের প্রবাসী ভোটাররা শীর্ষে রয়েছেন; যেখানে ৩৮ হাজার ২৬৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে ১৯ হাজার ২৭১ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন।
নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের সুবিধার্থে নিবন্ধনের সময়সীমা আরও বাড়িয়েছে। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে এই সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকেই এই অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউ ভোটার নিবন্ধন করতে পারছেন।
নির্বাচন কমিশন পোস্টাল ব্যালট পেপার নির্বিঘ্নে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সঠিক ঠিকানা প্রদানের ওপর জোর দিয়েছে। ইসি থেকে পাঠানো এক বার্তায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে:
নিবন্ধনের সময় আপনার অবস্থানকালীন দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী সঠিক ঠিকানা দিন। প্রয়োজনে কর্মস্থল অথবা পরিচিতজনের ঠিকানা ব্যবহার করুন।
নিবন্ধনের সময় ভুল ঠিকানা দিয়ে থাকলে, ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মোবাইল অ্যাপের এডিট মেনু ব্যবহার করে তা সংশোধন করুন।
ইসি সতর্ক করেছে যে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান ব্যতিরেকে পোস্টাল ব্যালট পেপার ভোটারদের নিকট পাঠানো সম্ভব হবে না।
সেই সঙ্গে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার সময় ইন্টারনেট ভিপিএন ব্যবহার না করার ব্যাপারে সতর্ক করেছে।
অভ্যন্তরীণ পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) চালু হবে
ইসি সচিব আখতার আহমেদ আরও জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটার এবং নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) প্রক্রিয়াও চালু করা হবে।
তিনি জানান, আইসিপিভির জন্য তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ দিনের মেয়াদে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার গত ১৮ নভেম্বর ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের উদ্বোধন করেন এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪৮টি নির্দিষ্ট দেশে ভোটার নিবন্ধনের সময়সূচি ঘোষণা করেছিলেন। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের জন্য প্রবাসী ভোটারকে অবশ্যই যেখান থেকে ভোট দেবেন, সেই দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন স্বাস্থ্যকে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু হিসেবে দেখার প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে। একই সঙ্গে নাগরিকদের স্বাস্থ্যের সকল পর্যায়ের সেবা নিশ্চিতে বরাদ্দ ও ব্যয়ের সমন্বয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়কে জনকল্যাণমূলক ও অলাভজনক হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই শিশুরাই
২ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, সুইডেন এবং ইউক্রেন সরকারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
ইউক্রেন সরকারের ২০২২ সালে চালু করা ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মানবিক সংকটে ইউক্রেনীয় খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য দেওয়া এই সূর্যমুখী তেল ইউক্রেনেই উৎপাদিত হয়েছে। এই তেলের সংগ্রহ ও পরিবহন বাবদ মোট ৭ মিলিয়ন (৭০ লাখ) মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে সুইডেন সরকার বহন করেছে।
অনুষ্ঠানের পর প্রতিনিধিদল খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে ডব্লিউএফপি-এর ই-ভাউচার পদ্ধতির মাধ্যমে সূর্যমুখী তেল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই সিস্টেমে প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারকে মাসিক মাথাপিছু ১২ মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা দিয়ে তাঁরা প্রয়োজনীয় খাদ্য, তাজা সবজি, মাছ ও মুরগি কিনতে পারেন। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কেনার এই ব্যবস্থাটি স্থানীয় অর্থনীতিকেও সমর্থন জোগায়।
অনুষ্ঠানে ইউক্রেন, সুইডেন এবং ডব্লিউএফপি-এর প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ বজায় রাখার এবং সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ডব্লিউএফপি-এর কার্যক্রমে ১৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির কারণে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসেই খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, সুইডেন এবং ইউক্রেন সরকারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
ইউক্রেন সরকারের ২০২২ সালে চালু করা ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মানবিক সংকটে ইউক্রেনীয় খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য দেওয়া এই সূর্যমুখী তেল ইউক্রেনেই উৎপাদিত হয়েছে। এই তেলের সংগ্রহ ও পরিবহন বাবদ মোট ৭ মিলিয়ন (৭০ লাখ) মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে সুইডেন সরকার বহন করেছে।
অনুষ্ঠানের পর প্রতিনিধিদল খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে ডব্লিউএফপি-এর ই-ভাউচার পদ্ধতির মাধ্যমে সূর্যমুখী তেল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই সিস্টেমে প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারকে মাসিক মাথাপিছু ১২ মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা দিয়ে তাঁরা প্রয়োজনীয় খাদ্য, তাজা সবজি, মাছ ও মুরগি কিনতে পারেন। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কেনার এই ব্যবস্থাটি স্থানীয় অর্থনীতিকেও সমর্থন জোগায়।
অনুষ্ঠানে ইউক্রেন, সুইডেন এবং ডব্লিউএফপি-এর প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ বজায় রাখার এবং সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ডব্লিউএফপি-এর কার্যক্রমে ১৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির কারণে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসেই খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন স্বাস্থ্যকে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু হিসেবে দেখার প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে। একই সঙ্গে নাগরিকদের স্বাস্থ্যের সকল পর্যায়ের সেবা নিশ্চিতে বরাদ্দ ও ব্যয়ের সমন্বয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়কে জনকল্যাণমূলক ও অলাভজনক হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই শিশুরাই
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
৯ ঘণ্টা আগেশত্রুমুক্ত তিনটি জেলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, যশোর, কুড়িগ্রাম ও ফেনী প্রতিনিধি

স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের কাছে ভুটানের তৎকালীন রাজা স্বীকৃতি দিয়ে পাঠিয়েছিলেন এক ঐতিহাসিক বার্তা।
ভুটান ও ভারতের মধ্যে কোন দেশ প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল, এ নিয়ে কখনো কখনো মিডিয়ার খবরের সূত্রে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ভারত ও ভুটান যথাক্রমে ৬ ও ৭ ডিসেম্বর স্বীকৃতি দিয়েছে—মিডিয়ার একাংশের এমন খবরের পর একবার বিতর্ক ছড়ায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সত্য নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই...। ১৯৭১ সালে ভুটান প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ৬ ডিসেম্বর একটি ওয়্যারলেস বার্তার মাধ্যমে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।...আমাদের ইতিহাসে রয়েছে যে এমনকি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আগেই ভুটান প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত ও ভুটান উভয়ই ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু প্রথমে দিয়েছে ভুটান।’
অর্থাৎ দুই প্রতিবেশীর স্বীকৃতি এসেছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে।
সচিব জানিয়েছিলেন, স্বীকৃতির বার্তায় ভুটানের তখনকার রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক বাংলাদেশের জনগণের সাফল্য কামনা করেন এবং স্বাধীনতা-যুদ্ধের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করেন।’
ভুটান সরকার ২০১৪ সালে বাংলাদেশের কাছে সেই ওয়্যারলেস বার্তার একটি টেক্সট হস্তান্তর করেছিল।
এই দিনেই শত্রুমুক্ত যশোর ও ফেনী
একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনী ও যশোরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।
৬ তারিখ দুপুরের পরপরই যশোর সেনানিবাস ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। শত্রুমুক্ত হয় যশোর জেলা। শহরে ওড়ে বিজয়ী বাংলাদেশের পতাকাখচিত প্রথম পতাকা।
যশোরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম জানান, ১৯৭১ সালের ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এ সময় সহায়তাকারী ভারতের মিত্রবাহিনীও সীমান্ত এলাকা থেকে যশোর সেনানিবাসসহ পাকিস্তানি সেনা স্থাপনায় বিমান হামলা ও গোলা নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পর্যুদস্ত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ৫ ডিসেম্বর থেকে পালানো শুরু করে। যশোর সেনানিবাস ছেড়ে তারা খুলনার গিলাতলা সেনানিবাসের দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় ৫ ও ৬ ডিসেম্বর শহরতলির রাজারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে তাদের প্রচণ্ড লড়াই হয়। ৬ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী সেনানিবাসে প্রবেশ করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ঢল নামে শহরে। মুক্তির আনন্দে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে ফেটে পড়ে গোটা জেলার মানুষ।
ঐতিহাসিক যশোর মুক্ত দিবস উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসন আজ শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মো. আশেক হাসান।
৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামও হানাদার মুক্ত হয়। এই দিনে বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকারের নেতৃত্বে ৩৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল বিকেল ৪টায় কুড়িগ্রাম শহরে প্রথম প্রবেশ করে। এরপর তারা নতুন শহরের পানির ট্যাংকের ওপরে (বর্তমান সদর থানার উত্তরে অবস্থিত) স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে চারদিকে ছড়িয়ে দেয় বিজয়বার্তা। বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে হাজারো মুক্তিকামী মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
মুক্তিযুদ্ধে অর্ধশতাধিক অভিযানে অংশ নেওয়া আব্দুল হাই সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। আমরা যুদ্ধ করেছি জাতির মুক্তির আশায়; প্রজাতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদের জন্য।...মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নেই। সবাই শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে।’
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কুড়িগ্রাম জেলা ও সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ড, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, প্রীতিলতা ব্রিগেডসহ কয়েকটি সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে বিজয় র্যালি করে শহরের কলেজ মোড়ের বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল আরেক জেলা ফেনী। পাকিস্তানি সেনারা প্রথম আত্মসমর্পণ করেছিল সীমান্তের বিলোনিয়ায়।
৬ ডিসেম্বর ভোর থেকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে ফেনী শহরে প্রবেশ করতে থাকেন। পরে শহরের রাজাঝির দীঘিরপাড়ে ডাকবাংলোর সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে কেঁপে ওঠে শহর। পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী আর তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস সদস্যরা ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এখনো তরুণ প্রজন্ম চাইলে এ দেশকে মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এজন্য সবার আগে দেশপ্রেমকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
ফেনীমুক্ত দিবস সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ভিপি বলেন, ‘ডিসেম্বরের শুরু থেকে গেরিলা যুদ্ধ করতে করতে আমরা পাঁচগাছিয়া এলাকার কাছাকাছি চলে আসি। ৫ ডিসেম্বর আমরা ঠিক ফেনীর কাছাকাছি যখন আসি, তখন পাকিস্তানি সেনারা রণেভঙ্গ দিয়ে শেষ রাতের দিকে শুভপুর ও বারইয়ারহাট হয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।
ঐতিহাসিক এদিনটি উপলক্ষে আজ ফেনীতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এতে অংশ নিয়ে স্মরণ করবেন বিজয়ের সেই স্মরণীয় মুহূর্তকে।

স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের কাছে ভুটানের তৎকালীন রাজা স্বীকৃতি দিয়ে পাঠিয়েছিলেন এক ঐতিহাসিক বার্তা।
ভুটান ও ভারতের মধ্যে কোন দেশ প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল, এ নিয়ে কখনো কখনো মিডিয়ার খবরের সূত্রে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ভারত ও ভুটান যথাক্রমে ৬ ও ৭ ডিসেম্বর স্বীকৃতি দিয়েছে—মিডিয়ার একাংশের এমন খবরের পর একবার বিতর্ক ছড়ায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সত্য নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই...। ১৯৭১ সালে ভুটান প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ৬ ডিসেম্বর একটি ওয়্যারলেস বার্তার মাধ্যমে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।...আমাদের ইতিহাসে রয়েছে যে এমনকি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আগেই ভুটান প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত ও ভুটান উভয়ই ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু প্রথমে দিয়েছে ভুটান।’
অর্থাৎ দুই প্রতিবেশীর স্বীকৃতি এসেছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে।
সচিব জানিয়েছিলেন, স্বীকৃতির বার্তায় ভুটানের তখনকার রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক বাংলাদেশের জনগণের সাফল্য কামনা করেন এবং স্বাধীনতা-যুদ্ধের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করেন।’
ভুটান সরকার ২০১৪ সালে বাংলাদেশের কাছে সেই ওয়্যারলেস বার্তার একটি টেক্সট হস্তান্তর করেছিল।
এই দিনেই শত্রুমুক্ত যশোর ও ফেনী
একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনী ও যশোরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।
৬ তারিখ দুপুরের পরপরই যশোর সেনানিবাস ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। শত্রুমুক্ত হয় যশোর জেলা। শহরে ওড়ে বিজয়ী বাংলাদেশের পতাকাখচিত প্রথম পতাকা।
যশোরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম জানান, ১৯৭১ সালের ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এ সময় সহায়তাকারী ভারতের মিত্রবাহিনীও সীমান্ত এলাকা থেকে যশোর সেনানিবাসসহ পাকিস্তানি সেনা স্থাপনায় বিমান হামলা ও গোলা নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পর্যুদস্ত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ৫ ডিসেম্বর থেকে পালানো শুরু করে। যশোর সেনানিবাস ছেড়ে তারা খুলনার গিলাতলা সেনানিবাসের দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় ৫ ও ৬ ডিসেম্বর শহরতলির রাজারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে তাদের প্রচণ্ড লড়াই হয়। ৬ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী সেনানিবাসে প্রবেশ করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ঢল নামে শহরে। মুক্তির আনন্দে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে ফেটে পড়ে গোটা জেলার মানুষ।
ঐতিহাসিক যশোর মুক্ত দিবস উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসন আজ শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মো. আশেক হাসান।
৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামও হানাদার মুক্ত হয়। এই দিনে বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকারের নেতৃত্বে ৩৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল বিকেল ৪টায় কুড়িগ্রাম শহরে প্রথম প্রবেশ করে। এরপর তারা নতুন শহরের পানির ট্যাংকের ওপরে (বর্তমান সদর থানার উত্তরে অবস্থিত) স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে চারদিকে ছড়িয়ে দেয় বিজয়বার্তা। বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে হাজারো মুক্তিকামী মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
মুক্তিযুদ্ধে অর্ধশতাধিক অভিযানে অংশ নেওয়া আব্দুল হাই সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। আমরা যুদ্ধ করেছি জাতির মুক্তির আশায়; প্রজাতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদের জন্য।...মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নেই। সবাই শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে।’
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কুড়িগ্রাম জেলা ও সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ড, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, প্রীতিলতা ব্রিগেডসহ কয়েকটি সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে বিজয় র্যালি করে শহরের কলেজ মোড়ের বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল আরেক জেলা ফেনী। পাকিস্তানি সেনারা প্রথম আত্মসমর্পণ করেছিল সীমান্তের বিলোনিয়ায়।
৬ ডিসেম্বর ভোর থেকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে ফেনী শহরে প্রবেশ করতে থাকেন। পরে শহরের রাজাঝির দীঘিরপাড়ে ডাকবাংলোর সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে কেঁপে ওঠে শহর। পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী আর তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস সদস্যরা ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এখনো তরুণ প্রজন্ম চাইলে এ দেশকে মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এজন্য সবার আগে দেশপ্রেমকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
ফেনীমুক্ত দিবস সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ভিপি বলেন, ‘ডিসেম্বরের শুরু থেকে গেরিলা যুদ্ধ করতে করতে আমরা পাঁচগাছিয়া এলাকার কাছাকাছি চলে আসি। ৫ ডিসেম্বর আমরা ঠিক ফেনীর কাছাকাছি যখন আসি, তখন পাকিস্তানি সেনারা রণেভঙ্গ দিয়ে শেষ রাতের দিকে শুভপুর ও বারইয়ারহাট হয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।
ঐতিহাসিক এদিনটি উপলক্ষে আজ ফেনীতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এতে অংশ নিয়ে স্মরণ করবেন বিজয়ের সেই স্মরণীয় মুহূর্তকে।

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন স্বাস্থ্যকে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু হিসেবে দেখার প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে। একই সঙ্গে নাগরিকদের স্বাস্থ্যের সকল পর্যায়ের সেবা নিশ্চিতে বরাদ্দ ও ব্যয়ের সমন্বয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়কে জনকল্যাণমূলক ও অলাভজনক হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই শিশুরাই
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে